নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধন্যবাদ ট্রাম্প, অভিনন্দন জো বাইডেন!

০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪২

ছবিঃ অন্তর্জাল।

ধন্যবাদ ট্রাম্প, অভিনন্দন জো বাইডেন!

অঘটনের শঙ্কা একেবারেই যে ছিল না- তা নয়, ট্রাম্পের হুমকি ধমকি সত্বেও মার্কিন নাগরিকরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, কোনো অঘটন ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠানের বিশাল কর্মযজ্ঞটি সুসম্পন্ন হয়েছে এই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময়কালে, তারই প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে। তার একরোখা আচরণে আমেরিকানরা তো বটেই, সারা বিশ্বের মানুষের চোখে মুখে ছিল এক প্রকার শংসয় এবং আতঙ্ক- না জানি কখন কি হয়ে যায়! 'হেরে গেলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করব না', 'আদালতে যাব' - ট্রাম্পের ইত্যাকার নানান উক্তি মানুষের শঙ্কা-আশঙ্কা-উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। অনেকে আশান্বিত ছিলেন যে, ভোট গণনার শেষের দিকে এসে ট্রাম কার্ড জাতীয় কিছু একটা দেখাতে সক্ষম হবেন হয়তো ট্রাম্প। কিন্তু না, সকল জল্পনা কল্পনার প্রায় অবসান হয়ে আসার পরেও সেরকম কোনো লক্ষন আর নেই বলা চলে। তাই ধরে নেয়ার সময় সম্ভবতঃ এসে গেছে যে, সবকিছু ছাপিয়ে ট্রাম কার্ড শেষমেষ ট্রাম্পের নিজেরই দেখতে হচ্ছে....। তবু ধন্যবাদ ট্রাম্পকে, তিনি দাঙ্গা হাঙ্গামার আশঙ্কাকে আশঙ্কার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে সক্ষম হয়েছেন। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় ব্যাপার।

কারণ, ৫৩৮ টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন ইতোমধ্যেই ২৬৪ টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত পেয়েছেন মাত্র ২১৪ টি ইলেকটোরাল ভোট। ২৭০ টি নিশ্চিত করে প্রেসিডেন্ট হতে জো বাইডেনের প্রয়োজন আর মাত্র ৬ ইলেকটোরাল ভোট।

ইতোমধ্যে সুইং স্টেট (দোদুল্যমান) উইসকনসিনের পর মিশিগানেও জয় পেয়েছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন। এই অঙ্গরাজ্যের ১৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাচ্ছেন তিনি। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিএনএন ও এএফপির খবরে বলা হয়েছে, মিশিগানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয় পেয়েছেন বাইডেন।

সিএনএন তাদের সর্বশেষ খবরে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে অঘোষিত ৬ টি অঙ্গরাজ্য (অ্যারিজোনা, নেভাদা, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও আলাস্কা) এর মধ্যে নেভাদায় এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। তিনি ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, বিপরীতে ট্রাম্পের ভোট ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এই অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট ৬ টি। ফলে এই ভোটগুলো পেলেই হোয়াইট হাউজে যাওয়ার টিকেট নিশ্চিত হয়ে যাবে জো বাইডেনে

অন্যদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ২১৪ টি ইলেকটোরাল ভোট। যদিও ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই অনেকটা আজগুবি কায়দায় নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এমনকি ভোট গণনা বন্ধে তিনি সুপ্রিমকোর্টের দারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছিলেন।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও জর্জিয়াতে ভোট গণনা বন্ধের দাবিতে মামলা করেছে রিপাবলিকান পার্টির নির্বাচনী প্রচারণা শিবির। ট্রাম্পের এসব পদক্ষেপ অবশ্য অনুমিতই ছিল। কারণ, শুরু থেকেই তিনি আইনি লড়াইয়ের হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

তবে নিজেকে এখনই বিজয়ী বলতে নারাজ বাইডেন। ভোট গ্রহণ শেষে ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যে দেওয়া আনুষ্ঠানিক এক ভাষণে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বলেন, ‘আমি এখানে বিজয় ঘোষণা করতে আসিনি। কিন্তু বলতে এসেছি, ভোট গণনা শেষ হলে আমার বিশ্বাস আমরাই জিতব।’

