নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানত যদি হাসন রাজা বাঁচব কতদিন..

Miles to go before I sleep.....

নরাধম

"Recite! in the name of thy Lord; Who created Created man out of a clot of congealed blood Recite! and thy Lord is Most Bountiful, He Who taught (the use of) the Pen Taught man that which he knew not"

নরাধম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী রাজনৈতিক দলের দরকার আছে কিনা?

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪৬

লোকে আমারে জিগাইছে অনেকবার ইসলামি রাজনৈতিক দল নিয়ে আমার চিন্তাভাবনা কি? বাংলাদেশে জামাতের কপালে একাত্তরের ভুল সাইডে থাকার এবং রাজাকারির কালিমা লেপন আছে, বর্তমান সরকারের আমলে বিচার হলেও সে কলংক যাবে বলে মনে হচ্ছে না কোনদিন। কিন্তু ধরেন ইসলামি দল গঠিত হল, যার এরকম কোন কলংক তিলক নাই, সেরকম দল সম্পর্কে আমার ভাবনা কি?

আমার ধারণা ইসলামী দল ইসলামের জন্য খুবই খারাপ। কেন সেরকম মনে করি সেটার জন্য উদাহরন জরুরী। বর্তমান আ'লীগ সরকার চেতনার উপর খাড়ায়া আছে। অথচ দেখেন মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের জনগনের সবচাইতে গৌরবময় অর্জন। কিন্তু আ'লীগ যত বেশিদিন অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকবে তত বেশি মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত চিহ্ন, সমস্ত ইতিহাস, এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চর্চাকারী মানুষগুলো বাংলাদেশের সাধারণ জনগন থেকে তত দূরে চলে যাবে এবং ঘৃণার পাত্র হয়ে যাবে। এর কারন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সরকারের এবং সরকারপক্ষীয়দের অবৈধ ক্ষমতায় থাকার লেবাস হিসেবে কাজ করছে। যদিও মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সকলের মহান গৌরবময় অর্জন, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকে অপশাসনের লেবাস হিসেবে ব্যবহার করায়, সেই লেবাসও মূলত ঘৃণার উদ্রেক করছে।

ইসলামী দল ক্ষমতায় গেলে ইসলামের অবস্থাও একই হবে, সাধারণ মানুষ দেখবে সরকারর অপশাসন, দূর্নীতি, লুটপাট এসবের লেবাস ইসলাম। ইসলামী দলের লুটপাট বিরোধী কথা বললে সেটা তখন সে ইসলামী দল ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার মতই মনে করবে। শুধু তাইনা, জাফর ইকবালরা যেমন এখন লীগের বিপক্ষে কথা বলতে পারেনা কেননা তাদের ভাবতে হয় সেরকম বললে চেতনাবিরোধী লোকজন ফায়দা নিবে, ইসলামী দলের ক্ষেত্রেও ইসলামের প্রতি সহানুভূতিশীল বুদ্ধিজীবিরা অন্যান্য দল বা দলীয় লোকরা যাতে ফায়দা না নিতে পারে সেটা ভেবে ইসলামী দলের অপশাসনের বিপক্ষে মুখ খুলবেনা। ফলাফল হবে এই যে লোকের অন্তর থেকে ইসলামের ভাব ক্রমান্বয়ে চলে যাবে। ইসলাম যেহেতু অপশাসনের লেবাস হবে, সেজন্য সে লেবাসকে ঘৃনা করা ছাড়া সাধারণ লোকের উপায় থাকবেনা।

আমি চাইনা ইসলামকে লোকে ঘৃণা করুক। তাই ইসলামী লেবাসের দল ক্ষমতায় যাক আমি চাইনা। এখন আপনি বলতে পারেন ইসলামী দল সুশাসনের নিশ্চয়তা দিলে, সুশাসন জারি রাখলে, তখন তো আমার অভিযোগ ধোপে টেকেনা। যারা মনে করে ইসলামী দল এসে বাংলাদেশকে সুশাসনের বন্যায় ভাসিয়ে দেবে, তারা আসলে সুশাসন করা কত কঠিন সেটা সম্পর্কে ধারনা রাখেনা। সারা দুনিয়ায় কোন গণতান্ত্রিক দেশেই এমন কোন রাজনৈতিক দল নাই, যাদেরকে অন্তত সে দেশের অর্ধেক লোক অপছন্দ করে না। বিশেষ করে ক্ষমতায় গেলেই যে কোন রাজনৈতিক দল ক্রমান্বয়ে অজনপ্রিয় হতে থাকে, এর বিপরীতে ব্যতিক্রম এত কম এবং দুষ্প্রাপ্য যে সেটার উপর বাজি ধরা পাগলামি।

