নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
বিদগ্ধ ব্লগার বন্ধুদের ভালবাসা প্রীতি সম্ভাষন জানিয়ে প্রথমেই একটি ছোট্ট প্রশ্ন এবং তার উত্তরের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করতে চাই। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। এই দিনটিকে ঘিরে কিছু মানুষের ভিন্ন অনুভূতি। ভিন্ন আমেজ। কেউ কেউ এই দিনটির নাম দিয়ে থাকেন- 'বিশ্ব ভালবাসা দিবস' হিসেবে। এই দিবসটিকে ঘিরেই আজকের এই সংক্ষিপ্ত আলোচনা। সউদি আরবের অন্যতম আলেম মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন সাহেবের নিকট বিশ্ব ভালবাসা দিবস বা 'Valentine day' পালনের বৈধতার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি যে উত্তর প্রদান করেন, প্রথমেই এখানে তা হুবহু তুলে ধরছি। পাশাপাশি এ দিবসটির ইতিহাস, বাংলাদেশে এটির আগমন ইত্যাদি নিয়ে সামান্য আলোকপাত করার ইচ্ছে রয়েছে। আল্লাহ পাকই একমাত্র তাওফিকদাতা।
মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন সাহেবের নিকট প্রশ্নটি করা হয়েছিল যেভাবে:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘ভালবাসা দিবস’ বা 'Valentine day' উদযাপন অনেকের (বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রী ও তরুনদের) মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে; যা মূলত: খ্রিষ্টানদের একটি উৎসব। তখন প্রত্যেকের বস্ত্র হয় সম্পূর্ন লাল রঙের— পোশাক-জুতা সবই; আর তারা পরস্পরের নিকট লাল ফুল বিনিময় করে। শ্রদ্ধেয় শাইখের নিকট এ-জাতীয় উৎসব উদযাপন করার বিধান বর্ণনা করার জন্য অনুরোধ রইল। তা-ছাড়া এ-রূপ বিষয়ে মুসলিমদের প্রতি আপনাদের দিকনির্দেশনা কী? আল্লাহ আপনাদের হেফাযত ও রক্ষা করুন।
উত্তরে তিনি যা বলেন:
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
কয়েকটি কারণে ‘ভালবাসা দিবস’ বা 'Valentine day' উদযাপন জায়েয নয়:—
প্রথমত: এটি একটি নব-উদ্ভাবিত বিদ‘আতী দিবস, শরীয়তে যার আদৌ কোনো ভিত্তি নেই।
দ্বিতীয়ত: এটি অনৈতিক-প্রেম পরিণতির দিকে মানুষকে ধাবিত করে।
তৃতীয়ত: এর কারণে সালাফে সালেহীনের পথ-পদ্ধতির বিরোধী এরূপ অর্থহীন বাজে কাজে মানুষের মন-মগজ ব্যস্ত করার প্রবণতা তৈরি হয়।
তাই এ-দিনে দিবস উদযাপনের কোনো কিছু প্রকাশ করা কখনও বৈধ নয়; চাই তা খাদ্য-পানীয় গ্রহণ, পোশাক-আশাক পরিধান, পরস্পর উপহার বিনিময় কিংবা অন্য কিছুর মাধ্যমেই হোক না কেন।
আর প্রত্যেক মুসলিমের উচিত নিজ দ্বীন নিয়ে গর্বিত হওয়া এবং অন্যের অনুকরণপ্রিয় না হওয়া: কেউ করতে দেখলেই সেও করবে, কেউ আহ্বান করলেই তাতে সাড়া দিবে, এমনটি যেন না হয়।
আল্লাহর নিকট দু‘আ করি, তিনি যেন প্রত্যেক মুসলিমকে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যাবতীয় ফিতনা থেকে হেফাযত করেন; আর আমাদেরকে তিনি তাঁর অভিভাবকত্ব ও তাওফিক প্রদান করে ধন্য করেন।
এবার আসুন, এই দিবসটির জন্মের ইতিহাস, বাংলাদেশে এর সূচনা এবং ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে এর সাথে মুসলমানদের সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে একটু আলোকপাত করি।
বিশ্ব ভালবাসা দিবস; একটু পিছনে ফিরে দেখা:
এক নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের স্মৃতিচারণের নাম বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এ ইতিহাসটির বয়স সতের শত সাঁইত্রিশ বছর হলেও ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ নামে এর চর্চা শুরু হয় সাম্প্রতিককালেই। দুই শত সত্তর সালের চৌদ্দই ফেব্রুয়ারির কথা। তখন রোমের সম্রাট ছিলেন ক্লডিয়াস। সে সময় ভ্যালেন্টাইন নামে একজন সাধু, তরুণ প্রেমিকদেরকে গোপন পরিণয়-মন্ত্রে দীক্ষা দিত। এ অপরাধে সম্রাট ক্লডিয়াস সাধু ভ্যালেন্টাইনের শিরশ্ছেদ করেন। তার এ ভ্যালেন্টাইন নাম থেকেই এ দিনটির নাম করণ করা হয় ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ যা আজকের ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’।
তথ্য সূত্র- ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্ব ভালবাসা দিবস (Valentine day)
এটি ছাড়া আরও একাধিক ঘটনার বিবরন পাওয়া যায় এই দিবসটির সূচনার বিষয়ে। যেমন-
আরেকটি ঘটনা, প্রাচীন রোমে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল রোমান দেব-দেবীর রানী জুনোর সম্মানে ছুটির দিন। জুনোকে নারী ও প্রেমের দেবী বলে লোকে বিশ্বাস করত। কারো করোমতে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হওয়ার কারণ ছিল এটিই। আবার কেউ বলেন, রোমের সম্রাট ক্লডিয়াস ২০০ খ্রিস্টাব্দে দেশে বিয়ে প্রথা নিষিদ্ধ করেন। তিনি ঘোষণা দেন, আজ থেকে কোনও যুবক বিয়ে করতে পারবে না। যুবকদের জন্য শুধুই যুদ্ধ। তার মতে, যুবকরা যদি বিয়ে করে তবে যুদ্ধ করবে কারা?সম্রাট ক্লডিয়াসের এ অন্যায় ঘোষণার প্রতিবাদ করেন এক যুবক। যার নাম ভ্যালেন্টাইন। অসীম সাহসী এযুবকের প্রতিবাদে খেপে উঠেছিলেন সম্রাট।রাজদ্রোহের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।১৪ ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা মাথা কেটে ফেলা হয় তার।ভালোবাসার জন্য ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগকে স্মরণ করতে তখন থেকেই এ দিনটিকে পালন করা হয় ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে।
