নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
''আলাইহা তিছআতা আশার'' -এর উপর নিয়োজিত আছে উনিশ। সূরাহ আল মুদ্দাসসির, আয়াত- ৩০।
আলহামদুলিল্লাহ। সকল প্রশংসা স্তুতি একমাত্র আল্লাহ পাকের জন্য। যার কৃপায় বেঁচে আছি। যিনি জীবনদাতা। প্রতি মুহূর্ত প্রান প্রাচুর্যে ভরে রেখেছেন যিনি। যার দয়ায় ঝর্নার বয়ে চলা অন্তহীন। সাগরের ছুটে চলা নিরবধি। মেঘমালার ছুটোছুটি অনি:শেষ। স্নিগ্ধ প্রভাত, রোদেলা দুপুর আর মিষ্টি বিকেলগুলো যার পরশে প্রতি দিন আমাদের হয়ে ধরা দেয়। এই মেঘ এই বৃষ্টি এই হিম বাতাসের শীতল পরশ। রাতের আকাশে তারার মেলা। জোছনার সাগরে প্রতি দিনের অবগাহন। আহ, কি মধুর আবহে গড়ে তোলা সবুজের এ স্বপ্নালয়!
কে এগুলোর সৃজয়িতা? কে তিনি? তিনি আর কেউ নন। আমাদের মহান মালিক, মহান প্রভূ, বিশ্ব জগতের একচ্ছত্র অধিপতি, রব্বুল আলামীন আল্লাহ পাক।
লক্ষ কোটি দরুদ ও সালাম সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানব, রাসূলে আরাবী ওয়া উম্মী, রহমাতুল্লিল আলামীন, সাইয়্যেদে দু'জাহান, শাফিয়ে উমাম, সাকিয়ে কাওসার, প্রিয়তম নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তামাম আসহাবে রাসূল, আহলে বাইতগনের পবিত্র আত্মার প্রতি।
মহাগ্রন্থ আল কুরআন আল্লাহ জাল্লা শানুহূর নাজিলকৃত সর্বশেষ আসমানী কিতাব। আসমানী কিতাব আরও এসেছে। অন্যান্য নবী রাসূলের (আলাইহিমুস সালাম) উপর। কিন্তু, কুরআন সর্বশেষ নবী, প্রিয়তম হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি নাজিলকৃত নির্ভুল অলৌকিক এক অপার্থিব গ্রন্থ। অসংখ্য মু'জিজায় পূর্ন মহাগ্রন্থ আল কুরআনের অন্যতম ছোট্ট একটি মু'জিজা বা বৈশিষ্ট্য নিয়ে আজকের আলোচনা। কুরআনে পাকের একটি আয়াতের অংশ "বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহিম" আরবিতে লিখতে হলে হরফের সংখ্যা হয় ১৯। আর এছাড়াও এই ১৯ যে বিশেষ একটি সংখ্যা এ ব্যাপারে সূরাহ আল মুদ্দাসসিরের ৩০ নং আয়াতেও রয়েছে বিশেষ ইঙ্গিত। আসুন, আমরা এই ১৯ সংখ্যাটির সামান্য গানিতিক বিশ্লেষণ করে দেখি :-
আপনি জেনে খুব বিস্মিত হবেন, গোটা পবিত্র কুরআনের আয়াতগুলোর পারস্পারিক অবকাঠামোগত গাঁথুনীর ভেতরে ১৯ সংখ্যাটির কারুকার্য অত্যন্ত নিখুঁতভাবে গেঁথে দেওয়া হয়েছে । মহাগ্রন্থ আল কুরআন যদি রক্ত মাংসে গড়া কোন মানুষের দ্বারা রচিত হত তবে এতে এমন নিখুঁত গানিতিক হিসাব থাকত না। থাকার প্রশ্ন আসতে পারে না।
মানুষের চিন্তাশক্তির একটা সীমা আছে, কিন্তু মহাগ্রন্থ আল কুরআন জুড়ে থাকা ১৯ এর এই নিখুঁত হিসাব সেই মানবীয় চিন্তার পরিসীমাকে অতিক্রম করে অবলিলায়। আর অনায়াস অসঙ্কোচে প্রমান করে এর স্রষ্টা এক মহাশক্তির অস্তিত্বের সত্যতা। সেই মহাশক্তি আর কেউ নন। আল কুরআন অবতীর্ন করেছেন যিনি, যিনি এই বিস্ময়কর গ্রন্থের মালিক, তিনিই সেই মহান আল্লাহ পাক। ১৯ এর এই অন্তহীন প্রজ্ঞাপূর্ন কৌশলের অসাধারন দৃশ্য দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর শ্রদ্ধায় সম্মানে স্তুতিতে স্তবগানে প্রশংসায় আপনার মাথা সেই মহা মহিমাময় অপার করুণাময় মহান আল্লাহ পাকের প্রতি সিজদায় নত হয়ে আসবে। আসুন এবার চোখ বুলিয়ে দেখি স্রষ্টার অপার বিস্ময়-
