নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান (Islam is the complete code of life) কথাটির ভিত্তি কি?
প্রাককথনঃ
কিছু লোক ইসলাম ধর্মের পেছনে লেগে থাকেন। এতে তেমন আশ্চর্য্য হওয়ার কিছু নেই। কারণ, এটা সর্বকালের বাস্তবতা। ইসলাম ধর্মের সামান্যতম ভুল বা গলদ আবিষ্কারে তারা প্রতিনিয়ত নিখুতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যান। এসব কাজ করতে গিয়ে তাদের কুরআন গবেষনা করতে হয়। হাদিস পড়তে হয়। পড়তে হয় মানে কি? গলদঘর্ম হতে হয় রীতিমত। যৌক্তিক হোক আর অযৌক্তিক, সঠিক হোক অথবা না হোক, তারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা প্রচেষ্টায় এই কাজের পেছনে নিজেদের একরকম উৎসর্গ করেন। তাদের ধৈর্য্য দেখে মাঝে মধ্যে আশ্চর্য না হয়ে পারা যায় না। বেশিরভাগ সময়েই এরা মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে, মিথ্যেকে উপজীব্য করে, প্রতারণার অপকৌশলে, সত্যকে আড়াল করে ইসলাম ধর্মের ভুল প্রমান করতে আসতে দেখা যায়। বিশ্বজুড়ে সমাদৃত গুণী জ্ঞানী ইসলামী স্কলার, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফকিহ এবং উলামায়ে মুতাকাদ্দিমীন - কুরআন হাদিসের জ্ঞানে যাদের পারদর্শীতা প্রবাদ তুল্য, তাদের তাফসীর, হাদিস ব্যাখ্যার ভেতরে ভুল খুঁজতে আসেন। আসলে এদের এসব কাজ আমাকে যুগপত কষ্ট দেয় এবং হাসায়ও। কারণ, কষ্ট পাই এজন্য যে, এই অনধিকার চর্চার মাধ্যমে তারা কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ পাওয়ার ফলে কিছু সাধারণ মানুষ হয়তো সামান্য বিভ্রান্তিতে পড়ে যান। হাসি পায় তাদের মিথ্যে কসরত দেখে। সূর্যের সামনে প্রতিবন্ধকতা দিয়ে পৃথিবীতে তার আলোর আগমন এবং তাপের বিকিরণ ঠেকানোর প্রচেষ্টা যেমন চরম হাস্যকর, ইসলাম ধর্মের নানা বিষয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার এদের শত অপচেষ্টাও ঠিক তেমনই।
সম্প্রতি একজন পোস্ট দিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন যে, ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বলার যৌক্তিকতা ও ভিত্তি কি? তার অনুসন্ধানের আলোকে তিনি বলেছেন যে, এই কথাটা না কি কুরআনে নেই। সুতরাং, তার প্রশ্ন- এই যে আলেম উলামাগণ কথায় কথায় বলে থাকেন যে, Islam is the complete code of life তথা, ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান এ কথার ভিত্তি কি?
ভদ্রলোকের নাম বলতে চাই না। ভিন্ন মতের হলেও তিনি আমার বা আমাদের শত্রু কখনো নন। তার প্রতি আমাদের আন্তরিকতাপূর্ণ শুভকামনা সবসময়ই ছিল এবং তা বজায় রেখেই বলতে চাই, তার ইতোপূর্বেকার অধিকাংশ লেখা প্রমান করে যে, তিনি ইসলাম ধর্মের বিবিধ বিষয়ের ভুল ধরার কাজে কতটুকু পরিমান আত্মনিবেদিত!
যা-ই হোক, তার কাজ তিনি করে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে, অস্বাভাবিক যেটা তা হচ্ছে, তিনি সাধারণতঃ যুক্তির ধার তেমন একটা ধারেন না। তাকে কোনো কিছু বুঝাতে পারবেন, এই যুগে এমন কেউ থাকতে পারেন, বিশ্বাস করা কঠিন। কারণ, তাকে কুরআনুল কারিমের প্রাথমিক জামানার বরেণ্য মুফাসসিরগণের তাফসীরকেও এটা তো 'তাফসীর, কুরআন তো নয়', বলে পাশ কাটিয়ে যেতে দেখা যায়। তাফসীরে ইবনে কাসির, বায়জাভি, জালালাইনসহ প্রাচীন বিশুদ্ধ তাফসীর প্রণেতাগণের চেয়েও কুরআনের মর্ম যদি বর্তমান যুগের কেউ বেশি বুঝার দাবি করেন, তাদের তাফসীরের ভুল ধরার সাহস করে বসেন, এত বড় মুফাসসিরকে(!) বুঝাতে যাবে, এমন সাধ্য কার থাকতে পারে? এমন বুকের পাটাই বা কার হতে পারে?