তবে এটিও সর্বজন স্বীকৃত নয়।এখানেও দ্বিমত আছে।কারও কারও মতে, প্রাচীন রোমে ভ্যালেন্টাইন নামে একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি রোগীদের প্রতি ছিলেন ভীষণ সদয়। অসুস্থ মানুষের ওষুধ খেতে কষ্ট হয় বলে তিনি তেঁতো ওষুধ ওয়াইন, দুধ বা মধুতে মিশিয়ে খেতে দিতেন। সেই ডাক্তার খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। প্রাচীন রোমে খ্রিস্টধর্ম তখন মোটেও জনপ্রিয় ছিল না। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের শাস্তি দেওয়া হতো।একদিন রোমের এক কারা প্রধান তার অন্ধ মেয়েকে ভ্যালেন্টাইনের কাছে নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। ভ্যালেন্টাইন কথা দিয়েছিলেন তিনি তার সাধ্যমতো চিকিৎসা করবেন। মেয়েটির চিকিৎসা চলছিল এমন সময় হঠাৎ একদিন রোমান সৈন্যরা এসে ভ্যালেন্টাইনকে বেঁধে নিয়ে যায়। ভ্যালেন্টাইন বুঝতেপেরেছিলেন, খ্রিস্টান হওয়ার অপরাধে তাকে মেরে ফেলা হবে। ২৬৯ খ্রিষ্টাব্দে বা কারও মতে ২৭০খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রোম সম্রাট ক্লডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।তার আগে ভ্যালেন্টাইন অন্ধ মেয়েটিকে বিদায় জানিয়ে একটি চিরকুট লিখে রেখে গিয়েছিলেন। তাকে হত্যার পর কারা প্রধান চিরকুটটি দিয়েছিলেন মেয়েটিকে। তাতে লেখা ছিল, ‘ইতি তোমার ভ্যালেন্টাইন’ (‘From your Valentine’)। মেয়েটি চিরকুটের ভেতরে বসন্তের হলুদ ত্রৌকস ফুলের আশ্চর্য সুন্দর রং দেখতে পেয়েছিল কারণ, ইতোমধ্যে ভ্যালেন্টাইনের চিকিৎসায় মেয়েটির অন্ধ দু’চোখে দৃষ্টি ফিরে এসেছিল। ভালবাসার এসব কীর্তির জন্য ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে পোপ জেলাসিয়ুস ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে এই দিনটিকে মানুষেরা ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে পালন করে আসছে।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র উৎপত্তির বিষয়ে আরেকটি সম্পূর্ণভিন্নমত রয়েছে। এই মতের লোকেরা বলেন,ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে প্রিয়জনকে ভালোবাসার বার্তা পাঠানোর আদৌ কোনও সম্পর্ক নেই। প্রাচীনকালে মানুষের বিশ্বাস ছিল, ১৪ ফেব্রুয়ারি হলো পাখিদের বিয়ের দিন। পাখিরা বছরের দ্বিতীয় মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডিম পাড়তে বসে। আবার কেউ বলেন,মধ্যযুগের শেষদিকে মানুষ বিশ্বাস করত এদিন থেকে পাখিদের মিলন ঋতু শুরু হয়। পাখিরা সঙ্গী খুঁজেবেড়ায়। পাখিদের দেখাদেখি মানুষও তাই সঙ্গী নির্বাচন করে এ দিনে।
তথ্যসূত্র: ভালবাসা দিবসের ইতিহাস, যেভাবে এল বিশ্ব ভালবাসা দিবস
বাংলাদেশে বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালন শুরু হয় যেভাবে:
বাংলাদেশে এ দিবসটি পালন করা শুরু হয় ১৯৯৩ ইং সালে। কিছু ব্যবসায়ীর মদদে এটি প্রথম চালু হয়। অপরিণামদর্শী মিডিয়া কর্মীরা এর ব্যাপক কভারেজ দেয়। আর যায় কোথায়! লুফে নেয় বাংলার কিছু উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণী। এরপর থেকে ঈমানের ঘরে ভালবাসার পরিবর্তে ভুলের বাসা বেঁধে দেয়ার কাজটা যথারীতি কমবেশি চলে আসছে। মানুষ যখন বিশ্ব ভালবাসা দিবস সম্পর্কে জানতো না, তখন পৃথিবীতে ভালোবাসার অভাব ছিল না। আজ পৃথিবীতে ভালবাসার বড় অভাব। তাই দিবস পালন করে ভালবাসার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হয়! আর হবেই না কেন! অপবিত্রতা নোংরামি আর শঠতার মাঝে তো আর ভালবাসা নামক ভালো বস্তু থাকতে পারে না। তাই আল্লাহ তা‘আলা মানুষের হৃদয় থেকে হয়তো ভালবাসা উঠিয়ে নিচ্ছেন ক্রমশ:।
তথাকথিত এই দিনের কিছু বাজে চিত্র:
বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে চেনার জন্য আরও কিছু বাস্তব নমুনা পেশ করা দরকার। দিনটি যখন আসে তখন শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো একেবারে বেসামাল হয়ে উঠে। নিজেদের রূপ-সৌন্দর্য উজাড় করে প্রদর্শনের জন্য রাস্তায় নেমে আসে। শুধু কি তাই! অঙ্কন পটীয়সীরা উল্কি আঁকার জন্য পসরা সাজিয়ে বসে থাকে রাস্তার ধারে। তাদের সামনে তরুণীরা পিঠ, বাহু আর হস্তদ্বয় মেলে ধরে পছন্দের উল্কিটি এঁকে দেয়ার জন্য। তারপর রাত পর্যন্ত নীরবে-নিবৃতে প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে খোশ গল্প। এ হলো বিশ্ব ভালবাসা দিবসের কর্মসূচি! এরকম একটি দিবসকে 'বিশ্ব ভালবাসা দিবস' না বলে 'বিশ্ব বেহায়াপনা দিবস' বললে অন্তত: নামকরণটির যথার্থতা কিছুটা প্রমান হতো।
