নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প - দুনিয়াতেই এক টুকরো জান্নাতের মালিক বনে যাওয়ার অনুভূতি!

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২০



গল্প - দুনিয়াতেই এক টুকরো জান্নাতের মালিক বনে যাওয়ার অনুভূতি!

মুআজ। পচিশ বছরের সুদর্শন আদর্শবান এক যুবক। পড়াশোনা শেষ করেছেন মাত্র। জীবিকা নির্বাহের জন্য বংশানুক্রমে চলে আসা পুরনো ব্যবসার দিকেও মনযোগী হচ্ছেন ধীরে ধীরে। মুআজকে বিয়ে করানোর জন্য পাত্রীর সন্ধান করা হচ্ছে। শর্ত, পাত্রীকে দ্বীনদার হতে হবে। অনেক খোঁজাখুজির পরে এক স্থানে দ্বীনদার এক পাত্রীর সন্ধান পাওয়া গেল। আসমা। হ্যাঁ, পাত্রীর নাম আসমা।

শরয়ী' বিধান মেনে আসমাকে দেখতে তাদের বাড়ি গেলেন মুআজ।

আসমার সাথে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা হল মুআজের। যা যা জানা দরকার আসমাকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিলেন তিনি। আসমারও কিছু জানার ছিল যে! একপর্যায়ে আসমা মুআজকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করলেন- 'আপনি কুরআনের কতটুকু মুখস্ত করেছেন?'

মুআজ বললেন- 'তেমন বেশি কিছু করা হয়নি। তবে সর্বদা চেষ্টা করি, যেন আল্লাহ তাআ'লার একজন সৎকর্মশীল বান্দা হতে পারি'।

'আপনি কতটুকু মুখস্ত করেছেন?' - মুআজের পাল্টা প্রশ্ন।

আসমা বললেন- 'আমি আমপারা মুখস্ত করেছি।'

আনুষ্ঠানিকভাবে পরস্পরকে দেখা-শোনার পরে বর-কনে একে অপরকে পছন্দ করায় অবশেষে উভয় ফ্যামিলির অভিভাবকদের সম্মিলিত উদ্যোগে আসমার সাথে বিয়ে হয়ে গেল মুআজের। তারা হয়ে গেলেন স্বামী-স্ত্রী।

মুআজ-আসমা। কিছু দিন আগেও ছিলেন একে অপরের অচেনা। অথচ এ দু'জনই আজ আবদ্ধ হয়ে গেলেন পরস্পর হৃদ্যতার বন্ধনে।

মুআজের সংসার চলছিল বেশ ভালোভাবে। একজন আদর্শ স্ত্রী হিসেবে যেসব গুনাবলী থাকা প্রয়োজন, একজন দ্বীনদার নারী হিসেবে যে ধরণের উপযুক্ততা দরকার তার সবই ছিল আসমার ভেতরে।

সংসার জীবনের প্রাথমিক অবস্থায় কিছু দিন পার করেই মুআজ অনুভব করতে সক্ষম হলেন যে, তিনি সত্যি সত্যি একজন আদর্শ এবং দ্বীনদার মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে পেয়েছেন। আসমার হৃদ্যতাপূর্ণ আচরণ, অনন্য গুনাবলী এবং উত্তম দ্বীনদারী দেখে তার কাছে মনে হতো- দুনিয়াতেই যেন এক টুকরো জান্নাতের মালিক বনে গেছেন তিনি।

অবশ্য মুআজের দিকটিও আসমার মোটেই নজর এড়ায়নি। দিনে দিনে আসমাও অনুভব করলেন যে, তার স্বামী তখন সত্য কথাই বলেছিলেন, সত্যিই তিনি একজন সৎকর্মশীল বান্দা। সত্যবাদিতা, আমানতদারিতা, ন্যায়-ইনসাফ কোনো দিকেই পিছিয়ে নেই মুআজ। কল্যানকর সকল কাজেই স্বামীর সরব ভূমিকা আসমাকে আনন্দিত করে।

দু'জনের পরিবারে শান্তির সুবাতাস বইছিল যেন। দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল স্বপ্নের মত। একজন অন্যজনকে নেক আমলের জন্য উতসাহ দিতেন। একে অন্যকে সাওয়াবলাভের কাজে উদ্বুদ্ধ করতেন। কে বেশি তাহাজ্জুদগুজার হতে পারেন, তাদের ছিল সেই প্রতিযোগিতা। কে বেশি কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন, তাদের ছিল সেই প্রচেষ্টা। কে বেশি নফল আমল করতে পারেন, তাদের ছিল সেই প্রত্যাশা।

এভাবেই চলে যাচ্ছিল মুআজ-আসমার মধুময় দিনগুলো।

আসমা একদিন মুআজকে বললেন- 'এই, আসুন না, আমাকে কিছু কুরআন মুখস্ত করিয়ে দেন না'!

