![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: ভাইবার প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে:
১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের (২০১৮ সালের) লিখিত পরীক্ষার ফল। এবছর এ পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মোট ৫৫ হাজার ২৯৫ জন প্রার্থী। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সামনে এখন বাকি রয়েছে মৌখিক পরিক্ষার আরেকটি ধাপ। কঠিন এই ধাপটি অতিক্রম করতে তাদের মুখোমুখি হতে হবে ভাইবা বোর্ডের। এবছরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের আন্তরিক ও উষ্ণ অভিনন্দন। অতি সত্বরই যেহেতু আপনাদের মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে সেহেতু মৌখিক পরীক্ষার বিষয়গুলো সবিস্তারে আলোকপাত করা হল-
যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে:
অনলাইনে আবেদনের সময় আপলোডকৃত ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, কোটা-সংক্রান্ত সনদ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত করে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপনার জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অফিস চলাকালীন জমা দেবেন। জমা না দিলে যেহেতু আপনার নামে সাক্ষাৎকারপত্র ইস্যু করা হবে না, তাই আপনি মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণও করতে পারবেন না।
জমাকৃত সকল সত্যায়িত কাগজের মূল কপি সাথে নিন:
যেসব কাগজপত্র জমা দেবেন সেগুলোর মূল কপি সঙ্গে করে অবশ্যই নিয়ে যাবেন। জমা দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে কর্তৃপক্ষ আপনাকে একটি প্রাপ্তিস্বীকারপত্র দেবে। সেটি সযত্নে রেখে দেবেন। কারণ, মৌখিক পরীক্ষার দিন অন্য কাগজপত্রের সঙ্গে এই কাগজটিও বোর্ডে উপস্থাপন করতে হবে।
মৌলিক আলোচনা:
সাক্ষাৎকারপত্র পাওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে সাক্ষাৎকারপত্র ও প্রয়োজনীয় মূল কাগজপত্র নিয়ে প্রার্থীকে নিজ নিজ জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে। কারণ যা-ই হোক না কেন, নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে পরীক্ষায় উপস্থিত না হতে পারলে পরবর্তী সময়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কোনো সুযোগ থাকবে না।
মৌখিক পরীক্ষায় ২০ নম্বর থাকে। লিখিত পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষায় পাওয়া নম্বর যোগ করে মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হয়। এরপর মেধা ও কোটার ভিত্তিতে প্রথম দিকের সিরিয়ালে থাকা সৌভাগ্যবানেরাই নিয়োগের জন্য নির্বাচিত হন। যতটুকু জানা যায়, মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে সাধারণত জেলা প্রশাসক, জেলার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষসহ কয়েকজন সদস্য থাকেন।
মৌখিক পরীক্ষায় বাংলায় নাকি ইংরেজিতে প্রশ্ন করা হবে, সেটারও ঠিক নেই। তাই উভয় ভাষাতেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। প্রার্থীর বুদ্ধিমত্তা, মানসিক সচেতনতা, বলিষ্ঠতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা গুরুত্বপূর্ণভাবে বিবেচনাসহ প্রার্থীর পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যক্রমবহির্ভূত গুণাবলি যেমন-খেলাধুলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, শখ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয় মৌখিক পরীক্ষায়।
প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
মৌখিক পরীক্ষায় কোথা থেকে কী প্রশ্ন করা হবে, বলা মুশকিল। তাই যে বিষয়গুলো না দেখে গেলে নিজের ভেতর বিশ্বাস আসে না, নিচে সে বিষয়গুলো তুলে ধরলাম।
১) নিজের বিভাগ ও জেলা নিয়ে বিস্তারিত পড়তে হবে।
২) অনার্স ও মাস্টার্স যে বিষয়ের ওপর সম্পন্ন করেছেন, সে বিষয়ের মৌলিক জিনিসগুলো জানুন।
৩) নামতা, ছোটখাটো ট্রান্সলেশন, দশমিকের গুণ ও ভাগ শিখবেন। পাঠ্যবইবহির্ভূত কী কী বই পড়েছেন, তার নাম ও কাহিনি সম্পর্কে প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।
৪) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে।
৫) দেশ-বিদেশের মৌলিক কিছু জ্ঞান এবং সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনা, ক্ষমতাসীন সরকার, তাদের অর্জন, মন্ত্রিপরিষদ, শিক্ষা-সম্পর্কিত তথ্য ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখবেন।
৬) ১৯৪৭ সাল থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয় পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ধাপ ও ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো করে পড়বেন।
৭) কিছু প্রশ্নের উত্তর ইংরেজিতে জেনে যাবেন। যেমন - Introduce yourself, Express your educational background.
