নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
কিডনী রোগের কারণ, হোমিওপ্যাথিতে এই রোগের চিকিৎসা এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা:
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে কিডনী নষ্ট হওয়াসহ কিডনী সংক্রান্ত অন্যান্য মারাত্মক রোগ বৃদ্ধির যে পিলে চমকানো খবর বেরিয়েছে, তাতে যে কোনো সচেতন ব্যক্তিমাত্র মর্মাহত হবেন। অধুনা প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এসব প্রাণনাশী কিডনী রোগের সংখ্যা কল্পনাতীত হারে বৃদ্ধির মুল কারণ হলো ভেজাল খাবার (Contaminated food), ডায়াবেটিস (Diabetes mellitus) এবং উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension)। এই তিনটি কারণকে এলোপ্যাথিক কিডনী বিশেষজ্ঞরা প্রকৃত কারণ বললেও আসলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বরং বেশী বেশী এলোপ্যাথিক ঔষধ খাওয়াকেই কিডনী নষ্ট হওয়ার মূল কারণ বলে অনুমিত হয়। কেননা আমরা অনেকেই জানি না যে, আমরা যতো ওষুধ সেবন করি তার অধিকাংশই রক্তে প্রবেশ করে তাদের কাজ-কর্ম পরিচালনা করে থাকে। পরবর্তীতে তাদেরকে রক্ত থেকে সংগ্রহ করে ছেকে ছেকে শরীর থেকে বের করার দ্বায়িত্ব পালন করতে হয় এই কিডনী দু'টিকে। ফলে আমরা যতো বেশী ওষুধ সেবন করি, আমাদের কিডনীকে তত বেশী পরিশ্রম করতে হয় এবং ফলশ্রুতিতে কিডনী তত বেশী দুর্বল-ক্লান্ত-শ্রান্ত হয় এবং সর্বোপরি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাছাড়া বেশী বেশী ওষুধ সেবন করা হলে সে ওষুধগুলোকে শরীর থেকে বের করে দেয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হয়, যা আমরা অনেকেই অজ্ঞতা কিংবা অলসতার কারণে করি না।
কিডনি সম্মন্ধে যা জানা প্রয়োজন:
কিডনি এবং কিডনির যে কোনো পীড়া সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে হলে প্রথমে এই যন্ত্রটি সম্পর্কে আমাদের একটি সঠিক ধারণা থাকতে হবে। কিডনি যন্ত্রটিকে প্রধানত: চারটি ভাগে ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
১। দুইটি কিডনী যা মূত্র নিঃসৃত করে থাকে
২। দুটি মূত্রবাহী নালী বা ইউরেটারস যা প্রসাবকে কিডনী থেকে নীচে নিয়ে যায়।
৩। একটি মূত্রথলী বা ইউরিনারী ব্লাডার যেখানে মূত্র সঞ্চিত থাকে
৪। মূত্রনালী বা ইউরেথ্রা যা দিয়ে প্রসাব বেরিয়ে আসে। পুরুষের ক্ষেত্রে ইহা এটি যোনি বহিঃইন্দ্রীয় এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে একটি ছিদ্র মাত্র।
কিডনি বা মূত্রযন্ত্রের আবার কয়েকটি অংশ রয়েছে। অংশগুলো হচ্ছে:
১। লেফট্ কিডনী
২। রাইট কিডনি,
৩। এয়োর্টা,
৪। ইনফিরিয়ার ভেনা কেভা,
৫। লেফট্ ইউরেটার,
৬। রাইট ইউরেটার,
৭। ইউরিনারী ব্লাডার
৮। ইউরেথ্রা,
উল্লেখ্য, ডান কিডনি বাঁ দিকের কিডনী থেকে একটু নীচে থাকে। এর কারণ হচ্ছে, ডান দিকের কিডনীর উপরে থাকে লিভার। প্রতিটি কিডনি লম্বায় প্রায় ৪/৫ ইঞ্চি এবং প্রস্থে প্রায় আড়াই ইঞ্চির মত। একজন পূর্ণ বয়স্ক লোকের প্রতিটি কিডনির ওজন প্রায় ১৪০ গ্রাম। কিডনীর আকৃতি অনেকটা বরবটির ভেতরে থাকা দানার মতো। ডানদিকের কিডনীর সামনে থাকে লিভার, বৃহদান্ত্র, ডিওডেনাম এবং ক্ষুদ্রান্ত্র। আর বাম দিকের কিডনির সামনে থাকে প্লীহা, প্যানক্রিয়াস, পাকস্থলীর অংশ, ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদান্ত্র।
