নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
পবিত্র বাইতুল্লাহর ছাদে জমে থাকা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের অনিন্দ্য সুন্দর নালা। এটিকে মীযাবে রহমত বলা হয়।
তিনি অনন্যসাধারন একজন
জীবনে কত সালাতইতো আদায় করলাম। আল্লাহ পাক তাওফিক দিলেন। কত জনপদের কত মসজিদে যে পাপে পূর্ন এই মস্তক সিজদায় অবনত হয়েছে তার কি ইয়ত্তা আছে? আল্লাহু আকবার! আমার মালিকের সামনে। আমার রবের সামনে সিজদাহ দেয়ার সৌভাগ্য! আহ, মাঝে মাঝে তো মন বলে ওঠে, এ জীবন যদি একটি সিজদায় কাটিয়ে দিতে পারতাম! আচ্ছা, সিজদায়-সালাতে এত মধুর স্বাদ কেন? প্রিয়তম প্রভূর সবচে' কাছে, সবচে' নিকটে পৌঁছে যায় যে বান্দা তখন! আমারতো মনে হয়, সত্যিকার হুজূরে ক্কলব আর খুশূ' খুজূ' নিয়ে আদায় করা দু'রাকাআত নামাজ হাজার রাকাআত থেকে উত্তম। 'ছল্লূ কামা রআইতুমূনী উছল্লি' 'সেইভাবে সালাত আদায় কর, যেভাবে আমাকে আদায় করতে দেখ' প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশমতে এইরকম তরতাজা নামাজ আদায়ের অনুভূতি ভিন্ন! স্বাদ আলাদা! এতে মন-প্রানে প্রশান্তি আসে। হৃদয়ে তৃপ্তি জাগে। প্রাপ্তি-পরিতৃপ্তির ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙে যায় কৃত্রিমতার সকল বাধার প্রাচীর! মালিকের সাথে দিদারের-সাক্ষাতের-মোলাকাতের মাধুর্যে আমোদিত মন বিমোহিত হয়! তাঁর রহমত অবারিত হয়ে ঢেকে দেয় বান্দার পাশ ও পরিপার্শ্ব! জীবনে অনেকবার এরকম ধ্যান-জ্ঞান একাকার করা নামাজ আদায়ের সৌভাগ্য হলেও পবিত্র বাইতুল্লাহর সম্মুখে এইবারই প্রথম। আচ্ছা, প্রিয় রসূলের নামাজ কেমন ছিল? সালাতে দাড়ালে তাঁর অবস্থা কেমন হত? কান্নার তোড়ে বুকের ভেতর ফুটন্ত ডেকচির মত বলক উঠতে থাকার কথা কি আমাদের নামাজে আমরা খুঁজে পাই? প্রিয় নবিজীর সেই দীর্ঘ কিয়াম, ততোধিক দীর্ঘ রুকূ', তারও অধিক দীর্ঘ-দীঘল সিজদাহর কথা কি আমাদের নামাজে আমরা খুঁজে পেতে চেষ্টা করি? চোখের পানিতে কপোল-দাড়ি ভিজে যাওয়া সেই ভেজা-সিক্ত, প্রেমপূর্ন নূরানী নামাজের কোন নমুনা কি আমাদের ভেতরে আমরা তালাশ করি কখনও? আল্লাহু আকবার! বন্ধু, বিশ্বাস করুন, এ বছরের হজ্বের সফরে যারা ছিলেন, তাদের থেকে ইচ্ছে করলে হয়তো জেনেও নিতে পারেন, শুধু একটি মানুষ, হ্যাঁ, একজন ব্যক্তি তিনি, তিনি যতবার যত ওয়াক্ত নামাজে লিড দিয়েছেন। আল্লাহর কসম, কেঁদেছেন, কাঁদিয়েছেন। প্রতি ওয়াক্তে তাঁর ভরাট কন্ঠে কান্নার নূর মিশ্রিত সেই মধুর ক্কিরাত শোনার প্রতিক্ষায় অপেক্ষমান থাকতাম। তিনি আর কেউ নন। কাবা শরীফের প্রধান ইমাম এবং প্রেসিডেন্ট অফ হারামাইন ৪৮ বছর বয়স্ক ড. আব্দুর রহমান বিন আবদুল আজীজ আস সুদাইস। আল্লাহ পাক তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিন। তার হায়াতে বরকত দান করুন। তার প্রতি বর্ষন করুন রহমতের অফুরান বারিধারা।
