নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"শপথ নিয়েছি খোদার তরেই প্রাণ বিলিয়ে দেব,ঝড় তুফানে,প্রাণ যদি উড়ে যায় মরণে স্বাদ না পাব\"

নাসিম ফেরদৌস

নাসিম ফেরদৌস › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াতে ইসলামী কোন প্রতীক সর্বস্ব দল নয়

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সম্প্রতি একটি সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশী ভাইরাল হচ্ছে।আর তা হল সুপ্রিম কোর্ট নাকি সিদ্ধান্ত নিয়েছে "দাড়িপাল্লা" প্রতীককে নাকি আর কোন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহার দিবে না। এর যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে এটা যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব প্রতীক তাই "দাঁড়িপাল্লা " ব্যবহার করার অধিকার কোন রাজনৈতিক দলের নেই। সুপ্রিম কোর্ট এটা সংবিধানের কোন ক্ষমতা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমরা তা জানি না। আমরা জানি পৃথিবীর সকল আদালত ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে "দাড়িপাল্লা প্রতীক" ব্যবহার করে থাকে।পৃথিবীর অনেক দল তাদের দলীয় প্রতীক হিসেবে"দাঁড়িপাল্লা " প্রতীক ও ব্যবহার করে থাকে।কিন্তু আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কোন দেশ তাদের দেশের কোন দলকে তাদের দলীয় প্রতীক হিসেবে "দাড়িপাল্লা" এর উপর কোন নিষেজ্ঞা আরোপ করে নি।তবে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট কেন করল? সুপ্রিয় কোর্ট যে যুক্তিবলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা হলে পুলিশের অফিসিয়াল প্রতীক হিসেবে "নৌকা" প্রতীক ও কোন বিশেষ দলের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত।আসলে আদালতের এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হল জামায়তে ইসলামীর উপর সরকারের জলুম নিপীড়নের কফিনের পেরেকে সর্বশেষ পেরেকটুকু ও ঠুকে দেওয়া। জামায়াতে ইসলামীর "দাড়িপাল্লা" প্রতীক এদেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় প্রতীক।এদেশের মজলুম মানুষেরা "দাঁড়িপাল্লা " প্রতীককে ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে মনে করত।নির্বাচন কমিশনে মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ইসলামী দলকে সকল নির্বাচন থেকে তাদের ঐতিহ্যবাহী এই প্রতীক ব্যবহার করা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এখন আদালতের এই আজব সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই দলকে চূড়ান্ত ভাবে তাদের দলীয় প্রতীক"দাঁড়িপাল্লা "ব্যবহারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।বাতিলেরা জামায়াতে ইসলামীকে অন্য দলগুলোর মত প্রতীক সর্বস্ব দল মনে করে।এরা মনে করছে জামায়াতকে প্রতীক ব্যবহার করতে না দিলে এই দল আস্তে আস্তে হারিয়ে বা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।কিন্তু ওরা জানে না ইসলামের আন্দোলনের কর্মীরা প্রতীক নয়, আদর্শকে বুকে ধারণ করে। আর্দশের চেয়ে প্রতীক কখনো তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হতে পারে।আদর্শের প্রয়োজনে তারা এমন হাজারো প্রতীকে যারা বির্জন দিতে পারে। সুতরাং জামায়াতে ইসলামীর মত একটি আদর্শবাদী দলের প্রতীক নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে খুব বেশী উল্লাস প্রকাশ করছেন বা খুব বেশী হতাশ হচ্ছেন তাদের খুব উল্লসিত বা হতাশ হওয়ার কিছু আছে বলে মনে হয় না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.