অতিরিক্ত ওষুধ সেবন কিডনী বিকল করার অন্যতম কারণ:
আগেই বলেছি, ছোটখাট রোগ ব্যাধি থেকে শুরু করে অহরহ এলোপ্যাথিক এবং অন্যান্য ওষুধ প্রচুর পরিমানে গ্রহন করলেও আমরা অনেকেই বেশী বেশী পানি পানের প্রয়োজনটি বেমালুম ভুলে যাই। কিডনী ড্যামেজ হওয়ার মূল কারণ হিসেবে যে রোগকে বিবেচনা করা হয় তার নাম নেফ্রাইটিস (Nephritis/ Bright's disease) এবং নেফ্রাইটিস হওয়ার মূল কারণের পেছনেও অন্যতম এই যথেচ্ছ ওষুধ ব্যবহারের প্রবনতা। কিডনী যদিও নিয়মিত সেবন করা আমাদের সকল ওষুধসমূহ নিষ্কাশন করে কিন্তু তার মাঝেও ওষুধের দু'য়েকটা কণা কিডনীর অজান্তেই কিডনীর গায়ে লেগে থাকে। পরবর্তীতে সেই কণাগুলোর উপর নানারকমের জীবাণু, কেমিকেল, মৃতকোষ ইত্যাদি জমতে জমতে সেটির গঠন বদলে যায়। ফলে একসময় কিডনী আর সেই কণাটিকে চিনতে পারে না। এক সময় কণাটি নিজে কিডনীর একটি অংশ হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কিডনী সেই কণাটিকে গ্রহন করতে রাজী হয় না। শেষ পর্যন্ত কিডনীর ভিতরে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় যাকে ডাক্তারী ভাষায় বলে অটোইমিউন রিয়েকশান (Auto immune reaction)। এভাবে কিডনীর এক অংশ অন্য অংশকে চিনতে না পেরে শত্রু হিসেবে গণ্য করে এবং তাকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগে যায়। ফলে কিডনী নিজেই নিজের ধ্বংস ডেকে আনে এবং আমরা ফলশ্রুতিতে রোগী আরও বেশী দুর্বল হয়। এমনও দেখা যায়, এই সমস্যা আমাদের কারও কারও জন্য মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর পরিণামে সন্তান-সন্ততিদের আমরা করে যাই রিক্ত হস্ত, পথের ভিখারী। কেননা, এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় কিডনী রোগের যে চিকিৎসা খরচ, তাতে যে কোনো কিডনী রোগীর পরিবারকে পথে নামতে খুব বেশী সময় লাগার কথা নয়। কাজেই বলা যায় যে, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস আমাদের কিডনীর যতটা ক্ষতি না করে, তারচেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করে এসব রোগ চিকিৎসার নামে যুগের পর যুগ সেবন করে চলা মারাত্মক ক্ষতিকর নানাবিধ কেমিক্যাল দ্রব্যে প্রস্তুত এলোপ্যাথিক ওষুধসমূহ।
হোমিও চিকিতসায় ডায়াবেটিস, উচ রক্তচাপ এবং কিডনী রোগ অল্প সময়ে নির্মুল (cure) করা সম্ভব:
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা প্রয়োজন, যেসব এলোপ্যাথিক ওষুধ মানুষ বেশী বেশী সেবন করে থাকে (যেমন-এন্টিবায়োটিক, ব্যথা নাশক ওষুধ, বাতের ওষুধ, ঘুমের ওষুধ, ব্লাড প্রেসারের ওষুধ, মানসিক রোগের ওষুধ ইত্যাদি), এগুলো কিডনীর এতটাই ক্ষতি করে যে, এদেরকে কিডনীর যম বললেও বোধ হয় কম বলা হবে। একটি বাস্তব সত্য কথা হলো, প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কখনও সারে না; বলা হয় এগুলো "নিয়ন্ত্রণে থাকে"। আসল কথা হলো, কোন ওষুধ যখন বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ সেবন করা হয়, তখন সেই ওষুধ আর রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না বরং রোগই সেই ওষুধকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে। ফলে