নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যক্তিগত লাইব্রেরি, চলুন ঘুরে আসি বইয়ের জগতে, সংগ্রহে রাখার যত বই; একজন মুসলিম হিসেবে আপনার যে বইগুলো পড়া দরকার

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৪

ছবিঃ অন্তর্জাল।

ব্যক্তিগত লাইব্রেরি, চলুন ঘুরে আসি বইয়ের জগতে, সংগ্রহে রাখার যত বই; একজন মুসলিম হিসেবে আপনার যে বইগুলো পড়া দরকার

বই মানুষকে সমৃদ্ধ করে। আলোকিত করে। উজ্জিবীত করে। জাগ্রত করে। পবিত্র কুরআনের প্রথম নাযিলকৃত বাণী 'ইক্করা' (اقْرَأْ) অর্থাৎ, 'পড়ুন'। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই 'ইক্করা' (اقْرَأْ) অর্থাৎ, 'পড়ুন' শব্দটি দিয়ে সর্বপ্রথম সম্বোধন করেছেন। এ কারণে পবিত্র কুরআন নাযিলের প্রারম্ভিক আয়াতগুলো লক্ষ্য করলেই ইসলাম ধর্মে পাঠন, পঠন এবং পড়ার অসাধারণ গুরুত্ব সম্যক উপলব্ধি করা সম্ভব। তিনি ইরশাদ করেন-

اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ

পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। -সূরা আলাক্ক, আয়াত-০১

خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ

সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। -সূরা আলাক্ক, আয়াত-০২

اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ

পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, -সূরা আলাক্ক, আয়াত-০৩

الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ

যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, -সূরা আলাক্ক, আয়াত-০৪

عَلَّمَ الْإِنسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ

শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। -সূরা আলাক্ক, আয়াত-০৫

অন্যত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন,

يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ

‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে ইলম দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন বহুগুণ।’ -সূরা মুজাদালা, আয়াত-১১

হাদিসের কিতাবগুলো খুললে চোখে পড়ে, জ্ঞান অর্জনে কি পরিমান গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কুরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।’ -সহীহ বুখারী ২/৭৫২

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ইলম শিক্ষার জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।’ -সহীহ মুসলিম ২/৩৪৫

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির চেহারা উজ্জ্বল করে দিন, যে আমার কোনো হাদীস শুনেছে। অতঃপর অন্যের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।’ -সুনানে আবু দাউদ ২/৫১৫

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা যাকে প্রভূত কল্যাণ দিতে চান তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন।’ - সহীহ বুখারী ১/১৬

অন্য হাদিসে আছে, ‘আলিমগণ নবীগণের ওয়ারিস।’ -তিরমিযী ২/৯৭

আরেক হাদিসে এসেছে, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ইলম অনুসন্ধানে বের হয় সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে।’ -জামে তিরমিযী ২/৯৩

এমনিভাবে কুরআন হাদিসে আলোকিত মানুষ গড়ার জন্য, জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত জাতি গঠনের লক্ষ্যে, পড়ার প্রতি, পাঠের প্রতি, অনুধাবনের প্রতি, গবেষনার প্রতি বিভিন্নভাবে নির্দেশনা এবং উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে মানব জাতিকে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হলে নিবন্ধের কলেবর বৃদ্ধি পাবে বলে সংক্ষেপ করে মূল বিষয়ে যাওয়া শ্রেয় মনে করছি। তবে তার আগে একজন মুসলিম হিসেবে আমার কি পড়া উচিত এবং কোন বিষয়ের পাঠ গ্রহন হতে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয় সে সম্মন্ধে সামান্য ধারণা নেয়া আবশ্যক মনে করছি।

আমি কি পড়ব? এবং কেন পড়ব?

মৌলিক দিক থেকে শিক্ষাকে যদি বিশ্লেষণ করা হয় তাহলে দেখা যায় যে, শিক্ষা দুই প্রকার, যথা : জাগতিক শিক্ষা ও দ্বীনী শিক্ষা। মানুষের জাগতিক প্রয়োজন পূরণের উপযোগী জ্ঞান ও বিদ্যা হচ্ছে জাগতিক শিক্ষা। যেমন- বিজ্ঞান, চিকিৎসা, গণিত ইত্যাদি। এই শিক্ষার মূল সূত্র মানব উদ্ভাবিত। এর পেছনে রয়েছে মানুষের গবেষনা এবং আহরিত জ্ঞানের অভিজ্ঞতা। পক্ষান্তরে জীবনের সার্বিক পথ পরিক্রমায় আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত বিধানাবলীর সঠিক প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি অর্জনের জ্ঞান হচ্ছে দ্বীনী শিক্ষা। এই শিক্ষার মূল সূত্র আল্লাহ তাআ'লার বাণী তথা ওহী; যা আসমানি কিতাব হিসেবে আমরা লাভ করেছি।

জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাঃ

মহান আল্লাহ তাআলা দুনিয়াকে দারুল আসবাব তথা উপকরণের জগত বানিয়ে আমাদের পার্থিব জীবনকে এসবের উপরে নির্ভরশীল করে দিয়েছেন। এই নির্ভরশীলতার ফলে আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনের মুখোমুখি হয়ে থাকি। এই প্রয়োজনগুলো পূরণের জন্য এবং আমাদের উপরে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে আঞ্জাম দেওয়ার লক্ষ্যে আমাদেরকে দান করা হয়েছে উপলব্ধি, অনুভূতি, সজাগ বিবেক এবং প্রয়োজনীয় জ্ঞান-বুদ্ধি। এগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য ইসলাম পূর্ণমাত্রায় গুরুত্ব দিয়েছে। কল্যানকর কাজে এসবের পূর্ণ ব্যবহারকে ইসলাম শুধু জায়েজই করেনি বরং নিরন্তর উৎসাহিত করেছে।

জাগতিক জ্ঞান অর্জনে ইসলামের বক্তব্যঃ

আগেই বলা হয়েছে যে, কল্যানকর কাজের জ্ঞানার্জনে ইসলাম শুধু জায়েজই বলেনি বরং নিরন্তর উৎসাহিত করেছে। এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত দার্শনিক ইমাম গাযালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, অনুমোদিত জাগতিক জ্ঞান দুই ভাগে বিভক্ত : ১. যা চর্চা করা অপরিহার্য ২. যা চর্চা করা উত্তম।

প্রথমটি হচ্ছে ওই সব জ্ঞান যা জীবন যাপনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। যেমন চিকিৎসা বিদ্যা। কেননা, স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য এই জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তদ্রূপ গণিত। কেননা, লেনদেন, মিরাছ বন্টন ইত্যাদি বিষয়ে তা প্রয়োজন। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানে পারদর্শী কেউ না থাকে তাহলে সকলেই কষ্টে পতিত হবে। একইভাবে কৃষি, বয়ন, রাষ্ট্রনীতি ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞানও অপরিহার্য। -ইহইয়াউ উলূমিদ দ্বীন ১/২৯-৩০

পক্ষান্তরে যা মানুষকে কুফর ও ইলহাদের দিকে টেনে নিয়ে যায় তা চর্চা করা হারাম। যেমন- ইসলাম বিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরী সাহিত্য ইত্যাদি। তদ্রূপ অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় চর্চা করাও নিষেধ।

মোটকথা, পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। তাই জাগতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানকে মৌলিকভাবে অনৈসলামিক মনে করার অবকাশ নেই। তবে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণের ফলে, নিজেদেরকে আধুনিকতার ধারকবাহক জাহির করতে গিয়ে শিক্ষার উপাদান ও পরিবেশে নাস্তিকতা ও ধর্মহীনতার অনুপ্রবেশ ঘটানো কাম্য নয়। যেমনটা কোনো কোনো জনপদের ক্ষেত্রে দুঃখজনকভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। নিজেদের ধর্মীয় মূল্যবোধ, স্বকীয় আদর্শ-বৈশিষ্ট্য সকল কিছুকে জলাঞ্জলী দিয়ে পাশ্চাত্বের অন্ধানুকরণপ্রিয়তার এমন দৃষ্টান্ত একটি মুসলিম দেশের জন্য সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। সামান্য চিন্তা করলেই বুঝা যায়, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারদর্শিতা অর্জনের ক্ষেত্রে তাদের আপত্তিকর নীতি, দর্শন ও অনৈসলামিক পরিবেশের কোনো প্রয়োজন নেই। নিজেদের স্বকীয় আদর্শ ও বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেই তা করা সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই যে, জাগতিক জ্ঞান ও কলাকৌশল অর্জন করার একটি খালিছ দ্বীনী দিকও রয়েছে। সেক্ষেত্রে তা দ্বীনী খিদমত হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার যুগে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সামরিক শক্তিতে সর্বোচ্চ পারদর্শিতা প্রয়োজন। কুরআন মজীদে মুসলমানদেরকে আদেশ করে বলা হয়েছে, ‘তোমরা তোমাদের সাধ্যমতো শক্তি অর্জন কর ...।’ -সূরা আনফাল : ৬০

অতএব ইসলামের খিদমতের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করা হলে সেটা আর দুনিয়াবী কাজ থাকে না, সম্পূর্ণরূপে ইসলামের খিদমত হিসেবে গণ্য হয়। তদ্রূপ দ্বীনের প্রচার-প্রসারের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা এবং প্রকাশনার অত্যাধুনিক মাধ্যমগুলোর জ্ঞান অর্জন করার প্রয়োজন রয়েছে।

মোটকথা, সত্যিকারার্থে দ্বীনী খিদমতের জন্য বিভিন্ন জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। দ্বীনী খিদমতের উদ্দেশ্যে তা অর্জন করা হলে তা দ্বীনী কাজে পরিণত হয় এবং তাতে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত হয়।

আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় সওয়াবপ্রাপ্তির আশা করা যায়?

উপরোক্ত আলোচনা থেকে এই প্রশ্নেরও উত্তর পাওয়া যায় যে, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় সওয়াব হয় কি না। যদি দ্বীনের খিদমতের উদ্দেশ্যে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় আত্মনিয়োগ করা হয় তবে যে এতে সওয়াব হবে তা তো বলাই বাহুল্য। পক্ষান্তরে হালাল পন্থায় জীবিকা উপার্জন, পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের খিদমত, পরিবার-পরিজনের হক আদায়, সমাজ ও দেশের সেবা ইত্যাদি উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জনের পেছনে যুক্ত থাকলে এতেও সওয়াব রয়েছে।

তবে আজকের দিনে পিছিয়ে পড়া মুসলিম জাতির এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার তীব্র প্রয়োজন তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই অধিক অনুভূত হচ্ছে। সওয়াব তো রয়েছেই, অস্তিত্ব রক্ষার বিষয়টিও তো চিন্তা চেতনায় জাগ্রত রাখতে হবে। আজ ধনী মুসলিম দেশগুলো, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রোডলার আর স্বর্ণ বিক্রির অর্থে অঢেল সম্পদের অধিকারী রাজরাজাদের অধিকাংশই আত্মবিস্মৃত, উদাসী এবং অকর্মণ্য। বিলাসীতার শীত নিদ্রায় বিভোর। সুরক্ষিত হেরেমে তাদের মখমলের কোমল আবেশ। সুরম্য অট্টালিকায় রাশিরাশি পানপাত্রের বেশুমার ঝনঝন আওয়াজ আর নিত্য ভোজের বহুব্যাপক বর্ণিল আয়োজন বাইরের দুনিয়ার আর্তপীড়িত অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত কোটি কোটি বনি আদমের গগনবিদারি চিৎকার আর কান্না তাদের কান স্পর্শ করতে পারে না। তারা পাশ্চাত্বের অন্ধ তেলবাজি আর দালালিতে লিপ্ত, নিজেদের মসনদ ধরে রাখতে মোসাহেবি আর গোলামিতে নির্লিপ্ত, আকন্ঠ নিমজ্জিত। বাদবাকি দুনিয়ার বাকিরাও বলা চলে এদেরই ধ্বজাধারী। সাফ কথা বলার মানুষ দু'একজন ব্যতিত চোখে পড়ে না। জ্ঞানে বিজ্ঞানে, সাহসে সম্ভ্রমে বুকে হাত দিয়ে কথা বলার মত মানুষ চাই। এরদোগান-মাহাথিরদের মত সাহসের স্বর চাই। কন্ঠস্বর চাই। এদের বোধোদয় হওয়ার সময় কখন আসবে? এই কূম্ভকর্ণের নিদ ভাঙ্গার সময় কখন হবে? রাত তো কম হলো না। সুবহে সাদিকের আর কত দেরি? আর কত?