বর্তমানে মুসলমানরা তাদের চালচলন, রীতিনীতি এবং উৎসব-উদযাপনের অধিকাংশ ক্ষেত্রে এমনিতেই বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণ করে চলেছে। আমাদের দেশে প্রচলিত এরূপ বহু বিজাতীয় অপসংস্কৃতির বলা চলে লেটেস্ট সংযোজন ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ বা ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’। যা আমাদের দেশে ক্রমেই বাড়ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃকও এই অপসংস্কৃতির শিশু বৃক্ষটিকে পরিপক্ক করে তুলতে জলসিঞ্চন করা হচ্ছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে।
সন্দেহ নেই, মূলত: ভালোবাসার নামে তরুণ-তরুণীদের অশ্লীলতার দিকেই ধাবিত করছে এ দিবসের যাবতীয় কার্যক্রম। এ দিবসকে কেন্দ্র করে পার্ক, রেস্তোরাঁ, বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোর, টিএসসি, চারুকলার বকুলতলাসহ সর্বত্র থাকে তরুণ-তরুণীদের তুমুল ভিড়।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন নামি-দামি হোটেলেও বসে তরুণ-তরুণীর মিলন মেলা। নানা রঙের বেলুন আর অসংখ্য ফুলে স্বপ্নিল করা হয় হোটেলের অভ্যন্তর। অনুষ্ঠানের সূচিতে থাকে লাইভ কনসার্ট, ডিজে শো, ডেলিশাস ডিনার এবং তরুণ-তরুণীদের উদ্যাম ড্যান্স। তারপর গভীর রাত পর্যন্ত নীরবে-নিবৃতে চলতে থাকে প্রেমিক-প্রেমিকার খোশ গল্প।
কিন্তু আমাদের তরুণ-তরুণীরা কি জানে- তারা যাদের অনুসরণে এসব দিবস পালন করছে, তাদের ভালোবাসা হচ্ছে নৈতিকতার বন্ধনমুক্ত নিষিদ্ধ ভালোবাসা। তাদের ভালোবাসার পরিণতি ‘ধরো ছাড়ো’ আর ‘ছাড়ো ধরো’ -গ্রহণ করো নতুন নতুন সঙ্গী। তাদের এ ধরা ছাড়ার বেলেল্লাপনা চলতে থাকে জীবনব্যাপী।
মানুষের অন্তর যদিও অনুকরণ প্রিয়, তবুও মনে রাখতে হবে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিত্যাগ করা সকল মুসলিমের ইমানি দায়িত্ব। মুসলমানদের জন্য এসব দিবস পালন করা জঘন্য অপরাধ।
পরিশেষে বলতে চাই:
অতএব দ্বীন এবং ঈমানপ্রিয় আখিরাতের অন্তহীন জীবনে বিশ্বাসীদের বিনীতভাবে নিবেদন জানাতে চাই, ভালবাসা কোন দিবস ভিত্তিক পর্বীয় বিষয় নয়। আমাদের ভালোবাসা সার্বক্ষনিক। আজীবনের। মৃত্যু অবধি আমরা ভালোবেসে যাব একে অপরকে। প্রত্যেকে প্রত্যেককে। সকলে সকলকে। বিশ্ব জাহানের স্রষ্টা আল্লাহ পাকের প্রতি আমাদের ভালোবাসা। আমাদের ভালোবাসা তামাম জগতের সকল মাখলূকাতের প্রতি। আমরা প্রিয়তম আব্বা আম্মাকে ভালোবাসি। তারা আমাদের জীবনের মূল্যে বড় করে তুলেছেন। সুন্দর এই পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখার সৌভাগ্য আমাদের হত না, যদি না, প্রিয়তম মা তার জীবনকে বিপন্নতার ঝুঁকিতে ঠেলে দিয়ে আমাকে গর্ভে ধারণ করতেন, প্রসবের অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য যদি না করতেন। এমনি করেই আত্মীয়-অনাত্মীয় জগতের প্রতিটি মানুষের প্রতি, প্রতিটি প্রাণীর প্রতি আমাদের হৃদয়ে হৃদয়ে ভালোবাসার বহমান ফোয়ারা। বহতা নদী যেন আমাদের একেকটা বুক। সুদূর ইন্দোনেশিয়ায় যখন সুনামীতে ভেসে যায় কোনো বিপন্ন মানুষের ঘরবাড়ি আমরা আমাদের ভালোবাসা উথলে ওঠে তার ব্যথাকাতর দুরবস্থা অবলোকনে। আটলান্টিকের ওপাড়ের অচেনা ব্রাজিল কিংবা চিলির খনি দুর্ঘটনায় আহত নিহতদের জন্য অদেখা ভালোবাসায় কেঁদে ওঠে আমাদের হৃদয়। আমার বাড়ির পাশের অভূক্ত কুকুরটির জন্যও আমাদের ভালোবাসা থাকা উচিত। এমনকি আহত একটি গুবড়ে পোঁকা কিংবা পিপড়ার জন্যও। আমাদের এ ভালোবাসা চিরন্তন। প্রতি দিনের। প্রতি মুহূর্তের। প্রতি প্রভাতের। প্রতি নিশিথের।
জেনে অথবা না জেনে যারা এই দিবসটিকে নিছক একটি সুন্দর দিন হিসেবেই মনের ভেতরে স্থান দিয়েছিলেন, দয়া করে এই পোস্ট পড়ার পরে আশা করছি, আপনার নিকট সত্য উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে। মিথ্যের অসারতা এবং ক্ষতির বিষয়টি অনুধাবন করতে সক্ষম হবেন আপনি। আর উপনীত হতেও সক্ষম হবেন সত্যের উপলোপল তীরে। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, ভালোবাসা মানব জীবনের সুখ-শান্তির জন্য একটি জরুরি সার্বক্ষণিক মানবিক উপাদান। সুতরাং আমাদের মধ্যে ভালবাসা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শিখানো সার্বক্ষণিক পন্থাটি অবলম্বন করতে আমরা সচেষ্ট হই। আল্লাহ পাক তাওফীক দান করুন। সেই সাথে 'বিশ্ব ভালবাসা দিবস' -এর নামে প্রচলিত ঈমান বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড হতে আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে হেফাযত করুন। কারও প্রতি আমাদের ভালবাসা কিংবা কারও সাথে শত্রুতা- সব কিছুর মূলেই যেন উদ্দেশ্য থাকে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআ'লার সন্তুষ্টি অর্জন। আমীন !!!
