নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার বিতর্কিত রায়; সব আসামিকে খালাস দিয়েছে ভারতের আজ্ঞাবহ আদালতঃ

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের একটি স্থির চিত্র। এরকম অসংখ্য ছবি এবং ভিডিও থাকা সত্বেও লখনৌয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব রায় তার রায়ের পর্যবেক্ষনে উল্লেখ করেছেন যে, অপরাধের কোনো প্রমান না পেয়ে সকলকে তিনি খালাস দিতে বাধ্য হয়েছেন। বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেই যাবে? ছবিঃ অন্তর্জাল।

বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার বিতর্কিত রায়; সব আসামিকে খালাস দিয়েছে ভারতের আজ্ঞাবহ আদালতঃ

ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার বিতর্কিত রায়ে অভিযুক্ত ৩২ জনকেই বেকসুর খালাস দিয়েছেন ভারতের আদালত। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে গুড়িয়ে দেওয়া হয় ১৫ শতকের ঐতিহ্যবাহী বাবরি মসজিদ। রোমহর্ষক সেই ঘটনার দীর্ঘ ২৮ বছর পর বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০) মামলার রায় ঘোষণা হলো। লখনৌয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব রায়। এদিকে বাবরি ধ্বংস পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন বিচারক। বিচারকের ভাবখানা এমন যে, মসজিদ ধ্বংসের বিষয়টি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না যেহেতু, তাই এর আবার বিচার কি!

আমরা বাকহীন বিচারকের এমনতরো চিন্তাচেতনায়। গোটা বিশ্বকে নাড়া দেয়ার মত এত বড় একটি ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হলো, ঐতিহ্যবাহী একটি ধর্মীয় স্থাপনাকে গুড়িয়ে দেয়া হলো, আর সেই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার করতে গিয়ে বিচারক কি না ঘটনা পরিকল্পিত, না কি অপরিকল্পিত সেই ছুতো খুঁজতে ব্যস্ত হন! আর ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে ইতিহাসের জঘন্য অপরাধীদের খালাস দেয়ার ঠুনকো যুক্তি খোঁজেন। হায়রে বিচার! হায়রে বিচারক! হায়রে আদালত!

অন্যায় রায়; উগ্রবাদী মোদীর এক চোখা নীতির প্রতিফলনঃ

বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার মামলায় বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলীমনোহর যোশি, উমা ভারতী-সহ অভিযুক্ত ৩২ জনকে বুধবার বেকসুর খালাস ঘোষনা করেছে সিবিআই বিশেষ আদালত। বলাবাহুল্য, ভারতীয় বিচার বিভাগের ইতিহাসে ২০২০ খৃষ্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার একটি কালো দিন। এই দিন মোদী সরকারের আজ্ঞাবহ আদালতের একপেশে অন্যায় রায় ঘোষনার মধ্য দিয়ে বাবরি মসজিদের দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার স্তরে স্তরে সাজানো অসংখ্য নাটকীয়তার একটি অংশ মঞ্চস্থ হয়। আদালতের অন্যায্য, একতরফা, পক্ষপাতমূলক একটি অন্যায় রায়ের মধ্য দিয়ে ভারতের বর্তমান হিন্দুত্ববাদী উগ্র মতাদর্শে বিশ্বাসী বিজেপি সরকারের গৃহিত এজেন্ডা বাস্তবায়নের কৃষ্ণ অধ্যায়ের আপাত পরিসমাপ্তি ঘটে। অবশ্য ভারতের মুসলিম ল' বোর্ড এর কর্তাব্যক্তিরা তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, এই অন্যায় রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন। কিন্তু কথা হচ্ছে, উচ্চ আদালতে তারা গেলে লাভ কি হবে? ভারতেরই তো আদালত! মোদীরই তো কালো হাত ভারতের পরতে পরতে রক্ত জমাট করে রেখেছে। রক্ত ঝড়াতে ঝড়াতে ভারতের মাটি লালে লাল হয়েছে। মোদী এবং তার পূর্বোক্ত শাসকদের রক্ত পিপাসা কি একটুও কমেছে? বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পর থেকে এ যাবত ঐতিহাসিক এই মসজিদকে ঘিরে আন্দোলন সংগ্রাম, বিক্ষোভ মিছিল, ইত্যাদি করতে গিয়ে নিঃশেষ হয়েছে কয়েক হাজার প্রাণ। মোদীর উগ্রবাদী মনোভাব এবং সংখ্যালঘু মুসলিম দমন নীতি এই খুনের বহরকে আরও প্রলম্বিত করেছে।

