নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
হে রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! প্রিয়তম হাবিব আমার! আমার দু'জাহানের পথের দিশারী! সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ! শাফিউল উমাম! সাইয়্যিদুল কাওনাইন ওয়াসসাকালাইন!
ব্যথাকাতর হৃদয়ে কলম ধরেছি আপনাকে দু'কলম লিখবো বলে! আপনার দস্ত মোবারকে কুরবান হোক আমার সম্মানিত প্রানপ্রিয় মাতাপিতা! আপনি নেই আজ আমাদের মাঝে! পরমপ্রিয় রবের আহবানে সারা দিয়ে নশ্বর এ জগতের মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে চলে গেছেন ওপাড়ের চিরস্থায়ী মহাশান্তির আলয়ে! সম্মানিত মেহমান হয়েছেন জান্নাতুল ফিরদাউসের! কিন্তু হে প্রিয়তম! জানি, আপনি মাকামে মাহমূদে আসীন হয়েও উম্মতের জন্য পেরেশান! আমাদের নাজাতের জন্য আপনার মন কেঁদে যায় অহর্নিশ! হৃদয় কাঁদে! আঁখি কাঁদে! দু'চোখে বয়ে যায় অশ্রুর শ্রাবন প্লাবন! কারন, আপনি তো দয়ার সাগর! মায়ার অথৈ পাথার! উম্মতের কান্ডারি! রহমাতুল্লিল আলামীন! সমগ্র জগতের জন্য রহমতের ফল্গুধারা বইয়ে দেয়ার জন্যই যে ধরাধামে ঘটেছিল আপনার আগমন!
প্রিয়তম! উম্মতের নাজাতের জন্য আপনি সারাটি জীবন কেঁদেছেন! অনাগত পৃথিবীর সকল মানুষ যাতে তাওহীদের বানীকে ধারন করে নেয় বুকে! সক্ষম হয় সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী বিশ্ব জাহানের তামাম কিছুর স্রষ্টা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলার পরিচয়লাভে! ইবাদাত-উপাসনা বলতে কেবল তাঁরই সামনে মস্তক অবনত করতে শিখে যায়! মুক্ত থাকতে পারে সকল প্রকারের অংশীদারির কলুষকালিমা থেকে! আপনি সেজন্য কেঁদেছেন! আপনার সে কান্নার ঢেউ বুকফাঁটা আর্তনাদ হয়ে ঝড়ে ঝড়ে পড়েছে আরবের মরু বিয়াবানে! বিশুষ্ক পাহাড়ে কন্দরে! মক্কার অলিতে গলিতে! মদিনার পথে প্রান্তরে! তায়েফের জমিনে! খন্দকের দিনে! তাবুকের প্রাঙ্গনে! বদরের কূপের কিনারে! আপনি কেঁদেছেন!
আম্মাজান খাদিজাতুল কুবরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা চলে গেলেন না ফেরার দেশে! শত্রুদের মোকাবেলায় ঢাল হয়ে সামনে দাঁড়ানো সেই মমতার ছায়াদানকারী পিতৃব্য আবু তালিবও হলেন বিগত! আহ, স্বজনহারা আশ্রয়হীন আপনি সেই বছরটির নামই দিয়ে দিলেন 'আমুল হুযন'! আহ, কষ্ট-দু:খ-চিন্তার বছর!
আহ! কত কঠিন ছিল শিআবে আবি তালিবে আপনার স্বজাতীয়দের অবরোধ-উপরোধের সেই তিনটি বছর! আপনার স্বল্পসংখ্যক দুর্বল সঙ্গী সাথীদের সে কি করুন কষ্টগাঁথা! খাদ্য পানীয় থেকে শুরু করে সকল প্রকারের বয়কটের বেড়াজালে কঠিন থেকে কতটাই না কঠিনতর হয়ে পড়েছিল আপনার এবং আপনার সঙ্গী সাথী বিশ্বাসের হিরন্ময় জ্যোতিতে উজ্জ্বল জীবন! দুধের শিশুদের পেটের ক্ষুধা পর্যন্ত নিবারন করার মত সামান্য খাদ্যও জুটতো না সীমাহীন কষ্টের যে দিনগুলোতে! খাদ্যপানীয়ের অভাবে যখন দুগ্ধদায়ী একেকজন মায়ের স্তন চুপসে গিয়েছিল ফুটো বেলুনের মত! আহ! গাছের ছাল বাকল চিবিয়ে আপনার সঙ্গী স্বল্পসংখ্যক নও মুসলিমগনের জীবন বাঁচানোর সে কি আকুল প্রচেষ্টা ছিল তখন!
