নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেট ফাঁপার চিকিৎসা এবং আল্লাহর কালামের গুন ক্ষমতা - রিপোস্ট

২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৮

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

পেট ফাঁপার চিকিতসা এবং আল্লাহর কালামের গুন ক্ষমতা

পুরাকালে বাদশাহদের দরবারে আলেম উলামাদের খুব কদর ছিল। এক বাদশাহ দ্বীনী বিষয় নিয়ে তার দরবারে এক আলেমের সাথে আলোচনা করছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি একটি শিশুকে নিয়ে এসে সেই আলেমের খেদমতে আরজ করলেন: ''হুজুর, আমার ছেলেটির পেট ফেঁপেছে, ব্যথায় খুব কষ্ট পাচ্ছে। দয়া করে কিছু করুন যেন আল্লাহ পাক আরোগ্য দান করেন।''

উক্ত বুযুর্গ আলেম শিশুটির পেট লক্ষ্য করে একটি ফুঁক দিলেন এবং বললেন: ''যান, নিয়ে যান। ইনশাআল্লাহ ভাল হয়ে যাবে।''

বাদশাহ বিষয়টি লক্ষ্য করলেন; কিন্তু সন্তষ্ট হতে পারলেন না।

তিনি বুযুর্গকে বললেন: ''হযরত! আমি আপনাকে জ্ঞানী ব্যক্তি ভেবেছিলাম! কিন্তু আপনি যা করলেন তার কোন যুক্তি দেখি না। শিশুটি যন্ত্রনায় কাতর, অথচ তার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা না করে শুধুমাত্র একটি 'ছু' করে দিলেন। এই 'ছু' করাতে কী যায় আসে? রুগ্নদের প্রতি দয়া দেখানোই তো মহৎ ব্যক্তির লক্ষন।''

বুযুর্গ বললেন: ''বাদশাহ আপনার লক্ষণ বেশি ভাল নয়। দেশের লোক আপনার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছে। তারা আপনার বদনাম ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। জনগনের অসন্তুষ্টি মঙ্গলজনক হয় না।''

বুযুর্গ আলেমের কথা শ্রবণে বাদশাহর মুখমন্ডল কালো হয়ে একেবারে যেন নূয়ে পড়লো।

একটু থেমে বুযুর্গ বললেন: ''তবে দুষ্টু প্রকৃতির লোকেরাই শুধু বদনাম ছড়ায়। কারণ, দুষ্টুদের দমনের জন্য আপনার কঠোরতায় তারা সন্তুষ্ট হতে পারে না। এতে প্রকৃতপক্ষে আপনার মর্যাদাই বৃদ্ধি পাবে।''

বাদশাহর মুখ এবার হাস্যোজ্জ্বল হয়ে উঠলো। আনন্দে মুখে কথার খৈ ফুটতে লাগলো।

বুযুর্গ বললেন: ''কিন্তু দেশে দুষ্ট লোকের সংখ্যাই অধিক। এরা বিদ্রোহ করলে আপনার ক্ষমতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।''

একথা শুনে বাদশাহর মুখমন্ডল আবার লাল হয়ে উঠলো। ক্রোধে তিনি ফেটে পড়লেন। আসন ছেড়ে উঠে পড়লেন। দুই হাতের আস্তিন গুটাতে গুটাতে বললেন, ''কে আছে আমার সঙ্গে বিদ্রোহ করবে? আমার সৈন্য আছে, অস্ত্র আছে, বিদ্রোহ কিভাবে দমন করতে হয় তাও আমার জানা আছে ......।"

বুযুর্গ এবার বললেন: ''দুষ্টু লোকেরা সংখ্যায় অধিক হলেও তাদের সাহস কম। বিদ্রোহ করার মত মনোবল তাদের নেই। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন। আপনার মত ন্যায়পরায়ন বাদশাহ ইনশাআল্লাহ শান্তিতে থাকবেন এবং দেশেও শান্তি বিরাজ করবে।"

একথা শুনে বাদশাহ শান্ত সুবোধ বালকের মত আসনে বসে পড়লেন। তার চেহারায় পূর্বের প্রশান্তির ভাব ফিরে এলো। যেন তার কিছুই হয় নি।