সচেতন গোটা বিশ্ববাসী বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করেছে, বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা মামলার এই একটিমাত্র ইস্যুতে অন্যায় রায় দেয়ার জন্য সাধারণ মানুষ বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি কি পরিমান দমন-পীড়ন নীতি অবলম্বন করতে হয়েছে উগ্রবাদে বিশ্বাসী মোদী সরকারকে। তারা বিগত কিছু দিন পূর্বে মসজিদের জমি সংক্রান্ত মামলার রায়ের সময় হাজার হাজার নিরীহ মুসলিমকে কিভাবে বাছবিচার ছাড়া পাইকারিভাবে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের প্রতি জেল জুলূম অত্যাচারের নানান পথ ও পদ্ধতি বেছে নিয়েছে তাও বিশ্ববাসীর চোখ এড়ায়নি। সে রায়ে তখন বাবরি মসজিদের জমিটিকে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সরকারকে বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। একই রায়ে তখন মসজিদ নির্মানের জন্য ভারতের অন্যত্র ৫ একর জমি মুসলিম সম্প্রদায়কে প্রদানে সরকারের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, ভারতের আদালত যদি উগ্রবাদী মোদীর এক চোখা নীতির বাইরে বেরিয়ে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষন করতে সক্ষম হতেন কস্মিনকালেও তারা ষোড়শ শতকে নির্মিত শত শত বছরের পুরনো এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদের জমি রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দিতে পারতেন না। জমিটি নিয়ে যেহেতু হিন্দু মুসলিম উভয় পক্ষ দ্বন্ধ-ঝগড়া, আদালত যদি সত্যিই নিরপেক্ষ হয়ে থাকতেন, তাহলে রায়ে অবশ্যই বলতে পারতেন যে, বাবরি মসজিদের বর্তমান এই জমি সরকার বাজেয়াপ্ত করে নিবে। এই জমি কাউকে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। না হিন্দুদের, না মুসলিমদের। এটা সরকারের অধিনে থাকবে। এর পরিবর্তে অন্যত্র মসজিদ এবং মন্দিরের জন্য হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়কে সরকার প্রয়োজনীয় পরিমান জমি প্রদান করবে। কিন্তু মোদীর ভারতে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির আশা করা বোকামির নামান্তর। তাকে খুশি করার জন্য তার আজ্ঞাবহ আদালত রাম মন্দিরের জন্য মসজিদের জমি দিয়ে দিল। বিশ্ববাসী তাকিয়ে তাকিয়ে মোদীর নীতিহীনতা প্রত্যক্ষ করলো। মোদী, তুমিই শেষ নও। তুমি চিরঞ্জীবও নও। তোমার আগে পরে শাসক ছিল এবং থাকবে। তবে তোমার নাম তুমি রেখে যেতে পারলে, ঘৃণার উচ্চাসনে তুমি অধিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়েছো। তোমার নামোচ্চারণের সাথে সাথে মানুষের চোখের সামনে অন্যায় অবিচারের এক সাক্ষাৎ দানবের প্রতিচ্ছবি আরও কিছু দিন ভেসে উঠবে হয়তো। মোদী, এটা তোমার জীবনের সুবিশাল অর্জন বটে।

বাবরি মসজিদের ডোমের উপর যারা চড়েছিল, তাদের সমাজ-বিরোধী আখ্যা দিয়েছে আদালত, কিন্তু তাদের বিচার নেইঃ

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়। সেই মামলায় ৪৯ জন অভিযুক্ত ছিলেন। তাদের মধ্যে বর্তমানে জীবিত রয়েছেন ৩২ জন। এদের মধ্যে ২৬ জন বুধবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদিন আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, বাবরি মামলায় এই ৩২ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। আদালত বলেছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংস কোনও পূর্ব-পরিকল্পিত ঘটনা নয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। সিবিআই যেসব অডিও বা ভিডিও দিয়েছে, তার সত্যতাও প্রমাণিত হয়নি। বাবরি মসজিদের ডোমের উপর যারা চড়েছিল, তাদের সমাজ-বিরোধী আখ্যা দিয়েছে আদালত।