১। আরবীতে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” লিখতে ঠিক ১৯ টি হরফ লাগে ।
২। মহাগ্রন্থ আল কুরআনে মোট সূরা আছে ১১৪ টি। ১১৪ সংখ্যাটি ১৯ দিয়ে বিভাজ্য (১১৪=১৯x৬)।
৩। প্রথম যে সূরাটি (সূরা আলাক) নাযিল হয় তার অবস্থান শেষের দিক থেকে ১৯ তম।
৪। পবিত্র কুরআনের প্রথম যে পাঁচটি আয়াত (সূরা আলাকের) নাযিল হয় তাতে শব্দ আছে ঠিক ১৯ টি, যা ১৯ দিয়ে নি:শেষে বিভাজ্য।
৫। সূরা আলাকে মোট আয়াত আছে ১৯ টি। আর এই ১৯ আয়াতে আছে মোট ২৮৫ টি শব্দ, যা কি না বিস্ময়করভাবে ১৯ দিয়ে নিঃশেষে ভাগ করা যায় (২৮৫=১৯x১৫)।
৬। ১৯ সংখ্যাটির রহস্য বর্নিত হয়েছে যে সূরাহটিতে, মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সেই সূরাহ আল মুদ্দাসসির এর প্রথম ১৯ টি আয়াতের শব্দ সংখ্যা ৫৭। যা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য। ৫৭ (১৯x৩)।
৭। ১৯ সংখ্যাটির রহস্য বর্নিত হয়েছে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সূরাহ আল মুদ্দাসসির এর ৩১ নং আয়াতে। এই আয়াতটির শব্দ সংখ্যা গুনে দেখুন তা ৫৭। যা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য। ৫৭ (১৯x৩)।
৮। নাযিলকৃত তৃতীয় সূরাটির (সূরা আল-মুজ্জাম্মিল, পবিত্র কুরআন শরীফে অবস্থান ৭৩ তম) শব্দ সংখ্যা ৫৭ (১৯x৩) টি।
৯। আবার সব শেষে নাযিল হওয়া ‘সূরা আন-নাসর’ এ আছে মোট ১৯ টি শব্দ। আর এই সূরার প্রথম আয়াতে আছে ঠিক ১৯ টি হরফ।
১০। পবিত্র কুরআন শরীফে ‘আল্লাহ্’ নাম মুবারক উল্লেখ করা হয়েছে মোট ১৩৩ বার যা কিনা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য (১৩৩=১৯x৭)।
১১। পবিত্র কুরআন শরীফে মোট ৩০ (তিরিশ) টি পূর্ণ সংখ্যার উল্লেখ রয়েছে। যাদের যোগফল ১৯ দিয়ে বিভাজ্য। সংখ্যাগুলো এবং তাদের যোগফল-
1 + 2 + 3 + 4 + 5 + 6 + 7 + 8 + 9 + 10 + 11 + 12 + 19 +20 + 30 + 40 + 50 + 60 + 70 + 80 + 99 + 100 + 200 + 300 + 1000 + 2000 + 3000 + 5000 + 50000 + 100000 = 162,146 (19 x 8534)
১২। পবিত্র কুরআনে পূর্ন সংখ্যা পাওয়া গেল ৩০ টি। আর দশমিক ভগ্নাংশ আছে মোট ৮টি 1/10, 1/8, 1/6, 1/5, 1/4, 1/3, 1/2 এবং 2/3। তাহলে পবিত্র কুরআনে সব মিলে মোট সংখ্যার উল্লেখ রয়েছে ৩৮ টি। যা ১৯ দিয়ে নি:শেষে বিভাজ্য (৩৮=১৯x২)।
১৩। ১১৩ টি সূরার আগে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” আছে। শুধুমাত্র সূরা আত-তাওবা এর পূর্বে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” নেই। আর সূরা আন-নামল এর আগে আছে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” রয়েছে এবং এই সূরাহটির ভেতরেও “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” কথাটি থাকায় এই সূরায় এটি দু'বার ব্যবহৃত হয়েছে। তাহলে কুরআনে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” আছে মোট ১১৪ বার, যা ১৯ দিয়ে নি:শেষে বিভাজ্য (১১৪=১৯ x৬)। সূরা আত-তাওবাকে প্রথম ধরে যদি গুনে গুনে পরবর্তী সূরার দিকে যেতে থাকেন তবে সূরা আন-নামল পাবেন ঠিক ১৯তম স্থানে!