এবার বুযুর্গ বললেন: "দেখুন বাদশাহ! আমি আপনাকে চারটি কথা বলেছি। এর দ্বারা আপনার অবস্থা চারবার পরিবর্তন হয়েছে। প্রথম কথায় লজ্জায়, অপমানে আপনার চেহারা কালো হয়ে পড়লো। দ্বিতীয় কথা দ্বারা আপনি আনন্দিত হলেন। তৃতীয় কথায় আপনার মুখমন্ডল ক্রোধে লাল হয়ে উঠলো, আপনি আসন ছেড়ে উঠে ছটফট করতে লাগলেন। চতুর্থ কথায় আপনার মুখমন্ডলে পুনরায় প্রশান্ত ভাব ফিরে এলো। আপনি নিশ্চিন্তে আসন গ্রহন করলেন।"

বুযুর্গ আলেম বলে চললেন:
''দেখুন, আমি আল্লাহ পাকের অতি নগন্য এক বান্দা। আমার কথা যদি আপনার উপর এতটা প্রভাব এবং প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তবে মহান আল্লাহর কথায় কি কোনো প্রভাব এবং প্রতিক্রিয়া হতে পারে না? তাঁর পবিত্র বানীর প্রভাবে কি পাহাড় চূর্ণ হয়ে যেতে পারে না? তাঁর কথা কি মানুষের দেহের উপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম নয়? রোগের উপশম ঘটাতে পারে না? তবে কেন আপনার এই ধারণা জন্মালো যে, শিশুটির দেহের উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করা পবিত্র কুরআনের বানী তার উপর কোন আছর করবে না, তার রোগ উপশম হবে না?"

বাদশাহ এবার নিজের ভুল বুঝতে পেরে লজ্জিত হলেন এবং তওবা করলেন, জীবনে আর এরূপ কথা বলবেন না।

নোট: উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম হাকিমুল উম্মত হযরত আশরাফ আলী থানভী রহমাতুল্লাহ আলাইহির খলিফা হযরত কারী মুহাম্মদ তাইয়েব রহমাতুল্লাহ আলাইহির ওয়াজ থেকে সংগৃহীত অতি মূল্যবান এই ঘটনাটি। ১৯৬১ ইং সনে করাচীর জুন মার্কেটের দারুল কুরআন মাদ্রাসায় এক মাহফিলে তিনি এই বয়ানটি করেন। আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন।

দুঃখিত! যাদের বিশ্বাসের মূলে সমস্যা, তাদের জন্য মূলঃ এই পোস্ট নয়- কথাটা আগেই বলা হয়নি। বলা প্রয়োজন ছিল। তাহলে তাদের জন্য ভালো হতো। আমাদের জন্যও। যাক, তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, আমরাও বিজ্ঞানকে সাথে নিয়েই চলতে চাই। আগাতে চাই। আজকের উন্নয়ন-আবিষ্কার বিজ্ঞান ছাড়া অকল্পনীয়। জীবনও বিজ্ঞানের উপর বিভিন্নভাবে নির্ভরশীল। কিন্তু অহেতুক আমাদেরকে বিজ্ঞানের বিপরীতে এনে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর মানসিকতা দুঃখজনক। আমাদের মনে রাখতে হবে, জগতের অনেক কিছুকে বিজ্ঞান দিয়ে প্রমান করা গেলেও কিছু কিছু জায়গায় এসে বিজ্ঞান কিন্তু ঠিকই থেমে যায়। আর বিজ্ঞান যেখানে থেমে যায়, বিজ্ঞানের দৌড় যেখানে গিয়ে শেষ হয়; মহাগ্রন্থ আল কুরআন সেখানে কথা বলে। সেখান থেকে আল কুরআন শুরু করে। পথ দেখিয়ে দেয়। এমনটা হবেই না বা কেন? বিজ্ঞান তো মানব সৃষ্ট, মানুষের গবেষনালব্ধ জ্ঞান; আর কুরআন যে এই মানবজাতিরই সৃষ্টিকর্তার প্রেরিত বাণী। উদাহরণস্বরূপ, রূহ, আত্মা বা প্রাণের বিষয়ে বিজ্ঞানের বক্তব্য কি? বিজ্ঞান এই ব্যাপারে কি ব্যাখ্যা দেয়? দিতে পেরেছে আজ পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা? আমাদের জানামতে, পারেনি। কিন্তু কারও কারও কাছে সেকেলে মনে হওয়া মহাগ্রন্থ আল কুরআন প্রায় সাড়ে চৌদ্দশো বছর পূর্বে রূহ সম্মন্ধে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে এমন তথ্য দিয়েছে, যা পাঠ করলে, চিন্তা করলে শরীর শিউরে ওঠে। শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি। বিশ্বাসের বীজ অঙ্কুরিত হয় হৃদয়ের গহীনে।

তাই বিজ্ঞানের ফতোয়া ছাড়া কোনো কিছু যদি বিশ্বাস করতেই না চান, তাহলে আপনি যে বেঁচে আছেন, অর্থাৎ আপনার ভেতরে বসবাস করা রূহ বা আত্মার ব্যাপারে সঠিকভাবে জেনে তারপরেই বেঁচে থাকা আপনার নৈতিক দায়িত্ব। আপনার কাছে কি মনে হয়?

