নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবাক চোখে দেখি বিস্ময়কর বাংলাদেশ

নাসিরন আক্তার

লেখক হতে চাই না লিখতে চাই মানুষের জন্য,দেশের জন্য ।বাঁচতে চাই মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিঃস্বার্থভাবে বিলিয়ে দিয়ে।ব্লগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের কথা ছড়িয়ে দিতে চাই আমার সকল ব্লগার ভাই-বোনদের মাঝে।কথা দিয়ে নয় দৃশ্যমান কিছু করে দেখাতে চাই ব্লগার ভাই-বোনদের সাহায্য-সহযোগীতা নিয়ে।

নাসিরন আক্তার › বিস্তারিত পোস্টঃ

২২ঘন্টা পর কবর থেকে উদ্ধার জীবন্ত মানুষ(পর্ব-৩)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

পুলিশ যখন কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে শুরু করেছিলেন তখন সমস্ত আলগা মাটি কোদালের সাথে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছিল।কিছুক্ষণ খোঁড়ার পর মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে এসেছিল সদ্য বাঁশের তৈরি একটা চাটাই ৷চাটাই সরানোর পর বেরিয়ে এসেছিল আড়াআড়ি ভাবে সাজানো কিছু কাঁচা বাঁশ৷বাঁশগুলি দেখে মনে হয়েছিল ঠিক যেন কবরের উপরে সাজানো রয়েছে৷দু’টো বাঁশের মাঝখানে সামান্য একটু ফাঁক ছিল৷কাজী আবেদ হোসেন সেই ফাঁক দিয়ে উঁকি দিতেই বেরিয়ে এসেছিল বিকট ভ্যাপসা এক গন্ধ৷সেই গন্ধে দম যেন বেরিয়ে আসতে চায়।নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখে মোবাইলের আলো ভেতরে ফেলে তিনি দেখতে পেয়েছিলেন কবরের একটি মুখ।সেই মুখে উঁকি দিতেই তিনি একটি সুড়ঙ্গ পথ দেখতে পেয়েছিলেন।মোবাইলের আলো আর একটু ভেতরের দিকে দিতেই তিনি দেখতে পেয়েছিলেন ,

২জন মানুষ একজন অন্যজনকে জড়িয়ে ধরে খুবই ধীর গতিতে নড়ছিল।মানুষ ২জন ছিল অর্ধ মৃত প্রায়।তবুও তাদের ছিল বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা।একজন অন্যজনকে সাপের মত পেঁচিয়ে ছিল।তিনি সাথে সাথে তার পকেট থেকে নোটবুক বের করে ফায়ার ব্রিগেডকে ফোন দিয়েছিলেন আর বলেছিলেন বাসস্ট্যান্ডের কাছেই আমি কবর থেকে দু’জন মানুষকে উদ্ধার করছি,যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাড়ি নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছাতে হবে।বলেই তিনি কবরের মধ্যে নেমে পড়েছিলেন।তার ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাইরেন বাজিয়ে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে গিয়েছিল।তার নির্দেশ মত গাড়িটিকে এমন ভাবে সুড়ঙ্গের মুখের দিকে রাখা হল যাতে অতি সহজেই মানুষ দু’জনকে গাড়িতে তোলা যায়।গাড়িটিকে সঠিক স্থানে রেখে ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা কবরের ভিতর নেমে গিয়েছিলেন্ আর তিনি ছিলেন কবরের সুড়ঙ্গ মুখে। তারা পর্যায়ক্রমে মানুষ দু’জনকে তুলে কাজী আবেদ হোসেনের হাতে দিয়েছিলেন ।তিনি নিজ হাতে একজনকে গাড়িতে তুলেছিলেন এবং অপর জনকে গাড়িতে তোলার সময় কাজী আবেদ হোসেনের হাতের উপর একটা কাঁপুনি দিয়ে তিনি মারা গিয়েছিলেন।



(চলবে)



বিঃদ্রঃ[তথ্যসূত্র শেষ পর্বে প্রকাশ করা হবে]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩১

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: আপু এক নিশ্বাসে পড়ে ফেললাম। পরের পর্বটা ও এখন দিয়ে দেন। ঘটনা যেহেতু বাস্তব তাই স্বভাবতই আর তর সইছে না.......

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩২

নাসিরন আক্তার বলেছেন: এক নিশ্বাশে পড়লে চলবে না ভাইয়া।নিশ্বাস নিয়ে পড়তে হবে।ঘটনাটা ১০০% বাস্তব।এর প্রমান আমি শেষপর্বে দিব।দুঃখিত পরের পর্বটা এখন দিতে পারছি না । কারণ কবর থেকে লোক দু’জনকে উদ্ধারের সময় রহস্যটা বোঝা যাচ্ছিল না,রহস্যের জট পরে উন্মোচন হয়।তাই লেখার সাথেই থাকুন।কাজী আবেদ হোসেনের এ রকম অনেক দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত আছে,যা পড়ে আপনার মধ্যেও দেশপ্রেম জাগ্রত হবেই।আমি নিজেও তাকে আবিষ্কার করেছি তাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকার লেখা পড়ে। তিনি যেহেতু দেশের জন্যে অনেক কিছু করেছেন কাজেই তাকে অনুসরণ করে আমরাও দেশের জন্যে কিছু করতে পারব এটাই আমার বিশ্বাস।

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

স্বপনচারিণী বলেছেন: ভীষণ রহস্যে ভরা। সাথেই আছি।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮

নাসিরন আক্তার বলেছেন: ধন্যবাদ।সাথেই থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.