এসব কুচিকিৎসায় ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ তো সারেই না বরং দিন দিন আরো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মাঝখানে মারাত্মক মারাত্মক ওষুধের ধাক্কায় কিডনীর অবস্থা হয়ে যায় শোচনীয়। অথচ একজন বিশেষজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা নিলে ডায়াবেটিস, উচ রক্তচাপ এবং নেফ্রাইটিস দু'য়েক বছরের মধ্যেই কেবল নিয়ন্ত্রণ (control) নয় বরং একেবারে নির্মুল (cure) করা সম্ভব। এমনকি যদি এসব রোগ নিরাময়ের জন্য যুগের পর যুগও হোমিও ওষুধ সেবন করতে হয়, তথাপি হোমিও চিকিৎসা করা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক হবে। কেননা হোমিও ওষুধে যেহেতু ওষুধের পরিমাণ থাকে খুবই কম, সেহেতু এগুলো কয়েক যুগ সেবন করা হলেও এগুলো কিডনীতে জমে কিডনী নষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। হ্যাঁ, তাই সঙ্গত কারণে বলা যায়, অন্যান্য রোগের মতো কিডনী রোগের চিকিৎসাতেও হোমিও ওষুধ শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার। কারণ প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে কিডনী রোগের কষ্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও কিডনী রোগের পেছনের মূল কারণসমূহ (Link) দূর করা যায় না। একমাত্র হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমেই কিডনী রোগের পেছনের মূল কারণসমূহ দূর করা সম্ভব হয় এবং এভাবে একই রোগ কয়েক বছর পরপর ঘুরেফিরে বারবার ফিরে আসা ঠেকানো যায়।
ডায়ালাইসিস (haemodialysis) এর পাশাপাশিও ব্যবহার করা যায় হোমিও ওষুধ:
কিডনী নষ্ট হওয়ার কারণে যারা ডায়ালাইসিস (haemodialysis) করে বেঁচে আছেন, তারাও ডায়ালাইসিসের পাশাপাশি হোমিও চিকিৎসা গ্রহন করে তাদের বিকল কিডনীকে ধীরে ধীরে সচল করে তুলতে পারেন। হ্যাঁ, হোমিওপ্যাথিতে বংশগত রোগ প্রবনতার (Chronic miasm) ইতিহাস এবং শারীরিক-মানসিক গঠনগত (Constitutional traits) বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করা গেলে মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (immune system) উজ্জীবিত ও উন্নত হয় এবং ফলশ্রুতিতে দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাইমারি স্টেজে থাকা নষ্ট বা বিকল কিডনী আবার ভালোভাবে কাজ করতে শুরু করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিডনী পুরোপুরি ভালো না হলেও যথেষ্ট উন্নতি হওয়ার ফলে ডায়ালাইসিসের সংখ্যা অন্তত: কমিয়ে আনা যায়। যেমন- দেখা যায় যেই রোগীর প্রতি সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করাতে হতো, অভিজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থেকে কিছু দিন নিয়মিত হোমিও ওষুধ সেবন করার ফলে তার হয়তো এখন পনের দিনে বা মাসে একবার ডায়ালাইসিস করালেই চলে। আর কিডনী পুরোপুরি ভালো হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া যায়। অথচ প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসায় একবার ডায়ালাইসিস শুরু করলে কিডনী না পাল্টানো (kidney transplantation) পর্যন্ত আর সেটি বন্ধ করা যায় না। বরং দিন যত যেতে থাকে, ডায়ালাইসিসের সংখ্যাও গাণিতিকহারে তত বেশী ঘন