নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয় পেয়ো না, চিন্তিত হয়ো না, বিজয় তোমাদেরই পদচুম্বন করবে, যদি বিশ্বাসে হতে পার বলিয়ান

২৩ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:২৭



ভয় পেয়ো না, চিন্তিত হয়ো না, বিজয় তোমাদেরই পদচুম্বন করবে, যদি বিশ্বাসে হতে পার বলিয়ান
আজ আমরা ভয়ে মরি। মৃত্যু আসার আগেই আমরা অযাচিত ভয় নিজেদের ওপর চাপিয়ে নিই। পৃথিবীর প্রতিটি বস্তুকে আমরা ভয় পাই। শত্রুকে ভয় পাই। মিত্রকেও। অন্ধকার দেখলে আমাদের বুক কেঁপে ওঠে ভয়ে। গ্রীষ্মের খরতাপ দেখলে আমরা ভীত হই। শীতের প্রকোপ আমাদের ভয়-বিহবল করে। আমরা প্রতিটি পদক্ষেপে ভয়ে কুন্ঠিত হই। জড়সড় হই। ভেঙ্গে পড়ি। কেবলমাত্র ভয় করি না যাকে ভয় করার কথা ছিল সবচেয়ে বেশি সেই মহান স্রষ্টা বারি সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আল্লাহ পাককে। অথচ তাকে ভয় করে চললেই আমাদের আর কাউকে ভয় পাবার প্রয়োজন হত না। আর কারও ভয় আমাদের হৃদয়ের চৌহদ্দিতে বাসা বাঁধতে পারতো না। আর কোনো ভীতি আমাদের কাবু করতে পারতো না। আর কোনো হতাশা আমাদের কুঁড়ে কুঁড়ে খেতে পারতো না। আমাদের বদ আমল আমাদেরকে আল্লাহ পাক থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। স্রষ্টার সাথে বান্দার সুগভীর সম্পর্ককে ক্ষীন থেকে ক্ষীনতর করে তুলেছে। আজ আমরা আল্লাহ পাকের কাছে হাত পাততেও দ্বিধাগ্রস্থ। তাঁর কাছে চাইতে পর্যন্ত পারি না। বিপদে-আপদে তাঁর অবধারিত সাহায্য আমাদের স্পর্শ করে না। আমাদের সাহায্য করার তাঁর প্রতিশ্রুতিগুলো, তাঁর অভয় বানী সম্ভার, তাঁর আশ্বাসসমূহ আমরা ভুলে গেছি। যে কারণে দুনিয়াজোড়া আজ আমরা লাঞ্চিত, বঞ্চিত এবং পদদলিত। পৃথিবীজুড়ে আজ আমরা মার খাওয়া এক উচ্ছিষ্ট জাতি। নির্দ্বিধায় জগতের সকল অনাচারের দায় আমাদের উপরে চাপিয়ে দিচ্ছে স্বার্থান্বেষী মহল। আমরা পরিনত হতে চলেছি জগত-সংসারের অনিষ্টকর এক জাতিতে। আজ কেন এই দুরবস্থা আমাদের? আমরা কেন জগত জুড়ে শুধু পড়ে পড়ে মার খাচ্ছি? জগতের অন্যায়-অনাচারের সকল দায় কেন চােপেয়ে দেয়া হচ্ছে আমাদের ঘাড়ে? আজ উপলব্ধি করার সময় এসেছে। আজ চিন্তা করার লগ্ন এসেছে। আজ ভাব ও ভাবনার মুহূর্ত আমাদের দরজায় কড়া নেড়ে যাচ্ছে। আমরা ভুলে গেছি আমাদের আসল কাজ কি ছিল! আমরা আমাদের আসল মালিকের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। মহান প্রতিপালকের সাথে কৃত অঙ্গিকার আমরা ভুলে বসে আছি। আমাদের ভাব ও ভাবনায় আজ মালিকের উপস্থিতি নেই। আমাদের চিন্তা ও চেতনায় সাইয়্যিদুল মুরসালীন নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ নেই। আমাদের কুরআনের সাথে সে অটুঁট অবিচল সম্পর্ক আমরা রাখিনি। আমরা জগতের বিচ্ছিন্ন প্রান্তরের সাময়িক সুখের নেশায় বিভোর আত্মভোলা এক অর্বাচিন জাতিতে পরিনত করেছি নিজেদের। অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাঅা'লার সাথে সম্পর্ককে মজবুত করতে পারলে আমাদের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকাতে সাহস পেত না। পার্থিব জীবনে আমরা থাকতাম সম্মানের আসনে। পারকালীন অন্তহীন জীবনেও। আল্লাহ পাক কতভাবেই না আমাদের সুসংবাদ শুনিয়েছেন। আহ! আমরা যদি বুঝতে সচেষ্ট হতাম! প্রিয় ভাই, আর পালিয়ে বেড়ানো নয়, উঠুন, জাগুন, আল্লাহ পাকের রহমতের দিকে ফিরে আসুন! তাঁর সাহায্যের প্রত্যাশা বুকে আগলে রেখে নতুন করে কোমর বেঁধে উঠে দাঁড়ান! দেখুন, তিনি কতই না সুন্দর হৃদয় সিক্ত করা ওয়াদা-অঙ্গিকারে আমাদের প্রশান্তির বানী শুনিয়েছেন! আমাদের নির্ভাবনার জীবনদানে তাঁর আশ্বাসবানীগুলো দেখুন!