নিবন্ধে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ন কিছু তথ্যের উৎস-সূত্র এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন:
১. কুরআনের আলো ডট কম এর সহযোগিতায় পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে। কৃতজ্ঞতা কুরআনের আলো ডট কমকে।
২. পবিত্র আল কুরআন।
৩. (আব্দুল খালেক, নারী, (ই,ফা,বা.ঢাকা,১৯৮৪ইং) পৃ. ৯৬)।
৪. (ইবনু মাজাহ, কিতাবুল ফিতান, হাদিস নং-৪০০৯)।
৫. (বুখারী,কিতাবুল লিবাস,হাদিস নং৫৪৭৭)।
৬. (মুয়াত্তা মালিক, কিতাবুল জিহাদ, হাদিস নং-৮৭০)।
৭. (Baron& Byrne, Ibid., P. 329)।
৮. (মাসিক পৃথিবী, (ঢাকা, ডিসেম্বর, ১৯৯৯), পৃ. ৫)।
৯. (রয়টার্স, দৈনিক ইনকিলাব, (ঢাকা, ২রা ডিসেম্বর ২০০০ ইং) পৃ .১-২)।
১০. (দৈনিক ইনকিলাব, (স্টাফ রিপোর্টার, বিশ্ব এইডস দিবসে ঢাকায় আলোচনা সভা, ২রা ডিসেম্বর, ২০০০ ইং) পৃ.১)।
১১. (Baron & Byrne, Social psychology : Understanding Human Interaction, P. 329.)।
ছবি: অন্তর্জাল।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি ভালো আছেন?
দয়া করে পোস্ট পাঠ করে বিষয়ভিত্তিক কথা বলুন। অপ্রাসঙ্গিক কথা বলা থেকে বিরত থাকলে খুশি হব। আমরা কাউকে গালি দেব না। কাউকে 'কাঠ' কিংবা 'লোহা' কোনোটাই বলারও পক্ষে নই।
দুই বছরের দুধের শিশুও যেখানে পাপিষ্টদের থাবা থেকে রেহাই পায় না। ধর্ষণের মহামারির এই দু:সময়ে আপনার এই মানসিকতা জাতিকে হয় পাশ্চাত্যের অন্ধকার পাপপঙ্কিলতার পথে অথবা প্রস্তর যুগে ফিরিয়ে নিতে সহায়ক হবে।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩
এ আর ১৫ বলেছেন: দয়া করে পোস্ট পাঠ করে বিষয়ভিত্তিক কথা বলুন। অপ্রাসঙ্গিক কথা বলা থেকে বিরত থাকলে খুশি হব। আমরা কাউকে গালি দেব না। কাউকে 'কাঠ' কিংবা 'লোহা' কোনোটাই বলারও পক্ষে নই।
বিষয় ভিত্তিতেই লিখা হয়েছে । কোনটা অপ্রাসঙ্গিক সেটা বলুন । এই লিখাটা আমি একটা পোস্টিং হিসাবে পোস্ট করার পর দেখতে পেলাম আপনার এই ভ্রান্ত ফতুয়া , তাই সাথে সাথে ঐ লিখাটাকেই পেস্ট করেছি ।
আপনি যে বিষয় গুলো দাবি করছেন তার সব কিছুই প্রায় এই লিখায় দেওয়া হয়েছে ।
দুই বছরের দুধের শিশুও যেখানে পাপিষ্টদের থাবা থেকে রেহাই পায় না। ধর্ষণের মহামারির এই দু:সময়ে আপনার এই মানসিকতা জাতিকে হয় পাশ্চাত্যের অন্ধকার পাপপঙ্কিলতার পথে অথবা প্রস্তর যুগে ফিরিয়ে নিতে সহায়ক হবে।
এই বিষয়টার সাথে ভ্যালেনটাইন দিবসের সম্পর্ক কি ? আপনি নিজে অবান্তর অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে নিয়ে এনেছেন । আপনি ভ্যালেনটাইন দিবসের ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন । এই দিবসকে যৌনাচার দিবস হিসাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন কাট মোল্লাদের মত করে ।
আপনাদের ভাবখান এমন -- যে সমস্ত প্রেনিক যুগলের সম্পর্ক বিছানা পর্যন্ত তারা শুধু বৎসরের ঐ দিন ই ডেটিং করে বাকি ৩৬৪ দিন বিরত থাকে ।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
মতামত প্রদানে আমরা প্রত্যেকেই যেহেতু স্বাধীন সেহেতু আপনার মতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, দিবস হিসেবে এগুলো দেখতে যথেষ্ট আকর্ষনীয়। দেখলে মনে হয়, একটু নির্দোষ আনন্দ বিনোদন করবে ছেলে ছোকড়ার দল, তাতে আর এমন কি সমস্যা? কিন্তু গভীরভাবে ভেবে দেখুন, এইসব দিবস অবাধ মেলামেশার প্রাথমিক ক্ষেত্র বিবেচিত হলেও পর্যায়ক্রমে এগুলোই অবৈধ যৌনাচারকে উদ্বুদ্ধ করে। এইজন্য কুরআনে পাকে আল্লাহ পাক ব্যভিচার থেকে বেঁচে থাকার জন্য যে ভাষাটি ব্যবহার করেছেন, তা হচ্ছে-
وَلاَ تَقْرَبُواْ الزِّنَى إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاء سَبِيلاً
'আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।'
'Nor come nigh to adultery: for it is a shameful (deed) and an evil, opening the road (to other evils)'.