ক্ষমতা মাত্রই নোংরামি এবং দূর্নীতির জন্ম দেয়। এজন্য দেখেন হাজার বছর মুসলমানরা শাসন করেছে বিশ্বের বড় একটা অংশ। এ শাসনের সময়কালে হাজার হাজার শাসক শাসনক্ষমতার ভার পেয়েছে। এদের মধ্যে প্রথম চার খলীফা, উমার বিন আব্দুল আজিজ (রঃ), সালাউদ্দিন আইয়ুবীর মত খুব বেশি হলে ৫-১০ জন শাসককে সুশাসক বলা যায়, এর বিপরীতে জালিম শাসকের সংখ্যা অনেক বেশি। রাসুল (সাঃ) বলেছেন তাঁর মৃত্যুর পর মাত্র ত্রিশ বছর সুশাসন জারি থাকবে, তারপর সুশাসন ঢিলা হতে থাকবে। প্রথম চার খলিফার শাসনকাল এই ত্রিশ বছরই ছিল। রাসুল (সাঃ)-র এই হাদিস নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিৎ। মুসলমানদের স্বর্ণযুগে শাসকরা যেভাবে শাসন করেছে, তার চেয়ে বর্তমান দুনিয়া হাজার গুনে বেশি জটিল, তাই শাসনব্যবস্থাও হাজার গুনে জটিল। বর্তমানে তাই ইসলামী দল এসে সুশাসন জারি রাখার সম্ভাবনা আরো কম। প্রথম কয়েক বছর হয়ত সুশাসন থাকবে, এর পরে আবার দুঃশাসন শুরু হবে। এটাই ক্ষমতার বৈশিষ্ট্য, এর বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। এবং যখনই দুঃশাসন শুরু হবে, তখনই ইসলামী দল তাদের দুঃশাসনকে ইসলামের চেতনার নাম দিয়ে হালাল করতে চাইবে, অপশাসনকে ইসলামের নামেই চালিয়ে দেবে। আর ক্রমান্বয়ে ইসলামের লেবাসের প্রতি মানুষের ঘৃনা সৃষ্টি হবে।

ইরানে এখন শহরগুলোতে মসজিদে শুক্রবারেও বেশি মানুষ জুমার নামাজে আসেনা। ইরানের লোক দেশের বাইরে আসতে পারলেই ইসলামবিদ্বেষী হয়ে যায়। পশ্চিমে এসে দেখেছি এখানে যেসব মুসলমান জন্মগতভাবে মুসলমান হয়েও নাস্তিক/ইসলামবিদ্বেষী হয়েছে, তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে ইরানী। ব্যাপারটা এমন যে ইরানী লোক যারা পশ্চিমে আছে তাদের মধ্যে মুসলমান পাওয়াই ভাগ্যের ব্যাপার, প্রতি ১০০ জনে হয়ত আপনি ৫-১০ জন মুসলমান পাবেনা। অথচ বাংলাদেশের ক্ষেত্র উল্টো, বাংলাদেশ থেকে মানুষ পশ্চিমে এসে আরো ধার্মিক হয়ে যায়, এমনকি যারা দেশে থাকতে ইসলামকে তেমন পছন্দ করতনা, তারাও দেখা যায় ইসলামী ভাবাধারাপন্ন হয়ে যায়। এর কারন কি? কারন হচ্ছে ইরানে শাসকরা ইসলামী লেবাস পড়া অবস্থায় আছে। অথচ ইরানের শাসনব্যবস্থা আসলে চরম খারাপ বলা যায় না, বরং তাদের সেখানে দূর্নীতির পরিমান অনেক উন্নত দেশ থেকেও কম বলা যায়। তবুও ইসলামের লেবাস দিয়ে শাসকরা তাদের শাসনকে জারি রাখে বলে মানুষ দলে দলে মুসলমানিত্ব বাদ দিয়ে অমুসলিম হয়ে যাচ্ছে। আর আমাদের দেশের বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মত যদি ইসলামের চেতনা দিয়ে অপরিসীম দুঃশাসন জারি রাখার চেষ্টা হয়, তখন মনে হয় ইরানের উদাহরন চিন্তা করলে একজন শিক্ষিত মানুষও মুসলমান থাকতে রাজি থাকবেনা। কিন্তু দুনিয়ার ক্ষমতার জন্য মানুষের আখেরাত নষ্ট করার কোন যৌক্তিকতা নাই।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: ইরান শিয়া মুসলিমের দেশ। শিয়ারা শুক্রবারের নামাজকে ততটা গুরুত্ব দেয় না। যদিও শিয়া মুসলিম নেতারা এর সংস্কার করে গুরুত্ব আরোপ করেছে তথাপিও জামাতে খুবই কম মানুষ আসে।

