নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবাক চোখে দেখি বিস্ময়কর বাংলাদেশ

নাসিরন আক্তার

লেখক হতে চাই না লিখতে চাই মানুষের জন্য,দেশের জন্য ।বাঁচতে চাই মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিঃস্বার্থভাবে বিলিয়ে দিয়ে।ব্লগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের কথা ছড়িয়ে দিতে চাই আমার সকল ব্লগার ভাই-বোনদের মাঝে।কথা দিয়ে নয় দৃশ্যমান কিছু করে দেখাতে চাই ব্লগার ভাই-বোনদের সাহায্য-সহযোগীতা নিয়ে।

নাসিরন আক্তার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজ গুনে গুণী মহিমায় মহিয়সী (পর্ব-১২)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১১

উৎসব মুখর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু,সুন্দর,সুনিপুণভাবে এগিয়ে চলছিল খাল খনন কর্মসূচী।৬কি.মি.খালের চেপে যাওয়া উৎসমুখ ৬ফুট থেকে প্রশস্ত হল ৭০ফুটে।সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রেখেই ৮-২০ফুট গভীরতায় খনন করা হল খালটি।নব যৌবনে পুনরায় উদ্ভাসিত হলো খালটি।কংস নদী ছিল‘‘শিয়ালজানির’’মা।স্বাধীনতার পর তার সন্তান প্রথম পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হল।এই আনন্দে সে তার সমস্ত স্রোতধারা দিয়ে ‘‘শিয়ালজানিকে”যৌবনের পূর্ণতা পেতে সহায়তা করল।ঠিক যেন মা কংস নদীর দুগ্ধধারায় সন্তান‘‘ শিয়ালজানি ”সপ্রতিভ।‘‘শিয়ালজানির” নব যৌবনকে সম্মান জানাতে তার উৎস মুখে অবস্থিত স’মিলটি নিজেকে গুটিয়ে সরে গেল স্ব-খরচে।নতুন পানিতে ঝাঁক বেঁধে চরে বেড়ায় অসংখ্য মাছ।ডানকিনি মাছের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয় পুরো খাল জুড়ে।সে তার চোখের দৃষ্টি মেলে মুগ্ধ চিত্তে অবলোকন করছে পুরো খালটিকে।খালের পানির বুক ছুঁয়ে গভীর মমতায় গা এলিয়ে আছে গাছের ডাল।তারই উপর আনন্দে বসে মাথা ঘুরিয়ে নাচছে মাছরাঙ্গা।দৃষ্টি তার খালের পানিতে যদি পায় সে মাছের দেখা।সুযোগের সন্ধানে বুকে বেঁধেছে সে আশা ,ধরতে পারলে একটি মাছ খেতে হবে খাসা।প্রকৃতির এই অপরূপ খালটিকে নব যৌবনে উন্মোচণ কল্পে কাজী আবেদ হোসেন সহ পুরো গ্রামবাসীকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।কিন্তু তিনি তাতে ভয় পাননি বা থেমে যাননি বরং তিনি তার যাদুকরী হাতের স্পর্শে সমস্ত সমস্যার সমাধান করেছেন।২০০৯ সালের ২১ শে জুলাই খাল খননের কার্যক্রম শুরু হয়।খাল-খনন কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে এই দিন পুরো মোহনগঞ্জের সমস্ত দোকান-পাট,অফিস-আদালত,স্কুল-কলেজ,মাদ্রাসা,ব্যাংক-বীমাসহ সকল সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।৬কি.মি. দীর্ঘ খালটি যেমন একদিনে খনন করা সম্ভব নয় তেমনি প্রতিদিন দোকান-পাট সহ সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাও সম্ভব নয়।তখন তিনি তার শাণিত মেধার প্রয়োগে খাল-খননকে কেন্দ্র করে একটা অভিনব যুগোপযোগী তালিকা মোহনগঞ্জ বাসীর সম্মুখে পেশ করেন।তার এই অভিনব তালিকাটি পুরো মোহনগঞ্জবাসী সাদরে গ্রহণ করেন। তালিকাটি অনুসরণ করে স্বেচ্ছায় নিজ নিজ ইউনিফর্ম পরিধান করে রুটিন মাফিক পুলিশ,আনসার,বিভিন্ন স্কুল-কলেজ,মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী,মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন,সাংবাদিক ফোরাম,স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন,বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পুরো মোহনগঞ্জবাসী আনন্দের সাথে খাল-খনন করতে থাকে।









(চলবে)







বিঃদ্রঃ[তথ্যসূত্র শেষ পর্বে প্রকাশ হবে।]





link|http://অবাক চোখে দেখি বিস্ময়কর বাংলাদেশ|নিজ গুনে গুণী মহিমায় মহিয়সী’র লিংক]



























































































































































































































































































































































মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ কংস নদের ইতিহাস
শিয়ালজানি আরও কত খাল মিশে
নব যৌবনা তরঙ্গে ভেসে
রয় সুনামগঞ্জ আর নেত্রকোনার পাশে ।।
সুন্দর পোস্ট
ধন্যবাদ ++

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

নাসিরন আক্তার বলেছেন: কংস নদের সন্তান ‘‘শিয়ালজানির” সাথে কাজী আবেদ হোসেনের সম্পর্ক যে কত নিবিড় তা আপনি বুঝতে পারবেন প্রতিটা লেখার মাধ্যমে।ধন্যবাদ। সাথেই থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.