নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানত যদি হাসন রাজা বাঁচব কতদিন..

Miles to go before I sleep.....

নরাধম

"Recite! in the name of thy Lord; Who created Created man out of a clot of congealed blood Recite! and thy Lord is Most Bountiful, He Who taught (the use of) the Pen Taught man that which he knew not"

নরাধম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আব্দুল মুত্তালিব তার এক সন্তানকে বিসর্জন দিবে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৩৬

আব্দুল মুত্তালিব তার এক সন্তানকে বিসর্জন দিবে, ঈশ্বরের সন্তুষ্টির জন্য, ক্বাবার সামনে। কাকে দিবে বিসর্জন? সেটার ফায়সালা হওয়া দরকার। আব্দুল মুত্তালিব তার সন্তানদের সবাইকে ডাকল। আজ তার অনেক বছর আগের করা এক মান্নতের পরিণতি দিতে হবে। তার সবচেয়ে প্রিয় সন্তান আব্দুল্লাহ। আব্দুল্লাকে তার এত মায়া লাগে কেন? ভয় হয় যদি আব্দুল্লাহকেই বিসর্জন দিতে হয়? তার প্রিয় যদি ঈশ্বরেরও প্রিয় হয়? তাহলে?

সে অনেকবছর আগের কথা। শুধুমাত্র এক সন্তানের জনক ছিল আব্দুল মুত্তালিব। মক্কার কঠিন সমাজে শুধু এক পুত্র সন্তান নিয়ে সম্মানের সাথে বেঁচে থাকা অনেক কঠিন। যত বেশি পুত্রসন্তান তত বেশি মর্যাদা, আধিপত্য, এবং সম্পদ। আরো সন্তানের আশায় আব্দুল মুত্তালিব অনেকগুলো বিয়ে করেছে, কিন্তু কোনমতেই তার একের বেশি সন্তান হয়নি। শেষে কিছুটা বুড়া বয়সে আব্দুল মুত্তালিব এক মান্নত করল, যদি তার দশ সন্তান হয় এবং দশ সন্তানই বেঁচেবর্তে বড় হয়, তবে আব্দুল মুত্তালিব ঈশ্বরের প্রতি শোকরিয়া স্বরূপ এক সন্তানকে বিসর্জন দিবে, ক্বাবার সামনে।

ঈশ্বর তার সে প্রার্থণা কবুল করেছে, একে একে তার আরো নয়টা সন্তান হল, সবাই এখন বালেগ, টগবগে তরুন। দশ সন্তান যখন হল, আব্দুল মুত্তালিব তার মান্নতের কথা মনে করছিল, যতই সন্তানরা বড় হচ্ছে ততই তার মান্নতের কথা বেশি মনে পড়ছিল, আব্দুল্লাহ তার দশম সন্তান (আব্দুল্লার পরেও তার সন্তান হয়েছিল)। যখন মান্নত করেছিল তখন মনেই হয়নি কোনদিন তার দশ সন্তান হবে, ভেবেছিল মান্নত করলে সমস্যা কি, ঈশ্বর নিশ্চয়ই তাকে দশ দশটা সন্তান দিবেনা বুড়ো বয়সে। কিন্তু সেটাই সত্যি হল, এখন এক সন্তানকে বিসর্জন দিতেই হবে। তার মনের মধ্যে খুবই উতাল পাতাল করে উঠল, এই কষ্ট সে সহ্য করতে পারবে? কিন্তু আব্দুল মুত্তালিব এক কথার মানুষ, ঈশ্বরের কাছে মান্নত সে কোনদিন ভাংতে পারবেনা।

আজ সেদিন এসে পড়ল, কুরবানির দিন। কিন্তু কোন সন্তানকে কুরবানি দিবে? আব্দুল মুত্তালিব খুবই সুবিচারক, তাই সে নিজে কাকে কুরবানি দিবে সেটার ভার নিজের উপর নিবে না, নিজে নিলে পক্ষপাতিত্ব করতে পারে, সেটা করা যাবে না। সব সন্তানকে ডাকল সে, সবাইকে নিজের মান্নতের কথা বলল। সন্তানরা জানে ক্বাবার ঈশ্বরের কাছে করা মান্নত অবশ্যই ভাঙা যাবেনা, তাছাড়া তাদের পিতার মান্নত তাদেরও মান্নত। তাই রাজি না হয়ে উপায় ছিল না তাদের।

সব ছেলে নিজেদের নামে একটা করে দাগ টানল একেকটা তীরে। এরকম বিসর্জন আরো অনেক হয় মক্কায়, তার জন্য একজন বিশেষ নিয়োজিত তীর বাছাইকারি আছেন, যিনি লটারির মাধ্যমে তীর বাছাই করে যার নামে আসবে তাকেই বিসর্জন দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই বিসর্জন দেখার জন্য অনেক লোক হাজির হয়েছে, সবাই আগ্রহ নিয়ে দেখছে। আব্দুল মুত্তালিব তার লম্বা এবং ধারালো ছোরা নিয়ে দাড়িয়ে আছে, ক্বাবার হুবালের পাশে, মনে মনে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনারত অবস্থায়। তীর বাছাইকারি বাছাই করা শেষ, নাম আসল আব্দুল্লাহর! আব্দুল মুত্তালিব দেরি না করে আব্দুল্লাহকে হাতে ধরে ক্বাবার দরজার দিকে নিয়ে গেল, দেরি করলে আবার মন পরিবর্তন হয়ে যাবে, মায়া লেগে যাবে, তাই তাড়াহুরা।

কিন্তু আব্দুল মুত্তালিব তার স্ত্রীদের সাথে পরামর্শ করতে ভুলে গেছিল। বিশেষ করে আব্দুল্লাহ্‌র মা ফাতিমার সাথে। ফাতিমা ক্বোরাইশের মেয়ে, তাই তার অনেক প্রভাব। তাকে না বলে তার সন্তানকে কুরবানি দিলে সেটা মহা কেলেংকারি হয়ে যাবে। ততক্ষণে সবখানে খবর চলে গেছে। ফাতিমার মাখজুম গোত্রের লোকরা সবাই চলে এসেছে, তারা বুঝল তাদের বংশের নাতিকেই কুরবানি দেওয়া হবে। তারা সমস্বরে জিজ্ঞেস করল, ছোরাটা কিসের জন্য? আব্দুল মুত্তালিব তাদেরকে নিজের মান্নতের কথা বলল। মাখজুমের প্রধান নেতা মুঘিরাহ চেঁচিয়ে বলল, "না আব্দুল্লাহকে কুরবানি দেওয়া যাবেনা। বরং তার বদৌলতে অন্য কোন কুরবানি দাও, যদি সেটার দাম মাখজুম গোত্রের সবার সম্মিলিত সম্পত্তির পরিমাণও হয়, আমরা সেটা দিতে রাজি আছি, কিন্তু কোনমতেই আব্দুল্লাহকে কুরবানি দেওয়া যাবেনা।"

আব্দুল মুত্তালিবের অন্যান্য সন্তানরাও আব্দুল্লাহকে অসম্ভব ভালবাসে, তারাও পিতাকে অনুরোধ করলে যেন আব্দুল্লাহর বদৌলতে অন্য কিছু কুরবানি দিতে কাফফারা হিসেবে। আদতে ভীরের মধ্যে একজন লোকও ছিলনা যে আব্দুল মু্ত্তালিবকে কুরবানি না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলনা। আব্দুল মুত্তালিব নিজেও মনে মনে কুরবানি দিতে চাচ্ছিলনা তার সবচেয়ে প্রিয় পুত্রকে, কিন্তু ওয়াদা ভাঙতে খুবই আপত্তি তার। অনেক অনুরোধের পর আব্দুল মুত্তালিব রাজি হল ইয়াথরিব শহরের এক বিজ্ঞ মহিলা পীরের সাথে পরামর্শ করতে। ইয়াথরিবের দিকে রওনা হল, কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা গেল সে বিজ্ঞ মহিলা অনেক দূরের খায়বারে চলে গেছে। তার সেদিকেই রওনা হল। মহিলা পীর সব শুনল, বলল সে পরের দিন সাধনা করে জানাবে। পরের দিন যখন ফিরে গেল, মহিলা বলল, "তোমাদের ওখানে মানব বিসর্জনের বিপরীতে কাফফারা কি?" আব্দুল মুত্তালিব বলল, "দশটা উট"। বলল, "তোমরা মক্কায় ফিরে যাও, গিয়ে এক পাল্লায় তোমার ছেলেকে দাড় করাও, অন্য পাল্লায় দশ উট। তারপর লটারি কর, যদি উটের দিকে যায়, তাহলে দশ উট বিসর্জন দাও। যদি তোমার ছেলের দিকে লটারি যায়, তাহলে আরো দশ উট যোগ কর, এভাবে যতক্ষন লটারি উটের দিকে না যাচ্ছে ততক্ষণ দশটা করে উট যোগ করে পূনরায় লটারি কর। যেবার উটের দিকে পড়বে, বুঝবে ঈশ্বর তোমার কাফফারা গ্রহণ করেছে।"