আর শিয়াদের, অাসলে বলতে হয় পারস্যরা যে অংশটা দেশের বাইরে আসে তারা প্রগতিশীল ও প্রচণ্ড মেধাবী। পুরো মুসলিম বিশ্বে এরাই জ্ঞান-বিজ্ঞানে কিছুটা অবদান রাখছে যেমন মধ্যযুগেও রেখেছিল। বিদেশে এসে জোব্বা-টুপি-তসবিহ নিয়ে বসে থাকলে (যেমনটা আপনি বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে বলেছেন) eBay, Dropbox এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি হত না।

তাই ধর্ম রাজনীতি এগুলো একসাথে গুলে না খেয়ে যেমন ভাবে অাধুনিক গণতন্ত্র চলছে সেভাবেই চলা দরকার।

যদিও আপনি শেষের বাক্যে তসবিহ ধরার দোয়া খায়ের করে পোস্টের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৩১

নরাধম বলেছেন: তাসবিহ, জোব্বার সাথে জাগতিক উন্নতির কোন সম্পর্ক নেই। বরং বলা যায় ধর্ম পালন করলে ডিসিপ্লিন আসে, সেটা জাগতিক উন্নতিতে আরো সাহায্য করবে। বাংলাদেশে সবচেয়ে মেধাবীরা বুয়েটে/মেডিকেলে যায়, আর সেখানে তাসবিহ/জোব্বার হার সাহিত্য, ইতিহাস, পালি ইত্যাদি সাব্জেক্টের তুলনায় বেশি। আর তথাকথিত আধুনিক সেক্যুলাররা এসব সাহিত্য/পালি/ইতিহাসেই বেশি পড়ে। এটা থেকে কিছু প্রমাণ করতে চাচ্ছি সেটা না, তবে আপনার যুক্তির গলদটা দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছি।

ইসলামের প্রথম যুগের স্কলারদের বড় অংশই খুবই ধার্মিক ছিল। না জেনে আবুল তাবুল বকবেন না।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:২৮

মুচি বলেছেন: ইসলামে কোন দলাদলির স্থান নেই। আশা করি দেশ ও মুসলিম বিশ্ব এই দলাদলির বিষবাষ্প থেকে মুক্তি পাবে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৩১

নরাধম বলেছেন: একমত।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৩৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমার ধারনা ইরানের উদাহরনটা এখানে ঠিক খাটে না। পশ্চিমের বেশীর ভাগ ইরানী শাহের রাজনৈতিক পতনের সময়ে আসা। যারা মনে প্রানে ইসলাম বিদ্বেষী। এরপরে পশ্চিমের সাথে ইরানের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। যার ফলে পশ্চিমের ইরানীদের চাল চলন কোনভাবেই প্রকৃত ইরানকে মূল্যায়ন করে না।

