নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি কা‘ব বিন আশরাফ হত্যার ঘটনা প্রথমে নাড়া দিয়েছিল আমাকেও! কিন্তু ........ (قَتْلُ كَعْبِ بْنِ الْأَشْرَفِ):

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১২

ছবিঃ অন্তর্জাল।

কবি কা‘ব বিন আশরাফ হত্যার ঘটনা প্রথমে নাড়া দিয়েছিল আমাকেও! কিন্তু ........ (قَتْلُ كَعْبِ بْنِ الْأَشْرَفِ):

সত্যি কথা বলতে কি, কা‘ব বিন আশরাফ হত্যার ঘটনাটি পড়তে গিয়ে প্রথমে থমকে গিয়েছিলাম আমিও। কিছুটা নাড়া দিয়েছিল আমাকেও! কবি ও কবিতার প্রতি জন্ম জন্মান্তরের অদেখা ভালোবাসার টান বলে এমনটা অনুভূত হয়েছিল কি না জানি না। কা'ব বিন আশরাফ কবি ছিলেন বলে তার প্রতি আলাদা একটা টান ছিল এটা সত্য। সকল কবিদের জন্যই কেন যেন এটা থাকে। সবার কথা বলতে পারবো না, অন্ততঃ আমার আছে। বিরুদ্ধ নীতি আদর্শের কবিদের প্রতিও রয়েছে। বিপরীত মত এবং পথের কবিদের প্রতিও রয়েছে। এই টান আসলে অন্য জিনিষ। এটা কিসের টান- ব্যাখ্যা করে বুঝানো কিছুটা কঠিন বটে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-ভাষা সবকিছুর উর্ধ্বে একজন কবি থাকেন সকল মানুষের। কবি সাহিত্যিকদের নির্দিষ্ট ভূ-ভাগের সীমাবদ্ধতার মাঝে বেধে রাখা যায় না। উচিতও নয়। কবিরা সার্বজনিন। সকলের সম্পদ তারা। তাবত পৃথিবীর প্রতিটি জনপদের প্রতিটি ঘর তাদের আবাস। একটি সুন্দর কবিতা, তা যে ভাষারই হোক - বিশ্বের সকল কালের, সকল জাতির এবং সকল মানুষের। হুমায়ুন আজাদের অনেক লেখার সাথে একমত হতে না পারলেও তার কিছু লেখা, কিছু কথা মনে দাগ কাটে। তিনি ভিন্ন মতের তাতে কি? তার সৃষ্টিশীলতা যদি তাকে কাছে টেনে নিতে বাধ্য করে, সে জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাতে কার্পন্য করা নিছকই দীনতা। কবির ভিন্নমত যদি শুধু মতভিন্নতার ভেতরেই সীমিত থাকে তাহলে তা নিয়ে শোরগোল তোলার মত তেমন কিছু থাকে না। কিন্তু কবির কবিসত্বার আড়ালে যদি লুকিয়ে থাকে ভিন্ন কোনো কুৎসিত চেহারা, দেশ-জাতি-মানবতার জন্য ক্ষতির কারণ এবং উপকরণ তাহলে তাকে উপেক্ষা করা যায় কিভাবে? যেমনটা লুকানো ছিল কবি কা'ব বিন আশরাফের সুদর্শন চেহারার অন্তরালে।

হ্যা, কা'বকে পড়তে থাকি। পড়তে পড়তে এক পর্যায়ে দেখতে পাই যে, কবি কা'বের সুদর্শন চেহারার অন্তরালে লুকানো রয়েছে ভয়ঙ্কর এক বিশ্বাসঘাতক মানবতাবিরোধী দুর্বৃত্তের মুখাবয়ব; যিনি কি না নিজ মাতৃভূমি, স্বজাতি এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে অব্যাহত বিশ্বাসঘাতকতায় লিপ্ত, সতিসাধ্বী মুসলিম নারীদের প্রতি মিথ্যা অপবাদ ও কলঙ্ক রটানোর মত নিকৃষ্ট ঘৃণ্য অপকর্ম যার নিত্য নৈমিত্তিক কাজের অনুষঙ্গ, এমনকি আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে খুনের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের সহযোগী এবং পরামর্শদাতাও স্বয়ং তিনি! তার চরিত্রের অন্ধকার এই দিকগুলো অবলোকন করার পর থেকে তার প্রতি আমার সাধারণ অনুভব অনুভূতিতে ভাটা পড়ে। হৃদ্যতার সেই টানটা আর খুঁজে পাই না। আমাদের উপমহাদেশের স্বাধীনতার সূর্যাস্ত ঘটিয়ে জাতিকে ২০০ বছরের জন্য ধূর্ত বৃটিশ বেনিয়াদের গোলামীর জিঞ্জিরে বন্দি করে রাখার কারণে বিশ্বাসঘাতক মীর জাফরের পাওনা যেমন একরাশ ঘৃণা, মুনাফিক দুর্বৃত্ত কা'বের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম কিছু ভাববার সুযোগ দেখি না- এ ভাব ও ভাবনায় যদি আমার কোনো বিচ্যুতি থেকে থাকে, সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করা ব্যতিত করার কিছুই নেই।

দরদ প্রদর্শনের আড়ালে উদ্দেশ্য ভিন্ন কিছুঃ

এ কালে অনেক দরদী(!) ব্যক্তিকে দেখা যায়, তারা কবি কা'ব বিন আশরাফের হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন দিকে টেনে নিয়ে তার প্রতি হৃদয়ে উথলে ওঠা অনেক সহানুভূতি প্রদর্শন করতে চান। আসলে গরু কুরবানি দেয়াকে যারা জীবের প্রতি নৃশংসতার তকমা দিয়ে ইসলাম ধর্মের একটি আবশ্যকীয় বিধানের দিকে অন্যায় অঙুলি নির্দেশ করতে অভ্যস্ত; এই কা'ব বিন আশরাফের মত ধুরন্দর প্রকৃতির দুর্বৃত্তের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনকারীদেরকেও মূলতঃ একই খুড়ে মাথা মুড়ানো বলেই অনুমিত হয়। 'কুরবানি দেয়া'কে 'পশুর প্রতি নৃশংসতা' বললেও 'পশুর প্রতি দরদ নয়' বরং 'ইসলাম ধর্মের প্রতি জন্ম জন্মান্তরের লালিত বিদ্বেষে'র প্রকাশ ঘটানোই যে তাদের আসল উদ্দেশ্য - এটা যেমন সত্য, ঠিক একইভাবে দুর্বৃত্ত কা'ব বিন আশরাফের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শনেরও মূল বিষয় যে একই সূত্রে গাথা তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই।

এই ছদ্মবেশী মায়াকান্নার ধ্বজাধারীগণ কা'ব বিন আশরাফের দুর্বৃত্তায়নকে ঢেকে রেখে তাকে মহান বানাতে সচেষ্ট। পক্ষান্তরে দয়ার সাগর আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই অভিযোগে অভিযুক্ত করার অপপ্রয়াসে তারা লিপ্ত যে, তিনি কা'বের ক্ষেত্রে অন্যায় হত্যার অনুমোদন প্রদান করেছেন (নাউযুবিল্লাহ)। আল্লাহ পাক আমাদের ক্ষমা করুন। বিশ্বজাহানে ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক, রহমাতুল্লিল আলামীন, জগতবাসীর প্রতি অপরিসীম দয়া এবং অফুরন্ত ভালোবাসার কারণে যিনি নিজের জানের দুশমনদের ক্ষমা করে দিতেন অকাতরে, যিনি তায়েফবাসী দুষ্ট লোকদের সীমাহীন ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণে-পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত হয়ে বারবার বেহুশ হওয়ার মত নিতান্ত নাজুক পরিস্থিতিতেও, জিবরাইল আলাইহিস সালামের একান্ত নিবেদন সত্ত্বেও তাদের সামান্য শাস্তি প্রদানের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি, শাস্তিদানের প্রস্তাবে সম্মতি দেননি; এমনই কোমল, ক্ষমাশীল এবং বিশ্বমানবতার জন্য দয়ায় পূর্ণ দরদে পূর্ণ যার অন্তর, সামান্য পরিমান প্রতিশোধপরায়ন হয়ে তাদের জন্য ধ্বংসের দুআ না করে বরং সেই বেদনাবিদুর দিনটিতে রক্তাক্ত-আহত-ক্লান্ত-অবসন্ন অবয়বে অশ্রুসিক্ত নয়নে কম্পমান দু'টি হাত উঁচু করে মগ্ন হয়েছিলেন তায়েফবাসীর ক্ষমা এবং হেদায়েত প্রার্থনায়, মক্কা বিজয়ের দিন কুরাইশ নেতৃবৃন্দসহ মক্কার বিখ্যাত সব শত্রুদের সাধারণ ক্ষমার নজিরবিহীন ঘোষনা দিয়ে মানবতার ইতিহাসকে পাল্টে দিলেন যিনি, কুরআনের ভাষায়- 'রহমাতুল্লিল আলামীন', তথা, 'জগতসমূহের জন্য দয়া' - সেই রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি এমন ঘৃণ্য অপবাদ প্রদানের ধৃষ্টতা প্রদর্শনের চেষ্টা যারা করছেন, মুখে তারা যতই মানবতার শ্লোগান তুলে থাকুন না কেন, সত্যিকারের মানবতাবাদের ধারেকাছেও নেই তারা। সম্মানিত প্রিয় পাঠকের কাছে সবিনয় প্রশ্ন রাখছি, এই সাধারণ বিষয়টি বোধগম্য হতে অনেক বেশি বিদ্ধান হওয়ার প্রয়োজন আছে কি? বুঝেশুনে, সত্যকে গোপন করে, পার্থিব ক্ষুদ্রস্বার্থ চরিতার্থ করার হীন উদ্দেশ্যে যারা প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়ে বিষোদগারের বিষবাষ্প ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদের জন্য আমরা শুধু হেদায়েতের প্রার্থনাই করতে চাই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা তাদেরকে হেদায়েতের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।

জ্বি, হেদায়েত প্রার্থনা করতে করতেই চলুন, ভয়ঙ্কর দুর্বৃত্ত কা'ব বিন আশরাফের সাথে সামান্য পরিচিত হয়ে আসিঃ

কা‘ব বিন আশরাফ। মদিনার প্রসিদ্ধ ইহুদী নেতা। কবিতা লেখায় সিদ্ধহস্ত। কাব্যে তার পারদর্শিতা। ইহুদীদের মধ্যে এমনই এক ব্যক্তি তিনি, যিনি ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি অত্যন্ত শত্রুতা ও হিংসা পোষণ করতেন। তিনি নাবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দিতেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধের হুমকি দিয়ে বেড়াতেন। ‘বনু তাঈ’ গোত্রের শাখা 'বনু নাবাহান' এর সাথে তার পিতা সম্পর্কযুক্ত ছিলেন। আর তার মাতা 'বনু নাযীর' গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কা‘ব বিন আশরাফ ছিলেন ধনাঢ্য ব্যক্তি। তিনি পুঁজিপতিও ছিলেন। আরবে তার সৌন্দর্য্যের খ্যাতি ছিল। মদীনার দক্ষিণে বনু নাযীর গোত্রের আবাদী ভূমির পেছনের দিকে ছিল তার বসবাসের সুরম্য দূর্গ।

ইসলাম এবং ইসলামের নবীর প্রতি তিনি যে কি পরিমান শত্রুতা পোষন করতেন তা অনুমান করা যায় মুসলমানদের সাথে তার শত্রুতামূলক বিভিন্ন কথা, কাজ ও আচরণে। ইসলামের বিরুদ্ধে তার অব্যাহত ষড়যন্ত্র, মুসলিম সতীসাধ্বী নারীদের নামে মিথ্যে অপবাদ প্রদান করে তাদের নামে কুৎসা রটনা, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হত্যার প্রকাশ্য হুমকিসহ তার ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের কিছু নমুনা উপস্থাপন করছি-

