নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ইসলামে সালাতের গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামের পাঁচ রোকনের অন্যতম সালাত। সালাতের গুরুত্ব আলোচিত হয়েছে আল কুরআনের অনেক আয়াতে। সালাত সম্পাদনকারী মুমিনকে 'সফলকাম' বলা হয়েছে আল কুরআনে। আল্লাহ পাকের ইরশাদ-
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ
''মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে, যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র।'' সূরাহ আল মুমিনূন, আয়াত:১-২
হাদিসের কিতাবসমূহে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ নিসৃত অসংখ্য বানী বর্নিত হয়েছে এ বিষয়ে। বস্তুত: সালাত হচ্ছে, মুমিন ব্যক্তির যাবতীয় কল্যানের চাবিকাঠি। স্বেচ্ছায় সালাত পরিত্যাগকারী আল্লাহ পাকের রহমত থেকে বঞ্চিত। সহীহ হাদিসের ভাষ্যে একথা স্পষ্ট, এমন ব্যক্তি ইসলামের গন্ডি থেকে বিচ্যুত। স্বেচ্ছায়, বুঝে-শুনে এবং স্বজ্ঞানে কোনো অবস্থায় কোনো মুমিন ব্যক্তি সালাত পরিত্যাগ করতে পারেন না। ইসলামী শরিয়াত এই সুযোগ কাউকে দেয়নি। আলোচ্য নিবন্ধে সালাত বিষয়ক কিছু আয়াত এবং তার সরল অনুবাদ তুলে ধরা হল:
সালাত কায়েমের মাধ্যমে অর্জিত হয় তাকওয়া (আল্লাহর ভয় এবং আত্মসচেতনতা)
আল্লাহ পাক বলেন-
ذَٰلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ ۛ فِيهِ ۛ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ
''এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য, যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে।'' সূরাহ আল বাক্কারাহ, আয়াত:২-৩
সালাত ঈমানদারের নিদর্শন
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ ۚ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ۚ أُولَـٰئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللَّهُ ۗ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
''আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তা’আলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।'' সূরাহ আত তাওবাহ, আয়াত:৭১
আল্লাহর অনন্ত আশীষ লাভের মাধ্যম সালাত প্রতিষ্ঠা
আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
فَمَا أُوتِيتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَمَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ وَمَا عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ وَأَبْقَىٰ لِلَّذِينَ آمَنُوا وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ وَالَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَائِرَ الْإِثْمِ وَالْفَوَاحِشَ وَإِذَا مَا غَضِبُوا هُمْ يَغْفِرُونَ وَالَّذِينَ اسْتَجَابُوا لِرَبِّهِمْ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَأَمْرُهُمْ شُورَىٰ بَيْنَهُمْ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ
''অতএব, তোমাদেরকে যা দেয়া হয়েছে তা পার্থিব জীবনের ভোগ মাত্র। আর আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী তাদের জন্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও তাদের পালনকর্তার উপর ভরসা করে। যারা বড় গোনাহ ও অশ্লীল কার্য থেকে বেঁচে থাকে এবং ক্রোধাম্বিত হয়েও ক্ষমা করে, যারা তাদের পালনকর্তার আদেশ মান্য করে, নামায কায়েম করে; পারস্পরিক পরামর্শক্রমে কাজ করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে।'' সূরাহ আশ শূরা, আয়াত: ৩৬-৩৮
সালাত আদায়কারীগন বিচারের দিনে ভয় ভীতি মুক্ত থাকবেন
আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ
“নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সৎকাজ করেছে, নামায প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যাকাত দান করেছে, তাদের জন্যে তাদের পুরষ্কার তাদের পালনকর্তার কছে রয়েছে। তাদের কোন শঙ্কা নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।” সূরাহ আল বাক্কারাহ, আয়াত: ২৭৭
সালাত আল্লাহকে স্মরণ রাখার মাধ্যম
আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلَاةَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىٰ جُنُوبِكُمْ ۚ فَإِذَا اطْمَأْنَنْتُمْ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ ۚ إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَوْقُوتًا
“অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।” সূরাহ আন নিসা, আয়াত: ১০৩
সালাত কায়েমের মাধ্যমে উঁচু নিচুর ভেদাভেদের অপনোদন ঘটে
আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوا مَعَ الرَّاكِعِينَ
“আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়।” সূরাহ আল বাক্কারাহ, আয়াত: ৪৩
সালাত বিনয় নম্রতার প্রশিক্ষন দেয়
আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَىٰ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ
“সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও।” সূরাহ আল বাক্কারাহ, আয়াত: ২৩৮
সালাত আল্লাহর সাহায্য প্রাপ্তির মাধ্যম
কুরআনে হাকিমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ
“ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।” সূরাহ আল বাক্কারাহ, আয়াত: ৪৫
অন্য আয়াতে তিনি বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ
“হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।” সূরাহ আল বাক্কারাহ, আয়াত: ১৫৩
জুমুআর সালাতের বিশেষ গুরুত্ব
কুরআনে হাকিমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَىٰ ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانْتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِنْ فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
“মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” সূরাহ আল জুমুআহ, আয়াত: ০৯-১০
সালাত থেকে উদাসীন করতে শয়তান সদা সচেষ্ট
কুরআনে হাকিমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ ۖ فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ
“শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত হবে?” সূরাহ আল মা-য়িদাহ, আয়াত: ৯১
সালাত অন্যায় অশ্লীলতা থেকে ফিরিয়ে রাখে
কুরআনে হাকিমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ ۖ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَىٰ عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ ۗ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ
“আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর।” সূরাহ আল আনকাবুত, আয়াত: ৪৫
বন্ধুত্ব তো তাদের সাথেই যারা সালাত আদায়কারী
কুরআনে হাকিমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ
“তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ তাঁর রসূল এবং মুমিনবৃন্দ-যারা নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং বিনম্র।'' সূরাহ আল মা-য়িদাহ, আয়াত: ৫৫
নারী জাতির প্রতি বিশেষ নির্দেশ
কুরআনে হাকিমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَىٰ ۖ وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ۚ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
“তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।” সূরাহ আল আহযাব, আয়াত: ৩৩
মুনাফিকরাই সালাতে উদাসীন
কুরআনে হাকিমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ يُخَادِعُونَ اللَّهَ وَهُوَ خَادِعُهُمْ وَإِذَا قَامُوا إِلَى الصَّلَاةِ قَامُوا كُسَالَىٰ يُرَاءُونَ النَّاسَ وَلَا يَذْكُرُونَ اللَّهَ إِلَّا قَلِيلًا
“অবশ্যই মুনাফেকরা প্রতারণা করছে আল্লাহর সাথে, অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করে। বস্তুতঃ তারা যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন দাঁড়ায়, একান্ত শিথিল ভাবে লোক দেখানোর জন্য। আর তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে।” সূরাহ আন নিসা, আয়াত: ১৪২
সালাতে অলসতা ছাদাক্কাহ পর্যন্ত কবুল না হওয়ার কারন
কুরআনে হাকিমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
وَمَا مَنَعَهُمْ أَنْ تُقْبَلَ مِنْهُمْ نَفَقَاتُهُمْ إِلَّا أَنَّهُمْ كَفَرُوا بِاللَّهِ وَبِرَسُولِهِ وَلَا يَأْتُونَ الصَّلَاةَ إِلَّا وَهُمْ كُسَالَىٰ وَلَا يُنْفِقُونَ إِلَّا وَهُمْ كَارِهُونَ
“তাদের অর্থ ব্যয় কবুল না হওয়ার এছাড়া আর কোন কারণ নেই যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি অবিশ্বাসী, তারা নামাযে আসে অলসতার সাথে ব্যয় করে সঙ্কুচিত মনে।” সূরাহ আত তাওবাহ, আয়াত: ৫৪
সালাত পরিত্যাগ শিরকের বাহন
কুরআনে হাকিমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
مُنِيبِينَ إِلَيْهِ وَاتَّقُوهُ وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَلَا تَكُونُوا مِنَ الْمُشْرِكِينَ
“সবাই তাঁর অভিমুখী হও এবং ভয় কর, নামায কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।” সূরাহ আর রূম, আয়াত: ৩১
সালাত পরিত্যাগ পূর্ববর্তী জাতিগুলোর পথভ্রষ্টতার কারন
কুরআনে হাকিমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'-লা বলেন-
فَخَلَفَ مِنْ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوا الصَّلَاةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ ۖ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا
“অতঃপর তাদের পরে এল অপদার্থ পরবর্তীরা। তারা নামায নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুবর্তী হল। সুতরাং তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতা প্রত্যক্ষ করবে।” সূরাহ মারইয়াম, আয়াত: ৫৯
ফরিয়াদ
পরিশেষে মহান মনিব প্রভূ পরওয়ারদিগারের আলীশান দরবারে বিনীত ফরিয়াদ, তিনি আমাদের সকলকে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত যথাযথ গুরুত্বের সাথে যথানিয়মে আদায় করার তাওফিক দান করুন। জামাআ'তবদ্ধ হয়ে সালাত আদায়ের সুযোগ দিন। সালাতে পরিপূর্ন মনযোগী হতে পারি সেই কিসমত নসীব করুন।
০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ভাল লাগায় আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা। পাঠ এবং মন্তব্যে অভিনন্দন।
অনেক ভাল থাকুন।
০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি কি প্রথম পাতায় গেছেন?
২| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯
কানিজ রিনা বলেছেন: সুবহানআল্লাহ্ আলহামদুলিল্লাহ্ অসাধারণ
একটি পোষ্ট দিয়েছেন। আল্লাহ্ সকলকে
বুঝার তৌফিক দান করুন। শ্রদ্ধান্তে অসংখ্য
ধন্যবাদ।
০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার প্রতিটি মন্তব্য খুটিয়ে খুটিয়ে দেখার মত। বিশেষত: মন্তব্য লেখার স্টাইলটা বরাবরই ভিন্ন। আগমনে কৃতার্থ। আপনার আন্তরিক দুআ' আল্লাহ পাক কবুল করুন।
অনেক ভাল থাকার দুআ'।
৩| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০১
শামচুল হক বলেছেন: ভালো লাগল।
০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ভাই, কৃতজ্ঞতা অশেষ। আপনার উপস্থিতি প্রেরনা দেয়। পোস্ট ভাল লাগায় কৃতজ্ঞতা।
ভাল থাকার দুআ' নিরন্তর।
৪| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: খুব সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। পড়ে ভাল লেগেছে।
০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আগমনে অনেক আনন্দিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনাকে জাতির জন্য ভাবতে এবং তাদের জন্য দিকনির্দেশনামূলক কিছু লিখে রেখে যেতে পারেন- তাওফিক দান করুন মহান মালিক।
অনেক ভাল থাকবেন।
৫| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নকিব ভাই আসন্ন রমজানের পক্ষে উপযোগী পোষ্ট। খুব ভাল লাগলো।
অনেক শুভকামনা প্রিয় নকিব ভাইকে।
০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
রমাদানের উপযোগী কিছু পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে রয়েছে। দুআ চাই।
আগমনে কৃতার্থ হলাম। পোস্ট ভাল লাগায় কৃতজ্ঞতা।
অনেক ভাল থাকবেন।
৬| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: নকিব ভাই! কিছু প্রশ্ন ছিল!!
ব্লগে একজন মুফতি সাহেবের দরকার। আপনার পরিচিত কেউ আছে??
আরেকটি কাজ করা যায়,
আমাদের প্রশ্নগুলো, আপনি কোন পরিচিত মুফতির কাছ থেকে জেনে প্রতিউত্তর করলেন?
কী বলেন??
০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ব্লগে সেরকম কারও সম্মন্ধে আমার ধারনা নেই।
প্রশ্নগুলো যদি দয়া করে বলতেন! চেষ্টা করে দেখব ইনশা- আল্লাহ।
আপনার জানার আগ্রহ ভাল লাগলো। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকবেন।
৭| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ''আল্লাহ মানুষকে তার এবাদতের জন্যেই সৃষ্টি করেছেন''
কোথায় যেন পড়েছিলাম।
তাহলে মানুষ কাম কাজ কখন করবে? কাজ না করলে খাবে কি?
এই বিষয়টা নিয়ে কিছু লিখবেন প্লীজ।
০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
অসাধারন মন্তব্য করেছেন। অবশ্যই এই বিষয়ে লিখব, ইনশা- আল্লাহ।
আর আপনি যা শুনেছেন, ''আল্লাহ মানুষকে তার এবাদতের জন্যেই সৃষ্টি করেছেন'' -তা সঠিক। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, আপনি সংসারের সব কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে ইবাদত করবেন, ধর্ম পালন করবেন। আপনি যদি কুরআনের আলোকে, হাদিসের নির্দেশনা অনুসারে নিজের জীবন পরিচালনায় সক্ষম হন, নি:সন্দেহে আপনার প্রতিটি কাজই হয়ে যাবে ইবাদত। ইবাদত করলে কাজ ছেড়ে দিতে হবে, এমনটা কেন ভাবতে হবে? ইসলাম তো এমন কোনো কঠিন জীবন আমাদের উপর চাপিয়ে দেয় না যে, আমরা ইসলাম মেনে চললে আমাদের রুটি রুজির পথ বন্ধ করে ইসলাম পালন করতে হবে! বরং, ব্যবসা-বানিজ্য, চাকরি-বাকরি করেই আপনার পক্ষে ইসলাম মেনে চলা সম্ভব। বৈরাগ্যবাদের কোনো স্থান ইসলামে নেই। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের কথাই ধরুন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত নিয়মিত আদায় করলে আপনার ২৪ ঘন্টা সময়ের কতটুকু এর পেছনে দিতে হবে? সর্বোচ্চ ১ থেকে দেড় ঘন্টার বেশি মনে হয় না। সুতরাং, ইবাদত করলে সবকিছু ছেড়ে দিতে হবে, এ ধারনা সঠিক নয়। আপনি জ্ঞানী, চিন্তাশীল মানুষ। একটু চিন্তা করলেই আশা করি, আপনার পক্ষে বুঝে নেয়া অসম্ভব হবে না।
আপনার প্রশ্নটি অনেক ভাল লাগলো। শুভকামনা নিরন্তর।
৮| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪
ব্লু হোয়েল বলেছেন: জাজাকাল্লাহু
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩১
মুরাদ পাভেল বলেছেন: ভাল লাগল