ভারতীয় বিচার বিভাগের ইতিহাসে ২০২০ খৃষ্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার একটি কালো দিন। দিনটি একটি দুঃখজনক দিন। এই দিন আদালত তার রায়ে বলেছে যে, বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার ঘটনায় কোনও ষড়যন্ত্র ছিল না। আদালতের যুক্তি হচ্ছে, ষড়যন্ত্র অর্থাৎ পূর্ব পরিকল্পনা যেহেতু ছিল না, তাই যারা মসজিদ ভেঙ্গেছেন তাদের শাস্তিও হওয়ার কিছু নেই। তাদেরকে এই একই কারণে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। ভারতের আদালতের কাছে বিনীতভাবে প্রশ্ন করে জেনে নিতে ইচ্ছে করছে যে, কোনও সহিংশ রক্তক্ষয়ী অন্যায়ের ঘটনা কেউ বা কিছু মানুষ হঠাৎ সংঘটিত করে থাকলে তার বা তাদের কি কোনো বিচার হওয়া উচিত নয়? হঠাৎ করে একজন ধারালো দা দিয়ে কোপ দিয়ে অন্য একজনকে খুন করে ফেললো। বিচারক সাক্ষী প্রমানের মাধ্যমে প্রমান পেলেন যে, খুনের এই ঘটনাটা ঘটেছে যে, এতে কোনো সন্দেহ নেই, তবে পূর্ব থেকে পরিকল্পনা ব্যতিরেকেই হয়েছে এটা। সেই ক্ষেত্রে বিচারক কি আসামীকে বেকসুর ঘোষনা করবেন?

প্রত্যক্ষদর্শী, ছবি, ভিডিও এবং নথি থাকার পরেও বিচারকের দোষ নেই, তিনি আসলে কোনও কিছুতেই প্রমাণ পাননি যে, অভিযুক্তরা কোনওরকম অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেনঃ

বলাবাহুল্য, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রত্যক্ষদর্শীর সংখ্যা অন্তত ৩০-৪০ হাজার। তবে সিবিআই মোট ১ হাজার ২৬ জনকে সাক্ষী হিসেবে পেশ করার অনুমতি চেয়েছিল। এদের মধ্যেও মাত্র ৩৫১ জন আদালতে গিয়ে সাক্ষী দিয়েছেন। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু নথি এবং ভিডিও ফুটেজ পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

আদালতে পেশ করা হয়েছিল সেখানে উপস্থিত সাংবাদিক এবং পুলিশকর্মীদের বক্তব্যও। কিন্তু বিচারক জানান, কোনও কিছুতেই প্রমাণ হয়নি যে অভিযুক্তরা কোনওরকম অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। লখনউয়ের সিবিআই আদালতের এই রায়ের পর এবার হাই কোর্টে আবেদন করার সুযোগ থাকছে সিবিআইয়ের কাছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, ছবি, ভিডিও এবং নথি থাকার পরেও বিচারকের দোষ নেই, তিনি আসলে কোনও কিছুতেই প্রমাণ পাননি যে, অভিযুক্তরা কোনওরকম অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। সবই খেলা। পর্দার অন্তরালে কি হয় তা দেখা যায় না, কিন্তু কিছু কিছু অনুভব বা অনুমান করা যায়। এখানেও তাই। মহান মোদীর ইশারা ইঙ্গিতে আদালতের নড়ন-চড়ন, খুবই সহজ সমীকরণ। না বুঝার কিছু নেই। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট করে মুসলিম ল' বোর্ডের আর লাভ কি? সবখানেই মোদীজীর কালো হাত। ঝগড়া ফাসাদ ভুলে গিয়ে বরং তার হাতে বায়আত নেয়াই উত্তম। মসজিদ ধ্বংস তো করেছেই। এখন কি না শেষমেষ আবার বলে বসে যে, মুসলিমরা নিজেরাই বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কাজ করে অন্য ধর্মের লোকদের উপরে দোষ চাপিয়েছে। মোদীজী জিন্দাবাদ। জয় মোদীজী জয়।

‘এই রায়ে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা ভূলুণ্ঠিত হলো’ - বিরোধী দলগুলোর প্রতিক্রিয়াঃ

ভারতের সংবিধানে '১৯৪৭ সালে ব্রিটিশের সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তরের যে চুক্তি হয়, সেই চুক্তিতে ভারতের সংখ্যালঘুদের আর্থ-সামাজিক-ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক প্রবহমান সংস্কৃতির নিরাপত্তা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ভারতের সংবিধানে সংখ্যালঘুদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করা হয়েছিল। সেই সংবিধানের নামে শপথ নেওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের ধ্বংসস্তূপের ওপর সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ভাবনা থেকে রামমন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করেন, তখন এটা নিশ্চিত করেই বলতে হয়, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে ভারত যে সম্প্রীতি, সহিষুষ্ণতা, ধর্মনিরপেক্ষতা অর্জন করেছিল, যে অর্জন গোটা উপমহাদেশকেই প্রভাবিত করেছে, সেই অর্জনকে আজ ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হলো।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে বেকসুর খালাস পেয়ে গেলেন লালকৃষ্ণ আদবানী, মুরলি মনোহর যোশীসহ ৩২ জন অভিযুক্ত। দিল্লির সিবিআই আদালতে এই মামলার রায়দানের পর স্বাভাবিকভাবেই ভারতের শাসক দল বিজেপির পক্ষ থেকে রায়কে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে দেশটির বিরোধীরা সরব হয়েছেন রায়ের বিরোধিতায়। এই রায়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিরোধী নেতারা।