এছাড়াও ভাল লেগেছে। প্রান জুড়িয়েছে প্রতি ওয়াক্তের নামাজে যাদের সুমধুর তিলাওয়াত তারা হচ্ছেন- ডেপুটি চীফ অফ ইমাম এট মাসজিদ আল হারাম ড. সাউদ বিন ইবরাহিম আশশুরাইম, উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার এবং মসজিদের হারামের ইমাম, ড. আব্দুল্লাহ আওয়াদ আল যুহানী, প্রফেসর এট কিং আব্দু্ল্লাহ সাউদ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি এবং মসজিদের হারামের ইমাম, ড. মাহির আল মুআইকালি, জজ অফ দাওয়াহ এন্ড উসূল আদদ্বীন ফ্যাকাল্টি এট উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটি ড. খালিদ আল গামদি, শাইখ সালেহ বিন হুমাইদ, শাইখ মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ সুবাইয়াল, শাইখ খাইয়াত, শাইখ সালেহ আতত্বালিব, শাইখ ফায়সাল আলগাযাবী, শাইখ আদিল আল কালবানী বারাকাহুমুল্লাহু ফি হায়াতিহিমুল আলিয়্যাহ।
প্রিয় বাইতুল্লাহয় মুআজ্জিন রয়েছেন প্রায় ১১ জন। এর মধ্যে ১৯৭৫ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রবীন সজ্জন ব্যক্তি শাইখ আলী আহমদ মোল্লা চীফ মুআজ্জিনের দায়িত্ব পালন করছেন। তার সুললিত কন্ঠের সুমধুর আজানে বিমোহিত হয়ে ওঠে মক্কার পথ-প্রান্তর। এছাড়া ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট মুয়াজ্জিন ড. ইছাম আলী খানের মনোমুগ্ধকর আজানও হৃদয় কেড়েছে প্রতিবার। বাকিদের আজানও অনিন্দ্য সুন্দর। আল্লাহু আকবার। আজান শুরু হলে তার প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে পরে মক্কার পাহাড়ে-কন্দরে-ইমারতে-অট্টালিকায়। ইথারের বুক চিড়ে সে আজান হৃদয়ের বদ্ধ অর্গল খুলে দেয়। মন অবচেতনে বলে ওঠে- এ আজান যদি চলতেই থাকতো! চলতেই থাকতো! শেষ ন হত কখনও!
যতটুকু জানতে পেরেছি, পবিত্র কা'বা শরীফে বর্তমানে সম্মানিত ইমাম সাহেবগনের সংখ্যা অনধিক ১২। মাহে রমজানে বিশেষ দায়িত্ব পালনের জন্য এ সংখ্যা বেড়ে গিয়ে ১৬ কিংবা ১৭ তে পৌঁছায়। আলহামদুলিল্লাহ, মহান রবের শোকর এবং শোকরিয়া, তাঁর ঘরের মহান এ খাদেমদের কাছে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করার তাওফিক তিনি দয়া করে দিয়েছেন।
এই পর্বেও যুক্ত করা হল প্রিয় বাইতুল্লাহ এবং বাইতুল্লাহ রিলেটেড আরও কিছু ছবি। আশা করি ভাল লাগবে প্রত্যেকের।
প্রিয়তমের ঘরের সুদৃশ্য একটি গেইট।
কা'বা শরীফের ভেতরের অপূর্ব কারুকাজ।
চোখ জুড়ানো নকশায় বাইতুল্লাহর ভেতরের সৌন্দর্য্য।
বাইতুল্লাহর অপরূপ সৌন্দর্য্যের মুগ্ধতা।
প্রিয়তমের ঘরের সুদৃশ্য কারুকাজে নয়ন কেড়ে নেয়া আরেকটি গেইট।
অনাবিল সৌন্দর্য্য। অন্তহীন মুগ্ধতা!
