নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেই কোন অস্থিতিশীলতা ডিএনএ গড়বে প্রাতিলতা

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ফিরে আসুক সৌহাদ্য সম্প্রতি...

ডিএনএ

ডি অক্সি নিউক্লিক এসিডের মতো নিজের স্বপ্নগুলোকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই

ডিএনএ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছেটা কি?

০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৪৪

গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যে বৈঠক হয়েছিল সেই বৈঠকে একজন ছাত্র হিসেবে আপনাদের সবার মনের অবস্থা আমাদের অজানা নই। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমাদের সবারই শিক্ষা জীবন ব্যহত হচ্ছে, পাশাপাশি আমরা সবাই আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসকে মিস করছি।



ক্যাম্পাস দ্রুত খোলা এবং সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি মেনে নেয়ার নিমিত্তে, আমরা (সাধারন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে) হামলা ও মামলার শিকার হবার পরও প্রশসনের সাথে আলোচনায় বসি। আমরা আমাদের দাবি সমূহ মাননীয় উপচার্যকে উপস্থাপন করি। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, আমরা যদি বানিজ্যিক সান্ধকালীন কোর্স বাতিলের অবস্থান থেকে সরে আসি তবে, তারা অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করবেন।



আমাদের অবস্থান জানার জন্য প্রশাসন একদিন আমাদের সময় দেয়। তারপর আমরা পরেরদিন, আবারো প্রশাসনের সাথে আলোচনায় বসি এবং আমাদের অবস্থান জানায়। আমরা আগের অবস্থান থেকে একটু নমনীয় হই। আমরা যৌতিক দাবি হিসেবে অন্তত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সদ্য চালু হওয়া বানিজ্যিক সান্ধকালীন কোর্স স্থগিতের আহ্বান জানায় কারন সেটার সুযোগ এখনো আছে। এবং পরবর্তীতে একটা অপেন ডিবেডের মাধ্যমে এটার সুরহা করতে বলা হয় এবং আস্তে আস্তে বানিজ্যিক কোর্স বাতিলের আহ্বান জানানো হয়।তাছাড়া একটা পরিবেশ পরিষদের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক পুনঃ সম্পর্ক স্থাপনের ব্যপারে উদ্দেগ নিতে বলা হয়।



কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয় যে, বানিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স থেকে আমরা যদি না সরে আসি তাহলে তোমরা চলে যাও। তারা র‌্যাব ও বিজিবি দিয়ে ক্যাম্পাস খোলার ব্যবস্থা করবে বলে জানায়।



পাশপাশি আমাদের মামলার কথা স্মরন করে দেয়। আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসি এবং আজকে আমাদের অবস্থান সাংবাদিকদের জানায়। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আমরা মামালা আর হামলার ভয়ে আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসকে প্রাইভেটে রুপান্তর হতে দিতে পারিনা।আপনারা জানেন কি? ইউ.জি.সি র কৌশল পত্র অনুযায়ি সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৬ সালের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে চালানোর একটা অপ কৌশল গ্রহন করেছেন।



বানিজ্যিক সান্ধকোর্স ও বেতনবৃদ্ধি তার প্রথম ধাপ। ভেবে দেখুন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রাইভেটে রুপান্তর হলে উচ্চশিক্ষা শুধু ধনীদের পণ্যে পরিনত হবে। আমরা পূর্বের ন্যায়, আগামী দিনেও অহিংস এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং আমাদের দাবি পূরন করব। আশা করছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রছাত্রী এবং দেশবাসী সবসময় আমাদের পাশে থাকবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৪৯

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে নতুন কিছু চালু করা সম্ভব, তবে তা পাবলিক ইউভার্সিটির নিয়ম অনুসারে হতে হবে।

আপনাদের কথা শোনে না কেন, আপনারা কি শিবির?

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:০৭

এম এ কাশেম বলেছেন: আগে শিবির ছিল,
এখন আওয়ামীকরন করা হইতেছে............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.