বদরের যুদ্ধে মুসলিমদের বিজয় তিনি মেনে নিতে পারেননিঃ

উদাহরণতঃ বদর যুদ্ধে মুসলিমদের বিজয় লাভ এবং নেতৃস্থানীয় কুরাইশদের নিহত হওয়ার প্রথম খবর শুনে তিনি অকস্মাৎ বলে ওঠেন- ‘সত্যিই কি ঘটনা এটাই? এরা ছিল আরবের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি এবং জনগণের বাদশাহ। যদি মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে হত্যা করে থাকে তবে পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগ ওর উপরিভাগ হতে উত্তম হবে; অর্থাৎ আমাদের বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই উত্তম হবে।'

ধরা পড়ে যায় কা'বের গোপন চিঠিঃ

ইবনে ইসহাকের বর্ণনা উদ্ধৃত করে কা'বকে হত্যা করার পেছনে কারণ হিসেবে উইকিপিডিয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, কাবের প্রেরিত একটি চিঠি বদর যুদ্ধের পর মক্কায় পৌঁছেছিলো এবং তা মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিরুদ্ধে কুয়াইশদেরকে ক্ষেপিয়ে দিয়েছিল। সে চিঠির বিষয় ফাঁস হয়ে গেলে কা'বের গোপন ষড়যন্ত্র সম্মন্ধে মুসলিমরা নিশ্চিত হন। বিস্তারিত- Click This Link

বিশ্বাসঘাতকতার আরেক নাম কা'বঃ

অঙ্গীকার ভঙ্গকারীদেরকে ক্ষমা করার বিধান পৃথিবীর কোথাও নেই। মক্কাবাসীদের সাথে মদিনার চুক্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি মদিনাবাসী লোক হয়ে মদিনার বিরুদ্ধে মক্কার কুরাইশদেরকে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায়ে উষ্কানি দিয়ে আসছিলেন। তার এই বিশ্বাসঘাতকতা নজিরবিহীন। যে কোনো দেশ, রাষ্ট্র ও জনপদের নিরাপত্তা ও অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে এই ধরণের বিশ্বাসঘাতককে উচিত শিক্ষা দেয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।

কুরাইশদের সাথে মুসলিমদের স্বার্থ বিরোধী লিখিত চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হন কা'বঃ

বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্র দাবি করে যে, কাবকে হত্যা করার কারণ ছিল যে, তিনি মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হত্যার জন্য একদল ইহুদির সঙ্গে গোপন পরিকল্পনা করেছিলেন। বিখ্যাত মুফাসসির আল্লামা যারুল্লাহ যামাখাশারি, আল-তাবারসি, আল-রাযি এবং আল-বায়দাভির মত পরবর্তী ভাষ্যকারদের কাছ থেকে আরেকটি পৃথক মত পাওয়া যায় যে, কাবকে হত্যা করা হয়েছিল কারণ ফেরেশতা জিবরাইল আলাইহিস সালাম মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কাবের চুক্তি সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছিলেন, যেখানে কাব তার মক্কা সফরের সময় কুরাইশ এবং চল্লিশজন ইহুদির মধ্যে মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সন্ধিচুক্তিতে আবু সুফিয়ানের সাথে সাক্ষর করেন। সূত্রঃ উইকিপিডিয়া

অধ্যাপক ইউরি রবিনের ভাষ্যমতে, প্রাথমিক উৎসগুলোতে কুরাইশ এবং ইবনে আশরাফের মাঝে স্বাক্ষরিত একটি মুসলিমবিরোধী সন্ধির অস্তিত্বের বিষয়ে বর্ণনা পাওয়া যেতে পারে। সূত্রঃ উইকিপিডিয়া, বিস্তারিত- Click This Link

পৃথিবী থেকে মুসলিমদের অস্তিত্ব মিটিয়ে ফেলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন তিনিঃ

পরে যখন তিনি নিশ্চিতরূপে জানতে পারলেন যে, বদরের যুদ্ধের ফলাফলের যে খবর তিনি শুনেছেন তা সত্য, তখন আল্লাহর এ দুশমন রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মুসলিমদের নিন্দা এবং ইসলামের শত্রুদের প্রশংসা করতে শুরু করলেন এবং তাদেরকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করতে লাগলেন। কিন্তু এতেও তার বিদ্বেষবহ্ণি প্রশমিত না হওয়ায় তিনি পৃথিবী থেকে মুসলিমদের অস্তিত্ব মিটিয়ে ফেলার গভীর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি পথ খুঁজতে থাকেন।

যুদ্ধের আগুন জ্বালাতে তিনি ছুটে গেলেন সুদূর মক্কায়ঃ

অবশেষে অন্য কোনো উপয়ান্তর না পেয়ে তিনি মক্কার কুরাইশদের সাথে যোগ দেয়াকেই অধিক উপযুক্ত মনে করলেন। তার ধারণা ছিল, একমাত্র কুরাইশদের বৃহত শক্তিই নতুন ধর্মবিশ্বাস ইসলাম এবং এর অনুসারীদের নিশ্চিহ্ন করতে সক্ষম হবে। তাই তিনি কুরাইশদের সাথে হাত মেলানোর উদ্দেশ্যে অশ্বে আরোহণ করে প্রায় পাঁচশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সুদূর মক্কায় উপনীত হলেন এবং মুত্তালিব ইবনু আবী অদাআ সাহমীর অতিথি হলেন। তারপর তিনি কুরাইশ নেতৃবৃন্দের সামনে নিজের কাব্যপ্রতিভার প্রকাশ ঘটালেন। তিনি কুরাইশদের মর্যাদাবোধ তুলে ধরে তাদের উত্তেজিত করতে, তাদের প্রতিশোধাগ্নি প্রজ্জ্বলিত করতে এবং তাদেরকে নাবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্যে উৎসাহিত করতে কবিতা বলে বলে ঐ কুরাইশ নেতাদের জন্য বিলাপ করতে লাগলেন যাদের বদর প্রান্তরে হত্যা করার পর কূপে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

কা’ব বিন আশরাফের দুর্গ সংলগ্ন কূপ, ছবিঃ Click This Link থেকে সংগৃহীত।

তিনি যে মিথ্যাবাদী এবং শঠ তার প্রমানঃ

মক্কায় তার অবস্থানকালে আবূ সুফিয়ান ও মুশরিকরা তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘তোমার নিকট আমাদের দ্বীন বেশী পছন্দনীয়, না মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সঙ্গীদের দ্বীন? আর উভয় দলের মধ্যে কোন্ দলটি বেশী হিদায়াতপ্রাপ্ত?’

উত্তরে কা‘ব বিন আশরাফ বললেন- ‘তোমরাই তাদের চেয়ে বেশী হিদায়াতপ্রাপ্ত এবং উত্তম।'

তার এই মিথ্যাচারের অপনোদনেই আল্লাহ তা‘আলা নিম্নের আয়াত নাযিল করেন-

‏(‏أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِيْنَ أُوْتُوْا نَصِيْبًا مِّنَ الْكِتَابِ يُؤْمِنُوْنَ بِالْجِبْتِ وَالطَّاغُوْتِ وَيَقُوْلُوْنَ لِلَّذِيْنَ كَفَرُوْا هَؤُلاء أَهْدَى مِنَ الَّذِيْنَ آمَنُوْا سَبِيْلاً‏)‏ ‏[‏ النساء‏:‏ 51‏]‏‏.‏

‘যাদেরকে কিতাবের জ্ঞানের একাংশ প্রদত্ত হয়েছে, সেই লোকেদের প্রতি তুমি কি লক্ষ্য করনি, তারা অমূলক যাদু, প্রতিমা ও তাগূতের প্রতি বিশ্বাস করে এবং কাফিরদের সম্বন্ধে বলে যে, তারা মু’মিনগণের তুলনায় অধিক সঠিক পথে রয়েছে।’ -আন-নিসা ৪ : ৫১

মদিনায় প্রত্যাবর্তন এবং সতিসাধ্বী মুসলিম নারীদের চরিত্রহননঃ

কিছু দিন মক্কায় অবস্থান করে মক্কাবাসী কুরাইশ নেতৃবৃন্দের অন্তরে যুদ্ধের লেলিহান আগুনের শিখা প্রজ্বলিত করে দিয়ে, মদিনার মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করার অভিযানে গমন করলে তাদেরকে সর্বপ্রকার সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করার আশ্বাস দিয়ে কা‘ব ফিরে এলেন মাদিনায়। কিন্তু মদিনায় ফিরে এসেও তিনি যেন শান্তি পাচ্ছিলেন না। ইসলাম ও মুসলিমদের তার কোনোভাবেই সহ্য হচ্ছিল না। এ পর্যায়ে নব উদ্যমে তিনি ভিন্ন এক ন্যাক্কারজনক কাজে হাত বাড়ালেন। সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুমগণের স্ত্রীদের ব্যাপারে বাজে কবিতা বলতে শুরু করলেন এবং কটুক্তির মাধ্যমে তাঁদেরকে ভীষণ কষ্ট দিতে থাকলেন।

আল্লাহর এই দুশমনকে হত্যার ঘটনাঃ

তার ধারাবাহিক এসব জঘন্য অপকর্ম, সতিসাধ্বী মুসলিম নারীদের প্রতি মিথ্যা অপবাদ ও কলঙ্ক রটানো, ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়ে মক্কার কুরাইশদের সাথে ষড়যন্ত্রে শামিল হয়ে তাদেরকে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে পরামর্শ প্রদানসহ সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া, সর্বোপরি আল্লাহ তাআলা এবং রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নানাবিধভাবে দুর্ব্যবহারের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করায় এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,

من لى بكعب إبن الأشرف فإنه قد أذى الله و رسوله

অর্থ: 'কে এমন আছে? যে কাব ইবনে আশরাফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে! কেননা সে আল্লাহ এবং তার রাসূলকে কষ্ট দিচ্ছে।'

রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এ প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু, আব্বাদ বিন বিশর রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু, হারিস বিন আউস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু, আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু যার আরেক নাম সিলকান বিন সালামাহ এবং যিনি ছিলেন কা’বের দুধ ভাই, তিনি এবং আবূ আবস বিন হিবর রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু এ অভিযানে পথপ্রদর্শকের দায়িত্ব পালনের জন্যে এগিয়ে আসেন। ক্ষুদ্র এ বাহিনীর নেতা ছিলেন মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু। সূত্রঃ Click This Link

কা‘ব বিন আশরাফের হত্যার ব্যাপারে যেসব বর্ণনা রয়েছে তার সারমর্ম হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বললেন, ‘কা‘ব বিন আশরাফকে কে হত্যা করতে পারে? সে আল্লাহ এবং তার রাসূল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দিয়েছে।’

তখন মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু উঠে আরয করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি প্রস্তুত আছি। আমি তাকে হত্যা করব এটা কি আপনি চান?’

রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাবে বললেন, ‘হ্যাঁ’।

তিনি বললেন, ‘তাহলে আপনি আমাকে অস্বাভাবিক কিছু বলার অনুমতি দিচ্ছেন কি?’

রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বলেন, ‘হ্যাঁ, তুমি বলতে পার।’

এরপর মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু কা‘ব ইবনু আশরাফের নিকট গমন করলেন এবং তাকে বললেন, ‘এ ব্যক্তি অর্থাৎ, মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে সাদাকাহ চাচ্ছে এবং প্রকৃত কথা হচ্ছে সে আমাদেরকে কষ্টের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

একথা শুনে কা‘ব বলল, ‘আল্লাহর কসম! তোমাদের আরো বহু দুর্ভোগ পোহাতে হবে।’

মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘আমরা যখন তার অনুসারী হয়েই গেছি তখন হঠাৎ করে এখনই তার সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত মনে করছি না। পরিণামে কী হয় দেখাই যাক। আচ্ছা, আমি আপনার কাছে এক অসাক বা দু’ অসাক (এক অসাক =১৫০ কেজি) খাদ্য শস্যের আবেদন করছি।’

কা‘ব বলল ‘আমার কাছে কিছু বন্ধক রাখো।’

মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘আপনি কী জিনিস বন্ধক রাখা পছন্দ করেন?’

কা‘ব উত্তর দিলো, ‘তোমাদের নারীদেরকে আমার নিকট বন্ধক রাখো।’

মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘আপনি আরবের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সুদর্শন পুরুষ, সুতরাং, আমরা আমাদের নারীদেরকে কিরূপে আপনার নিকট বন্ধক রাখতে পারি?’

