নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেই কোন অস্থিতিশীলতা ডিএনএ গড়বে প্রাতিলতা

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ফিরে আসুক সৌহাদ্য সম্প্রতি...

ডিএনএ

ডি অক্সি নিউক্লিক এসিডের মতো নিজের স্বপ্নগুলোকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই

ডিএনএ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্র আন্দোলন কি থাকবে?

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪৬

বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস দেখলে বুঝা যাচ্ছে যাবতীয় শোষণ-নিপীড়ণ ও দাবী আদায়ের হাতিয়ার ছিল ছাত্র সমাজ। তাদের আন্দোলনের দাবী মানতে বাধ্য হতো ক্ষমতাশীনরা।



গত কয়েক বছর থেকে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন দেখলে বুঝা যায় বায়ান্না, ছিয়াসট্টি, উনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই পর্যন্ত খুব ভালভাবে ছাত্রদের আন্দোলন ফলপস্যূ হয়েছে। সাফল্যের ঝুড়ি কাঁধে নিয়ে ঘরে ফি রেছে তারা।



কিন্তু এরপর ছাত্র আন্দোলনের হলোটা কি? ২০০৭ সালের আগস্ট মাসের ঘটনা নিশ্চয় মনে আছে? তৎকালিন সেনা সমর্থিত শাসকগোষ্টি কিভাবে ছাত্রদের পদদলিত আর জেলের পুরেছিল? কারণ কি?



কারণ একটায় ছাত্রদের দমিয়ে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের থেকে পরবর্তীতে নেতৃত্ব পঙ্গ করা। আমি নিজে ছাত্র আন্দোলনের আর কোন ভবিস্যৎ দেখছি না।



আশা করি আগামি এক দশকও দেখতে পাবো বলে মনে হয় না। সাধারন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনগুলোতে যেভাবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে তাতে জনদাবী আদায়ের কোন পথ থাকবে বলে আর মনে হচ্ছে না। সহিংস রাজনীতির নোংরা থাবা ব্যাপিত হচ্ছে সাধারন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনগুলোতে। ফলে অকালেই ঝড়ে পরছে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রজাতান্ত্রিক আন্দোলন।



গত ২৯ বছর ধরে রাকসু, ঢাকসু, চকসু নির্বাচন হয় নাই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদের দাবী আদায়ের এই তীর্থক্ষেত্রটিকে গলাটিপে ধরে রাখা হয়েছে। যেকোন মুহুর্তে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে সব সাঙ্গ হযে যাবে।



আপনি কি জানেন ছাত্র সংসদের নির্বাচন না হওয়ার জাতীয় রাজনীতির মেরু ভেঙ্গে যাচ্ছে? গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় কলুষিত আর নেতৃত্বহীন মেধা সম্পূন্ন নেতারা যাচ্ছে ভেঙ্গে পড়ছে সুশাসন। রন্ধে রন্ধে কেবল অন্ধকার আর দুরাশা।



সাধারন ছাত্রদের থেকে যে নেতৃত্ব গড়ে উঠবে তার সুযোগ কোথায়? শাহবাগ, মতিঝিল আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্দোলন করলেই কি নেতৃত্ব চলে আসবে? গত কয়েকদিন থেকে বিসিএস সহ সরকারি কোটা প্রথা বাতিলের দাবীতে যে আন্দোলন হচ্ছে তার ভবিষ্যৎ কি?



অভিযোগ উঠেছে এখন যারা আন্দোলন করছে তারা জামায়াত শিবির বা বিএনপি কিংবা মুক্তিযুদ্ধের স্ব-বিরোধী। তারা জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন করে সাধারন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পঁচে ফেলাচ্ছে দুগন্ধ ছড়াচ্ছে এর চারপাশে। ফলে তাদের ওই নোংরামিতে সাধারন শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে।



অন্যদিকে ক্ষমতাশীণদলের ছাত্র সংগঠনগুলো কি কম সহিংসতা দেখাচ্ছে? জামায়াত শিবির কিংবা বিএনপির অজুহাতে কোটা আন্দোলনকারীদের উপর যা হামলা করতে তাতে কি সাধারন ছাত্র আন্দোলন সামনের দিকে এগুবে? কয়জন সাধারন ছেলে-মেয়ে তাদের শান্তিপূর্ণ দাবী আদায়ের লক্ষ্যে মার খাবে?

এর আগে শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে জামায়াত-বিএনপি দোষারপ করেছিল যে ওই আন্দোলন সাধারন মানুষের নয়।



ওটা রাজনৈতিক। সাধারন মানুষ প্রাণের দাবী আদায়ের লক্ষ্যে শাহবাগ স্কয়ার তৈরি করেছিল সেই আন্দোলন আজে ওই স্বাধীনতা বিরোধীদের অপবাদের গর্ভে চলে যায়। বিতর্কিত হয়ে যায় শাহবাগ।



ঠিক শাহবাগের আদলে চলে যাবে বিসিএস কোটা বাতিলের দাবীতে সাধারন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। সামনে হয়তো চলবে ধরপাকড় তবে সেটা নিশ্চয় সাধারন শিক্ষার্থীদের জন্য নয় সেটা হবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের দমনের। সেটা হবে সাধারন ছাত্রদের স্ব-বিরোধী। আর এভাবে ভবিষ্যৎ সাধারন ছাত্রদের দাবী আদায়ের কোন প্লাটফর্ম তৈরি করতে দেবে না রাজনৈতিকদলগুলো। আর এভাবে অন্ধ হয়ে যাবে দাবী আদায়ের এক সময়ের পথিকৃৎ ছাত্ররা। হারিয়ে যাবে রাজপথের বষিয়ান পথক্রমা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.