সম্মানিত আগ্রহী এবং উৎসাহী বন্ধুগণ রূহ প্রশ্নের বৈজ্ঞা্নিক ব্যাখ্যা জানা থাকলে দয়া করে মন্তব্যে উপস্থাপন করুন। আমরাও জেনে নিজেদের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জ্ঞানের পরিধিকে একটু হলেও সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: মাশাল্লাহ।
এবং এ পোষ্টের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহ।

কিন্তু..... আপনার এই মন্তব্য দেখে তো মুরব্বির টাসকি খাওয়ার সম্ভাবনা ৯৯.৯৯%।

২| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: এইসব ঘটনার সত্যতা আপনি কীভাবে নিশ্চিত হবেন

২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



এটা একটা ঘটনা মাত্র। কিন্তু বিশ্বাসটা হচ্ছে আসল ব্যাপার। যাদের বিশ্বাসের মূলেই সমস্যা, তাদেরকে আপনি বুঝাতে পারবেন না।

ধন্যবাদ ভাই।

৩| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার রচিত গল্পে, আলেম যা বলছিলেন, বাদশাহ তা শুনে রিএ্যকশন করছিলেন; ভালো। আলেম শিশুর পেটের উপর ফুঁ দেয়াতে, শিশুর পেট কি শুনতে পেলো? আপনি আসলে, গুহা-মানবদের জন্য নতুন মেসাইয়াহ।

২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ভালো গুহা কোন দেশেরগুলো? গুহায় যেতে আমার অন্যরকম এডভেঞ্চার এডভেঞ্চার লাগে।

গুহায় যেতে মন চায় আপনার সাথে!!!!!! চলুন, আপনি পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবেন!!!!!!!!!

করোনাকালে চোখের যত্ন নিয়েন কিন্তু।

ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জনৈক সাহাবী কর্তৃক সুরা ফাতিহা পড়ে ফুঁ দিয়ে সাপে কামড়ান রোগীর চিকিৎসার সহিহ হাদিস আছে। বিশ্বাস না থাকলে মানুষ অনেক তর্ক করে।

২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



বিশ্বাস না থাকলে মানুষ অনেক তর্ক করে।

-সঠিক।

ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:১২

মা.হাসান বলেছেন: মানুষের কথার যে প্রভাব আছে তার জলজ্যান্ত প্রমান আপনার পোস্ট। আপনার পোস্ট দেখিলেই কিছু লোকের চুলকানি শুরু হইয়া যায় । ইকড়ি মিকড়ি চাম চিকড়ি শুরু হইয়া যায়।
ক্বারী মুহাম্মদ তাইয়েব রহমতুল্লাহি আলাইহি, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহমাতুল্লাহ আলাইহি সহ সকল ওলামা হযরতের গুনাহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করুন, জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন , উঁচা মরতবা দান করুন।

২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ মা.হাসান ভাই।

চমৎকার বলেছেন।

৬| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নবী নিজেকেই নিজে ফু দিয়ে ভাল করতে পারেন নাই।অন্যে ফুদিয়ে ভাল করবে কিভাবে।
যয়নব বিনতে হারিস(ইহুদি নারী)ভেড়ার মাংসের সাথে বিশ মিশিয়ে নবীকে খেতে দেন।কিছুটা খেয়ে বুঝতে পারেন মাংসে বিশ মেশানো আছে।এবিষয়ে ছহি হাদিস আছে।ঐ সময় ব্যথায় কাতর হয়ে দোয়া পড়ে প্রায় ফু দিতেন।ঐ বিশক্রিয়াতেই নবীর মৃত্যু হয়।

৭| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৫

নতুন বলেছেন: রাসুল সা: কি ফু দিয়ে কারুর চিকিতসা করেছেন?

তিনি কেন অসুস্থতার জন্য পানি পড়া দিয়ে চিকিতসা করেন নাই?