সে বলল, ‘তাহলে তোমাদের পুত্রদেরকে বন্ধক রাখো।’

মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘আমরা আমাদের পুত্রদেরকে কী করে বন্ধক রাখতে পারি? এরূপ করলে তাদেরকে গালি দেয়া হবে যে, এক অসাক বা দু অসাক খাদ্যের বিনিময়ে তাদেরকে বন্ধক রাখা হয়েছিল। এটা আমাদের জন্যে খুবই লজ্জার কথা হবে। আমরা অবশ্য আপনার কাছে অস্ত্র বন্ধক রাখতে পারি।’

এরপর দুজনের মধ্যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো যে, মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু অস্ত্র নিয়ে তার কাছে আসবেন। এদিকে আবূ নায়িলাও রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু অগ্রসর হলেন অর্থাৎ কা‘ব বিন আশরাফের কাছে আসলেন। কিছুক্ষণ পর্যন্ত উভয়ের মধ্যে বিভিন্ন দিকের কবিতা শোনা ও শোনানোর কাজ চললো। তারপর আবূ নায়িলা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘ভাই বিন আশরাফ! আমি এক প্রয়োজনে এসেছি। এটা আপনাকে আমি বলতি চাচ্ছি এই শর্তে যে, আপনি কারো কাছে এটা প্রকাশ করবেন না।’

কা‘ব বলল, ‘ঠিক আছে, আমি তাই করব।’

আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘এ ব্যক্তির অর্থাৎ, মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর আগমন তো আমাদের জন্যে পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোটা আরব আমাদের শত্রু হয়ে গেছে। আমাদের পথ ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে, পরিবার পরিজন ধ্বংস হতে চলেছে। সন্তান-সন্ততির কষ্টে আমরা চৌচির হচ্ছি।’

এরপর তিনি ঐ ধরণেরই কিছু আলাপ আলোচনা করলেন, যেমনটা মুহাম্মাদ বিন মাসলামা করেছিলেন। কথোপকথনের সময় আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু এ কথাও বলেছিলেন যে, আমার কয়েকজন বন্ধু বান্ধব রয়েছে যাদের চিন্তাধারা ঠিক আমারই মত। আমি তাদেরকেও আপনার কাছে নিয়ে আসতে চাচ্ছি। আপনি তাদের হাতেও কিছু বিক্রি করুন এবং তাদের উপর অনুগ্রহ করুন।’

মুহাম্মাদ বিন মাসালামা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু এবং আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু নিজ নিজ কথোপকথনের মাধ্যমে নিজেদের উদ্দেশ্য সাধনে সফলকাম হন। কেননা, ঐ কথোপকথনের পরে অস্ত্রশস্ত্র বন্ধু বান্ধবসহ এ দুজনের আগমনের কারণে কা‘ব বিন আশরাফের সতর্ক হয়ে যাওয়ার কথা নয়।

জোছনাস্নাত রাতে কা'ব বিন আশরাফের পরকাল যাত্রাঃ

হিজরি ৩য় সনের রবিউল আওয়াল মাসের ১৪ তারিখ জোছনাস্নাত এক রাতে এ ক্ষুদ্র বাহিনী রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নিকট একত্রিত হন। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাকীয়ে গারকাদ অর্থাৎ, জান্নাতুল বাকী কবরস্থান পর্যন্ত তাঁদের অনুসরণ করেন। তারপর বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে যাও। বিসমিল্লাহ। হে আল্লাহ! এদেরকে সাহায্য করুন।’

তারপর তিনি নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। তারপর বাড়িতে তিনি সালাত ও মুনাজাতে লিপ্ত হয়ে পড়েন।

এদিকে এ বাহিনী কা‘ব বিন আশরাফের দুর্গের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছার পর আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু উচ্চৈঃস্বরে ডাক দেন। ডাক শুনে কা‘ব তাদের নিকট আসার জন্যে ঘর হতে বের হতে উদ্ধত হলে তার স্ত্রী তাকে বললেন, ‘এ সময় কোথায় যাচ্ছেন? আমি এ ডাকের ভেতরে এমন শব্দ শুনতে পাচ্ছি, যেন তা হতে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত পড়ছে।’

স্ত্রীর এ কথা শুনে কা‘ব বলল, ‘এটা তো আমার ভাই মুহাম্মাদ বিন মাসলামা এবং দুধ ভাই আবূ নায়িলাহ। সম্ভ্রান্ত লোককে যদি তরবারী যুদ্ধের দিকে আহবান করা হয় তবে সে ডাকেও সে সাড়া দেয়।’

এরপর তিনি বাইরে এলেন। তার দেহ থেকে সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ছিল এবং তার মাথায় যেন খোশবুর ঢেউ খেলছিল।

আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু তাঁর সঙ্গীদেরকে বলে রেখেছিলেন যে, ‘যখন তিনি আসবেন তখন আমি তার চুল ধরে শুঁকবো। যখন তোমরা দেখবে যে, আমি তার মাথা ধরে তাকে ক্ষমতার মধ্যে পেয়ে গেছি তখন ঐ সুযোগে তোমরা তাকে হত্যা করবে।’

সুতরাং, যখন কা‘ব এলেন তখন দীর্ঘক্ষণ ধরে আলাপ আলোচনা ও গল্পগুজব চললো। তারপর আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘বিন আশরাফ! আজুয ঘাঁটি পর্যন্ত চলুন। সেখানে আজ রাতে কথাবার্তা বলাবলি হবে।

তিনি বললেন, ‘তোমাদের ইচ্ছা হলে চলো।’ তারপর তাদের সাথে তিনি চললেন।

পথিমধ্যে আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু তাকে বললেন, ‘আজকের মতো এমন উত্তম সুগন্ধি আপনাকে ইতোপূর্বে ব্যবহার করতে দেখিনি।’

একথা শুনে কা'বের বক্ষ গর্বে ফুলে উঠল। তিনি বললেন, ‘আমার পাশে আরবের সর্বাপেক্ষা অধিক সুগন্ধি ব্যবহারকারিণী মহিলা রয়েছে।’

আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘আপনার মাথাটি একটু শুঁকবো, এ অনুমতি আছে কি?’

তিনি উত্তরে বললেন ‘হ্যা, হ্যাঁ’।

আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু তখন কা‘বের মাথায় হাত রাখলেন। তারপর তিনি নিজেও তার মাথা শুঁকলেন এবং সঙ্গীদেরকেও শুঁকালেন। কিছুদূর যাওয়ার পর আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘ভাই আর একবার শুঁকতে পারি কি?’

কা‘ব উত্তর দিল ‘হ্যাঁ হ্যাঁ। কোন আপত্তি নেই।’

আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু আবার শুঁকলেন। সুতরাং, তিনি নিশ্চিত হয়ে গেলেন।

আরো কিছুদূর চলার পর আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু পুনরায় বললেন, ‘ভাই আর একবার শুঁকবো কি?’

এবারও কা‘ব উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, শুঁকতে পারো।

এবার আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু তার মাথায় হাত রেখে ভালভাবে মাথা ধরে নিলেন এবং সঙ্গীদেরকে বললেন, ‘আল্লাহর এ দুশমনকে হত্যা করে ফেল।’

ইতোমধ্যেই তার উপর কয়েকটি তরবারী পতিত হলো, কিন্তু কাজ হলো না। এ দেখে মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু নিজের কোদাল ব্যবহার করে তার দুনিয়ার স্বাদ চিরতরে মিটিয়ে দিলেন। আক্রমণের সময় কা'ব এত জোরে চিৎকার করেছিলেন যে, চতুর্দিকে তার চিৎকারের শব্দ পৌঁছে গিয়েছিল এবং আশপাশে এমন কোন দূর্গ বাকী ছিল না যেখানে বিপদ সংকেত স্বরূপ অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করা হয়নি। কিন্তু এতদসত্বেও মুসলিমদের ক্ষুদ্র এ বাহিনী কোনোরূপ বাধার সম্মুখিন না হয়ে সফলতার সাথে অভিযান সমাপ্ত করে প্রত্যাবর্তন করতে সক্ষম হন।

কা’ব বিন আশরাফের দুর্গে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘর, ছবিঃ Click This Link থেকে সংগৃহীত।

আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বললেন, ‘আফলাহাতিল উজূহু’

কা‘বকে আক্রমণ করার সময় হারিস ইবনু আউস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুকে তাঁর কোন এক সাথীর তরবারীর কোণার আঘাত লেগেছিল। ফলে তিনি আহত হয়েছিলেন এবং তাঁর দেহ হতে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল। কা‘বকে হত্যা করে ফেরার সময় যখন এ ক্ষুদ্র মুসলিম বাহিনী হররায়ে আরীয নামক স্থানে পৌঁছেন তখন দেখেন যে, হারিস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু অনুপস্থিত রয়েছেন। সুতরাং, তারা সেখানে থেমে যান। অল্পক্ষণ পরে হারিস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুও সঙ্গীদের পদচিহ্ণ ধরে সেখানে পৌঁছে যান। সেখান হতে তাঁরা তাঁকে উঠিয়ে নেন এবং বাকীয়ে গারকাদে পৌঁছে এমন জোরে তাকবীর ধ্বনি দেন যে, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-ও তা শুনতে পান। তিনি বুঝে নেন যে, কা‘ব নিহত হয়েছে। সুতরাং, তিনিও আল্লাহু আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করেন। তারপর যখন এ মুসলিম বাহিনী তাঁর খিদমতে উপস্থিত হন তখন তিনি বলেন, ‘আফলাহাতিল উজূহু’ অর্থাৎ এ চেহারাগুলো সফল থাকুক।

তখন তারা বললেন, ‘অ অজুহুকা ইয়া রাসূলুল্লাহ’ অর্থাৎ হে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার চোহরাও সফলতা লাভ করুক। আর সাথে সাথেই তাঁরা তাগূতের (কা‘বের) কর্তিত মস্তক তাঁর সামনে রেখে দেন। তিনি তখন আল্লাহ পাকের প্রশংসা করেন এবং হারিস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু -এর ক্ষত স্থানে স্বীয় পবিত্র মুখের লালা লাগিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আরোগ্য লাভ করেন এবং পরে আর কখনো তিনি কষ্ট অনুভব করেন নি। -এ ঘটনাটির বিস্তারিত বিবরণ ইবনু হিশাম ২য় খন্ড ৫১-৫৭ পৃঃ, সহীহুল বুখারী ১ম খন্ড ৩৪১-৪২৫ পৃঃ, ২য় খন্ড ৫৭৭ পৃঃ, সুনানে আবূ দাউদ আউনুল মা’বূদ সহ দ্রষ্টব্য ২য় খন্ড ৪২-৪৩ পৃঃ এবং যা’দুল মাআ’দ ২য় খন্ড ৯১ পৃঃ, এ সব হাদীস গ্রন্থ হতে গৃহীত হয়েছে।

কা'ব হত্যার ফলাফলঃ

এদিকে ইহুদীরা যখন কা‘ব বিন আশরাফের হত্যার খবর জানতে পারে তখন তাদের শঠতাপূর্ণ অন্তরে ভীতি ও ত্রাসের ঢেউ খেলে যায়। তারা বুঝতে পারে যে, রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন অনুধাবন করবেন যে, শান্তি বিনষ্টকারী, গন্ডগোল ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী এবং প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকার ভঙ্গকারীদেরকে উপদেশ দিয়ে কোন ফল হচ্ছে না, তখন তিনি তাদের উপর শক্তি প্রয়োগ করতেও দ্বিধাবোধ করবেন না। এ জন্যেই তারা এই বিশ্বাসঘাতককে হত্যার প্রতিবাদে কোন কিছু করার সাহস করেননি, যদিও তাদের এ যুগের উত্তরসূরীদের কেউ কেউ আগপাছ না ভেবে ইতিহাসের সত্যকে ঢেকে রেখে হাহাকার রব তুলে শোরগোল করতে চান মাঝে মাঝেই, বস্তুতঃ কা'বের খুনের ঘটনার পরে মদিনা এবং আশপাশ অঞ্চলের বাদবাকি ইহুদিদের মধ্যে যারা তার পথে হাটছিলেন, তাকে অনুসরণ করছিলেন তারাও একে একে সকলে মুনাফিকির এই পথ থেকে ফিরে আসেন। তারা অঙ্গীকার পূরণের স্বীকৃতি দান করেন এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধাচরণের দুঃসাহস সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে ফেলেন।

