নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানত যদি হাসন রাজা বাঁচব কতদিন..

Miles to go before I sleep.....

নরাধম

"Recite! in the name of thy Lord; Who created Created man out of a clot of congealed blood Recite! and thy Lord is Most Bountiful, He Who taught (the use of) the Pen Taught man that which he knew not"

নরাধম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমকামিতা বিষয়ে ইসলামে আসলে কি বলে?

০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

০১.
সমকামিতা বিষয়ে ইসলামে কি বলে সেটা নিয়ে আমাদের জানার দরকার আছে। ইসলামী শরীয়তে অস্বীকার করে না যে কিছু কিছু মানুষের মধ্যে সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষন থাকতে পারে, এরকম আকর্ষন থাকাকে শরীয়ত পাপ মনে করে না। বরং শুধুমাত্র যখন কেউ সমকামী যৌনতায় লিপ্ত হয়, তখনই সেটা পাপ। কারো যদি সমকামী অনুভূতি থাকে, কিন্তু সে সমকামি যৌনতায় লিপ্ত না হয়, তবে তাকে আল্লাহ বরং পুরষ্কৃত করবেন, কেননা এটা তার জন্য ব্যক্তিগত জিহাদ।

০২.
প্রশ্ন আসতে পারে সমকামী অনুভূতি থাকা স্বত্ত্বেও তাকে শরীয়ত সেরকম যৌনতার অনুমতি দিচ্ছেনা, সেটা কি কিছুটা অবিচার হয়ে গেল না? না, হয়নি। কেননা একইরকম ব্যক্তিগত জিহাদে (স্ট্রাগলে) আছেন আরো অনেক মানুষ। যেমন বিয়ে পূর্ব যৌনতার ইসলামে অনুমতি নাই। লোকে নানা কারনে বালেগ হওয়ামাত্রই তো বিয়ে করতে পারে না। বরং এখন লোকজনের বিয়ে করতে ২৫-৩০ বছর হয়ে যাচ্ছে, কারো কারো আরো বেশি হচ্ছে। অথচ স্বাভাবিকভাবে লোকে যৌনতায় সক্ষম হয় ১২-১৫ বছর বয়সে। কিন্তু এই যে ১৫ বছরের মত এত লম্বা সময় সে যৌনতায় সক্ষম হয়েও বিয়েবহির্ভূত যৌনতায় লিপ্ত হচ্ছেনা, এটাও একটা ব্যক্তিগত জিহাদ। আবার অনেকে আছেন যাদের যৌনক্ষুধা অস্বাভাবিকরকম বেশি, তারা যে কোন সময় যে কোন মেয়ে দেখলে নিজেদেরকে আটকে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। উল্লেখ্য এটা বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত যে এরকম অসম্ভব যৌনক্ষুধাযুক্ত মানুষও আছে। এরকম লোকের জন্য সারাজীবনটাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা একটা জিহাদ, কেননা বিয়ের সীমার মধ্যে যৌনক্ষুধা মিটানো তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ দাবি করতে পারে সে পশুকামিতায় আগ্রহী, শরীয়ত এরকম আগ্রহকেও অস্বীকার করেনা। কিন্তু শরীয়ত বলে তার জন্য ব্যক্তিগত জিহাদ হচ্ছে সেরকম অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকা। কারো কারো শিশুকামিতার প্রতি আগ্রহ থাকতে পারে, তার জন্যও একই হুকুম। কেউ কেউ ক্লেপটম্যানিয়াক হয়, মানে তার থাকে অসম্ভব রকমের চুরির প্রতি আসক্তি, কোন জিনিস তার দরকার না হলেও সে চুরি করে শান্তি পায়, আনন্দ পায়। তাদের জন্য চুরি থেকে বিরত থাকা অসম্ভব কষ্টের ব্যাপার, কিন্তু শরীয়ত বলে সেটা তার জন্য ব্যক্তিগত স্ট্রাগল। এসব স্ট্রাগলের জন্য সবাই যদি অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকে, তবে তাদেরকে আল্লাহ পুরষ্কৃত করবেন। সমকামি অনুভূতি একই রকম একটা স্ট্রাগল।

তাছাড়া আল্লাহ আদতে সবাইকে কোন না কোন স্ট্রাগল বা পরীক্ষার মধ্যে রাখেন, একেক জনের পরীক্ষা একেক রকম, সবার জন্য সবার পরীক্ষা অনেক বড় ব্যাপার। যেমন কাউকে আল্লাহ গরীব ঘরে জন্ম দেন, এজন্য সে অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে সে সারাজীবন বন্ঞিত থাকে, এই অবস্থায় সে কি করছে সেটাই তার পরীক্ষা। কাউকে ধনী ঘরে জন্ম দিয়েও পরীক্ষায় ফেলেন, সে তার ধনসম্পত্তি নিয়ে কিরকম আচরন করছে সেটা তার পরীক্ষা। কাউকে অন্ধ করে দুনিয়ায় পাঠান, কাউকে বধির করে। কাউকে সুন্দর বানিয়ে, কাউকে কিছুটা অসুন্দর বানিয়ে। কাউকে লম্বা করে, কাউকে শর্ট করে। কাউকে বেশি মেধা দেন, কাউকে কম। সবার জন্য সব হালতই পরীক্ষা, সে সে হালতে তার উপর যেসব হুকুম সেসব পালন করছে কিনা সেটাই পরীক্ষা। আখিরাতে আল্লাহ সবার সব হিসেবের মীমাংশা করবেন। দুনিয়ায় যার পরীক্ষা যত কঠিন ছিল, তার হিসেব তত সহজ আখিরাতে। যেহেতু আখিরাতই আসল জিন্দেগি, দুনিয়া খুবই সাময়িক, তাই আখিরাতের জিন্দেগীতে পরীক্ষা সহজ হওয়াটাই শরীয়তের দৃষ্টিতে বেশি আবেদনময়।

