নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিন্টার কি? আসুন, জেনে নিই বিভিন্ন ধরণের প্রিন্টার সম্মন্ধেঃ

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

ছবিঃ অন্তর্জাল।

প্রিন্টার কি? আসুন, জেনে নিই বিভিন্ন ধরণের প্রিন্টার সম্মন্ধেঃ

আধুনিক এই কম্পিউটারের যুগে ধীরে ধীরে আমরা নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হচ্ছি। একসময় টাইপ রাইটার দিয়ে আমাদের প্রয়োজনীয় লেখাজোখার কাজ সারতে হতো। খটখট শব্দে টাইপ রাইটার চালনার শব্দ এখনও যেন কানে বাজে। কত মানুষের জীবন জীবিকার মাধ্যম ছিল সেই টাইপ রাইটার মেশিন। কিন্তু কালের পরিবর্তনে আজ আর ব্যবহার নেই টাইপ রাইটারের। এখন কোনো কিছু টাইপ করার পদ্ধতিতে যেমন পরিবর্তন এসেছে ঠিক তেমনি তা প্রিন্ট করার ক্ষেত্রেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। কম্পিউটার এসে আমাদের জীবন যাপনের অনেক কিছুতে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে। এককথায় এটিকে উন্নয়নের বিপ্লব বলা যায়। এখন আর একটি একটি অক্ষর টাইপ করে করে ছাপাতে হয় না; এখন শত শত পৃষ্ঠা প্রিন্ট করার জন্য কম্পিউটারের মাউসের একটিমাত্র ক্লিক বা কমান্ডই যথেষ্ট। এখনকার দিনে প্রিন্টারগুলোতেও এসেছে আধুনিক সংযোজন। দিনে দিনে এর আপগ্রেডেশন চলছেই। আগামীতে প্রিন্টার প্রযুক্তিতে আরও নতুন নতুন উদ্ভাবন আমাদের এই কাজকে হয়তো আরও সহজ করে দিবে। আরও সুন্দর ঝকঝকে করবে। সেই দিনগুলোর প্রত্যাশায়.....

প্রিন্টার কি?

প্রথমেই আসুন, দেখে নেয়া যাক, প্রিন্টার কি। প্রিন্টার হল একটি পেরিফেরাল ডিভাইস যা গ্রাফিক্স, ইমেজ এবং টেক্সট ডকুমেন্ট কাগজে অথবা অন্য কোনো কিছুর উপরে প্রিন্ট করে বা ছাপা আকারে বের করে দেয়। প্রিন্টারকে আউটপুট ডিভাইসও বলা হয়। অন্যান্য আউটপুট ডিভাইসের তুলনায় প্রিন্টার একটি ধীরগতি আউটপুট ব্যবস্থা। প্রিন্টারের মান কী রকম হবে তা নির্ভর করে প্রিন্টারের রেজুলেশনের উপর। বেশি রেজ্যুলেশনের প্রিন্টার নিখুঁতভাবে প্রিন্ট করে থাকে। প্রিন্টারের রেজ্যুলেশন পরিমাপক একক ডিপিআই (DPI)। DPI এর পূর্নরূপ হলো Dost Per Inch । প্রিন্টার একটি অফ লাইন ডিভাইস। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টার পাওয়া যায় যেগুলাের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রিন্টারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: ইমপ্যাক্ট বা ধাক্কা প্রিন্টার ও নন-ইমপ্যাক্ট অধাক্কা প্রিন্টার।