এভাবে ইসলাম ও মুসলিমদের দুশমন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এবং রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দুশমন দুর্বৃত্ত কা'ব বিন আশরাফকে উচিত শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনার বিরুদ্ধে বহিরাক্রমণের সম্ভাবনা বিদূরিত করতে সক্ষম হলেন। এর ফলে মুসলিমরা মদিনার অভ্যন্তরীণ গোলযোগ হতেও সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে গেলেন; যে গোলযোগের শঙ্কা বহু দিন থেকে তাঁদেরকে চিন্তিত, শঙ্কিত ও উদ্বেগাকুল করে রেখেছিল এবং যার নেতৃত্বে ছিলেন মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত দুর্বৃত্ত কা'ব বিন আশরাফ।

কা'ব বিন আশরাফের দুর্গের ধ্বংসাবশেষ, ছবিঃ Click This Link থেকে সংগৃহীত।

নিবন্ধটি প্রণয়নে প্রয়োজনীয় তথ্য গ্রহণ করা হয়েছে হাদিস এবং সীরাতের নির্ভরযোগ্য যেসব কিতাব ও সূত্র থেকেঃ

০১। সহীহ বুখারী ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৪১, ৪২৫,
০২। সহীহ বুখারী ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৫৭৭,
০৩। সুনানে আবূ দাউদ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪২, ৪৩,
০৪। যাদুল মায়াদ ২য় খন্ড পৃষ্ঠা ৯১,
০৫। সিরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৫১, ৫৭।
০৬। আর রাহীকুল মাখতুম (বঙ্গানুবাদ), মূলঃ আল্লামা ছফিউর রহমান মোবারকপুরি, অনুবাদকঃ খাদিজা আকতার রেজায়ী, আল কোরআন একাডেমি লন্ডন কর্তৃক প্রকাশিত, পৃষ্ঠা ২৪৮ - ২৫১

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যথেষ্ট যুক্তি আপনি উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



যুক্তিরই বিষয়। এত বড় মানবতাবিরোধীর পক্ষে যখন কোনো কোনো পক্ষকে কথা বলতে দেখা যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ জন্যই যুক্তির বিষয়টি সামনে আসে।

ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইহুদি হলেতো তাকে মারা ফরজ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



মানবতার শত্রুর কোনো ধর্ম নেই। যে ধর্মের আর যে বর্ণেরই হোক, আইনের মুখোমুখি তাকে অবশ্যই করা উচিত বলে মনে করি।

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
বিশ্বাঘাতকদের শাস্তি তাই হওয়া উচিত এবং তার হত্যা পরবর্তীতে ইসলামের ইতিহাসে যথার্থই প্রমাণীত হয়েছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম। আমার মন্তব্য আপনার ভালো লাগবে না।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্য সবসময়ই আশাব্যঞ্জক। তবে মাঝে মধ্যে আপনি চাঁদগাজী ভাইকে যুক্তি তর্কের উর্ধ্বে উঠে নিঃশর্ত সমর্থন করেন। সর্বোপরি আপনি আমার কাছের মানুষ।

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

হাসান ইমরান বলেছেন:
"ইহুদি হলেতো তাকে মারা ফরজ।"

ঠিক কথা বলেছেন। যেমনটি বাংলাদেশের মানবতা বিরোধি, দেশদ্রোহী রাজাকার, বিশ্বাসঘাতকদের মারা বাংলাদেশের জন্য ফরজ।আমি সম্পূর্ণ একমত আপনার সাথে জনাব নুরুল ভাই।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



কাউকে মেরে ফেলার অধিকার কারও নেই। যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তাকে শাস্তি দেয়ার দায়িত্ব একমাত্র আদালতের উপরেই বর্তায়। ইসলামের প্রারম্ভিক যুগে বর্তমান কালের মত সুবিন্যাস্ত পদ্ধতিতে আইন আদালতের অনুপস্থিতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ক্ষেত্র বিশেষে এই ধরণের মানবতাবিরোধী অপরাধীকে শাস্তি প্রদান করার প্রয়োজন দেখা দিত।

ধন্যবাদ।

৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কবি সম্মন্ধে আপনার মনোভাব জানলাম।
চিত্রকর, ভাষ্কর, থ্রীডি প্রিন্টার বিষয়ে কিছু লিখুন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক। মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা।

চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৮

ফটিকলাল বলেছেন: আবু নায়িলাহ যে মিথ্যা ও অভিনয়ের আশ্রয় নিলেন কবিকে হত্যা করার জন্য তার সাথে আল-তাকিয়ার কোনো সম্পর্ক আছে? শাতিমে রাসুলের সাথে খিয়ানাতেও কি একই শাস্তির বিধান?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রশ্নের উত্তর দিতে একটু সময় নিতে চাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৩

এভো বলেছেন:


২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৭

এভো বলেছেন:

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

১০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২০

এভো বলেছেন:

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫০

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রত্যেক ধর্মে আমিত্ব ব্যাপারটা প্রবল !!! এটা আমাকে ভাবায় !!!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন একটা কথা বলেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আসলে আমিত্ব, নিজের বড়ত্ব, কৌলিনত্ব, অহমবোধ, দাম্ভিকতা এগুলোকে সম্পূর্ণরূপে বিসর্জন না দেয়া পর্যন্ত সত্যিকারের ধার্মিক হওয়ার সুযোগ ইসলামে আদৌ নেই। সম্ভবতঃ কোনো ধর্মেই নেই।

কবির ভাষায়-

এক হি সফ মে খাড়ে হো মাহমূদ ও আয়াজ,
না কোয়ি বান্দা রাহা, না কোয়ি বান্দা নাওয়াজ।

বংশের গৌরব আর কৌলিন্যের বেড়াজাল ভেঙ্গে দিয়ে, জাত্যাভিমানের ভেদাভেদ দূর করে নামাজের একই কাতারে বাদশাহ আর ভৃত্যেকে পাশাপাশি যেমন দাঁড় করিয়ে দেয় ইসলাম, বাস্তব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেও উঁচু নিচুর গর্ব অহংকার, আত্মগরিমার কোনো স্থান ইসলামে নেই।

সমাজে নেতিবাচক যেসব চলে আসছে, আমরা যা দেখি- সত্যিকারার্থে তা ইসলামের আদর্শ নয়।

১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৪

ফটিকলাল বলেছেন: এভো ভাইকে ধন্যবাদ যে উনি যে লেখকের হাদিস ও তথ্য বিকৃতির (?) ব্যাপারটি হাতে নাতে ধরিয়ে দিলেন।

আমি সরাসরি অভিযোগ না করে যে পয়েন্টগুলো লেখক এড়িয়ে গেছেন বুঝতে চাচ্ছিলাম লেখক সেটা ইচ্ছে করে এড়িয়ে গেছেন না বুঝতে পারেননি বলে নিজের ভাষায় বলে গেছেন সেটা উল্লেখ করেছি। আর তাই তথ্যবিকৃতির ব্যাপারে একটা প্রশ্ন বোধক চিহ্ন প্রকাশ করেছি। এসব কট্টর হাদিস বিকৃত বা কিছু বাদ দিয়ে কিছু গ্রহন করে তাতে নিজের মত প্রকাশ করার মত লেখকের আছে কিনা বা সে সম্পর্কিত প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান আছে কিনা বা আরবী ভাষা ও ব্যাকরণে তার কতটুকু দখল নাকি ব্লগে শুধু শোঅফ সেটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।

বিশুদ্ধভাবে ইসলাম চর্চা যে কতটা প্রয়োজনীয় এবং চারিদিকে ইসলমবিদ্বেষের কারনগুলো খতিয়ে দেখার সময় হয়েছে।

ব্লগার এভো সাহেবের কমেন্টগুলো সুষ্ঠু আলোচনার পথে ভালো দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



কোথায় হাদিসের বিকৃতি ঘটেছে দয়া করে যদি বলতেন!

হাদিসের কিতাব একখানা নয় যে, একটি হাদিসের পাশাপাশি একই বিষয়ে একাধিক হাদিস থাকা অসম্ভব। সুতরাং, এত অল্পতেই হাদিস বিকৃতির অভিযোগ উত্থাপন না করে সঠিক হাদিস আপনি উপস্থাপন করতে পারেন। অন্যের উপরে ভরসা না করে নিজেই এই চেষ্টাটা করে দেখাতে পারেন। তাতে নিজের জানার পরিধি যেমন সমৃদ্ধ হবে তেমনি আমরাও নতুন কিছু জানার সুযোগ পাব।

ধন্যবাদ।

১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

এভো বলেছেন: কাব বিন আশরাফকে হত্যা করা হয়েছিল শুধু মাত্র ইসলাম বিরুধি কবিতা লিখার জন্য অন্য কোন কারনে নহে, যেটা আপনি লিখেছেন

কাব বিন আশরাফকে হত্যা করা হয়েছিল শুধু মাত্র ইসলাম বিরুধি কবিতা লিখার জন্য অন্য কোন কারনে নহে, যেটা আপনি লিখেছেন

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রকৃত সত্যকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধী দুর্বৃত্ত কা'ব বিন আশরাফের পক্ষে এরকম সাফাই অনেককে আগেও গাইতে দেখেছি। প্রকৃত ইতিহাস জানা প্রয়োজন।

ধন্যবাদ।

১৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: আসলে আমিত্ব, নিজের বড়ত্ব, কৌলিনত্ব, অহমবোধ, দাম্ভিকতা এগুলোকে সম্পূর্ণরূপে বিসর্জন না দেয়া পর্যন্ত সত্যিকারের ধার্মিক হওয়ার সুযোগ ইসলামে আদৌ নেই। সম্ভবতঃ কোনো ধর্মেই নেই।

কবির ভাষায়-

এক হি সফ মে খাড়ে হো মাহমূদ ও আয়াজ,
না কোয়ি বান্দা রাহা, না কোয়ি বান্দা নাওয়াজ।

বংশের গৌরব আর কৌলিন্যের বেড়াজাল ভেঙ্গে দিয়ে, জাত্যাভিমানের ভেদাভেদ দূর করে নামাজের একই কাতারে বাদশাহ আর ভৃত্যেকে পাশাপাশি যেমন দাঁড় করিয়ে দেয় ইসলাম, বাস্তব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেও উঁচু নিচুর গর্ব অহংকার, আত্মগরিমার কোনো স্থান ইসলামে নেই।

সমাজে নেতিবাচক যেসব চলে আসছে, আমরা যা দেখি- সত্যিকারার্থে তা ইসলামের আদর্শ নয়।


আসলেই কি নেই ? একটু তাকিয়ে দেখেন আমাদের সমাজে যারা নিজেদের কে ইমানদার মুমিন বলে প্রচার করে তাদের কাজ কারবার।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, এটা আগেই বলেছি। সমাজে নেতিবাচক যেসব চলে আসছে, আমরা যা দেখি- সত্যিকারার্থে তা ইসলামের আদর্শ নয়।

আপনাকে ধন্যবাদ পুনরায় মন্তব্যে আসায়।

১৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগের কবিদের হত্যা করা হয়েছে, ইহাতে আপনার কি রকম লাগছে?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



যে মতেরই হোন না কেন, কাউকে হত্যা করার অধিকার কারও থাকতে পারে না। আইন হাতে তুলে অধিকার কারও নেই।

কেউ অন্যায় করলে তার বিচার করবে আদালত। ব্লগের যাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

১৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭

ফটিকলাল বলেছেন: ব্লগার এভো সাহেবকে আরেকবার ধন্যবাদ দিতে হয় পোষ্ট লেখকের হাদিস বিকৃতির বিষয়টি ধরিয়ে দেবার জন্য।

ফাসেকের মুখোশ এভাবেই খুলে পড়ুক।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



কা'ব বিন আশরাফের মত একজন জঘন্য মানবতা বিরোধী অপরাধীর পক্ষ সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেক কিছু জেনে নিলাম। সে একজন মানবতা বিরোধী অপরাধী

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা অশেষ।

১৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫

এভো বলেছেন: প্রকৃত সত্যকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধী দুর্বৃত্ত কা'ব বিন আশরাফের পক্ষে এরকম সাফাই অনেককে আগেও গাইতে দেখেছি। প্রকৃত ইতিহাস জানা প্রয়োজন।


লিখাটা যার বইয়ের ফটোসট সেটা নিম্মে দেওয়া হোল । তিনি কি মিথ্যা লিখেছেন ?