মুআজ বললেন- 'হ্যাঁ, চলো, এটা খুবই ভালো হবে। তবে তুমি একা কেন মুখস্ত করবে? আমরা উভয়েই বরং মুখস্ত করব। একে অপরকে মুখস্ত করাতে সাহায্য করবো'। যেই কথা সেই কাজ। তারা একে অপরকে কুরআন মুখস্ত করিয়ে দিতে শুরু করলেন। উভয়ে একের পর এক সুরা মুখস্ত করতে থাকলেন একে অপরকে শোনানোর মাধ্যমে।

অনেক শ্রমের বিনিময়ে অবশেষে এভাবে একদিন তারা উভয়েই কুরআনের হাফেজ ও হাফেজা হয়ে গেলেন! কিছু দিন পরে মুআজ স্ত্রী আসমাকে নিয়ে শ্বশুরালয়ে গেলেন। শ্বশুরকে আনন্দিত চিত্তে জানালেন- 'আব্বু, আপনার মেয়ে কোরআনে হাফেজা হয়ে গেছেন'!

এমন একটি সুখবর শুনে যে কোনো বাবারই খুশি হবার কথা। কিন্তু মুআজের শ্বশুরের চেহারা দেখে মনে হল না, মেয়ের এই মহা সাফল্যের সংবাদে তিনি খুশি হয়েছেন! মনে হল, তিনি বরং এ সংবাদে যারপরনাই আশ্চর্য হয়েছেন!

মুআজের কপালে চিন্তার ভাঁজ, আচ্ছা, এতবড় সুসংবাদ শুনেও কেন আশ্চর্য হলেন তার শ্বশুর?

আদরের জামাতাকে কিছু না বলে তিনি উঠে ঘরের ভেতরে চলে গেলেন। মেয়ের রুমে গিয়ে কিছু কাগজপত্র নিয়ে আবার ফিরে আসলেন প্রায় সাথে সাথেই। মুআজের সামনে রাখলেন সেগুলো। কাগজগুলো পড়ে তো মুআজের চোখ ছানাবড়া! হায়! হায়! এ যে তার স্ত্রীর কুরআন হিফজের প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট! তার মানে তার স্ত্রী বিয়ের আগে থেকেই কুরআনের হাফেজা ছিলেন!

এবার মুআজ তার শ্বশুরের আশ্চর্য হওয়ার রহস্য বুঝতে পারলেন।

আসলে তার স্ত্রী এত দিন তার সাথে সাথে কুরআন মুখস্ত করার ভান করে মূলত: তাকেই হাফেজ বানানোর কৌশল অবলম্বন করেছিলেন!

স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতায় ভরে গেল মুআজের অন্তরটা। তিনি নির্বাক। আনন্দে আত্মহারা। এমন গুনী একটি মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে পেয়ে নিজেকে ধন্য এবং ভাগ্যবান মনে করলেন। মুখ ফুটে তিনি কিছু বলতে পারলেন না শুধু 'আলহামদুলিল্লাহ' শব্দটি ছাড়া।

শেষ বিকেলের নিস্তেজ সূর্যের মোলায়েম আলো ঘরে এসে পড়েছে জানালার ফাঁক গলে। সে আলোয় উদ্ভাসিত মুআজের চেহারা। পাশে উপবিষ্ট ধৈর্য্যের অতলস্পর্শী প্রেরণা স্ত্রী আসমা এবং পিতৃতুল্য শ্বশুর। মুআজ লক্ষ্য করলেন, তার দু'চোখ বেয়ে তার অজান্তেই গড়িয়ে পড়ছে তপ্ত ক'ফোটা অশ্রু.....! তিনি মুছে ফেললেন না সে অশ্রু ফোটাগুলো........!! এগুলো আনন্দ অশ্রু যে........!!!