হে রাসূল! আপনি ৬৩ বছরের জীবনে একটি দিন পেটপুরে খাননি! জমিন-আসমানের সকল সম্পদরাজির ভান্ডার-খাজানা যার কুদরতি হাতে, তিনি আপনাকে সুযোগ দিয়েছিলেন, আপনি ইচ্ছে করলে তিনি উহুদ পাহাড়কে আপনার জন্য স্বর্ণে পরিনত করে দিতেন! কিন্তু আপনি চাননি! আপনি চেয়েছেন আখিরাতের অনন্ত জীবন! দুনিয়ার চাকচিক্য, শান-শওকত, আরাম-আয়েশ আপনার কাছে প্রশ্রয় পায়নি! আর পায়নি বলেই তো মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা জলদগম্ভীর স্বরে মহাশান্তনার বানী শুনিয়েছেন আপনাকে! বলেছেন তিনি! হাবিব, আপনি যখন এতই আখিরাত অভিমুখী! এতই দুনিয়া বিমুখ! এতই আমার প্রতি অভিনিবেশ আপনার! আপনার বরকতময় নাম আমার নামের সাথে মিলিয়ে দুনিয়ার প্রান্তে প্রান্তে ছড়িয়ে দিব!
وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ
'আমি আপনার আলোচনাকে সমুন্নত করেছি।' সূরাহ আল ইনশিরাহ, আয়াত-০৪
বিশ্বাসীদের হৃদয়ে আপনার নামের মুহব্বতের অবিনাশী চিহ্ন এঁকে দিব! আযানে-ইকামাতে, ছালাতে-দরূদে আপনার মধুমাখা নাম আমি ছড়িয়ে দেব পৃথিবীর প্রতি প্রান্তে প্রান্তে! আপনার আখিরাত আমি আলোকিত-আলোকদীপ্ত-উজ্জ্বল করে দিব!
وَلَلْآخِرَةُ خَيْرٌ لَّكَ مِنَ الْأُولَى
'আপনার জন্যে পরকাল ইহকাল অপেক্ষা শ্রেয়।' সূরাহ আদদুহা, আয়াত-০৪
وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ فَتَرْضَى
'আপনার পালনকর্তা সত্বরই আপনাকে দান করবেন, অতঃপর আপনি সন্তুষ্ট হবেন।' সূরাহ আদদুহা, আয়াত-০৫
হে রাসূল, আপনি কেঁদেছেন সারাটি জীবন! উম্মতের হেদায়েতের জন্য! পথপ্রাপ্তির জন্য! নাজাতের জন্য! বালাদে আমীন যেন আজও আপনার গুনগুন কান্নার আওয়াজের অস্ফুট শব্দের গুঞ্জরন শোনা যায়! আপনি কেঁদেছেন পবিত্র বাইতুল্লাহর হরমে! পবিত্র কা'বা প্রাঙ্গনে! সবুজ শ্যামলিমাখচিত তায়েফের পথে প্রান্তরে কান পাতলে আজও 'রহমাতুল্লিল আলামীন' তথা 'জগতবাসী সকলের জন্য রহমত' -এর কান্নার অস্ফুট শব্দ শুনি!