আব্দুল মুত্তালিব আব্দুল্লাহকে নিয়ে ফেরৎ আসল মক্কায়, লটারি চালু হল। কিন্তু লটারি পড়ল আব্দুল্লাহর দিকে। দশটা উট যোগ করল, এখন হল বিশ উটের বিপরীতে আব্দুল্লাহ। আবার লটারি হল। আবারও আব্দুল্লাহর দিকেই পড়ল। এভাবে প্রতিবারই আব্দুল্লাহর দিকে পড়তে থাকল লটারি, প্রতিবারই দশটা করে উট যোগ হল। এরকম করতে করতে একশটা উট একপাাশে হল, অন্যদিকে আব্দুল্লাহ। এবার উটের দিকে লটারি গেল। তার মানে একশটা উট বিসর্জন দিলে আব্দুল্লাহকে কুরবানি দিতে হবে না। কিন্তু আব্দুল মুত্তালিবের মনে খটকা রয়ে গেল, বলল আবার লটরাি কর। একশটা উটের বিপরীতে আব্দুল্লাহ, আবার লটারি হল, এবার আবার উটের দিকেই লটারী পড়ল। আব্দুল মুত্তালিব বলল, "না, আবার কর।" আবার লটারিতে উটের দিকেই পড়ল। তিনবার পরপর উটের দিকে লটারি পড়ার পর আব্দুল মুত্তালিবের মনে হল এবার ঈশ্বর তার কুরবানি গ্রহণ করেছে। একশটা উট কুরবানি দেওয়া হল।

***** সবাই হাঁফ ছেড়ে বাচল! কি কঠিন পরীক্ষার উপর দিয়ে যে গেল আব্দুল্লাহ্‌র জীবন। শেষে আব্দুল্লাহ বেঁচে ফিরল। আব্দুল্লাহর বেঁচে থাকা দরকার ছিল। কেননা, আব্দুল্লাহর মাধ্যমেই মুহাম্মদ (সাঃ) পৃথিবীতে আসবেন সামনের বছরেই, আব্দুল্লাহর সাথে আমিনাার বিয়ের পর।*******

(মার্টিন লিংসের মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবনি Muhammad: His Life Based on the Earliest Sources বইয়ের ভাবগত অনুবাদ, পৃষ্ঠা ১৩-১৪। এস্টেরিস্কের মধ্যে শেষ কয়েকটা লাইন আমার নিজের।)

মন্তব্য ৭৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৭৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ততকালীন সময়ে পুরো মক্কা নগরীর (মানে কয়েকটা তাঁবু ও ছাদবিহীন মাটির ঘর) সব বাসিন্দাদের মিলেও এত উট ছিলো না, হয়তো ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:১৫

নরাধম বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। বুঝা সবার কর্ম নয়, তাই আপনার থেকে সেটা আশা করার মানে নাই।

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৩৭

পরম কাঁইজি বলেছেন: এত কষ্ট করে এই মিথ প্রচারের কি মানে?

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:২০

নরাধম বলেছেন: দুগ্গা দুগ্গা, এ কি বলেন গো দাদাভাই? আপনি শিবসেনা না বজরং?

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:২৮

পরম কাঁইজি বলেছেন: দুর্গা শিব যিশু এই গুলা সকলই মিথ , এই গুলা মানুষকে বোকা বানানোর ফন্দি

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৩৮

নরাধম বলেছেন: তাই বুঝি? আপনে অনেক জ্ঞানী! তো এত জ্ঞান কই রাখেন? ঘুম হয় রাতে এত জ্ঞান নিয়ে?

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৩১

পরম কাঁইজি বলেছেন: আরও জানতে চাইলে এখানে জান https://youtu.be/ko94_TdLrCE

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৩৯

নরাধম বলেছেন: অ, এইবার বুঝছি আপনি ইউটিউবের ভিডিও দেখে জ্ঞান অর্জন করেন। কিন্তু এত জ্ঞান রাখেন কোথায়?

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। এমনই হয়েছিল।

রাখৈ আল্লাহ মারে কে? একটা কথা আছৈ না! আর মহাকালের মহা মঞ্চের আমরা কতটুকুই বা বুঝি আর দেখি!
তিনি খেলছেন আপন সূত্রানুসারে! :)

+++

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৫৩

পরম কাঁইজি বলেছেন: হে সম্মানিত আবাল ভাল করে পরে দেখ , মূর্খ তোমাকে আবারও বলছি তোমার মত আবালরাই এই সমাজ ব্যাবস্থা দংশ কারি,