সাফা পাহাড়। এখান থেকে সায়ী শুরু করতে হয়।
সকলের জন্য শুভকামনা, অফুরন্ত দোআ এবং ভাল থাকার কামনা। আল্লাহ পাক পৃথিবীর সকল প্রানীকে ভাল রাখুন।
হামদ এবং সানা পরম প্রিয় মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার জন্য। দরুদ ও সালাম প্রিয়তম রসূল মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রূহের প্রতি। শুরু এবং শেষে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় সোহেল ভাই,
কৃতজ্ঞতা জানবেন। 'বাইতুল্লাহর মুসাফির' সিরিজটির শুরু থেকে প্রতিটি পোস্টে আপনার সরব উপস্থিতি সত্যিই প্রেরনাদায়ক।
অবশ্যই আপনি যেন দ্রুততম সময়ে প্রিয় বাইতুল্লাহর মেহমান হতে পারেন কায়মনোবাক্যে সে দোআই করছি। আর দেখা যাক, ওখানকার নামাজ বিষয়ে আরও বিস্তারিত পোস্ট দেয়ার চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আপনার নিরন্তর সাফল্য কামনায়।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৯
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট!!
হামদ এবং সানা পরম প্রিয় মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার জন্য। দরুদ ও সালাম প্রিয়তম রসূল মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রূহের প্রতি।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় বিলি ভাই,
পাঠ এবং আন্তরিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা অনেক।
আল্লাহ পাক আপনার জন্যও বাইতুল্লাহর যিয়ারত সহজ করে দিন।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনাকে আবারো অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একখানি পোস্ট দেওয়ার জন্য পরের পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় দেশ প্রেমিক,
জ্বি, কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ আপনার জন্যও। পরের পর্ব চলে আসবে ইনশাআল্লাহ।
আপনার জন্যও ভাল থাকার কামনা।
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দরে সুন্দরে পাল্লা
জানিনা কত সুন্দর তুমি আল্লা।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় সরকার,
সুন্দরে সুন্দরে পাল্লা
জানিনা কত সুন্দর তুমি আল্লা।
-ঠিকই তো বলেছেন। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা অশেষ।
ভাল থাকুন।
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: সেখানে যাবো। খুব ইচ্ছা। নিজের চোখে সব দেখে আসবো।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
অবশ্যই যাবেন। আপনার ইচ্ছা আল্লাহ পাক পূরন করুন। সচক্ষে অবলোকন করুন। প্রিয় বাইতুল্লাহর অপরিমেয় সৌন্দর্য্য।
পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৮
আমার আব্বা বলেছেন: অসাধারন সুন্দর অসাধারন অসাধারন অসাধারন
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
পা্ঠ এবং দারুন মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা অশেষ।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৯
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
দরুদ ও সালাম প্রিয়তম রসূল মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রূহের প্রতি।
দোয়া করেন ভাই, যেন যেতে পাড়ি।
ধন্যবাদ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় কবি,
নিশ্চয়ই ভাল আছেন। পাঠ এবং মন্তব্যে একরাশ মুগ্ধতা! দোআ করছি, আপনার জন্য আল্লাহ পাক তাঁর পবিত্র ঘর যিয়ারতকে অতি সহজ করে দিন।
ভাল থাকার কামনা নিরন্তর।
৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:০২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: খুবই সুন্দর বর্ণনা এই পর্বেও | ড. সাউদ বিন ইবরাহিম আশশুরাইমের তেলাওয়াত খুবই সুন্দর | আমি শুনি ইন্টারনেটে | আপনি যার কথা লিখেছেন ড. খালিদ আল গামদি উনি কি সাদ আল ঘামিদি যিনি মদিনায় মসজিদ উন নবীতে তারাবির নামাজে ইমামতি করেছেন ২০০৯ সালের রোজায় ? আমি সাদ আল ঘামিদির তেলাওয়াত শুনি সবসময় | এই সময়ের অন্যতম সেরা কুরআন তেলাওয়াতকারী | উনার করা আয়াতুল কুরসি-র তেলাওয়াত মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর সুরের একটা | চমৎকার পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ |
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় মলাসইলমুইনা,
কেমন আছেন? আশা করি, নিশ্চয়ই ভাল। অপরিসীম দরদ নিয়ে আপনি আমার অযোগ্যতা, ক্ষুদ্রতা এবং লেখনির দুর্বলতা সত্বেও পোস্ট এবং সিরিজটিকে মূল্যায়ন করে যাচ্ছেন। কৃতজ্ঞতা অনেক অনেক।
সা'দ আল গামদি এবং খালিদ আল গামদি একজন নন। ইনিই মদিনাতুল মুনাওওরায় মসজিদে নববীতে তারাবিহর নামাজে ইমামতি করেন। দু'জনের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি আলাদা করে তুলে দিচ্ছি।
Saad Al Ghamidi
Saad Al Ghamidi (in Arabic: سعد الغامدي, born Dammam, Saudi Arabia in 1967) is a Quran reciter, a scholar and an imam. He memorized the entire Quranic texts in 1990 when he was 22 years old. He is often noted for his acclaimed Tajweed.
