নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাপিত জীবনের কড়চা- \'... তারা লোক হিসেবে খুবই ভালো!\'

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

ছবিঃ অন্তর্জাল।

যাপিত জীবনের কড়চা- '... তারা লোক হিসেবে খুবই ভালো!'

'আমার তো ট্যাক্স দিতে হইবো। মোবাইলে মেসেজ পাঠাইছে। আমি তো আর পড়তে পারি না। মাইয়া আমারে পইড়া শুনাইছে। অহন না কি আমার তিনাইডি (টিন আইডি) বানাইতো হইবো। তা, তিনাইডি (টিন আইডি) বানাবার জন্য কত ট্যাকা লাগবো?'

'দিয়েন আপনি যা দেন। বেশি লাগবে না।'

'তারপরও কইয়া দ্যান। কত ট্যাকা দেওন লাগবো আমারে খুইল্যা কন। ট্যাকা তো দিতে হইবো আমারই।'

'আরে ৫০০/১০০০ যা দেন দিয়েন। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রটত্র এইসব নিয়ে আসেন।'

ডায়ালগটা কম্পিউটার কম্পোজ, ইন্টারনেটের কাজকর্ম ইত্যাদি সার্ভিস প্রোভাইডার কোনো দোকানদার আর কাস্টমারের নয়। গতকাল ট্যাক্স অফিসে গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য রিটার্ন দাখিল করা। আমার কাগজপত্র অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বুঝিয়ে দিয়ে রিসিটটা ফেরত নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ফ্রন্ট অফিসে বসে বসে অপেক্ষা করছিলাম। প্রায় ঘন্টাখানিকের উপরে বসতে হয়। এত সময় নিরবে বসে থাকা কঠিন। তবু মুহূর্তকালের জন্য চেয়ার ছেড়ে উঠে না গিয়ে এই কঠিন কাজটাই করলুম। উদ্দেশ্য, তাদের সেবা পরখ করার সুযোগটা গ্রহণ করা। তো সেখানকার এক কর্মকর্তার সাথে সেবা নিতে আসা জনৈক আগন্তুক ব্যক্তির কথোপকথনই ছিল এটা।

পঞ্চাশোর্ধ এক মহিলা এলেন। তার সমস্যা হচ্ছে, তার ট্যাক্স আইডি যখন খোলা হয়েছে সম্ভবতঃ ভুলক্রমে পার্শ্ববর্তী উপজেলা কোডে গিয়ে পড়েছে। তার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিলেন সেই ভদ্রলোক। বিনিময়ে তার কাগজপত্র পাশ্ববর্তী উপজেলার ট্যাক্স অফিসে দাখিল করার ব্যবস্থা করিয়ে দিবেন। -যাক, এটা কোনোভাবে না হয় মেনে নেয়া যায়। কিছুটা সার্ভিস এখানে অন্ততঃ আছে।

একটু পরে আরেকজন এলেন। তাকে চল্লিশ হাজারে কাজটা হয়ে যাবে বলে জানানো হলে তিনিও দেখলাম বেশ তৃপ্তিবোধ করছেন। ধরে নিলাম, ঘটনা নিশ্চয়ই জটিল কিছু। না হয় চল্লিশ হাজারের প্রশ্ন কেন? তারপরও অফিসার তাকে কাজটির জটিলতা সম্মন্ধে আমার সামনেই হালকা জ্ঞান দিলেন। যা বুঝার তাতেই বুঝে নিলাম।

আমাকে এরা মোটামুটি ভালোভাবে চিনেন। গত বছর আমার কাগজপত্র বানিয়ে দিবে বলে এরা খরচার টাকাপয়সা দাবি করেছিল। কয়েক দিন পরে আমি নিজেই তা বানিয়ে নিয়ে গেলে তারা একটু মনঃক্ষুন্ন হয় বলে মনে হয়েছিল। তারপরেও খরচার টাকাপয়সা কিছু তাদের প্রয়োজন বুঝাতে চাইলে জানতে চেয়েছিলাম কিসের খরচ? উত্তর দিতে গিয়ে প্যাচঘোচে পড়ে গিয়েছিল। একজন তো রেগেই যান। আমাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেই বসেন, 'আপনি অন্য দিন আসেন। আজকে আমরা ব্যস্ত।'

'আচ্ছা, ঠিক আছে, অন্য দিন আসবো অসুবিধা নেই। তবে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের জন্য নয়। অন্য কোনো কারণে আসতে পারি হয়তো। এই কাজটার জন্য আজকেই তো এসেছি। আর আপনারা ব্যস্ত থাকবেন না কোন দিন? এই ব্যস্ততাই তো আপনাদের কাজ।'

পাশের টেবিলের উপরস্থ আরেক অফিসার বললেন, 'দেখেন, কোনোভাবে জমা নিয়ে নেয়া যায় কি না।'