০৩.
এখানে শরীয়তের যে বিষয়য়টা আমাকে মুগ্ধ করেছে সেটা হল শরীয়ত সমকামি অনুভূতিকে ক্রিমিনালাইজ করেনি, সমকামি যৌনতাকে পাপ মনে করে শুধু। অথচ শরীয়তের এ পজিশান কিন্তু হাজার বছর আগের, যখন কেউ বলতনা যে সমকামিতা কারো কারো মধ্যে স্বাভাবিক হতে পারে। তখন স্কলারদের উপর পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের কোন চাপ ছিল না, আধুনিক হওয়ার কোন ইচ্ছা তাদের ছিল না। তারা ইসলামের ভিতরে থেকেই, ইসলামের সোর্স ব্যবহার করেই কিন্তু হাজার বছর আগে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে কারো কারো মধ্যে সমকামি অনুভূতি থাকতে পারে, এবং এ অনুভূতির জন্য কোন পাপ বা অপরাধ নেই। শরীয়ত মতে বিয়ে শুধু পুরুষ এবং নারীর মধ্যে, আর বিয়ে-বহির্ভূত যৌন-সম্পর্ক পাপ। যেহেতু পুরুষে পুরুষে বা নারীতে নারীতে বিয়ে হতে পারেনা, তাই সমকামি যৌনতা বিয়েবহির্ভুত যৌনতার পাপে দোষী। আর সেজন্যই সেটা অবৈধ। মূলত যে নৈতিক কারনে সমস্ত বিয়ে-বহির্ভূত যৌনতা অনৈতিক, সে একই কারনে সমকামি যৌনতাও অনৈতিক।

০৪.
সমকামিতা বিষয়ে জোরজবরদস্তিমূলক নীতি আমাগ মত বাংলাদেশেও সামনে চাপিয়ে দিবে সাম্রাজ্যবাদীরা। তাই এ বিষয়ে মুসলমানদের তাদের দ্বীনকে ভালমতে জানতে হবে। সমকামিতা বিষয়ক পশ্চিমাদের সাম্প্রতিক আগ্রহ, এছাড়াও নারীবাদ, সেক্যুলারিজম সবকিছুই মূলত সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থরক্ষার মাধ্যম। শিকাগোর পলিটিকাল সায়েন্সের অধ্যাপক জন মিয়ারশাইমারের মতে পশ্চিমা সব মতবাদই মূলত সাম্রাজ্যবাদের আসল উদ্দেশ্যকে আড়াল করে আমগ মত দেশের ভোদাই সেক্যুলার শিক্ষিতদেরকে গেলানোই উদ্দেশ্য। যেমন আফগানিস্তানে/ইরাকে আক্রমণের প্রত্যক্ষ চিয়ারলিডার ছিল পশ্চিমা নারীবাদিরা। আমাদের সেক্যুলার শিক্ষিত জনগন পুরাই ভোদাই, অথবা দালালির জন্য এক পায়ে খাড়ায়া আছে, তাই ভোদাই শিক্ষিতদেরকে দিয়ে নতুন নতুন মতাদর্শের বয়ান হাজির করে সাম্রাজ্যবাদীদের উদ্দেশ্য হাসিল করা সহজই বটে। আল্লাহ যেন আমাদের সমস্ত ফিৎনা থেকে রক্ষা করেন

সংক্ষিপ্ত রেফারেন্স: 1. https://www.youtube.com/watch?v=ECTD0d0W5ug
সংক্ষিপ্ত রেফারেন্স: 2. https://www.youtube.com/watch?v=5idZNhc-iqc
ডিটেল রেফারেন্স: https://www.youtube.com/watch?v=iaW66-ZWD9k

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দাশী-বাঁদিদের যৌনখুধা মিটানো যেহাদ?

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:১৭

নরাধম বলেছেন: অপ্রাসংগিক মন্তব্য করবেন না। এ পোস্ট সমকামিতা নিয়ে।

আমার আগের এক পোস্টে আপনার মন্তব্য ছিল, "মানবজাতির আবির্ভাব ২ থেকে আড়াই কোটি বছর আগে।
বড় ধর্মগুলো এসেছে বিচ্ছিন্ন ভাবে মাত্র ৬ হাজার বছর আগে।

সে হিসেবে মানবজাতি ৯৯% সময়কাল ধর্মহীন ছিল।"

এ ধরনের ছাগলামি মার্কা কথা কোথাই পাইছেন সেটা আপনার করা কমেন্টের জবাবে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কিন্তু আপনি সেটার আর জবাবের ধারে কাছেও যান নি।

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: সুন্দর উপস্হাপন

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০৫

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৫৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: বোকাচুদা কথা বলা মনে হয় আপনার অভ্যেস! বোকাচুদা কথা বলা মনে হয় আপনার অভ্যেস! এধরণের রুচিহীন ভাষার অনুমমোদন করা হয় কিভাবে?