আরও একটু অবাক হওয়া যাক, ১৯ এর গুনিতক-তম সূরার আয়াতগুলির (“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” সহ) যোগফলও ১৯ এর গুনিতক মানে ১৯ দিয়ে বিভাজ্য!
এবার একটু পবিত্র কুরআন শরীফে ১৯ এর গুনিতক-তম সূরাহগুলোর অবস্থান আর আয়াত সংখ্যাটাও একটু মিলিয়ে দেখি।
সূরার অবস্থান আয়াত সংখ্যা
১৯x১= ১৯তম সূরা ৯৯
১৯x২= ৩৮তম সূরা ৮৯
১৯x৩= ৫৭তম সূরা ৩০
১৯x৪= ৭৬তম সূরা ৩২
১৯x৫= ৯৫তম সূরা ৯
১৯x৬= ১১৪তম সূরা ৭
২৬৬
=২৬৬ (১৯x৪)
১৪। প্রথম দিক থেকে হিসেব করে যেতে থাকলে ১৯ আয়াত সম্বলিত প্রথম সূরা হচ্ছে সূরা আল-ইনফিতার। এই সুরাটির শেষ শব্দ হল ‘আল্লাহ্’। আপনি যদি শেষের দিক হতে আল্লাহ্ শব্দটি গুনে গুনে আসতে থাকেন তাহলে সূরা আল-ইনফিতারের শেষের ‘আল্লাহ্’ শব্দের অবস্থান হবে একদম ঠিক ১৯তম স্থানে!
১৫। ৫০ এবং ৪২ তম সূরাহর প্রত্যেকটিই শুরু হয়েছে 'কাফ' হরফটি দিয়ে। অবাক হবেন সূরাহ দু'টির প্রত্যেকটিতে মোট 'কাফ' এর সংখ্যা ৫৭। যা ১৯ দিয়ে নি:শেষে বিভাজ্য (৫৭=১৯ x৩)।
১৬। আবার ৫০তম সূরায় আয়াত আছে ৪৫ টি, যোগ করুন ৫০+৪৫= ৯৫ (১৯ x৫)। একইভাবে ৪২ তম সূরায় আয়াত আছে ৫৩ টি। যার যোগফল ১৯ দিয়ে নি:শেষে বিভাজ্য ৪২+৫৩= ৯৫ (১৯ x৫)।
১৭। ৫০ তম সূরায় 'কাফ' হরফটি এসেছে ৫৭ বার। যা ১৯ দিয়ে নি:শেষে বিভাজ্য ৫৭ (১৯ x৩)।
১৮। ৪২ তম সূরায় 'কাফ' হরফটি এসেছে ৫৭ বার। যা ১৯ দিয়ে নি:শেষে বিভাজ্য ৫৭ (১৯ x৩)।
১৯। ৫০ তম সূরায় আয়াত সংখ্যা ৪৫। এই আয়াত সংখ্যার সাথে এর ক্রমিক সংখ্যা যোগ করলে যোগফল ১৯ দিয়ে নি:শেষে বিভাজ্য ৫০+৪৫= ৯৫ (১৯ x৫)
২০। ৪২ তম সূরায় আয়াত রয়েছে ৫৩ টি। এই সূরাহর আয়াত সংখ্যার সাথে এর ক্রমিক সংখ্যা যোগ করলে যোগফল ১৯ দিয়ে নি:শেষে বিভাজ্য ৪২+৫৩= ৯৫(১৯ x৫)
২১। আবার পুরো কুরআন শরীফে 'কাফ' হরফটি আছে মোট ৭৯৮ বার যা কিনা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য এবং ভাগফল হয় ৪২। আর আমরা দেখতেই পেয়েছি যে ৪২ তম সুরাটি শুরুও হয়েছে 'কাফ' হরফটি দিয়ে ।
২২। শুধু 'কাফ' নয়, ‘নূন’ হরফটির ক্ষেত্রেও এরকম ঘটনা লক্ষনীয়। যেমন 'নূন' দিয়ে যে সূরাটি শুরু হয়েছে তাতে 'নূন' এর মোট সংখ্যাও (১৩৩), যা ১৯ দিয়ে নি:শেষে বিভাজ্য (১৩৩= ১৯x৭)।
২৩। সূরা আত-তাওবাকে প্রথম ধরে যদি গুনে গুনে পরবর্তী সূরার দিকে যেতে থাকেন তবে সূরা আন-নামল পাবেন ঠিক ১৯ তম স্থানে!