প্রিন্টারের পেছনের কিছু তথ্যঃ

পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার প্রিন্টার ছিল ১৯'শতকের চার্লস ব্যবেজ কর্তৃক আবিষ্কৃত ডিফারেন্স ইঞ্জিনের জন্য যন্ত্রটি।[১] এই যন্ত্রটিতে লোহার রডে অক্ষর ছাপা থাকতো আর কাগজগুলো রডের নিচে রাখা হত। এভাবে ছাপার কাজ করা হত। প্রথম বাণিজ্যিক প্রিন্টারগুলো যেমন ইলেক্ট্রিক টাইপরাইটার এবং টেলিটাইপ মেশিন এই পদ্ধতিতে কাজ করত। দ্রুতগতির প্রিন্ট নেয়ার চাহিদা থেকে নতুন ধরনের পদ্ধতি আবিষ্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল, বিশেষ করে কম্পিউটারের সাথে ব্যবহারের জন্য। ১৯৮০ দশকে ব্যপকভাবে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো যেমন ডেইজি হুইল পদ্ধতির মিল ছিল টাইপরাইটারের সাথে। লাইন প্রিন্টার একই ধরনের আউটপুট দিত কিন্তু আরেকটু দ্রুত গতিতে। ডট মেট্রিক্স পদ্ধতি যাতে লেখা এবং গ্রাফ বা ছবি একত্রে প্রিন্ট করা যেত, কিন্তু তা নিম্ন মানের হত। ব্লুপ্রিন্টের মত উচ্চ মানের গ্রাফিক্সের জন্য প্লটার ব্যবহার করা হত।

১৯৮৪ সালে কম খরচে প্রথম এইচপি লেজারজেট লেজার প্রিন্টার পরবর্তী বছর অ্যাপলের পোস্টস্ক্রিপ্ট লেজার রাইটারের মধ্যদিয়ে ডেস্কটপ প্রকাশনা মুদ্রণে বিপ্লব আসে।

১৯৯০ এবং ২০০০ দশকের সময়ে ইন্টারনেট ইমেইলের দ্রুত বিস্তার ও ব্যাপক ব্যবহার মুদ্রণের প্রয়োজনীয়তাকে ম্লান করে দেয়। বিভিন্ন ধরনের বহনযোগ্য সংরক্ষন ব্যবস্থার কারণে কাগজে মুদ্রিত লেখার প্রয়োজন কমার অন্য আরেকটি কারণ। এমনকি কাগজে মুদ্রিত লেখা যা অফলাইন (ইন্টারনেটে নয় এমন) পড়ার জন্য যেখানে ব্যবহার করা হত যেমন বিমানযাত্রা বা গণপরিবহনে সেখানেও এখন ইবুক রিডার বা ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। আজকাল প্রিন্টারগুলো ব্যবহার করা হয় বিশেষ উদ্দেশ্যে যেমন ছবি বা শিল্পকর্ম প্রিন্ট করতে। আগের মত আবশ্যকীয় পেরিফেরাল হিসেবে এখন প্রিন্টার আর ব্যবহার করা হয় না।

২০১০ সালের থেকে ৩য় মাত্রার মুদ্রণে ব্যপক আগ্রহ দেখা গেছে যাতে বাস্তবিক বস্তুর প্রতিরূপ মুদ্রণ সম্ভব যেমনটা আগের লেজার প্রিন্টারে একটি চালান প্রিন্ট করা হত। সূত্রঃ উইকিপিডিয়া।

ইমপ্যাক্ট (Impact Printer) বা ধাক্কা প্রিন্টারঃ

যে প্রিন্টারে প্রিন্টহেড যে কাগজে ছাপা হয় তাকে স্পর্শ করে, তাকে ইমপেক্ট প্রিন্টার বলা হয়। এটি একটি ধীরগতি সম্পন্ন প্রিন্টার। ধাক্কা প্রিন্টার দিয়ে টাইপরাইটারের মতাে কাগজের উপর চাপ দিয়ে লেখা হয়। এই প্রিন্টারের রেজ্যুলেশন কম। প্রিন্টের সময় বিরক্তিকর শব্দ হয়। ধাক্কা প্রিন্টার দুই ধরনের হয়। যথা–

লাইন প্রিন্টার (Line Printer)
সিরিয়াল প্রিন্টার (Serial Printer)

লাইন প্রিন্টার (Line Printer)

লাইন প্রিন্টারে প্রতিবারে একটি সম্পূর্ণ লাইন ছাপা হয়। এটি ধাক্কা প্রিন্টারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতির। লাইন প্রিন্টার প্রতি মিনিটে ২০০ থেকে ৩০০০ লাইন ছাপতে পারে। লাইন প্রিন্টারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা - চেইন প্রিন্টার (Chain Printer) এবং ড্রাম প্রিন্টার (Drum Printer)।