ব্যভিচারের কাছেও না যাওয়ার অর্থ হচ্ছে- ব্যভিচারের সম্ভাবনা থাকতে পারে, এমন প্রতিটি কাজ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলা। বলার অপেক্ষা রাখে না, নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা সে সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। তাই শুধু ভ্যালেটাইনস ডে নয়, নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশার সুযোগ রয়েছে এমন সকল ক্ষেত্রই পরিহার করা উচিত।
আল্লাহ পাক আমাদের তাঁর নির্দেশিত পথে চলার তাওফিক দিন।
ভালো থাকুন সবসময়।
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস হিসেবে যা বলেছেন তা পুরো সঠিক নয়। কেউ যদি আগে থেকেই কোন মতবাদ গ্রহণ করে কোন গবেষনা বা তথ্য যাচাই অথবা এই জাতীয় কিছু করার চেষ্টা করেন তাহলে সেটা সঠিক হয় না, প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
ভ্যালেন্টাইন ডে প্রকৃতপক্ষে কি কারনে প্রবর্তিত হয়েছে তা নিয়ে ইতিহাসে রহস্য আছে। বাজারে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। যে যার স্বার্থ এবং ইচ্ছে অনুসারে ব্যাখ্যা করে। হিস্টরী ডট কম এবং এই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আর্টিকেল ও ওয়েবসাইটের মত অনুযায়ী -
ধারনা করা হয়, - রাজা ক্লডিয়াস-২ এর আমলে রাজ্যে চলছিলো ভয়াবহ সুশাসনের অভাব। এতে সাধারন জনগন ফুঁসছিল। রাজা তার সুশাসন ফিরিয়ে রাখার জন্য রাজ দরবারে তরুন যুবকদের নিয়োগ দিলেন। আর যুবকদের-কে দায়িত্বশীল ও সাহসী করে গড়ে তোলার লক্ষে তিনি রাজ্যে যুবকদের বিয়ে নিষিদ্ধ করলেন। পরবর্তীতে একজন খ্রিষ্টান যাযক এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং গোপনে যে সকল তরুন তরুনী বিবাহ করতে চায় তাদের বিয়ে পড়িয়ে দিতেন। যেহেতু প্রকাশ্যে বিয়ে পড়ানো যেতো না, তাই তিনি কোন অন্ধকার রুমে মোমবাতি জ্বালিয়ে তাদেরকে বিয়ে পড়াতেন এবং গল্প করার সময় কিছু খেতে দিতেন। ধারনা করা হয় - মোমবাতির আলোয় খাওয়ার প্রচলনটি এইভাবেই শুরু হয়।
সেন্ট ভ্যালেন্টাইন সম্পর্কে কথিত আছে যে তিনি ছিলেন - শিশুপ্রেমিক, সামাজিক ও সদালাপী এবং খৃষ্টধর্ম প্রচারক। রাজা ক্লডিয়াস ছিলেন মুর্তিপুজারক। জনাব ভ্যালেন্টাইনকে যখন রাজা মুর্তিপুজা করতে বলেছিলেন, তখন তিনি তা করেন নি।
যাইহোক, পরবর্তীতে রাজা তাঁকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। ইতিমধ্যে ভ্যালেন্টাইনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে তাঁকে দেখার অন্য অনেক তরুন তরুনী জেলে ভিড় জমায়। কথিত আছে এখানে একটি অন্ধ মেয়ের সাথে তাঁর প্রণয় ঘটে। কিন্তু রাজা ভ্যালেন্টাইনের জনপ্রিয়তা দেখে তাঁকে মৃত্যুদন্ড দেন। শোনা যায়, মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর পছন্দের মানুষকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ট মেয়েটির হাতে পৌঁছায় নি। তবে এই অংশটুকুর কোন বিশ্বস্ত সোর্স নেই।
এইভাবে করে ঐ ভদ্রলোকের সম্মানার্থে চালু হয় ভ্যালেন্টান'স ডে। এখন পর্যন্ত অনেকগুলো কার্যকারনের মধ্যে এই কারনটি আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃত।
এই ইতিহাস থেকে আমরা দেখি যে - জনাব ভ্যালেন্টাইন তিনি তরুন তরুনীদেরকে বিয়ে দিয়ে দিতেন। বিয়ে দেয়া একটি পবিত্র কাজ। আর যে সময়ে তিনি এই কাজটি করতেন, সেই সময়ে ইসলাম ধর্ম আসে নাই। তখন খ্রীষ্ট ধর্মই ছিলো দ্বীনের ধর্ম। ফলে আমরা যদি বলি তার এই বিবাহ দেয়ার অধিকার নাই, বা তিনি যা করেছেন তা ধর্মের বাইরে সেটা কিন্তু প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। আপনি যেভাবে লিখেছেন তাতে মনে হচ্ছে এই দিবসটি পালন করলে এইডস সহ আরো অন্যান্য যৌনবাহী রোগ হয়। আমি বুঝি না - ইসলাম ধর্মকে এতটা ছোট করে দেখাবার অধিকার কে কাকে দিয়েছে? একটা ছেলে মেয়ে একে অপরকে পছন্দ করলেই তাদের যৌণ সম্পর্ক করতে হবে? এই সব চিন্তা যদি কোন অশিক্ষিত ব্যক্তি বা বর্বর জাতি করে তাহলে মেনে নেয়া যায়। কিন্তু একজন সুস্থ স্বাভাবিক বিবেক সম্পন্ন মানুষ এই ধরনের অসুস্থ চিন্তা করবে এটা দুঃখজনক। প্লীজ দয়া করে মানুষের বেসিক ইনসটিংন্স বা নারীদের প্রতি স্বাভাবিক চরিত্রের কথা এখানে তুলনা করবে না। নারী দেখলে পুরুষদের মনে কিছুটা আদ্র হবেই। কিন্তু যে হামলে পড়তে হবে এই তত্ব গ্রহনযোগ্য নয়। যারা এমনটা বিশ্বাস করে তারা পার্ভাট।
এমন কি অধিকাংশ মানুষ এই দিনটি প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কেও জানে না। শুধু মাত্র কিছু হুজুরদের বয়ানের উপর ভিত্তি করে সমাজে হিংস্রতা, ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। দেখুন এই দিবসটি যে পালন করতেই হবে এমন কোন নিয়ম নেই। এই দিবসকে কেন্দ্র করে যদি কোন তরুন তরুনী অবৈধ কোন কিছুতে জড়ায় তাহলে সেটা কর্মফল তাদেরকেই বহন করতে হবে। এর জন্য এই দিবসটি বা ভালোবাসা পালন করা উৎসবটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।
আপনার কাছে আমি জানতে চাই - ঈদের দিন বা ঐ সময় কি প্রেমিক প্রেমিকারা ঘুরতে বের হয় না? আপনি কিভাবে হলপ করে বলতে পারেন ঐ সময়টায় এই সব তরুন তরুনী কোন অবৈধ সম্পর্কে জড়াচ্ছে না? এখন তাই বলে কি আমি ঈদ পালন বন্ধ করে দিবো?