২৪। পবিত্র কুরআনে সূরাহ আল-মুদ্দাসসিরের ৩০ নম্বর আয়াতে চ্যালেঞ্জ করে বলা আছে “There are nineteen in charge of it.” (Qur’an, 74:30) ।
অর্থাৎ 'এর উপর নিয়োজিত আছে ১৯ (উনিশ)'। অর্থাৎ, কেউ ইচ্ছা করলেই কুরআনকে বিকৃত করতে পারবে না। ১৯ এর ব্যাপারগুলোর দিকে একটু মনযোগী হলেই সব বের হয়ে আসবে। যে কেউ ধরে ফেলতে পারবেন, এটাকে কেউ বিকৃত করেছে কিনা! সুবহানাল্লাহ!! সুবহানাল্লাহিল আজীম!!! মা- আ'জামা শা'নুহূ!!!! কত নিখুত তিনি!!!!! কত নির্ভুল, কতটাই না বিজ্ঞানময় আমার মহিমান্বিত রব!!!!! আল্লাহু আকবার!!!!!!
নোট:
১৯ সংখ্যাটির সামান্য ক'টি বিশেষত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র। এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখতে গেলে আলাদা বই হয়ে যাবে। কলেবর সংক্ষিপ্ত করনের চেষ্টা বলা যায়। সুযোগ পেলে আবারও এ বিষয়ে কথা বলার ইচ্ছে থাকল ইনশাআল্লাহ।
পোস্টটি পড়ার জন্য মুবারকবাদ। সকলের মঙ্গল হোক। আমীন।
৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ। আপনার অবারিত কল্যান হোক।
২| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সে জন্য শবে বরাতের সাথে ৩৮ যোগ করে ২৩ রমজান শবে কদর পাওয়া যায়। যেখানে ৩ ও ২ এর যোগ ফল (৫) মিলে ইসলামের পঞ্চ ভিত্তি পাওয়া যায়।
০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় কবি, অভিনন্দন অপরিসীম। অভিনব সংখ্যাতাত্ত্বিক আরেকটি উপাদান যোগ করলেন। হ্যা, এরকম আরও আরও রয়েছে।
ভাল থাকুন অন্তহীন।
৩| ৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩
এ আর ১৫ বলেছেন: সূরার অবস্থান আয়াত সংখ্যা
১৯x১= ১৯তম সূরা ৯৯
১৯x২= ৩৮তম সূরা ৮৯
১৯x৩= ৫৭তম সূরা ৩০
১৯x৪= ৭৬তম সূরা ৩২
১৯x৫= ৯৫তম সূরা ৯
১৯x৬= ১১৪তম সূরা ৭
২৬৬
=২৬৬ (১৯x৪)
কোরেনের সুরার এই বিন্যাস হযরত ওমর ( রা: ) করেছিলেন । এখানে আয়াতের সংখ্যা অন্য রকম হতে পারতো ???