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:১৭

নরাধম বলেছেন: কথাটা আমার বলা উচিৎ হয়নি, তবে বেকুব মানুষ যখন নে জেনে জ্ঞানীর ভাব করে, তখন বিরক্ত লাগে, সে বিরক্তি থেকে বলা।
তবে আপনাকে ধন্যবাদ আপনি আপত্তি জানিয়েছেন, আমি কমেন্ট এডিট করেছি।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:০০

টুকী_ঝা বলেছেন: প্রথমেই বলে রাখি, 'ইসলাম কি বলে' তা জানতেই লেখাটিতে উঁকি দিচ্ছিলাম। প্রথম তিন প্যারাগ্রাফ হতাশ করলো, দাবীর বিপরীতে কোন সূত্রের উল্লেখ না থাকায়! দাবীগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে কোন উপায় নেই :(
এ অবস্থায় দ্বিমত এতটুকুই যে, "অসম্ভব যৌনক্ষুধাযুক্ত" একজন মানুষ যদি তার 'পর্যায়ের' কোন সঙ্গীকে খুঁজে নেন তবে তাকে ঐ "ব্যক্তিগত জিহাদ"র মধ্যে দিয়ে বোধহয় যেতে হয় না :) । তবে একজন সমপ্রেমী মানুষের জন্যে বিষমপ্রেমী হবার ব্যক্তিগত জিহাদটি ততটাই অমানবিক হবে- যতটা হবে, একজন বিষমপ্রেমী মানুষের সমপ্রেমী হওয়ার ক্ষেত্রে।( কৌমার্যে বাধকতা চাপালে, সেটার নিদারূন কষ্টকর দিকটি একজন বিষমপ্রেমী মানুষেরও বুঝে আসবে)

আর শেষ প্যারাগ্রাফটি বারবার পড়েও তার বক্তব্যটি ঠিক মাথায় সেধোঁচ্ছে না। একই লিঙ্গের দু'জন মানুষ যদি তাদের জীবন, চিন্তাভাবনা, ভালোবাসা পরষ্পর ভাগাভাগি করতে উৎসাহী হন তবে কি করে সাম্রাজ্যবাদীরা উপকৃত হন? একই দ্বন্দ্বে ফেলছে, নারীবাদ এবং সেক্যুলারিজমের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গী।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৩৭

নরাধম বলেছেন: সুত্র যোগ করেছি।

_______________________________________________________________________________
"এ অবস্থায় দ্বিমত এতটুকুই যে, "অসম্ভব যৌনক্ষুধাযুক্ত" একজন মানুষ যদি তার 'পর্যায়ের' কোন সঙ্গীকে খুঁজে নেন তবে তাকে ঐ "ব্যক্তিগত জিহাদ"র মধ্যে দিয়ে বোধহয় যেতে হয় না :) । তবে একজন সমপ্রেমী মানুষের জন্যে বিষমপ্রেমী হবার ব্যক্তিগত জিহাদটি ততটাই অমানবিক হবে- যতটা হবে, একজন বিষমপ্রেমী মানুষের সমপ্রেমী হওয়ার ক্ষেত্রে।( কৌমার্যে বাধকতা চাপালে, সেটার নিদারূন কষ্টকর দিকটি একজন বিষমপ্রেমী মানুষেরও বুঝে আসবে)" ----------
_______________________________________________________________________________

----এটা অসম্ভব না যে একজন সমকামির জিহাদ একজম সাধারণ মানুষের জিহাদের চেয়ে বেশি কষ্টের হবে, যদিও সেটা নাও হতে পারে। আবার একজন বধির/অন্ধের সংগ্রাম একজন সমকামির চেয়েও অনেক কষ্টের হতে পারে। একেকজন মানুষের জিহাদ একেকরকম, অনেকে খুব কম কষ্ট দিয়েই সারা জীবন পার করে ফেলে, অনেকে সারা জীবন কষ্ট পায়। মুহাম্মদ (সাঃ)-র সাত সন্তানের মধ্যে ছয় সন্তান তাঁর বেচে থাকতেই মারা যান, সেটা কি পরিমান কষ্টের কল্পনা করা যায়? একজন সন্তান মারা গেলে আমি মা-বাবাকে পাগলের মত হয়ে যেতে দেখেছি, আর এখানে ছয় সন্তানকে কবরে নামিয়ে দেওয়ার যন্ত্রনা কত বেশি! অথচ তিনি আল্লাহর হাবীব!

ইসলামে এই দুনিয়াতেই এবসলিউট সাম্যতার কথা বলেনা, দুনিয়া এবং আখেরাত দুটা মিলেই এবসলিউট জাস্টিসের ওয়াদা করে।


______________________________________________________________________________
"আর শেষ প্যারাগ্রাফটি বারবার পড়েও তার বক্তব্যটি ঠিক মাথায় সেধোঁচ্ছে না। একই লিঙ্গের দু'জন মানুষ যদি তাদের জীবন, চিন্তাভাবনা, ভালোবাসা পরষ্পর ভাগাভাগি করতে উৎসাহী হন তবে কি করে সাম্রাজ্যবাদীরা উপকৃত হন? একই দ্বন্দ্বে ফেলছে, নারীবাদ এবং সেক্যুলারিজমের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গী।" ---------
______________________________________________________________________________

সকল সাম্রাজ্যবাদীি আগ্রাসনের জাস্টিফিকেশানের বড় অংশ হচ্ছে, "তোমরা বর্বর, তোমরা মধ্যযুগে পড়ে আছ, তোমাদের নৈতিকতা পশ্চাদপদ" সেজন্য আমরা তোমাদেরকে সভ্য করার চেষ্টা নিয়ে তোমাদেরকে আক্রমণ করব!

৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগে ক্যাচাল এখন আর তেমন জমে না, শুরুতে ব্লগারগণ ব্লগিং নিয়ে বেশী উৎসাহিত হয়ে ক্যাচাল লাগিয়ে দিতো; আপনি এখনো সেখানে রয়ে গেছেন।

এখন নতুন জেনারেশন, এঁদের ভাবনাচিন্তা সমসাময়িক বিষয়ের উপর।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:১৫

নরাধম বলেছেন: সমকামিতার চেয়ে সমসাময়িক বিষয় খুব কম আছে।

৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার জানা মতে, ব্লগে সবার চেয়ে আমার বয়স বেশী; কিন্তু আমি সমসাময়িক ভাবনা, ও সমসাময়িক বিষয়ের প্রবক্তা; আপনি পুরানো দিনের অশিক্ষিতদের মুখপাত্র।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:১৬

নরাধম বলেছেন: যে মনে করে "সমকামিতার নৈতিকতা" সমসাময়িক না, সে ছাগলের থেকে বেশি বুদ্ধি ধারণ করে না। দুনিয়ায় এখন সমকামিতার নৈতিকতার মত সমসাময়িক বিষয় খুব কমই আছে। দুনিয়ায় এখন ইসলামের চেয়ে প্রাসংগিক এবং সমসাময়িক বিষয়ও খুব কম আছে।

তাছাড়া সমসাময়িক বিষয় নিয়েই লিখতে হবে সেরকম কোন কথা নাই। আপনার কাছে সমসাময়িক বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, মানে আপনি মূলত অন্যলোকেরা এই মূহুর্ত্যে যেটা ফ্যাশানেবাল মনে করে সেটা নিয়ে লিখেন। নিজের স্বাধীন চিন্তার ক্ষমতা কম থাকলে মানুষ এরকম অন্যের ঠিক করে দেওয়ার বিষয় নিয়ে লিখেন, চিন্তা করেন। কাল আবার অন্য একটা বিষয় সমসাময়িক হবে, আপনি তখন সেটা নিয়ে পড়ে থাকবেন, পরশু আরেকটা হবে, আপনি তখন সেটাতে লাফ দিবেন। এরকম মানসিকতা যাদের মেধা কম, দুরদৃষ্টিসম্পন্ন না, তারাই ধারণ করে।

আর অশিক্ষিতদের মুখপাত্র হওয়াটাকে আমি গৌরবের মনে করি।

৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৫১

নরাধম বলেছেন: জাহাঙ্গীর কবির নয়ন, আপনি যদি আবার স্প্যামিং করেন আমার ব্লগে অশ্লীল ভিডিও পোস্ট করে, তাহলে আপনাকে আমি আমার ব্লগে ব্যান করব। এটা শেষ ওয়ার্নিং।

৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৫৭

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ইয়াসির কাযি, হামযা ইউসুফ এদের লেকচার শুনা হয়? হামযা ইউসুফ আমার খুব প্রিয় স্কলার। :)

০২ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:০৯

নরাধম বলেছেন: হ, এদের লেকচার শুনে শুনেই তো সময় কাটে!

৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মানবজাতির আবির্ভাব ২ থেকে আড়াই কোটি বছর আগে।
এটাই সত্য। কারন আদিমানবের সবচেয়ে প্রাচীন ফসিল পাওয়া গেছে দেড়কোটি বছর আগের। তবে এটিই সবচেয়ে প্রাচীন বলা যায় না। সাম্ভাব্য আবির্ভাব ২ কোটির বেশী।
ডাইনোসর জাতিয় প্রাণী তার ১২ কোটি বছর আগেই বিলুপ্ত হয়েছিল।

বড় ধর্মগুলো এসেছে বিচ্ছিন্ন ভাবে মাত্র ৬ হাজার বছর আগে। এটাই সত্য। কারন আদম আ: কোন ধর্মগ্রন্থ সাথে করে আনে নি। তার আমলে কোন ধর্মগ্রন্থ নাজেলও হয়নি
এটা নিশ্চিত। বড় ধর্ম বলতে আব্রাহামিক ধর্ম বুঝাচ্ছি। ইসলাম এসেছে মাত্র সেদিন। দেড়হাজার বছর আগে।

সে হিসেবে মানবজাতি ৯৯% সময়কাল ধর্মহীন ছিল।"
এটাই সত্য।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

নরাধম বলেছেন: এটাই সত্য এটাই সত্য বলে চেঁচিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠা করা যায় না। রেফারেন্স দেন। সাধারণ গুগল সার্চ করে পাইলাম, "So far, the earliest finds of modern Homo sapiens skeletons come from Africa. They date to nearly 200,000 years ago on that continent."

আপনার সোর্স কি? ২ লক্ষকে ভুলে ২ কোটি বলছেন না তো?