আল্লাহ্ পাক প্রত্যেক যুবক যুবতীকেই মুআজ-আসমার মত এমন দ্বীনদার, নেককার স্ত্রী এবং স্বামী দান করে ধন্য করুন তাদের জীবন।

সংগৃহীত এবং সংশোধিত।

ছবি: অন্তর্জাল।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ছোটকালে দেখতাম প্রতি সকালে আমার পিতা কোরান তেওলয়াত করতেন, পরে আমরা দুইভাইও রেহেলে কোরান নিয়ে পড়া সুরু করতাম, তখন আরবি পড়তে পারতাম। কোরান পড়া শেষে বেশ একটা পবিত্র ভাব আসতো।

বড় হয়ে বংগানুবাদ সহ কোরান পড়তে পড়তে অনেক প্রশ্নের উদয় হয়।
পরে কোরানের ইংরেজি ও বিভিন্ন লেখকের বঙ্গানুবাদ নবীর (স) জীবনি পড়ে অজস্র প্রশ্নের উদয় হয়েছে। যার কোন জবাব নেই।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ছোটকালে দেখতাম প্রতি সকালে আমার পিতা কোরআন তেলাওয়াত করতেন, পরে আমরা দুই ভাইও রেহেলে কোরআন নিয়ে পড়া শুরু করতাম, তখন আরবি পড়তে পারতাম। কোরআন পড়া শেষে বেশ একটা পবিত্র ভাব আসতো।

দারুন স্মৃতিচারণ করেছেন। এটাইতো ছিল আমাদের অধিকাংশ বাংলাদেশী মুসলিমদের ঘরের প্রাত্যহিক প্রভাত চিত্র। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের এই প্রাকটিস এখনও ভালো লাগে। কুরআন তিলাওয়াত শেষে আমাদের মনে তো এখনও পবিত্রতার সেই ভাব চলে আসে। তিলাওয়াত যারা করেন তাদের প্রত্যেকের মনেই সম্ভবত: এসে থাকে।

বড় হয়ে বংগানুবাদসহ কোরআন পড়তে পড়তে অনেক প্রশ্নের উদয় হয়। পরে কোরআনের ইংরেজি ও বিভিন্ন লেখকের বঙ্গানুবাদ নবীর (স) জীবনি পড়ে অজস্র প্রশ্নের উদয় হয়েছে। যার কোন জবাব নেই।

প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। অনুসন্ধিতসু মন থাকলেই তো প্রশ্ন আসতে পারে। কিন্তু আপনার সেই অজস্র প্রশ্নগুলো কি এমন কঠিন, যার উত্তর থাকতে পারে না!

কালবৈশাখী ভাই,
দয়া করে যদি আপনার প্রশ্নগুলো গুছিয়ে উপস্থাপন করতেন, চেষ্টা করে দেখা যেত কোনো উত্তর পাওয়া যায় কি না।

এই পোস্টে প্রথমেই আপনার মত বিজ্ঞ ব্যক্তির উপস্থিতি এবং মন্তব্য পেয়ে আনন্দিতবোধ করছি।

অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধর্ম পালনের মাঝে শান্তি আছে, স্বস্তি আছে । কিন্ত দিন দুনিয়া বাদ দিয়ে শুধু ধর্মকেই আকরে ধরে জীবন যাপন করার মাঝে আহাম্মকি কুপমুন্ডকতা এবং মধ্যযুগীয় অন্ধকার ছাড়া আর কিছু দেখতে পাই না।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



সঠিক বলেছেন, প্রিয় ঢাবিয়ান ভাই।

আসলে ধর্ম পালনের মাঝে অবশ্যই শান্তি এবং স্বস্তি রয়েছে। আর দিন-দুনিয়া বাদ দিয়ে শুধু ধর্মকেই আকরে ধরে জীবন যাপন করার কথা অন্যসব ধর্মে থাক বা না থাক ইসলাম ধর্মের কোথাও অন্তত: নেই। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'লা-রুহবানিয়্যাতা ফিল ইসলাম'।

অর্থাৎ, 'ইসলামে বৈরাগ্যবাদিতার কোনো স্থান নেই।'

বরং ইসলাম মানুষকে এক স্বাভাবিক এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপনের পথে উৎসাহিত করে যেখানে একজন ব্যক্তি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নির্ধারিত সীমারেখার ভিতরে থেকে সামাজিক জীবন যাপন করবে। তার প্রতি ইসলামের যে হক রয়েছে তা যথাযথভাবে আদায় করবে। সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য সৃষ্টিকুলের প্রতি তার হক আদায় করবে।