একদা জ্ঞানের মশাল হাতে পৃথিবীকে পথ দেখিয়েছেন মুসলিম জ্ঞানীগুণীগণঃ

জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবদান অন্যান্য ধর্ম ও জাতির তুলনায় অনেক বেশি। ইসলামের সূচনা থেকেই শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান-বিজ্ঞান, সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে মুসলমানদের যাত্রা শুরু হয়। মুসলিম র্দাশনিকদের সৃষ্টিশীল প্রতিভার ফলেই জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অভাবনীয় সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মুসলমানঃ

বিজ্ঞানের প্রায় সব শাখায় মুসলমানদের অবদান রয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চাকে ইসলাম ধর্ম মর্যাদা দান করেছে। ফলে যুগে যুগে অনেক মুসলিম মনীষী জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। মানবিক জীবনের যাবতীয় সমাধান পবিত্র গ্রন্থ কোরআন শরীফে রয়েছে। কোরআনকে পর্যবেক্ষণ করে মানবতার কল্যাণে মুসলিম বিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন বিষয় আবিষ্কার করেছেন। চিকিৎসাশাস্ত্র, রসায়নশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা প্রভৃতিতে মুসলিম মনীষীদের ব্যাপক অবদান লক্ষণীয়।

চিকিৎসাশাস্ত্রঃ

জ্ঞান-বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হলো চিকিৎসা বিজ্ঞান। শরীর সম্পর্কিত বিদ্যা হলো চিকিৎসা বিজ্ঞান। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা ও উৎকর্ষ সাধনের ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসাশাস্ত্রে বিভিন্ন মুসলিম মনীষীগণ বিশেষ ভূমিকা রাখেন। তাদের মধ্যে ইবনে সিনা, আল-রাজী, আল-কিন্দি, আলী আত তাবারী, ইবনে রুশদ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

ঔষধশাস্ত্রঃ

মুসলমানগণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে ঔষধ শাস্ত্রে ব্যাপক অবদান রাখে। তারা নিজেরা বিভিন্ন রোগের ঔষধ তৈরি করতো। তাছাড়া ঔষধ তৈরি এবং বিভিন্ন রোগের সমাধান প্রসঙ্গে বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেন। যেমন ইবনে সিনা কানুন-ফিত-তিব্ব, আল রাজী কিতাবুল মনসুরী, আলবেরুনী কিতাব আস সায়দালা প্রভৃতি গ্রন্থ রচনা করেন।

মস্তিষ্কে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ঝিল্লির প্রদাহঃ

চিকিৎসাশাস্ত্রের কথা বলতে গেলে যার নাম সর্বপ্রথম আসে তিনি হলেন ইবনে সিনা। তাকে আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক বলা হয়। তিনিই সর্বপ্রথম মস্তিষ্কে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ঝিল্লির প্রদাহ সম্পর্কে গবেষণা করেন। তাছাড়া তিনি যক্ষা রোগের সংক্রামক, প্রকৃতি, প্রাণী ও মৃত্তিকা দ্বারা রোগ বিস্তারের ধারণা ও কৃমি রোগ সম্পর্কে আলোচনা করেন।

অস্ত্রোপচারঃ

মুসলিম বিজ্ঞানী আল-রাজী সর্বপ্রথম অস্ত্রোপচার বিষয়ে আধুনিক ভাবনা উদ্ভাবন করেন।

চক্ষু চিকিৎসায়ঃ

মুসলমানগণ চক্ষু চিকিৎসায় বিশেষ দক্ষতা দেখিয়েছেন। চক্ষু চিকিৎসাবিদ আম্মারের গ্রন্থ- আল মুস্তাখাব-আল আইন গ্রন্থে চক্ষুরোগ ও সেগুলোর চিকিৎসার বিবরণ পাওয়া যায়।

বিভিন্ন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাঃ

সঠিক চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, গবেষণা এবং ব্যবহারিক জ্ঞানর্চচার স্বার্থে বিভিন্ন স্থানে হাসপাতাল গড়ে তোলে মুসলমানরা। তার মধ্যে বাগদাদের আদুরী জুন্দিমাপুর হাসপাতাল, দামেস্কের নুরী ও আল মনসুরী হাসপাতাল উল্লেখযোগ্য।

রসায়নশাস্ত্রঃ

বিজ্ঞানের সর্ববৃহৎ ও প্রধান শাখার নাম রসায়ন। রসায়নশাস্ত্রের জনক বলা হয় জাবির ইবনে হাইয়ানকে। রসায়নশাস্ত্রে বিভিন্ন মুসলিম মনীষী অবদান রাখেন। তাদের মধ্যে জাবির ইবনে হাইয়ান, খালিদ বিন-ইয়াজিদ, জাকারিয়া আল রাজী, আল-জিলদাকী প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

যৌগিক সূত্র আবিষ্কারঃ

জাবির ইবনে হাইয়ান প্রথম যবক্ষার এসিড, গন্ধক, দ্রাবক, জল দাব্রক, রৌপ্যক্ষার ও অনান্য যৌগিক সূত্র আবিষ্কার করেন। তাছাড়া তিনি ভস্মীকরণ ও লঘুকরণকে বৈজ্ঞানিক নিয়মে আলোচনা করেছেন।

ডিমের পানি প্রস্তুতকরণঃ

একাদশ শতাব্দীর বিখ্যাত রসায়নবিদ ইমাম জাফর আস-সাদিক সর্বপ্রথম রসায়ন শাস্ত্রের আলোকে ডিমের পানি প্রস্তুতকরণ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।

ধাতুর পরিবর্তনঃ

মুসলিম মনীষী আবুল কাশেম আল ইরাকী সর্বপ্রথম ধাতুর পরিবর্তন সর্ম্পকে ধারণা দেন।

গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনাঃ

রাসায়নশাস্ত্রের বিভিন্ন খুটিঁনাটি বিষয় সম্পর্কে মুসলিম মনীষীগণ বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে রসায়নশাস্ত্রের মূল্যবান তথ্যসম্ভার। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে কিতাবুল আসার, কিতাবুল শাওয়াহিদ, কাশফুস সুতুর, কিতাবুল হারাবাত প্রভৃতি।

জ্যোতির্বিদ্যাঃ

জ্যোতির্বিদ্যা হলো মহাকাশ সম্পর্কীত বিজ্ঞান। গ্রহ, নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য ও অলৌকিক বস্তু সমূহের গতিবিধি নিয়ে যে শাস্ত্র আলোচনা করে তাকে জ্যোতির্বিজ্ঞান বলে। পৃথিবীর গতিবিধি, অক্ষাংশের পরিবর্তন, ধূমকেতুর রূপ নির্ণয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবদান ঈর্ষনীয়। জ্যোতির্বিদ্যার উৎকর্ষ সাধনে যে কজন অবদান রেখেছে তাদের মধ্যে আল মনসুর, আন মামুন, আবু মাশার, আল খারেজমী, আবুল হাসান প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

মান মন্দির স্থাপনঃ

মুসলমানগণই সর্বপ্রথম ইউরোপে মান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে মুসলমানরা মান মন্দির প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি অবলোকন করে জ্যোতির্বিজ্ঞান শাস্ত্রের ব্যাপক উন্নতি সাধন করেন।

মানচিত্রের ধারণাঃ

বিশ্ব মানচিত্রের প্রথম ধারণা দেন মুসলিম মনীষী আল-খারেজমী। পরবর্তীতে এটিই বিশ্ব মানচিত্রের মডেল হিসেবে স্বীকৃত হয়।

বর্ষপঞ্জি ও নক্ষত্রঃ

উমর খৈয়াম প্রথম বর্ষপঞ্জি প্রনয়ণ করেন। পরবর্তীতে আল-বাত্তানী সর্বপ্রথম নক্ষত্রের চার্ট তৈরি করেন।

উদ্ভিদবিদ্যাঃ

উদ্ভিদবিদ্যায় মুসলমানদের অবদান অপরিসীম। উদ্ভিদবিদদের মধ্যে ইবনে বাতরের নাম উল্লেখযোগ্য। লতাপাতা সম্পর্কিত তাঁর তথ্যবহুল গ্রন্থটি আজও সকলের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তাছাড়া মুসলমানরা ভূতত্ত্ব ও প্রাণিতত্ত্বে উন্নতি সাধন করেছিলেন।

পর্দাথবিদ্যাঃ

জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার ন্যায় মুসলমানরা পর্দাথবিদ্যায় ব্যাপক অবদান রেখেছেন। পর্দাথবিজ্ঞানে যেসব মনীষী অসামান্য অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে ইবনে রুশদ, আলবেরুনী, আল-খারেজমী, ইবনুল হাইসাম প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। পর্দাথবিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে তামহিদুল মুসতাকাররে লিমানিল মামারবে, কিতাবুল মানায়িব, রিসালাতু ফিশাশফক প্রভৃতি।

গণিতশাস্ত্রঃ

গণিতশাস্ত্রের প্রচলন, অগ্রগতি, ও উৎকর্ষতায় মুসলমানদের অবদান অনস্বীকার্য। যারা গণিতশাস্ত্রকে উন্নতির আসনে বসিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছে- আল বেরুনী, আল-খারেজমী, আল-কারখী, ওমর খৈয়াম, আবুল ওয়াদা প্রমুখ।

সংখ্যাবাচক চিহ্নঃ

মুসলিম গণিতবিদ আল খারেজমী সর্বপ্রথম সংখ্যাবাচক চিহ্নের ব্যবহার বিষয়ে ধারনা দেন। গণিতশাস্ত্রের উপর তার বিখ্যাত গ্রন্থ হলো কিতাবুল হিন্দ। এখানে তিনি গণিতের বিভিন্ন জটিল বিষয়ের সমাধান দেখিয়েছেন।

দূরত্ব নির্ণয়ঃ

বিজ্ঞান ও গণিত জগতের এক অনন্য নাম ইবনুল হাইশাম। তিনিই প্রথম জ্যামিতিক গণনার সাহায্যে পৃথিবীর যেকোনো দুটি স্থানের মধ্যে দূরত্ব নির্ণয় করেন।

সমুদ্র সূর্য ও নক্ষত্রঃ

মুসলিম বিজ্ঞানী আল-ফারাবী সর্বপ্রথম সমুদ্রে সূর্য ও নক্ষত্র সমূহের উচ্চতা নির্ণয় করার আস্তারলব নির্মান করেন।

স্থাপত্যবিদ্যাঃ

মুসলিম জাতির শৈল্পিক পরিচয় পাওয়া যায় স্থাপত্য শিল্পের মাধ্যমে। হযরত মুহাম্মদ (স.) মদিনা মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে মুসলিম স্থাপত্য বিদ্যার গোড়াপত্তন করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন মুসলিম মনীষীগণ স্থাপত্য শিল্পের বিশেষ অবদান রাখেন। খলিফা আল মনসুরের সমৃদ্ধ বাগদাদ নগরী প্রতিষ্ঠা, দামেস্ক জামে মসজিদ স্থাপন এবং খলিফা ওয়ালিদের আমলে বৈরুত রাস্তার পাশে আনজার প্রাসাদ নির্মান তৎকালীন সময়ে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত ছিল।

পবিত্র কুরআনুল হাকিম ও তাফসীরের নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহঃ

আল কুরআন বিজ্ঞানময় ঐশীগ্রন্থ। আধুনিক বিজ্ঞানীগণ আজ পর্যন্ত আল কুরআনের কোন বক্তব্য অসার প্রমান করতে পারেননি। পবিত্র কুরআনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ আয়াতই প্রত্যক্ষভাবে বিজ্ঞান সম্পৃক্ত। ফ্রান্সের বিখ্যাত দার্শনিক এবং চিকিৎসক ডক্টর মরিস বুকাইলির
ভাষ্যমতে- কুরআনে এমন একটি বক্তব্যও নেই যে বক্তব্যকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক বিচারে খন্ডন করা যেতে পারে। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের এই নির্ভুল ও বিজ্ঞানময়তার খবর মুসলিম গৌরবময় যুগের পর মুসলিম জাতি এক পর্যায়ে ভুলে গেলেও, ভুলেননি পাশ্চাত্যের জ্ঞানীগুণী পন্ডিতগণ। ল্যাটিন, জার্মান প্রভৃতি ভাষায় কুরআনের প্রচুর অনুবাদ করা হয় এবং তারা কুরআন গবেষণার মাধ্যমে প্রচুর বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব, তথ্য ও আবিস্কার পৃথিবীকে উপহার দিতে সক্ষম হন। উদাহরণ স্বরূপ, একটা সময় মানুষের ধারণা ছিল যে, মানুষের কথা বাতাসে হারিয়ে যায়। কিন্তু কুরআনের স্পষ্ট বক্তব্যে পাশ্চাত্যের জানতে সক্ষম হন যে, মানুষের মুখ নি:সৃত প্রতিটি কথা বাতাসে ভাসমান অবস্থায় ইথারের স্তরে স্তরে থেকে যায়। হারিয়ে যায় না। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে-

يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا

সেদিন সে তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে। -সূরা যিলযাল, আয়াত- ০৪

উক্ত আয়াতে সব কথা একদিন প্রকাশ হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে। একথার দ্বারা বুঝা যায় যে, কোনো কথাই আসলে হারিয়ে যায় না। সংরক্ষন করা হয়। সুসংরক্ষিত থেকে যায়। সুতরাং, বেতার আবিস্কারের বহু শতকের সাধনা আল কুরআনের এই বাণীতে নিহিত এবং পাশ্চাত্যের পন্ডিতগণ তা যথাযথভাবেই কাজে লাগিয়েছেন।

একইভাবে মহাকাশ, চন্দ্র সূর্যের পরিক্রমণ, মধ্যাকর্ষণ শক্তি, মানুষ ও জীবের সৃষ্টি প্রক্রিয়া, উদ্ভিদ, প্রাণী ও রসায়ন প্রভৃতি বিষয়ের অধিকাংশ আবিস্কারের কৃতিত্ব পাশ্চাত্যের পন্ডিতদের দখলে থাকলেও এসবের বেশির ভাগেরই উল্লেখ আল কুরআনে ছিল হাজার বছর পূর্বেই। মুসলিম জাতি তাদের বৈজ্ঞানিক বিপ্লব সংগঠিত করেছিল আল কুরআনের বলেই। বিজ্ঞানের এমন কোন শাখা নেই যেখানে মুসলিম মনীষীদের হাতের ছোঁয়া লাগেনি। তাদের রচিত যুগশ্রেষ্ঠ ও কালজ্বয়ী গ্রন্থগুলো শত শত বছর ধরেই ইউরোপে পাঠ্যসূচী ছিল। ইবনে সীনা, আল রাজী, আবুল কাসেম জাহারাভী, ইবনুল হাইছাম, জারকালী, জাবির বিন হাইয়ান, মুসা আল খাওয়ারেজমী প্রমুখ বিজ্ঞানীদের আবিস্কার ও রচনাবলী যুগ যুগ ধরে ইউরোপের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল পাঠ্যসূচী ছিল।

মুসলমানদের হাজার বছরের সভ্যতা ও সংস্কৃতির এক উজ্জ্বলতম কেন্দ্র ছিল মুসলিম স্পেন। দীর্ঘ সাতশত বছর স্পেন মুসলমানদের অধীনে ছিল। বাগদাদ, কনস্টান্টিনোপল ও কর্ডোভায় মুসলিম উৎকর্ষতার চরম বিকাশ লাভ করে। তবে স্পেনের কর্ডোভা ছিল স্বতন্ত্র মর্যাদার অধিকারী। মুসলিম স্পেন যখন জ্ঞান বিজ্ঞান, শিল্প-সভ্যতা ও সংস্কৃতি চর্চায় নিমগ্ন তখন ইউরোপীয়রা অজ্ঞতা-বর্বরতায় নিমজ্জত ছিলেন। লেনপুল বলেন- All Europe was then plunged in barbaric ignorance and savage manners. অর্থাৎ, 'সমস্ত ইউরোপ তখন বর্বর অজ্ঞতা এবং বর্বর আচরণে নিমগ্ন ছিল।'

অসংখ্য মুসলিম মনীষীদের নাম, রচনাবলী, গবেষণা ও কৃতিত্ব পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয় দখল হাত বদলের কারণে মুসলিম কৃতিত্বের বেশির ভাগ নিদর্শনই ধ্বংস হয়েছে বর্বর ইউরোপীয়দের হাতে। নদীতে নিক্ষেপ করে, গ্রন্থাগারে আগুন দিয়ে তারা ধ্বংস করেছে অমূল্য সব পান্ডুলিপি। ১৬শ শতাব্দীতে খৃষ্টান বিজ্ঞানী রামুজ মধ্যপ্রাচ্যে ইবনুল হাইছামের একটি পান্ডুলিপি খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। একদিন পুরনো এক বইয়ের দোকানে ধুলোবালি মাখা ছেঁড়া ঐ পান্ডুলিপি খুঁজে পেয়ে তিনি এমনই আনন্দিত হন যে, যেন সাত রাজার ধন পেয়েছেন।

বলতে হয়, মুসলমানদের বিভিন্ন আবিষ্কার, গবেষণাকর্ম ও সূত্র বিজ্ঞানকে করেছে সমৃদ্ধশালী। বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান বর্ণনাতীত। যদিও মুসলমানদের কৃতিত্বের অনেক কিছুই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাদ পড়েছে। কিন্তু একথা সবাইকে স্বীকার করতে হবে যে, মুসলমানরা আধুনিক বিজ্ঞানের সফল পথিকৃৎ। চলুন, মূল আলোচনায় প্রবেশ করি। কিছু বইপত্রের সাথে পরিচিত হয়ে নিই। এবং শুধু পরিচয়ের মাঝেই সীমাবদ্ধ না রেখে সংগ্রহে এনে এগুলো অধ্যয়ন ও আত্মস্থ করার প্রচেষ্টায়ও সফল হই ইনশাআল্লাহ।

মহাগ্রন্থ আল কুরআন এবং তাফসীর বিষয়ক গ্রন্থাবলীঃ

১। কোরআন শরীফ সরল বঙ্গানুবাদ, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মাওলা ব্রাদার্স।
২। কুর'আনুল কারীম আরবি বাংলা তাফসীর, অনুবাদঃ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান, দারুসসালাম।
৩। কোরআন সূত্র -পবিত্র কোরান এর বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সংকলিত, বাংলা একাডেমী, ঢাকা।
৪। আল কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
৫। সহজ জামালুল কুরআন, ১০ মিনিটে তাজবীদ শিক্ষা।
৬। নুজহাতুল ক্বারি, সহজ বাংলা অনুবাদ, বিশুদ্ধ কোরআন শিক্ষার সহায়ক।
৭। নূরানী হাফেজী কোরআন শরীফ, এমদাদীয়া লাইব্রেরী।
৮। নূরানী কুরআন শরীফ, এমদাদিয়া লাইব্রেরী।
৯। ছহীহ নুরানী কোরআন শরীফ, আরবী বাংলা উচ্চারন, সহজ-সরল বঙ্গানুবাদ, শানে নুযূল ও প্রয়োজনীয় টীকাসহ, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ., ৩০ পারা আলাদাভাবে।
১০। শব্দার্থে আল কুরআনুল মজীদ ১ম খন্ড থেকে ১০ম খন্ড, মতিউর রহমান খান, প্রকাশনীঃ আধুনিক প্রকাশনী
১১। কুরআন শরীফ - গিরিশ চন্দ্র সেন অনুদিত
১২। আল কোরআনের অভিধান সংকলনে মুহাম্মদ খলিলুর রহমান মুমিন, বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, ঢাকা।
১৩। কোরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড একত্রে) আলহাজ্জ মাওলানা লুৎফুল আলম, ছারছীনা দারুছুন্নাত লাইব্রেরি
১৪। লুগাতুল কোরআন আবদুল করিম পারেখ, অনুবাদঃ মাওলানা নাজমুল হক নোমানী
১৫। তফসীরে মা'আরেফুল কোরআন, হযরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ শফী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
১৬। কুরআনুল কারীম -বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর ১ম ও ২য় খন্ড, ড: আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া।
১৭। তাফসীরে তাবারী শরীফ ১ম থেকে ৯ম খন্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
১৮। তাফসীরে তাওযীহুল কুরান প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড, মুফতি মুহাম্মাদ তাকী উসমানী, মাকতুবাতুল আশরাফ, ঢাকা।
১৯। কান‌যুল ঈমান তরজমা ও তাফসীর বাংলা সুরা ফাতিহা থেকে ৩০ পারা সম্পূর্ণ
২০। তাফসীরে জালালাইন, ইসলামিয়া কুতুবখানা ঢাকা। ১-৭ খন্ড
২১। তাফসীরে মাযহারী মূলঃ কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথী ১-১২ খন্ড
২২। তাফসীরে ইবনে কাছীর ১ম থকে একাদশ খণ্ড ইসঃ ফাঃ বাঃ
২৩। তাফসীরে ইবন্‌ আব্বাস -প্রথম খণ্ড ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
২৪। তাফসীরে ইবন্‌ আব্বাস - দ্বিতীয় খণ্ড ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
২৫। তাফসীরে ইবন্‌ আব্বাস -তৃতীয় ও শেষ খণ্ড ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
২৬। কোরআন শরীফ বাংলা অনুবাদ ও বিস্তারিত তফসির -১ম খণ্ড মোহাম্মদ আকরম খাঁ, পুরাতন প্রিন্ট
২৭। কোরআন শরীফ বাংলা অনুবাদ ও বিস্তারিত তফসির -২য় খণ্ড মোহাম্মদ আকরম খাঁ, পুরাতন প্রিন্ট
২৮। আল কুরআন আত তাফসির - আবদুস শহীদ নাসিম
২৯। শব্দার্থে আল কুরআনুল মজীদ ১ম খন্ড থেকে ১০ম খন্ড, মতিউর রহমান খান, প্রকাশনীঃ আধুনিক প্রকাশনী
৩০। নূরানী পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষা - হযরত মাওলানা ক্বারী বেলায়েত হুসাইন

হাদিসের বিখ্যাত কিতাবসমূহঃ

১। বুখারী শরীফ

বুখারী শরীফ ১ম খন্ড থেকে ১০ম খন্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রকাশিত।

বুখারী শরীফ ১ম খন্ড থেকে ৭ম খন্ড, মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী, মাওলানা আজিজুল হক সাহেব অনুদিত, প্রকাশনায় হামিদিয়া লাইব্রেরী।

২। মুসলিম শরীফ

মুসলিম শরীফ ১ম খন্ড থেকে ৬ষ্ঠ খন্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রকাশিত।

মুসলিম শরীফ ১ম খন্ড থেকে ৭ম খন্ড, বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার প্রকাশিত।

৩। সুনানু ইবনে মাজাহ

সুনানু ইবনে মাজাহ ১ম খন্ড থেকে ৩য় খন্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

৪। তিরমিযী শরীফ

তিরমিযী শরীফ ১ম খন্ড থেকে ৬ষ্ঠ খন্ড, ইমাম আবূ ঈসা আত তিরমিযী ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