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ
'আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি।' সূরাহ আল আমবিয়া, আয়াত-১০৭
আজকের সুদর্শন সুরম্য পবিত্র মসজিদে নববীর অভ্যন্তরে আপনার কান্নারা আজও যেন ঢেউ খেলে যায়! রওজা শরীফের কার্নিশ ধরে দাঁড়িয়ে কান পাতলেই যেন দিশেহারা, পর্যুদস্তু উম্মাহর দুর্দশা অবলোকনে আপনার ব্যথিত বুকের কান্নার সেই ফুটন্ত ডেকচির বুদবুদ ওঠার মত কান্নার শব্দ আজও হাহাকার হয়ে ঝড়ে পরে! কল্পনার রাজ্যে অবগাহন করলেই, সময়ের পরিক্রমা ভেদ করে পেছনের দিকে তাকালেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে আপনার অতি সাধারন নিবাস- খর্জ্জুরপত্র আর খর্জ্জুরবৃক্ষ নির্মিত আম্মাজান আয়িশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার জীর্নশীর্ন হুজরা শরীফ! যার পরতে পরতে মিশে আছে উম্মতের নাজাত চিন্তায় বেকারার-ব্যাকুল নবী হৃদয়ের কান্নার উপচে পড়া উর্মীমালা! রিয়াজুল জান্নাতের পবিত্র প্রাঙ্গন আপনার পবিত্র চোখের বারিধারায় আজও যেন সিক্ত কর্দমাক্ত! ক্ষুধা পিপাসায় কাতর আসহাবে সুফফাগনের উস্কু খুস্কু শুকনো মুখের দিকে তাকিয়ে আপনার কোমল অন্তর ডুকরে কেঁদে উঠেছে বার বার! সেই স্মৃতিগুলো যেন স্পষ্টই দেখতে পাই, প্রিয়তম! আহ! উহুদের ময়দান আপনার পবিত্র অশ্রু ধারন করে কালের সাক্ষী হয়ে আছে আজও!
হে রাসূল, আপনি না খেয়ে পেটে পাথর বেধেছেন! অবিশ্বাসীদের পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছে আপনার কোমল শরীর! জীবন পড়েছে নিদারুন শঙ্কায়! ভীষন হুমকির মুখোমুখি! বিপন্ন হওয়ার অবস্থায় উপনীত হয়েছেন বারবার! কাফের মুশরিকদের অত্যাচারের তীব্রতায় আপনি ব্যথিত হয়েছেন! কষ্টে নীল হয়েছে আপনার কোমলতম অন্তর! আকাশ-বাতাস কেঁপে উঠেছে! কেঁদে উঠেছে অত্যাচার-অবিচারের তীব্রতায়! অবশেষে প্রিয় জন্মভূমি মক্কাতুল মুকাররমাহর মায়া ত্যাগ করে তাকে ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন! তায়েফে রক্ত ঝড়িয়েছেন! উহুদে দান্দান মোবারক শহীদ হয়েছে আপনার! জিসম মোবারকে পরিহিত বর্ম ভেদ করে লোহার কড়া ঢুকে গেছে আপনার পবিত্র মস্তকে! তবু একটিবারের জন্য আপনি সাহসহারা হননি! ধৈর্য্যহারা হননি! ভরসা রেখেছেন মহান মালিকের প্রতি! গোস্বা হয়ে অভিশাপ দেননি নির্বোধদের! ধ্বংসের দুআ করেননি তাদের জন্য কোনো দিন! না তায়েফে! না উহুদের দিনে! বরং আশায় বুক বেঁধেছেন বারবার! শতবার! প্রতিবার! সতর্ক করেছেন তাদের! সুসংবাদ শুনিয়েছেন জান্নাতের অনি:শেষ নাজ নেআমতের! কারন, আপনি যে বাশিরুন নাজির! আপনি যে শা-হিদ মুবাশ্বির!
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
'হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি।' সূরাহ আল আহযাব, আয়াত-৪৫
وَدَاعِيًا إِلَى اللَّهِ بِإِذْنِهِ وَسِرَاجًا مُّنِيرًا
'এবং আল্লাহর আদেশক্রমে তাঁর দিকে আহবায়করূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে।' সূরাহ আল আহযাব, আয়াত-৪৬
আপনার আকাশপ্রমান মনের কোনে হিরম্ময় আশা দ্যুতি ছড়ায়- এই বুঝি সত্যকে গ্রহন করে নিবে আমার অবুঝ স্বজাতি! আহ, আমার জাতির লোকেরা বুঝে না, আয় আল্লাহ! আপনি তাদের ক্ষমা করুন! আহ, এ ও কি সম্ভব! মানবেতিহাসে আর কোনও নজির আছে এর?