বড় ধর্মগুলো এসেছে মাত্র ৬ হাজার বছর আগে, এরকম দাবির সোর্স কি? বাইবল? বাইবলের সোর্স আমার বিশ্বাস করার কোন কারন নেই।

আদম (আঃ)-এর কাছে ওহী আসত, তাই ইসলাম মতে তিনি প্রথম নবী, তাঁর ধর্ম ইসলাম। ইসলামের বয়স মানবজাতির শুরু থেকে, সে অনুসারের ইসলামিক বিলিফকে মানদন্ড ধরলে আদম (আঃ)-এর আবির্ভাব ৪০-৫০ হাজার বছর আগে থেকে ৩ লাখ বছর আগে পর্যন্ত হতে পারে। ইসলামও সমবয়সী।

ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়েছে ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে, ১২ কোটি না। এটা অবশ্য আমার প্রশ্ন আর পোস্টের সাথে প্রাসংগিক না। তাই ডাইনোসর নিয়ে কথা বলার ইচ্ছে নেই।

আপনি বরং নিচের দুটা পয়েন্টের রেফারেন্স দেন:
১। মানবজাতির আবির্ভাব ২ থেকে আড়াই কোটি বছর আগে।
২। বড় ধর্মগুলো এসেছে বিচ্ছিন্ন ভাবে মাত্র ৬ হাজার বছর আগে।

রেফারেন্স না পেলে ভুল স্বীকার করবেন আশা করি।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫০

নরাধম বলেছেন: উল্লেখ্য ইসলামের মানদন্ড অনুসারে আদম (আঃ)-এর আগমন ৩ লক্ষ বছরের আরো অনেক আগেও হতে পারে, ৩ কোটি বছর হওয়াও অসম্ভব না। তবে ইয়াসির ক্বাদির লেকচারে শুনেছিলাম ৪০-৫০ হাজার বছর আগে হবে। হাদিসকে বেইস ধরলে ৩ লাখ বছর আগে পর্যন্ত হতে পারে। এ ব্যাপারে ইসলামে হার্ড-এন্ড-ফাস্ট কোন ফিগারে আসা সম্ভব না।

১০| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সমকামীতা হারাম।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০২

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আদিমানবের (Ardipithecus ramidus) সবচেয়ে প্রাচীন ফসিল পাওয়া গেছে দু লাখ নয় ৪৪ লাখ বছর আগের।
তাই বলে তখনই মানুষ আবির্ভাব হয়েছে ভাবলে ভুল হবে। যাষ্ট হাড্ডি টা পাওয়া গেছে।
অনেক বিজ্ঞানির ধারনা মানুষ জাতীয় প্রানীর সাম্ভাব্য আবির্ভাব ২ কোটি বছরের মত বা কাছাকাছি, বিবর্তনের মাধ্যমে ধিরে ধিরে হোমোস্যাপিয়েন্সের রুপ নিয়েছে।

আপনার হিসেবে মানুষ দুলাখ বছর আগে আসলেও মানুষ ৯৭% সময়কাল ধর্মবিহীন ছিল। আমার মুল বক্ত্যব্যের খুব একটা হেরফের হয় না।
বড় ধর্মগুলো এসেছে বিচ্ছিন্ন ভাবে মাত্র ৬ হাজার বছর আগে। এটা আদী বাইবেল ওল্ড টেষ্টামেন্ট এর কথা।
কোরানের আয়াতগুলো আদী বাইবেল ও যাত্রাপুস্তক সমর্থন করে।

কারন আদম আ: কোন ধর্মগ্রন্থ সাথে করে আনে নি। তার আমলে কোন ধর্মগ্রন্থ নাজেলও হয়নি।
আদমকে কোন এবাদত করতে বলা হয় নি বরং সকল ফেরেস্তাকে আদম কে সেজদা করতে বলা হয়েছিল।
এ নিয়ে অযথা তর্ক করে লাভ নেই। এটাই বাস্তব সত্য।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

নরাধম বলেছেন: হাহাহা, আপনি দেখি পুরাই ঘুরে গেছেন, ২ কোটি থেকে ৩ লাখে চলে আসছেন! এই আপনার জ্ঞান মশাই! ফসিল পাওয়া গেছে ৩ লাখ বছর আগের, বিজ্ঞানীরা আমার ধারণামতে একমত যে হোমো সেপিয়েনস-এর আবির্ভাব ২-৩ লাখ বছর আগে। এটাকে বেনেফিট অফ ডাউট দিলে ৩ লাখের বদলে ৫ লাখ বছরে যাওয়া যায়, বা বড় বেশি হলে ১০ লাখ। আপনি নিয়ে গেছেন ২ কোটিতে! তারপর এখন ধরা খেয়ে আবুলতাবুল বকছেন।


"বড় ধর্মগুলো এসেছে বিচ্ছিন্ন ভাবে মাত্র ৬ হাজার বছর আগে। এটা আদী বাইবেল ওল্ড টেষ্টামেন্ট এর কথা।"

এইটা ওল্ড টেস্টামেন্টে কোথায় লেখা আছে? সূত্র দিতে পারবেন? পারবেন না, কেননা ওল্ড টেস্টামেন্টে আসলে সরাসরি এরকম কোন কথা নাই। থাকলেও সেটা বাইবলের কথা, কোরানের না। আমার সেটাকে নেওয়ার কোন কারন নেই।

