নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ডেঙ্গু মশার প্রাদুর্ভাবে আতঙ্কিত মানুষ। প্রায় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই বিপদ। মহামারি আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গুজ্বর। রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুজ্বরাক্রান্ত রুগীদের স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না। এ ধরণের বিপদ মুসিবত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু কৌশল নিয়ে একটি পোস্ট এডিস মশার হাত থেকে বাঁচার কিছু কৌশল দিয়েছিলাম সম্প্রতি। সেই পোস্টে আমাদের শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী ভাই তার এক মন্তব্যে দুআ আমলের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও তিনি তা বলেছিলেন হয়তো তার স্বভাবসুলভ কৌতুকবোধ থেকেই। তবু বিষয়টি তিনি স্মরণ করিয়ে দেয়ায় তার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা। এই পোস্টটি তাকেই নিবেদন করছি।
সর্বোচ্চ সতর্কতার পাশাপাশি দুআ এবং আমলের দিকেও মনযোগী হতে হবে। বিবিধ প্রকারের বালা মুসিবত হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য হাদীসে বিভিন্ন আমলের কথা বলা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য আমলগুলোর ভেতরে কয়েকটি নিম্নে তুলে ধরা হল-
এক. সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে এ দিন ও রাতের জন্য তা যথেষ্ট হবে বলে হাদিসে বলা হয়েছে।
দুই. এছাড়া দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে আয়াতুল কুরসি পাঠে বিশেষ ফায়দা রয়েছে।
তিন. সূরা ফালাক এবং নাস পড়ে আল্লাহ তাআ'লার নিকট আশ্রয় চাওয়া যায়।
চার. ফজরের নামাজ সময়মতো পড়লে এ দিনের জন্য লোকটি আল্লাহর আশ্রয়ে চলে যায়।
পাঁচ. বিপদের সময় ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনায যোয়ালিমিন’ (অর্থাৎ, আল্লাহ আপনি ছাড়া আর কোনো মা’বুদ নেই, আপনি মহা পবিত্র, আর আমি অনাচারীদের অন্তর্ভূক্ত) পাঠ করা উত্তম।
ছয়. ডেঙ্গু বা মহামারীর জন্য বিশেষভাবে নিচের এ দুআ পাঠ করা বেশি ফলদায়ক। দুআটি হচ্ছে- ‘আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্ক’ (অর্থাৎ, আল্লাহর পবিত্র ও পূর্ণাঙ্গ কালিমাসমূহের মাধ্যমে তার সৃষ্টির সকল অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সকল বিপদাপদ থেকে আমাদের হেফাজত করুন। আমাদের দেশকে ডেঙ্গু মহামারির হাত থেকে রক্ষা করুন।
ছবি: অন্তর্জাল।
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:২৮
কানিজ রিনা বলেছেন: দা কাকের ভাই, ডেঙ্গুর ঔষধ এখনও আবিস্কার
হয় নাই। তাই সাধারনত নাপা জাতীয় ঔষধ
প্রয়োগ করে যতক্ষন জ্বর কমিয়ে রাখা যায়
যদি চার পাঁচ দিনে না কমে তখন ডাক্তাররাও
ভয় পেয়ে যায রোগীর রক্তের প্লাটিলেট কমলে
মরার আশংকা বেশী।
মুসলিম হিসাবে বিপদ আপদে আল্লাহ্কে ডাকার
মত শান্তি আর নাই। নতুন নকিবকে আন্তরিক
ধন্যবাদ।
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:২২
সুপারডুপার বলেছেন: হিন্দু ও অন্য ধর্মের লোকেরা কি করবে?
অবিশ্বাসিদের সংখ্যাও কম না। তারাও কি করবে?
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়লে কেমন শান্তি শান্তি লাগে।
৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:০৭
জাহিদ হাসান বলেছেন: ডেঙ্গুর ভয়ে এখন আমাদের দিশেহারা অবস্থা
৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৫১
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মুসলিম হিসাবে বিপদ আপদে আল্লাহ্কে ডাকার
মত শান্তি আর নাই। (@ কানিজ রিনা আপুর কমেন্ট থেকে কপি করেছি)
বিপদ আপদে পড়লে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলে, শান্তি লাগে। মনে শক্তি পাওয়া যায়।
৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪
মোগল সম্রাট বলেছেন: হাসপাতাল গুলোতে ঔষধের পরিবর্তে আয়তাল কুরছি পড়ার প্রেশক্রিপশন দেয়া শুরু করুক ডাক্তাররা, কি বলেন?
৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২৫
অন্তরা রহমান বলেছেন: বেশ ভালো কিছু আমল জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৫৪
দ্যা বাকের ভাই বলেছেন: তাহলে আর ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে না।