হে রাসূল, আপনি ছিলেন চির ইয়াতিম! ধরাধামে আগমনের পূর্বেই বিগত হন আপনার সম্মানিত পিতা আব্দুল্লাহ! মাতৃস্নেহ-মাতৃমমতাও আপনি পাননি বেশি দিন! মাত্র ছয় বছরের কোলের শিশু যখন আপনি! তখনই মাতা আমিনাও আপনাকে ছেড়ে পাড়ি জমান পরপাড়ের উদ্দেশ্যে! স্নেহময়ী মায়ের স্নেহের আঁচলও যখন সরে যায় আপনার মাথার উপর থেকে! বাবা-মা দু'জনকে হারিয়ে যখন আপনি চির ইয়াতিম! তখন আপনার ঠাঁই হয় দরদী দাদা আব্দুল মুত্তালিবের বুকে! আহ, দাদার স্নেহের ছায়াও সরে যায় দু'বছরের মাথায়! মাত্র আট বছর বয়সে তিনিও চলে যান না ফেরার দেশে! পিতৃব্য আবু তালিবের নিকট ন্যস্ত হয় আপনার লালন পালনের দায়িত্ব!
হে প্রিয়তম, সারাটি জীবন আপনি কষ্ট করেছেন! পার্থিব লোভ-লালসা আপনাকে কখনও স্পর্শ করতে পারেনি! আপনার একমাত্র লক্ষ্য ছিল- দুনিয়ার সবগুলো মানুষ কিভাবে মহান প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাকে চিনে নিতে পারে! কিভাবে একমাত্র তাঁরই ইবাদাতে একনিষ্ঠতার পরিচয় দিয়ে জান্নাতের উপযুক্ততা অর্জন করতে পারে! কিভাবে দুনিয়ার প্রতিটি কাঁচা পাকা ঘরের কোনে জ্বালিয়ে দেয়া যায় তাওহীদের আলোকোজ্জ্বল দ্বীপশিখা! কিভাবে জগত থেকে বিদূরিত করা যায় বাতিলের মিথ্যে কূহক! মূর্তির সয়লাব! তাগূতের পুতিদুর্গন্ধময় পঙ্কিল পথ থেকে কিভাবে প্রতিটি মানুষকে ফিরিয়ে আনা যায় দ্বীনে হকের উপরে! সিরাতুল মুস্তাকিমের উপরে! আপনি আজ সশরীরে উপস্থিত নেই আমাদের মাঝে! আপনার সে প্রচেষ্টাকে থামিয়ে দেয়ার বহুমূখী ষড়যন্ত্র পাখা বিস্তার করছে বিশ্বজুড়ে! দিনকে দিন জাহিলিয়াতের ঘূনে ধরা সমাজ যেন আবার ফিরে আসছে বিশ্বময়! বিপদগামী একদল মানুষ আজ কুরআনকে তুলে ধরতে চায় সেকেলে অচল একটি গ্রন্থ হিসেবে! আপনার পূত পবিত্র চরিত্রে কালিমালেপনের অপপ্রয়াসে লিপ্ত হওয়ার দু:সাহস দেখাতে চায় তারা! অথচ আপনার চারিত্রিক সার্টিফিকেট তো স্বয়ং মহান আল্লাহ জাল্লা শানুহূ দিয়েছেন!