He learned the Islamic law in Dammam,[1] particularly in the school of Sharia, the source of Muslim religious commandments. It is in 2012 when he was appointed as the Imam of Kanoo Mosque in Dammam before having the same profession in several Masjid around the world like in the United States, the United Kingdom as well as Austria.[2]
During Ramadan 2009, Sheikh Saad Al Ghamidi was an Imam during the Taraweeh prayer in the Al-Masjid an-Nabawi of Madinah.
Biography of Sheikh Khalid Al Ghamdi
Sheikh Khalid Al Ghamdi, was born in Makkah, Saudi Arabia, however his date of birth is unknown. According to many news sources, and interviews conducted. Sheikh Khalid always dreamed bigger, he himself said during his tour to Pakistan in April 2015, that he completed the Memorization of the Holy Quran under the Guidance of a Pakistani Cleric in Makkah at the age of 16.
When Asked about his Education he said that he did his elementary, secondary and High school From Makkah, additionally all the Universities which he attended were in Makkah. He graduated from Umm Al Qurra University in the College of Dawah. He holds a Masters Degree in Recitation and Tafseer of the Holy Quran
He was an Imam in a small Masjid in Makkah, then in 2004 he was appointed to be a in the correction team during Ramadan in Masjid Al Haram, and deputy Imam incase an Imam failed to reach the Grand Mosque on time. Finally he was appointed as a Permanent Imam in the year 2008 when he Led Salat Al Dhur, and during Salat Al Isha when his voice freshly started to echo around the Grand Mosque he cried profusely.
Sheikh Khalid Al Ghamdi, since then is an imam at the Grand Mosque and every year during Ramadan he leads in pairs with Sheikh Bandar Baleelah, and this year he also led in pairs with Sheikh Yasir Al Dossary
Sheikh Khalid Al Ghamdi was appointed as Imam of Masjid Al Haram after a royal decree was issued by the Custodian of The Two Holy Mosques. Sheikh Khalid delivered his first Khutbah in Masjid Al Haram on 4th September 2015
জাজাকুমুল্লাহু খাইর।
৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৫
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: জাযা'কাললাহ খাইরান !
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা অশেষ, প্রিয় ওসেল মাহমুদ।
আল্লাহ পাক আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন। আমীন।
১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৫
ইমরান আশফাক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার এই মূল্যবান পোস্ট টির জন্য। সত্যিই হারাম শরিফের আজান, একামত এবং বিশেষভাবে নামাজের ক্বিরাত এমনকি প্রত্যেক নামাজের পর জানাজার আহ্বানও মন্ত্রমূগ্ধ হয়ে শুনতাম। বারবার এইগুলো শুনতে ইচ্ছে করে এবং এখনও সেই শুরগুলো কানে শুনছি মনে হয়। আমার বারবার হারাম শরিফ যিয়ারতের ইচ্ছে আছে আল্লাহ যদি তওফিক দেন, আমিন। এইবার মদিনায় মসজিদুল নবুবীর ইমাম সাহেবের সাথে সালাম বিনিময় ও হাত মিলানোর সুযোগ হয়েছে।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
কৃতজ্ঞতা পাঠ এবং মূল্যবান মন্তব্যে।
সত্যিই হারাম শরিফের আজান, একামত এবং বিশেষভাবে নামাজের ক্বিরাত এমনকি প্রত্যেক নামাজের পর জানাজার আহ্বানও মন্ত্রমূগ্ধ হয়ে শুনতাম। বারবার এইগুলো শুনতে ইচ্ছে করে এবং এখনও সেই শুরগুলো কানে শুনছি মনে হয়। আমার বারবার হারাম শরিফ যিয়ারতের ইচ্ছে আছে আল্লাহ যদি তওফিক দেন, আমিন। এইবার মদিনায় মসজিদুল নবুবীর ইমাম সাহেবের সাথে সালাম বিনিময় ও হাত মিলানোর সুযোগ হয়েছে।
-জ্বি, হারাম শরীফের প্রত্যেকটি কাজ, আজান, ইকামাত, তিলাওয়াত, জানাজার ই'লান সত্যি সত্যি মন্ত্রমূগ্ধ হয়ে শ্রবনযোগ্য নিশ্চয়ই। এটা শুধু প্রেমিক হৃদয়ই অনুধাবন করতে পারে।
আরে, দারুন ব্যাপার দেখছি। আপনিতো মাশাআল্লাহ সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। মসজিদে নববীর ইমাম সাহেবের সাথে সালাম বিনিময় ও হাত মিলানোর সুযোগ হয়েছে- জেনে আনন্দিত হলাম।
জাজাকুমুল্লাহু আহসানাল জাজা'।
১১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫০
জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: আচ্ছা, আপনি আমাকে বলবেন কি এতো পবিত্র ও সুন্দর স্থানের পাশে থাকা সত্ত্বেও কেন সৌদির মানুষেরা পৃথিবীর সবচেয়ে দুশ্চরিত্র, নোংরা স্বভাবের মানুষ? কেন তারা প্রতিদিন ইয়েমেনে নিরীহ মানুষ হত্যা করছে? কেন তারা আমেরিকার পা চাটা চামচা? কেন তাদের মধ্য থেকেই এতো এতো ইসলামী জঙ্গিদের উথ্থান হচ্ছে? কেন তাদের বিজ্ঞানে-প্রযুক্তিতে অগ্রগতি এতো কম?