ধর্ম প্রসঙ্গঃ (ধর্ম নয় শাস্ত্রীয় মতবাদ বা সাম্প্রদায়িক মতবাদ) (আধ্যাত্মিকবিদ্যা, আত্মদর্শন, আত্মতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব, পরম্পরাতত্ত্ব, স্বরূপদর্শন, নরত্বারোপ ও বলনদর্শন টীকা)
ধর্ম
Attribute (এ্যাট্রিবিউট)
‘المهاراة’ (মাহারাত)
এটি রূপকসাহিত্যের বৈক্তিকসদস্য সারণির রূপকপরিবারের অন্যতম একটি‘রূপকপরিভাষা’। এর মূলকসদস্য ‘স্বভাব’ এবং ছদ্মনামপরিভাষা ‘প্রকৃতি’।
ধর্ম (রূপ)বি স্বভাব, প্রকৃতি, গুণ, পুণ্য, মনুষ্যত্ব, নিয়ম, রীতি, সাধনপথ, সতিত্ব, সৎকর্ম, পুণ্যকর্ম, সদাচার, কর্তব্যকর্ম, প্রত্যেক জীব বা বস্তুর নিজস্ব গুণ, Attribute (এ্যাট্রিবিউট), ‘المهاراة’ (মাহারাত)/ religion (রিলিজন), ‘ﺪﻴﻦ’ (দিন) (প্র) ১.মানুষের কর্তব্য অকর্তব্য সম্বন্ধে জ্ঞান ২.বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শাস্ত্র নির্দিষ্ট বিধি-বিধান ৩.শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন ও সমাজ শাসনমূলক মতবাদ ৪.সাধুশাস্ত্র হতে উৎপত্তি যুগোপযোগী সামাজিক শাসনমূলক সংস্কার বিশেষ(দেপ্র) এটি রূপকসাহিত্যের বৈক্তিকসদস্য সারণির ‘স্বভাব’ পরিবারের‘রূপকপরিভাষা’ ও রূপকসাহিত্যের একটি দৈবিকা বা প্রতীতি বিশেষ (সংজ্ঞা) ১.কোন বস্তুর গুণাগুণকে ধর্ম বলা হয় ২.নৈতিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশেষ সংস্কারকৃত মতবাদকে ধর্ম বলা হয় (ছনা)বি প্রকৃতি (রূ)বি ধর্ম (দেত)বি স্বভাব।
(প্র) ১.ব্র‏হ্মার দক্ষিণ অঙ্গ হতে ধর্ম উৎপন্ন হয়। বরাহপুরাণে কথিত আছে যে, ব্র‏হ্মা সৃষ্টি করার মানসে যখন গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হন, তখন তাঁর দক্ষিণ অঙ্গ হতে এক পুরুষের (ধর্ম) আবির্ভাব ঘটে। ব্র‏হ্মা তখন তাঁকে বলেন- “তুমি চতুষ্পদ ও বৃষভাকৃতি। তুমি বড় হয়ে প্রজাপালন করো।” তখন ধর্ম সত্যযুগে চতুষ্পদ, ত্রেতায় ত্রিপদ, দ্বাপরে দ্বিপদ এবং কলিতে একপদ হয়ে ব্রাহ্মণদের সম্পূর্ণরূপে, ক্ষত্রিয়দের তিনভাগ, বৈশ্যদের দু’ভাগ ও শূদ্রদের একভাগ দিয়ে রক্ষা ও পালন করতে আরম্ভ করেন। গুণ, দ্রব্য, ক্রিয়া ও জাতি এ চারটি শাস্ত্রীয় মতবাদের পদ। বেদে এঁর নাম তৃশৃঙ্গ। এঁর মাথা দু’টি ও হাত সাতটি। বামনপুরাণ মতে ধর্মের স্ত্রী অহিংসা। এঁর গর্ভে চারটি পুত্র জন্মগ্রহণ করে যথা- ১.সন্যকার, ২.সনাতন, ৩.সনক ও ৪.সনন্দ। অন্যান্য পুরাণে এঁরা ব্র‏হ্মার মানসপুত্র বলে কথিত আছে।
২.মহাতেজস্বী একজন রাজা। এঁর কন্যার নাম ধর্মব্রতা।
Orthodoxly [অর্থডোক্সলি] বি সনাতন, অনন্ত, চিরন্তন, চিরস্থায়ী, বিশ্বজনীন, শাশ্বত, সার্বজনীন, সর্বজন বিধিত, Catholic, eternal, never-dying, ‘أرثوذكسي’ (উর্সুজুক্সি), ‘الأرثوذكس’ (আলউর্সুজুক্স) {ই}
ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (A highly important quotations of attribute)
“সবাই কী আর হবেরে মন, ধর্মপরায়ণ, যার যার কর্ম সে সে করে, তোমার বলা অকারণ।” (পবিত্র লালন- ৯১৫/১)।
ধর্মের কয়েকটি সাধারণ উদ্ধৃতি (Some ordinary quotations of attribute)
১. “কোন্ সাধনে শমনজ্বালা যায়, ধর্মাধর্ম বেদের মর্ম, শমনের অধিকার তায়।”(পবিত্র লালন- ৩৬৯/১)।
২. “ধর্মবাজার মিলাইছে নিরঞ্জনে, এক কানায় এক বোবায়, ভবের হাটে করে বিকিকিনে।” (পবিত্র লালন- ৫৬৭/১)।
৩. “ধর্মাধর্ম নাই যে বিচার, কৃষ্ণসুখে সুখ গোপীকার, হয় যে নিরন্তরি, তাইত দয়াময়- গোপীরে সদায়, মনের ভ্রমে জানতে নারি।” (পবিত্র লালন- ৫৫৮/৩)।
৪. “ধর্মাধর্ম বলতে নাই, শুধু প্রেমের গান গায়, নাই লজ্জা ভয়, জাতির বোল রাখল না সে, সেতো করল একাকারময়।” (পবিত্র লালন- ৪২৩/২)।
৫. “ধর্মাধর্ম সব নিজের কাছে, জানা যায় শাস্ত্র যেচে, লালন কয় আমার ভুল হয়েছে, ভেবে দেখি তাই।” (পবিত্র লালন- ৬৩৭/৪)।
৬. “না মানে সে ধর্মাধর্ম, যার হয়েছে বিচার সাম্য, লালন কয় সাঁই মহামান্য, তবে মানবকরণ সারা।” (পবিত্র লালন- ১৮৫/৪)।
৭. “প্রেম কী সামান্যেতে রাখা যায়, প্রেমে মজলে ধর্মাধর্ম ছাড়তে হয়।” (পবিত্র লালন- ৬৪৩/১)।
৮. “প্রেম পিরিতির এমনি ধারা, এক প্রেমে দু’জন মরা, ধর্মাধর্ম চায় না তারা, লালন বলে প্রেমের রীতি তাই।” (পবিত্র লালন- ৬৪৩/৪)।
৯. “বড়াই করে কপাল পোড়া, বুঝে না ধর্মীয়মতবাদ আগাগোড়া” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০৪)।
১০. “শাস্ত্রীয় মতবাদ গোত্র জাতির, তুলবে না কেউ জিকির, কেন্দে বলে লালন ফকির, কেবা দেখিয়ে দিবে” (পবিত্র লালন- ২২৮/৪)।
১১. “সবল দেবধর্ম আমার বৈষ্টমী, ইষ্ট ছাড়া কষ্ট পাই, এঁটে দেয়া নষ্টামি।”(পবিত্র লালন- ৯১২/১)।
ধর্মের সংজ্ঞা (Definition of attribute)
কোন কিছুর গুণাগুণকে স্বভাব বা ধর্ম বলে।
ধর্মের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theosophical definition of attribute)
নৈতিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশেষ সংস্কারকৃত মতবাদকে ধর্ম বলে।
ধর্মের প্রকারভেদ (Classification of attribute)
ধর্ম দুই প্রকার। যথা- ১.সনাতনী ধর্ম ও ২.কৃত্রিমত ধর্ম।
১. সনাতনী ধর্ম (Orthodoxly attribute)
প্রকৃতির নিয়মাবলিকে সনাতনী ধর্ম বলে।
২. কৃত্রিম ধর্ম (Pretended attribute)
সামাজিক, মানবিক, প্রাকৃতিক, দার্শনিক ও নৈতিকতার ওপর নির্মিত মনগড়া সংস্কারাদিকে কৃত্রিম ধর্ম বলে।
ধর্মের পরিচয় (Identity of attribute)
এটি রূপকসাহিত্যের বৈক্তিকসদস্য সারণির ‘স্বভাব’ পরিবারের অধীন একটি‘রূপকপরিভাষা’ বিশেষ। কোন বস্তুর গুণাগুণকে ধর্ম বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে ধর্ম বলে পুরাণের একটি চরিত্র ভিন্ন কিছুই নেই। ধর্ম নামে যা আছে তা হলো শাস্ত্রীয় মতবাদ। শাস্ত্রীয় মতবাদাদিকেই সাধারণমানুষ ধর্ম নামে ডাকাডাকি করে থাকেন। সামাজিক, মানবিক, প্রাকৃতিক, দার্শনিক ও নৈতিকতার ওপর নির্মিত মনগড়া সংস্কাররূপ এসব শাস্ত্রীয় মতবাদ সারাবিশ্বে প্রায় ২,৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। যেমন- হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট ও ইসলাম। এবং প্রত্যেক শাস্ত্রীয় মতবাদের অনুকূলে আবার রয়েছে কয়েক সহস্র করে পরম্পরা মতবাদ। শাস্ত্রীয় মতবাদকে ইংরেজিতে religion (রিলিজন) এবং আরবিতে ‘ﺪﻴﻦ’ (দিন) বলা হয়।
শাস্ত্রীয় মতবাদের পরিচয় (Identity of schismatic doctrine)
পূর্বকাল হতেই দেখা যায় একদল লোক শাস্ত্রীয় মতবাদকে অত্যধিক প্রাধান্য দেয় আবার একদল লোক একেবারেই গ্রহণ করেন না। যারা কোন শাস্ত্রীয় মতবাদকে প্রাধান্য দেন না তারা প্রায়ই বলে থাকেন শাস্ত্রীয় মতবাদ বলতে কিছুই নেই। তারা এও বলেন যে- “Religion is nothing only blindly faithful” (রিলিজন ইজ নাথিং অনলি ব্লাই-লি ফেতফুল)” অর্থ- “শাস্ত্রীয় মতবাদ কিছুই না কেবল অন্ধবিশ্বাস।” প্রকৃত ব্যাপারটিও তাই। ব্যক্তি বিশেষের মনগড়া মতামত সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়াকেই ধর্ম বলা হয়। আর এ ধর্মকেই শাস্ত্রীয় মতবাদ বলা হয়। তবে এসব শাস্ত্রীয় মতবাদ আধুনিকযুগের পূর্বে পরিবার ও সমাজে শান্তি ও শৃংখলা বিধানের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রয়োজন ছিল। তখন রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা ছিল না। তাই শাস্ত্রীয় মতবাদ অনেক উপকারী ছিল। কিন্তু বর্তমানে রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত থাকায় মানুষ আর অন্ধবিশ্বাসের অধীনতা স্বীকার করতে চায় না।