وَإِنَّكَ لَعَلى خُلُقٍ عَظِيمٍ
'আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।' সূরাহ আল ক্কলাম, আয়াত-০৪
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا
'যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে।' সূরাহ আল আহযাব, আয়াত-২১
প্রিয়তম, আপনার রেখে যাওয়া দ্বীনের মশাল আজ নিভূ নিভূ! আপনার অবর্তমানে দ্বীনের এ ঝান্ডাবাহীগনের উল্লেখযোগ্য অংশ আজ দ্বিধাবিভক্ত! সামান্য পার্থিব স্বার্থের মোহে তাদের অধিকাংশ আখিরাত বিস্মৃত! আজ আমাদের মাঝে নেই সাহাবায়ে কেরামের বিজয়ী সেই কাফেলার বুক ভরা সাহস! খালিদ বিন ওয়ালিদের মত চির অপরাজেয় রনকৌশলী বীরদের সেই সাহস কৌশল থেকে আমরা যোজন যেজন দূরে! দূর পাহাড়ে নিরবে-নিভৃতে তাপস জীবন বেছে নেয়া আবূ যর গিফারীর মত আধ্যাত্মিক মহাপুরুষগনের সেই হিম্মত থেকেও জাতি আজ বিমুখ! নেই আপনার রেখে যাওয়া অমর আদর্শের যোগ্য উত্তরসূরী! মর্দে মুমিন সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়্যুবীর মত কোনো বীর সিপাহসালার এখন আর হকের রাহবারিতে এগিয়ে আসেন না! উম্মতের অকুতোভয় সাহসী জ্ঞানতাপস ইমামে আজম আবূ হানিফা-শাফেয়ী-হামবাল-মালেকগনও আজ আর নেই! বাতিলের মোকাবেলায় ইস্পাত কঠিন ঈমান নিয়ে দাঁড়ানোর মত তাকতওয়ালা সেই বীরের জাতি আজ পড়ে পড়ে মার খায়! আজ ফিলিস্তিনে আপনার উম্মতেরা লাঞ্চিত! হে রাসূল, আজ কাশ্মিরের মুসলমানগন নিষ্পেষিত-পদদলিত! তাদের কোনো অপরাধ নেই! তাদের অপরাধ একটাই- কেন তারা মুসলমান?
আরাকানের লক্ষ লক্ষ ধর্ষিতা মা-বোনের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত! অথচ তাদের কোনো অপরাধ নেই! অপরাধ একটাই- কেন তারা মুসলিম? ভাষায় ব্যক্ত করার সাধ্য নেই, হে প্রিয়তম! কলিজা ফেটে চৌচির হচ্ছে এসব কথা তুলে ধরতে! কি বলে কোন শব্দে আপনার সামনে তুলে ধরবো সেই নির্মমতা! আজ আমাদের মত দশ/ বার বছরের কিশোরী কিংবা আরও ছোট শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না সেখানে! নরপশুদের লালসার শিকার হচ্ছে অবুঝ দুগ্ধপোষ্য শিশুরাও! নিষ্পাপ শিশুদের মায়ের কোল থেকে টেনে হেচড়ে নিয়ে দেয়ালের সাথে আছড়ে খুন করেছে মিয়ানমারের পাষন্ড সৈন্যগন! আমরা কাকে বলবো এ দু:খগাঁথা? কাকে দেখাবো বুকের ভেতরের লুকানো ক্ষত? নির্বিচারে যে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তারাও কোনো অপরাধ করেননি! তাদের অপরাধ- তারা মুসলিম! আজ চীনের জিনজিয়াংয়ের মুসলিমরা অত্যাচারীর কালো হাতের থাবায় নাস্তানাবুদ! তাদের অপরাধ- তারা মুসলিম! এমনিকরে আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, বসনিয়াসহ গোটা মুসলিম উম্মাহর উপরে নির্যাতন নিপীড়নের স্টীমরোলার চালানো হচ্ছে! অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, একটিমাত্র নীতিই বিশ্বজুড়ে কার্যকর- যেখানেই মুসলিম, কলাকৌশলে সেখানেই দমন-পীড়ন!
হে প্রিয় রাসূল, এক বুক কষ্ট বয়ে নিয়ে পথ চলেছি আমরা হতভাগা আপনার ইয়াতিম উম্মত! উম্মহর দ্বিধাবিভক্তি, ভিনজাতির সর্বাত্মক খেয়ালী ও নিপূন ছকে আঁকা কৌশলী এবং সর্ববিধ্বংসী মূলোতপাটননীতির ভেতর দিয়ে আজকের মুসলিম উম্মাহর পথচলা! আজ আপনার প্রিয় স্মৃতিঘেরা পবিত্র দুই হারামাইন শরিফাইনের তত্ত্বাবধায়কদের সাথে ইসলাম এবং মুসলিম জাতির আজন্মকালের শত্রুদের দহরম মহরম! ভাবতেই শিউরে ওঠে আমাদের মত কচিকাঁচাদেরও গা! আহ, এদের তো হওয়ার কথা ছিল দ্বীন ইসলাম আর বিশ্বব্যাপী নির্যাতিত মুসলিম জাতির রক্ষক! আহ, আজ রক্ষকদেরই হাতে নির্মম জুলূমের শিকার স্বজাতীয় ইয়েমেনের লক্ষ লক্ষ বনি আদম! প্রতি দিন সেখানে লাশ হতে হয় নারী শিশুসহ আবাল বৃদ্ধ বনিতাদের! এ ক্ষত কি দিয়ে শুকোবো, প্রিয়তম?