তিনি আমাদের বলেছেন-

"وَلَا تَهِنُواْ وَلَا تَحۡزَنُواْ وَأَنتُمُ ٱلۡأَعۡلَوۡنَ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ (١٣٩)"

'তোমাদের ভয় নেই, ভাবনা নেই, তোমরাই হবে শ্রেষ্ঠতম, বিশ্বাসে যদি থাকো অটল।'

"Do not become weak (against your enemy), nor be sad, you will be superior (victorious) if you are indeed true believers" (Surah Ale-Imran 3:139)

আল্লাহ তাআ'লা পবিত্র কুরআনুল কারীমে ঘোষনা করেনঃ

فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُم مِّنِّي هُدًى فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ فَلَا يَضِلُّ وَلَا يَشْقَى

'এরপর যদি আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে হেদায়েত আসে, তখন যে আমার বর্ণিত পথ অনুসরণ করবে, সে পথভ্রষ্ঠ হবে না এবং কষ্টে পতিত হবে না।' (সুরা তোহা- ১২৩)

but if, as is sure, there comes to you Guidance from Me, whosoever follows My Guidance, will not lose his way, nor fall into misery.

অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন-

فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُم مِّنِّي هُدًى فَمَن تَبِعَ هُدَايَ فَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ

'যে আমার হিদায়াত অনুসরন করবে, তাদের কোন ভয়ভীতি নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।' (সুরা বাক্কারাহ- ৩৮)

and if, as is sure, there comes to you Guidance from me, whosoever follows My guidance, on them shall be no fear, nor shall they grieve.

অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন-

مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ

যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত। (নাহল-৯৭)

Whoever works righteousness, man or woman, and has Faith, verily, to him will We give a new Life, a life that is good and pure and We will bestow on such their reward according to the best of their actions.

তাহলে কেন চিন্তিত হবে? চিন্তার কোনো কারণ নেই। কুরআন তিলাওয়াতকারি, কুরআনের হেদায়েতের উপরে আমলকারী চিন্তিত হবে না। আলাহ পাক ইরশাদ করেন-

إِنَّ اللَّهَ يُدَافِعُ عَنِ الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ خَوَّانٍ كَفُورٍ

আল্লাহ মুমিনদের থেকে শত্রুদেরকে হটিয়ে দেবেন। আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না। ( সুরা হজ্জ- ৩৮)

Verily Allah will defend (from ill) those who believe: verily, Allah loveth not any that is a traitor to faith, or show ingratitude.