এ ছাড়াও বর্তমানে একই রাষ্ট্রে শাস্ত্রীয় বিধান ও রাষ্ট্রীয় বিধান উভয় একসঙ্গে চালু রাখা কোন মতেই সম্ভব নয়। যে কোন একটি বিধান মান্য করা সবার একান্ত প্রয়োজন। উল্লেখ্য শাস্ত্রীয় বিধানাদি প্রায় রূপকার্থে নির্মিত কিন্তু রাষ্ট্রীয় বিধানাদি বাস্তবভাবে নির্মিত। এ জন্য শাস্ত্রীয় বিধান কখনই রাষ্ট্রীয় বিধানের তুল্য হতে পারে না। তাছাড়া শাস্ত্রীয় বিধান কেবল একটি গোত্রের জন্য নির্মিত কিন্তু রাষ্ট্রীয় বিধান রাষ্ট্রের সর্ব শ্রেণির জনগণের জন্যই সমান অধিকার নিশ্চিত রেখে নির্মিত। বিগত আদিমযুগ ও মধ্যযুগেই শাস্ত্রীয় বিধানের অধিক অধিক প্রয়োজন ও গুরুত্ব ছিল। এর অন্যতম কারণ ছিল তখন রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় বিধান উভয়ই ছিল না। আধুনিক যুগের প্রথমদিক হতে রাষ্ট্র গঠন ও রাষ্ট্রীয় বিধান নির্মাণ করা আরম্ভ হয়। তখন হতেই শাস্ত্রীয় বিধানের প্রয়োজনও ক্রমে ক্রমে শিথিল হতে আরম্ভ করে। বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই শাস্ত্রীয় বিধানের তেমন ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় না।
অন্ধবিশ্বাসের বিষবৃক্ষ রোপণ (Transplanting the venom-tree of fanaticism)
সর্ব প্রথমে রূপকসাহিত্য শিল্পের সূত্রাদির দ্বারা বিশ্ববিখ্যাত একজন রূপকার কর্তৃক একটি রূপকসাহিত্য নির্মিত হয়। তারপর কয়েকশত বছর বা কয়েক শতাব্দি অতিবাহিত হয়। অতঃপর আধ্যাত্মিকজ্ঞান বা আত্মতত্ত্ব জ্ঞানহীন পণ্ডিতব্যক্তি অতিব পুণ্যের কাজ মনে করে উক্ত রূপক সাহিত্যটির আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বা আত্মতত্ত্বভিত্তিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ব্যতীত কেবল বাহ্য প্রকৃতিনির্ভর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ প্রণয়ন করা আরম্ভ করেন। অন্ধবিশ্বাসপ্রবণ মূঢ় ব্যক্তিরা দিব্যজ্ঞানের দৈন্যতার জন্য রূপকসাহিত্যের প্রপকাদির মধ্যে ব্যবহৃত দৈবিকা বা প্রতীতিদের হঠাৎ করে ঐশিদূত বা দৈবদূত বা ঐশিমহামানব বা স্বর্গীয়াবতার বলে আখ্যায়িত করতে আরম্ভ করেন। তারপর নীতি নৈতিকতাপূর্ণ ও আত্মশুদ্ধির পরম শিক্ষামূলক প্রপকাদিকে চমৎকার বলে এবং দৈবিকা বা প্রতীতিদের চরিত্রকে বাস্তব জীবনাদর্শ বলে প্রচার প্রসার করতে বা লেখালেখি করতে আরম্ভ করেন।
পরবর্তিকালে তার পাঠক বা অনুসারিরাও প্রপকাদির মধ্যে চরিত্ররূপে ব্যবহৃত প্রতীতিদেরকে স্বর্গীয়দূত, প্রপকাদিকে স্বর্গীয়দূতগণের ঘটনাবহুল চমৎকার এবং প্রপকাদির মধ্যে বর্ণিত ঘটনাদিকে প্রতীতিগণের বাস্তব জীবনাদর্শ বলে অন্ধবিশ্বাস করতে আরম্ভ করে। এভাবেই সর্ব প্রথম অন্ধবিশ্বাসরূপ বিষবৃক্ষের বীজ রোপিত হয়। অতঃপর দৈবিকা বা প্রতীতিগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার কারণে তার অনুসারিরা প্রপকাদির প্রচার ও প্রসার করা অনেক পুণ্যের কাজ বলে মনে করেন। এভাবেই সুসংগঠিত হতে থাকে একটি সম্প্রদায়। কয়েক শতাব্দি পরে এটি একটি বড় দলে পরিণত হয়ে যায়। সাথে সাথে সঞ্চিত হতে থাকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নীতিমালা। অতঃপর থরে-বিথরে সঞ্চিত নীতিমালা একত্রিত করে গড়ে উঠে একটি শাস্ত্রীয় মতবাদ। অভিনবরূপে নির্মিত শাস্ত্রীয় মতবাদ ও শাস্ত্রীয় নীতিমালা গ্রহণকারী শাস্ত্রীয় অনুসারির সংখ্যাও দিনের পরদিন বাড়তে থাকে।
একটি রূপকসাহিত্য নির্মাণের কয়েক শতাব্দি পর এভাবেই ঐ সাহিত্যটির ওপর নির্ভর করে এক বা একাধিক শাস্ত্রীয় মতবাদ বা শাস্ত্রীয় সম্প্রদায় আত্মপ্রকাশ করে থাকে। অন্ধবিশ্বাসরূপ এ বিষবৃক্ষের ডালপালা যুগেযুগে চারদিকে কেবল বাড়তেই থাকে। বিষবৃক্ষরূপ এ দ্রুতগামী ঘোড়াটি একদিন সারাবিশ্বে পরিভ্রমণ করতে সক্ষম হয়। এভাবেই অন্ধবিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত শাস্ত্রীয় মতবাদরূপ বৃক্ষের ছায়া একসময় সারাবিশ্বব্যাপী পতিত হয়।
মানবসভ্যতার ঊনবিংশ শতাব্দিটি দার্শনিক ও বিজ্ঞানিরা এ অন্ধবিশ্বাসের ঘোড়ার পিঠে চড়েই অতিক্রম করেছেন। এ দ্রুতগামী ঘোড়ার পিঠে আরোহণ করেই তারা তাদের সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তার অন্বেষণ করতেছিলেন। গত ঊনবিংশ শতাব্দির পূর্বে দীর্ঘ আড়াইসহস্র বছর এভাবেই অতিবাহিত হয়েছিল। তখন অধিকাংশ দার্শনিক ও বিজ্ঞানীও ধারণা করতেন যে, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে পরিভ্রমণ করে। কিন্তু আজ অন্ধবিশ্বাসের সে লৌহনিগড় কেটে ও অন্ধবিশ্বাসের কাল্পনিক ঘোড়াটিকে হত্যা করে আধুনিক বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যে, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে না বরং পৃথিবীই সূর্যের চারদিকে ঘুরে।
শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ পদ্ধতি (Construction methodology of schismatic doctrine)
বিশ্বের যে কোন একটি রূপকসাহিত্যকে কেন্দ্র করে একটি শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ করতে হলে এবং তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হলে একজন সুবিজ্ঞ শাস্ত্রীয় মতানুসারিকে উক্ত রূপকসাহিত্যটি হাতে নিয়ে অবশ্যই বলতে হবে যে এসব কোন মানুষের নির্মিত বাণী নয় বরং এসব স্বয়ং স্রষ্টার পক্ষ হতে মহামানবের নিকট অবতীর্ণ। তাকে আরো বলতে হবে যে, কেবল স্রষ্টার পক্ষ হতে প্রতীতির নিকট যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছিল তিনি কেবল তা-ই প্রকাশ করে ছিলেন। এ পবিত্র গ্রন্থের মধ্যে মানুষের নির্মিত বা রচিত কোন বাণী নেই। কারণ মানুষের নির্মিত বাণী এমন হতে পারে না। আর মানুষ যদি এরূপ বাণী রচনা করতে পারতেন তবে বিশ্বে অনেকেই এরূপ বাণী নির্মাণ করে দেখাতেন। কেউ শতবছর চেষ্টা করলেও এরূপ একটি বাণী নির্মাণ বা রচনা করতে অবশ্যই পারবেন না। এবার শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাতা শাস্ত্রীয় মতানুসারী ব্যক্তির উচিৎ যে সর্ব প্রথমে উক্ত রূপকসাহিত্যের মৌলিক সদস্যদের (The basic elements of ‘Fabulous literature’. দি বেসিক ইলিমেন্টস ওফ ফ্যাবুলাস লিটারেচার)। যথা- ১.আদিমানব, ২.আদিমানবী, ৩.বর্থ্য, ৪.সাংবাদিক (১-৩), ৫.সৃষ্টিকর্তা, ৬.পালনকর্তা, ৭.সংহারকর্তা, ৮.দৈবকর্মী, ৯.মুক্তি, ১০.স্বর্গ ও ১১.নরক- এ এগার (১১)টি সদস্যের জীবনযাপন প্রণালি, আকার প্রকার, আয়তন অবস্থান, আবাস নিবাস, বংশসারণী, সংখ্যা পরিমাণ ও কার্যক্রম যেক্ষেত্রে যা প্রযোজ্য তা নির্ধারণ করা। অতঃপর স্রষ্টাদের সম্মেলন ও দৈব সম্মেলন দ্বারা প্রয়োজনীয় সংস্কার করা আরম্ভ করা।
এক্ষেত্রে শাস্ত্রীয় মতবাদী পণ্ডিতকে সদস্যদের জীবনী, বংশ, জন্মস্থান, অবস্থান ও আকার প্রকার নির্মাণের সময় অবশ্যই সাতন্ত্রতা রক্ষা করতে হবে। যাতে অন্যান্য শাস্ত্রীয় মতবাদের সদস্যদের ছদ্মনাম বা রূপক উপমাদির সাথে মিলে না যায়। একটি নতুন শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণের ক্ষেত্রে তার অভিনবত্ব অটুট রাখার জন্য নিচে শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণের একটি অভিনব মৌলিকসদস্য নির্ঘণ্ট তুলে ধরা হলো।
শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণের মৌলিক সদস্য নির্ঘণ্ট (Fundamental member index of schismatic doctrine methodology)
রূপকসাহিত্যে বর্ণিত নরদেহের আদিকারণকে (শুক্র) ধরা হলো আদিমানব (আদিম (রূ)বি জানিক) এবং নারীদেহের আদিকারণকে (রজ) ধরা হলো আদিমানবী (আদিমা (রূ)বি জানিকা)। মুখের কথাকে ঐশিসাংবাদিক এক (১) এবং নারীদের রজকে ঐশিসাংবাদিক দুই (২) ধরে শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ করা হলো। মুখের কথা দেহ ও মনের দ্বারা পরিবার, সংসার ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় বলে এ তিনটিকে স্বর্গ (১.বৈচনি, ২.দৈহিকা ও ৩.মৈনাক) ধরা হলো এবং বাচালতা, অপকর্ম ও মুখবন্ধ করে থাকা হতে পরিবার, সংসার ও সমাজে তীব্র অশান্তি সৃষ্টি হয় বলে এ তিনটিকে নরক (১.বৈচাল, ২.কৈজাক ও ৩.গোমড়া) ধরা হলো। অতঃপর দেহধামের বিভিন্ন প্রকার সদস্য যেমন দেহ, আত্মা, মন, জ্ঞান, ইন্দ্রাদি, রিপু, রুদ্র, মন্দা, দশা ও ভালা মাত্রিকার সদস্যদের ঐশিকর্মী বা দেবকমী (প্রতীতি, দৈবিকা, জ্যোতিকা) ধরা হলো । এছাড়া অন্যান্য সদস্যদের রূপকসাহিত্যে বর্ণিত অর্থের মতোই রেখে দেওয়া হয়।