হে প্রিয়তম! আপনার মিশন আপনি পরিপূর্ন করে গেছেন! আপনি এ উম্মাহর অধ:পতনের কারনও পূর্বেই ব্যক্ত করে গেছেন! বলেছেন- 'তারাকতু ফি-কুম আমরাইন আও শাইয়াইন, লান তাদিল্লূ মা- তামাচ্ছাকতুম বিহিমা-, কিতাবাল্লাহি ওয়া ছুন্নাতা নাবিয়্যিহী'।
'আমি তোমাদের মাঝে দু'টি জিনিষ রেখে যাচ্ছি। যত দিন তা মজবুত করে আঁকড়ে ধরে থাকবে, কষ্মিনকালেও তোমরা বিপদগামী হবে না। সে দু'টি হচ্ছে- আল্লাহর কিতাব আল কুরআন এবং তাঁর নবীর ছুন্নাত।'
বলতে বুক ভেঙ্গে যায়- আল্লাহর কিতাব আল কুরআন এবং আপনার রেখে যাওয়া আদর্শ তথা ছুন্নাতকে আজ আমরা ছেড়ে দিয়েছি! ফলে আজ আমরা আমলহীন অথর্ব একটি জাতিতে পরিনত হয়েছি! আমাদের উপরে আজ ছড়ি ঘুরায় তাবত বিশ্বের প্রতিটি জাতি! একদা যাদের বজ্র নিনাদে রোম, পারস্যের মত বিশ্বসেরা সাম্রাজ্য-অধিপতিদের মসনদ পর্যন্ত কেঁপে উঠতো, যাদের হুংকারে বাঘে-মহিষে এক ঘাটে করতো পানাহার, দুনিয়া যাদের দেখে সালাম জানাতো, একমাত্র ঈমানের বলেই যারা ছিলেন বলিয়ান, ঈমানের কুওয়্ত হারিয়ে, কুরআন-ছুন্নাহ, তাহযিব-তামাদ্দুন, ইসলামী কৃষ্টি-কালচার, আদব-আখলাক, সভ্যতা-সৌন্দর্য্য ভুলে গিয়ে সে জাতি আজ দিশেহারা-দিকভ্রান্ত-পদস্খলিত! দুনিয়াজুড়ে কেবল মার খাওয়াই যেন তাদের নির্মম নিয়তি!
হে প্রিয় রাসূল, আমরা চর্মচক্ষে আপনাকে দেখিনি! আপনার পূর্নিমার চাঁদের চেয়ে উজ্জ্বল, কান্তিময় মুখাবয়ব দর্শনের সৌভাগ্য আমাদের নসিব হয়নি! কিন্তু আপনি রয়েছেন আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায়! আপনার প্রতিটি আদেশ-নিষেধ, আপনার অনুপম আদর্শের প্রতিটি কনামাত্রও আমাদের নিকট হীরকতুল্য! কথা দিচ্ছি আজ, আপনার আদর্শকে গলার মালা বানিয়ে আমরা আমাদের জীবন আবারও রাঙিয়ে নেব! আপনার মহান আদর্শেই শান্তি এবং মুক্তি, শান্তি মুক্তি আর কোথাও নেই- দুনিয়াজুড়ে দিকভ্রান্ত, মার খাওয়া মুসলিম সন্তানদের নিকট আমাদের সাধ্যমত পৌঁছে দেব মহান এই বার্তা! অধ:পতিত এ জাতি যদি আবার ঘুরে দাড়ায়! যদি ফিরে আসে কুরআনের দিকে! যদি বুকে আগলে নেয় ছুন্নাতের সেই আমলী জিন্দেগী! পার্থিব জীবনের ক্ষনিকের আনন্দকে চিরস্থায়ী আখিরাতের জীবনের উপরে প্রাধান্য যদি না দেয়- আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আবারও এ জাতির করায়ত্ত হবে আগামী পৃথিবীর চালিকাশক্তি! পরাভব না মানা এ জাতির আগামীর সূর্যসন্তানগন পরিচালকের আসনে আসীন হবেন আবারও! আপনার অনুপম আদর্শের চাদরের নিচে শামেলে হাল জাতির বদলে যাবে ভাগ্য! মিলে যাবে পারকালীন মুক্তিও! মুমিন জীবনে এরচে' বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে!
আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়াআলা আ-লিহী ওয়াছাল্লাম।
ছবি: গুগল।
চিঠিটি লেখার একটি প্রেক্ষাপট রয়েছে। প্রেক্ষাপট সময়মত বলার চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
বালাগাল উলা বিক্বামালিহী
কাশাফাদ্দোজা বিজামালিহী
হাসুনাত জামিউ খিসালিহী
সাল্লু আলাইহি ওা আলিহি!
হে রাসুল সা: দরুদ ও সালাত ও সালাম আপনার উপর, আপনার আহলে বাইতের উপর
পবিত্র পাক পাঞ্জাতনের উপর, সালাত ও সালাম আহলে ইব্রাহিম আ:, শোহাদায়ে কারবালা
ইমামুত্ত তারিকতা, মুমিনাত, অলি আউলিয়া সকল বুজুর্গ গণের উপর,
আপনার রহম ও করমে আমাদের সেই সরল সত্য পথের দিশঅয় চালীত করুন।
আমাদের জন্য একজন যোগ্য নেতা প্রেরণ করুন যিনি দিশেহারা উম্মাহ কে চালীত করবেন
ইহদিনাস সিরাতাল মোস্তাকিমের পথে।
অশ্রু বয়ে যায় আজো নিরবধি
সফেদ শশ্রু বেয়ে
চোখের জলে ঝর্ণার ব্যাথাবান
মেশে গিয়ে বেদনার মহাসাগরে!
কবলে কাঁদে কারবালার কবি
ওঠ জেগে হে জীবন্মৃত যদি মানুষ হবি।
অসাধারন এক আবেগময় রাসূল চরিতের জণ্য কৃতজ্ঞতা ভয়া
ভুলোমনে রাসুলে সা: এর প্রেমাবেগ জাগিয়ে দেয়ার জন্য আপনার উপর রহম ও করম বর্ষিত হোক অফুরান
অসাধারন রাসূল প্রেম প্রতিটি ছত্রে যেন কথা বলে ওঠে!
কৃতজ্ঞতাসহ মোবারকবাদ।
অনেক ভালো থাকবেন প্রিয় কবি ভাই!
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৫
ম্যাড ফর সামু বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্! অতি চমৎকার একটি শিক্ষনীয় পোষ্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি নেক আমল করার তাওফিক দান করুন, আমিন! আল্লাহুম্মা ছাল্লিআলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আ-লি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ওয়া বারিক ওয়াসাল্লিম।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া। আপনার অনি:শেষ আন্তরিক মন্তব্যে সত্যি পুলকিত!
ভালো থাকুন, প্রার্থনা নিরন্তর।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বালাগাল উলা বিক্বামালিহী
কাশাফাদ্দোজা বিজামালিহী
হাসুনাত জামিউ খিসালিহী
সাল্লু আলাইহি ওা আলিহি!