ঘন করাতে হয়। আমাদেরকে বুঝতে হবে যে, ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে নষ্ট কিডনী (CRF বা, Chronic renal failure) কখনও ভালো করা যায় না বরং ইহার মাধ্যমে কেবল কিডনীর কাজ বিকল্প উপায়ে সম্পন্ন করে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। হ্যাঁ, একথা সত্য যে, শতকরা নব্বইভাগ রোগ বিনা চিকিৎসাতেই ভালো হয়ে যায় (আল্লাহ তাআ'লা প্রদত্ত আমাদের শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বদৌলতে)। এতে সময় বেশী লাগে কিন্তু উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহন করলে অনেক কম সময়ে রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেহেতু অনেকের সাময়িকভাবে নষ্ট কিডনীও বিনা চিকিৎসায় ভালো হয়ে যেতে পারে। এছাড়া আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অভিজ্ঞতার আলোকে অনেক রোগীর ক্ষেত্রে এমন দেখা গেছে যে, তারা ধর্মীয় কিংবা আর্থিক দৈন্যতার কারণে কোনোক্রমেই ডায়ালাইসিস (haemodialysis) এর মত ব্যয়বহুল এবং কষ্টকর অভিজ্ঞতা নিতে চান না। বিশেষ করে মহিলা রোগীদের ক্ষেত্রে এই প্রবনতা বেশি দেখা যায়। নিরবে চোখের পানি ফেলে রোগ নিরাময়ের আশা ছেড়ে দিয়ে পিছু হটে যান তারা।
হোমিও পদ্ধতিতে কিডনী রোগ সারাতে কি পরিমান সময় লাগতে পারে?
প্রথমেই বলে রাখা প্রয়োজন, চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা সাইনবোর্ডধারী যে কোনো হোমিও ডাক্তারের কাছে এই ধরণের জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসার আশা করা নিছক বোকামি। অভিজ্ঞ, বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য একজন ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে হবে আপনাকে, যিনি এই ধরণের রোগের চিকিৎসায় সাফল্যের সাথে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। অন্যথায় হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এই ধরণের একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসা গ্রহন করা সম্ভব হলে সাধারণত কিডনী রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রোগের ভয়াবহতার মাত্রা এবং রোগের পেছনের অন্তর্নিহিত কারণ অনুযায়ী দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে শেষ করা যায়। যদিও এর বিপরীতে প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে কিডনী রোগের চিকিৎসা প্রায় সারাজীবনই চালিয়ে যেতে হয়। নষ্ট কিডনী প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসায় কখনও ভালো হয় না। কারণ তাদের টার্গেট কখনো কিডনীকে ভালো করা নয় বরং কৃত্রিম উপায়ে কিডনীর কাজ অন্যভাবে চালিয়ে নেওয়া (যেমন- ডায়ালাইসিস করা এবং কিডনী পাল্টানো)। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মায়াজমেটিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এতে অনেক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটতে দেখা যায়, যা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে অকল্পনীয়। যেমন- হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কিডনীর ধ্বংস হওয়া কোষন্তুর (tissue) জায়গায় ভালো টিস্যু গজাতে দেখা যায়। সাধারণত