"কোরানের আয়াতগুলো আদী বাইবেল ও যাত্রাপুস্তক সমর্থন করে।" কোরানের আয়াত আর বাইবলের অনেক সামন্জস্য আছে আবার অনেক বৈষম্যও আছে। বাইবল যেহেতু মানুষ দ্বারা পরিবর্তিত-পরিবর্ধিত হয়েছে, তাই মুসলমান হিসেবে সেটাকে অত সিরিয়াসলি নেওয়ার কোন প্রয়োজন আমার নেই। হাদিস মতে মানব সমাজে বিভিন্ন সময়ে ১/২ লাখ ২৪ হাজার নবী/রাসুল এসেছেন। প্রত্যেকজনকে গড়ে একবছর সময় দিলেও আদম (আঃ)-এর আগমন২ লাখ বছরের কাছাকাছি। আর যদি অনেক নবী একসাথে একই সময়ে আসে বিভিন্ন গোত্রের কাছে, সেক্ষেত্রে সময়টা কম হবে, তবুও ৩০-৪০ হাজার বছরের কম হওয়ার কথা না। তাই আপনার মন্তব্য ভুল এখানেও। নিজের মতামত কোরান/হাদিসের উপর চাপায়ে দিলে তো হবে না। সেটার সোর্স দিতে হবে। আপনি সেটা দিতে পারছেন না।

"কারন আদম আ: কোন ধর্মগ্রন্থ সাথে করে আনে নি। তার আমলে কোন ধর্মগ্রন্থ নাজেলও হয়নি।" এটা আপনার বুঝার ভুল। আদম (আঃ)-র কাছে ওহী নাজিল হইছিল, সেটা কোরানেই আছে। “Then Adam received words (of revelation) from his Lord, and He turned in forgiveness towards him; surely He is the Relenting, the Compassionate.” (Chapter 2, Verse 37)। আদম (আঃ) প্রথম নবী।



"আদমকে কোন এবাদত করতে বলা হয় নি বরং সকল ফেরেস্তাকে আদম কে সেজদা করতে বলা হয়েছিল।
এ নিয়ে অযথা তর্ক করে লাভ নেই। এটাই বাস্তব সত্য।"

আদম (আঃ)-কে কোন এবাদত করতে বলা হয়নি সেটা কোথায় আছে? আন্দাজে ঢিল ছুড়তেছেন দেখি সব। আদম (আঃ) যখন দুনিয়ায় আসে তাঁকে অবশ্যই এবাদত করতে বলা হয়েছে, সেটার ধরণ কি সেটা হয়ত আমাদের কাছে স্পষ্ট না।

আপনার জ্ঞানের বহর দেখে আর তর্ক করার ইচ্ছে নেই। আলতু ফালতু বকেই যাচ্ছেন, কোন সোর্স দিতে পারছেন না। ২ কোটি আর ২ লাখের পার্থক্য জানেন না। আপনার সাথে কথা চালাতে গেলে আপনার আরো অনেক বেইজ্জতি হবে, যেহেতু কিছুই জানেননা তাই খালি ধরা খাবেন সক কথাতেই। আপনাকে আর অপমান করার ইচ্ছে নেই, তাই ছেড়ে দিলাম, তর্কে গেলাম না আর।

নাস্তিকদের অবস্থা দেখে ইদানিং করুনা হয়, কি অবস্থা জ্ঞানের। সাধারণ বিষয়ও জানেনা। আবার তর্ক করতে আসে, ভুল করে সেটা নিয়েই পড়ে থাকে। খুবই দুঃখজনক।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

নরাধম বলেছেন: তবে আপনি নিজের অজ্ঞতা আরো প্রকাশ করতে চাইলে তর্ক চালিয়ে যেতে পারেন। আমার সমস্যা নেই। আমি মাস্টার মানুষ, গাধা পিঠিয়ে মানুষ করাই আমার পেশা। অথবা সময় নিয়ে কিছু লেখাপড়া করতে পারেন, তারপর আমি পরীক্ষা নিব আপনার।

১২| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: নিজের পোস্ট নিজে নিজে পড়তে দারুণ মজা!!

তাই না মেয়াবাই????

০২ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

নরাধম বলেছেন: আপনি জানেন নিশ্চয়ই,, তাই আপনার কথা বিশ্বাস করছি।

১৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার পরো অনেকে দেখতে পায় না!!

এটাকে কি বলবো চোখের দোষ নাকি....?????

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২৫

নরাধম বলেছেন: বলা যায় তো মনে হয়, তাই না?

১৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৮

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: ভালই বলছেন। হারাম তো হারাম।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সমকামিতার মতো বিষয়ে ইসলামের নামে আলাপ করলেন অথজ লুত আ: এর বিষয়ে পুরাই উহ্য!