আমি যার সাথে কথা বলছিলাম তিনি বললেন, 'আরে না, ঝামেলা আছে।'

'ঝামেলা তো থাকবেই। নিজ দায়িত্বে যারা ট্যাক্স দিতে আসেন তাদেরকে আপনাদের কাছে ঝামেলা মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ, আপনারা তো কষ্ট সহ্য করতে অভ্যস্ত। আমাদের দেশের রথি মহারথীদের ট্যাক্স ফাঁকির ঘটনা সুবিদিত। সেগুলো আদায় করতে অনেকের ক্ষেত্রে আপনাদের কত কি করে যেতে হয়। ইয়া আল্লাহ, অনেককে যেমনভাবে তাদের বাড়ি ঘরে গিয়ে, মামলা মোকদ্দমা করে, কোর্ট কাচারি একাকার করে তারপরে ট্যাক্স দিতে বাধ্য করেন। এগুলো দেখলে আপনাদের প্রতি অন্যরকম একটা শ্রদ্ধাবোধ এমনিতেই এসে যায়। আহারে! সত্যিকারের দেশের সেবা তো ইহাই! নিজেকে তখন প্রবোধ দিই যে, দেখো মন, জানপ্রাণ দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে কিভাবে তারা সজীব রাখছে! এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই মামলা মোক্দ্দমা আর কোর্ট কাচারি আপনারা সবার ক্ষেত্রেই কামনা করেন কি না কে জানে! হয়তো করেও থাকতে পারেন।' বললাম আমি।

ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি, সাড়ে বারোটা ছাড়িয়ে গেছে। তাই তাদের জবাবের সুযোগ না দিয়ে পাশের টেবিলের সেই উপরস্থ অফিসারকে সাথে সাথেই আবার জিজ্ঞেস করলাম, 'আচ্ছা, আপনারা নামাজ কি অফিসের ভেতরেই পড়েন, না কি বাইরের মসজিদে এটেন্ড করেন? এখানে কাছাকাছি মসজিদ কোন পাশে?'

ভদ্রলোক মনে হল হোচট খেলেন একটু। বললেন, 'আমরা তো.. আমরা... আমরা নামাজ... মাঝেমধ্যে... অফিসে... প...ড়ি'।

সহকর্মীকে বললেন, 'হুজুরের কাগজটা তাড়াতাড়ি রেডি করে দেন। নামাজের আগেই দেন। সে গিয়ে নামাজ ধরবে। নিজেরা তো নামাজ পড়িই না, আবার অন্যকেও যদি পড়তে সুযোগ না দিই!'

ভাবলাম, যাক, আল্লাহর রহমতে এ যাত্রায় সহজ হয়ে গেল। কিন্তু হাজার প্রশ্ন ঠিকই থেকে গেল মনের ভেতরে। আমি না হয় খরচার টাকাপয়সা না দিয়েই আমার কাজটা সারতে পারলাম। বাদবাকি লোকজন? সেই বাদবাকি কিছু লোকের অবস্থা পর্যবেক্ষনেরই সুযোগ হয়েছিল গতকাল। যাপিত জীবনে এইসব খরচার টাকাপয়সা দিতে দিতে আমরা নিঃস্ব হচ্ছি দিনে দিনে। আমাদের ট্যাক্সের টাকায় যাদের বেতন হয়, সেই সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে সেবা নিতে গেলে আমাদেরকে দিতে হয় খরচার টাকাপয়সা! মাস শেষে তাদের অনেকের হয়তো বেতনে হাত দিতে হয় না। সারা মাস ভরে খরচার টাকাপয়সা পকেটে পুড়তে পুড়তে অনায়াসে কেটে যায় অনেকের।

আমরা মা-শাআল্লাহ এখন আর আগের মত নই। আগের মত নেই। আমরা শিক্ষিত হয়েছি। শালীনতাপূর্ণ কথাবার্তা আয়ত্ব করছি দিনকে দিন, ভাষা ব্যবহারে শব্দ প্রয়োগে পরিমিতিবোধ ইত্যাদিতে তার প্রকাশও দেখা যাচ্ছে। এই যেমন, আমরা এখন 'ঘুষ' বলি না। দেশে কেউ বলে না যে, 'আমাকে পাঁচশো টাকা ঘুষ দেন'। আমরা ভদ্র ভাষায় বলি, খরচার টাকাপয়সাবখশিশ, হাদিয়া বা এ জাতীয় সুন্দর শব্দেরও ব্যবহার দেখা যায় অনেক অনেক ক্ষেত্রে।