১. সৃষ্টিকর্তা = কাঁই
২. পালনকর্তা = সাঁই
৩. সংহারকর্তা = যম
৪. দৈবকর্মী = প্রতীতি, দৈবিকা, জ্যোতিকা
৫. সাংবাদিক (১) (মুখের কথা) = বলন(২) (নারীদের রজ) = বসিধ(৩) (কামরস) = জলোষ্ণ
৬. বর্থ্য (ব্যত্যয়কারী) = বর্থ্য
৭. আদিমানব = আদিম (রূ)বি জানিক
৮. আদিমানবী = আদিমা (রূ)বি জানিকা
৯. মুক্তি = অখণ্ডতা (রূ)বি জিষ্ণু
১০. স্বর্গ = স্বর্গস্বর্গের পরিমাণ = ৩টিস্বর্গের ছদ্মনাম = ১.বৈচনি, ২.দৈহিকা ও ৩.মৈনাক
১১. নরক = ৩টিনরকের পরিমাণ = ১.বৈচাল, ২.কৈকাজ ও ৩.গোমড়া
এবার ওপরোক্ত বিষয়বস্তু দ্বারা অত্যন্ত অভিনবরূপে একটি রূপকসাহিত্য নির্মাণ করি। অতঃপর উক্ত গ্রন্থের মধ্যে ব্যবহৃত ১.কাঁই, ২.সাঁই, ৩.যম, ৪.প্রতীতি, ৫.বলন, ৬.বর্থ্য, ৭.আদিম, ৮.আদিমা, ৯.জিষ্ণু, ১০.স্বর্গ ও ১১.নরক- এ ১১টি সত্তার সম্পূর্ণ অভিনব ব্যাখ্যা প্রদান করি। অতঃপর রূপকসাহিত্যে বর্ণিত রূপক চরিত্রাদির রূপক জীবনী নির্মাণ করি। এবার এ নতুন শাস্ত্রীয় মতবাদটি সার্বজনীন বা চিরস্থায়ী করার জন্য গ্রন্থটির মধ্যে ব্যবহৃত কঠিন ও দুর্বোধ্য শব্দাদি ও নতুন নতুন পরিভাষাদির অভিনব ব্যাখ্যা প্রদান করি। এবার আমাদের একটি নতুন শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ করা শেষ হলো।
অতঃপর রূপক সাহিত্যের সারগর্ভ ও শিক্ষামূলক চমৎকারাদি সমাজে ও লোকসমাজে বা পথেঘাটে পুনঃপুন প্রচার-প্রসার করতে আরম্ভ করি। ফলে অত্র অঞ্চলের লোকজন উক্ত চমৎকারাদির দ্বারা বর্ণিত প্রতীতি ও শিক্ষামূলক উপাখ্যাদির প্রতি ক্রমে ক্রমে দুর্বল হতে থাকবে ও সে সব বিশ্বাস করতে থাকবে এবং লৌকিকাদির প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকবে। শাস্ত্রীয় অন্ধবিশ্বাসের লৌহ নিগড়ে একবার মানুষকে আবদ্ধ বা বশীভূত করতে পারলেই তার ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায় সে সংস্কার অকাতরে মাথা পেতে নিতে বাধ্য করতে হয়। শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ শিল্পটিও অতি প্রাচীন শিল্প। তবে এরও আরো অনেক প্রাচীন হলো রূপকসাহিত্য নির্মাণ শিল্প। এ জন্য রূপকসাহিত্য শিল্পকে মানবসভ্যতার প্রথমশিল্প বা ‘আদিশিল্প’ বলা হয়।
এ শিল্পটির নাম শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ শিল্প। তবে বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় মতবাদী পণ্ডিতগণের অভাবে বর্তমানে এ শিল্পটি মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছে। নতুন কোন শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ করা হলে বা প্রতিষ্ঠা করা হলে একসঙ্গে এখানে অনেক লোকের কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এতে একদিকে ভুয়া মতবাদকর্মও করা হয় অন্যদিকে কিছু অজ্ঞ ও মূর্খ শাস্ত্রীয় মতানুসারির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা বা রুটিমুটিরও ব্যবস্থা হয়। আবার কিছুকিছু অজ্ঞলোক ও মূর্খলোকের মৌখিকভাবে শাস্ত্রীয় মতবাদ প্রচারের মাধ্যমেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। আবার কিছু লেখক, গবেষক, মতবাদ বিশারদ, শাস্ত্রীয় পরিভাষাদির বৈখ্যিক ও টৈকিকগণের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে। আবার রূপক লৌকিকাদির আলোচনার দ্বারাও অনেক গায়ক-বক্তার কর্মসংস্থানের উত্তম ব্যবস্থা হয়ে থাকে। কোন শাস্ত্রীয় মতানুসারী পণ্ডিত একবার মাত্র যুক্তি, দর্শন ও বিজ্ঞানের সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর শাস্ত্রীয় মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তা আর ঠেকাই কে? শাস্ত্রীয় মতবাদ এরূপ অবস্থায় উন্নীত হলে তা কখনই বিলুপ্ত হয় না। অত্যন্ত সহজসরল ও শ্রমহীন এবং আরামপ্রিয় ভাবে জীবিকা নির্বাহের অফুরন্ত সুযোগ থাকায় সমাজের অল্পজ্ঞানী বা খুষ্কজ্ঞানিরা ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায় উক্ত শাস্ত্রীয়দর্শন গ্রহণ করতে থাকেন এবং স্বস্ব প্রচেষ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে জনমত সৃষ্টি করার দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন। ফলে শাস্ত্রীয় দর্শনের প্রচার ও প্রসার দিনের পর দিন বাড়তেই থাকে।
পরিশেষে বলা যায়- পদার্থের গুণ বা বৈশিষ্ট্যকে ধর্ম বলা হয়। যেমন আগুনের ধর্ম দাহ্য করা, চুম্বকের ধর্ম আকর্ষণ করা, কম্পাসের ধর্ম দিকদর্শন করা, জলের ধর্ম নিম্নগমন করা ও বাতাসের ধর্ম উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের বাংভারতীয় উপমহাদেশে যাকে ধর্ম বলা হয়/ হচ্ছে সেগুলো আদৌ ধর্ম নয় বরং সেগুলো হলো শাস্ত্রীয় মতবাদ বা সাম্প্রদায়িক মতবাদ। ধর্ম চিরন্তন, শাশ্বত, সার্বকালীন ও সার্বজনীন। কিন্তু শাস্ত্রীয় মতবাদ বা সাম্প্রদায়িক মতবাদ চির আপেক্ষিক। যেমন আমাদের বঙ্গদেশে পূর্বকালে হিন্দু মতবাদ ছিল। আমরা সবাই ছিলাম হিন্দু। বর্তমানে অধিকাংশই রয়েছি মুসলমান। আবার কিছুদিন পর আজকের ইসলামী মতবাদও হয়ত থাকবে না। এখানকার অধিকাংশ লোক হয়ত আবার গ্রহণ করবে লালন কিংবা বলন মতবাদ। তাই আসুন আমরা না জেনে ও না বুঝে ধর্মকে মতবাদ এবং মতবাদকে ধর্ম বলা হতে বিরত থাকি।
শাস্ত্রীয় গ্রন্থকে (ধর্মগ্রন্থ) ঐশীগ্রন্থ বলার কারণ কী? (What is the cause to say schismatic book the celestial book?)
সাধারণত ঐশীগ্রন্থ বলে কোন গ্রন্থ নেই। তবে কেবল মানব দেহকেই ঐশী গ্রন্থ বলা যায়। যেহেতু দেহ জঠররূপ ঐশীধাম হতে অবতরণ করে থাকে। আর আদিকাল হতে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সব মানুষ কেবল দেহকেই পাঠ করে চলেছে। মানব দেহের রোগ পড়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞান ও দেহের রেখা ও তিলক পড়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে জ্যোতির বিজ্ঞান। এ ছাড়াও যোগ, ইয়োগা, অ্যাকুপ্রেসার ও ধ্যান সবই কেবল দেহকে পাঠন-পঠন বিদ্যা। তবে শাস্ত্রীয়রা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই মানবরচিত রূপকসাহিত্যকে ঐশীগ্রন্থ বলে প্রচার প্রসার করে থাকে। এর অন্যতম কারণ হলো- মানবরচিত গ্রন্থগ্রন্থিকা সাধারণত সাধারণ মানুষ মেনে নিতে চায় না। কিন্তু ঐশীগ্রন্থ বললে সাধারণ মানুষ দ্রূত মেনে নিতে চায়। সারা বিশ্বের সর্ব শ্রেণির সাম্প্রদায়িকরা এ কৌশলটিই কাজে লাগানোর চেষ্টা করে থাকে।
কার্যত দেখা যায় বিশ্বের কোন সাম্প্রদায়িকই স্বস্ব শাস্ত্রীয় গ্রন্থকে মানব রচিত বা মানব নির্মিত বলতে চায় না। আপনি পুরাণীদের প্রশ্ন করে দেখুন তারা বলবে তাদের গীতা স্বয়ং মহামতি শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বাণী। অন্যদিকে ত্রিপিটকীদের প্রশ্ন করে দেখুন তারা বলবে ত্রিপিটক স্বয়ং বুদ্ধদেবের বাণী। আর বুদ্ধদেব স্বয়ং ব্রহ্মা প্রেরিত মহামানব। আপনি কুরানীদের প্রশ্ন করে দেখুন তারা বলবে পবিত্র কুরান স্বয়ং আল্লাহর বাণী। ইহুদিদের প্রশ্ন করে দেখুন তারা বলবে তৌরাত স্বয়ং প্রভুর বাণী। কারণ শাস্ত্রীয়রা জানে যে, মানুষের বাণী বললে শাস্ত্রীয় গ্রন্থের সম্মান অনেক হ্রাস পায়। আর সাধারণত মানব রচিত বাণী মানুষ কখনই শাস্ত্রীয় গ্রন্থরূপে মেনে নিতে চায় না। পরিশেষে বলা যায় শাস্ত্রীয় গ্রন্থের মান বাড়ানো এবং পুণ্য-ব্যবসা ও স্বর্গ ব্যবসার জন্যই শাস্ত্রীয় গ্রন্থকে ঐশীগ্রন্থ বলা হয়।
(সংক্ষিপ্ত)
সূত্রতথ্যঃ
আত্মতত্ত্ব ভেদ (৬ষ্ঠ খণ্ড)
লেখকঃ বলন কাঁইজি

