নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
বিপদ-মুসিবত থেকে মুক্তি পেতে প্রিয় নবীজির শেখানো কিছু আমলঃ
বিপদকে ঘৃণা করা বা খারাপ দৃষ্টিতে দেখার কোনো সুযোগ নেই। অনেক সময় বিপদের কারণেই মানুষ আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। আবার যখন মানুষ চরম অন্যায়ের দিকে ধাবিত হয় তখনই মানুষের ওপর বিপদ-মুসিবত পতিত হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখনই কোনো কঠিন সমস্যা বা বিপদের সম্মুখীন হতেন তখনই আল্লাহর কাছে একান্তভাবে দোয়া প্রার্থনা করতেন। বিপদ-মুসিবত থেকে মুক্ত থাকতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সে ছোট্ট আবেদন হলো-
يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ
উচ্চারণ : ইয়া- হাইয়ু ইয়া- ক্বাইয়ূ-মু বিরাহমাতিকা আস্তাগিছ।
অর্থ : ‘হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমতের মাধ্যমে আপনার নিকটে সাহায্য চাই।’ -তিরমিজি, মুসতাদরেকে হাকেম, মিশকাত
আবার তিনি যখন দেখতেন কোনো মানুষ বিপদে পড়েছেন, তখন তিনি তাদের বিপদ-আপদ থেকে মুক্তির জন্য এ দোয়া করতেন। হাদিসে এসেছে- হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলা’ইহি ওয়া সা’ল্লাম বলেছেন, ‘কেউ বিপদগ্রস্ত লোক দেখলে বলবে-
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِىْ عَافَانِىْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ – وَ فَضَّلَنِىْ عَلَى كَثِيْرٍ مِّمَنْ خَلَقَ تَفْضِيْلَا
উচ্চারণ : আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আফানি মিম্মানিবতালাকা বিহি; ওয়া ফাদ্দালানি আলা কাছিরিম মিম্মান খালাকা তাফদিলা।
অর্থ : সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি তোমাকে বিপদাক্রান্ত করেছেন; তা থেকে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং আমাকে তিনি তার মাখলুক থেকে মাখলুকের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।’ তখন তাকে এ মুসিবত কখনো স্পর্শ করবে না।’ -তিরমিজি
যেসব কারণে সূরা ইয়াসিনকে আল কোরআনের ‘হৃদপিণ্ড’ বলা হয়ঃ
বিবিধ কারনে সূরা ইয়াসিনকে আল কোরআনের ‘হৃদপিণ্ড’ বলা হয়। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘সূরা ইয়াসিন হলো আল কোর”আনের হৃৎপিণ্ড।’ এ হাদিসে আরো বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন আল্লাহ ও পরকালের কল্যাণ লাভের জন্য পাঠ করবে তার মাগফিরাত হয়ে যায়। তোমরা তোমাদের মৃতদের জন্য এ সূরা তিলাওয়াত করো। -রুহুল মায়ানি, মাজহারি
ইমাম গা’জ্জালি রহ: বলেন, ‘সূরা ইয়াসিনকে কুরআনের হৃৎপিণ্ড এ কারণে বলা হয়েছে যে,
১। ‘এ সূরায় কেয়ামত ও হাশর-নশর বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা ও অলঙ্কারসহকারে বর্ণিত হয়েছে।
২। পরকালে বিশ্বাস ঈমানের এমন একটি মূলনীতি, যার ওপর মানুষের সব আমল ও আচরণের বিশুদ্ধতা নির্ভরশীল। পরকালভীতিই মানুষকে সৎকর্মে উদ্বুদ্ধ করে এবং অবৈধ বাসনা ও হারাম কাজ থেকে বিরত রাখে। তাই দেহের সুস্থতা যেমন অন্ত’রের সুস্থতার ওপর নির্ভরশীল তেমনি ঈমানের সুস্থতা পরকালের চিন্তার ওপর নির্ভরশীল। -রুহুল মায়ানি
৩। এ সূরা তার পাঠকারীকে ইহকাল ও পরকালে শান্তি ও ব্যাপক কল্যাণ এনে দেয়। অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, এ সূরা কেয়ামতের দিন অধিক সংখ্যক মানুষের জন্য সুপা’রিশকারী হবে এবং তা আল্লাহ অবশ্যই কবুল করবেন।
৪। এ সূরা তার পাঠকদের থেকে বালা-মুসিবত দূর করে। অন্য রেওয়ায়েতে এর নাম ‘কাজিয়া’ও উল্লিখিত হয়েছে অর্থাৎ এ সূরা পাঠকের সব ধরনের প্রয়োজন মেটায়। -রূহুল মায়ানি
৫। হজরত আবু যর রা: বলেন, আমি রাসূল সা:-এর কাছ থেকে শুনেছি তিনি বলেছেন, মরণোন্মুখ ব্যক্তির কাছে সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে তার মৃত্যু যন্ত্রণা সহজ হয়ে যায়। -মাজহারি
৬। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের রা: বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন অভাব-অনটনের সময় পাঠ করে তাহলে তার অভাব দূর হয়, সংসারে শান্তি ও রিজিকে বরকত লাভ হয়। -মাজহারি
৭। ইয়াহইয়া ইবনে কাসীর বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে স’ন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-স্বস্তি’তে থাকবে। যে স”ন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে।
৮। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক বস্তুরই একটা হৃদয় থাকে আর কুরআনের হৃদয় হল সুরা ইয়াসিন। যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন একবার পড়বে, মহান আল্লাহ তাকে দশবার পুরো কুরআন পড়ার সওয়াব দান করবেন।’ -তিরমিজি
গোনাহ মাফের মাধ্যম সুরা ইয়াসিনঃ