আমি একজন মুসলিম স্কলারকে মেইল করেছিলাম বিভিন্ন দিন, ইবাদতের কালচার নিয়ে। শায়খ বলেছেন- যতক্ষন পর্যন্ত আপনার ইচ্ছা, ইবাদত শতভাগ আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য করা হবে, ততক্ষন পর্যন্ত আপনি যাই আমল করেন না কেন ঠিক আছে। তবে মনে রাখতে হবে নিজের ব্যক্তিগত কোন আমলকে প্রকাশ্যে পালনের ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে যেন কেউ এই সকল ব্যক্তিগত প্রার্থনাকে কেউ নিয়ম না বানিয়ে ফেলে।
পাশাপাশি অন্যে ধর্মের যদি ভালো কোন নিয়ম থাকে, যার সাথে আল্লাহর মহিমা, সম্মানের সাথে সাংঘর্ষিক নয় তা চাইলে আপনি প্র্যাকটিস করতে পারেন। এতে দোষের কিছু নেই। আর ইসলামে যে সম্পর্কে কোন বিধিবিধান নাই, সেটা করা না করা নিজস্ব ব্যাপার। তবে এতে যদি ইসলামের মুল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের ব্যাহাত ঘটে তাহলে তা গ্রহণ যোগ্য হবে না।
যাইহোক, আরো একটু ভুল তথ্য দিয়েছেন আপনি। কোন মিডিয়া নয় এই দেশে ভ্যালেন্টাইনের প্রচলন হয়েছে যায় যায় দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেফমানের হাতে ধরে। তিনি পড়াশোনা করেছেন লন্ডনে। পাশ্চাত্যের ছোঁয়া নিয়ে দেশে এসে লন্ডনী সংস্কৃতির প্র্যাকটিস শুরু করেন। তিনি প্রথম যায় যায় দিন পত্রিকার মাধ্যমে বিশ্ব ভালবাসা দিবস বাংলাদেশীদের কাছে তুলে ধরেন। তেজগাঁওয়ে তার পত্রিকা অফিসে কেউ চাকরী নিতে গেলে না কি সাথে তার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে যেতে হতো। প্রেমের যুগললবন্দী কপোত-কপোতীকে দেখে ওনি না কি খুব খুশী হতেন।এজন্য শফিক রেহমানকে বাংলাদেশে ভালবাসা দিবসের জনক বলা হয়।
এই ভদ্রলোক একবার সাবেক মাননীয় বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়াকেও গোলাপ ফুল দিয়েছিলেন এই দিবস উপলক্ষে। ছবিটা আছে, তবে এই কমেন্টের সাথে অপ্রাসঙ্গিক হবে বিধায় আর দিলাম না।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
কা_ভা ভাই, প্রথমেই আপনাকে স্বাগত এই পোস্টে আগমনের জন্য।
দীর্ঘ আলোচনা রেখে যাওয়ায় ধন্যবাদ।
পোস্টে উল্লেখিত তথ্য ছাড়াও এই দিবসটি সৃষ্টির পেছনে আরও কিছু কারণ বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচিত হতে দেখা যায়। এই দিবসের সূচনা যেভাবেই হয়ে থাক না কেন, আমাদের উদ্দেশ্য এই দিবসটি পালনের অসারতা এবং এর ক্ষতির দিকটি সকলের সামনে তুলে ধরা। ইসলাম ধর্মে এই দিবস পালনের আদৌ প্রয়োজন আছে কি না, সেটা আমাদের বুঝার প্রয়োজন রয়েছে।
সময় সংক্ষিপ্ততার কারণে যেভাবে এই লেখাটি উপস্থাপন করা প্রয়োজন ছিল, আমি সেভাবে হয়তো পারিনি। এজন্য আন্তরিকভাবে দু:খিত। পোস্টটির দু'এক স্থানে কিছু এডিট করে ঠিক করে দিব ভাবছি। দয়া করে এই বিষয়ে মতামত দিলে খুশি হব।
আপনি কষ্ট করে আন্তরিকতার পরিচয় দিয়ে অত্যন্ত গঠনমূলক মন্তব্যে এসে পোস্টটির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে দিয়েছেন বলে কৃতজ্ঞতা।
ঈদের দিনেও যুবক যুবতীদের অবাধ ঘোরাফেরা, অবাধ মেলামেশার অনুমতি ইসলাম দেয়নি। আমার ধারণা, আপনি এ ব্যাপারে সম্যক অবহিত। তাই বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ রাখে না।
আপনি যে শায়খের নিকট প্রশ্ন করেছেন, তিনি ভালো উত্তরই দিয়েছেন।
যায় যায় দিন সম্পাদক জনাব শফিক রেহমান যে এই দিবস আমদানির পেছনে ভূমিকা রেখেছেন, সে কথা আমারও অজানা নয়। মূলত: কারও নামোল্লেখ করার ইচ্ছে ছিল না।
কিছু কিছু মিডিয়া এই দিবসটিকে কি এখনও নির্দোষ আনন্দের নির্মল মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরছে না?
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য। নিরন্তর ভালো থাকবেন, প্রার্থনা।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
এটি মূলত: রিপোস্ট। রিপোস্ট হওয়ার কারণে পোস্ট সংশোধনের দিকে খুব নজর দেয়া হয়নি।
আপনি মন্তব্যে দৃষ্টি আকর্ষণের পরে পোস্ট সামান্য এডিট করেছি। আবারও কৃতজ্ঞতা।
৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এই দিনটিকে ঘিরে আমার ভিতর যেন কোন অনুভুতিই কাজ করছে না।আমার কাছে প্রতিটি দিনই ভালোবাসাময় দিন।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
ভালো থাকুন সবসময়।
৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০১
আরোগ্য বলেছেন: লগইন করার কোন ইচ্ছা ছিলো না, কাভা ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে তাকে ধন্যবাদ জানাতে আসলাম।
আজকে যে পরিমাণ পোস্ট আসছে এই বিষয় নিয়ে বসন্ত নিয়েও গতকাল এতো পোস্ট আসেনি। এটা আমার কাছে দুঃখজনক। কিছু অযৌক্তিক কথা নিয়ে এই দিবসের পোস্ট দেয়া হচ্ছে। পড়তে অবশ্যই বিব্রতকর যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে ভালোবাসার কোন নির্দিষ্ট দিন নেই। খোঁড়া যুক্তির কারণেই মুসলিমরা আজ হাসির পাত্র। আমাদের উচিত ইসলামের নিয়ম নীতিমালা সুন্দর ও প্রাঞ্জল ভাষায় সাহিত্যিক দৃষ্টিতে সকলের সামনে তুলে ধরা।
কাভা ভাইকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই সুন্দর করে বিষয়টা তুলে ধরার জন্য। পোস্ট আকারে দিলে আরও ভালো হত।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে আসায়।
হ্যাঁ, কা_ভা ভাই তার মন্তব্যটি এখানে না দিয়ে পোস্ট আকারে দিলে আরও ভালো হত।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬
এ আর ১৫ বলেছেন: ভালোবাসা দিবসের মুল ইথিক্স হোল মানুষের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন বৃদ্ধি করা , সেটা পিতা মাতা, স্বামী স্ত্রী, ভাই বোন , আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব সবার মাঝে । এটা শুধু মাত্র প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নহে ।
আপনি এক কাজ করতে পারেন -- দয়া করে বৎসরের ৩৬৫ দিনকে হারাম ঘোষনা করেন কারন ঐ ৩৬৫ দিন কোন না কোন যুগল ডেটিং করতে পারে এবং কেহ কেহ ব্যাভিচার ও করে ।
আপনার মত আলেমরা সব কিছুর মধ্যে দূধের ফরমুলা খুজে ।এক মন দুধের ভিতর এক ফোটা চানা পড়লে যেমন দূধটা বিষাক্ত হয়ে যায় । ঠিক তেমনি ভ্যালেনটাইন দিবসে ১০০০ মধ্য ৯৯৮ জন ( যাহারা পিতা মাতা, স্বামী স্ত্রী, ভাই বোন ইত্যাদি ) ভালোবাসার শুভেচ্ছা বিনিময় করলেও, মাত্র ২ জন প্রেমিক প্রেমিকা ডেটিং করেছে তাই -- সমগ্র ভালোবাসা দিবস হারাম ও ব্যাভিচার হয়ে যায় ।
তাহোলে বৎসরের ৩৬৫ দিন কোন না কোন যুগল ডেটিং করে তাই দূধের ফরমুলা অনুযায়ি বৎসরের ৩৬৫ দিনই হারাম !!!