কুরআনের পথের পথিক চিন্তিত হবে না, কারণ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ফরমান-

إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلَائِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِي كُنتُمْ تُوعَدُونَ

'যারা বলে আল্লাহ আমাদের রব এবং এর ওপর সুদৃঢ় থাকে, তাদের কাছে ফেরেস্তাগন অবতীর্ন হন, তারা বলেন- তোমরা ভয় পেয়ো না চিন্তিত হয়ো না, আর তোমাদের যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, তার জন্য আনন্দিত হও। দুনিয়া আখিরাতে আমিই তোমাদের বন্ধু।' (সুরা ফুসসিলাত অপর নাম, সূরা হা-মীম সেজদাহ -৩০)

In the case of those who say, "Our Lord is Allah., and, further, stand straight and steadfast, the angels descend on them (from time to time): "Fear ye not!" (they suggest), "Nor grieve! but receive the Glad Tidings of the Garden (of Bliss), the which ye were promised!

আল্লাহ যখন তোমার সাথে থাকবেন, কে আছে তোমার অনিষ্ট করে? আর আল্লাহ যখন তোমার বিরোধী হয়ে যাবেন, তখন কে তোমার সাথী হবে?!

হে রব! সে কি পেল? যে আপনাকে হারিয়ে ফেলল! আর যে আপনাকে পেয়েছে সে কীইবা হারালো! তার হারানোর কী থাকতে পারে?

কুরআনের হেদায়েতলাভে ধন্য হৃদয় চিন্তিত হবে না, কারণ সে আল্লাহর বানী-

أَفَمَن كَانَ مُؤْمِنًا كَمَن كَانَ فَاسِقًا لَّا يَسْتَوُونَ

'যে মুমিন সে কি পাপাচারির ন্যায়? তারা সমান নয়।' (সাজদাহ- ১৮)

Is then the man who believes no better than the man who is rebellious and wicked? Not equal are they.

কুরআনের অনুসারী অনুগামীগণ চিন্তিত হবে না, কারণ আল্লাহর বানী-

أَفَنَجْعَلُ الْمُسْلِمِينَ كَالْمُجْرِمِينَ

'আমি কি আজ্ঞাবহদেরকে অপরাধীদের ন্যায় গণ্য করব?' (সুরা কলম-৩৫)

Shall We then treat the People of Faith like the People of Sin?

مَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ

'তোমাদের কি হল ? তোমরা কেমন সিদ্ধান্ত দিচ্ছ?' (সুরা কলম-৩৬)

What is the matter with you? How judge ye?

কুরআনে বিশ্বাসী এবং আমলকারীগণ চিন্তিত হবে না, কারণ আল্লাহর বানী-

مَّا يَفْعَلُ اللّهُ بِعَذَابِكُمْ إِن شَكَرْتُمْ وَآمَنتُمْ وَكَانَ اللّهُ شَاكِرًا عَلِيمًا

'তোমাদের আযাব দিয়ে আল্লাহ কি করবেন যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর এবং ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক! আর আল্লাহ হচ্ছেন সমুচিত মূল্যদানকারী সর্বজ্ঞ।' (সুরা নিসা- ১৪৭)

What can Allah gain by your punishment, if ye are grateful and ye believe? Nay, it is Allah that recogniseth (all good), and knoweth all things.

কুরআনের ফায়সালায় বিশ্বাসীগন চিন্তিত হবে না, কারণ আল্লাহ পাকের বানী-

وَنُرِيدُ أَن نَّمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْضِ وَنَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَنَجْعَلَهُمُ الْوَارِثِينَ

'দেশে যাদেরকে দূর্বল করা হয়েছিল, আমার ইচ্ছা হল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করার, তাদেরকে নেতা করার এবং তাদেরকে দেশের উত্তরাধিকারী করার।' (সুরা কাসাস-৫)

And We wished to be Gracious to those who were being depressed in the land, to make them leaders (in Faith) and make them heirs,

وَنُمَكِّنَ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَنُرِي فِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَجُنُودَهُمَا مِنْهُم مَّا كَانُوا يَحْذَرُونَ

'এবং তাদেরকে দেশের ক্ষমতায় আসীন করার এবং ফেরাউন, হামান ও তাদের সৈন্য-বাহিনীকে তা দেখিয়ে দেয়ার, যা তারা সেই দূর্বল দলের তরফ থেকে আশংকা করত।' (সুরা কাসাস-৬)

To establish a firm place for them in the land, and to show Pharaoh, Haman, and their hosts, at their hands, the very things against which they were taking precautions.