বাইডেনের বিজয়ের স্বপ্নে ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে।

এদিকে, ভোটপ্রাপ্তির দিক দিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও ছাড়িয়ে গেছেন একই দলের প্রার্থী জো বাইডেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বারাক ওবামা ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ৫১৬ ভোট পেয়েছিলেন। গণনাকৃত ভোটের চিত্রে দেখা গেছে, জো বাইডেন ইতোমধ্যেই ৭ কোটি ১৬ লাখেরও বেশি ভোট পেয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এত বেশি সংখ্যক ভোট পেয়ে কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি। অভিনন্দন জো বাইডেন।

উৎসর্গঃ চাঁদগাজী ভাইকে খুঁজে পাচ্ছি না। তার কাজের দায়িত্ব তাই বাধ্য হয়ে আমাকেই নিতে হচ্ছে। যদিও তার মত করে অল্প কথায় অনেক কিছু ব্যাখ্যা করা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। তবে প্রত্যাশা, তিনি এই পোস্টে আসবেন এবং তার মূল্যবান অভিমত, ভোটদানের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি শেয়ার করবেন, যাতে ব্লগারগণের পক্ষে নির্বাচনের খুটিনাটি জানার সুযোগ হয়ে ওঠে। অভিনন্দনসহ তার প্রতি উৎসর্গ করছি এই পোস্ট।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

জনাব চাঁদগাজী জেনারেল অবস্থায় আছেন।

তাঁর কাজ এখন আপনাকেই করতে হবে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



মন্তব্যে আসার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

তবে তার কাজ আমাকে দিয়ে মোটেই হবে না। ওটা তো বলেছি, মজা করার জন্য। তার বিশ্লেষনী ক্ষমতা চমৎকার। তার প্রতি অভিনন্দন। মাননীয় মডারেটরের নিকট বিনীত আবেদন রাখছি, যাতে তার প্রতি ন্যায়ানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়, তিনি ব্লগ কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করলে যেন তাকে তার সেইফ স্ট্যাটাস ফিরিয়ে দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হয় এবং তিনি ফিরে আসতে পারেন অচিরেই।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১১

সাবিনা বলেছেন: জি, ঠিক বলেছেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

তবে তিনি তার পোস্টে ভালোই করছেন।
তার মন্তব্য আমার কাছে কখনোই খারাপ লাগেনি।

এটা ভার্চুয়াল জগত।
এখানে সবাইকে সহনশীল হতে হবে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ভালো মন্দ, ভুলত্রুটি মিলিয়ে মানুষ। সহনশীলতা সকলের জন্যই অপরিহার্য।

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অভিনন্দন বাইডেন কে

কিন্তু চাঁদগাজী জেনারেল কবে হলেন? কেনই বা?

০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ এবং দুআ আপনার জন্যও।

চাঁদগাজী ভাই কখন থেকে এবং কি কারণে জেনারেল হয়েছেন এ বিষয়ে আমি বিশেষ জ্ঞাত নই।

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: @ কাজী ফাতেমা ছবি
সামুর মার্কিন মুখপাত্র 'চাঁদগাজী'র জেনারেল হওয়ার পেছনে পুতিন বা রাশিয়ার হাত আছে বলে কন্সপিরেসি থিওরিস্টরা মনে করছেন। =p~

০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



অসম্ভবের কি আছে! থাকতেই পারে। আর তা ছাড়াও পুতিন বা রাশিয়ার হাত বলে কথা! যেখানে আমেরিকা, সেখানেই রাশিয়া। অবশ্য এখন ধীরে ধীরে এই থিউরি পাল্টে দিচ্ছে নতুন পরাশক্তি চীন। অদূর ভবিষ্যতে রাশিয়াকে পেছনে ফেলে চায়না উঠে আসবে হয়তো উপরের ধাপে।

তবে অতি গোপন এই তথ্যটি আপনি জানালেন বলে অনেক ধন্যবাদ। :D

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আর মাত্র ছটি ভোট দরকার। তীরে এসে তরী না ডুবলেই হলো।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই।