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
বিতর্ক পরিহার করার উদ্দেশ্যে আপনার প্রতি আবারও শ্রদ্ধা রেখে মন্তব্যে আসায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
বাংলার মেলা বলেছেন: কাল্পনিক ভালোবাসার মন্তব্য ব্যাখ্যার দাবি রাখে। আমিও 'ভ্যালেন্টাইন' শব্দের শানে নুযুল এরকমটাই শুনেছিলাম। তবে 'ভালোবাসা দিবসে'র উদ্যোক্তা যে খালেদার উপদেষ্টা শফিক রেহমান - এই ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের মত এই ফালতুমি বিশ্বের কোথাও এত ঘটা করে পালিত হয়না। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এই ফালতুমিতে আমল দেয়ার মোটেও পক্ষপাতি নই। আমি বা আবার প্রেয়সী - এই দিনকে নিয়ে স্পেশাল কোন কিছুই করিনা। এমনকি আমি প্রায়ই রাস্তা থেকে ফুল কিনে বাসায় নিয়ে যাই। বেলের শব্দে দরজা খুললে ফুল দেখে মিষ্টি হাসি দেয় - এজন্যে। গত ৩ বছরে বৈবাহিক এবং ২ বছরের প্রেমময় জীবনে আমি ১৪ই ফেব্রুয়ারি এই কাজ কথা থেকে সচেতন ভাবে বিরত রয়েছি।
তবে এ আর ১৫ নামের ব্লগারের আজে বাজে যুক্তি খুবই বিরক্ত লাগে। কাঠমোল্লাদের বয়ান দেখে আর উনার যুক্তি দেখে আমার মনে হয় কাঠমোল্লাদের বুদ্ধিও এআর১৫ এর চেয়ে বেশি।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর মন্তব্যে অভিনন্দন।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: এযুগের ছেলে মেয়েরা ইসলামের পথে নাই।ারা উলটা পালটা কাজ করে, এর নাম দিয়েছে আধুনিকতা।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
আমরা যারা পরকালে বিশ্বাসী, পারলৌকিক জীবনে মহান প্রতিপালকের নিকট তাঁর ক্ষমা এবং দয়া আশা করতে চাই, আমাদের তো পালনীয় বিষয়গুলোকে ইসলামী শরিআতের দৃষ্টিকোন থেকে দেখতেই হবে।
মন্তব্যের জন্য অভিনন্দন। ভালো থাকুন সবসময়।
৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১০
নতুন বলেছেন: এই রকমের সব দিবস ফিবসের পেছনে মুল কারন হইলো ব্যবসা.....
আর সৌদি মোল্লারা নারীদের চোখ খালি না রাখতেও ফতোয়া দেয়....তাতেও নাকি পুরুষেরা বিপথগামী হইতে পারে...
এটা নিয়ে পুলাপাইন একটু লাফালাফি করবেই সেটা বন্ধকরা যাবেনা।
পরিবারে সবাই তার ছেলে মেয়েকে ভালো শিক্ষা দেবার ব্যপারে ভাবা দরকার।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
এই রকমের সব দিবস ফিবসের পেছনে মুল কারন হইলো ব্যবসা.....
সুন্দর বলেছেন। ব্যবসার ধান্ধা ছাড়া আর কিছুই নয়। সংস্কৃতির নামে নষ্ট কালচারের আমদানি।
ধন্যবাদ।
১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০১
এ আর ১৫ বলেছেন: ঈদের দিনেও যুবক যুবতীদের অবাধ ঘোরাফেরা, অবাধ মেলামেশার অনুমতি ইসলাম দেয়নি।
সেইন্ট ভ্যালেনটাইন ও যুবক যুবতির ডেটিং , গোপন অভিষার, লিভটুগেদার পছন্দ করতো না । রাজা যখন যুবকদের বিবাহ নিষিদ্ধ করেছিল তখন গোপনে তারা প্রেমিকার সাথে ডেটিং করতো । সেটা সেইন্ট ভ্যালেনটাইন পছন্দ করতেন না, তাই রাজার হুকুম অমান্য করে গোপনে তাদের বিবাহ দিয়ে দিতেন ।
ভ্যালেনটাইন ডে তে প্রেমিক প্রেমিকারা ডেটিং লিভটুগেদার বন্ধ করে বিবাহ করলে , সেইন্ট ভ্যালেনটাইনের জীবনাদর্শ বাস্তবায়িত হোত কারন তিনি ডেটিংকারি যুগলদের গোপনে বিবাহ দিয়ে দিয়েছিলনে । তার উদ্দেশ্য ছিল ডেটিং লিভটুগেদার বন্ধ করা, বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে । বিবাহ দিয়ে দিলে তাদের আর ডেটিং লিভটুগেদার করতে হয় না ।
তাই এ কথা নি:সন্দেহে বলা যায় সেইন্ট ভ্যালেনটাইন ডেটিং লিভটুগেদার বিরুধী ছিলেন বাই হার্ট এন্ড সোল, তাই তিনি জীবনের ঝুকি নিয়ে গোপনে তাদের বিবাহ দিয়ে দিয়েছিলেন ।
ধন্যবাদ
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
সেইন্ট ভ্যালেনটাইন ও যুবক যুবতির ডেটিং , গোপন অভিষার, লিভটুগেদার পছন্দ করতো না । রাজা যখন যুবকদের বিবাহ নিষিদ্ধ করেছিল তখন গোপনে তারা প্রেমিকার সাথে ডেটিং করতো । সেটা সেইন্ট ভ্যালেনটাইন পছন্দ করতেন না, তাই রাজার হুকুম অমান্য করে গোপনে তাদের বিবাহ দিয়ে দিতেন ।
পশ্চিমা সমাজের চরিত্রহীনদের বস্তাপচা অপসংস্কৃতিকে ঘৃনা করতেও সংকোচ হয়। আপনার ভালো লাগলে আপনি গ্রহন করুন।
এ বছর ভ্যালেন্টাইনস ডে -তে যে বিপুল পরিমান কুমারী কন্যা অবৈধ অভিসারে মাতা হওয়ার গৌরব লাভ করেছে, তা যদিও আমাদের নিকট আতঙ্কজনক; কিন্তু আপনার নিকট হয়তো আনন্দদায়ক। গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করার উদ্দেশ্যে এ সংক্রান্ত সকল সংবাদ অবগত হতে সক্ষম হলে, আশা করা যায়, তাদের সংখ্যা দর্শনে ব্যাপক খুশি হবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৬
এ আর ১৫ বলেছেন:
এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কাট মোল্লারা দাবি করছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করা হারাম । তাদের সাথে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্লগে যে সব তর্ক হয়েছে সেই বিষয় গুলো নিয়ে কিছু আলোকপাত করতে চাই । তাদের যুক্তির সাথে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হচ্ছে এই লেখাটিতে ।
মোল্লার বয়ান :: এই দিনের নাম সেইন্ট ভ্যালেনটাইনের নামে রাখা হয়েছে, সে একজন খৃষ্টান , তাই হারাম
তাহোলে আর্কিমিডিসের সূত্র, নিউটনের সূত্র, পিথাগোরাসের সূত্র , আইন্সটাইনের সূত্র -- সব গুলোকে হারাম বলতে হবে কারন ঐ সূত্র গুলোর নাম রাখা হয়েছে তাদের নামে এবং তারা মুসলমান নহে ।
মোল্লার বয়ান ::: এই দিন অবিবাহিত ছেলেরা মেয়েদের প্রেম নিবেদন করে !