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
আপনার হয়তো কিছু ক্ষোভ রয়েছে সউদির শাসকশ্রেনির কর্তা ব্যক্তিদের প্রতি। তাদের অনেক কর্মকান্ড আমাদেরও ব্যথিত-মর্মাহত করে। আপনার প্রশ্নগুলো আমাদেরও ভাবায়। তবে, আপনি যেভাবে বলছেন, আপনার প্রকাশের ভঙ্গিটা এভাবে না হলেই বোধ করি ভাল হত। 'সউদির মানুষ পৃথিবীর সবচে' দুশ্চরিত্র, নোংড়া স্বভাবের' -কথাটা আপনি কি নিশ্চিত হয়ে বলছেন? এদের চেয়ে খারাপ মানুষ পৃথিবীতে আর নেই, আপনি শিউর? ইয়েমেনে সউদি সরকার বোমা নিক্ষেপ করে অনেক লোককে হত্যা করেছে, নিসন্দেহে এটি গর্হিত এবং নিন্দনীয় কাজ। তাই বলে তাদের আমেরিকা কিংবা বৃটেনের চেয়ে জঘন্য কোন যুক্তিতে বলবেন? সারা পৃথিবীতে এই ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনী তো ঠান্ডা মাথায় লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে। ইরাকে, আফগানিস্তানে, লিবিয়ায়, ফিলিস্তিনে আরও কত জায়গায়। সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা সেখানকার রাখাইন প্রদেশের মানুষদের গনহত্যায় মেতে উঠেছে। বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে। মহিলাদের পাইকারিভাবে ধর্ষন করছে। তো, এইসব দেখে যদি চোখ কান খোলা রেখে সউদির দিকে তাকান তাহলে মনে হয় আপনার প্রশ্নের ধরনটা নিজেই পাল্টে নিতে সক্ষম হবেন।
আর আপনার- 'কেন তারা প্রতিদিন ইয়েমেনে নিরীহ মানুষ হত্যা করছে? কেন তারা আমেরিকার পা চাটা চামচা? কেন তাদের মধ্য থেকেই এতো এতো ইসলামী জঙ্গিদের উথ্থান হচ্ছে? কেন তাদের বিজ্ঞানে-প্রযুক্তিতে অগ্রগতি এতো কম?' প্রশ্নগুলোর উত্তরে বিনীতভাবে জানাতে চাই, আল্লাহর মনোনীত বিধান ইসলামের বাস্তব অনুশীলনের অভাব এবং তাঁর প্রিয় রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথ থেকে সরে গিয়ে পার্থিব লোভ-লালসা, সম্পদের মোহ, ক্ষমতালিপ্সা, বিলাসিতা, এককথায় আখেরাত বিমুখ অসাড় জীবন কামনার মত জঘন্য সব ব্যধি যখন মুসলিমদের আক্রান্ত করে তখন তাদের চরিত্রে ঘূন ধরা স্বাভাবিক হয়ে যায়। ন্যায়পরায়নতার গুনাবলী হারিয়ে তাদের ভেতরে অন্যায়ের চেতনা মাথা চারা দিয়ে ওঠে। একসময় গদি আর তখত-তাউস রক্ষার্থে মনিব-প্রভূর আসনে বসিয়ে নেয় পশ্চিমা তথাকথিত মোড়লদের। এ চরিত্র মুসলিমদের হতে পারে না। আল্লাহ পাক মাফ করুন।
ভাল থাকুন।
১২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: আপনার পবিত্র বাইতুল্লাহর বাসিন্দাদের কিছু নৃশংসতার চিত্র। আর আপনি সেটার বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। নিজের জান্নাতে টিকিটের ব্যবস্থা তো করছেন, আপনাদের হজ্জ্বের টাকা দিয়ে এই সাধারণ মানুষগুলোকে যে সৌদি মারছে সে খেয়াল আছে?