২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



যার বইয়ের রেফারেন্স দিয়েছেন তার জানার বাইরে কিছু থাকতে পারে না- এটা যদি আপনি বিশ্বাস করেন তাহলে তর্কে যাওয়া বৃথা।

ধন্যবাদ।

১৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০০

এভো বলেছেন: কাব বিন আশরাফের হত্যার বর্ণনা ২০ থেকে ২৮ পাতা পর্যন্ত সূচি পত্রে দেখুন , ঐ পাতা গুলোর ফটোসট আগেই দিয়েছি । আমি ঐ বই থেকে ফটোসট দিয়েছি । ওটা সত্যকে পাশ কাটানো হোলে ঐ বইয়ের লেখকে চ্যালেন্জ করুন দয়া করে , ধন্যবাদ

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



ঐ লেখককে চ্যালেঞ্জ করার প্রয়োজন আমার মোটেই নেই। উনি তার জানার পরিধি অনুসারে তার বইতে যা লিখেছেন সেটা তার ব্যক্তিগত জ্ঞানের আলোকে তিনি করেছেন। এটা তার ব্যাপার। তার জ্ঞান বুদ্ধি বা জানাকে চূড়ান্ত বলে অভিহিত করার সুযোগ নেই। অভিমত প্রকাশের স্বাধীনতা তার যেমন আছে আপনার-আমার-আমাদেরও রয়েছে।

আপনি এই পোস্টে কষ্ট করে সময় ব্যয় করে সেই ভদ্রলোকের বইটির অনেকগুলো পেইজের স্কিন শট দিয়ে প্রমান করতে চেষ্টা করেছেন যে, এই পোস্টে উল্লিখিত এতগুলো কারণ ছিল না কা'বকে হত্যার পেছনে। আসলে কোনো বিষয়ে তর্কে নামতে হলে, কাউকে কোনো বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করতে হলে সেই বিষয়ে পর্যাপ্ত জেনেশুনে তারপরেই আসতে হয়। আপনি তো ভাই, না জেনে ঝাপিয়ে পড়েছেন। আপনি যে অপ্রয়োজনীয় তর্ক করেছেন তা বলতেও দ্বিধা হচ্ছে। আপনার তর্কের অসারতা প্রমান করে আপনাকে লজ্জায় ফেলতে নিজের কাছে খারাপ লাগছে। এ কারণে খুব বেশি দূর যেতে চাচ্ছি না। সামান্য কষ্ট করে উইকিপিডিয়ায় একটু ঘুরে আসতে পারেন। উইকিপিডিয়া চেনেন তো? না কি আবার বলে বসবেন যে, উইকিপিডিয়া আবার কি?

যা্ই হোক, যদি চিনে থাকেন, তাহলে দেখে আসতে পারেন উইকিপিডিয়ায় উল্লিখিত কাব বিন আশরাফ বিষয়ক তথ্যাবলী। আচ্ছা, সেই কষ্টটাও আপনাকে করতে হবে না। আমিই করছি। উইকিপিডিয়ার সংশ্লিষ্ট অংশটুকু এখানে কপি পেস্ট করলাম আপনার জন্য। মনযোগ দিয়ে দেখুন তো কি লেখা রয়েছে তাতে!

=============================================

কাব বিন আশরাফ (হিব্রু ভাষায়: כעב אבן אלאשרף‎ Ka'b iben al-Ashraf, আরবি: كعب بن الاشرف‎‎, ৬২৪-এ নিহত) ছিল মদিনার একজন ইহুদি নেতা ও কবি। বদরের যুদ্ধের ছয় মাস পর ইসলামের নবী মুহাম্মাদের নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।[১] কাবের পিতা আরবের বনু তায়ি গোত্র এবং মাতা বনু নাদির গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলো, তাকে তার মায়ের গোত্রের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করা হতো, যেখানে সে একজন অন্যতম নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিল।[২]

ইবনে ইসহাকের বর্ণনা অনুযায়ী, মুহাম্মদ কাবকে হত্যা করার জন্য তার অনুসারীদেরকে নির্দেশনা দেন, এর কারণ; কাবের প্রেরিত একটি চিঠি বদর যুদ্ধের পর মক্কায় পৌঁছেছিলো এবং তা মুহাম্মদের বিরুদ্ধে কুয়াইশদেরকে খেপিয়ে দিয়েছিল। সে এমন কবিতাও লিখত যেগুলোতে সে বদর যুদ্ধে নিহত কুরাইশদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতো। মদিনা থেকে ফেরার অল্পদিন পরেই সে মুসলিম মহিলাদের প্রকৃতি সম্পর্কে কটাক্ষ করে কবিতা রচনা করে।[১] অন্যান্য ঐতিহাসিক সূত্র দাবি করে যে, কাবকে হত্যা করার কারণ ছিল যে, সে মুহাম্মদকে হত্যার জন্য একদল ইহুদির সঙ্গে গোপন পরিকল্পনা করেছিল। আল-যামাখাশারি, আল-তাবারসি, আল-রাযি এবং আল-বায়দাভির মত পরবর্তী ভাষ্যকারদের কাছ থেকে আরেকটি পৃথক মত পাওয়া যায় যে, কাবকে হত্যা করা হয়েছিল কারণ ফেরেশতা জিবরাইল মুহাম্মাদকে কাবের চুক্তি সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছিলেন, যেখানে কাব তার মক্কা সফরের সময় কুরাইশ এবং চল্লিশজন ইহুদির মধ্যে মুহাম্মাদের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সন্ধিচুক্তিতে আবু সুফিয়ানের সাথে সাক্ষর করেন। অধ্যাপক ইউরি রবিনের ভাষ্যমতে, প্রাথমিক উৎসগুলোতে কুরাইশ এবং ইবনে আশরাফের মাঝে সাক্ষরিত একটি মুসলিমবিরোধী সন্ধির অস্তিত্বের বিষয়ে বর্ণনা পাওয়া যেতে পারে।[১]

সহিহ বুখারি এবং সহিহ মুসলিমের অসংখ্য হাদিসে কাবকে হত্যার নির্দেশটি উল্লেখ করা হয়েছে।[৩]

মুহাম্মাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব
বদরের যুদ্ধে মুসলিমদের জয়ের পর বন্দী কয়েকজন মক্কার নেতার মৃত্যুদন্ডের ঘটনায় কাব বিন আশরাফ অসন্তুষ্ট ছিল।[৪][৫]

কাব এরপর মক্কা গিয়ে সেখানে কুরাইশদের প্রশংসায় কবিতা রচনা করে এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণে উৎসাহ যোগায়।[২] কিছু সূত্র অনুযায়ী কাব মক্কা গিয়ে মুহাম্মাদের বিরুদ্ধে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য কুরাইশ ও ইহুদিদের একটি চুক্তি করে।[৬]

মদিনা ফিরে আসার পর কাব মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে অশ্লীল কবিতা রচনা শুরু করে।[৭]

কাব বিন আশরাফের কর্মকাণ্ডের এক পর্যায়ে মুহাম্মদ কাবকে হত্যার নির্দেশ দেন।[১][৮]মুহাম্মদ ইবনে মাসলামা এই দায়িত্ব নেন এবং কয়েকজন সাহাবি তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। এরপর রাতের বেলা কাবকে হত্যা করা হয়।[৪][৭]

আরও দেখুন
আসমা বিনতে মারওয়া
আবু আফাক
সূরা আল-কাওসার
তথ্যসূত্র
Rubin, Uri (১৯৯০)। "The Assassination of Kaʿb b. al-Ashraf"। Oriens। 32: 65। জেস্টোর 1580625। ডিওআই:10.2307/1580625।
Montgomery Watt, W (১৯৫৬)। Muhammad at Medina। পৃষ্ঠা 18-19।
সহীহ বুখারী, ৪:৫২:২৭০ (ইংরেজি) সহীহ বুখারী, ৫:৫৯:৩৬৯ (ইংরেজি), সহীহ মুসলিম, ১৯:৪৪৩৬ (ইংরেজি) সহীহ বুখারী, ৩:৪৫:৬৮৭ (ইংরেজি) সহীহ বুখারী, ৪:৫২:২৭১ (ইংরেজি)
Montgomery Watt, W.। "Ka'b ibn al-Ashraf"। Encyclopaedia of Islam (Online সংস্করণ)। Brill Academic Publishers। ISSN 1573-3912।
"KA'B AL-ASHRAF - JewishEncyclopedia.com"। jewishencyclopedia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
Rubin, Uri (১৯৯০)। The Assassination of Kaʿb b. al-Ashraf.। Oriens। 32। পৃষ্ঠা 66।
Stillman, Norman (১৯৭৯)। The Jews of Arab Lands: A History and Source Book। Jewish Publication Society (Translation of Ibn Hisham's al-Sira al-Nabawiyya (The Life of The Prophet))। পৃষ্ঠা 124–127। আইএসবিএন 0-8276-0116-6।
সহীহ বুখারী, ৪:৫২:২৭০ (ইংরেজি)

==================================================

কূপমন্ডুকতা পরিহার করে আমাদের জানার চেষ্টা করতে হবে। আমি একটি বই পড়েছি, বেশ ভালো কথা। বই পড়া নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ। কিন্তু একটি বই পড়েই যদি আমি মনে করি যে, এই বইয়ের বাইরে আর কিছু নেই, পৃথিবীর সব জ্ঞান অর্জন করা শেষ হয়ে গেছে- এটা খুবই অযৌক্তিক, অন্যায্য এবং অন্যায় কথা। ব্যাঙ এর কুয়োকে জগত মনে করার মত অবস্থা আমাদেরও যদি হয় তাহলে কি চলবে? জ্ঞানের জগত খোলা। আসুন, আমরা পড়ি। জানি। শিখি। শেখাই। নিজের জানার পরিধিকে সমৃদ্ধ করি। উদারতার দৃষ্টিভঙ্গি পোষন করি।

ধন্যবাদ।

২০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কা'ব বিন আশরাফের বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ;
১। কা'ব মক্কা গিয়ে কুরাইশদের মুসলমানদের সাথে যুদ্ধের উস্কানি দিয়েছে। এটা ছিল মদিনার সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এই সংবিধানে কা'ব বিন আশরাফও স্বাক্ষর করেছিল তার গোত্রের দলনেতা হিসাবে। এই সংবিধান অনুযায়ী কুরাইশ বা মক্কার অন্য কোন গোত্রকে সমর্থন করা নিষিদ্ধ ছিল। এটা স্পষ্ট রাষ্ট্রদোহিতা ও বেঈমানি।
২। রসূল (সাঃ) ও মুসলিম নারীদের নিয়ে মানহানিকর কবিতা লিখত সে কুরাইশদের যুদ্ধের উস্কানি দিত।
৩। মদিনার সংবিধানে ছিল যে স্বাক্ষরকারীরা কুরাইশদের বয়কট করবে, তাদের কোনও সাহায্য-সহযোগিতা করবে না, কোন গোত্রের উপর বাইরের কোন শত্রু আক্রমণ করলে অন্যরা সাহায্য করবে, মদিনাকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ করবে। কা'ব বিন আশরাফ স্পষ্টতই তার আচরণের দ্বারা এই সংবিধান লঙ্ঘন করেছিল।

ফলশ্রুতিতে রসূল (সাঃ) তাকে হত্যার আদেশ দেন।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে, একটি বিষয়ে সঠিকভাবে না জেনে কেউ বিতর্ক করলে সত্যি খারাপ লাগে।

২১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

এভো বলেছেন: যার বইয়ের রেফারেন্স দিয়েছেন তার জানার বাইরে কিছু থাকতে পারে না- এটা যদি আপনি বিশ্বাস করেন তাহলে তর্কে যাওয়া বৃথা।

আপনার লিখার পক্ষের রেফারেন্স কোথায় ? আমি যার বইয়ের রেফারেন্স দিয়েছি তার পান্ডিত্য কোন স্থরের সেটা ১৮ নং কমেন্টের প্রথম চিত্রেই পাবেন, ধন্যবাদ ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



এইসব ডিগ্রিকে আপনি পান্ডিত্য পরিমাপক মনে করেন? গুড! ভেরি গুড!!