অতএব হতাশ হবেন না
অতএব পার্থিব সামান্য দুঃখ-কষ্ট দেখে হতাশ হবেন না। বিশ্বাসকে মজবুত করুন। আমলকে পোক্ত করুন। নিউজিল্যান্ডে অর্ধশত নামাজীকে মসজিদে নির্বিচারে গুলি করে শহীদ করা হয়েছে। ৫০ জনের শাহাদাতে ভড়কে যাবেন না। পেছনের সোনালী দিনের ইতিহাসের পাতাগুলো ওল্টান। তাকিয়ে দেখুন, আপনাদের পূর্বসূরী পবিত্র হৃদয়ের অধিকারীদের রক্ত জমাট প্রতিটি পাতা তার! গভীরভাবে নজর দিয়ে দেখুন ইতিহাসের সে পাতায় পাতায়! দেখুন, কতোখানি ত্যাগ আর কুরবানির নজরানা অপলক কথা বলে ওঠে আজও। হে মুক্তিকামী দল! হে নাজাতের পথের মুসাফির! উঠুন! জাগুন! দেখুন! আল্লাহ তাআলার রহমতের উপরে ভরসা রাখুন! তাকিয়ে দেখুন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা কি অপরিমেয় রহমত আপনাদের জন্য অপেক্ষমান! বিশ্বাসী ব্যক্তি কি ভেঙ্গে পড়তে পারে? আল নূর মসজিদের এই থোক থোক রক্তের প্রতিটি ফোটা বিশ্বাসের বহ্ণিশিখা হয়ে ছড়িয়ে পড়বে গোটা ইউরোপের মানচিত্র জুড়ে! সেদিন কি খুব বেশি দূরে? অবিশ্বাসের কৃষ্ণ দেয়াল ভেঙ্গে প্রতিটি বনি আদমের বুকের গহীনে জ্বলে উঠবে বিশ্বাসের রোশনাই! এই হামলাই কি তার পটভূমি? কবির ভাষায়-

'কতলে হুসাইন আছলমে মরগে ইয়াজিদ হ্যায়,
ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হার কারবালা কে বা'দ।'

'ইমাম হুসাইন রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুকে শাহাদাত করে দিয়ে আসলে তো ইয়াজিদ নিজেরই কবর রচনা করেছে, ইসলাম তো এভাবেই প্রত্যেক হৃদয়বিদারক কারবালার পরেই পুনর্জীবন লাভ করে।'

আমলের সত্যিকারের আলোকিত জীবনে প্রবেশ করুন! বিজয় আপনাদের সুনিশ্চিত, তাকিয়ে দেখুন, সাফল্য আপনাদের দ্বারে কড়া নাড়ছে, যদি আপনারা সত্যিকারার্থে, মজবুতভাবে আকড়ে ধরে থাকতে পারেন মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অমলিন, আলো ঝলমল সেই আদর্শ!

ছবি: অন্তর্জাল।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৩৪

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আল্লাহ বলেন,
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন।

আল্লাহ কাছে একটিই দোয়া তিনি যেন আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন।

সুন্দর পোষ্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রথম মন্তব্যে শুকরিয়া।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট দিয়েছেন।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্য প্রেরনা যোগায়। সবসময় ভালো থাকুন।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:২৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমরা ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়েছি।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



সঠিক বলেছেন। আত্মসমালোচনায় দগ্ধ হওয়া প্রয়োজন আমাদের।

অশেষ ধন্যবাদ।

নিরন্তর ভালো থাকুন।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
ইসলাম সেতো পরশ মানিক
তারে কে পেয়েছে খুঁজি
তার পরশে সোনা হলো যারা
তাদেরেই মোরা বুঝি

নামে দিয়ে যদি মুসলমানিত্ব হয় তবে অনেক আছে! আর বিশ্বাস আনায়, শপথ গ্রহন করায় যদি মুসলিম হতে হয়,
যার তাগিদ কোরআনে আল্লাহ নিজে দিয়েছে-
"তোমরা মরার আগে মর, মুসলমান না হইয়া মরোনা!"
সেই মুসলমান হতে হয়। জন্মসূত্রে মেলে না।

ডাক্তারের ছেলে হলেই যেমন ডাক্তার হওয়া যায় না। তেমনি প্রত্যেকর মুসলমানিত্ব নিজস্বতায় অর্জন করতে হবে। বিশ্বাস দিয়ে, কর্ম দিয়ে।

পোষাকি মুসলিমে আমাদের বিশ্ব ভরা!
আত্মায়, স্বত্তায়, এককত্বে
সাধনায় ধ্যানে জ্ঞানে
পূর্ণতায় সে মানুষ কই?