৮) জাতীয় সংগীত, রণসংগীত, কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে রাখুন। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কবিতা ও কবির নাম পড়বেন।
পোশাক পরিচ্ছদ:
ছেলেরা ফুল হাতা শার্ট পরবেন। হালকা রঙের শার্ট পরে যাওয়াটাই ভালো। সাদা, গাঢ় ধূসর, গাঢ় নীল, কালো বা বাদামি রং পছন্দ করতে পারেন। প্যান্টের ক্ষেত্রে ফরমাল প্যান্ট পরবেন। এ ক্ষেত্রে কালো রংই বেশি মানানসই। কাপড়ের পর যে জিনিসটির প্রতি বেশি খেয়াল রাখা জরুরি, তা হলো জুতা। জুতার ক্ষেত্রে একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন, এটা যাতে বেশি স্টাইলিস্ট না হয়। কালো রঙের জুতা পছন্দ করতে পারেন। অবশ্যই রাবার সোলযুক্ত জুতা ব্যবহার করবেন। কারণ, রাবার সোলের জুতা হলে হাঁটার সময় শব্দ হয় না। মোজার ক্ষেত্রে অবশ্যই কালো মোজা পছন্দ করবেন। কোমরের বেল্ট ও জুতা ম্যাচিং করে পরবেন। জুতা কালো হলে কোমরের বেল্টও কালো পরবেন। মাথার চুল ছোট রাখবেন। দাড়ি শেভ করে যাবেন। ধর্মীয়ভাবে দাড়ি রাখলে সেটা ভিন্ন কথা। সে ক্ষেত্রে পাঞ্জাবি পরতে পারেন। ফরমাল ঘড়ি পরতে পারেন। পরিচ্ছন্ন, পরিপাটি ও আয়রণ করা পোশাক পরবেন।
মেয়েরা শাড়ি বা থ্রিপিস পরতে পারেন। তবে শাড়ি পরাই ভালো। যেহেতু পরীক্ষা দিনের বেলা অনুষ্ঠিত হয়, তাই হালকা রঙের পোশাক নির্বাচন করুন। হালকা গোলাপি বা হালকা নীল রং বেছে নিতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতা পছন্দ করবেন। বেশি উঁচু জুতা না পরাই ভালো। লম্বা মেয়েরা স্লিপার পরতে পারেন। যাঁরা তুলনামূলক কম লম্বা, তাঁরা ফ্ল্যাট হিল পরবেন। অতিরিক্ত মেকআপ না নেওয়াই ভালো। হাতঘড়ি পরতে পারেন। চুড়ি বা ভারী অলংকার একদম না। হালকা কানের দুল পরবেন শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করে। হালকা লিপস্টিক আর কাজল দেবেন। নখ বড় রাখবেন না। নখে নেইল পলিশ ব্যবহার না করাই ভালো। তার পরও যদি করেন, তাহলে ওয়াটার কালারের নেইল পলিশ ব্যবহার করতে পারেন। মৌখিক পরীক্ষায় জিনস, টি-শার্ট, ফতুয়া এবং অতিরিক্ত জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক ও সাজ এড়িয়ে চলবেন। খুব বেশি উজ্জ্বল যেমন-লাল, কমলা, ম্যাজেন্টা রঙের পোশাক না পরাই উত্তম।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
মৌখিক পরীক্ষার দিন আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মূল কপি নিয়ে বোর্ডে প্রবেশ করতে হবে। বাসা থেকে বের হওয়ার আগেই কাগজপত্র গুছিয়ে নেবেন। যাঁরা এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে আবেদন করে এখন স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস করেছেন, তাঁরা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাসের সার্টিফিকেট থাকলে