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৫৮

নরাধম বলেছেন: অঅ....হাউ কিউট! ডায়রিয়া হইছে বুঝি? দুগ্গা দুগ্গা! এই বলদ কাঁইজিটা কি আপনি? নাকি বলদের ওস্তাদ আরেক বলদ?
দুগ্গা দুগ্গা!

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৫৬

সৈয়দ তাজুল বলেছেন:
ঘটনাটি ধারণাভিত্তিক বর্ণিত।

এ রকম ঘটনা আমার মনে হয় প্রচার ক্ষমতা রাখে না। কারণ এটা নবীজির জন্মের অনেক বছর পূর্বের। আর ঘটনা বর্ণনাকারী রাবীর নাম আপনিও দেননি। আমারও মনে পরছে না। আমি যদ্দুর জানি, এটা খুব একটা শক্তিশালী রেওয়ায়ত দ্বারা প্রমাণিত না।

আপনি যদি রাবীর নামটা একটু বলতেন এবং সেই সাথে মূল গ্রন্থের রেফারেন্স দিতেন তাহলে উপকার করতেন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৫৯

নরাধম বলেছেন: এটা রাসুল (সাঃ)-এর যে কোন নির্ভরযোগ্য জীবনিগ্রন্থে পাওয়া যাবে। আর আমি অনুবাদ করেছি, সূত্র নিচেই উল্লেখ করেছি।

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:০৫

পরম কাঁইজি বলেছেন: অবশেষে একটি কথা মনে রেখ মিথ প্রচারের সময় শেষ

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১১

নরাধম বলেছেন: আচ্ছা মনে রাখব।

৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১০

শাহ আজিজ বলেছেন: ভালো হয়েছে বর্ণনা । আমিও এরকমটাই পড়েছি কিছুকাল আগে , পীরের নাম কাহিনা , মদিনার লোকের ভিতর বেশ প্রভাব ছিল । তখন এদের সবাই ইহুদি ধর্ম পালন করত এবং কাবায় অক্টোবরে যে উতসব হত তা ইউনিভারসাল ছিল মানে সর্ব বিশ্বাস ও মতের লোকেরা আসত তিন দিনের পুজা আর মচ্ছবে ।

কাইজির লেখা কপি নিলাম পরে পড়ব বলে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৩

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৩

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: ভাই রাগ করবেন না,

এটা কোন রেফারেন্স হতে পারে না। আমি চাচ্ছি মূল গ্রন্থের রেফারেন্স(মার্টিন লিংস যে গ্রন্থ থেকে নিয়ে আসছেন সেই গ্রন্থের রেফারেন্স চাচ্ছিলাম)।

আমি নিজেও অনেক গ্রন্থে এমনটা পড়েছি। পড়েছি বলেই যে সম্পূর্ণ ঠিক হয়ে যাবে তা কিন্তু না। আর রাহিকুল মাখতুমের মত যত গ্রহণযোগ্য গ্রন্থ রয়েছে সেগুলোতে এটার তেমন ডাকঢোল পিটিয়ে বলা হয়নি। যদি ঘটনাটির মূল রাবীর পরিচয় ও মূল।গ্রন্থের নাম বলতেন তাহলে কৃতজ্ঞ হতাম।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২৪

নরাধম বলেছেন: ভাই, মার্টিন লিংসের বই অথেনটিক সোর্স থেকে, সারা বিশ্বে নাম করা বই। মার্টিন লিংস আল্লাহর বড় বুজোর্গ ছিলেন, সারাজীবন সুন্নতের উপর আ'মাল করেছেন। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন, আমিন!
আর এ কাহিনী ইবন হিশামে বর্ণিত আছে, প্রথম খন্ড। নিচে লিংক দিলাম, পেইজ ৫৫। এটা ইংরেজিতে।



https://asimiqbal2nd.files.wordpress.com/2010/09/seerah-ibnhisham.pdf

১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: আপনার অনুবাদ অনেক ভাল হয়েছে। (অনুবাদ করার ক্ষেত্রে আমাদের দখল খুব প্রয়োজন। কারণ আমাদের বাংলা বইগুলোকে আন্তর্জাতিক মহলে তুলতে হলে আপনাদের প্রয়োজন আছে।
শুভকামনা আপনার জন্য।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২৫

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দ্বীনের খিদমত করার তাওফিক দান করুন, আমিন!

১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

আলুমিয়া বলেছেন: As per my understanding of history of Islam- at the time of Abu Muttalib and before Muhammad(S) - they prayed to hundreds of God and Goddess.