০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
পারতো না, কে বলেছে? কিন্তু, এই সংকলনটিও যে আল্লাহ পাক নিজ দায়িত্বে করান নি, তা আপনাকে কে বলল? 'ইন্না- নাহনু নাজ্জালনাজজিকরা ওয়াইন্না্- লাহু লাহা-ফিজূন' - 'নিশ্চয়ই এই জিকর (কুরআন) আমরা নাজিল করেছি আর এর রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বও আমাদের উপরই' -আয়াতটি নিশ্চয়ই আপনার জানা রয়েছে।
এখানে রক্ষনাবেক্ষন ব্যাপক অর্থে চিন্তা করলেই আপনার প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন আশা করি।
ভাল থাকুন।
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ ভোর ৬:৫২
কাউয়ার জাত বলেছেন: উনিশতত্ত্ব একটি ভূয়া তত্ত্ব। এতে অনেক গোঁজামিলের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এর আবিষ্কারক রশীদ খলীফা এই সূত্রধরে নিজেকে নবী পর্যন্ত দাবী করেছে।
মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেবও আল কাওসারের বিশেষ সংখ্যায় এ নিয়ে লিখেছেন।
কোন বিষয়ে লেখার পূর্বে ভালোভাবে যাচাই করে নেয়া বাঞ্ছনীয়। আল্লাহর কুরআন মুজিযা হওয়ার জন্য কোন সংখ্যাতত্ত্বের ওপর নির্ভরশীল নয়।
০৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় কাউয়ার জাত,
ধন্যবাদ এবং হৃদয় নিংড়ানো অভিনন্দন মন্তব্যে আসায়। আপনার মতানুসারে উনিশ তত্ত্ব ভূয়া। আপনার অভিমতে শ্রদ্ধা। তবে, এ ব্যাপারটি নিয়ে যথেষ্ট পরিমানে যাচাই করা দরকার মনে হচ্ছে।
মনে হচ্ছে, বিষয়টি যেভাবে আপনি সরাসরি এককথায় 'ভূয়া' বলে নাকচ করে দিলেন, অতটা ওরকম নয়। যাই হোক তবু আমাদের নির্ভুল হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যহত রাখার স্বার্থে প্রতিটি বিষয়েরই যাচাই করা উত্তম।
তবে, শেষোক্ত 'আল্লাহর কুরআন মুজিযা হওয়ার জন্য কোন সংখ্যাতত্ত্বের ওপর নির্ভরশীল নয়' কথাটিতে সহমত ১০০%।
ভাল থাকবেন।
৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩
কাউয়ার জাত বলেছেন: ধন্যবাদ
১০ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।
ভাল থাকার প্রত্যাশায়।
৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮
শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: ''আলাইহা তিছআতা আশার'' -'এর উপর নিয়োজিত আছে উনিশ', -আল কুরঅানে উনিশের রহস্য
পোষ্টের মত কুরানের তত্ত্ব নিয়ে আরও অসংখ্য গবেষণা মূলক পোস্ট দেয়া সম্ভব। সার্থক হোক কবির শ্রম। ধন্যবাদ কবিকে।
এবার অন্য প্রসঙ্গ- কবি ফরিদ আহমদ চৌধুরী কবি নতুন নকিবকে নিয়ে সনেটও লিখেছেন। তিনি এ পোষ্টের মন্তব্যেও আছেন। আর কিছু না হলেও একই ব্লগের ব্লগার হিসেবে সম্প্রীতি রয়েছে। এক ভাই আরেক ভাইকে বুঝিয়ে ছহিহ পথে নিয়ে আসতে চেষ্টিত হওয়া মুমিনের দায়িত্ব। ভাই ফরিদ আহমদ চৌধুরী অনেক জ্ঞানী মানুষ ,তদুপরি তার "ইসলামে নারী নেতৃত্ব" নামক পোষ্টে নারী নেতৃত্বকে জায়েজ বানাতে সে সচেষ্ট। আমি ব্লগে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারি না তাই দয়া করে উক্ত পোষ্টে আমার মন্তব্যের জবাবে উনি যে কথা গুলো লিখেছেন তার উপযুক্ত জবাব পেশ করুন। আপনি এ ব্যাপারে যথাযোগ্য।
১০ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, ভাই মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার শুভকামনা, দোআ আল্লাহ পাক কবুল করুন।
আর ইদানিং কিছুটা ব্যস্ততায় কোন দিন এমনও কেটে যায়, সামুর সাথে দেখাও হয়ে ওঠে না। তবু আপনার কথা রাখার চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ। তবে, সময় নিতে হবে হয়তো।
ভাল থাকবেন অন্তহীন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এখন চোখ বুলিয়ে গেলাম, পরে আবার এসে মনোযোগ দিয়ে আবার পড়ে মন্তব্য করব ইনশাআল্লাহ।