পুনরাগমনে এবং গুরুত্বপূর্ণ অভিমত রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা।

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাইডেন অভিনন্দন ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, অভিনন্দন তারই প্রাপ্য। আপাততঃ এ যাবত তাকে উগ্র এবং মারমুখী দেখিনি। এটা ভালো দিক। তিনি জিততে জিততেও সাবধানী পা ফেলছেন। অহংকারে হুংকার ছাড়েননি যে, 'আমি জিতে গিয়েছি'। বিপক্ষ দলের প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে তার থেকে পিছিয়ে থাকার পরেও যেটা করে এখন ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছেন।

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কে জেনো বলেছিলো -
নিজের ভোটই দিতে পারি না, অন্যদের ইলেকশন নিয়ে তাই মেতে থাকি।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



পজিটিভ মাইন্ডের কেউ একজন বলেছিলেন, ভোট না দিতে পারার জন্য দুঃখ করা উচিত নয়। এটাকে খারাপ চোখেও দেখা ঠিক নয়, বরং এর ভেতরেও উপকারিতা রয়েছে। ভোট কেন্দ্রে হেটে যাওয়া, কষ্ট সহ্য করে লাইনে দাঁড়ানো ইত্যাদি নানান ঝামেলা পোহাতে হয় ভোট দিতে গিয়ে। ভোট কেন্দ্রে যেতেই যদি না হয়, এসব শারীরিক ধকলও এড়ানো সম্ভব। অতএব দুঃখ কেন! :)

পজিটিভ মাইন্ড লোকই আসলে আলাদা।

৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
চাঁদগাজী আসবেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি সঠিকভাবে অনুসরণ করে আসছেন; আমিও একই সোর্স থেকে খবর দেখছি।
উৎসর্গের জন্য ধন্যবাদ।

বাইডেন ( ই: কলেজ ২৫৩ ভোট পেয়েছেন ) আলাস্কা পাবেন না; অরিজোনায় (১১ ই: কলেজ ভোট) যদি লীড ধরে রাখতে পারেন, নেভেদা(৬ ভোট) পেলেই বাইডেন জয়ী হবেন, নেভেদা গণনা আগামীকাল আবার শুরু হবে; বাইডেন পেনসিলভেনিয়াও পেতে পারেন ( ২০ ভোট)।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপনার অপেক্ষায় ছিলাম। বাইডেনের জয় এখন একেবারেই নাগালের ভেতরে। বিশেষ কোনো অঘটন যদি না ঘটে।

১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



নির্বাচনপুর্ব অবস্হা থেকে অনুমান করা যাচ্ছিলো যে, ভোটের ফলাফল এই ধরণের প্যাটার্ণ অনুসরণ করবে; আমার ৩১শে অক্টোবরের এক পোষ্টে আমি নীচের অংশটুকু লিখেছিলাম; আমি জেনারেল থাকায়, পোষ্ট টি সামনের পাতায় আসেনি:

"ভোটের ফাইন্যাল দিনে, নভেম্বরের ৩ তারিখে, নিউইয়র্ক সময় রাত ১টা'র (মানে ৪ তারিখ সকাল ১টার) মাঝেই সশরীরে দেয়া ভোটারদের দেয়া ভোটের ফলাফল জানা যাবে। মনে হচ্ছে, সেই ফলাফলে যদি ট্রাম্প এগিয়ে থাকে, ট্রাম্প নিজের থেকে নিজকে "জয়ী" ঘোষণা করবে; তবে, ডাকযোগে আসা ভোট গণনার সাথে সাথে বাইডেনের ভোট বাড়বে, এবং জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী; তখন ট্রাম্প ডাকযোগে আসা ভোট ও গণনা নিয়ে গন্ডগোল শুরু করবে ও ডাকযোগে আসা ভোট গণনা ও নিয়ম নিয়ে কোর্টে যাবে; ইহাতে দেশে সীমিত দাংগার সম্ভাবনা আছে। যদি সশরীরে দেয়া ভোটে বাইডেন সামনে থাকেন, সমস্যা হবে না; কারণ, ডাকযোগে ভোটে বাইডেন অনেক বেশী ভোট পাবেন। "