৫। সুনানু নাসাঈ শরীফ

সুনানু নাসাঈ শরীফ ১ম খন্ড থেকে ৫ম খন্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

৬। আবু দাউদ শরীফ

আবু দাউদ শরীফ ১ম খন্ড থেকে ৫ম খন্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

সুনান আবূ দাউদ ১ম খন্ড থেকে ৬ষ্ঠ খন্ড, বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার।

৭। মেশকাত শরীফ

মেশকাত শরীফ বাংলা অনুবাদ - ১ থেকে ১১ খন্ড একত্রে, সোলেমানিয়া বুক হাউজ।

৮। মুয়াত্তা ইমাম মালিক

মুয়াত্তা ইমাম মালিক ১ম খন্ড থেকে ২য় খন্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

নামাজ (সালাত) বিষয়ক বই সমূহঃ

১। নবীজীর নামায (সহীহ হাদিসে উল্লেখিত মাসনূন নামাযের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ হাদিস বিশারদগণের উদ্ধৃতি, বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনায় সমৃদ্ধ একটি প্রামাণ্য উপস্থাপনা) মূলঃ ড. শাইখ মুহাম্মাদ ইলিয়াস ফয়সাল, অনুবাদঃ মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক।
২। দলিলসহ নামাযের মাসায়েল, মাওলানা আব্দুল মতিন
৩। কীভাবে নামাজের মধুরতা লাভ করা যায়? মিশারী আল-খারাজ
৪। সহীহ হাদীসের আলোকে: হানাফীদের নামায, মাওলানা মুফতী তারেকুজ্জামান

ইসলামের ইতিহাস বিষয়ক বই সমূহঃ

১। আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইসলামের আদি অন্ত, প্রথম খন্ড - দশম খন্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
২। ইতিহাসের দুর্লভ তথ্যাবলী, মাওলানা মুহাম্মদ গোফরান রশিদী কীরানভী
৩। ইতিকাহিনী, ইবরাহিম খাঁ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন
৪। ইতিহাস কথা কয়, মুহমদ আবূ তালিব
৫। তারীখুল ইসলাম -প্রথম খণ্ড মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মিয়া (ভারত), অনুবাদঃ মোহাম্মদ খালেদ, আশ্রাফিয়া লাইব্রেরী
৬। ওয়াহাবী থেকে খিলাফত একটি বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অধ্যায়, শ্যামাপ্রসাদ বসু, নবজাতক প্রকাশন, কোলকাতা
৭। এ এক অন্য ইতিহাস, আল্লাম গোলাম আহমাদ মোর্তজা
৮। বাজেয়াপ্ত ইতিহাস, গোলাম আহমদ মোর্তজা
৯। উত্তর আফ্রিকা ও মিশরে ফাতেমিয়দের ইতিহাস, এ এইচ এম শামসুর রহমান
১০। ইতিহাসের ইতিহাস -গবেষণামুলক, উদ্বৃতি ও তথ্যবহুল গ্রন্থ, গোলাম আহমাদ মোর্তজা
১১। ইতিহাস থেকে, মোঃ ইউনুস মিয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
১২। ইসলামের অভ্যুদয় এবং বাংলাদেশ (১২০৪-১৭৬০), রিচার্ড এম ইটন, হাসান শরীফ অনুদিত, ইসলামিক ফাউন্ডেশন
১৩। মুঘল আমলে বাংলায় মুসলিম শাসনের ইতিহাস (১৬১৪-১৭৫৭ সাল), ডক্টর মুহাম্মদ মোহর আলী
১৪। মুসলিম আমলে বাংলার শাসনকর্তা, আশকার ইবনে শাইখ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
১৫। মধ্যপ্রাচ্যের ডায়েরি, সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদবী
১৬। তারীখে ইলমে হাদীস (হাদীস চরচার ইতিহাস), মূলঃ মুফতি সাইয়েদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন
১৭। তারীখে ইসলাম, সাইয়েদ মুহাম্মাদ আমীনুল ইহসান, আধুনিক প্রকাশনী
১৮। তারিক ইবনে যিয়াদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র সীরাতঃ

১। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জীবনী বিশ্বকোষ আফযালুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
২। জিহাদের ময়দান হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মুহাম্মদ লুতফুল হক অনূদিত, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৩। রাসুল মুহাম্মদ (সাঃ)-এর সরকার কাঠামো ড মুহাম্মদ ইয়াসীন মাজহার সিদ্দিকী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৪। সীরাত বিশ্বকোষ ১ম খণ্ড থেকে দ্বাদশ খণ্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৫। মহানবীর (সাঃ) প্রতিরক্ষা কৌশল- 'হাদিসে দেফা’ নামক বিখ্যাত উর্দু গ্রন্থের বাংলা তরজমা জেনারেল আকবর খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৬। বিশ্বনবী লেখকঃ গোলাম মোস্তফা
৭। বিশ্বনবী - প্রথম খন্ড গোলাম মোস্তফা কোলকাতা ১৯৬৩ ইং
৮। সীরাতুল মোস্তফা (সাঃ)-প্রথম খন্ড আল্লামা ইদরীস কান্ধলবী (র) আবুল কালাম আযাদ অনুদিত ইসঃ ফাঃ বাংলাদেশ
৯। সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া হযরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ সফী
১০। সীরাহ- ই- নববী শহীদ অধ্যাপক আয়াতুল্লাহ মোরতাজা মোতাহহারী
১১। সিরাতে ইবনে হিশাম (রাসুল সাঃ এর জীবনী) বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার
১২। সীরাতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) ইবনে ইসহাক
১৩। নবীয়ে রহমত সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী
১৪। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লামা ডঃ মুহাম্মদ ইনায়েতুল্লা সুবহানী, বাগদাদ লাইব্রেরী
১৫। নবী করিম (সাঃ) এর ওসীয়ত ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
১৬। নবী করিম (সাঃ) এর ওসীয়ত আল্লামা আবুল ফজল আবদুর রহমান সুয়তী। ইসলামিক ফাউন্ডেশন
১৭্। মহানবীর (সাঃ) সীরাত কোষ খান মোছলেহউদ্দীন আহমদ শতদল প্রকাশনী, ঢাকা
১৮। ছোটদের মহানবী (সাঃ) ইকবাল কবীর মোহন
১৯। মহানবীর ভাষণ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
২০। বৈজ্ঞানিক মুহাম্মদ (সাঃ) -প্রথম খন্ড সমাজ বিজ্ঞান, শরীর বিজ্ঞান, মুহাম্মদ নুরল ইসলাম, মম প্রকাশ
২১। বৈজ্ঞানিক মুহাম্মদ (সাঃ) -দ্বিতীয় খন্ড মুহাম্মদ নুরল ইসলাম, মম প্রকাশ
২২। বৈজ্ঞানিক মুহাম্মদ (সাঃ) -তৃতীয় খন্ড পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়নবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মুহাম্মদ নুরল ইসলাম, মম প্রকাশ
২৩। বৈজ্ঞানিক মুহাম্মদ (সাঃ) -চতুর্থ খন্ড (অদৃশ্য বিজ্ঞান) মুহাম্মদ নুরল ইসলাম, মম প্রকাশ
২৪। পুঁথি সাহিত্যে মহানবী (সাঃ) মোঃ আবুল কাশেম ভুঞা, তাওহীদ প্রকাশনী
২৫। গল্পে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মুহম্মদ লুতফুল হক; ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
২৬। বিশ্বনবীর জন্ম ইতিহাস ও মিলাদের হুকুম মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ আব্দুল হক মোহাজেরে মক্কী ছারছীনা লাইব্রেরী
২৭। নূরনবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অধ্যক্ষ হাফেজ মুহম্মদ আব্দুল জলিল
২৮। খোদার ভাষায় নবীর মর্যাদা লেখকঃ ডাঃ আসলাম
২৯। বিশ্বনবী (সঃ) এর এলমে গায়েব ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি
৩০। আসমাউন নবী লেখকঃ মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন
৩১। কুরআন করিমে নবী চরিত লেখকঃ ডঃ তাহের আল কাদেরী
৩২। নূরে মুহাম্মাদী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লেখকঃ মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী
৩৩। বিশ্বনবী নূরের রবী লেখকঃ মুফতি আহমাদ ইয়ার খান নঈমী মোহাম্মদী কুতুবখানা
৩৪। মহানবী (দঃ) নূর লেখকঃ শায়েখ হিশাম কাব্বানী
৩৫। মুহাম্মদ - মহানবী (সাঃ) এর জীবনী ক্যারেন আর্মস্ট্রং, অনুবাদঃ শওকত হোসেন
৩৬। আর রাহিকুল মাকতূম (অনন্য সাধারণ সীরাত গ্রন্থ), আল্লামা সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ.), প্রকাশনায়ঃ আল কোরআন একাডেমি লন্ডন, বাংলাদেশ সেন্টার
৩৭। তোমাকে ভালোবাসি হে নবী মূলঃ গুরুদত্ত সিং। অনুবাদঃ আবু তাহের মিসবাহ
৩৮। মোহম্মদ চরিত লেখক: শ্রী কৃষ্ণ কুমার মিত্র, প্রায় ১৫০ বছর আগে বাংলা ভাষায় রচিত জীবনী, খুবই দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ
৩৯। মোস্তফা-চরিত মোহাম্মদ আকরম খাঁ প্রণীত, কাকলী প্রকাশনী
৪০। গল্পে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হীরে মোতি পান্না, মুহম্মদ লুতফুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৪১। বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মদ (সঃ) লেখক: ড. হিশাম আল-আওয়াদি, অনুবাদ: মাসুদ শরীফ
৪২। কেমন ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মূলঃ আল্লামা আব্দুল মালেক আল কাসেম আদেল বিন আলী আশ-শিদ্দী, অনুবাদ ও সম্পাদনাঃ মুহাম্মদ ইউসুফ আলী শেখ, দারুস সালাম বাংলাদেশ
৪৩। খ্যাতিমানদের চোখে মহানবী (সাঃ) মুহা জোহরুল ইসলাম, গতিধারা
৪৪। রহমতে দো আলম (সাঃ) মুহাম্মাদ আবদুস সামাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৪৫। মাহবূবে খোদা (সাঃ) মাহমুদুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৪৬। আ-সীরানে জামালে মুস্তাফা (রাসুলের প্রেমে আত্মহারা সাহাবায়ে কেরামের চল্লিশটি ইমানদীপ্ত কাহিনী) মূলঃ শাইখুল ইসলাম ড তাহের আল কাদেরী, ভাষান্তরঃ মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ
৪৭। মাকামে মাহমুদ শাইখুল ইসলাম ড তাহের আল কাদেরী, ভাষান্তরঃ মাওলানা আবু সালেহ মুহাম্মদ সলিমুল্লাহ
৪৮। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাযের নাযের মূলঃ ডঃ জি,এফ হাদ্দাদ হামেশকী অনুবাদ ও সম্পাদনাঃ কাজী সাইফুদ্দিন হোসেন
৪৯। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ড. মুহাম্মদ ইনায়েতুল্লাহ সুবহানী
৫০। প্রিয় নবীর আদর্শ জীবন আব্দুল মান্নান তালিব
৫১। আখলাকুন্নবী সাঃ হাফিজ আবূ শায়খ আল-ইসফাহানী, ইসঃ ফাঃ বাঃ