সত্যি বলতে, এমনসব ডিগ্রি যদি ব্যবহার করি, তাহলে তো কয়েক লাইন লেখার প্রয়োজন তো এই আমার মত অতি সাধারণ ব্যক্তিরও দেখা দিবে।

আমিও ইচ্ছে করলে আমার নামের সাথে লিখতে পারি- কবি, লেখক, সম্পাদক, কলামিস্ট, অধ্যক্ষ, খতীব ইত্যাদি।

আমি এগুলো লিখি না। লিখতে পছন্দও করি না। যা-ই হোক, পরিচয় প্রকাশের স্বার্থে কখনও কখনও কিছু পদ পদবি আমাদের সকলেরই লিখতে হয়। সেটা ভিন্ন প্রেক্ষাপট।

আমি বলছি না, উক্ত লেখক ভালো লিখেননি। অথবা, তার লেখা ভুল। আসলে তার কোনো লেখা আমার এখনও পড়া হয়নি।

২২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

নতুন বলেছেন: কিছু মানুষ আছে যারা মনে করে রাসুল সা: যা করেছেন সেটা যৌক্তিক এবং সঠিক। সেই বিশ্বাস থাকলে যুক্তির কোন প্রয়োজন পরেনা।

একজন কবি বা নেতার উস্কানিমুলক কাজের জন্য হত্যার হুকুম দেওয়া কতটা মানবিক সেটা অন্ধভক্তেরা বুঝতে পারবেনা।

যেমন লাখো মুসলমান বানুকুরাইজার হত্যাকেও সঠিক বলে মনে করে। ;)

ইসলাম রাস্ট ক্ষমতায় যাবার জন্য এই হত্যা গুলি করেছে ইসলামের শত্রুদের হত্যা করেছে প্রয়োজন মতন, এটাকে ধর্মীয় ভাবে জায়েগ করে সেটা বিশ্বাস করাটাই বর্তমানে ইসলামী জঙ্গীর জন্ম দিচ্ছে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



জঙ্গী সব ধর্মের লোকই হয়। তবে, কিছু লোকের দৃষ্টি বিভ্রমের ফলে, ইসলাম বিদ্বেষের চশমা পড়ার কারণে, তাদের চোখে শুধু ধরা পড়ে ইসলামী জঙ্গী। বাদবাকি ধর্মের জঙ্গীদের তারা দেখতে পায় না।

বনু কুরাইজা ছিল চুক্তির শর্ত ভঙ্গকারী প্রকাশ্য যুদ্ধাপরাধী। মদিনা রাষ্ট্র এবং মুসলমানদের নিশ্চিন্হ করা ছিল তাদের একমাত্র টার্গেট। একমাত্র উদ্দেশ্য।

বনু কুরাইজার এই চরম যুদ্ধাপরাধীদেরকে হত্যা করার শাস্তি ছিল যথার্থ। যারা তাদের শাস্তি প্রদানের বিষয়টিতে ইনিয়ে বিনিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকেন, মায়াকান্না করতে চান, তারাও মূলতঃ যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থনের কারণে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অপরাধী বলে গণ্য। ধর্ষক এবং মানবতাবিরোধী অপরাধীদের পক্ষে কথা বলা লোকদের মত এদেরকেও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষাবম্বন করার দায়ে অভিযুক্ত করা সময়ের দাবি।

ধন্যবাদ।

২৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনার দুই একটা কবিতা যদি শেয়ার করতেন, দেখতাম উনার কবিতা কেমন ছিল যার জন্য উনাকে প্রাণ দিতে হয়েছিল।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



হিরণ ভাই,

আমি এ যাবত পাইনি। পেলে আপনাকে অবশ্যই জানাব।

ধন্যবাদ।

২৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



নবীর সময় অন্যায়ভাবে ইহুদীদের হত্যা করে, তাদের সম্পত্তি, নারী দখল করায়, আজকের প্যালেষ্টাইন তার মুল্য দিচ্ছে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



নবীর সময় অন্যায়ভাবে ইহুদীদের হত্যা করে, তাদের সম্পত্তি, নারী দখল করায়,

-নবীর সময় অন্যায়ভাবে ইহুদীদের হত্যা করা হয়নি, তাদের সম্পত্তি, নারী দখল করা হয়নি। এগুলো কোথায় পেয়েছেন? বানোয়াট কথা। আমাদের ধারণা, ইতিহাসে অজ্ঞ, ইসলাম বিদ্বেষীদের পক্ষেই কেবল গোয়ার্তুমির আশ্রয় নিয়ে এমন অসত্য কথা বলা শোভা পায়।

নবীজীর নাম দিয়ে শুরু করে, তার নামে এই ধরণের ডাহা মিথ্যা বলার জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই কমেন্টটির প্রতি সম্মানিত মডারেটর মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

২৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার মন্তব্য সবসময়ই আশাব্যঞ্জক। তবে মাঝে মধ্যে আপনি চাঁদগাজী ভাইকে যুক্তি তর্কের উর্ধ্বে উঠে নিঃশর্ত সমর্থন করেন। সর্বোপরি আপনি আমার কাছের মানুষ।

চাঁদগাজী একজন গ্রেট ব্লগার। উনি সামু ব্লগের প্রান। তার মতো এত শক্তিশালী ব্লগার সামু ব্লগে আর নাই।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

২৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩২

এভো বলেছেন: ভাই আপনি যা লিখলেন সেটা কি গোজামিল নহে । যেমন ---

ইবনে ইসহাকের বর্ণনা অনুযায়ী, মুহাম্মদ কাবকে হত্যা করার জন্য তার অনুসারীদেরকে নির্দেশনা দেন, এর কারণ; কাবের প্রেরিত একটি চিঠি বদর যুদ্ধের পর মক্কায় পৌঁছেছিলো এবং তা মুহাম্মদের বিরুদ্ধে কুয়াইশদেরকে খেপিয়ে দিয়েছিল। সে এমন কবিতাও লিখত যেগুলোতে সে বদর যুদ্ধে নিহত কুরাইশদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতো।

কুরাইশরা তো ক্ষেপে ছিলই এবং যার কারনে তিনি মদিনায় হিযরত করেন । তিনি যদি কুরাইশদের নিহতদের জন্য দু:খ প্রকাশ করেন , সেটাকি গুপ্ত হত্যার করার মত বিষয় ? তাকে যদি যুদ্ধ ক্ষেত্রে হত্যা করা হোত, তখন সেটা মানা যেত ।


মদিনা থেকে ফেরার অল্পদিন পরেই সে মুসলিম মহিলাদের প্রকৃতি সম্পর্কে কটাক্ষ করে কবিতা রচনা করে।[১]

সেই কবিতা তিনি লিখতে পারেন যেহেতু তিনি মুসলমানদের বিরুধী ছিলেন। কবিতা লিখার জন্য কি গুপ্ত হত্যা করা যায় ?


অন্যান্য ঐতিহাসিক সূত্র দাবি করে যে, কাবকে হত্যা করার কারণ ছিল যে, সে মুহাম্মদকে হত্যার জন্য একদল ইহুদির সঙ্গে গোপন পরিকল্পনা করেছিল। আল-যামাখাশারি, আল-তাবারসি, আল-রাযি এবং আল-বায়দাভির মত পরবর্তী ভাষ্যকারদের কাছ থেকে আরেকটি পৃথক মত পাওয়া যায় যে, কাবকে হত্যা করা হয়েছিল কারণ ফেরেশতা জিবরাইল মুহাম্মাদকে কাবের চুক্তি সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছিলেন, যেখানে কাব তার মক্কা সফরের সময় কুরাইশ এবং চল্লিশজন ইহুদির মধ্যে মুহাম্মাদের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সন্ধিচুক্তিতে আবু সুফিয়ানের সাথে সাক্ষর করেন। অধ্যাপক ইউরি রবিনের ভাষ্যমতে, প্রাথমিক উৎসগুলোতে কুরাইশ এবং ইবনে আশরাফের মাঝে সাক্ষরিত একটি মুসলিমবিরোধী সন্ধির অস্তিত্বের বিষয়ে বর্ণনা পাওয়া যেতে পারে।[১]
হত্যার পরিকল্পনা যে আবু সুফিয়ান সহ অনেক নেতাই করেছিল এবং তিনি আবু সুফিয়ানের সাথে চুক্তি করতেই পারেন । তাহোলে আবু সুফিয়ান সহ অন্যদের হত্যা করার চেষ্ঠা হোল না কেন ।

বদরের যুদ্ধে মুসলিমদের জয়ের পর বন্দী কয়েকজন মক্কার নেতার মৃত্যুদন্ডের ঘটনায় কাব বিন আশরাফ অসন্তুষ্ট ছিল।[৪][৫]


তিনি অসন্ত্তষ্ঠ ছিল, তাই কবিতার মাধ্যমে ক্ষোব প্রকাশ করেছিল ।

আপনার সুত্র গুলই প্রমাণ করা শুধু মাত্র কবিতা লিখার জন্য তাকে হত্যা করা হয় । তিনি একজন বুদ্ধিজীবির মত ছিল, তাই লিখার মধ্যমে প্রতিবাদ করেছিল এবং শুধু মাত্র লিখার জন্যই তাকে হত্যা করা হয় ।সেটা আপনার দেওয়া তথ্য বিশ্লেষন করলেই পাওয়া যায়, ধন্যবাদ

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। আপনার সাথে তর্ক করবো না। শুধু অনুরোধ করবো, অন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধু উইকিপিডিয়ার তথ্যগুলো দেখুন। সেখানে যেসব কারণ উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো পড়ে আসুন। আচ্ছা, আবার কপি পেস্ট করে দিচ্ছি-

কাব বিন আশরাফ (হিব্রু ভাষায়: כעב אבן אלאשרף‎ Ka'b iben al-Ashraf, আরবি: كعب بن الاشرف‎‎, ৬২৪-এ নিহত) ছিল মদিনার একজন ইহুদি নেতা ও কবি। বদরের যুদ্ধের ছয় মাস পর ইসলামের নবী মুহাম্মাদের নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।[১] কাবের পিতা আরবের বনু তায়ি গোত্র এবং মাতা বনু নাদির গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলো, তাকে তার মায়ের গোত্রের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করা হতো, যেখানে সে একজন অন্যতম নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিল।[২]

ইবনে ইসহাকের বর্ণনা অনুযায়ী, মুহাম্মদ কাবকে হত্যা করার জন্য তার অনুসারীদেরকে নির্দেশনা দেন, এর কারণ; এক. কাবের প্রেরিত একটি চিঠি বদর যুদ্ধের পর মক্কায় পৌঁছেছিলো এবং তা মুহাম্মদের বিরুদ্ধে কুয়াইশদেরকে খেপিয়ে দিয়েছিল। দুই. সে এমন কবিতাও লিখত যেগুলোতে সে বদর যুদ্ধে নিহত কুরাইশদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতো। তিন. মদিনা থেকে ফেরার অল্পদিন পরেই সে মুসলিম মহিলাদের প্রকৃতি সম্পর্কে কটাক্ষ করে কবিতা রচনা করে।[১] অন্যান্য ঐতিহাসিক সূত্র দাবি করে যে, কাবকে হত্যা করার কারণ ছিল যে, চার. সে মুহাম্মদকে হত্যার জন্য একদল ইহুদির সঙ্গে গোপন পরিকল্পনা করেছিল। আল-যামাখাশারি, আল-তাবারসি, আল-রাযি এবং আল-বায়দাভির মত পরবর্তী ভাষ্যকারদের কাছ থেকে আরেকটি পৃথক মত পাওয়া যায় যে, পাঁচ. কাবকে হত্যা করা হয়েছিল কারণ ফেরেশতা জিবরাইল মুহাম্মাদকে কাবের চুক্তি সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছিলেন, যেখানে কাব তার মক্কা সফরের সময় কুরাইশ এবং চল্লিশজন ইহুদির মধ্যে মুহাম্মাদের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সন্ধিচুক্তিতে আবু সুফিয়ানের সাথে সাক্ষর করেন। অধ্যাপক ইউরি রবিনের ভাষ্যমতে, প্রাথমিক উৎসগুলোতে কুরাইশ এবং ইবনে আশরাফের মাঝে সাক্ষরিত একটি মুসলিমবিরোধী সন্ধির অস্তিত্বের বিষয়ে বর্ণনা পাওয়া যেতে পারে।[১]