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২৬

নরাধম বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। তবে মক্কায় সামান্য কিছু লোক ছিল যাদেরকে হানিফ বলত, তারা মূর্তিপূজা করতনা, এক খোদায় বিশ্বাস করত। আব্দুল মুত্তালিবও মূর্তিপূজা করত না।

১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৯

শাহ আজিজ বলেছেন: আলুমিয়া ## ৩৬০ জন দেবদেবীর মূর্তি/ ভাস্কর্য ছিল মক্কা বিজয়ের সময়ে ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২৭

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২৯

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: ছুম্মা আমীন, ইয়া-রাব্বালা-আলামীন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

নরাধম বলেছেন: আমিন!

১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: বেশি জটিল করে বুঝার দরকার নেই । না বুঝলে না পড়বেন। বুজলে আমল করবেন। আমি আমার মতো করে চলি । তবে কাহিনীটা অনেক আগে কোন এক ওয়াজে শুনেছিলাম। আবারো পড়লাম।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ!

১৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

ক্স বলেছেন: প্রথমত, আব্দুল্লাহ আব্দুল মুত্তালিবের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান নন। আবদুল্লাহর ছোট দুই ভাই (আব্বাস ও হামজা) এবং এক বোন (সাফিয়া - যাকে পরবর্তীতে খাদীজার ছোট ভাই আওয়াম বিয়ে করেন) ছিল।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

নরাধম বলেছেন: এই কাহিনী যখন হচ্ছিল, তখন কি হামজা (রাঃ) জন্মগ্রহণ করেননি, তিনি রাসুল (সাঃ)-এর একই বয়সী। তবে আব্বাস (রাঃ) জন্মগ্রহণ করেছেন।

মার্টিন লিংসের বইয়ে চেক করলাম, এখানে বলছে আব্দুল্লাহ ছাড়া অন্য সবাই যখন যুবক হয়ে গিয়েছে তখনকার কথা, সে সময়ে আব্দুল্লাহ সবার ছোট ছিলেন। সেটাই বলছে। আপনাকে ধন্যবাদ এটা বলার জন্য। আমি ঠিক করে দিচ্ছি।

১৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

ক্স বলেছেন: দ্বিতীয়ত, আল্লাহ্‌র ৯৯ নামের মধ্যে স্রষ্টা, বিধাতা, পালনকর্তা, অন্নদাতা, দয়াময় আছে - ঈশ্বর নেই। কাজেই ঈশ্বর শব্দটি দিয়ে আল্লাহকে বুঝানো ইসলামী সংস্কৃতির পরিপন্থি।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

নরাধম বলেছেন: এখানে ঈশ্বর আমি ইংরেজি গড শব্দের অর্থ ব্যবহার করেছি। কাহিনী বর্ণনা করছি মুহাম্মদ (সাঃ) আসার আগে, তারা সেসময়ও আল্লাহই বলত আল্লাহকে। তবে যেহেতু ইসলামের আল্লাহর কন্সেপ্ট আর মক্কার কাফিরদের আল্লাহর কন্সেপ্ট ভিন্ন, তাই আমি ঈশ্বর লিখেছি।

১৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আমি মহানবী বাল্যকাল,কৈশর এই সময়গুলো নিয়ে ভাল কোন জীবনীগ্রন্থ(বাংলা,ইংরেজি) খুজছি। আপনার জানা থাকলে জানাবেন প্লিজ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক। নিচের কমেন্টে আপনার জবাব পাবেন। তাছাড়া আমার ফেসবুকে আহমেদ রিজভি নামে একজনের কাছ থেকে নিচের তথ্য পেলাম।

মূলঃ মুহাম্মদঃ হিজ লাইফ বেজড অন দ্য আর্লিয়েস্ট সোর্সেস- (মার্টিন লিংস)
*১৯৮৩ সালে লন্ডন থেকে ৩৬৮ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত।

বঙ্গানুবাদঃ-

১. জগতগুরু শুভদ নেতা মুহাম্মদ (সাঃ)- আবদুল হাকিম। মম প্রকাশ।

২. মহানবীর জীবন আলো- আবু জাফর। হাক্কানী পাবলিশার্স। ২০০০ ইং। ৫৪৫ পৃষ্ঠা।

৩. মুহাম্মদ (সাঃ); নিকটতম সূত্রনির্ভর জীবনী- ড. মো. এমতাজ হোসেন এবং ড. মনজুর রহমান। সৃজনী প্রকাশনী।

১৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আমি মহানবী বাল্যকাল,কৈশর এই সময়গুলো নিয়ে ভাল কোন জীবনীগ্রন্থ(বাংলা,ইংরেজি) খুজছি। আপনার জানা থাকলে জানাবেন প্লিজ।

আপনি আল্লামা সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রঃ) এর 'আর-রাহীকুল মাখতূম' গ্রন্থটি সংগ্রহ করে পড়তে পারেন। ১৯৮৭ সালে রাবেতা আল-আলম আল-ইসলামী আয়োজিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনীর উপর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ১১৮২টি গ্রন্থের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারী স্মারক গ্রন্থ এটি।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

নরাধম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। বইটা সম্পর্কে জানতাম না, আপনার থেকে তথ্য পেয়ে ভাল লাগল।

২০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



@পলক শাহরিয়ার,

এই লিঙ্ক থেকে সরাসরি ডাউনলোড করে নিতে পারেন সম্রাট ইজ বেস্ট ভাইয়ের উল্লেখিত বিখ্যাত সিরাত গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ। পোস্টটি বিস্তারিত পড়া হয়নি তাই পোস্ট বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম। তবে, বিষয় নির্বাচনে পোস্টদাতাকে মোবারকবাদ।

Ar Rahikul Makhtum_Bangla

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪

নরাধম বলেছেন: লিংকটা কি চেক করবেন? আমি ক্লিক করলে এরর দেখায়।

২১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

আমার কণ্ঠ বলেছেন: Chagol পরম কাঁইজি ki bolli eita.
Jodio ami temon comment kori nah, but apnar comment pore reply dite mon chailo.
Provur sathe jogajog ei deho tori diye e korte hobe kintu khetro ase. mon gora moto baad prochar kore khokhonoi provuke paoa jai nah. Sudhu chagol ra e bole dhormo grontho manob rochito.

Tore ekta totto dei, google e search kor, Lataif in islam 'https://ghayb.com/2016/03/the-lataif-of-islam/'
Nah jene toder moton gadha ebon olpo jene kathmolla ra onek kisui bole.
Chagol er moton pata kele, patha o kosto pay.

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

নরাধম বলেছেন: কাঁইজি ভাই মূর্খমানুষ, তাই এসব বেকুবদের নিয়ে মাথা ঘামানোতে লাভে নাই।

২২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

চোরাবালি- বলেছেন: # চাঁদগাজী- জ্ঞানের তারিফ করতে হয়। আরব তো দুরে থাক মুত্তালিবের সম্পদ সম্পর্কে তার কোন জ্ঞান নাই।

আমি এধরনের লেখা পড়ি নাই আগে। বা আমার অজানা।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এই কাহিনি আগেই পড়েছি।

অনেক সুন্দর হয়েছে।

কিন্তু আল্লাহ পরিবর্তে ঈশ্বর লিখা ঠিক হয়নি।

ইংরেজীতে গড থাকলেও আপনি অনুবাদে আল্লাই লিখবেন।

+++

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

নরাধম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


হযরত মোহাম্মদ (স:)'এর জন্মের ৫০০ বছর আগেও মক্কা এলাকায় মানুষ বলি দেয়া হতো না।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

নরাধম বলেছেন: এটা মুহম্মদ (সাঃ)-এর জন্মের আগের বছরের কাহিনী, ৫০০ বছর আগের না। আর আপনি মুর্খলোক, এসব নিয়ে মাথা না ঘামানোয় ভাল।

২৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্যরি, কিভাবে ইমো মিমো যোগ হয়ে গেছে:

হযরত মোহাম্মদ ( স: )'এর জন্মের ৫০০ বছর আগেও মক্কা এলাকায় মানুষ বলি দেয়া হতো না। আপনি আজগুবি রূপকথা চালু করছেন

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

নরাধম বলেছেন: লেখাটার মূল সোর্স ইবনে হিশামের বই। আমি মার্টিন লিংসের বই থেকে অনুবাদ করেছি। আপনি এসব ব্যাপারে মাথা ঘাময়েন না, সবাই সবকিছু জানার বা বুঝার ক্ষমতা রাখে না। সবার ব্রেইন তো সমান হয় না।

২৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

জেকলেট বলেছেন: @পরম কাইজি; আপনার লেখা পড়লাম এবং ইউটিউব ভিডিও দেখলাম। আপনি নিজেই মনে হয় রেফারেন্সের ভিডিওটা পুরা দেখেন নাই। এখানে কাবা বা মক্কা কে মিথ হিসেবে দেখানো হয় নাই বরং উনার দাবি মক্কা বলে এখ যে এলাকাটিকে বলা হয় তা সঠিক নয়। পেট্রা নামক জায়গা হচ্ছে আসল মক্কা যেখানে প্রফেটের জন্ম এবং প্রফেটের বংশধর ও সেখানেই ছিলো।
যাই হউক উনার গবেষনা কর্মকে কো নাম করা এমনকি ইসলাম ধর্ম নিয়ে যারা সন্দেহ পোষন করেন তারা ও গুরুত্ব দিতে নারাজ। এই টাকে গবেষনা নাবলে সবাই একটা মনগড়া ধারনা বলছেন। উনার ইসলাম, কোরআন, হাদিস কি এবং এই গুলোর সংকলনের ইতিহাস হয় জানা নেই অথবা জেনে বুঝে মিথ্যা বলছেন।
উনার গবেষনার সবচেয়ে বড় দূর্বলতা হচ্ছে উনি মনে করেন আব্বাসিয়রা আসলে কোরআন বিকৃতি করেছে বা নয়া করে সংকলন করেছে।
যাই হউক এই সকল গাজাখোরি রেফারেন্স না দেয়ার অনুরধ রইল।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

নরাধম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

কচু+আলু+আদা বলেছেন: কোরআনে এ ধরনের লটারির পশুর মাংস খাওয়া হারাম করা হয়েছে। লটারিকেও কোরআন হাদীসে হারাম করা হয়েছে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৫

নরাধম বলেছেন: এ কাহিনী কোরান অবতীর্ণের আগের। অনেক ধন্যবাদ।

২৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটি বেশ হয়েছে। পড়ে আরাম পাওয়া গেল।

আপনি কি চাঁদগাজী'র উপর কোনো কারনে রেগে আছেন? কাউকে খোঁচা দিয়ে মন্তব্য করলে আমার ভালো লাগে না। বিশেষ করে চাঁদগাজীর মতো মানুষকে।

ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৭

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

চাঁদগাজী মহামূর্খ, কিন্তু আবার ভান ধরে অনেক জেনেশুনে আইনস্টাইন হয়ে গেছে। এরকম লোকদের অপছন্দ আমার।

২৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৩৩

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম, পড়ে মন দিয়ে পড়ব।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:২২

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।

৩০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:০৯

হাসান রাজু বলেছেন: পরম কাঁইজি'র https://youtu.be/ko94_TdLrCE লিংকটা দেখলাম । আবার এর বিপক্ষে যুক্তি খণ্ডন করা কয়টা ভিডিও দেখলাম। একেবারে চোখে আঙ্গুল দিয়ে ড্যান গিবসনের জোচ্চুরি দেখিয়ে দিয়েছে।

হা হা ......

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:২৫

নরাধম বলেছেন: এসব হাজার বার ডিবাংকড কন্সপিরেসি থিয়রী, ইতিহাস না। তাই এসবকে পাত্তা দেওয়ার কিছু নাই। আর পরম সাহেব বলদের নাতি। এদের মাথায় গোবর, তাই কোন কিছুই বুঝে না।

৩১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ভুলে ভরা বই থেকে অনুবাদ করছেন; বর্তমান বছর, ঢাকার বইমেলাতে শতকরা ৯০ ভাগ বই ছিলো নীচু মানের; আপনাকে ভাবতে হবে, আপনি কি ধরণের তথ্য পরিবেশন করছেন।

নবী ( স: ) বাল্যকালে মক্কা খুবই দরিদ্র ছিল; অনেক ব্যবসায়ী মিলিত হযে, কাফেলা নিয়ে তারা আশেপাশে ব্যবসা করতে যেতো; ১০০ উট মুত্তালিব সাহেব কিছুতেই যোগাড় করতে পারার কথা নয়; এবং সেই সময়ে মানুষ বলি দেয়ার নিয়ম মক্কায় ছিলো না।

আপনি ভেবেচিন্তে লিখুন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৩৬

নরাধম বলেছেন: আমি ঢাকার বইমেলার বই থেকে অনুবাদ করছি না। আমি যে বই থেকে অনুবাদ করছি, সেটা লেখার শেষে দেওয়া আছে। সেই রেফারেন্স দেখেন। আর এই কাহিনীর অরিজিনাল সোর্স ইবনে হিশামের বই, আমি একটা কমেন্টের উত্তরে ইবনে হিশামের ইংরেজী ট্রান্সলেশানের পৃষ্ঠা নং আর পিডিএফ লিংক দিছি। ইংরেজী পড়তে জানেন? কমেন্ট পড়ে মেট্রিক ফেইল মনে হয়, পারার কথা না। নাকি বংগবন্ধুর নকল-পাসের বছরে মেট্রিক পাশ করছেন? তবুও বানান করে পড়ে দেখেন, চেষ্টায় কি না হয়।

আর এম্নিতে যা জানেন না সেটা নিয়ে তর্ক করতে যায়েন না। যত্রতত্র লাদি ছড়ানো বন্ধ করেন।

৩২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



দু:খিত! উপরের লিঙ্কটা কাজ করছে না, আমিও দেখলাম। এটাতে একটু ট্রাই করে দেখতে পারেন-

Ar-Raheeq Al-Makhtum ( Bangla / বাংলা )

ধন্যবাদ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

নরাধম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আমি ফেইসবুকেও এটা পোস্ট করব।

৩৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমার কাছে সীরাতের বিস্তারিত, গবেষণা লব্ধ , নির্ভরযোগ্য কিতাব মনে হইয়াছে আল্লামা ইদ্রিস কান্ধলবী র. প্রণীত 'সীরাতুল মুস্তফা সাঃ'. ইসলামিক ফাউন্ডেশন হইতে ৩ খন্ডে এবং আরো প্রকাশনী হইতে প্রকাশ হইয়াছে ! পড়িয়া দেখিতে পারেন।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০১

নরাধম বলেছেন: আল্লামা ইদ্রিস কান্ধলবী র. কি আল্লামা ইলিয়াস র.-এর কাছের কেউ?

৩৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমার কাছে সীরাতের বিস্তারিত, গবেষণা লব্ধ , নির্ভরযোগ্য কিতাব মনে হইয়াছে আল্লামা ইদ্রিস কান্ধলবী র. প্রণীত 'সীরাতুল মুস্তফা সাঃ'. ইসলামিক ফাউন্ডেশন হইতে ৩ খন্ডে এবং আরো প্রকাশনী হইতে প্রকাশ হইয়াছে ! পড়িয়া দেখিতে পারেন।

৩৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



@ভাই টারজান০০০০৭,
আপনার মূল্যায়ন যথার্থ। ভাল লাগলো। 'সীরাতুল মুস্তফা সা:' সাম্প্রতিককালে কৃত সীরাত গ্রন্থের ভেতরে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার বটে। ৩ পর্বে সমাপ্ত ইফা প্রকাশিত বইটি আমার কাছেও অনন্য। ইফা'র সফট লিঙ্কটি এখানে দিয়ে দিচ্ছি। কারও যদি কাজে লাগে-

Seeratul Mustafa (S.A.W) : Allama Idris Kandhlawi

সন্দেহ নেই, আল্লামা সফিউর রহমান মুবারকপুরীর বইটিও ভাল। তবে, আদ্যোপান্ত অনুবাদ পড়তে গেলে, একটি বিশেষ মতবাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার একটা ক্ষীন প্রচেষ্টা প্রকটভাবে লক্ষনীয় হয়ে ওঠে। মূল কিতাবটি হয়তো এই দলতোষনের দোষ থেকে মুক্তই ছিল। অনুবাদ গ্রন্থের এরকম প্রচেষ্টা মূল কিতাবের সম্মান ক্ষুন্ন করেছে মনে করি। এই দিকগুলো আহত করে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৪

নরাধম বলেছেন: আপনি কি দলতোষন বলতে সালাফী/সৌদী রাজবংশ তোষনের কথা বলছেন? নাকি অন্যকিছু?

লিংকের জন্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১০

নরাধম বলেছেন: আমি ফেসবুকে লিংটা শেয়ার করছি। জাযাকাল্লাহ!

৩৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: নকিব ভাইয়ের সর্বশেষ কমেন্টের সাথে আমি একমত। কোন একটি মতবাদের প্রতি ক্ষীণ পক্ষপাতিত্বের আভাস পাওয়া যায়। তবে সীরাতগ্রন্থ হিসেবে বেস্ট বলা যায়।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:০৯

নরাধম বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ব্যাপারটা। কিন্তু কি আর করা!

৩৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



@পোস্ট লেখক, আপনি ঠিক ধরেছেন। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ। এটা খুবই দুঃখজনক যে এরা সবকিছুকে রাজনীতিকরন করে ফেলছে। আল্লাহ আমাদের ফিৎনা থেকে হেফাজত করুন, আমিন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.