বর্তমানে রাজনৈতিক ইসলামের কথা যারা বলে তাদের কাউকেই আমার রোল মডেল হয় না। ইরানকেও নয়। ইরানে প্রতি বছরে ৯৯ জনকে জিনার অপরাধে পাথর মেরে হত্যা করা হয়। এটা অগ্রহনযোগ্য। অটোম্যান শাসন আমলের প্রায় পাচশত বছরে একজন নারীকে পাথর মেরে হত্যা করা হয়। সেখানে ইরানে এত কম মানুষের মধ্যে এত বেশী কেন শাস্তি পাচ্ছে তার কারন অনুসন্ধান জরুরী।

এছাড়া ইরান ইসলামী বিপ্লব এসেছিলো কিউবা এবং অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর সাহায্যে। যার ফলে ইরান ইসলামী আইনের সোশাল ওয়েলফেয়ার অংশটুকু চমৎকার বাস্তবায়ন করে। এটিই রেজিমকে টিকিয়ে রেখেছে। কিন্তু সাথে সাথে অন্যান্য বিষয়গুলো যেমন মত প্রকাশের স্বাধীনতা চরমভাবে উপেক্ষিত হয়। কমিউনিস্ট দেশগুলোর মত সেখানেও বাক স্বাধীনতার উপরে বিধি নিষেধ রয়েছে। যা ইসলাম সম্মত নয়।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৫৩

নরাধম বলেছেন: আপনার মন্তব্য যথেষ্ট চিন্তাপ্রসূত।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৪০

আখেনাটেন বলেছেন: প্রতিমন্তব্যের প্রথম কূরূচিপূর্ণ বাক্যটি ডিলিট করে নতুন করে প্রতিমন্তব্য লিখেছেন এ জন্য ধন্যবাদ। শুভবুদ্ধির উদয় সকলের হয় না। আপনার তাৎক্ষণিকভাবে হয়েছে। প্রশংসাযোগ্য।

যাহোক, অাসল কথায় আসি। আমি মন্তব্যে যা বোঝাতে চেয়েছি তা বোঝার মতো জ্ঞান আপনার আছে তা অামি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। যদি তা বুঝতে চান।

শুভরাত্রি।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৫১

নরাধম বলেছেন: না, আসলে আপনার মন্তব্য বুঝার জন্য ফিজিক্সে নোবেল প্রাইজ পাইতে হবে, বা আইনস্টাইনের মত হইতে হবে, তারপরই শুধু এর মাজেজা বুঝা যাবে!

আপনার মন্তব্যে অনেক কিছু সরলীকরন করেছেন, সেটা ধরিয়ে দিতে চেয়েছি, আমার ধারণা আপনারও সেটা বোঝার মত যথেষ্ট জ্ঞান আছে।


"বিদেশে এসে জোব্বা-টুপি-তসবিহ নিয়ে বসে থাকলে (যেমনটা আপনি বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে বলেছেন) eBay, Dropbox এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি হত না।"
---- জোব্বা-টুপি-তসবিহ নিয়ে সারাক্ষন বসে থাকা আর ধর্মের মাধ্যমে জীবনে দিকনির্দেশনা নির্ণয় করা, জীবনে ডিসিপ্লিন আনা এ দুটা ভিন্ন জিনিস, সেটা বুঝতে পারার কথা আপনার। ধর্মকে ডিসিপ্লিন আনার কাজে ব্যবহার করলে সেটা জাগতিক উন্নয়নে আরো সাহায্য করবে।


"তাই ধর্ম রাজনীতি এগুলো একসাথে গুলে না খেয়ে যেমন ভাবে অাধুনিক গণতন্ত্র চলছে সেভাবেই চলা দরকার।"

--আধুনিক গণতন্ত্রের ব্যাপক সমস্যা আছে, তাই সেটা যেভাবে চলছে সেভাবে চললে দুনিয়ার মানুষের খবর আছে।

"যদিও আপনি শেষের বাক্যে তসবিহ ধরার দোয়া খায়ের করে পোস্টের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন।"
--- এটা আপনার ব্যক্তিগত মতামত, শেয়ার করছেন ঠিকাছে। Opinions are like asses. Everyone has got one!