কিডনী পাল্টানোর পরে অনেক ক্ষেত্রে কিডনী গ্রহীতার শরীর এই নতুন কিডনীকে গ্রহন করতে চায় না (immune reaction), নতুন কিডনীকে সে প্রত্যাখান করে (rejection of new kidney)। নতুন কিডনীকে প্রত্যাখ্যানের এই হার বেশ উচ্চ। রক্ত সম্পর্কের আত্মীয় ছাড়া অন্যদের কিডনী গ্রহন করলে দেহাভ্যন্তরে এসব বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে থাকে। প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে নতুন কিডনীর বিরুদ্ধে শরীরের এই বিদ্রোহকে সামাল দিতে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হয়; অথচ এসব ক্ষেত্রে অপারেশনের পূর্ব থেকেই (অথবা অপারেশনের পরেও) যদি হোমিও চিকিৎসা অবলম্বন করা হয় তবে অন্তত একশগুণ কম খরচে এসব বিদ্রোহ খুব সহজে সামাল দেওয়া সম্ভব।
কিডনী রোগের সুস্থতায় হোমিও চিকিৎসা অবলম্বন করাই নিরাপদ:
আবার নতুন কিডনী সংযোজনের পরে অনেক সময় দেখা যায় কিডনীর সাথে সম্পর্কিত রোগের (যেমন-ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদির) মাত্রা বেড়ে গিয়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, তাকে আর নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো কিডনীর সাথে সম্পর্কিত রোগসমূহ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় যে কত সহজে দমন করা যায়, তা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। কিডনী রোগীদের পাশাপাশি যাদের কিডনী রোগ নেই কিন্তু ফ্যামিলিতে কিডনী রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের উচিত প্রতিরোধমূলক (Preventive) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে কিডনী নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকা। কারণ, একজন দক্ষ হোমিও ডাক্তার যে কোনো ব্যক্তির সামগ্রিক ইতিহাস শুনলে দূর কিংবা অদূর ভবিষ্যতে তার কি কি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তা বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করে তাকে সে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারেন। যারা জন্মের পর থেকেই একজন হোমিও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসার অধীনে থাকেন, তাদের কিডনী নষ্ট হওয়ার তেমন সম্ভাবনাই থাকে না। আবার যেসব ডায়াবেটিস রোগী একই সাথে উচ্চ রক্তচাপেও ভুগছেন, তাদের কিডনী নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য হোমিও চিকিৎসা গ্রহন করা একান্ত জরুরী। যেসব কিডনী রোগীর রোগের কারণ অজ্ঞাত বলে ডাক্তাররা মতামত দিয়ে থাকেন, তাদের জন্যও হোমিও চিকিৎসা অবলম্বন করার বিকল্প নেই। কারণ, এই ধরণের 'রোগের কারণ অজ্ঞাত' টাইপের কথা বলে রোগকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার প্রবনতা হোমিও পদ্ধতিতে বিশ্বাস করা হয় না। অবশ্যই রোগের কারণ উদঘাটন করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করে রোগীকে সুস্থ করে তোলাই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার একমাত্র উদ্দেশ্য।
অন্য চিকিতসার পাশাপাশিও সেবন করতে পারেন হোমিও ওষুধ:
পরিশেষে বলতে হচ্ছে, কিডনী রোগ হালকা, মাঝারি, মারাত্মক বা চরম মারাত্মক যে পর্যায়েই থাকুক না কেন, (কিডনী একশভাগ নষ্ট হওয়ার পূর্বেই) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার উচিত একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ এবং নির্ভরযোগ্য হোমিও চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হওয়া। কারণ, হোমিওপ্যাথিতে 'অনেক দেরি হয়েছে গেছে', কিংবা 'শতভাগ গ্যারান্টিতে রোগী চিকিৎসার' এই জাতীয় কথাবার্তার কোনো স্থান নেই। যেসব কিডনী রোগী জটিল অবস্থায় উপনীত এবং জরুরি ভিত্তিতে কিডনী পাল্টানোর প্রয়োজন মনে করছেন, তারাও হোমিও চিকিৎসা গ্রহনের মাধ্যমে কিডনী পাল্টানোর জন্য সময়টাকে বাড়িয়ে নিতে পারেন। বিশেষত: অন্য যে কোনো পদ্ধতির চিকিৎসার পাশাপাশিও আপনি হোমিও চিকিৎসা গ্রহন করতে পারেন; এতে কোন সমস্যা হয় না। পরিশেষে কিডনীরোগ বিশেষজ্ঞসহ সেবার মানসিকতা সম্পন্ন সকল মেধাবী চিকিৎসক বন্ধুদের প্রতি আমাদের একান্ত অনুরোধ, আসুন, সামান্য কষ্ট স্বীকার করে আপনারা হোমিওপ্যাথির মায়াজমেটিক এই চিকিৎসা পদ্ধতি আয়ত্ত করে নিন এবং রোগীদের প্রচলিত চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করুন যাতে কিডনী রোগীরা বহুগুণ কম খরচে, কম সময়ে এবং কম ভোগান্তির মাধ্যমে রোগমুক্ত জীবন লাভে সক্ষম হন।
শারিরীক ও মানসিক সুস্থতার প্রয়োজনে কিডনি রোগের লক্ষণগুলো সম্মন্ধে মোটামুটি ধারণা রাখতে হবে:
অনেককেই দেখা যায়, যারা সামান্য কোমর ব্যথা হলে বা প্রস্রাব হলুদ হলে কিংবা পেটের ব্যথা হলে ভয় পেয়ে যান এবং মনে করেন এগুলো তার কিডনি সমস্যার কারণে হচ্ছে। আসলে, এজন্য খুবই জরুরী হচ্ছে, কিডনি রোগ হয়ে থাকলে তার লক্ষণগুলো কি হতে পারে তা মোটামুটি জেনে নেয়া। প্রকৃতপক্ষে কথা হচ্ছে, কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার লক্ষণ চিহ্নিত করা একেবারেই সহজ নয়। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কিডনি বিকল হওয়ার আগে কোনভাবেই প্রকাশ পায় না। তবে যে লক্ষনগুলো বেশি বেশি প্রকাশ পেলে কিডনি সমস্যার বিষয়টি ধরে নেয়া যায় সেগুলো হচ্ছে- খাওয়া দাওয়ায় অরুচী, বমি বমি ভাব, মাঝে মাঝে ঘুম থেকে উঠলে চোখ-মুখ ফোলা দেখানো অর্থাৎ চোখের নিচের অংশ বেশি ভারি ভারি হয়ে থাকে। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে আস্তে আস্তে রক্ত শূণ্যতা দেখা দেয়। চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে আসে। আর কিডনি যদি এরচেয়েও বেশি ঝুঁকিতে থাকে তবে বিনা কারণে শরীর চুলকাবে, গায়ের রঙ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। এছাড়া প্রসাবের পরিমান এবং সময়ে তারতম্য ঘটতে পারে। রাতে অনেকবার প্রস্রাব করার প্রয়োজন হতে পারে। কারও কারও ব্লাড প্রেশার বেড়ে যেতে দেখা যায়। সর্বোপরি কথা হচ্ছে, শরীর তো একটাই। যখন এটি খুব বেশি আক্রান্ত হয় তখন সবগুলো অঙ্গই ধীরে ধীরে জড়িত হয়ে যায়। এ জন্য এই রোগটিকে নিরব ঘাতক বা সাইলেন্ট কিলার বলা হয়।
সাধারণত: কিডনি বিকল হওয়ার পেছনে যেসব কারণ পা্ওয়া যায়:
অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা গেছে, শুধু শুধু কিডনি বিকল হয় না। সাধারণত: অনেকগুলো রোগের শেষ পরিনতি এটি। সেই রোগগুলো প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করা সম্ভব। যেমন ধরুন- প্রস্রাব যদি কখনও কমে যায়। অথবা কারও ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, আগে থেকেই রাতে তার প্রস্রাব হতো না, কিন্তু হঠাত এখন হচ্ছে। প্রস্রাব করার সময় জালাপোড়া হয়। প্রস্রাব করার পরেও কিছু প্রস্রাব থেকে যায়। এর সঙ্গে কোমড়ের দুই পাশে ব্যথা এবং কাপুনি থাকে। আবার দেখা যাচ্ছে প্রস্রাবে প্রচুর ফেনা থাকে। মুখ ফুলে যায় তবে মনে করতে হবে কিডনির প্রদাহ বোঝায়।
আবার দেখা যায় যে প্রস্রাব লাল হচ্ছে অর্থাৎ প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাচ্ছে। তবে এই রক্ত যাওয়া অনেক কারণে হতে পারে যেমন কিডনিতে পাথর থাকলে। টিউমার থাকলে হতে পারে। অনেক কারণেই প্রস্রাবে রক্ত যেতে পারে। অনেক সময় ভিটামিন খেলেও প্রস্রাব হলুদ হতে পারে। আবার পানি কম খেলেও হলুদ হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠলেও প্রস্রাব হলুদ হয়। এটা আসলে কোন রোগ না।
যেসব লক্ষণ বা কারণ দেখে রোগী বুঝে নিতে পারে যে, তার কিডনি খারাপের দিকে যাচ্ছে:
এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিটি মানুষ যদি স্বাস্থ্য সচেতন থাকে, তাহলে অধিকাংশ রোগ শরীরে বাসা বাধার আগে, অর্থাত বড় আকার ধারণ করার পূর্বেই প্রয়োজনীয় প্রতিরোধক ব্যবহার করে তা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। এত অধিক পরিমানে মানুষকে আর রোগী হিসেবে তাদের নাম লেখাতে হয় না। কিডনি রোগের ক্ষেত্রে লক্ষণ হিসেবে প্রস্রাব নিয়ে ইতোপূর্বে কয়েকটি লক্ষণ বলা হয়েছে। এছাড়া অনেক সময় কোমরে ব্যথা হতে পারে। তলপেটে ব্যথা থাকতে পারে। তবে বলে রাখা প্রয়োজন, কোমরে যে ব্যথা হয়ে থাকে তার প্রায় ৯০ ভাগই হয় স্পাইন থেকে। আমাদের পেটের পেছনের দিকে কিছু অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রয়েছে সেগুলোতে যদি টিউমার বা ক্ষত হয় সেক্ষেত্রেও ব্যথা হতে পারে। তবে সাধারণত দেখা যায়, কোমরে ব্যথার মাত্র ১০ ভাগ ঘটে থাকে, কিডনি সমস্যার কারণে। এছাড়া কিডনিতে যদি পাথর থাকে, টিউমার হয়, প্রস্রাব প্রবাহে কোন বাঁধা সৃষ্টি হয় এ সমস্ত কারণেও কিডনি রোগ হতে পারে, কিংবা কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কিডনিতে সমস্যা চিহ্নিত করতে আরও যা যা জানা গুরুত্বপূর্ণ:
কিডনিতে সমস্যা চিহ্নিত করতে কিছু বিষয় বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে:
১। অস্বাভাবিকভাবে যদি শরীর ফুলে যায়, আর সেই ফুলে যাওয়ার সূচনাটা যদি হয়ে থাকে মুখমন্ডল থেকে।
২। প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় অত্যাধিক কমে গেলে।
৩। প্রস্রাব যদি লাল হয় বা প্রসাবের সাথে যদি রক্ত যায়।
৪। কোমরের দুই পাশে যদি ব্যথা হয়। এই ব্যথা তলপেটেও হতে পারে।
৫। উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিলে।
এছাড়া কিছু রোগ আছে যা থাকলে তাদের অবশ্যই কিডনি পরীক্ষা করে নিতে হবে। যেমন:
৬। কারও যদি ডায়াবেটিক থাকে,
৭। উচ্চ রক্তচাপ থাকে,
৮। কখনো যদি কারও মুখমন্ড ফুলে গিয়ে থাকে,
৯। যদি কারও ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে,
১০। যেসব লোক খুব বেশি হাটাচলা করেন না- বসে বসে কাজ করেন,
১১। কোন কারণে যার দীর্ঘদিন ব্যথার ঔষুধ খেতে হয়েছে