সহিহ বুখারি এবং সহিহ মুসলিমের অসংখ্য হাদিসে কাবকে হত্যার নির্দেশটি উল্লেখ করা হয়েছে।[৩]

মুহাম্মাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব
বদরের যুদ্ধে মুসলিমদের জয়ের পর বন্দী কয়েকজন মক্কার নেতার মৃত্যুদন্ডের ঘটনায় কাব বিন আশরাফ অসন্তুষ্ট ছিল।[৪][৫]

কাব এরপর মক্কা গিয়ে সেখানে কুরাইশদের প্রশংসায় কবিতা রচনা করে এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণে উৎসাহ যোগায়।[২] কিছু সূত্র অনুযায়ী কাব মক্কা গিয়ে মুহাম্মাদের বিরুদ্ধে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য কুরাইশ ও ইহুদিদের একটি চুক্তি করে।[৬]

মদিনা ফিরে আসার পর কাব মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে অশ্লীল কবিতা রচনা শুরু করে।[৭]

কাব বিন আশরাফের কর্মকাণ্ডের এক পর্যায়ে মুহাম্মদ কাবকে হত্যার নির্দেশ দেন।[১][৮]মুহাম্মদ ইবনে মাসলামা এই দায়িত্ব নেন এবং কয়েকজন সাহাবি তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। এরপর রাতের বেলা কাবকে হত্যা করা হয়।[৪][৭]

আরও দেখুন
আসমা বিনতে মারওয়া
আবু আফাক
সূরা আল-কাওসার
তথ্যসূত্র
Rubin, Uri (১৯৯০)। "The Assassination of Kaʿb b. al-Ashraf"। Oriens। 32: 65। জেস্টোর 1580625। ডিওআই:10.2307/1580625।
Montgomery Watt, W (১৯৫৬)। Muhammad at Medina। পৃষ্ঠা 18-19।
সহীহ বুখারী, ৪:৫২:২৭০ (ইংরেজি) সহীহ বুখারী, ৫:৫৯:৩৬৯ (ইংরেজি), সহীহ মুসলিম, ১৯:৪৪৩৬ (ইংরেজি) সহীহ বুখারী, ৩:৪৫:৬৮৭ (ইংরেজি) সহীহ বুখারী, ৪:৫২:২৭১ (ইংরেজি)
Montgomery Watt, W.। "Ka'b ibn al-Ashraf"। Encyclopaedia of Islam (Online সংস্করণ)। Brill Academic Publishers। ISSN 1573-3912।
"KA'B AL-ASHRAF - JewishEncyclopedia.com"। jewishencyclopedia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
Rubin, Uri (১৯৯০)। The Assassination of Kaʿb b. al-Ashraf.। Oriens। 32। পৃষ্ঠা 66।
Stillman, Norman (১৯৭৯)। The Jews of Arab Lands: A History and Source Book। Jewish Publication Society (Translation of Ibn Hisham's al-Sira al-Nabawiyya (The Life of The Prophet))। পৃষ্ঠা 124–127। আইএসবিএন 0-8276-0116-6।
সহীহ বুখারী, ৪:৫২:২৭০ (ইংরেজি)

২৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৫

এভো বলেছেন: ভাই একই উত্তর আবার দিলেন কেন ? আপনার দেওয়া তথ্য বিশ্লেষন করলে কিন্তু এটাই প্রমাণ করে শুধু মাত্র কবিতা লিখার জন্য তাকে গুপ্ত হত্যা করা হয় ।

ইবনে ইসহাকের বর্ণনা অনুযায়ী, মুহাম্মদ কাবকে হত্যা করার জন্য তার অনুসারীদেরকে নির্দেশনা দেন, এর কারণ; কাবের প্রেরিত একটি চিঠি বদর যুদ্ধের পর মক্কায় পৌঁছেছিলো এবং তা মুহাম্মদের বিরুদ্ধে কুয়াইশদেরকে খেপিয়ে দিয়েছিল। সে এমন কবিতাও লিখত যেগুলোতে সে বদর যুদ্ধে নিহত কুরাইশদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতো।

কুরাইশরা তো ক্ষেপে ছিলই এবং যার কারনে তিনি মদিনায় হিযরত করেন । তিনি যদি কুরাইশদের নিহতদের জন্য দু:খ প্রকাশ করেন , সেটাকি গুপ্ত হত্যার করার মত বিষয় ? তাকে যদি যুদ্ধ ক্ষেত্রে হত্যা করা হোত, তখন সেটা মানা যেত ।


মদিনা থেকে ফেরার অল্পদিন পরেই সে মুসলিম মহিলাদের অন্যান্য ঐতিহাসিক সূত্র দাবি করে যে, কাবকে হত্যা করার কারণ ছিল যে, সে মুহাম্মদকে হত্যার জন্য একদল ইহুদির সঙ্গে গোপন পরিকল্পনা করেছিল। আল-যামাখাশারি, আল-তাবারসি, আল-রাযি এবং আল-বায়দাভির মত পরবর্তী ভাষ্যকারদের কাছ থেকে আরেকটি পৃথক মত পাওয়া যায় যে, কাবকে হত্যা করা হয়েছিল কারণ ফেরেশতা জিবরাইল মুহাম্মাদকে কাবের চুক্তি সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছিলেন, যেখানে কাব তার মক্কা সফরের সময় কুরাইশ এবং চল্লিশজন ইহুদির মধ্যে মুহাম্মাদের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সন্ধিচুক্তিতে আবু সুফিয়ানের সাথে সাক্ষর করেন। অধ্যাপক ইউরি রবিনের ভাষ্যমতে, প্রাথমিক উৎসগুলোতে কুরাইশ এবং ইবনে আশরাফের মাঝে সাক্ষরিত একটি মুসলিমবিরোধী সন্ধির অস্তিত্বের বিষয়ে বর্ণনা পাওয়া যেতে পারে।[১]
হত্যার পরিকল্পনা যে আবু সুফিয়ান সহ অনেক নেতাই করেছিল এবং তিনি আবু সুফিয়ানের সাথে চুক্তি করতেই পারেন ।
তাহোলে আবু সুফিয়ান সহ অন্যদের হত্যা করার চেষ্ঠা হোল না কেন ।

বদরের যুদ্ধে মুসলিমদের জয়ের পর বন্দী কয়েকজন মক্কার নেতার মৃত্যুদন্ডের ঘটনায় কাব বিন আশরাফ অসন্তুষ্ট ছিল।[৪][৫]

সেই কবিতা তিনি লিখতে পারেন যেহেতু তিনি মুসলমানদের বিরুধী ছিলেন। কবিতা লিখার জন্য কি গুপ্ত হত্যা করা যায় ?
তিনি অসন্ত্তষ্ঠ ছিল, তাই কবিতার মাধ্যমে ক্ষোব প্রকাশ করেছিল ।

আপনার সুত্র গুলই প্রমাণ করা শুধু মাত্র কবিতা লিখার জন্য তাকে হত্যা করা হয় । তিনি একজন বুদ্ধিজীবির মত ছিল, তাই লিখার মধ্যমে প্রতিবাদ করেছিল এবং শুধু মাত্র লিখার জন্যই তাকে হত্যা করা হয় ।সেটা আপনার দেওয়া তথ্য বিশ্লেষন করলেই পাওয়া যায়, ধন্যবাদ

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



'আপনি যা বলেন সেটাই সঠিক আর বাদবাকি মিথ্যে' -এই মনোভাব যেহেতু আপনি পোষন করেন সেহেতু আপনার সাথে কথা বলা বৃথা। সবকিছু দেখেশুনে, জেনেবুঝেও আপনি আপনার 'এক দফা এক দাবি'তে অনঢ়। টিয়া পাখির মত একই বুলি বারবার আওড়িয়ে যাচ্ছেন।

ক্ষমা করবেন, আপনার প্রতি আন্তরিকতা রেখেই বলছি, একটি বিষয়ে একই কথা বারংবার বলতে কিংবা শুনতে, কোনোটাই ভালো লাগছে না। আপনার মতামত বা বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করি। সেই কারণে আপনার বিশ্বাস ও মনোভাব যা-ই হোক, সেটা নিয়ে আপনি থাকুন। আমাদেরকেও আমাদের স্থানে থাকতে দিন। জোর করে আপনার মতামত চাপিয়ে দেয়া থেকে দয়া করে বিরত থাকুন।

ভাল থাকবেন, প্রার্থনা। ধন্যবাদ।

২৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:

মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তার জন্য এত মায়া কান্না কেন ?

বিনা কারণে ততকালে আরবে মুসলমানেরদ হত্যা, নির্যাতন, লুন্ডন করা হয়েছে সেটার জন্যতো একটুও দুঃখ করছেনা আর কাব বিন আশরাফ এর জন্য দুঃখগাথায় ফেটে যাচ্ছে কেউ কেউ !

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। অহেতুক বিতর্ক করার কোনো মানে হয় না।

কা'ব বিন আশরাফ যে জঘণ্য মানবতাবিরোধী একজন অপরাধী ছিলেন- এই কথাটা কারও কারও গায়ে কাটা দেয়। এই সত্যটা হজম করতে পারছেন না কোনোভাবেই। এত দিন তাকে কবি বলে বলে মাথায় তুলে নেচেছেন আর আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছেন কা'বকে অন্যায়ভাবে (নাউজুবিল্লাহ) হত্যার অনুমোদন দেয়ার দায়ে। কা'বের পক্ষে এত দিন তারা আনন্দে মেতেছিলেন। তার পক্ষে সাফাই গেয়ে এসেছেন বিনা তর্কে। এই পোস্ট এসে ছন্দপতন ঘটিয়েছে সেই ধারাবাহিক আনন্দে। ফাঁস হয়ে গেছে মানবতাবিরোধী অপরাধীর আসল চেহারা। তাই কারও কারও চেহারায় বিষন্নতার কিছুটা ছাপ।

ধন্যবাদ।

২৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
হিরণ ভাই,
আমি এ যাবত পাইনি। পেলে আপনাকে অবশ্যই জানাব।
ধন্যবাদ।


একজন কবি তার কবিতার জন্য হত্যা করা হইলো আর সেই কবিতায় কি লিখেছিলো সেটা না পড়েই আপনার মনে হলো তাকে হত্যা করা সঠিক হয়েছিলো? /:)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় নতুন ভাই, তাকে কবিতা লেখার কারণে হত্যা করা হয়নি। দয়া করে মিথ্যাচার না করলে খুশি হব। আমি অবশ্য বিশ্বাস করি, আপনি সচরাচর মিথ্যে বলার লোক নন। :)

কা'ব বিন আশরাফ মদিনার মুসলমানদের সাথে কৃত চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে মদিনা থেকে পালিয়ে গোপনে মক্কা গিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে মক্কাবাসীদের ক্ষেপিয়ে তুলেছিলেন। যুদ্ধের উস্কানি দিয়েছিলেন। তিনি যা করেছেন তা স্পষ্টতঃ যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতা বিরোধী অপরাধ। কবিতার ছুতো দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধীর ইজ্জত বাঁচানোর চেষ্টা অনেকেই এর আগেও করেছেন। মিথ্যেমিথ্যি আর কত? B-)

ধন্যবাদ।

৩০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

নতুন বলেছেন: প্রিয় নতুন ভাই, তাকে কবিতা লেখার কারণে হত্যা করা হয়নি। দয়া করে মিথ্যাচার না করলে খুশি হব। আমি অবশ্য বিশ্বাস করি, আপনি সচরাচর মিথ্যে বলার লোক নন।