নবী রাসুল আলাইহিমুস সালামগণের সীরাত সম্পর্কিত বইসমুহঃ

১। কাসাসুল কোরআন নবী-রাসূল সিরিজ ১ম থেকে ১০ম খন্ড, মূলঃ মাওলানা হিফজুর রহমান সিওহারবি, অনুবাদঃ মাওলানা আব্দুস সাত্তার আইনি, মাকতাবাতুল ইসলাম, ৬৬২, আদর্শনগর, মধ্যবাডডা, ঢাকা।
২। কাসাসুল আম্বিয়া বা নবীদের জীবনী ১ম ও ২য় খন্ড, মূলঃ ইমাম আব্দুল গফূর, অনুবাদঃ অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মুমিন, শামীম পাবলিশার্স, শিকদার ম্যানশন, ১২ বাংলাবাজার, ঢাকা।
৩। নবীদের সংগ্রামী জীবন আবদুস শহীদ নাসিম, শতাব্দী প্রকাশন
৪। প্রথম পরিবার (হযরত আদম (আঃ)এর জীবনী) লেখকঃ মুহাম্মাদ মামুনুর রশীদ
৫। পিতা ইব্রাহীম (আঃ) মুহাম্মাদ বুলবুল আজাদ
৬। হযরত ইউসুফ (আঃ) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৭। সুন্দরের ইতিবৃত্ত (হযরত ইউসুফ(আঃ) এর জীবনী) লেখকঃ আবদুল ওয়াহাব খান
৮। মহাপ্লাবনের কাহিনী (হযরত নূহ(আঃ) এর জীবনী) লেখকঃ মুহাম্মাদ জুলকারনাইন
৯। দুজন বাদশাহ্‌ যারা নবী ছিলেন (হযরত দাউদ(আঃ) এবং হযরত সুলায়মান(আঃ)) লেখকঃ মুহাম্মাদ জুলকারনাইন
১০। মহাপ্রেমিক মুসা (আঃ) মুহাম্মাদ মামুনুর রশীদ
১১। হযরত মুসা কালিমুল্লাহ আলহাজ কাজী মাওলানা মোঃ গোলাম রহমান

সাহাবীদের জীবনী, সাহাবা সম্পর্কিত বইসমুহঃ

১। আসহাবে রাসুলের জীবনকথা ১ম খণ্ড থেকে ৬ষ্ঠ খণ্ড মুহাম্মদ আবদুল মা'বুদ
২। হায়াতুস সাহাবা-১ম খণ্ড থেকে ৫ম খণ্ড, মূলঃ হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ ছাহেব কান্ধলভী, অদঃ হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ যুবায়ের
৩। সাহাবা চরিত -১ম খন্ড থেকে ৩য় খন্ড, মূলঃ আলহাজ্ব মোহাম্মদ যাকারিয়া অনুঃ ডক্টর মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া
৪। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) ও তার ফিকাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৫। হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দীন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৬। কিশোর সাহাবা-১ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ), মাকতাবাতুল আশরাফ
৭। সাহাবী কবি কা'ব ও তার অমর কাব্য ড মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৮। কৃতদাস থেকে সাহাবি - এ জেড এম শামসুল আলম
৯। ইসলামের প্রথম মুয়াযযিন হজরত বেলাল (রাঃ) - হেলেনা খান
১০। নারী সাহাবীদের ঈমানদীপ্ত জীবন মূলঃ ড আব্দুর রহমান রাফাত পাশা, অনুবাদঃ মাওলানা মাসউদুর রহমান

চার খলীফা, খিলাফত সম্পর্কিত বইঃ

১। খোলাফায়ে আরবাআহ বা ইসলামের চার খলীফা
২। ইসলামী খিলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল গালিব
৩। তারিখুল খুলাফা মূলঃ আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়তী
৪। ইসলাম ও খিলাফত ড মফীজুল্লাহ কবীর, নওরোজ কিতাবিস্তান
৫। খেলাফত ও রাজতন্ত্র গ্রন্থের ওপর অভিযোগের পর্যালোচনা মুলঃ জাস্টিস মালিক গোলাম আলী, আধুনিক প্রকাশনী
৬। তারীখুল খুলাফা (খলীফাদের ইতিবৃত্ত) মূলঃ আল্লামা জালালুদ্দীন সিয়ুতী, অনুবাদঃ হাফেজ ফজলুল হক শাহ্‌, মদীনা পাবলিকেশন্স
৭। খিলাফতে রাশেদা মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম
৮। ছোটদের হযরত ওমর (রাঃ) - খান মুহম্মদ কামরুল আহসান
৯। গল্পে গল্পে হযরত উসমান রাঃ - মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মানশাবী
১০। চার ইমামের জীবনী মাওলানা মতিউর রহমান, মোহাম্মদী লাইব্রেরী

নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত দোয়া সম্পর্কিত

১। কুরআন মজীদের দোয়া ও মোনাজাত ইতিহাস-দর্শন-ফজিলত, মোঃ শহীদুল্লাহ যুবাইর, ছায়াপথ প্রকাশনী
২। রাহে বেলায়েত, ড. মাওলানা আব্দুল্লাহ মোঃ জাহাঙ্গীর রহ.
৩। হিসনে হাসিন, ইমাম যাওযি রহ.
৪। ছিলাহুল মুমিন।

মাহে রমযান বিষয়ক বইঃ

১। চিকিৎসা বিজ্ঞানীর দৃষ্টিতে রোজা ডাঃ দেওয়ান একেএম আবদুর রহীম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
২। ভালোবাসার রামাদান, ড. আয়িয আল-কারনী
৩। রমযান মাসের ৩০ আসর, ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
৪। সিয়াম ও রমযান ফায়ায়েল ও মাসায়েল, মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা
৫। রমযানুল মুবারকের সওগাত, শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তাকী উসমানী
৬। রামাদানের সওগাত, ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
৭। আউলিয়ায়ে কেরামের সিয়াম সাধনা, শায়খুল হাদীস যাকারিয়া (রহঃ)
৮। এটাই হয়তো জীবনের শেষ রমযান, ড. রাগেব সারজানী
৯। রোযাতত্ত্ব ও অন্যান্য, আবুল হোসেন ভট্টাচার্য
১০। ফাযায়েলে রমযান, হযরত মাওলানা মোহাম্মাদ যাকারিয়া
১১। আহকামে রমযান, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান
১২। বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোজা ও আল-কুরআন, মাওলানা হারুন অর রশীদ
১৩। মাসায়েলে রোযা, মাওলানা রাফআত কাসেমী
১৪। রমযানে ইবাদত, শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তাকী উসমানী
১৫। আমার সিয়াম কবুল হবে কি? মাসুদা সুলতানা রুমী
১৬। সিয়াম ও যাকাতের বিধি-বিধান, মাওলানা মুশাররফ হুসাইন আরশাদী
১৭। রমযান মাস : গুরুত্ব ও করণীয়, মাওলানা যুলফিকার আহমদ নকশবন্দী
১৮। আহকামে এতেকাফ, শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তাকী উসমানী
১৯। রোযা, যাকাত ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান
২০। ৩০ রমযান ও তারাবীতে আল কুরআনের মৌলিক শিক্ষা করণীয় ও বর্জনীয়, হাফেজ মাও. আরিফ হোসাইন
২১। ধূলিমলিন উপহার : রামাদান, শাইখ আহমাদ মূসা জিবরীল
২২। রমজানে জীবন যাপন, মাওলানা মনযূরুল হক
২৩। প্রশ্নোত্তরে রমযান ও ঈদ, অধ্যাপক মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম
২৪। রমজানের হাকীকত, মাওলানা হামিদা পারভীন

প্রাপ্তিস্থানঃ রমজান বিষয়ক এই অধ্যায়ে উল্লেখিত অধিকাংশ গ্রন্থ https://www.boibazar.com সাইটে পাওয়া যেতে পারে। তাদের সাইট থেকে কিতাব সংক্রান্ত তথ্য নেয়া হয়েছে বলে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

যাকাত বিষয়ক কিছু বইঃ

১। ইসলামের যাকাত বিধান ১ম খন্ড আল্লামা ইউসূফ আল-কারযাভী; মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম; খায়রুন প্রকাশনী
২। ইসলামের যাকাত বিধান ২য় খন্ড আল্লামা ইউসূফ আল-কারযাভী; মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম; খায়রুন প্রকাশনী
৩। ইসলামের যাকাত বিধান -প্রথম খণ্ড মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম অনূদিত
৪। ইসলামের যাকাত বিধান -দ্বিতীয় খণ্ড মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম অনূদিত
৫। যাকাত মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম

জনপ্রিয় কিছু ইসলামী বইঃ

১। দার্শনিক শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভি ও তার চিন্তাধারা
২। রুমুয-ই-বেখুদী, আল্লামা ইকবাল
৩। মসনবী শরীফ, মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমী রহঃ, অনুবাদঃ এ বি এম আবদুল মান্নান
৪। ইসলামী গজল সম্ভার, সম্পাদনা ও সংকলনেঃ সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম
৫। ইসলাহী খুতুবাত ১ম থেকে ১০ম খণ্ড, আল্লামা মুফতী তাকী উসমানী
৬। ফাতাওয়ায়ে আলমগিরী ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ১থেকে-৬ষ্ঠ খন্ড
৭। দুই ঈদ, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৮। ফাতাওয়া ও মাসাইল প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৯। ফাতাওয়া ও মাসাইল চতুর্থ খণ্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
১০। যে ফুলের খুশবুতে সারা জাহান মাতোয়ারা, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ., ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
১১। কাশফুশ শুবহাত বা সংশয় নিরসন, শায়খ মুহাম্মাদ বিন সুলায়মান আল তামিমি
১২। নুরে মা'রেফাত, হযরত মুজাদ্দেদ ই আলফেসানী একাডেমী রংপুর
১৩। মীনহাজ-ই-সিরাজ: তবকাত-ই- নাসিরী, আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া অনুদিত ও সম্পাদিত, বাংলা একাডেমী ঢাকা
১৪। আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আ’লাম ফি মাওলিদে সাইয়্যিদে উলদে আদম, মূলঃ আল্লামা আহমদ ইবনে হাজার হাইসামী, অনুবাদ : মুহাম্মদ মুমিনুল ইসলাম
১৫। লা মাযহাবীদের প্রতারণা মূলঃ মুফতী জালালুদ্দীন আহমদ আমজাদী অনুবাদঃ মুহাম্মদ আবদুল মজিদ
১৬। শয়তানের বেহেশত -১ এনায়েতুল্লাহ আলতামাস, রূপান্তরঃ মুজাহিদ হুসাইন ইয়াসীন
১৭। শয়তানের বেহেশত -২ এনায়েতুল্লাহ আলতামাস, রূপান্তরঃ মুজাহিদ হুসাইন ইয়াসীন
১৮। মৃত্যুর পরে অনন্ত জীবন কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে- জান্নাতের নেয়ামত ও জাহান্নামের আজাব মুহাম্মদ ইকবাল কীলানী, দারুস সালাম বাংলাদেশ
১৯। মক্কার পথ The Road To Mecca, মুহম্মদ আসাদ, শাহেদ আলী অনূদিত
২০। আল্লাহর দৃষ্টিতে কে ইমানদার কে মুশরিক? খন্দকার আবুল খায়ের
২১। ইয়া আবি! জাওয়্যিজনি, বাবা! আমার বিয়ের ব্যবস্থা করুন, শাইখ আবদুল মালিক আল-কাসিম, অনুবাদঃ হাসান মাসরুর
২২। আল কামূসুল ইসতিলাহী, আরবি-বাংলা, ইসলামিয়া কুতুবখানা
২৩। আল মুরাদিফ- আরবি সমার্থক শব্দকোষ, মাওলানা মুহাম্মদ শামসুল হক, ইসলামিয়া কুতুবখানা
২৪। আল মুজামুল ওয়াফী - আধুনিক আরবি বাংলা অভিধান, ড. মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, রিয়াদ প্রকাশনী ঢাকা
২৫। মানব দেহের অলৌকিক রহস্য, হারুন ইয়াহিয়া
২৬। ভারতে মুসলিম নির্যাতন, মুহাম্মদ সিদ্দক
২৭। আইয়ামে জাহেলিয়ার উপাখ্যান, জাকির তালুকদার
২৮। সেরা মুসলিম বিজ্ঞানী, জিলহজ আলী
২৯। বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান, মুহাম্মদ নুরুল আমিন
৩০। বিজ্ঞানে মুসলমানদের দান -১ম খণ্ড, এম. আকবর আলি
৩১। মুসলিম স্থাপত্য -মসজিদ বিষয়ক, ডঃ সৈয়দ মাহমুদুল হাসান
৩২। তহাফাতুল ফালাসিফার ভাষ্য, ইমাম গাজ্জালী, হাসান জাহাঙ্গীর আলম
৩৩। আল কোরআনের আলোকে উন্নত জীবনের আদর্শ, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম, খায়রুন প্রকাশনী
৩৪। ইলম গোপনের পরিণতি (ইমাম ও আলেমদের উদ্দেশ্যে), খন্দকার আবুল খায়ের
৩৫। আপন ঘর বাঁচান, জাস্টিস শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তাকী উসমানী
৩৬। আসমানি আদালত - ব্রি. জেনারেল মাহমুদ উশ শওকত, অনুবাদঃ লাবীব আবদুল্লাহ
৩৭। বিবর্তনবাদ ও সৃষ্টিতত্ত্ব, মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম
৩৮। বদরের বীর - সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর
৩৯। ঈমানী দুর্বলতা - মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল মুনাজ্জিদ
৪০। নব্য ফেরাউনের কারাগার, মূলঃ আহমাদ রায়েফ, মিশর, ভাষান্তর শেখ নাঈম রেজওয়ান
৪১। সেকুলারিজম - অধ্যাপক ফজলুর রহমান
৪২। পরকাল - ড.মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আরিফী
৪৩। যৌবনের মৌবনে - লেখক: মাওলানা যুলফিকার আহমদ নকশবন্দী
৪৪। ইসলামে যুদ্ধ ও বিশ্বশান্তি - মুহাম্মদ আলমগীর
৪৫। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে একবিংশ শতাব্দীর গণতন্ত্র (সুরা আসরের আলোকে), মাওলানা আসেম উমর
৪৬। আকাশ যারা করলো জয়, মোহাম্মদ নাসির আলী
৪৭। অকারণ পাপ - মুফতী আযম মাওলানা শফী সাহেব
৪৮। দরসুল ফিকহ ১ম ও ২য় খণ্ড (গবেষণামূলক ফিকহী প্রবন্ধ সংকলন) তত্ত্বাবধানে, ফাতওয়া বিভাগ, দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম
৪৯। দুনিয়ার ওপারে - শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী, অনুবাদঃ মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান খান, মাকতাবাতুল আশরাফ
৫০। তাযকিরাতুল আওলিয়া বা আওলিয়ায়ে কেরামের জীবন-চরিত, শায়েখ ফরীদ উদ্দিন আত্তার রহ., অনুবাদ: মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী
৫১। একান্ত গোপনীয় কথা বা পুশিদাহ রাজ (বড়দের বই)- ১ম ও ২য় খণ্ড, মুফতী হাকিম আল্লামা আশরাফ আমরহবী, অনুবাদঃ মাওলানা আবুবকর সিদ্দীক, রংধনু পাবলিকেশন্স
৫২। যুগে যুগে ঈমানের পরীক্ষা যালিমের পরিনতি ও আজকের প্রেক্ষাপটে আমাদের করনীয়, আব্দুদ্দাইয়ান মুহাম্মদ ইউনুস
৫৩। ঈমান ও বস্তবাদের সংঘাত - সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী, তাফসির, হাদিস, ইতিহাস এবং আধুনিক তথ্যাবলি ও বর্তমান অবস্থার আলোকে সুরা কাহফের অধ্যয়ন
৫৪। ঈমানের দুর্বলতা - শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
৫৫। কোরআন দিয়ে নিজের চিকিৎসা করুন, আবুল ফিদা মুহাম্মাদ ইজ্জত মুহাম্মাদ আরেফ. আনুবাদঃ হাফে্য মাহমুদুল হাসান
৫৬। আল্লাহ্‌ আমার প্রভু - সৈয়দ আলী আহসান
৫৭। আপনার আমানত আপনার সমীপে - মাওলানা কালিম সিদ্দিকী
৫৮। ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা - আল্লামা মুফতী দিলাওয়ার হোসাইন
৫৯। একজন মুসলিমের কতটুকু আল-কুরআন হিফজ করা দরকার, শায়খুল হাদিস মোঃ আবু তাহের
৬০। শিশু শিক্ষায় ইসলাম - অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
৬১। তাকিবিয়াতুল ঈমান - শাহ ইসমাঈল শহীদ, অনুবাদঃ শাহ ইসমাঈল শহীদ, আধুনিক প্রকাশনী
৬২। আইন-ই-আকবরী ১ম ও ২য় খণ্ড - আল্লামা আবুল ফজল, বাংলা অনুবাদঃ আহমদ ফজলুর রহমান, বাংলা একাডেমী ঢাকা
৬৩। জেরুজালেম বিশ্ব মুসলিম সমস্যা - আল্লামা ইউসূফ আল-কারযাভী
৬৪। খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) - মায়েল খায়রাবাদী, আধুনিক প্রকাশনী
৬৫। ছোটদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) -মুহম্মদ জালালউদ্দীন বিশ্বাস
৬৬। সাইয়েদ কুতুব শহীদ - আব্দুদ্দাইয়ান মুহাম্মদ ইউনুস
৬৭। দুনিয়াজোড়া বিস্ময়কর সফর, শাইখুল ইসলাম জাস্টিস আল্লামা মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী
৬৮। কিভাবে তাওহীদের দিশা পেলাম - মুহাম্মদ বিন জামিল যাইনু
৬৯। বাবরী মসজিদ অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত - আবদুস সামাদ চৌধুরী
৭০। সাইয়্যেদাতুন নিসা হযরত খাদিজাতুল কুবরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা, মৌলানা দোস্ত মোহাম্মদ শাহেদ
৭১। আন্দামান বন্দির আত্মকাহিনী- মাওলানা জাফর থানেশ্বরী
৭২। ইসলামী উত্তরাধিকার আইনে নারীর অধিকার ও ফারায়েয মাওলানা মুহাম্মদ ফজলুর রহমান আশরাফী
৭৩। ইসলামের উত্তরাধিকার আইন ও সাক্ষ্য আইন মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান
৭৪। হে প্রিয় বোন আমার - আবু যারীফ
৭৫। নেয়ামুল কোরআন ও নাজাত প্রাপ্ত দলের পরিচয় মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী, আহসান ফারুক
৭৬। বিবাহ তালাকের বিধান - মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
৭৭। সাগর বিজয়ে ও আমেরিকা আবিষ্কারে মুসলমান, বাসার মঈন উদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৭৮। বেহেশতি জেওর, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী, মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী অনুদিত (১ম থেকে ১০ম খন্ড)
৭৯। দি প্রফেট, খ‌লিল জিব‌রান। অনুবাদঃ চৌধুরী মুশতাক আহমদ, মাওলা ব্রাদার্স ঢাকা

আমরা আজ আর পড়ি না...

হ্যাঁ, আমরা আজ আর পড়ি না। বই পড়া ছেড়ে দিয়ে হাতে তুলে নিয়েছি 'হরফুন মোল্লা' মোবাইল। মোবাইলকে 'হরফুন মোল্লা' না বলে উপায়ই বা কি? কি নেই মোবাইলে? কি পাওয়া যায় না মোবাইলে? ক্যালেন্ডার, ঘড়ি, রেডিও, টেলিভিশন, অডিও, ভিডিও রেকর্ডার থেকে শুরু করে কি নেই এতে? দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় কত কি রয়েছে এই এক ক্ষুদ্র ডিভাইসের ভেতর তার ইয়ত্তা নেই। বলি, প্রিয় ভাই, প্রিয় বোন, বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষতার কালে মোবাইল আপনি হাতে নিলে তাতে আপত্তি করা দুষ্কর; কিন্তু বই পড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য করে যে মোবাইল, প্রত্যাশা রাখি এমন মোবাইল আসক্তি যে নিশ্চয়ই পরিত্যাজ্য সে কথায় একমত হবেন সকলেই। আমাদের আবার জাগতে হবে। জেগে উঠতে হবে। ফিরে আসতে হবে বইয়ের কাছে। উজ্জিবীত, আলোকিত হতে হবে জ্ঞানের আলোয়। জ্ঞানের সাধনায়। প্রজ্ঞায় প্রকর্ষে বড় হতে হলে আবার আমাদের ফিরে আসতে হবে পাঠের দিকে, বইয়ের দিকে। প্রতিটি সুন্দর বইয়ের পাতা হয়ে উঠুক আমার চোখের শীতলতা। আমার হৃদয়ের তৃষ্ণা নিবারণের অমৃত সুধা। কবি কতই না আবেগভরে বলেছেন-

হাম ইয়ে দুনিয়াছে কেয়া মতলব হ্যায়, মাদরাসা হ্যায় অতন আপনা,
মরেঙ্গে হাম কিতাবু মে, অরক হো গা কাফন আপনা।

'এই পৃথিবীতে আমার আসার উদ্দেশ্য কি? এই বিদ্যাপীঠই তো আমার ঠিকানা,
পড়তে পড়তে আমার শেষ নিঃশ্বাসটিও যেন হয়ে যায় এই কিতাবেরই উপরে, আর আমার কাফনের কাপড় যেন হয় কিতাবেরই পাতা।'

ইসলামী রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদ কী সুন্দর করে আমাদের জেগে উঠার আহ্বান জানাচ্ছেন-

'আজকে তোমাদের পাল উঠাতেই হবে,
ছেঁড়া পালে আজ জুড়াতেই হবে তালি,
ভাঙা মাস্তুল দেখে দিক করতালি
তবুও জাহাজ ছোটাতেই হবে।'

কিংবা,

'চেয়ে দেখো আজ, এসেছে আবার
দিন বদলের দিন
নয় জামানার মিনারে মিনারে
ডাকিছে মুয়াজ্জিন;

তাই আসুন, আমাদের পূর্বসূরীদের ন্যয় জ্ঞান, বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখার চেষ্টায় অগ্রগামী হই। ফিরিয়ে আনি হারানো দিনের জ্ঞান সাধনার সেই সোনালী ঐতিহ্য। জ্ঞানের আলো দিয়ে সমৃদ্ধ করি মুসলিম উম্মাহ তথা গোটা পৃথিবীকে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আমাদের সকল প্রচেষ্টা তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কবুল করুন।

নিবন্ধটি পরবর্তীতে আপডেট করে প্রয়োজনীয় বই এতে সংযুক্ত করা হবে ইনশাআল্লাহ। সকলের কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ এবং সহযোগিতা কামনা করছি।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো লাগলো। এখন পার্থিব জ্ঞান বিষয়ক বইয়ের তালিকাও যুক্ত করুন।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ইনশাআল্লাহ যুক্ত করার ই্চ্ছে রয়েছে। পর্যায়ক্রমে পছন্দের সবগুলো বই একই পাতায় তালিকাবদ্ধ করার চেষ্টা করবো পর্যায়ক্রমে। আপনার উপস্থিতি এবং ভালোলাগা প্রেরণা হয়ে থাকলো।

অশেষ কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা প্রথম মন্তব্যে।

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর। আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহে হাদিস, ধর্মীয় বই, গল্প, উপন্যাস, কবিতাসহ বিভিন্ন বই রয়েছে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি জ্ঞানের পথের পথিক যে! আলোকিত মানুষের সম্পর্ক বইয়ের সাথেই থাকে। সে কারণে আপনার সংগ্রহশালা সমৃদ্ধ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। অন্যরাও প্রেরণা লাভে সিক্ত হোক আপনার দেখাদেখি।

মন্তব্যে আসায় এবং আন্তরিকতার ছোঁয়া রেখে যাওয়ায় অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা।