১২। যারা পানি কম পানে অভ্যস্থ,
১৩। এবং বংশে যদি কারও কিডনি রোগ থাকে এমন ইতিহাস থাকলে বছরে অন্তত দুইবার কিডনি পরীক্ষা করা উচিৎ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা সকলকে রোগমুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। সুস্থ সুন্দর জীবন দান করুন। ভালো থাকুন সকলে।
ছবি: সংগৃহীত।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, হয়তোবা। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি রেখে যাওয়ার জন্য।
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪
নজসু বলেছেন:
আস সালামু আলাইকুম প্রিয় নকিব ভাই।
খুবই ভালো একটি পোষ্ট দিয়েছেন। লাইক।
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪১
রাজীব নুর বলেছেন:
১ এবং ৪ নং সমস্যা আমার আছে।
৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫২
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভাই আবার ডাক্তার হইলেন কবে? যা হউক, জন সচেতন হিসেবে ঠিক আছে।
৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: হোমিওপ্যাথি কোন চিকিৎসা না। এটা placebo কাজ করলেও করতে পারে।
৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
জগতারন বলেছেন: হোমিওপ্যাথি চিগিতসা নামে শুধুই ভগিছগি করে টাকা কামানোর ধান্দা।
৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬
জগতারন বলেছেন: হোমিওপ্যাথি চিগিতসা নামে শুধুই ভগিছগি করে টাকা কামানোর ধান্দা।
৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৪
নতুন বলেছেন: হোমিওপ্যাথি অপচিকিতসা মাত্র। প্লিজ কিডনী রোগ, ক্যান্সার বা অন্য কোন জটিল রোগের জন্য কাউকে হোমিও খেতে পরামশ` দেবেন না। এটা তাকে মৃত্যুর দিকে এক ধাপ এগিয়ে দেওয়ার সামিল।
আপনি যদি বিশ্বাস করেন সেটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু হোমিওপ্যাথী কাজ করে এমন কোন বৈজ্ঞানিক প্রমান নেই।
হাজারো মানুষ বলবে যে তার হোমিও কাজ হয়েছে কিন্তু সেটা ১০০% প্রমানিত কোন বৈজ্ঞানিক প্রমান না। প্রমান আর মানুষের মুখে প্রচলিত কথা্ এক না।
হোমিওপ্যাথি নিয়ে আমার কয়েকটা ব্লগ আছে যেটাতে এই বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করেছি।
পানি পড়ায়ও পেট ব্যাথা কমে, কারন পানি খেলে পেটে চাপবাড়ে পায়খানা হলে পেটের ঝামেলা কমে যায় ব্যাথা কমে যায়। তাই এক সময় পানি পড়ার উপরে বিশ্বাস অনেক বেশি ছিলো। এখন মানুষ পেটে ব্যাথার জন্য পানিপড়া খেতে যায় না।
একদিন হোমিওপ্যাথীর উপরেও মানুষের ভুল ধারনা ভেঙ্গে যাবে।
৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৭
নতুন বলেছেন: অবশ্যই বেশি মাত্রায় এলোপ্যাথির ওষুধ সেবন করলে কিডনি ড্যামেজ হতে পারে।
কিডনি ঝাকুনির মতন কাজ করে তাই তাকে বেশি লোড দিলে এবং ক্ষতিকর জিনিস দিয়ে চাপে রাখলে কিডনি ড্যামেজ হতে পারে।
দেশের খাবারে প্রচুর ভ্যাজাল,কিটনাশক,রাসায়নিক সার ব্যবহার,খাদ্যে কারখানার রং, মাত্রারিক্তিত অষুধ খাওই আমাদের দেশের কিডনি রোগী বৃদ্ধির অন্যতম কারন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হোমিওপ্যাথি কোন রোগের নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা না।