সেখানে পৌছাতে পারলেই পরে আল্লাহর বিজয়ের সুসংবাদ, তাদের জন্য! আম কথিত মুসলিমের জন্য নয়।
যেমন এমপি হলেই এমপির সুযোগ সুবিধা ভোগ করা যায়। না হলে নয়!
আগে মানুষ হতে হবে যাকে বলে ইনসান
তারপর বিশ্বাসী আরবীতে বুঝতে চাইলে ঈমানদার
তারপর মুসলিম - আহলুল বায়াত সম্পন্ন কারী, শপথগ্রহণকারী (এমপিদের যেমন পাশ করলেই এমপি হয়না, যতক্ষনা শপথ গ্রহণ করেন) যাদের কথা কোরআনেও উল্লেখ আছে তাদের নিয়ে আল্লাহ শপথ করেছেন।
তারপর মুমিন। মুসমানিত্বে থেকে সাধনা, রিয়াজত, মোরাকাবা মোশাহেদায় সপল ভাবে উত্তীর্ণ যারা।
তারপর মেলে নাফসে মুতমায়িন্নার স্তর।

আল্লাহর প্রতিশ্রুতিতে দেখুন স্তরভেদ আছে।
কিছু ক্ষেত্র বিশ্বাসীদের বিজয়ের কথা
কিছু ক্ষেত্রে মুমিনদের সুসংবাদ,
কিছূ ক্ষেত্র প্রশান্তচিত্ত আত্মাদের জন্য- এভাবে ক্লাসিফায়েড করা আছে

আমভাবে শুধু আশঅ করলে বোধকরি নিরাশঅর কষ্ট বেশি হবে। অথবা আল্লাহ বা আল্লাহর ওয়াদা নিয়ে ভুল অনুভব আসবে। যা সচরাচর বেশীরভাগ লোকের মাঝে বিরাজে। ধুর আল্লাহ শোনে না! এত কষ্ট করলাম আমারে দিলনা, টাইপ আবেগ সেই অজ্ঞানতরাই ফল।

তাই আশারা সাথে সাথে -শর্তটাও বলে দিয়েন ভায়া ;)

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ইসলাম সেতো পরশ মানিক
তারে কে পেয়েছে খুঁজি
তার পরশে সোনা হলো যারা
তাদেরেই মোরা বুঝি


--- জাতীয় কবিকে উদ্ধৃত করে কৃতার্থ করলেন। আমাদেরই প্রানের কথা বলেছেন প্রিয় কবি।

নাম দিয়ে যদি মুসলমানিত্ব হয় তবে অনেক আছে! আর বিশ্বাস আনায়, শপথ গ্রহন করায় যদি মুসলিম হতে হয়,
যার তাগিদ কোরআনে আল্লাহ পাক নিজে দিয়েছেন-

"তোমরা মরার আগে মর, মুসলমান না হয়ে মরো না!"

সেই, মুসলমান হতে হয়। জন্মসূত্রে মেলে না।

ডাক্তারের ছেলে হলেই যেমন ডাক্তার হওয়া যায় না। তেমনি প্রত্যেকের মুসলমানিত্ব নিজস্বতায় অর্জন করতে হবে। বিশ্বাস দিয়ে, কর্ম দিয়ে।


--- ধন্যবাদ। যথার্থ বলেছেন। মুসলমানিত্ব অর্জন করার বিষয়। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত কোনো ব্যাপার নয়।

পোষাকি মুসলিমে আমাদের বিশ্ব ভরা!
আত্মায়, স্বত্তায়, এককত্বে
সাধনায় ধ্যানে জ্ঞানে
পূর্ণতায় সে মানুষ কই?