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

অধীতি বলেছেন: বাপদাদার গল্প করা আমাদের জাতীয় অভ্যেস। কারণ আমরা অকর্মার গোষ্ঠী যখনি বৈজ্ঞানিক কিছু আবিস্কার গবেষণা করতে যাবেন তখনি আপনি কট্টর পন্থীদের রোষে পরিনত হবেন। ইবনে সিনাও এর থেকে রেহাই পাননি। গোঁড়ামি বাদ দিতে না পারলে আমরা এগুতে পারব না।এরদোয়ান সরকার ভাস্কর্য নিয়ে মাথা ঘামায় না অথচ আমরা তোলপাড় করে ফেলি কারণ আমাদের মধ্যে সব থেকে বেশি জ্ঞানী মনে করা হয় যিনি বুখারী পড়ান।অথচ সামাজিক রাজনৈতিক জ্ঞানকে আমরা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করি।
আব্দুল্লাহ আবু সাইদ স্যার বলেছিলেন "সভ্যতা হচ্ছে পরিব্রাজক সে ঘুরে বেড়ায়,প্রথমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্ত থেকে তার যাত্রা শুরু হয়েছে এরপর মধ্য প্রাচ্য হয়ে দক্ষিণে যাচ্ছে।" সূতরাং বিজ্ঞান,রাষ্ট্র বিজ্ঞান পড়তে হলে ইউরোপীয়দের অগ্রাধিকার দিয়েই পড়তে হবে।এটা অস্বীকার করার কোন পথ নেই যে বর্তমান শ্রেষ্ঠ সভ্যতা হচ্ছে ইউরোপীয় সভ্যতা। আমাদের দেশে মুফতিরা সামাজিক জ্ঞানশূণ্য এজন্য পরিস্থিতি বিবেচনা না করে শুধু কিতাবে উল্লেখিত ফতোয়া মেরে দেয়।একজন মুফতির নূণ্যতম পাঁচ বছর বস্তি ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন সম্পর্কে গবেষণা করা ও তাদের মত করে জীবন যাপন করা উচিত তাহলে তাদের ফতোয়া চট করে বের হবেনা এবং গার্মেন্টসকর্মীদের জেনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে বেশ্যা বিদ্যালয় বলতে পারবেনা।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



বাপদাদার গল্প করা আমাদের জাতীয় অভ্যেস। কারণ আমরা অকর্মার গোষ্ঠী যখনি বৈজ্ঞানিক কিছু আবিস্কার গবেষণা করতে যাবেন তখনি আপনি কট্টর পন্থীদের রোষে পরিনত হবেন। ইবনে সিনাও এর থেকে রেহাই পাননি। গোঁড়ামি বাদ দিতে না পারলে আমরা এগুতে পারব না।এরদোয়ান সরকার ভাস্কর্য নিয়ে মাথা ঘামায় না অথচ আমরা তোলপাড় করে ফেলি কারণ আমাদের মধ্যে সব থেকে বেশি জ্ঞানী মনে করা হয় যিনি বুখারী পড়ান।অথচ সামাজিক রাজনৈতিক জ্ঞানকে আমরা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করি।

চমৎকার বলেছেন। বাপ দাদার গল্পের কথাটা এক দিক থেকে সঠিকই বলেছেন। তবে এর বিপরীতেও কথা থেকে যায়, সেটা হচ্ছে- বাপ দাদার গল্প নয়, সঠিক ইতিহাস জানার প্রয়োজন নিশ্চয়ই রয়েছে। কারণ, সেটা না জানা থাকার ফলে কোনো জাতি, গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের শিকড়হীন বৃক্ষে পরিণত হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।

আর উগ্রবাদিতা ইসলামের শিক্ষা নয়। বাদ বিচারহীনভাবে নিজের পছন্দের বাইরের প্রত্যেক বিষয়কে পাইকারী দরে হারাম বলার মত কট্টরপন্থী মনোভাব ইসলাম সমর্থন করে না। ইসলাম মানব কল্যানে উদারতার শিক্ষা দেয়। তবে এই মানব কল্যানের কাজে যাতে সীমাতিক্রান্ত না হয়, সে ব্যাপারেও ইসলামের দিকনির্দেশনা রয়েছে। যা মেনে চলার ভেতরেই কল্যান। এটাই সঠিক পথ।

মন্তব্যের শেষাংশেও গুরুত্বপূর্ণ মতামত রেখেছেন। আসলে দেশ কাল পাত্র বিবেচনায় নিয়ে ইসলামের সত্যিকারের আদর্শ পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে হলে ইসলামের যারা নেতৃত্বে রয়েছেন তাদের যোগ্যতাকে আরও শানিত করতে হবে। নেতৃত্বের গুণ অর্জন করতে হবে। আর এর জন্য তাদেরকে সাধারণের সাথে মিশতে হবে। আপামর জনসাধারণকে অবশ্যই বুঝতে হবে। তাদেরকে বুকে ধারণ করতে হবে। দৃষ্টিকে সম্প্রসারিত করতে হবে। মসজিদ মাদরাসা আর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠনগুলোর গন্ডির ভেতরে আবদ্ধ থেকে এটা সম্ভব নয়।

আন্তরিক অভিমত রেখে যাওয়ায় অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ক্লাস নাইন/টেন এ একটা পাঠ্য ছিলো 'বইপড়া'। শুরু হয়েছিলো একটা গল্প দিয়ে- এক ভদ্রমহিলা বাজারে গিয়েছেন তার পরিচিত কারও বিয়ের জন্য গিফট কিনতে। দোকানে গিয়ে বিভিন্ন জিনিস দেখেন কিন্তু পছন্দ হয় না। যেটাই দেখেন, সেটাই নাকি তার পরিচিতজনের একটা আছে। তখন দোকানী বললেন- ম্যাডাম, এই বইটা নিয়ে যান, নতুন বেরিয়েছে... ভদ্রমহিলা বললেন- ওর তো বইও একটা আছে!!!

এখন আমাদেরও বাসার শোকেসে একটা বই থাকলেই হয়, পড়া আর হয় না। পড়ার অভ্যাসটাই নষ্ট হয়ে যাচ্চে যেনো। তারপরও যেটুকু পড়া হয়, সে তালিকায় ধর্মীয় বই কদাচিৎ থাকে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন হাসির গল্প শোনালেন। অনেকটা সেই জিওগ্রাফির গল্পটার মত। জনৈক অশিক্ষিত বাচাল লোক গল্প করছিলেন তার সাথে নতুন পরিচয় হওয়া এক শিক্ষিত এক বন্ধুর সাথে। কথায় কথায় বাচাল লোকটি গল্প জমিয়ে ফেললেন, বললেন- 'জানেন, সেবার আমি টরেন্টোতে দুই সপ্তাহ ছিলাম। কি ঠান্ডা! বাপরে বাপ! শরীর হিম হয়ে আসে! কুলি করলে পানি মাটিতে পড়ার আগে বরফ হয়ে জমে যায়!

শিক্ষিত বন্ধুবর মন্ত্রমুগ্ধের মত তন্ময় হয়ে শুনছিলেন তার কথা। তিনি বললেন, 'দারুন ভ্রমন ছিল নিশ্চয়ই!'

বাচাল লোকটি বললেন, 'সে আর বলবেন না। এরচেয়েও জটিল ছিল সানফ্রান্সিসকোর সফরটা। একেবারে টানা এক মাস বেড়িয়েছি সেখানে। অসাধারণ একটা এলাকা। মনে হচ্ছিল চির দিন থেকে যাই ওখানে।'

বন্ধুর মাথা খারাপ হবার যোগার। বললেন, 'ইশ! আপনি আসলেই ভাগ্যবান! অনেক দেশ দেখার সুযোগ হয়েছে আপনার!'

বাচাল লোকটি বললেন, 'আরে বলেন কি, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের এমন কোনো শহর আছে যেখানে যাই নি আমি!'

বন্ধু তো পুরোই থ'। বললেন, 'ওহ! তাহলে জিওগ্রাফি সম্মন্ধে আপনার তো দারুন আইডিয়া!'

বাচাল লোকটির তাৎক্ষনিক উত্তর, 'আর বলবেন না ভাই! দুনিয়া দেখার বাকি নেই আমার, সেখানেও ছিলাম এক সপ্তাহ!'

চমৎকার মন্তব্যে অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা।

৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




শুকুর আলহামদুলিল্লাহ। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আমি আপনার পোস্টটি প্রিয়তে রাখছি তাতে করে আমার বই সংগ্রহ করতে সুবিধা হবে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি যে কষ্ট করে এই পোস্টটি তৈরি করেছেন পরম মমতাময় আল্লাহপাক তার ফজিলত অবস্যই অবস্যই আপনাকে দান করবেন।



১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই। আপনার এমন আন্তরিকতা এবং হৃদ্যতাপূর্ণ দুআ আল্লাহ পাক কবুল করুন।

কৃতজ্ঞতাসহ।

৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি যেসব বইয়ের লিষ্ট দিয়েছেন, সেগুলো পড়লে মানুষ বেকুবে পরিণত হওয়ার কথা।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। আপনি যা-ই বলেন না কেন, মন্তব্যে যে এসেছেন সেটাই বড় কথা। আপনি তো মা-শাআল্লাহ বড় মনের মানুষ। আপনার মত করে দেশ এবং জাতিকে নিয়ে ভাবনার মানুষ ক'জন আছে! আচ্ছা, আপনি কি সম্পূর্ণ কুরআন (নিশ্চয়ই অনুবাদ বুঝাতে চেয়েছি) পড়েছেন কখনো?

৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ খুবই সুন্দর পোস্ট
প্রিয়তে রাখলাম

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



লাইকসহ পোস্ট প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা।

ভালো থাকবেন সবসময়, দুআ নিরন্তর।

৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে একটা সত্য কথা বলি- জীবনে অনেক বই পড়েছি। কিন্তু কেন জানি ধর্মীয় বই গুলো একেবারেই পড়া হয়নি।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি একটা অন্যরকম অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। আল্লাহ তাআ'লার ফায়সালার উপরে রাজি থাকা ছাড়া আমাদের কিছু করার থাকে না। আপনার সদ্য বিদায়ী শ্রদ্ধেয় বাবার জন্য জান্নাত প্রার্থনা করছি এবং আপনিসহ আপনার পরিবারের সকলের জন্য বিশেষ দুআ থাকলো। আল্লাহ তাআ'লা আপনাদের ধৈর্য্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন। তিনিই আপনাদের বিপদের এই মুহূর্তে সহায় হোন।

ধর্মীয় বই পড়ার চেষ্টা করুন। ইনশাআল্লাহ আমার বিশ্বাস, আপনার ভালো লাগবে। মনের খোড়াক যোগাবে।

৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সিরাত অংশে ৩৬ নাম্বার দি প্রফেট, খ‌লিল জিব‌রান। অনুবাদঃ চৌধুরী মুশতাক আহমদ, মাওলা ব্রাদার্স ঢাকা।।
এটা রাসুলের জীবনি নয়।
বইয়ের মূল চরিত্র আল-মুস্তাফা। তিনি বারো বছর ধরে অপেক্ষা করছেন তার জাহাজের যাতে করে তিনি তার স্বদেশে ফিরে যেতে পারেন। এই বারোটি বছর তিনি কাটিয়েছেন ওরফেলিসে। আল-মুস্তাফার একাকী সময়, দুঃখের সময়ের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে ঐ দেশের মানুষ ও মাটি। একদিন পাহাড়ের উপর উঠে তিনি তার জন্য আসা জাহাজকে দেখতে পেলেন। জাহাজে তার স্বদেশী মানুষেরা তার জন্য অপেক্ষা করছিল। তার মন আনন্দে ভরে উঠলো। আবার একইসাথে তাকে বিষণ্ণতায়ও ঘিরে ধরলো। কারণ এই বারো বছরে তিনি ওরফেলিসের জনগণের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাই বিদায় বেলায় এই দুঃখ তাকে জর্জরিত করে ফেলে।

ওরফেলিসের জনগণ যাওয়ার আগে মুস্তাফাকে তার সত্য উপলব্ধি বর্ননা দিয়ে যেতে বলেন। যাতে ওরফেলিসের জনগণ সেই সত্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে দিয়ে যেতে পারে। তখনই মুস্তাফা একে একে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার আত্মোপলব্ধি ও অন্তর জ্ঞান বর্ণনা করতে থাকেন।