০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার প্রাক মূল্যায়ন ঠিকই ছিল। আমার ৩ নভেম্বরের পোস্টেও ট্রাম্পের পরাজয়ের কারণগুলো তুলে ধরে মুলতঃ বাইডেনের সম্ভাব্য বিজয়েরই আভাস দিতে চেয়েছিলাম- চলমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেসব কারণে পরাজিত হতে পারেন ট্রাম্পঃ

পুনরাগমনে অভিনন্দন।

১২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৩৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: কি লাভ?
সবই তো এক গোয়ালের গরু।
ওবামাকেও সবাই ভালো মনে করেছিলো কিন্ত সেই ছিলো সবচেয়ে বড় ভন্ড খুনী, যার আমলে আইএস সৃষ্টি আর লিবিয়া, সিরিয়া ধ্বংস করা হয়।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



কথা ঠিক আছে। তারপরেও আমেরিকা বলে কথা। এরাই তো এখনও পর্যন্ত বর্তমান পৃথিবীর সুপার পাওয়ার। প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ যেভাবেই হোক, এদের হাতেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে পৃথিবীর ৭০০/৭৫০ কোটি মানুষের ভাগ্য। সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়াসহ দেশে দেশে নানান ছলছুতোয় ধ্বংসের নায়ক যে আমেরিকা, এতেও সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। কিন্তু এদের বাদ দিয়ে চলার কি কোনো উপায় আছে? এ জন্যই তো আমেরিকার নির্বাচনে চোখ রাখা। ট্রাম্প তার কিছু কর্মকান্ডের জন্য ব্যাপকভাবে তিরষ্কৃত। তিনি অবাধ মিথ্যাচারে বেশ নাম কামিয়েছেন। উগ্রবাদ, বর্ণবাদ এবং জাতীয়তাবাদ তার কাছে ভিন্ন সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত হয়েছে। বিশেষতঃ মুসলিম জাতিকে তিনি আমেরিকার জন্য বিপজ্জনক আখ্যায়িত করে প্রকাশ্যে অনেক মুসলিম রাষ্ট্রের নাগরিকদের আমেরিকা প্রবেশে যেসব অন্যায্য বাধা নিষেধ আরোপ করেছিলেন, তা ছিল চরম অন্যায় এবং তার একচোখা উগ্র বৈষম্যমূলক নীতির প্রতিফলন। তবে ট্রাম্পকে তার লম্ফঝম্ফের জন্য ভয়ঙ্কর মনে হলেও প্রকৃত সত্য হচ্ছে, তার সময়কালে বিশ্বব্যাপী অন্যায় বোমাবাজি, অবাধ খুন খারাবি এবং পাইকারি নিধনযজ্ঞ তুলনামূলক কম ছিল- স্বীকার না করে উপায় নেই। এ দিক থেকে পূর্বসূরী বুশ ওবামা প্রমুখের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভালো ছিলেন ট্রাম্প।

বাইডেনকে আপাততঃ ধীর স্থির শান্ত মেজাজের এবং নীরিহ প্রকৃতির মনে হচ্ছে। ধর্মভিত্তিক যাবতীয় বৈষম্য, বর্ণবাদ এবং উগ্রপন্থা এড়িয়ে তার এই শান্তির মনোভাব বজায় রাখা সম্ভব হলেই স্বস্তি।

মন্তব্যে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা সবসময়।

১৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মিস্টার বাইডেন ধীর স্থির মানুষ। তিনি কথা বলেন ভেবেচিন্তে।
তিনি হাউ কাউ করেন না।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপাততঃ বাইডেনের এই ধীর স্থিরতাই মানুষ পছন্দ করছেন। দেখা যাক, তিনি কিভাবে সামনের দিকে এগুতে থাকেন।

মন্তব্যের জন্য অভিনন্দন আপনাকে।

১৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ট্রাম্পমুক্ত পৃথিবী ভাবতেই ভাল লাগছে।

অভিনন্দন জো বাইডেন।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। ইতোপূর্বে বিবিসির একটি রিপোর্টে ট্রাম্পকে 'বেপরোয়া' আখ্যায়িত করা হয়েছিল।