নিয়ে যেতে পারেন। না নিয়ে গেলেও সমস্যা হবে না। কোনো জিনিস প্রয়োজন হতে পারে, এ রকম মনে হলে সেই জিনিসটা সঙ্গে নেওয়া উচিত। কারণ, কাগজপত্র বেশি করে নিয়ে গেলে কোনো সমস্যা নেই। কম করে নিয়ে গেলেই বরং সমস্যায় পড়বেন। তা ছাড়া অনেকের বাসা কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে থাকবে। কাগজপত্র কম থাকলে ওই সময়ে বাসায় গিয়ে আনতেও পারবেন না। ফলে টেনশনে পরীক্ষাটা খারাপ হয়ে যাবে।
পরীক্ষার দিন:
সাধারণত সকাল ১০টায় ভাইভা শুরু হয়। হাতে সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হবেন যাতে ১০টার ৩০ মিনিট আগেই পৌঁছাতে পারেন। মুঠোফোন, ব্যাগ ইত্যাদি নিয়ে যেতে পারবেন। বোর্ডে প্রবেশের সময় মোবাইল ফোন বন্ধ করে প্রবেশ করবেন। রুমের বাইরে কাউকে ব্যাগ ধরতে দেবেন।
বেল বাজার সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে অনুমতি নিয়ে রুমে প্রবেশ করবেন। প্রবেশের পর বোর্ডে যে ধর্মের লোকই থাকুক না কেন আপনি মুসলিম হলে সালাম দেবেন, হিন্দু হলে নমস্কার দেবেন এবং অন্য ধর্মের প্রার্থীরা নিজ নিজ ধর্মের রীতি মেনে যা বলার বলবেন। তবে বোর্ডে নারী সদস্য থাকলেও ম্যাম সম্বোধন না করে স্যার সম্বোধন করবেন।
অনুমতি না দিলে বসবেন না। তবে কিছু সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও বোর্ড যদি বসতে না বলে, তাহলে নিজেই অনুমতি নিয়ে বসবেন। ইজি চেয়ারে বসার মতো করে না বসে সোজা হয়ে বসবেন। বোর্ডে সাধারণত গড়ে ৫-৭ মিনিটের মতো থাকতে হয়।
বসার পর সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া সার্টিফিকেটগুলো টেবিলের ওপর সোজা করে রাখবেন। কোনো সদস্য চাইলে সেগুলো তাঁর হাতে দেবেন।
বোর্ডের নির্দেশনা লক্ষ্য রেখে উত্তর দিন:
শুধু বাংলা বা শুধু ইংরেজি বা উভয় ভাষাতেই প্রশ্ন করতে পারে। বাংলায় প্রশ্ন করলে বাংলায় উত্তর দেবেন। ইংরেজিতে করলে ইংরেজিতে। তবে বোর্ড অনেক সময় বাংলায় প্রশ্ন করে ইংরেজিতে উত্তর দিতে বলে। সে ক্ষেত্রে ইংরেজিতে দেবেন। মোটকথা, নির্দেশনা দিলে সেটা অনুযায়ী উত্তর দেবেন। অন্যথায় যে ভাষায় প্রশ্ন করবে, সেই ভাষায় উত্তর দেবেন। তবে ইংরেজিতে প্রশ্ন করলে আপনি বাংলায় বলার অনুমতি চাইতে পারেন। অনুমতি পেলে বাংলায় বলবেন।
শান্তভাবে পর্যায়ক্রমে প্রশ্নকারীদের উত্তর দিন:
যিনি প্রশ্ন করবেন তাঁর দিকে তাকিয়ে উত্তর দেবেন। একটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাঝখানে অন্য একজন প্রশ্ন করলে প্রথমজনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দ্বিতীয়জনের উত্তর দেবেন। কোনো কারণে দ্বিতীয়জনের প্রশ্নের উত্তর আগে দিতে হলে প্রথমজনের অনুমতি নেবেন।
মুদ্রাদোষ থেকে থাকলে পরিহার করুন:
মুদ্রাদোষ যেমন, কথা বলার সময় হাত-পা নাড়ানো, কথা বলার সময় অ্যাঁ, হুম্, উহ্ উচ্চারণ ইত্যাদি করা যাবে না। কখনো উচ্চ স্বরে, কখনো ধীরে ধীরে কথা না বলে সব সময় একটা লেভেল বজায় রেখে কথা বলবেন।
টেকনিক্যালি উত্তর দিতে চেষ্টা করুন:
ভাইবা বোর্ডে প্রশ্নের উত্তর টেকনিক্যালি দেওয়ার মাধ্যমে প্রার্থী বোর্ডকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন। কারণ, যেহেতু উত্তর থেকে প্রায়ই প্রশ্ন করা হয়, তাই প্রার্থী যদি উত্তরের মাঝে নিজের বেশি জানা বিষয়কে প্রাসঙ্গিকভাবে তুলে ধরেন, তাহলে সেই বিষয়েই পরের প্রশ্নটা আসার চান্স বেশি। ধরুন, আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, দার্শনিক গোবিন্দ চন্দ্র দেব কি বেঁচে আছেন? প্রার্থী এই প্রশ্নের উত্তরে ‘না’ বললেই যথেষ্ট। কিন্তু এর সঙ্গে যদি বলেন ‘ওনাকে ২৫ মার্চ, ১৯৭১ সালে হত্যা করা হয়’, তাহলে পরের প্রশ্নটা ২৫ মার্চের কালরাত বা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে হতে পারে। তবে এসব করতে গিয়ে বেশি পাণ্ডিত্য দেখানো যাবে না। সহজ সরল ভাষায় বক্তব্য উপস্থাপন করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
উত্তর না জানা থাকলে স্বীকার করা উত্তম :
লিখিত/ এমসিকিউ পরীক্ষায় কোনো প্রশ্ন অজানা থাকলে সেটার উত্তর অনুমানের উপর নির্ভর করে দাগানো গেলেও মৌখিক পরীক্ষায় কোনো প্রশ্নের উত্তর অজানা থাকলে সেটা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য না দিয়ে স্বীকার করুন উত্তরটি আপনার অজানা। রাজনৈতিক কোনো প্রশ্ন করলে কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। প্রশ্নোত্তর করতে না পারলে নার্ভাস হবেন না। সব প্রশ্নের উত্তর পারলেই চাকরি পাবেন আর না পারলেই পাবেন না, এটা সত্য নয়। সবকিছু ইতিবাচকভাবে চিন্তা করতে সচেষ্ট হোন।
সাহস রাখুন মসে:
মনে রাখবেন, ভাইবা বোর্ডের সামনে আপনার এমসিকিউ/ লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর থাকে না। তাই ওই পরীক্ষায় কী করেছেন, কী করেননি, এসব নিয়ে ভাববেন না। এমনকি একাডেমিক রেজাল্ট খারাপ হলে সেটা নিয়েও হীনম্মন্যতায় ভোগার কিছু নেই। কারণ, ওখানে বসে আপনি একাডেমিক রেজাল্ট পাল্টাতে পারবেন না। কীভাবে বোর্ডকে খুশি করা যায়, শুধু সেটা নিয়েই ভাবতে হবে।
আরও মনে রাখবেন, প্রশ্নোত্তর শেষে আপনাকে বেরিয়ে আসতে বললে আপনার মূল সনদগুলো নিয়ে ধন্যবাদ ও সালাম বা নমস্কার বা নিজ নিজ ধর্মের রীতি মেনে যা বলার বলে বেরিয়ে আসবেন। আপনি বোর্ড থেকে বের হওয়ার পরই বোর্ডের সদস্যরা আলোচনা করে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর দেবেন। এমনটাই নিয়ম।
আসছে ভাইবা সকলের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনার মাইলফলক হোক। শুভকামনা সকলের জন্য।