আমি মিথ্যা বলিনা। কখনো বলেছি এমন কিছু ব্লগে ১৫ বছরে দেখাতে পারবেনা বলেই বিশ্বাস আছে।

আপনিও শুরুটা করেছেন যে কবি কাব বিন আশরাফ বলে।

এবং হাদিস অনুযায়ী রাসুল সা: বলেছিলেন যে কাব বিন আশরাফ আল্লাহ এবং তাকে কস্ট দিয়েছে।

উনি চুক্তি ভঙ্গ এবং ষড়যন্ত্রের কথা বলেন নাই। বলেছে আল্লাহ এবং রাসুল কস্ট পাবার কথা। এবং সেটা অপমান জনক কথায় কবিতায় হতে পারে। চুক্তি ভঙ্গ বা ষড়যন্তে আল্লাহ কিভাবে কস্ট পাবে? বরং আল্লার নামে মিথ্যা রটালে উনি কস্ট পেতে পারেন।

আরেকটা মজার বিষয় হলো তাকে হত্যার জন্য তার সাথে মিথ্যা বলে প্রতারনার অনুমুতি দেওয়া হয়েছে? তাহলে ইসলামের জন্য ভালো কাজ করতে একটু মন্দ কাজের বৈধতা দেওয়া হয়েছে এতে ! :)

The order to kill Ka'b is mentioned in numerous hadiths. Muhammad made it clear to his companions that he wished Ka'b killed, saying, "Who is willing to kill Ka’b bin Al-Ashraf who has hurt Allah and His Apostle?"[5] Muhammad bin Maslama volunteered and was aided by several others, including Ka‘b’s foster brother, Abu Na'ila. Ibn Maslamah was troubled that this assassination would involve lying to Ka'b, but Muhammad gave him a dispensation to do so.[6] They took Ka'b out for a walk late at night and killed him.[7] -উইকি

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আমি মিথ্যা বলিনা। কখনো বলেছি এমন কিছু ব্লগে ১৫ বছরে দেখাতে পারবেনা বলেই বিশ্বাস আছে।

-বিশাল ব্যাপার। ধন্যবাদ। আমিও তো তাই বলেছি যে, আপনি মিথ্যা বলার লোক এটা আমি বিশ্বাস করি না। তাই না? একটু আধটু খোচা দেয়ার স্বভাব যে আপনার আছে, সেটাও তো অস্বীকার করিনি। এবং সেটা তো আমরা উপভোগও করি। তাহলে সমস্যা কোথায়? আসেন, একটু কোলাকুলি করি! :)

আপনিও শুরুটা করেছেন যে কবি কাব বিন আশরাফ বলে।

-মিথ্যাচার করবো না বলেই তার কবি পরিচয়টা ধরেই সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। তো তাতেই বা অসুবিধা কি ছিল?

এবং হাদিস অনুযায়ী রাসুল সা: বলেছিলেন যে কাব বিন আশরাফ আল্লাহ এবং তাকে কস্ট দিয়েছে।

- সত্য কথা। কিন্তু কা'ব বিন আশরাফ মদিনার মুসলমানদের সাথে কৃত চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে মদিনা থেকে পালিয়ে গোপনে মক্কা গিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে মক্কাবাসীদের ক্ষেপিয়ে তুলেছিলেন। যুদ্ধের উস্কানি দিয়েছিলেন। এগুলো কি মিথ্যে???

উনি চুক্তি ভঙ্গ এবং ষড়যন্ত্রের কথা বলেন নাই। বলেছে আল্লাহ এবং রাসুল কস্ট পাবার কথা। এবং সেটা অপমান জনক কথায় কবিতায় হতে পারে। চুক্তি ভঙ্গ বা ষড়যন্তে আল্লাহ কিভাবে কস্ট পাবে? বরং আল্লার নামে মিথ্যা রটালে উনি কস্ট পেতে পারেন।

-রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটা কারণ বলেছেন। বাকিগুলো বলেননি। তাই বলে বাকি কারণগুলো মুছে যাবে? অস্বীকার করতে হবে?

আরেকটা মজার বিষয় হলো তাকে হত্যার জন্য তার সাথে মিথ্যা বলে প্রতারনার অনুমুতি দেওয়া হয়েছে? তাহলে ইসলামের জন্য ভালো কাজ করতে একটু মন্দ কাজের বৈধতা দেওয়া হয়েছে এতে ! :)

- এমন মানবতাবিরোধী অপরাধীর জন্য এমন অনুমতির প্রয়োজন ছিল বলেই তা দেয়া হয়েছিল। অন্যথায় এই কা'বের মত লোকের কারণে মদিনা রাষ্ট্র অস্তিত্বের সংকটে পড়তে পারতো।

সর্বোপরি তাকে শুধুমাত্র কবিতা লেখার কারণে হত্যা করা হয়নি। বড় জোর বলতে পারেন, তার ইসলামের বিপক্ষে রচিত তার কবিতা একটা কারণ ছিল।

ধন্যবাদ।

৩১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

এভো বলেছেন: ভাই আমি আপনার দেওয়া তথ্য থেকেই তো দেখিয়ে দিলাম যে তাকে শুধু মাত্র কবিতা লিখার জন্য গুপ্ত হত্যা করা হয়েছে। বাকি যে অভিযোগ গুলো করেছেন, সেই অভিযোগ গুলো কুরাইশদের বিরুদ্ধে অনেক অনেক বেশি। ধন্যবাদ

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনাকে।

৩২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৮

ঈশ্বরকণা বলেছেন: নতুন নকিব,
আপনার লেখায় আর মন্তব্যে দেখছি কা'ব বিন আশরাফের হত্যার ব্যাপারে অনেকেই উইকি-র রেফারেন্স দিচ্ছেন ! আমি দেশের বাইরে পড়তে এসে প্রথম যেটা জেনেছি সেটা হলো উইকির রেফারেন্স কোনো গ্রহণযোগ্য রেফারেন্স না ।একাডেমিক কাজে মানে কোনো মাস্টার্স বা পিএইচডি থিসিসে উইকির রেফারেন্স দিলে সেটা ইনভ্যালিড । কা'ব বিন আশরাফের হত্যাকান্ড নিয়ে কম্পারেটিভ রিলিজিয়নের একাডেমিক জার্নালেও আর্টিকেল আছে । তার হত্যা নিয়ে বিভিন্ন মত আছে । হত্যাকাণ্ডের সময় নিয়েও ভিন্ন মত আছে । তাই তাকে শুধু কবিতা লেখার জন্য হত্যার আদেশ দেওয়া হয়েছিল এমন আজগুবি কথা কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন দেখে অবাক হলাম ! অথোরেটিটিভ ইসলামিক উৎসগুলোর কোনোটাতেই এই একটি অভিযোগ (কবিতা লেখা)তাকে হত্যার কারণ সেটা বলা হয়নি ।তার বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগও ছিল ।তার বিরুদ্ধে রাসূলকে (সাঃ) হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগও ছিল। যারা কবিতা তাকে হত্যার কাৰণ বলে বলে হয়রান হয়ে যাচ্ছেন তাদের উইকি আর দেশের কোনো একটা বইয়ের বাইরেও যে আরো যে সোর্সগুলো আছে এ সম্পর্কে সেগুলো একটু দেখা উচিত ছিল মন্তব্যের আগে ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মূল্যবান মতামতের জন্য কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা সবসময়।

৩৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪

ফটিকলাল বলেছেন: ব্লগার ঈশ্বরকনার মন্তব্যের সাথে যুক্ত করতে বাংলা উইকিপিডিয়ার লেখার সাথে ইংরেজি উইকিপিডিয়া তুলনা করলে পার্থক্য চোখে পড়ে। এমন অনেক তথ্য বাংলা উইকিপিডিয়াতে দেয়া হয় যা মন গড়া অথচ ইংরেজি উইকিপিডিয়া বস্তুনিষ্ঠ।

কবি ক্বাবের শাতিমে রাসূলের শাস্তির বর্ননা বালাজুরী রাঃ, তাবারী রাঃ, ইশহাক রাঃ সহ বিভিন্ন ঐতিহাসিকের বইতে সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ আছে এবং তদপরবর্তি বহু সুন্নি স্কলার এ নিয়ে বিষদ আলোচনা করেছেন

ময়ুরের পেখম পরিহিত কাকসদৃশ ওলামায় গুগলের প্রধান চরিত্রই হলো ইসলামী বই না পড়ে তারা গুগলের আশ্রয় নেয় এবং দুটো কমেন্ট/লাইকের অর্থহীন মোহে তারা ইসলামের বিকৃতি সাধন করে ফেতনার সৃষ্টি করে।

এই সেই পোস্ট লেখক যিনি কিনা ইসলামী বইয়ের লিস্টে লেবাননের কবি কাহলিল জিবরানের কবিতার বই দ্যা প্রফেটের নাম উল্লেখ করেন।

এরকম হাস্যকর প্রতারনার কি দরকার? ব্লগের দুটো কমেন্ট ও মানুষের মেকী বাহবার জন্য পবিত্র ইসলামকে পন্য বানাতে এসব জাহেল উলামায়ে শূ দের একটুও মনে দাগ কাটে না?

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



বিনয়ের সাথে বলছি, আপনার কথাবার্তা আমার কাছে অস্পষ্ট এবং কিছুটা কষ্টদায়ক মনে হয়েছে। আপনার সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রেখে আপনার আপত্তিকর মন্তব্যগুলো মুছে দেয়া থেকে আপাততঃ বিরত থাকছি এবং অনুরোধ করছি, দয়া করে আপনি অপরের সম্মান ক্ষুন্ন হয় এমন কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।

আপনার জন্য শুভকামনা।

৩৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

ফটিকলাল বলেছেন: এবং পোষ্ট লেখক ব্লগের খ্যাতির মোহে কতটা নার্সিজমে ভুগছে সেটার প্রমান পাওয়া যায় যেখানে তাকে ইসলামী সুত্র দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হচ্ছে উনি কোথায় কোথায় বিকৃত করেছেন তারপরও তিনি উল্টো দোষারোপ করে যাচ্ছেন।

ইসলামী ইতিহাস, কারন সমূহ চাইলেই আপনি নিজে তৈরী করতে পারেন না। একজন মুসলমান হিসেবে বিশ্বাস করি হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর সবকাজের পেছনে জোড়ালো কারন এবং আল্লাহর আদেশ অনুমতি নির্দেশ ছিলো। সেসব তথ্যের বিকৃতি মানেই হচ্ছে নফরমানি করা (আস্তাগফিরুল্লা মিন জালিক)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার ভাল না লাগলে সেই লেখকের পোস্ট এড়িয়ে যেতেই পারেন। গায়ে পড়ে এসে অবান্তর কথা বলে, ব্যক্তি আক্রমন করে ঝগড়ার মানসিকতা প্রদর্শন কাম্য নয়।

শুভকামনাসহ অনেক ভালো থাকুন, প্রার্থনা সবসময়।

৩৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ আর আল্লাহর রসুলকে (সাঃ) কষ্ট দিয়েছে এই ব্যক্তি। এই কথা হাদিসে এসেছে। কষ্টের কারণ যে শুধু তার নোংরা কবিতা এই কথা কোথাও বলা হয়নি। তার রাষ্ট্রদোহীতা ও বেইমানির কারনেও রসুল (সাঃ) মনে কষ্ট পেতে পারেন। কারণ মদিনার বিভিন্ন অমুসলিম গোষ্ঠীর সাথে চুক্তি করার পর তিনি (সাঃ) আশা করেছিলেন এরা মদিনার সুরক্ষা দেবে, যুদ্ধের উশকানি দেবে না এবং মদিনাতে শান্তি বজায় রাখতে সচেষ্ট হবে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



সঠিক বলেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আপনার প্রতিটি মন্তব্যই মূল্যবান। শুকরিয়া।

শত যুক্তির পরেও এক শ্রেণির লোক তাদের তালগাছ রক্ষায় আজীবন উল্টো স্রোতে সাতার কাটতে থাকবেন। তাদের জন্য শুধুই শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.