সিরিয়াল প্রিন্টার (Serial Printer) বা বর্ণ প্রিন্টার (Character Printer)

সিরিয়াল প্রিন্টারে টাইপ রাইটারের মতাে একবারে মাত্র একটি বর্ণ ছাপা হয়। একে বর্ণ প্রিন্টার ও (Character Printer) বলে। এগুলাে ধীরগতি সম্পন্ন। এ সকল প্রিন্টারের দাম কম কিন্তু এটি এক নাগাড়ে ঘণ্টাখানেকের বেশিক্ষণ কাজ করতে পারে না, উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। সিরিয়াল প্রিন্টারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা–

ডট ম্যাট্রিক্স (Dot Matrix) ও
ডেইজি হুইল (Daisy Wheel)

ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার (Dot Matrix Printer)

ডট ম্যাটিক্স প্রিন্টার একটি জনপ্রিয় প্রিন্টার। তবে এর গতি অন্যান্য প্রিন্টারের তুলনায় কম। আয়তাকারে সাজানাে কতকগুলাে বিন্দুকে ডট ম্যাট্রিক্স বলে। যেমন; বিন্দুগুলাে ৮টি সারি এবং ১২টি স্তম্ভে সাজানাে থাকলে তাকে বলে ৮ x ১২ ডট ম্যাট্রিক্স। এই বিন্দুগুলাের মধ্যে কিছু বিন্দু নির্বাচন করে যেকোন বর্ণ ফুটিয়ে তােলা যায়।
ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টারে লেখার জন্য ছােট পিনে গ্রিড ব্যবহার করা হয়। অনেকগুলাে পিনের মাথা রিবনের উপর আঘাত করে কাগজের উপর বিন্দু বসিয়ে অক্ষর তৈরি করা হয়। সাধারণত এ প্রিন্টারে ৭, ৯ অথবা ২৪টি পিন থাকে, যেগুলাে লাইন বরাবর চলাচল করে বিন্দুর মাধ্যমে অক্ষর তৈরি করে। এ প্রিন্টারে ছাপা অক্ষর, প্রতীক বা ছবি সূক্ষ্ম হয় না। এ ধরনের প্রিন্টার বেশ ধীরগতিসম্পন্ন হয়। এর গতি পরিমাপক একক cps। cps এর পূর্ণরূপ হলো characters per second.

ডেইজি হুইল (Daisy Wheel Printer)


ডেইজি হুইল প্রিন্টার হলাে এক ধরনের কোয়ালিটি প্রিন্টার। এ প্রিন্টারে একটি চ্যাপ্টা চাকার সঙ্গে সাইকেলের স্পোকের মতাে অনেকগুলাে স্পোক (Spoke) লাগানাে থাকে। প্রতিটি স্পােকের মাথায় একটি বর্ণ এমবস করা থাকে। এ চাকা বাম থেকে ডানদিকে বা ডান থেকে বামদিকে সরতে পারে আবার ঘুরতে পারে। চাকা ও কাগজের মাঝখানে কালির রিবন থাকে। কোন বর্ণ ছাপাতে ডেইজি হুইল এমন জায়গায় সরে যায় যাতে সবচেয়ে উপরের স্পােক কাগজের যেখানে ছাপাতে হবে সেখানে থাকে। এবার চাকা ঘুরে বর্ণ ছাপাতে হলে স্পােক সবচেয়ে উপরে চলে আসে। সঙ্গে সঙ্গে একটি হ্যামার এ স্পােকের মাথায় আঘাত করে ফলে কাগজে ঐ বর্ণ ছাপা হয়ে যায়। স্পােকগুলােসহ চাকাকে একটি ডেইজি ফুলের মতাে দেখতে বলে এর এই নাম।

অধাক্কা বা নন-ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার (Non-Impact Printer)

অধাক্কা প্রিন্টারে চাপ না দিয়ে উত্তাপ দিয়ে অথবা অন্য কোন উপায়ে কাগজে লেখা হয়। বহুল ব্যবহৃত দুই ধরনের অধাক্কা প্রিন্টার হলো–