তিনি যদি সুরা পড়ে দোয়া করতেন তবে অবশ্যই কবুল হইতো।

সাহাবারা সুরা পড়ে রোগের চিকিতসা করতেন তেমন কিছু কি আছে?

যত পীর ফকির আছে যারা ফু দিয়ে রোগ সারাতে পারে বা পারতো তারা তো আর সাহাবীদের চেয়ে কামেল না।

সাহাবীরা কেন রোগের চিকিতসায় ফু ব্যবহার করেন নাই???

কেন এতো কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয়, বিধমীরা এতো গবেষনা করে অষুধ তৌরি করে।

সুরা পরে ফু দিয়েই তো অসুধ সারানো যায়। দুনিয়াতে কি এমন কামেল মানুষ নাই যিনি ফু দিয়ে রোগ সারাতে পারেন এবং যেই পদ্বতি মেনে চললে ফু কাজ হয় সেটা সেখাতে পারে???

৮| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৭

মা.হাসান বলেছেন: @নুরুলইসলা০৪০৬ --জয়নাব বিনতে হারিসের বিষ মেশানো খাবার দেওয়ার ঘটনা ঘটে ৬২৮ সালে, নবীজির মৃত্যু ঘটে ৬৩২ সালে। কমরেড ম্যাও বা লুল-ইনের দেশ কি এমন কোনো বিষ আবিষ্কার করি আছে যাহা এক কামড় খাইলে চার বছর পর মৃত্যু ঘটিতে পারে?

৯| ২৭ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:৩৫

সুপারডুপার বলেছেন:



কোরআন শরীফ যে আল্লাহর কথা এটা কিভাবে নিশ্চিত হলেন?

যে গ্রন্থে হাত কাটা, হত্যা, দাসী ধর্ষণ ইত্যাদি সহ বহু অসামঞ্জস্যতা লেখা থাকে সেটা কখনো আল্লাহর কথা হতে পারে না। আবার সেই গ্রন্থের কথা দিয়ে চিকিৎসা ! ভাই করোনার চিকিৎসাও কি এই গ্রন্থের কথা দিয়ে হবে?

আধুনিক মুসলিমরাও এই গ্রন্থের অসামঞ্জস্যতা মানতে পারেন না। কিন্তু মৃত্যুভয়ে মিথ্যা বলে "বিশ্বাস করি", মেনে চলার “চেষ্টা করি। (কিছু উচ্চশিক্ষিত বিজ্ঞানমনস্ক মুসলিমদের ধর্মবিশ্বাস)

আপনি যে রিপোস্ট দিলেন, এই ধরণের কিচ্ছা ছোটবেলায় ওয়াজ মাহফিলে অনেক শুনছি। আর সব ধর্মের, প্যাগান, উপজাতিরা ও এই ধরণের কিচ্ছা সহজেই বানাতে পারবে।

আল্লাহর কথা হচ্ছে প্রকৃতি। আর প্রকৃতির নানান উপাদান থেকে মানুষ ঔষুধ বানায়। এই ভাবে কেউ চিন্তা করলে পেট ফাঁপার চিকিৎসায় আল্লাহর কথার গুন ক্ষমতা ঠিক আছে।

১০| ২৭ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:৪৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল । অবিশ্বাসীদের কাছে এইসব আজগুবি গল্প মনে হবে। বিশ্বাসীরা সত্যের পক্ষে অকাট্য প্রমাণ দিতে হবে

১১| ২৭ শে জুন, ২০২০ ভোর ৫:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জায়েদ বিন ছাবিত না হলে আজকে হয়তো আমরা কোরান শরীফ দেখতেও পেতাম না।
এটা নবীজীর অসাধারণ এক গ্রন্থ।

১২| ২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:০৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: @মা,হাসান,
গ্রন্থঃসহীহ বুখারী(ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ৫১/মাগাযী(যুদ্ধাভিযান)
হাদিস নম্বর(৪০৯৪)
পাবলিশারঃইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছেদঃ২২৪৭
নবী(সাঃ)এর রোগ ও তার ওফাত।মহান আল্লাহর বানীঃআপনিতো মরনশীল এবং তারাও মরনশীল।এর পর কিয়ামত দিবসে তোমরা পরস্পর তোমাদের প্রতিপালকের সম্মুখে বাক-বিতন্ডা করবে(৩৯:৩০,৩১)ইউনুস(রহ:)যুহরীও উরওয়া(রহ:)সুত্রে বলেন, আয়শা(রা:)বলেছেন,নবী(সা:)যে রোগে ইন্তেকাল করেন সে সময় তিনি বলতেন,হে আয়েশা!আমি খায়বারে(বিষযুক্ত )যে খাদ্যভক্ষন করেছিলাম,আমি সর্বদা তার যন্ত্রনা অনুভব করছি।আর এখন সেই সময় আগত,যখন সে বিষক্রিয়ায় আমার প্রনবায়ু বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এ বিষয়ে আরো দশটা হাদিস দেখাতে পারবো।একটা সাধারন ঘটনা এটা মেনে নিতে এতো কষ্ট কেন।