হে রাসুল সা: দরুদ, সালাত ও সালাম আপনার উপর, আপনার আহলে বাইতের উপর
পবিত্র পাক পাঞ্জাতনের উপর, সালাত ও সালাম আহলে ইব্রাহিম আ:, শোহাদায়ে কারবালা
ইমামুত্ত তারিকাত,মুমিনিনা আল মুমিনাত, অলি আউলিয়া সকল বুজুর্গ গণের উপর,
আপনার রহম ও করমে আমাদের সেই সরল সত্য পথের দিশায় চালীত করুন।
আমাদের জন্য একজন যোগ্য নেতা প্রেরণ করুন যিনি দিশেহারা উম্মাহ কে চালিত করবেন
ইহদিনাস-সিরাতাল মোস্তাকিমের পথে।
অশ্রু বয়ে যায় আজো নিরবধি
সফেদ শশ্রু বেয়ে
চোখের জলে ঝর্ণার ব্যাথাবান
মেশে গিয়ে বেদনার মহাসাগরে!
কবরে কাঁদে কারবালার কবি
ওঠ জেগে হে জীবন্মৃত; যদি মানুষ হবি।
অসাধারন এক আবেগময় রাসূল চরিতের জন্য কৃতজ্ঞতা ভয়া
ভুলোমনে রাসুলে সা: এর প্রেমাবেগ জাগিয়ে দেয়ার জন্য আপনার উপর রহম ও করম বর্ষিত হোক অফুরান
++++++++++++++
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০২
আরোহী আশা বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
মোবারকবাদ আপনাকে। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। অনেক ভালো থাকুন।
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬
হাবিব বলেছেন:
দোয়া করি স্বপ্নে রাসূল (স) এর দীদার পান।
আপনার পোন্ট যথেষ্ট ভালো লেগেছে......
পোস্টে++++
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
দীদারে সাইয়্যিদুল আলম, ছাকিয়ে কাউসার এর জন্য দুআ। অতি উত্তম দুআ। অনেক বড় সৌভাগ্যের বিষয়। আলহামদুলিল্লাহ, অনেকের এই মহাসৌভাগ্য নসিব হয়ে থাকে।
কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।
৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩১
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: ভালো লাগলো
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
মোবারকবাদ। আপনার আগমনে কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন, প্রার্থনা নিরন্তর।
৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১০
টারজান০০০০৭ বলেছেন: তৃতীয় প্যারায় আম্মাজান আয়েশা রা. এর স্থলে আম্মাজান খাদিজা রা. হবে। ধন্যবাদ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া। আপনি পাঠ করায় বিচ্যূতিটি ধরা পড়লো। ঠিক করে দেয়া হল। কল্যানের দুআ।
৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১
বোকামানুষ বলেছেন: ভাল লাগল প্রিয় নবীর (স এর প্রতি চিঠি
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১১
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে পাঠ এবং আন্তরিক মন্তব্যে।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
বালাগাল উলা বিক্বামালিহী
কাশাফাদ্দোজা বিজামালিহী
হাসুনাত জামিউ খিসালিহী
সাল্লু আলাইহি ওা আলিহি!
হে রাসুল সা: দরুদ ও সালাত ও সালাম আপনার উপর, আপনার আহলে বাইতের উপর
পবিত্র পাক পাঞ্জাতনের উপর, সালাত ও সালাম আহলে ইব্রাহিম আ:, শোহাদায়ে কারবালা
ইমামুত্ত তারিকতা, মুমিনাত, অলি আউলিয়া সকল বুজুর্গ গণের উপর,
আপনার রহম ও করমে আমাদের সেই সরল সত্য পথের দিশঅয় চালীত করুন।
আমাদের জন্য একজন যোগ্য নেতা প্রেরণ করুন যিনি দিশেহারা উম্মাহ কে চালীত করবেন
ইহদিনাস সিরাতাল মোস্তাকিমের পথে।
অশ্রু বয়ে যায় আজো নিরবধি
সফেদ শশ্রু বেয়ে
চোখের জলে ঝর্ণার ব্যাথাবান
মেশে গিয়ে বেদনার মহাসাগরে!
কবলে কাঁদে কারবালার কবি
ওঠ জেগে হে জীবন্মৃত যদি মানুষ হবি।
অসাধারন এক আবেগময় রাসূল চরিতের জণ্য কৃতজ্ঞতা ভয়া
ভুলোমনে রাসুলে সা: এর প্রেমাবেগ জাগিয়ে দেয়ার জন্য আপনার উপর রহম ও করম বর্ষিত হোক অফুরান
++++++++++++++