১। ইঙ্ক জেট প্রিন্টার (Ink jet Printer)
২। লেজার প্রিন্টার (Laser Printer)
৩। থার্মাল প্রিন্টার (Thermal Printer)
৪। স্থির বিদ্যুৎ প্রিন্টার (Electrostatic Printer)

ইঙ্ক জেট প্রিন্টার (Ink jet Printer)

ইঙ্ক জেট প্রিন্টারে কতকগুলাে সূক্ষ্ম সূচিমুখ (Nozzle) থেকে বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত কালি বেরিয়ে এসে কাগজের দিকে ছুটে যায়। একটি তড়িৎক্ষেত্র এ চার্জযুক্ত কালির সূক্ষ্ম কণাগুলােকে ঠিকমতাে সাজিয়ে দিয়ে কাগজের উপর কোন বর্ণকে ফুটিয়ে তােলে। স্বল্পদামী প্রিন্টার হিসেবে ইঙ্কজেট প্রিন্টার জনপ্রিয়। সাধারণত বাসাবাড়িতে ইঙ্কজেট প্রিন্টার ব্যবহার করা হয়। ক্যানন বাবলজেট, এইচপি ডেস্কজেট, এপসন স্টাইলাস ইত্যাদি প্রিন্টারসমূহ ইঙ্কজেট প্রিন্টার।

লেজার প্রিন্টার (Laser Printer)

লেজার প্রিন্টারে লেজার রশ্মির সাহায্যে কাগজে লেখা ফুটিয়ে তােলা হয়। এর দ্রতিও অনেক বেশি (10000 lpm)। উন্নত মডেলের লেজার প্রিন্টারে প্রতি মিনিটে ২৫০ পৃষ্ঠা এবং ৩০০ থেকে ১২০০ রেজুলেশনে প্রিন্ট করা যায়। সাধারণত ডেক্সটপ পাবলিশিংয়ের কাজে লেজার প্রিন্টার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। লেজার প্রিন্টারের ছাঁপা খুবই উন্নতমানের। লেজার প্রিন্টারে মুদ্রণের জন্য লেজার রশ্মি বা আলােক রশ্মি একটি আলােক সংবেদনশীল ড্রামের উপর মুদ্রণযােগ্য বিষয়ের ছাপা তৈরি করে। তখন লেজার রশ্মির প্রক্ষেপিত অংশ টোনার থেকে গুঁড়াে কালি আকর্ষণ করে। এর পর ড্রাম সেই টোনারকে কাগজে স্থানান্তরিত করে। কাগজের উপর পতিত টোনার উচ্চ তাপে গলে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসে যায়। এভাবেই লেজার প্রিন্টারে মুদ্রণের কাজ সম্পন্ন হয়।

থার্মাল প্রিন্টার (Thermal Printer)

এর প্রিন্টহেড অনেকটা ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টারের মতো, তবে পিনের বদলে থাকে কতকগুলাে বৈদ্যুতিক রোধকের বিন্দু। ছাপার কাগজে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ লাগানাে থাকে। কোন বর্ণ ছাপাতে হলে তার অনুরুপ বিন্দু রােধকগুলাের তাড়প্রবাহ দ্বারা উত্তপ্ত করা হয়, এতেই কাগজে সেই বর্ণের ছাপ উঠে যায়। এ ছাপানাের গতি 500 LPM.

স্থির বিদ্যুৎ প্রিন্টার (Electrostatic Printer)

এখানে কতকগুলাে বৈদ্যুতিক নিব থাকে যাকে বলে স্টাইলাস। এর দ্বারা লেখা হয়। বিশেষ ধরনের কাগজে এই নিব দ্বারা কোন বর্ণের ডট ম্যাট্রিক্স উৎপন্ন করা হয়, তবে এই ডটগুলাে হয় বৈদ্যুতিক চার্জের। এবার এই কগজকে বিপরীত চার্জযুক্ত রঙের গুড়ার মধ্যদিয়ে নিয়ে গেলে স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণের জন্য রঙের গুড়া প্রত্যেক ডটে আটকে যায়। ফলে ডট ম্যাট্রিক্সের বর্ণটি ছাপা হয়ে যায়। এই প্রিন্টারে ছাপার মান ভালাে হয়। এটিও একটি দ্রুত গতিশীল প্রিন্টার।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিন্টারের বিস্তারিত পড়ে ভালো লাগলো, যদিও একবারের পড়ায় সব তথ্য পুরোপুরি বুঝতে পারিনি। এতে অবশ্য আপনার কোন ত্রুটি নাই। আপনি যথাসম্ভব খোলাখুলিভাবেই লিখেছেন। প্রযুক্তি বিষয়ে আমার স্বল্প জ্ঞানই এ জন্য দায়ী।