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা আবারও আপনার আন্তরিকতাপূর্ন মন্তব্যে।
আমি কিন্তু আমার পোস্টের কোথাও বলিনি যে, সউদি সরকার পাশ্ববর্তী দেশ ইয়েমেনের সাথে অন্যায় এবং অগ্রহনযোগ্য যেসব আচরন করছে তা বৈধ। আর আপনার সদয় জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখছি, আপনি যেমনটা ভাবেন, ইয়েমেনের নির্যাতিত মানুষের জন্য আপনার যেমন মন কাঁদে, আমার বিশ্বাস, সউদির সাধারন নাগরিকদের অধিকাংশই আপনার মতই নৃশংসতা এবং এইসব নির্মমতার সম্পূর্ন বিপক্ষে। তারা কথা বলতে পারছেন না। তাদের নির্বাক করে রাখা হয়েছে। সুতরাং, দেশের শাসক শ্রেনির মুষ্টিমেয় ব্যক্তির দায়কে গোটা জাতির উপরে চাপিয়ে দিবেন কি করে?
পবিত্র বাইতুল্লাহ যিয়ারতের টুকিটাকি বিষয়গুলো এই সিরিজে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরার ইচ্ছে ছিল। আপনি যদি মনে করেন 'সেটা সউদি সরকারের অবৈধ কর্মকান্ডের সমর্থনমূলক বিজ্ঞাপন' তাহলে দু:খ প্রকাশ করা ছাড়া উপায় থাকে না। আপনি নিষেধ করলে না হয়, 'আর লিখব কি লিখব না' ভেবে দেখা যেতে পারে!
নিজের জান্নাতে টিকিটের ব্যবস্থা তো করছেন, আপনাদের হজ্জ্বের টাকা দিয়ে এই সাধারণ মানুষগুলোকে যে সৌদি মারছে সে খেয়াল আছে?
-দয়া করে একটু বুঝিয়ে বলুন। আপনি কি তাহলে হজ্বে যেতে নিষেধ করতে চান?
আল্লাহ পাক পৃথিবীর নির্যাতিত সকলকে জালিমের হাত থেকে রক্ষা করুন।
ভাল থাকুন ভাই।
১৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৪
কালীদাস বলেছেন: সিরিজটা কি শেষ? ব্লগের অনেকের মত আমিও আগ্রহ নিয়ে পড়ছিলাম পর্বগুলো।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। আসলে আমি খুব একটা আশ্বস্ত হতে পারছিলাম না। সামনে যাব কি যাব না, এই নিয়ে সংশয়ে ছিলাম। যাক, আলহামদুলিল্লাহ। আপনার মত গুনী ব্যক্তির আগ্রহের কথা জেনে নতুন করে সাহস পেলাম। ইতোমধ্যে আরও কেউ কেউ সিরিজটি কন্টিনিউ করার ব্যাপারে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ, অল্প সময়ের ভেতরেই আবার শুরু করার চেষ্টা করব।
ভাল থাকবেন।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
এই সিরিজের পরবর্তী পর্ব দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরে আজ পাবলিশ হলো। আপনার অদম্য আগ্রহ এবং নিরন্তর অনুপ্রেরনার জন্য কৃতজ্ঞতা, প্রিয় ভাই।
লিঙ্ক-
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব৭)
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: প্রিয় নকিব ভাই আপনা সৌভাগ্য আপনি হজ্বে গেছেন ও সেখানে গিয়ে অনেক মধুর অভিজ্ঞতা পেয়েছেন।
আমার জন্যও দোয়া করবেন যেন ওখানে যেতে পারি।
আচ্ছা ওখানকার ইমামরা কোন নিয়মে নামায আদায় করেন সে সব নিয়ে নিশ্চয় একটি পোষ্ট দিবেন।
পোষ্টে প্লাস।