পোস্টটি তৈরিতে কৃতজ্ঞতা প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত জনাব সৈকত তালুকদারের 'প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ মৌখিক পরীক্ষা প্রস্তুতির আদ্যোপান্ত' শীর্ষক লেখাটির প্রতি।
ছবি: গুগল।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
পদ্ধতিটা খারাপ বলেননি! এগুলোর প্রাকটিসই তো অহরহ দেখে আসছি! জাতি এসব অনিয়ম আর দুর্ণীতির থাবা থেকে মুক্তি পাক।
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
ইসিয়াক বলেছেন: চাকরি প্রার্থি যুবক যুবতী ভাইদের জন্য খুব প্রয়োজনীয় পোষ্ট ।
আমিও জানলাম অনেক জানা অজানা তথ্য ।
ভালো লাগলো । সামু যদি স্বাভাবিক থাকতো । অনেকের অনেক উপকার হতো।
+++
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠিক বলেছেন, সামু যদি স্বাভাবিক থাকতো তাহলে এই পোস্ট হয়তো অনেকেরই অনেক উপকারে আসতো। যাক, তবু আমাদের স্বজন, কাছের লোক অনেককেই আমরা হয়তো এখান থেকে পরামর্শ দিয়ে কিছুটা সাহায্য করতে পারবো।
ধন্যবাদ।
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অবশ্যই নেতা ধরতে হবে। নেতা না ধরলে কোন ভাবেই চাকরি হবে না।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আসলেই কি তাই? নেতা কোথায় পাওয়া যাবে? আসল কথা হচ্ছে, নেতা ধরে, নেতাকে টাকা দিয়ে যে চাকরি হবে, সেরকম চাকরি কি করা উচিত? উচিত নয়। কোনোমতেই উচিত নয়। নিজের মেধা ও যোগ্যতায় এই চাকরির পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করা কোনো একজন যোগ্য প্রার্থীকে তার প্রাপ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত করে, মেধা ও যোগ্যতা না থাকা সত্বেও শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে আমি যদি সেই চাকরিটা গ্রহন করি, আমার সারা জীবনে এই চাকরি থেকে প্রাপ্ত সকল অর্থ হবে অবৈধ। কারণ, আমার চাকরি গ্রহনের পদ্ধতিটাই ছিল অবৈধ। অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে চাকরি গ্রহনের দ্বারা অন্য এক মেধাবী প্রার্থীর অধিকার হরণের দায় আমাকে আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।
ভালো থাকুন।
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নতুন নকিব ভাই, আপনার সাথে কিছু প্রয়োজনীয় কথা আছে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠাকুরমাহমুদ ভাই,
দু:খিত! গতকাল একটু ব্যস্ততায় সময় পার করেছি। ব্লগে আসার সুযোগ কম হয়েছে। আপনার ডাকে সারা দিতে দেরি হওয়ায় কষ্ট নিবেন না আশা করছি। কিভাবে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারি, দয়া করে যদি জানান, খুশি হব।
ভালো থাকুন ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ভাইভা বোর্ডে গিয়ে, যে ক'জন থাকবে সবাইকে দুই লাখ করে টাকা দিব। ব্যস ঝামেলা শেষ।