যাই হোক, ২০১১ সালে আমি এইচপির একটা কমদামী প্রিন্টার কিনেছিলাম। প্রিন্টারটি প্রথম দিকে খুব ভালো চলছিল। কালি ফুরিয়ে যাওয়ার পর নতুন কালি ইন্সটল করার পর সেই যে বিগড়ালো পরে বহু চেষ্টা করেও আর ঠিক করা যায়নি। দোকানদার বলেছিল, এইসব কমদামী প্রিন্টার এরকমই। চললে অনেকদিন যায়, না চললে অল্পদিনেই নষ্ট হয়ে যায়।

আপনার পোস্টটি প্রিয়তে নিলাম। পরে আবার পড়ে প্রিন্টার কেনার সিদ্ধান্ত নেব। ধন্যবাদ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টটি আপনি বিস্তারিত পড়েছেন এবং আপনার কাছে ভালো লাগায় এটি প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে আনন্দিত।

প্রযুক্তি বিষয়ে আমার সামান্য একাডেমিক পড়াশোনা থাকায় এবং নিজে মাইক্রোসফট সার্টিফায়েড হওয়ায় কম্পিউটার এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক রিলেটেড বিষয়গুলো আমার একান্ত চর্চার মধ্যে থাকে। এগুলোকে খোলাসা করে সকলের বোঝার উপযোগী করে লেখার ইচ্ছে থাকা সত্বেও সেটা হয়ে ওঠেনি। মাঝে মাঝে টুকটাক কিছু লিখে মনের ইচ্ছেটাকে ধরে রাখা আর কি।

কম দামের কালার প্রিন্টারের ক্ষেত্রে আপনি যেটা বলেছেন, এমন কিছু সমস্যা প্রায় কমন। সাধারণতঃ এগুলো ভালোই হয়ে থাকে। কিন্তু একবার বিপত্তি দেখা দিলে আর কাজ হয় না।

আপনি পরে আবার যখন প্রিন্টার কিনবেন, কেনার আগে জানালে খুশি হব। প্রিন্টারে আপনার কাজের ধরণ, পরিমান এবং কোয়ালিটি ইত্যাদি বুঝে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হবে।

ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকেও।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: দশ বছর আগে একটা ক্যানন এর প্রিন্টার কিনেছিলাম। প্রিন্টার আমার কোনো বিশেষ দরকার ছিলো না। কিন্তু প্রিন্টারে ছবি প্রিন্ট দিতে আমার খুব ভালো লাগতো।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিন্টার কিনেছি জীবনে অনেক। তবে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য কোনো প্রিন্টার আজ অবদি কেনা হয়নি।

বুঝতে পেরেছি, প্রিন্টার বিশেষ দরকার না থাকলেও আপনি তো সৌখিন মানুষ। শখ পূরণ করতেই প্রিন্টার কিনেছিলেন।

দশ বছর আগের সেই প্রিন্টারটা এখনও ভালো আছে? মানে, চলছে? প্রিন্টার অনেক দিন ফেলে রাখলে কিন্তু সমস্যা হতে পারে। মাঝে মধ্যে চালানো হলে ভালো থাকে। আমার কাছে কিছু প্রিন্টার ছিল। যেগুলো কেনার পরে ব্যবহার করা হয়নি। মানে, ব্যবহারের প্রয়োজন পড়েনি। শুধু সেটআপ করে রাখা ছিল। একটিও প্রিন্ট করা হয়নি। কয়েক বছর পরে চেক করে দেখা গেছে, সেগুলো অচল। কমান্ড দিলে কাজ করে না। একপর্যায়ে দেখা গেছে দীর্ঘ দিন অব্যবহৃত অবস্থায় রাখার ফলে ফেলে দেয়া ছাড়া ওগুলো আর কোনো কাজে লাগেনি।