যাক, নিতান্ত অপারগ হয়েই তাদেরকে দু'কথা বলতে বাধ্য হয়েছিলাম সেবার। সেই থেকে তারা মনে রেখেছেন আমাকে! তাই এবার আর খরচার টাকাপয়সা চেয়ে বিপদের ঝুঁকি নেননি! 'ধন্যবাদ' দিয়ে বিদায় নিয়ে যখন অফিস থেকে বেরিয়ে আসি, নিজেকে কৃপন কৃপন মনে হচ্ছিল কেন যেন। সবাই দিচ্ছে, আমি দিচ্ছি না ভেবে একটু কেমন কেমন লাগছিল। দরজা দিয়ে বেরুনোর সময় আবারো মনে হলো, 'তারা অন্ততঃ মনে রেখেছেন আমাকে! তারা লোক হিসেবে খুবই ভালো!' B-)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



এরা এসব করার পর, আপনি ওদেরকে ট্যাক্সের ব্যপারে হাদিস শুনাননি?

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ গাজী ভাই। হাদিসের প্রতি আপনার অসীম দরদ আছে বলেই এই কথাটা বলেছেন হয়তো! :)

আসলে হাদিস শোনানোর দরকার তো অবশ্যই ছিল। কিন্তু হাদিস শোনানোর সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে সম্ভবতঃ তারা আগেভাগেই কাজ সম্পন্ন করে দেয়ায় মনযোগী হয়েছেন বলে আর সুযোগ হয়নি। তাছাড়া তারা হাদিস কম জানেন বলে মনে হয়নি। আর এরা কিন্ত হাদিস অনুসারেই 'ঘুষ' বলা বাদ দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। 'বখশিশ', 'উপহার', 'উপঢৌকন' অথবা 'খরচাপাতি', 'হাদিয়া' ইত্যাদি সুন্দর সুন্দর শব্দ ব্যবহার করে এগুলো 'জায়েজ' করার চেষ্টা করছেন।

তা ভোট পরবর্তী আপনার ওখানকার হাল হকিকত কেমন? আপনি এই বিপদকালে ট্রাম্পকে একটু আধটু সহযোগিতা করতে পারেন। তা কি করেন?

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মানুষ মন থেকে ভাল না হলে সমাজ পাল্টাবে না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। সত্যিকারার্থে আল্লাহ তাআলার ভয়, মৃত্যুর পরের অনন্তকালীন জীবনের চিত্র মানুষের অন্তরে প্রোথিত এবং জাগ্রত না হলে আইন আদালত আর নিরাপত্তা প্রহরী দিয়ে কাজ হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু সেটাই বিবেচনার ব্যাপার। আখেরাতের চিন্তা যাদের নেই, পরকালে জবাবদিহিতার কোনো বিষয় যাদের কাছে গৌণ তাদের দ্বারা সবকিছুই সম্ভব।

আল্লাহ পাক ঈমান আমল নিয়ে আমাদের চলতে শক্তি সাহস দান করুন। ফেতনা থেকে হেফাজতে রাখুন।

লাইকসহ মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মুসলিম হিসাবে ধর্মকর্ম মেনে চলার তৌফিক দান করুণ হে আল্লাহ ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার দোআ আল্লাহ পাক আমাদের সকলের জন্য কবুল করুন। আমিন।

মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: ট্যাক্স এর ঝামেলা থেকে আমি বেঁচে গেছি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। কিন্তু কিভাবে বেঁচে গেলেন তা যদি বলতেন! বাঁচার উপায় বললে আমরাও হয়তো একটু আধটু চেষ্টা করে দেখতে পারতাম। বাঁচি আর মরি, পারি আর না পারি, চেষ্টায় তো দোষ নেই।

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

এমেরিকা বলেছেন: ট্যাক্সের ঝামেলা থেকে বাঁচার উপায় হলঃ
- মাসে ৪০,০০০/- টাকার কম বেতন নেয়া।
- ব্যাংকের মাধ্যমে কোন লেনদেন না করা।
- গাড়ি, ফ্ল্যাট বা জমির মালিক না হওয়া।
- কোন কোম্পানির শেয়ার না কেন।
- অন্য কোনভাবে কোথাও কোন ইনভেস্ট না করা।

প্লেইন এন্ড সিম্পল অবিবাহিত জীবন কাটাবেন। ট্যাক্স থেকে নিরাপদ থাকবেন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মন্তব্যে আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব শুনলে এবং দেখলে মনটা খুবই খারাপ হয়ে যায়।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সরকারি এমন একটি অফিস দেখার বড় শখ বহু দিনের। যেখানে সত্যিকারার্থে টাকা পয়সা ছাড়া কাজ হয়, সাধারণ মানুষ সেখানে নিজেদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রাপ্ত হন কোনো ধরণের অবৈধ অর্থের বিনিময় ব্যতিত। এমন চিত্র দেখার বড় ইচ্ছে। জানি না, এই সৌভাগ্য হবে কি না।