এই গ্রন্থে রাসুল সাঃ এর নামের সাথে গল্পের নায়কের নামের মিল ছাড়া রাসুল সাঃ এর সাথে আর কোন মিল নেই।

পরিশ্রমি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ নিন।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় লিটন ভাই,

প্রথমেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য। আর অনিচ্ছাকৃত এই অসঙ্গতিটির জন্য দুঃখও প্রকাশ করছি।

বইটির একটি সাধারণ বর্ণনা আপনার মন্তব্যে উঠে এসেছে। এতে সুবিধা হবে সকলেরই। বিশেষ করে আমি উপকৃত হয়েছি। বইটি সম্মন্ধে একটি ধারণা নিতে সক্ষম হলাম।

সবশেষে আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে পোস্টটির আদ্যপান্ত যত্নের সাথে লক্ষ্য করে পরামর্শমূলক মূল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ায় এবং বরাবরই এরকম আন্তরিক পরামর্শপ্রাপ্তির প্রত্যাশায় পুনরায় কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



এই বইটি অন্য ক্যাটাগরিতে সরিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:০১

মেরুভাল্লুক বলেছেন: যে মনিষীদের নাম আপনি নিলেন ( ইবনে সিনা, আল রাজী) আমার জানামতে তারা প্রচুর নিপীড়নের শিকার হয়েছিল মুসলিমদের হাতে। বিশেষ করে ইবনে সিনা। মিশর দখলের পরে আলেকজান্দ্রিয়ায় সে সময়কার সবচেয়ে সমৃদ্ধ লাইব্রেরী পুড়িয়ে দিয়েছিল এই মুসলীম বাহিনীই। বাংলায় বৌদ্ধ মঠ তথা বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ধ্বংস করার ব্যাপারে খিলজির কৃতিত্ব আমরা সবাই জানি। ফাউ কথা বাদ দেন। বিজ্ঞানে মুসলমানদের কোন অবদান নাই। যেসব বই আপনে দিলেন ওইসব পড়লে যে কেউ বেকুব হতে বাধ্য।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ মন্তব্যে আসায়।

আপনি যেহেতু বলেছেন যে, 'বিজ্ঞানে মুসলমানদের কোন অবদান নাই এবং আমি যেসব বইয়ের নাম দিয়েছি ওগুলো পড়লে যে কেউ বেকুব হতে বাধ্য' সেহেতু বিনাবাক্য ব্যয়ে আপনার কথা মেনে নিয়ে বইগুলো তালিকা থেকে সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছে হচ্ছিল। অন্ততঃ আপনাকে খুশি করার জন্য হলেও এটা করতাম। কিন্তু দুঃখিত, ভাই! ইতিহাস যে পাল্টে দেয়া যায় না! ইতিহাস তো কালের দেয়ালে পাথরে খোদিত অমোছনীয় লেখা হয়ে থেকে যায়! ইতিহাস চিরকালের বহমান শ্লেটে আঁকা সত্যের শীলালিপি! অনন্তকালীন জীবন তার! কেউ ইচ্ছে করলে সে দেয়াল লিখনির উপরে সাময়িক বা স্বল্প কালের জন্য কালি লেপ্টে দিতেই পারে! ঢেকে দিতে পারে সময়ের শীলালিপি! কিন্তু সময়ের আবর্তনে সে কালি সরে গিয়ে আবার ঠিকই বেরিয়ে আসে প্রকৃত ইতিহাস! মেঘের আড়াল থেকে যেমন করে বেরিয়ে আসে দেদীপ্যমান সূর্য!

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোস্টটা দরকারি তাই প্রিয়তে রাখলাম। কোরআন ও তফিসিরের উপর কালের কণ্ঠে প্রকাশিত একটা লেখা নীচে দিলাম।

ইসলাম ধর্মের প্রধান গ্রন্থ আল-কোরআনের অনুবাদ, ভাষ্য তৈরি, মুদ্রণ ও বিতরণের উদ্দেশ্যে এক বিশাল প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে মদিনায়। এর সরকারি নাম কিং ফাহাদ কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স—এটি বাণিজ্যিক প্রকল্প নয়। সম্পূর্ণ দাওয়াতি কাজের জন্য উৎসর্গীকৃত একটি মিশনারি প্রকল্প। এটি পঞ্চম আব্বাসীয় শাসক বাদশাহ হারুনুর রশিদ (৭৬৩-৮০৯) কর্তৃক বাগদাদে প্রতিষ্ঠিত ‘বায়তুল হিকমাহ’-এর কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। বিশ্বব্যাপী পবিত্র কোরআনের বিশুদ্ধ তিলাওয়াত, চর্চা ও অনুশীলন ছড়িয়ে দেওয়ার এক মহৎ ব্রত নিয়ে সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ ১৯৮৫ সালে মদিনায় এ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করেন। ৩০ জন বিদেশিসহ এক হাজার ৭০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ কমপ্লেক্সের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত। একই ভাষার স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য বিভিন্ন মুফাসসিরের অনুবাদ ও তাফসির প্রকাশ করা হয়। নানা ভাষার জন্য রয়েছে উচ্চপর্যায়ের শক্তিশালী সম্পাদনা বোর্ড। দুনিয়াব্যাপী কোরআনের দাওয়াত প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এই কমপ্লেক্স।

এ পর্যন্ত পৃথিবীর জীবন্ত ৩৯টি ভাষায় অনুবাদসহ কোরআনের তাফসির প্রকাশ করা হয়। একই ভাষায় একাধিক অনুবাদ ও তাফসির রয়েছে। প্রকাশিত ৫৫টি ভাষায় কোরআনের অনুবাদ ও তাফসিরের মধ্যে এশীয় ভাষায় ২৪টি, ইউরোপীয় ভাষায় ১২টি এবং আফ্রিকান ভাষায় ১৪টি। উল্লেখযোগ্য ভাষাগুলো হচ্ছে—ফ্রেঞ্চ, ইংরেজি, জাপানি, আলবেনীয়, ইন্দোনেশীয়, উর্দু, বাংলা, তুর্কি, সোমালীয়, চীনা, রুশ, জার্মান, স্প্যানিশ, কোরীয়, ফারসি, গ্রিক, ভিয়েতনামি, পর্তুগিজ, সুুইডিশ ও তেলেগু। বাংলা ভাষায় এক খণ্ডে প্রকাশিত হয় আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ শফী (রহ.)-এর মা‘আরিফ আল কোরআন, যার অনুবাদক ও সম্পাদক হচ্ছেন বরেণ্য ইসলামী স্কলার মাওলানা মুহীউদ্দীন খান (রহ.)। উপমহাদেশের খ্যাতনামা মুহাদ্দিস আল্লামা শিব্বির আহমদ ওসমানী (রহ.) কর্তৃক উর্দু ভাষায় লিখিত ‘তাফসিরে উসমানি’ এই কমপ্লেক্স থেকে ছাপা হয়।

কিং ফাহাদ কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স অনুবাদসহ ও অনুবাদবিহীন দুই ধরনের কোরআন বিশ্বব্যাপী বিনা মূল্যে বিতরণ করে। কোরআনের আয়াতগুলো সিরীয় বংশোদ্ভূত বিশ্ববিখ্যাত ক্যালিগ্রাফার উসমান তাহা লিখিত। ১৮ বছর ধরে এ কমপ্লেক্সে কোরআন লিখন বিভাগে তিনি কর্মরত। তাঁর হস্তলিপি ও অলংকরণ দৃষ্টিনন্দন, স্পষ্ট ও শিল্পসমৃদ্ধ। তাঁর পরিচালনায় রয়েছেন এক দল চৌকস ক্যালিগ্রাফার। পবিত্র কোরআন ছাড়াও এ পর্যন্ত এই কমপ্লেক্স থেকে অনুবাদিত তাফসির, হাদিস, সিরাতুন্নবী গ্রন্থ বেরিয়েছে ১৬০ ধরনের। এ কমপ্লেক্সের বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা ছয় কোটি কপি গ্রন্থ। মুদ্রণে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ যন্ত্রপাতির ব্যবহার বিস্ময়ের উদ্রেক করে।

আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন সিম্পোজিয়ামে পঠিত ৬০টিরও বেশি গবেষণা নিবন্ধ কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত হয়। হাফসসহ কোরআনের পাঁচ কিরাতের পাণ্ডুলিপি এখানে জমা আছে, যা বিশেষজ্ঞ কমিটির তত্ত্বাবধানে ক্যালিগ্রাফারদের মাধ্যমে লিখিত হয়। দুই লাখ ৫০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে মদিনা নগরীতে অবস্থিত এ প্রকল্পে মসজিদ, মুদ্রণ, প্রশাসনিক, পরিবহন, পাঠাগার, মিলনায়তন, রক্ষণাবেক্ষণ, মার্কেটিং, ক্যাফেটেরিয়া, ফার্মেসি, প্রকৌশল বিভাগ রয়েছে। বাদশাহ আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল আজিজের নির্দেশে হজ পালন শেষে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনকালে প্রত্যেক হাজিকে এক কপি কোরআন হাদিয়া প্রদান করা হয়। ১৪২৪-১৪২৫ হিজরি বর্ষে দুই কোটি কপি কোরআন বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া হারামাইনসহ সৌদি আরবের সব মসজিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, বিদেশি অতিথি এবং সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে কোরআনের কপি সরবরাহ করা হয়।

প্রকল্প পরিদর্শনে আসা অতিথিদের প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রাচীন থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত পবিত্র কোরআন চর্চা ও সংরক্ষণের ইতিহাস প্রদর্শন করা হয়। তিলাওয়াতের একটি সিডি ও সৌদি আলেমদের তত্ত্বাবধানে রচিত একটি তাফসিরসহ দুটি কোরআন অতিথিদের উপঢৌকন প্রদান করা হয়। এ প্রকল্পে বিশুদ্ধ তিলাওয়াতের অডিও ও ভিডিও ফরমে কোরআনের সিডি, ডিভিডি তৈরি ও সরবরাহ করা হয়। এ পর্যন্ত ২০ লাখ মানুষ এ প্রকল্প পরিদর্শন করেছে।

অন্ধ ব্যক্তিরা যাতে কোরআন তিলাওয়াত করতে পারে সে জন্য প্রকাশ করা হয় ইত্ধরষষব ভাষার সংস্করণ। হজ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৩ কোটি ৬১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩৩ কপি কোরআন, ২৫ লাখ ২০ হাজার ৮৭৫ কপি ক্যাসেট, দুই কোটি ৭৫ লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৭ কপি অনুবাদ, দুই লাখ ২০ হাজার কপি সিরাতুন্নবী, ৫০ লাখ ৪৫ হাজার অন্যান্য ধর্ম গ্রন্থ এ কমপ্লেক্স থেকে প্রকাশিত হয়। অতি সম্প্রতি কিং ফাহাদ কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্সের বিশেষজ্ঞরা মোবাইল ফোন অ্যাপস উদ্ভাবন করেন। এটি Apple Store/Google Play থেকে Android/iOS মোবাইল ভার্সনে ডাউনলোড করা যায়। এই অ্যাপসের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা পৃথিবীর ১২টি ভাষায় পবিত্র কোরআনের আয়াত, তরজমা ও তাফসির অধ্যয়ন করতে পারবে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক

বিভাগীয় প্রধান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ

ওমর গণি এমইএস কলেজ, চট্টগ্রাম

১২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১০

নীল আকাশ বলেছেন: অসাধারণ একটা পোস্ট। সোজা প্রিয়'তে নিয়ে রাখলাম।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বাংলা প্রকাশিত হাদীস গ্রন্থগুলি আমার প্রায় সময় কাজে লাগে।
বাকি কিছু গ্রন্থও যোগাড় করে পড়তে হবে।
শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

আতিকুররহমান আতিক বলেছেন: আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই কষ্ট করে পোস্টটি লেখার জন্য ও আমাদেরকে পড়ার সুযোগ দেয়ার জন্য। পোস্টটি প্রিয়তে রেখে ‍দিলাম। সময় বের করে বইগুলো পড়তে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.