১৩| ২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:২৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: @নেওয়াজ আলি
পানি পরা ঝাড় ফুঁক এই সকল বিষয় বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত যে সত্য নয়।তার পরও যদি আপনি বলেন সত্য তবে প্রমান করার দায়িত্ব আপনার, আমার না।আমি বলছি মিথ্যা,মিথ্যার আবার প্রমান হয় নাকি?

১৪| ২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষের আত্মা বা রূহ যদি বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে না পারে তাহলে সেখানে আল্লাহ/ভগবান/গড কে কার্যকারক হিসেবে ভাবা কি যৌক্তিক? যেটা বিজ্ঞান জানে না সেটা যদি কোন পরাক্রমশালী শক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করেন সেটা হবে অজ্ঞতার কুযুক্তি! বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে পারে না তাই বলে আল্লাহ/ভগবান/গড সত্যি এটা একেবারে লেইম যুক্তি ভাই।
আর এমন বুজুর্গ আলেম প্রত্যেক সরকারি হাসপাতালে একজন করে নিয়োগ দিলে ভালো হবে। ডাক্তারদের উপর চাপ কমবে।

১৫| ২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বয়ানে একটা জিনিস মনে হয় ক্লিয়ার না, উল্লেখিত বুযুর্গ কোন সুরা পড়ে ফুঁ দিয়েছিলেন, এবং ঐ শিশুটির পেট-ফাঁপা তাতে সেরেছিল কিনা এবং সাথে সাথেই, নাকি অনেকদিন পর সেরেছিল।

আল্লাহর বাণী পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআন এবং হাদিসসমূহ কেবল বিশ্বাসীদের জন্য। এসব কেউ বিশ্বাস না করলে না করবেন, কিন্তু এগুলো নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করা অন্যায়, যা অনেকেই খুব ন্যাকেডলি করে যাচ্ছেন।

১৬| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২০

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: বাংলাদেশের নাস্তিকদের মন্তব্য শুনে মনে হয়, তাদের মতো ইসলাম বিষয়ে বুযুর্গ ব্যক্তিত্ব আর নেই। সমস্যা হচ্ছে, ইসলাম বিদ্বেষের কারণে এরা পোস্টের মূল বক্তব্য নিয়ে আলোচনা করবে না।

১৭| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

মা.হাসান বলেছেন: @নুরুলইসলা০৬০৪-- আমার কমেন্টে আমি হাদিস দেখতে চাই নাই, অনুগ্রহ করে ওই বিষটির নাম দিন যা খেলে চার বছর পরে মানুষ মারা যায়।

১৮| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নাস্তিকদের এধরণের পোস্ট এড়িয়ে চলা ভালো। কি দরকার মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করা।

১৯| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ্‌তালাকে নিয়ে পোস্ট দিলেও নাস্তিকরা বলবে আল্লাহ্‌ আছে আপনি কিভাবে বুঝলেন, কি প্রমাণ আছে আপনার কাছে, আল্লাহকে কে বানাল। আসলে ভাই ধর্মটার মূলভিত্তি হোল বিশ্বাস। তাই প্রমাণ চাওয়া যাবে না।

২০| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

জুয়েল দাশ প্রভাষ বলেছেন: ভালো লিখেছেন

২১| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: একবার এক সাহাবা নবিজি সাঃ কে জিজ্ঞেস করলেন, ইসলাম মানে কি?
নবিজি সাঃল বললেন, সত্য এবং পরোপকার।