প্রসঙ্গক্রমে ছোট্ট একটা ঘটনা বলি, আমার কোনো এক আত্মীয় অতি সম্প্রতি সামান্য কিছু জমি ক্রয় করেছেন। জমি কেনার পরপরই যেহেতু নামজারির একটা ব্যাপার থাকে। তিনি যে পরিমান জমি কিনেছেন ততটুকু জমির নামজারির জন্য সরকারি ফি আমার ধারণা, সাত আটশো টাকা হতে পারে। কোনোভাবেই সেটা হাজার টাকার বেশি হবার কথা নয়। কিন্তু এই কাজ সরাসরি তিনি নিজে ভূমি অফিসে গিয়ে করাতে গেলে, তার বক্তব্য মতে- হয়রানিতে পড়তে হবে তাকে। দিনের পর দিন, এমনকি মাসের পর মাস হয়তো এর পেছনে ঘুরতে হবে তাকে। শুধু ঘুরাঘুরিতেই কার্য্যসিদ্ধি হবে, সেটারও সম্ভাবনা নেই, টেবিলে টেবিলে টাকা তাকে দিতেই হবে। না হলে ফাইল আটকে থাকবে।

এতসব ঝামেলায় না গিয়ে কিভাবে কাজটা সহজে সম্পন্ন করা যায় এ বিষয়ে আশেপাশের চেনাজানা অনেকের সাথে পরামর্শ করলেন তিনি। শেষমেষ পরিচিত এক ভেন্ডার দশ হাজার টাকায় কাজটি করে দিতে রাজি হলেন।

ইত্যবসারে জমিক্রেতা আমার আত্মীয় তার কোনো এক স্বজন মারফত জানতে পারলেন যে, পার্শ্ববর্তী এক জেলায় এই একই পরিমান জমির নামজারির জন্য খরচ বিশ পচিশ হাজার টাকার মত লাগে। পরে দশ হাজার টাকা দিয়েই এক মাসের চুক্তিতে সেই ভেন্ডারকে কাজটা করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন। এখন বলেন, আমরা কোথায় যাব? এই দেশ কিভাবে সামনে এগুবে?

এতসব সমস্যা সত্বেও আমরা নিরাশ নই। অবশ্যই আশাবাদি। আমাদের সচেতনতাই ইনশাআল্লাহ দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে চলার পথ দেখাবে।

মন্তব্যে আপনাকে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। কৃতজ্ঞতা এবং কল্যানের দুআ সবসময়।

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: সরকারী অফিসে এই খরচাপাতির বিষয়টা ক্যান্সারের মত হয়ে গেছে, নিরাময় অসম্ভব। স্রোতের বিপরীতে যারা আছে তারাই বরং অপরাধী।
১০ মাস যাবত উপজেলায় এক দপ্তরের প্রধান হিসেবে আছি। অবস্থা বিচারে আর কর্মচারিদের মনোভাব দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় চাকরী ছেড়ে দিয়ে চলে যাই। এখানে পরকালের চিন্তা না করলে জীবন যাপন খুব চমতকার।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি তো তাহলে বাস্তবের একেবারে গভীরে থেকে পরিস্থিতি দেখে চলেছেন। শুধু দেখে নয়, মোকাবেলা করে যাচ্ছেন। এই যে বলছেন, অবস্থা বিচারে আর কর্মচারিদের মনোভাব দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় চাকরী ছেড়ে দিয়ে চলে যাই। আপনার এই মানসিকতাই আপনাকে তুলে ধরে। এই মানসিকতা ও মনোভাবকে সত্যিকারার্থে শ্রদ্ধা করি। এমন মনোভাবের মানুষ পেলে বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে হয়। অশেষ শুকরিয়া। আপনার প্রতি অনিঃশেষ কল্যানের দোআ। আল্লাহ পাক আপনার পার্থিব এবং পারলৌকিক জীবনে সফলতা দান করবেন, ইনশাআল্লাহ।

আপনাদের মত মুষ্টিমেয় সংখ্যক সত্যপ্রিয় লোকদের কল্যানে এখনও এ দেশের অতি সাধারণ জনগণ কিছুটা হলেও তাদের প্রাপ্য সেবা সহজে, হয়রানি ব্যতিত পেয়ে যাচ্ছেন।

প্রত্যাশা রাখবো, চাকরিটা আপনি ছাড়বেন না। বরং এতে করে আপনার আদর্শ দেখে কিছু লোক, অন্ততঃ একজন মানুষ হলেও সুপথে আসার সুযোগ পাবেন। আপনি থেকে গেলে কিছু মানুষ তাদের প্রাপ্য সরকারি সেবাও আপনার কল্যানে কষ্ট ব্যতিরেকে গ্রহন করার সৌভাগ্য লাভ করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.