এটা কোন বাধ্যতা মূলক বিষয় নহে যে শুধু ছেলেরা এই দিবসে প্রেম নিবেদন করবে এবং বৎসরের ৩৬৪ দিন করবে না । এই দিনে প্রেম নিবেদন করলে মেয়েরা সেটা গ্রহন করতে বাধ্য -- এমন কোন আজগুবি অবলিগেশন কোথাও নেই ।
মোল্লার বয়ান :: এই দিন প্রেমিক যুগল যৌন লিলায় মত্ত হয় !
কোন প্রেমিক যুগলের সম্পর্ক যদি চরম পর্যায় চলে যায়, তাহোলে তারা ডেটিং যে কোন দিনই করতে পারে । ব্যপারটা এমন নহে তারা শুধু বৎসরে একবার ঐ দিন ডেটিং করে এবং বাকি ৩৬৪ দিন ডেটিং করে না ।
ভালোবাসার দিবস শুধু মাত্র প্রেমিক প্রেমিকার ডেটিং এর মধ্য সীমাবদ্ধ নহে । এই দিবস বর্তামানে সবার মধ্য ভালোবাসার যেমন বাবা মা বা ভাই বোন বা বন্ধু বান্ধব বা পাড়াপড়শী বা মানুষে মানুষে ভালোবাসার বন্ধন হিসাবে মূলত পালন হয় ।
মোল্লার বয়ান :: এই দিবস খৃষ্টান ধর্মের রিচুয়াল তাই হারাম
সেন্ট ভ্যালেনটাইনের ঘটনাটা ঘটে যিশু খৃষ্ঠ মারা যাবার প্রায় ২৫০ শত বৎসর পরে এবং এই ব্যপারে বাইবেলে কোন নির্দেশ নেই এবং খৃষ্টানরা ধর্মীয় ভাবে গীর্জায় গিয়ে কোন রিচুয়াল করে না , তাহোলে এটা কি করে ঐ ধর্মের রিচুয়াল হোল । এখানে উল্লেখ যোগ্য হোল বর্তমানে আমাদের দেশে খৃষ্টান মহিলাদের মাথায় হিজাব পড়ার রিচুয়াল পালন করা শুরু হয়েছে অনেক মহিলাদের ভিতর কিন্তু মাওলানাা আশ্চর্য জনক কারনে দাবি করছে এটা নাকি ইসলামিক কালচার । এক কালে বেশির ভাগ খৃষ্টান মহিলারা মাথায় ভেইলিং হিজাব পড়তো কিন্তু বর্তমানে এটা শুধু মাত্র নান রা পরিধান করে । ভ্যালেনটাইন দিবস খৃষ্টানদের রিচুয়াল নেহ কিন্তু তারা সেটা তাদের রিচুয়াল বলে দাবি করে কিন্তু যেটা সত্যই খৃস্টানদের রিচুায়াল সেটাকে ইসলামিক বলে দাবি করে ।
এবার আমরা যদি ভ্যালেনটাইন দিবসের ইতিহাসটা দেখি, সেখানে অন্য রকম চিত্র দেখতে পাই । ঐ সময়ের কোন এক রাজা , সম্ভবত রোমান কোন রাজা -- যুবক সৈনিকদের বিবাহ করাকে নিষিদ্ধ করে ছিল, তার ধারনা হয়েছিল, বিবাহিত সৈনিকরা ভালো যোদ্ধা হতে পারে না, তাই । এই পরিস্থিতিতে অবিবাহিত সৈনিকদের মধ্যে ব্যপক বিরুপ ক্রীয়া হয় , তারা গোপনে তাদের প্রমিকাদের সাথে মেলে মেশা অব্যাহত রাখে, যেটা অনেকটা ব্যাভিচারের পর্যায় চলে যায় । তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাইলেও, ভয়ে কোন জাজক তাদের বিয়ে সাহস করে না । তখন সেনট ভ্যালেনটাইন জীবনের ঝুকি নিয়ে গোপনে এই সমস্ত যুগলদের বিয়ে দিয়ে দিতে শুরু করে । এক সময় বিষয়টি রাজার কাছে ধরা পড়ে এবং রাজার আদেশ অমান্য করার জন্য তাকে ফাসি দিয়ে হত্যা করা হয় ।
আমাদের মোল্লারা কোন জগতে বাস করে , সেটা আল্লাহ ছাড়া কেহই জানে না । সেইন্ট ভ্যালেনটাইন যা করেছে সেটা রাজার কাছে অপরাধ হতে পারে কিন্তু বিবাহে আগ্রহি সৈন্যদের রাজার আদেশ অমান্য করে গোপনে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার কাজটি-- কি কারনে কাট মোল্লাদের কাছে অপরাধ , সেটা কিছুতেই বোধগোম্য হোল না ।