২২| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৩

কানিজ রিনা বলেছেন: ঢাকা হার্টফাউন্ডেসন হাসপাতালে একজন ডাক্তার
অনেক বড় মাপের ডাক্তার বলেই জেনেছিলাম,
এমুহুর্তে নামটা মনে আসছে না। যাই হোক
প্রতিটি হার্টের অপারেশন তিনিই করান। ডাক্তার
অপারেশন করার আগে নামাজ পরেন। এবং
রুগীর আত্বিয় সজনকে বলেন দোয়া করেন
আমিতো ডাক্তার মাত্র। আপনাদের দোয়ায়
আমার অপারেশ সাক্সেজ হতে পারে আল্লাহ্
ভরশা। এখন কথা হোলও এখানে কয়জন
নাস্তিক ডাক্তার আছে পরিচয় জানানো উচিৎ।
এইসব নাস্তিক কোনও বিজ্ঞানীর চাপরাশী হতে
পারবে? বিজ্ঞানীরা নাস্তিক্ববাদ নিয়ে কখনো
তর্ক করেছে?যতসব গন্ড নাস্তিক।

আরে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিস্কারক
যদি সাফল্য পেয়ে বলেন আল্লাহ্ বা সৃষ্টি কর্তা
আমার সহায় হয়েছেন তাহলে এইসব নাস্তিকদের
মুখ কোথায় থাকবে?
আফ্রিকান একজন মুসলিম এপ্লাইড মেডিসিন
বিজ্ঞানী তিনিও করোনার টিকা আবিস্কার
করেছেন, নিশ্চয় তিনি ইহাই বলবেন আল্লাহ্
সহায়।

চোখে কোনও আঘাত লেগে লাল হয়ে যায়
ছোটকালে দেখেছি মা আচলের কাপর দিয়ে
মুখের ভাব দিতেন পরক্ষনেই ব্যাথা কোমে যেত।
তাহলে ফু দিলে ভাল হবেনা? কেন? আল্লাহর
কোরানে অসংখ্য আয়াত রোগ ভাল হয়।
যারা বিশ্বাস করেনা তারা কেন বিশ্বাসের উপর
আঘাত করে আমার বুঝে আসেনা।
এদের জ্ঞানের পরিধি ব্লক্ড।

২৩| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৪১

কানিজ রিনা বলেছেন: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃত্যুর সংগে পাঞ্জা
খেলে ফিরে এসেছে এমন কোনও সুদখোর
ঘুসখোর দুর্নিতিবাজ জেনাখোর মদ খোর
খুনি চোর ডাকাতরা কি নিজেকে সংসধন
করবে নাকি আগের জায়গায় বলবত থাকবে।
হয়ত না বেশীরভাগ আগের অন্যায় থেকে
বিরত হবে। বলবে আল্লাহ্ বা সৃষ্টি কর্তা আমাকে
কৃপা করেছেন।
আর নাস্তিকেরা করোনার মৃত্যু যন্ত্রনা থেকে
ফিরে কি বলবে, জানতে ইচ্ছা হয়।
আমার এক পরিচিত নাস্তিক তার ছেলে যুবক
বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেল।
ছেলেটা যখন বাঁচার আশা নাই, তখন নাস্তিক
বাবাকে বললো বাবা তুমি মসজিদে গিয়ে আমার
জন্য নামাজ পড়ে দোয়া কর আমি যেন সুস্থ
হই। বেচারা নাস্তিক সেই যে মসজিদে ঢুকলো
ছেলে হাড়ানোর পড়ে মসজিদে পড়ে থাকত
আর বলত হে প্রিয় সন্তান তুমি দেখো আমি
তোমার জন্য নামাজ পড়ি রাত জাগি ইবাদত
করি। আমি কি তোমাকে পরপাড়ে দেখা পাবো।
মাঝে মাঝে ছেলেকে সপ্ন দেখে লোকজনকে
বলত আমি আমার ছেলেকে আজকে সপ্মে
পেয়েছি।

২৪| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৪৭

সুপারডুপার বলেছেন:



@কানিজ রিনা, এমুহুর্তে নামটা মনে আসছে না।
অনেক ডাক্তার পূঁজা-অর্চনা করে , যীশুর নাম নিয়েও
অপারেশন করেন। আপনি ভালো বলেছেন। বিদ্যুৎ,
আলো, কম্পিউটার, মোবাইল, টিভি , রেডিও,
আল্ট্রাসোনোগ্রাফি ,এক্সরে, ডিএনএ ইত্যাদি সব মুমিন
মুসলিমরা আবিষ্কার করেছে। ম্যাথ, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ,
বায়োলজি, সব বিজ্ঞানই মুমিন মুসলিমদের কারণে তৈরী হয়েছে।
কাজেই আমাদেরকে অবশ্যই মুমিন মুসলিমদের অন্যতম আবিষ্কার
ফু বিজ্ঞান মেনে চলতে হবে। নচেৎ জ্ঞানের পরিধি ব্লক্ড হয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.