২৮ বছর পর রায়দানে অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে ভুলুণ্ঠিত করা হলো। ভারতের মৌলিক ঐক্য ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হলো এই রায়ে। ন্যায় বিচার হলো না।

বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এখন তো আদালতের সব রায়ই শাসকদলের পক্ষে হচ্ছে। রামজন্মভূমির ব্যাপারেও হয়েছে। আমি ভাবছিলাম এমনটাই হবে।”

বাবরি মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন এলকে আদবানিসহ ৩২ অভিযুক্ত। প্রমাণের অভাবেই তাঁদের নির্দোষ সাব্যস্ত করেছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। সৌগত রায় নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “এই রায়ে আমি খুবই হতাশ। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক ছিল একটা মসজিদ। সেটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। আদালত বলল, হাজার হাজার লোকের ভিড়ের জন্য এটা হয়েছে। কোনও পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। এটা আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।”

এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “এই রায় প্রত্যাশিতই ছিল। এমনই একটা রায় আসবে ভেবেই রেখেছিলাম। এই রায়ে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি ধাক্কা খাবে।''

তিনি আরও বলেন, ''বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে বলব, ভারতের ঐক্য সংহতি বিসর্জন দিয়ে যাঁরা ভারতে একটি বিশেষ ধর্মের দেশ বলে চিহ্নিত করতে চান, তাঁদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হন।”

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, মোদী-শাহের রাজত্বে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। মোদী-শাহ নিজেরাই ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন। ফলে বাকিরা তো ছাড়া পাবেনই। স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সরকার যা চাইছে সেই পথেই রায় বেরোচ্ছে। এতে দেশের মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে যাচ্ছে। জ্যোতি বসু এই ঘটনার পর 'বর্বরের দল' বলে মন্তব্য করেছিলেন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।
তসলিমার লজ্জা বইটা পড়েছেন?

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ওয়া আলাইকুমুস সালাম।

অনেক আগে একবার দেখেছিলাম ওটা। পড়তে গিয়ে লজ্জা পেয়ে পুরো লজ্জা আর পড়া হয়ে ওঠেনি।

পোস্টের ব্যাপারে অভিমত!

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমান নিয়ে দক্ষ উকিল নিয়ে যথাযথ ভাবে উপস্থাপন করা না হলে মামলা রায় একতরফা হয়ে যায়।
প্রচলিত আইনে একমাত্র অভিযোগকারি পক্ষকেই সব প্রমান হাজির করতে হয়। আসামীদের কিছু করতে হয় না।
ব্যার্থতা থাকলে সেটা একমাত্র অভিযোগকারি পক্ষেরই, আদালতের নয়।

একটা কথা মনে রাখবেন - এশিয়া আফ্রিকা ল্যাটিন আমেরিকা তথা ৩য় বিশ্বে ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে পরিপুর্ন গণতন্ত্র ও নিয়মতান্ত্রিক সুসম বিচার ব্যাবস্থা আছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমান নিয়ে দক্ষ উকিল নিয়ে যথাযথ ভাবে উপস্থাপন করা না হলে মামলা রায় একতরফা হয়ে যায়।
প্রচলিত আইনে একমাত্র অভিযোগকারি পক্ষকেই সব প্রমান হাজির করতে হয়। আসামীদের কিছু করতে হয় না।
ব্যার্থতা থাকলে সেটা একমাত্র অভিযোগকারি পক্ষেরই, আদালতের নয়।


-কালবৈশাখী ভাই,

আপনার কথা যুক্তিসঙ্গত, কিন্তু ভারতের বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলাটি সাধারণ কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে ছোটখাট অনালোচিত কোনো মামলা নয়। এই মামলাটি এমনই একটি সারা জাগানো ঘটনার প্রেক্ষিতে করা হয়েছিল যা ভারতসহ সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের টেলিভিশন চ্যানেল, ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছিল এবং এমনকি এখনও সেই মসজিদ ধ্বংসের অডিও, ভিডিও, স্থির চিত্রসহ অসংখ্য প্রমান ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মিডিয়ায়।