মন্তব্যে আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক ভালো থাকুন।

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় কবি ভাই,
আপনার আগমন আনন্দের কারণ। প্লাস দিয়ে প্রেরণা দিয়ে গেলেন বলে কৃতজ্ঞতা। গল্পটি আপনার কাছে সুন্দর লেগেছে জেনে প্রীত।

শুভকামনা সবসময়।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর!
এক আসমান ভালোবাসা জানিয়ে গেলাম।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার সুমন্তব্য পেয়ে আনন্দিত হলাম। অনেক ভালো থাকবেন।

কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা সবসময়।

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নকিব ভাই,

খুব ভালো লাগলো গল্পটি। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই উপরওয়ালা কিছু না কিছু গুণাবলী দিয়েছেন। দরকার আমাদের সহিষ্ণুতা। একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ। মুয়াজ আসমা আমাদের প্রত্যেকের জীবনের মধ্যে প্রতিফলিত হোক। বয়ে আনুক অপার শান্তি।
পোস্টে তৃতীয় লাইক।

শুভকামনা জানবেন।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় চৌধুরি ভাই,
অতি সাধারণ এই গল্পটি আপনার মত প্রখ্যাত গল্পকারের কাছে ভালোলাগায় আপ্লুত! আপনি তো আলহামদুলিল্লাহ, গল্পের রূপকার। আপনার চলমান মরিচিকার কয়েকটি পর্ব পড়েই তা অনুভব করেছি। মন্তব্যের কথাগুলোও অনেক প্রেরণাদায়ক। পোস্টে লাইক দেয়ায় কৃতজ্ঞতা।

আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের জন্য শুভকামনা সবসময়।

৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক খানি ভালো লাগা ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আগমন এবং প্রিয় মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা সবসময়।

৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০৬

মা.হাসান বলেছেন: চোখ ভেজানো পোস্ট ।
হাসান কালবৈশাখী ভাইয়ের মন্তব্য দাগ কেটে গেল। বাবার সাথে কোরান পড়ার সুযোগ তেমন হয়নি। ফাকিবাজির কারনে কোরান শিখতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে।
আমারো মনে অনেক প্রশ্ন ছিল এক সময়। জবাব খুজছিলাম। আল্লাহর রহমতে সব প্রয়োজনীয় জবাব যথাসময়ে নিজেই এসে হাজির হয়েছে।
অনেক মুগ্ধতা।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



বরাবরই আপনি ব্লগে প্রিয় মানুষদের একজন। পোস্ট ছাড়াও যাদের মন্তব্য পাঠেও জ্ঞানের তৃষ্ণা নিবারণ করা যায়, আমার কাছে আপনি তাদের অন্যতম।

এই পোস্টে হাসান কালবৈশাখী ভাইয়ের মন্তব্যটি সত্যি মনে দাগ কেটে যাওয়ার মত। তিনি এই ব্লগের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তার জবাব না পাওয়া প্রশ্নগুলো জানতে চেয়েছি। দেখি, যদি কোনো উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়।

আপনার শ্রদ্ধেয় বাবার সাথে কুরআন পড়ার সুযোগ হয়নি জেনে ব্যথিত হলাম। তার প্রতি আল্লাহ পাক শান্তি এবং রহমত নাজিল করুন।

আপনার মনে জাগরিত প্রশ্নগুলোর উত্তর যথাসময়ে নিজেই এসে হাজির হয়েছে জেনে মনে হল, আপনার প্রতি এটা মহান আল্লাহ তাআ'লার অশেষ মেহেরবানী। তাঁর প্রতি শুকরিয়া করার মাধ্যম মনে করা যেতে পারে এটাকে। কারণ, পথ দেখানোর তিনি ছাড়া আর কেউ নেই।

অনেক অনেক শুভকামনা আপনার এবং পরিবারবর্গের জন্য।

৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়াতে এত অশান্তির কারন নবীজীর দেখানো পথে কেউ চলে না।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



সরল সহজ সঠিক পথে কেউ না চললে তো দুনিয়া টিকে থাকারই কথা নয়। এখনও অনেকে চলেন। যখন কোনো একজনও হক পথে চলার মত অবশিষ্ট থাকবে না, তখনই সংঘটিত হবে কেয়ামত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.