সেখানে পৌছাতে পারলেই পরে আল্লাহর বিজয়ের সুসংবাদ, তাদের জন্য! আম কথিত মুসলিমের জন্য নয়।
যেমন এমপি হলেই এমপির সুযোগ সুবিধা ভোগ করা যায়। না হলে নয়!
আগে মানুষ হতে হবে যাকে বলে ইনসান
তারপর বিশ্বাসী আরবীতে বুঝতে চাইলে ঈমানদার
তারপর মুসলিম - আহলুল বায়াত সম্পন্ন কারী, শপথগ্রহণকারী (এমপিদের যেমন পাশ করলেই এমপি হয়না, যতক্ষনা শপথ গ্রহণ করেন) যাদের কথা কোরআনেও উল্লেখ আছে তাদের নিয়ে আল্লাহ শপথ করেছেন।
তারপর মুমিন। মুসমানিত্বে থেকে সাধনা, রিয়াজত, মোরাকাবা মোশাহেদায় সপল ভাবে উত্তীর্ণ যারা।
তারপর মেলে নাফসে মুতমায়িন্নার স্তর।


---- সুন্দর বলেছেন।

সেই মানুষ তো এই আমাদেরই ভেতর থেকে উঠে আসবে। আসমান থেকে নাজিল হবেন কি কখনো? সেই সম্ভাবনা কিংবা আশা করার অবকাশ আছে কি? অবশ্যই নেই। আমাদেরই ভেতর থেকে, আমাদেরই এই কাঁচা ঈমানের চারা গাছে জলসিঞ্চন করে করে আমলের ঝুড়িতে সাধনার ফল তুলতে হবে। সাথে সাথে রিয়াজত-মুজাহাদা-মুরাকাবা-মুশাহাদার মাধ্যমে আত্মার মরিচাগুলোকে পুড়িয়ে দিয়ে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়ে তবেই তো অর্জিত হবে নাফসুল মুতমাইন্নাহ।

আল্লাহর প্রতিশ্রুতিতে দেখুন স্তরভেদ আছে।
কিছু ক্ষেত্র বিশ্বাসীদের বিজয়ের কথা
কিছু ক্ষেত্রে মুমিনদের সুসংবাদ,
কিছূ ক্ষেত্র প্রশান্তচিত্ত আত্মাদের জন্য- এভাবে ক্লাসিফায়েড করা আছে

আমভাবে শুধু আশঅ করলে বোধকরি নিরাশঅর কষ্ট বেশি হবে। অথবা আল্লাহ বা আল্লাহর ওয়াদা নিয়ে ভুল অনুভব আসবে। যা সচরাচর বেশীরভাগ লোকের মাঝে বিরাজে। ধুর আল্লাহ শোনে না! এত কষ্ট করলাম আমারে দিলনা, টাইপ আবেগ সেই অজ্ঞানতরাই ফল।

তাই আশারা সাথে সাথে -শর্তটাও বলে দিয়েন ভায়া


--- আল্লাহ পাকের দয়া এবং ক্ষমা সম্পর্কে মানুষ জানুক। তাকে জানতে তাঁর বাকি আশ্বাসবানীও জানতে হবে। সুন্দর বলেছেন। আবারও কৃতজ্ঞতা, এতটা বড় এবং আন্তরিক মন্তব্য রেখে যাওয়ায়।

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: টাইপো সংশোধনি

তারপর মুমিন। মুসমানিত্বে থেকে সাধনা, রিয়াজত, মোরাকাবা মোশাহেদায় সপল ভাবে উত্তীর্ণ যারা।
= তারপর মুমিন। মুসলমানিত্বে থেকে সাধনা, রিয়াজত, মোরাকাবা মোশাহেদায় সফল ভাবে উত্তীর্ণ যারা।

আমভাবে শুধু আশঅ করলে বোধকরি নিরাশঅর কষ্ট বেশি হবে। = আমভাবে শুধু আশা করলে বোধকরি নিরাশার কষ্ট বেশি হবে।

তাই আশারা সাথে সাথে - = তাই আশার সাথে সাথে

@ দ্রুত লিখতে গিয়ে টাইপ মিসড, সরি :P

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। টাইপোগুলো আগেই বুঝতে পেরেছি। হয়তো তাড়াহুড়োর ভেতরে ছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.