আমাদের পর্যবেক্ষন, এই মামলায় আদালতের যদি ন্যায় বিচার করার সদিচ্ছা থাকতো, তাহলে উপরোল্লিখিত অসংখ্য ভিডিও থেকে একটিমাত্র ভিডিও যাচাই করে অতি সহজেই হামলায় অংশগ্রহনকারী অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারতেন আদালত এবং একইভাবে তাদেরকে সঠিক ব্চিারের আওতায়ও নিয়ে আসা সম্ভব হতো আদালতের। একই প্রক্রিয়ায় এই অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তাদের পেছনে কলকাঠী কারা নেড়েছেন, মসজিদ ধ্বংসের পেছনে উস্কানিদাতা এবং মূল হোতা কারা, কাদের ইন্ধনে ষোড়শ শতকের ঐতিহাসিক এই মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল, সবকিছুই বেরিয়ে আসতো। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, আদালত ন্যায়বিচারের সে পথে হাটে নি। অবস্থা দৃষ্টে বুঝতে কষ্ট হয় না, আদালতের এখানে কিছু করার ছিল না। তারা কারও শেখানো রায় প্রকাশ করেছেন মাত্র।

আদালত যদি এরকম অন্ধভাবে বিদ্যমান অসংখ্য তথ্য প্রমানকে পাশ কাটিয়ে, উপেক্ষা করে, এড়িয়ে গিয়ে; বিশেষ কোনো পক্ষকে খুশি করতে, বিশেষ গোষ্ঠীর পছন্দ অপছন্দ বিবেচনায় নিয়ে কারও শিখিয়ে দেয়া অভিমত ও অভিপ্রায়ের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এরকম একতরফা রায় দেয় সেক্ষেত্রে অভিযোগকারী পক্ষের করণীয় কি?

একটা কথা মনে রাখবেন - এশিয়া আফ্রিকা ল্যাটিন আমেরিকা তথা ৩য় বিশ্বে ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে পরিপুর্ন গণতন্ত্র ও নিয়মতান্ত্রিক সুসম বিচার ব্যাবস্থা আছে।

-হাসালেন বলে ধন্যবাদ ভাই। ভারতে পূর্ণ গণতন্ত্র ও নিয়মতান্ত্রিক সুসম বিচার ব্যাবস্থা যে আছে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের এই অন্যায় রায়ই তার সর্বোৎকৃষ্ট এবং সর্বশেষ প্রমান। যেখানে হাজারো সাক্ষী প্রমান থাকা সত্বেও বিচারক চিহ্নিত অপরাধীদের খালাস দিতে বাধ্য হলেন। অপরাধীরা আদালত প্রাঙ্গনে সদম্ভে তাদের অপরাধ স্বীকার করে উচ্চবাচ্য করলেও যেখানে আদালতের কিছু করার থাকে না, সেই দেশটিকে পূর্ণ গণতন্ত্র ও নিয়মতান্ত্রিক সুসম বিচার ব্যাবস্থার দেশ না বলে আর কি বলা যায়! সত্যিই সেলুকাস! :P :P :P

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



এই পোস্টের ৫ নং প্রতিমন্তব্যটি দেখার অনুরোধ থাকলো।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



৭ নং মন্তব্যটি দ্রষ্টব্য। আপনার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অনল চৌধুরী ভাইয়ের কমেন্ট সেটি।

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১৯

করুণাধারা বলেছেন: রায় অপ্রত্যাশিত নয়!! রায় অন্যকিছু হলে এতক্ষণে ভারত জুড়ে দাঙ্গা শুরু হয়ে যেত...

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেকেরই এমন অভিমত। ভারতের লোকজন কি ক্রমে মোদীর উগ্রবাদী নীতির পথে হাঁটছে? যে নীতিতে মূলতঃ নীতি বলতে দাঙ্গা, হাঙ্গামা, বিবাদ, মারামারি, কাটাকাটি, হামলা ভাংচূর, সংখ্যালঘুদের মেরে তাড়িয়ে উচ্ছেদ করে অশান্তির আগুন প্রজ্জ্বলনই একমাত্র উপকরণ।

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে" আর "ক্ষমতাশীনদের ইশারায়,মদদে এবং আনুকূল্যে বিচারের রায় হয়" - এ কথা যুগে-যুগে, কালে-কালে প্রমাণীত।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



সঠিক। কিন্তু ভারতের এই অন্যায় বিশ্ববাসীর কাছে মোদীর নীতিহীনতাকে প্রকাশ করে দিয়েছে। নীতি আদর্শহীনতার প্রতি একরাশ ঘৃণা।

নীতিহীন মানুষ লজ্জাহীন হয়। লজ্জাহীনরা চরিত্রহীন। চরিত্রহীনরা করতে পারে না, এমন কোনো কাজ নেই। তারা চেহারা সূরতে মানুষ্য আকৃতির হলেও বিশ্ব সভার নিকৃষ্টতম জীব।

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভারতের হিন্দুদের মধ্যে বিশিষ্ট কেউ কি এই রায়ের সমালোচনা করেছেন?