বিশ্বকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দিকে এগিয়ে নেয়ার পথে অভিনন্দন জো বাইডেনকে।

মন্তব্য রেখে যাওয়ায় অভিনন্দন আপনাকেও।

১৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগার চাঁদগাজী সবসময় আমেরিকার এমন কি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়েও বিশ্লেষণী পোস্ট লিখতেন। জেনারেল অবস্থায় থাকার কারণে তার সাময়িক অনুপস্থিতিতে আপনি এ দায়িত্বটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করেছেন, এজন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনার পোস্টও তথ্যসমৃদ্ধ হয়েছে। ট্রাম্প এবং তার অন্ধ সমর্থকদের উগ্রতার কারণে অনেক জায়গায় বেশ দীর্ঘক্ষণ ধরে (প্রায় দেড় দুই দিন) ভোট গণনায় বিঘ্ন ঘটেছে এবং কিছু কিছু জায়গায় তা ক্ষণে ক্ষণে স্থগিত থাকছে। আপনার এ পোস্ট লেখারও দেড় দিন প্রায় হয়ে গেল, কিন্তু ফলাফল আপনি যা লিখেছেন, এখনো তাই আছে, অর্থাৎ বাইডেন-২৬৪, ট্রাম্প-২১৪
তবে বেসরকারি ফলাফলে ট্রাম্প ইতোমধ্যে অত্যন্ত স্বল্প ব্যবধানে জর্জিয়ার ১৬টি আসন পেয়ে যাওয়াতে তিনি অভীষ্ট লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছেন বলে বলা যায়। এ ছাড়াও তিনি শতকরা ০.৯৩% ব্যবধানে নেভাডার ৬টি আসনও পেয়েছেন। শতকরা ০.১% এর ব্যবধানে তিনি পেনসিলভেনিয়ার ২০ টি আসনও পেয়েছেন। ফলে তার মোট আসন সংখ্যা কাঙ্খিত ২৭০ অতিক্রম করে অনেকদূর চলে গিয়ে ৩০৬ এ দাঁড়িয়েছে। আর পপুলার ভোটের হিসেবে বাইডেন ইতোমধ্যে পেয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক ৭ কোটি ৩৬ লক্ষ ১৯ হাজার ২৭৯টি ভোট, যা ট্রাম্পের চেয়ে ৩৭ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯০৫টি বেশী।
সুতরাং, আপনার সাথে কন্ঠ মিলিয়ে এখন বোধহয় বলাই যায়, ধন্যবাদ ট্রাম্প, অভিনন্দন জো বাইডেন!
তা তো বলাই যায়, তবে ট্রাম্প এ ধন্যবাদের মর্যাদা কতটা রাখতে পারবেন, কিংবা আদৌ রাখতে পারবেন কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
পোস্টে তৃতীয় প্লাস + +।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ব্লগার চাঁদগাজী সবসময় আমেরিকার এমন কি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়েও বিশ্লেষণী পোস্ট লিখতেন। জেনারেল অবস্থায় থাকার কারণে তার সাময়িক অনুপস্থিতিতে আপনি এ দায়িত্বটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করেছেন, এজন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

-চাঁদগাজী ভাইয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষন অন্যরকম। বেশ সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। তার মত সাহসী লেখাও সচরাচর অনেকেই লিখেন না। আসলে তাকে না পাওয়াতেই এই পোস্ট দেয়া। তিনি একটিভ থাকলে এই পোস্টের চিন্তা হয়তো মাথায় আসতো না। বরং ধর্মীয় কোনো বিষয়ে চিন্তা করে সেই সময়টা পার করা যেত।

আপনার আগমন এবং লাইকসহ পোস্টের প্রশংসায় কৃতজ্ঞতা অশেষ। বাইডেন এখনও পর্যন্ত এগিয়েই আছেন। সবচেয়ে ভালো লাগছে তার সতর্ক পথচলা। বিজয়ের কাছাকাছি থেকেও গত ক'দিনে তিনি হঠকারী কোনো কিছু বলেননি, এটা ভালো লাগছে।

সালামসহ শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.