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনেক সাবলিল ভাষায় লেখা অনেক তথ্য সমৃদ্ধ লেখা । আমার প্রিন্টার ব্যাবহার করতে ভালো লাগে। বাসায় খুব বেশি প্রয়োজন না হলেও এইচ পি লেজার প্রিন্টার কিনেছি । প্রিন্টার এর সাথে ডেমো টোনার ১ বছর ধরে চলছে ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



বলেন কি! ডেমো টোনারে ১ বছর পার করেছেন? বেশ বেশ! আচ্ছা, আপনি প্রতি দিন কতটি পেইজ প্রিন্ট করেন?

ধন্যবাদ, মন্তব্যে আসায়।

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্যাটারি চালিত পকেট সাইজ প্রিন্টার না থাকলে এটা আবিষ্কার করা উচিত। চাইলেই যেন মোবাইলের কোনও তথ্য ছোট কাগজে প্রিন্ট করতে পারি। দোকানে ক্রেডিট কার্ড স্ক্যানার থেকে যেমন কাগজ বের হয় অনেকটা এরকম। কিন্তু এই কালি কিছুদিন পর হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে না এটা নিশ্চিত করতে হবে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন আইডিয়া আপনার। এমন কিছু থাকলে ভালো হতো। ছোটখাট কাগজ সহজে প্রিন্ট করা যেত।

শুকরিয়া। অনেক অনেক দুআ এবং শুভকামনা।

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ল্যাপটপ ব্যাগে নিয়ে চলার মত পিন্টার বিদেশে দেখেছি

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



পোর্টেবল প্রিন্টার।

Princiao Smart Mini Photo Printer Support Androids 4.1.2 System Wireless Smartphone Color Printing

Pocket photo printer mobile phone bluetooth portable printer mini home sprocket for hp ZINK Photo Paper Printing No ink

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: আমি বাসায় মাসে ১ টা বা ২ টা প্রিন্ট করি। কোন মাসে হয়তো করাই হয় না। সারাদিন অফিসেই থাকি । প্রয়োজনীয় প্রিন্ট অফিস থেকেই হয়। বাসায় করা হয়না বললেই চলে । শখ করে কেনা। বাসায় সময় কোথায়?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। অনেক অনেক দুআ এবং শুভকামনা।

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
150 রিংগিত দিয়ে ব্রাদার কোম্পানির একটা প্রিন্টার কিনেছিলাম। সেই প্রিন্টারের টোনার শেষ হয়ে যাওয়ার পরে নতুন টোনার কিনতে হল 100 রিঙ্গিত দিয়ে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হল প্রিন্টারে টোনার লাগানোর কিছু দিন পরেই আর প্রিন্ট হয় নাই ‌।
তাই বাধ্য হয়ে ওটাকে রিসাইকেলিং ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হয়েছে।

আফসোস।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার প্রিন্টার বিষয়ক স্মৃতি মোটামুটি দুঃখজনক। এরকমটা সাধারণত হয় না। তবে কোনো কোনো প্রিন্টারের ক্ষেত্রে একবার উল্টাপাল্টা কিছু হয়ে পড়লে তখন সেটা ঠিক করতে যেয়ে যতটা ভোগান্তির শিকার হতে হয়, তার চেয়ে নতুন একটা কিনে নেয়া শ্রেয়।

প্রিন্টার শেয়ার নিয়ে মজার কিছু স্মৃতি আছে। প্রিন্টার শেয়ারিং করতে গিয়ে অনেককেই বিব্রত হতে দেখেছি। সঠিকভাবে শেয়ারিংয়ের কাজটা বুঝে করলে পাঁচ/ দশ মিনিটে যে কাজটা করা সম্ভব, সেই একই কাজ না বুঝে সারা দিন করার পরেও কোনো ফল হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.