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ملعونٌ منْ عَمِلَ عَمَلَ قومِ لوط অভিশপ্ত ঐ ব্যক্তি, যে লূতের কওমের মত কুকর্ম করে।অন্যত্র তিনি বলেন, لاينظرُ اللهُ عزَّ وجلَّ إِلى رجلٍ أتى رجُلاً أو امرأةً فى دُبرها আল্লাহ তা‘আলা ঐ ব্যক্তির প্রতি ফিরে তাকাবেন না, যে ব্যক্তি কোন পুরুষ বা নারীর মলদ্বারে মৈথুন করে’। তিনি বলেন, إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَى أُمَّتِى عَمَلُ قَوْمِ لُوطٍ আমি আমার উম্মতের জন্য সবচেয়ে (ক্ষতিকর হিসাবে) ভয় পাই লূত জাতির কুকর্মের’।

সমকামিতা নিয়ে কোরআনে প্রকাশ্যে এটাকে হারাম, এবঙ শাস্তিযোগ্য বলেছে। এবং এ কাজ থৈকে ষংশোধিত না হোয়ায় সাদুম জাতিকে সমূহে আসমানী হজবে ধ্ভংস করে দেয়া হয়েছৈ।

লূত (আঃ)-এর দাওয়াত :
লূত (আঃ)-এর কওম আল্লাহর ইবাদত ছেড়ে শিরক ও কুফরীতে লিপ্ত হয়েছিল। দুনিয়াবী উন্নতির চরম শিখরে উন্নীত হওয়ার কারণে তারা সীমা লঙ্ঘনকারী জাতিতে পরিণত হয়েছিল। পূর্বেকার ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিগুলির ন্যায় তারা চূড়ান্ত বিলাস-ব্যসনে গা ভাসিয়ে দিয়েছিল। অন্যায়-অনাচার ও নানাবিধ দুষ্কর্ম তাদের মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি পুংমৈথুন বা সমকামিতার মত নোংরামিতে তারা লিপ্ত হয়েছিল, যা ইতিপূর্বেকার কোন জাতির মধ্যে পরিদৃষ্ট হয়নি। জন্তু-জানোয়ারের চেয়ে নিকৃষ্ট ও হঠকারী এই কওমের হেদায়াতের জন্য আল্লাহ লূত (আঃ)-কে প্রেরণ করলেন। কুরআনে লূতকে ‘তাদের ভাই’ (শো‘আরা ২৬/১৬১)বলা হ’লেও তিনি ছিলেন সেখানে মুহাজির। নবী ও উম্মতের সম্পর্কের কারণে তাঁকে ‘তাদের ভাই’ বলা হয়েছে। তিনি এসে পূর্বেকার নবীগণের ন্যায় প্রথমে তাদেরকে তাওহীদের দাওয়াত দিয়ে বললেন,