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:২৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ম দিয়ে দেশ শাসন করা, সুশাসন পপ্রতিষ্ঠা করা কঠিন কেননা ধর্মে নতুন কিছু সংযোজন করা যায় না । যদিও ফতোয়ার একটা ব্যাপার আছে সেটা তখন তাদের মত করেই তারা ব্যাখ্যা করবে। বিশ্লেষণ ভালো লাগলো।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪১

নরাধম বলেছেন: নতুন কিছু সংযোজন করা গেলে সেটা সুশাসন নিশ্চিত করে সেটা কে বলল?

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:১৩

কালীদাস বলেছেন: ধর্মভিত্তিক রাজনীতির এগেইনস্টে আমি না যতক্ষণ না কেউ জামায়াতকে ইসলামের ঝান্ডাবাহী বলে রাজাকারের বংশধররা ল্যাদাতে আসছে। আপনার ফিলিংসটা আমি বুঝতে পারছি যে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহারের সমূহ সম্ভবনা রয়েছে, ইনফ্যাক্ট আমি নিজেও অপজিট কোন এক্সাম্পল দেখাতে পারব না আপনার স্টেটমেন্টের। আপনি ঠিকই বলেছেন, খেলাফতের আমলে হাতে গণা কয়েকজন খলিফা ছাড়া সবাই অন্ধকার যুগের রাজাবাদশাদেরও অনুকরণ করে গেছে। তবু আমি আশাবাদী হয়ত ভবিষ্যতে কেউ হয়ত সত্যিকারের চর্চা করবে ইসলামি নীতিমালার। তবে কনসিক্যোয়েন্স এরাইজ করতে পারে; বর্তমান জিও পলিটিকাল ডেফিনিশনগুলো কতটা কন্ট্রাডিক্ট করে ধর্মের সাথে সেটা বড় সমস্যা হবে গোড়াতেই :(

বাইদ্যাওয়ে, আপনার লেটেস্ট কয়েকটা পোস্টে কয়েকজন চিণ্হিত জামাতী ল্যাদিয়ে গেছে; রেগুলার না থাকায় আপনি হয়ত চিনতে পারেননি দুচারটা কমেন্ট থেকে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪৪

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মতের জন্য।

আমি আসলে ব্লগ ফলো করিনা অনেক বছর হল, তাই কে জামাতি কে জামাতি না সেটা জানি না। তাছাড়া জামাতিদের সাথে আমার দ্বিমত থাকলেও তাদের কমেন্ট করার এবং তাদের নিজস্ব চিন্তার স্বাধীনতা স্বীকার করি, যেমন স্বীকার করি যারা ইসলামবিরোধী তাদের চিন্তার স্বাধীনতা।

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০০

ক্স বলেছেন: বাংলাদেশে ইসলামী রাজনৈতিক দলের অবশ্যই দরকার আছে। নইলে দলীয় আনুগত্য, রাজনৈতিক আদর্শ, ধর্মীয় প্রশ্নে আপোষহীনতা, বিশুদ্ধ গণতন্ত্রের চর্চা, নানারকম ভয়ভীতি এবং দুর্যোগ মাথায় নিয়ে জনগণের কাছে তৃণমূলে যাওয়া এবং সর্বোপরি মানুষের মধ্যে ইসলামিক সচেতনতা তৈরিতে ইফেক্টিভ ভূমিকা আর কেউ রাখতে সক্ষম হবেনা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪৫

নরাধম বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। তবে বুঝতেই পারছেন আমি আপনার মতের সাথে একমত না। সেটা পোস্টেই উল্লেখ আছে।

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

চুলবুল পান্ডে বলেছেন: উল্লুকরে কে জিগায় ? চামচিকারে কে বানাইছে মাতববর ?

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪৫

নরাধম বলেছেন: ভাল প্রশ্ন।

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৯

মায়াবী ঘাতক বলেছেন: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আসলে ইরান আফগানিস্তানের মত ইসলামী শাসন অথবা কিউবার মত সমাজতান্ত্রিক ব্যাবস্থা কোনটাই সম্ভব না। শুধু এখন না, আগামী ৫০/৬০ বছরেও সম্ভব কিনা বলা কঠিন। এইধরনের শাসন ব্যাবস্থা চালু করতে হলে জনগণের একটা বিরাট অংশকেও এরকম মাইন্ড সেট আপের মত হতে হয় যা বাংলাদেশের শতকরা ৮০ জন লোকের মধ্যেই নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.