প্রতিদিনের কাজ-কর্মে মানুষ অনেক ভুল-ত্রুটি করে থাকে। আর এসব ভুল-ত্রুটি করা গোনাহের কাজ। গোনাহ মানুষকে জাহান্নামের দিকে ধাবিত করে। আর জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হলো আল্লাহর অনুগ্রহ ও নেক আমল করা। হাদিসে এসেছে-
হজরত ইবনে ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে আল্লাহ তাআলা তার বিগত জীবনের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ -বায়হাকি,আবু দাউদ
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রাতে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ তার ওই রাতের সব গোনাহ মাফ করে দেবেন।’ -দারেমি
সুতরাং কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হলে নিজের জন্য প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো দোয়া পড়া। আবার যদি নিজেদের মধ্যে কেউ বিপদ-মুসিবতে পড়ে তবে তার জন্য হাদিসে বর্ণিত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা জরুরি।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে শেখানো দোয়ার মাধ্যমে দুনিয়ার যাবতীয় কঠিন সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন।
১০ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, সঠিক। মোবারকবাদ।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সুন্দর উপস্থাপনা।
দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয়
তাহলে দাগ্ই ভালো।।
১০ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া। কেমন আছেন ভাই?
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১১
লোনার বলেছেন: সূরা ইয়াসিন সংক্রান্ত বর্ণনাগুলো সঠিক নয়! দেখুন:
view this link
১০ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, দেখে নিব ইনশাআল্লাহ। মন্তব্যে আসার জন্য কৃতজ্ঞতা।
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "মানুষ যখন চরম অন্যায়ের দিকে ধাবিত হয় ... তখনই মানউষের উপর বালা-মুসিবত পতিত হয়"।
-লেবাননের মানুষ কি চরম অন্যায় করেছেন? আপনি আসলে গুহাবাসী মহাপন্ডিত।
১০ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি আসলে গুহাবাসী মহাপন্ডিত।
-ধন্যবাদ। গুহায় তো যেতে চাই। আপনি নিয়ে গেলে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। এডভেঞ্চার হবে। চলুন না ঘুরে আসি একবার।
লেবাননের মানুষ কি চরম অন্যায় করেছেন?
-লেবাননের মানুষ অন্যায় করেছে কি না সেটা আপনার বুঝার কথা নয়। বালা মুসিবত বিভিন্ন কারণে আসতে পারে। এগুলো বুঝতে হলে চিন্তাশীল মগজ দরকার। গোবরে পূর্ণ নষ্ট জিনিষ দ্বারা এসব অনুধাবন করা দুরূহ।
তা দিনকাল যা পড়েছে। আপনার চোখের অবস্থা কেমন? ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মেয়েদের সাথে ইদানিং গায়ে পড়ে ঝগড়া টগড়ার কথা বলেন না যে!
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বিপদ মানুষের জন্য আল্লাহ থেকে বান্দার প্রতি রহমত ।কারন বিপদের মাধ্যমে বান্দার গুনাহর কাফফারা হয় ।
তাই বিপদের সময় ধৈর্য ধারন করা ,বিপদ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর নিকট বেশী বেশী প্রার্থনা করা ,আর এই বেশী বেশী দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক গভীর হয়।
আল্লাহ আমাদের সকল বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত রাখুন এবং পাপরাশী থেকে হেফাজত করুন।
১০ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
চমৎকার মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: 'লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবাহানাকে ইন্নি কুন্তু মিনাজ্জলিমিন' - এই দোয়াটাও বিপদের সময় পড়া যায়।
১০ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, সঠিক। আমি আসলে এখানে সবগুলো দুআ একত্র করিনি।
৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমি যতবার বিপদে পড়েছি আল্লাহকে ডেকেছি। আমাকে আল্লাহ বিপদ থেকে রক্ষা করেন নি।
১০ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
হায় হায় বলেন কি! আল্লাহ তাআ'লা আপনাকে রক্ষা করুন।
৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি জীবনে অনেক বিপদে পড়েছি,৭১ রে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে এসেছি একাধিক বার।সবই হয়েছে নিজের বুদ্ধির গুনে।
১০ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
নিজের বুদ্ধি বলে কথা! আসলে ভাববার বিষয়, এই বুদ্ধিটা যিনি দিয়েছেন তিনি কে? আপনার আমার মত কত লোকই তো আছে যারা পরিধেয় বস্ত্র মাথায় বেঁধে রাস্তা-ঘাটে দিব্যি ঘুরে বেড়ায়। তাদেরও মাথা আছে, কিন্তু কাজ করে না সে মাথা। ভাবতে হবে প্রিয় ভাই।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৩৭
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সুরা ইয়াসিন এর গুনাবলি অনেক--------