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



চক্রান্ত ছিল, উমা ভারতী দায় স্বীকার করেছিলেন : বাবরি মসজিদ ভাঙার রায় প্রসঙ্গে বিচারপতি লিবেরহান

‘আদবানীরা সেদিন মিষ্টি বিলি করছিলেন কেন?

মসজিদ ভাঙার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের প্রধান লিবেরহানও জানিয়েছেন, ‘ঘটনাটি চক্রান্ত ছিল। উমা ভারতী তার কাছে দায় স্বীকার করেছিলেন।’

১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার দশ দিন পরে সাবেক বিচারপতি মনমোহন সিং লিবেরহানের নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠিত হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত রায়ের পরে ওই কমিশনের প্রধান মনমোহন সিং লিবেরহান জানান, বাবরি মসজিদ চক্রান্ত করেই ভাঙা হয়েছিল বলে তিনি এখনো মনে করে। তিনি যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, তাতে চক্রান্তের কথাই বলা হয়েছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে লিবেরহান জানিয়েছেন, ‘আমার সিদ্ধান্ত ছিল বাবরি ভাঙার পিছনে চক্রান্ত কাজ করেছে। আমি এখনো তা বিশ্বাস করি। বিস্তারিত পরিকল্পনা করে বাবরি ভাঙা হয়েছিল। উমা ভারতী ভাঙার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তিনি দায়ও স্বীকার করেছিলেন। কোনো অদৃশ্য শক্তি বাবরি ভাঙেনি, মানুষই তা ভেঙেছিল।’

২০০৯ সালে রিপোর্ট জমা দেয় লিবেরহান কমিশন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ‘আদবানী, যোশী, উমা ভারতীরা সে সময়ের উত্তর প্রদেশ সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে বাবরি ভাঙার পরিকল্পনা করেছিলেন। পিছন থেকে মদত দিয়েছিলেন। তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বাবরি ধ্বংসকে সমর্থন করেছিলেন।’

হায়দারাবাদের এমপি ও মুসলিম সমাজের প্রথম সারির নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি প্রশ্ন করেন, ‘সারা দুনিয়া দেখেছে বাবরি ভাঙার দিনে সেখানে মঞ্চের ওপর বসে আদবানী-যোশীরা মিষ্টি বিলি করছিলেন। তাহলে তারা কীভাবে নির্দোষ হতে পারেন?’ তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের ৬ তারিখে মসজিদটি কি জাদুবলে ধ্বংস হয়েছিল? কে করসেবকদেরকে জমায়েতের আহবান জানিয়েছিল? মসজিদের ভেতরে মূর্তিও কি জাদুবলেই চলে এসেছিল?’

অন্যদিকে কোর্টে অব্যাহাতি পাওয়ার পর বিজেপির এই দুই প্রবীণ নেতাই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। আর ক্ষুব্ধ ও হতাশ মুসলিম নেতারা প্রশ্ন তুলছেন, এই অভিযুক্তদের যদি সে দিনের ঘটনায় কোনও ভূমিকাই না-থাকে তাহলে মসজিদ ভাঙল কারা?

বস্তুত লখনৌতে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক বুধবার দুপুরে রায় পড়ার শুরুতেই জানিয়ে দেন, মসজিদ ভেঙে ফেলার এই ঘটনা আদৌ পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না। মসজিদ ভেঙে ফেলার দিন বিজেপি নেতারা উন্মত্ত জনতাকে ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন বলেও আদালত মন্তব্য করেছে। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক এস কে যাদব তার চাকরি জীবনের শেষ দিনটিতে জানিয়ে দেন, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি আদবানী-যোশী-উমা ভারতীর মতো নেতানেত্রীরা সেদিন মসজিদ ভাঙায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন বলে- বরং তারা না কি সেটা আটকাতেই চেষ্টা করেছিলেন।

তবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা বজরং দলের মতো সংগঠনের আরও যে অনেক নেতানেত্রী আদালতে খালাস পেলেন, তারা অনেকেই গতকালও জোর গলায় বলেছেন মসজিদ ভেঙে থাকলে বেশ করেছি। যেমন হিন্দু সন্ন্যাসিনী সাধ্বী ঋতম্ভরা। তিনি বলেছেন, ‘রামলালার জন্য ও সত্যের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে এই সব বাধাবিপত্তি আমি হাসিমুখে মেনে নিয়েছি।’

নব্বইয়ের দশকে ভারত জুড়ে ‘হিন্দুদের ভাবনার যে অবমাননা’ হয়েছে, বাবরি ভাঙা তারই প্রতিক্রিয়া বলেও দাবি করেন তিনি।

জয়ভগবান গোয়েল নামে আর একজন অভিযুক্ত কোর্টে ঢোকার আগেই মিডিয়াকে বলে যান, মসজিদ ভাঙার জন্য তিনি মোটেও লজ্জিত নন।

বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটির নেতা জাফরইয়াব জিলানি আবার বলছেন, ‘যেখানে মাত্র দুজন সাক্ষীর ভিত্তিতে খুনের আসামিকেও সাজা দেওয়া যায় সেখানে কয়েক ডজন সাক্ষী থাকার পরও আদালত কীভাবে বলতে পারে কোনও প্রমাণ নেই?’

তিনি বলেন, ‘আর এই সাক্ষীদের মধ্যে পুলিশ বা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্তারাও ছিলেন যারা মুসলমান নন। ছিল অসংখ্য মিডিয়া রিপোর্ট, ফোটোগ্রাফারদের ছবি।’

বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি আজকের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রায় তিন দশক পর বুধবার প্রথম সেই ঘটনায় বিচারবিভাগের রায় এল ঠিকই - কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও একপেশে এই রায়ে সংক্ষুব্ধ পক্ষ বা ভারতের মুসলিম সমাজ কোনও বিচার পেল না। সূত্র : বিবিসি বাংলা, ডয়চে ভেলে।

৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: We will free India of Muslims and Christians by 2021'

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক মোদীর মত ব্যক্তি যদি আর কয়েক বছর ভারতের মত একটি দেশের ক্ষমতার শীর্ষ পদে থাকতে পারেন, ভারতকে মুসলিম শুন্য করার তাদের এই স্বপ্ন পূরণে তারা কয়েক ধাপ এগিয়ে যেতে পারবেন বলে মনে হয়। দীর্ঘকাল যাবত বংশ পরাম্পরায় হিন্দু মুসলিম খৃষ্টানগণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে একই সাথে বসবাস করে আসছিলেন। মোদীর সফলতা হচ্ছে, তিনি ভারতের এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে একটি ভঙ্গুর অব্স্থানে নিয়ে আসতে পেরেছেন। সাধারণ মানুষের ভেতরে নিজের উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক চেতনার বিষ ঢুকিয়ে তাদেরকে উগ্রতার পথে ঠেলে দিতে পেরেছেন। মোদী এই একটি ক্ষেত্রে গৌরব করতেই পারেন।

স্বীকার না করে উপায় নেই যে, এটা মোদীর অনন্য কৃতিত্ব। ভারতের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পেছনে তার ভূমিকা ও অবদানের জন্য তাকে মানুষ হয়তো কিছু দিন মনে রাখতে বাধ্য হবে।

৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১১

অনল চৌধুরী বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:একটা কথা মনে রাখবেন - এশিয়া আফ্রিকা ল্যাটিন আমেরিকা তথা ৩য় বিশ্বে ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে পরিপুর্ন গণতন্ত্র ও নিয়মতান্ত্রিক সুসম বিচার ব্যাবস্থা আছে।-এরকম হাস্যকর ও ভুল তথ্য কিভাবে দিলেন, বুঝিনা।
জাপান,দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ কি ইউরোপের দেশ?
ভারতের গণতন্ত্র মানে জঙ্গী হিন্দুবাদ,দিনের আলোয় সংখ্যালঘু হত্যা-তাদের ধর্মস্থান ধ্বংস আর টাকা দিয়ে সংসদে আস্থাভোট কেনা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ, হাসান কালবৈশাখী ভাইকে উত্তরটি প্রদান করায়।

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জাপান,দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ানের অবস্থান ১ম বিশ্বে্র কাতারের ধনী দেশের চেয়েও উপরে।
কোরিয়া, তাইওয়ান মাত্র সামরিক শৈরতন্ত্র ছেড়ে উঠে আসছে। এদের টোটালেটরিয়ান ভুত এখনো মাথা থেকে যায় নি।
শ্রীলংকা, মালদ্বীপের অবস্থা পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ।

৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৪৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: শ্রীলংকা, মালদ্বীপের অবস্থা পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ।- অত্যন্ত দু:খের সাথে লক্ষ্য করছি , আপনি তথ্য-প্রমাণ ছাড়া মনগড়া সব কথা বলতে শুরু করেছেন, যেটা আগে করতেন না।
মানব উন্নয়ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশী গিয়ে আছে শ্রীলংকা, যার অবস্থান বিশ্বে ৭১। এরপর আছে মালদ্বীপ ১০২ নম্বর স্থানে।
বাংলাদেশের স্থান ১৩৫ আর দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে নীচে অবস্থান করছে পাকিস্তান ১৫২ নম্বর স্থানে।
সুতরাং শ্রীলংকা বা মালদ্বীপের অবস্থা সবদিকে দিয়ে পাকিস্তানের উপরে।
List of countries in Asia and Oceania by Human Development Index

১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনল দা। আপনি আমার মুল কমেন্ট বুঝতে ভুল করে বসে আছেন।

আমি কমেন্টে বলেছিলাম ৩য় বিশ্বে একমাত্র ভারতেই 'পরিপুর্ন গণতন্ত্র' ও 'নিয়মতান্ত্রিক সুসম বিচার ব্যাবস্থা' আছে।

মানব উন্নয়ন HDI ভিন্ন জিনিষ। জীবিকা আর্থিক সক্ষমতা শিক্ষা, চিকিৎসা, সহজে প্রপনিয়তার উপর নির্ভর। যেসব দেশে জনসংখা কম তারা সহযেই বাস্তবায়ন করতে পারে।

যেমন আপনার উন্নয়নসুচকে (HDI Index) এসব দেশ অনেক উপরে
35 United Arab Emirates 0.866
36 Saudi Arabia 0.857
41 Qatar 0.848

কিন্তু সে সব দেশে গণতন্ত্র দুরের কথা কোন রাজনৈতিক দলই নেই, আদালত নেই। ন্যায়বিচারও নেই

পরিপুর্ন গণতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান। এটা একদিনে হয়না,
নিয়মতান্ত্রিক সুসম স্বাধীন বিচার ব্যাবস্থাও একটি প্রতিষ্ঠান।
এসব একদিনে হয় না, আর্থিক সক্ষমতা দিয়ে হয় না। অনেক কালচার অনেক মেধা শিক্ষা লাগে, অনেক ত্যাগ লাগে একটি সফল প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে।
ধন্যবাদ।

১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:০৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: উত্তর দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জনাব হাসান কালবৈশাখী ।
মানব উন্নয়ন সূচক বিষয়টা পরিপুর্ন গণতন্ত্র' ও 'নিয়মতান্ত্রিক সুষম বিচার ব্যাবস্থার' সাথে পুরোপুরি না গেলেও অনেকটাই যায়। সৌদি আর আরব আমিরাতে গণতন্ত্র সেই অর্থে নাই কিন্ত আইনের শাসন আছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সেখানে একমাত্র ক্ষমতাসীনরা ছাড়া সবাইকেই শাস্তি পেতে হয়।
তবে Global Peace Index এ উল্লেখিত মানদন্ডগুলি আপনার বিষয়ের সাথে অনেকটাই যায়, যার অন্যতম একটা মানদন্ড হলো Number of deaths from internal organized conflict, অন্যটা হচ্ছে Number, duration, and role in external conflicts ।
এখানে শ্রীলংকার অবস্থান ৭২। বাংলাদেশ আছে ১০১ এ ১২৮ এ থাকা এ্যামেরিকার অনেক উপরে। আর ভারতের স্থান যেখানে ১৪১।
ভারতের গণতন্ত্র একটা ধাপ্পাবাজীর ভোটতন্ত্র ছাড়া কিছুই না।
সেখানে আইনের শাসন থাকলে এতো অপরাধ করার পরও সালমান খানসহ বহু তারকা এবং রাজনীতিবাদ ও ব্যাবসায়ী কারাগারের বাইরে থাকতো না।
সেখানে টাকা ও ক্ষমতার কাছে আইন বিক্রি হয়।
বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার হাজার হাজার সাক্ষী ও ভিডিও চিত্র ছিলো।তারপরও আদালতে কারো কোনো শাস্তি হয়নি।
২০২০ এ যে দিল্লীতে দিনের আলোয় মুসলমানদের পিটিয়ে মারা হলো আর মসজিদের আগুন দেয়া হলো-সেটার কি কোনো বিচার হয়েছে?
কোনোদিন হবেও না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.