إِنِّيْ لَكُمْ رَسُوْلٌ أَمِيْنٌ، فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيْعُوْنِ، وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلاَّ عَلَى رَبِّ الْعَالَمِيْنَ، (الشعراء ১৬২-১৬৪)-
‘আমি তোমাদের জন্য বিশ্বস্ত রাসূল। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। আমি এর জন্য তোমাদের নিকটে কোনরূপ প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্বপ্রভু আল্লাহ দিবেন’(শো‘আরা ২৬/১৬২-১৬৫)। অতঃপর তিনি তাদের বদভ্যাসের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন, أَتَأْتُوْنَ الذُّكْرَانَ مِنَ الْعَالَمِيْنَ- ‘বিশ্ববাসীর মধ্যে কেন তোমরাই কেবল পুরুষদের নিকটে (কুকর্মের উদ্দেশ্যে- আ‘রাফ ৭/৮১) এসে থাক’? ‘আর তোমাদের স্ত্রীগণকে বর্জন কর, যাদেরকে তোমাদের জন্য তোমাদের পালনকর্তা সৃষ্টি করেছেন? নিঃসন্দেহে তোমরা সীমা লঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়’ (শো‘আরা ২৬/১৬৫-১৬৬)। জবাবে কওমের নেতারা বলল,
لَئِن لَّمْ تَنتَهِ يَا لُوْطُ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْمُخْرَجِيْنَ، قَالَ إِنِّيْ لِعَمَلِكُم مِّنَ الْقَالِيْنَ- (الشعراء ১৬৭-১৬৮)-
‘হে লূত! যদি তুমি (এসব কথাবার্তা থেকে) বিরত না হও, তাহ’লে তুমি অবশ্যই বহিষ্কৃত হবে’। তিনি বললেন, ‘আমি তোমাদের এইসব কাজকে ঘৃণা করি’ (শো‘আরা ২৬/১৬৭-১৬৮)। তিনি তাদের তিনটি প্রধান নোংরামির কথা উল্লেখ করে বলেন,
وَلُوْطاً إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ إِنَّكُمْ لَتَأْتُوْنَ الْفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُمْ بِهَا مِنْ أَحَدٍ مِّنَ الْعَالَمِينَ، أَئِنَّكُمْ لَتَأْتُوْنَ الرِّجَالَ وَتَقْطَعُوْنَ السَّبِيْلَ وَتَأْتُوْنَ فِيْ نَادِيْكُمُ الْمُنْكَرَ فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلاَّ أَنْ قَالُوا ائْتِنَا بِعَذَابِ اللَّهِ إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِيْنَ، قَالَ رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِيْنَ- (العنكبوت ২৮-৩০)-
‘তোমরা এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে পৃথিবীর কেউ কখনো করেনি’। ‘তোমরা কি পুংমৈথুনে লিপ্ত আছ, রাহাজানি করছ এবং নিজেদের মজলিসে প্রকাশ্যে গর্হিত কর্ম করছ’? জবাবে তাঁর সম্প্রদায় কেবল একথা বলল যে, আমাদের উপরে আল্লাহর গযব নিয়ে এসো, যদি তুমি সত্যবাদী হও’। তিনি তখন বললেন, ‘হে আমার পালনকর্তা! এই দুষ্কৃতিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তুমি আমাকে সাহায্য কর’ (আনকাবূত২৯/২৮-৩০; আ‘রাফ ৭/৮০)।
লূত (আঃ)-এর দাওয়াতের ফলশ্রুতি :
নিজ কওমের প্রতি হযরত লূত (আঃ)-এর দাওয়াতের ফলশ্রুতি মর্মান্তিক রূপে প্রতিভাত হয়। তারা এতই হঠকারী ও নিজেদের পাপকর্মে অন্ধ ও নির্লজ্জ ছিল যে, তাদের কেবল একটাই জবাব ছিল, তুমি যে গযবের ভয় দেখাচ্ছ, তা নিয়ে আস দেখি? কিন্তু কোন নবীই স্বীয় কওমের ধ্বংস চান না। তাই তিনি ছবর করেন ও তাদেরকে বারবার উপদেশ দিতে থাকেন। তখন তারা অধৈর্য হয়ে বলে যে,أَخْرِجُوْهُم مِّنْ قَرْيَتِكُمْ إِنَّهُمْ أُنَاسٌ يَّتَطَهَّرُوْنَ- ‘এদেরকে তোমাদের শহর থেকে বের করে দাও। এই লোকগুলি সর্বদা পবিত্র থাকতে চায়’ (আ‘রাফ ৭/৮২;নমল ২৭/৫৬)। তারা আল্লাহভীতি থেকে বেপরওয়া হয়ে অসংখ্য পাপকর্মে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। কুরআন তাদের তিনটি প্রধান পাপ কর্মের উল্লেখ করেছে। (১) পুংমৈথুন (২) রাহাজানি এবং (৩) প্রকাশ্য মজলিসে কুকর্ম করা (আনকাবূত ২৯/২৯)।
বলা বাহুল্য, সাদূমবাসীদের পূর্বে পৃথিবীতে কখনো এরূপ কুকর্ম কেউ করেছে বলে শোনা যায়নি। এমনকি অতি বড় মন্দ ও নোংরা লোকদের মধ্যেও কখনো এরূপ নিকৃষ্টতম চিন্তার উদ্রেক হয়নি। উমাইয়া খলীফা অলীদ ইবনে আবদুল মালেক (৮৬-৯৭/৭০৫-৭১৬ খৃঃ) বলেন, কুরআনে লূত (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের ঘটনা উল্লেখ না থাকলে আমি কল্পনাও করতে পারতাম না যে, কোন মানুষ এরূপ নোংরা কাজ করতে পারে’।তাদের এই দুষ্কর্মের বিষয়টি দু’টি কারণে ছিল তুলনাহীন। এক- এ কুকর্মের কোন পূর্ব দৃষ্টান্ত ছিল না এবং একাজ সম্পূর্ণ নতুনভাবে তারা চালু করেছিল। দুই- এ কুকর্ম তারা প্রকাশ্য মজলিসে করত, যা ছিল বেহায়াপনার চূড়ান্ত রূপ।
বস্ত্ততঃ মানুষ যখন দেখে যে, সে কারু মুখাপেক্ষী নয়, তখন সে বেপরওয়া হয়’ (আলাক্ব ৯৬/৬-৭)। সাদূমবাসীদের জন্য আল্লাহ স্বীয় নে‘মত সমূহের দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা তার শুকরিয়া আদায় না করে কুফরী করে এবং ধনৈশ্বর্যের নেশায় মত্ত হয়ে বিলাস-ব্যসন, কাম-প্রবৃত্তি ও লোভ-লালসার জালে এমনভাবে আবদ্ধ হয়ে পড়ে যে, লজ্জা-শরম ও ভাল-মন্দের স্বভাবজাত পার্থক্যবোধটুকুও তারা হারিয়ে ফেলে। তারা এমন প্রকৃতি বিরুদ্ধ নির্লজ্জ কাজে লিপ্ত হয়, যা হারাম ও কবীরা গোনাহ তো বটেই, কুকুর-শূকরের মত নিকৃষ্ট জন্তু-জানোয়ারও এর নিকটবর্তী হয় না। তারা এমন বদ্ধ নেশায় মত্ত হয় যে, লূত (আঃ)-এর উপদেশবাণী ও আল্লাহর গযবের ভীতি প্রদর্শন তাদের হৃদয়ে কোন রেখাপাত করেনি। উল্টা তারা তাদের নবীকেই শহর থেকে বের করে দেবার হুমকি দেয় এবং বলে যে, ‘তোমার প্রতিশ্রুত আযাব এনে দেখাও, যদি তুমি সত্যবাদী হও’ (&আনকাবূত ২৯/২৯)। তখন লূত (আঃ) বিফল মনোরথ হয়ে আল্লাহর সাহায্য কামনা করলেন। ফলে যথারীতি গযব নেমে এল। উল্লেখ্য যে, বর্তমান বিশ্বে মহামারী আকারে যে মরণ ব্যাধি এইড্সের বিস্তৃতি ঘটেছে, তার মূল কারণ হ’ল পুংমৈথুন, পায়ু মৈথুন ও সমকামিতা। ইসলামী শরী‘আতে এই কুকর্মের একমাত্র শাস্তি হ’ল উভয়ের মৃত্যুদন্ড (যদি উভয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে একাজ করে)।

খূবই স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ সিদ্ধান্ত যাতে কোন রাখডাক, ঘোরপ‌্যাচ নেই।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

নরাধম বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.