যাক, তার হয়তো অনেক জ্ঞান, যা ইসলামের প্রাথমিক যুগের মহান তাফসীরকারণের ছিল না(!)। আমরা দোআ করি, আল্লাহ তাআ'লা তার জ্ঞানকে আরও বাড়িয়ে দিন। আমরা এই নিবন্ধে পবিত্র কুরআন এবং হাদিসের আলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যে, Islam is the complete code of life তথা, ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান কথাটি বলা বিধেয় কি না।
লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে, তাফসীরকারদের ভুল ধরতে পারদর্শিতা দেখাতে চাইলেও তিনি তার উক্ত পোস্টে যেভাবে প্রশ্নটি তুলেছেন, তার প্রশ্নটিই মূলতঃ সঠিক নয়। বিভ্রান্তি রয়েছে তার প্রশ্নের ভেতরেই। বুঝার সুবিধার্থে এখানে তার প্রশ্নটি তুলে ধরা হল। তিনি বলেন যে, আমরা আলেম হুজুরদের মুখে একটা কথা সব সময়ে শুনে থাকি সেটা হোল -- Islam is complete code of life
অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম হোল একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান । আমরা এখন দেখি পবিত্র কোরান শরিফ নিজের সম্পর্কে কি বলে ---
প্রশ্নের প্রথমাংশে তিনি Islam is complete code of life অর্থাৎ, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান উল্লেখ করার পরে শেষাংশে এসে পবিত্র কুরআন নিজের সম্পর্কে কি বলে, সে প্রশ্ন তুলেছেন। বিষয়টা একটু চিন্তা করলেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে, তার প্রশ্নের ভেতরেই ঘাপলা। এক্ষেত্রে তার বলা যৌক্তিক ছিল যে, পবিত্র কুরআন Islam is complete code of life অর্থাৎ, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান সম্পর্কে কি বলে....।
চলুন, ফিরে যাই মূল কথায়ঃ
এবার মূল আলোচনায় এগিয়ে যাই, চলুন। পবিত্র কুরআন এবং হাদিসে নববীতে ইসলাম ধর্মকে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি বুঝানোর জন্য দ্বীন (دين) শব্দটির ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। যদিও এই শব্দটির একাধিক অর্থে ব্যবহার রয়েছে পবিত্র কুরআন এবং হাদিসে নববীতে। এ কারণে দ্বীন (دين) শব্দটির ব্যাখ্যা জেনে নেয়া প্রয়োজন।
দ্বীন (دين) শব্দটির পরিচয়ে উইকিপিডিয়ায় যা লেখা হয়েছেঃ
দ্বীন (دين), একটি আরবি শব্দ, যা প্রধাণত ইসলাম ধর্মের সাথে অধিক সম্পৃক্ত, পাশাপাশি আরব খ্রিস্টানরাও তাদের উপাসনার ক্ষেত্রে এই শব্দটি ব্যবহার করে |একে প্রায়শই "ধর্ম" হিসেবে অনুবাদ করা হয়, কিন্তু ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ কুরআনে শব্দটির দ্বারা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিমের জন্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে [১] বোঝানো হয়েছে, যা কুরআন ও হাদীস হতে প্রাপ্ত শিক্ষা, আদর্শ ও নির্দেশাবলী দ্বারা পরিচালিত হবে[২]। ইসলামী শরীয়াহ আইনকেও অনেক সময় দ্বীন হিসেবে নির্দেশ করা হয়| কিছু মুসলিমের মতে, দ্বীন শব্দটির প্রয়োগ পরিসর হল শুধুমাত্র মুসলিমদের ধর্মীয় জীবন। আবার কিছু মুসলিমের মতে, দ্বীনের প্রয়োগ সামষ্টিকভাবে মুসলিমদের জীবনের সকল শাখায় প্রযোজ্য হতে পারে।
ইসলাম ধর্মে দ্বীন শব্দের ব্যবহার প্রসঙ্গে উইকিপিডিয়ার বক্তব্য
বহু হাদিসে, দ্বীনকে মধ্যমপন্থী জীবনব্যবস্থা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে:
আবু হুরায়রা বর্ণিত, নবী বলেছেন, "ধর্ম (দ্বীন) খুব সহজ এবং যে ব্যক্তি তার ধর্মে সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা নিজের উপর চাপিয়ে নেয়, সে তা উক্ত পন্থায় অব্যহত রাখতে পারে না। তাই তোমাদের চরমপন্থী হওয়া উচিৎ নয়, কিন্তু পূর্ণ সঠিকতার নিকটবর্তী হওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ এবং ভালো কিছু পাওয়ার আশা করা উচিৎ, এবং দিনে ও রাতে উপাসনার মাধ্যমে (মানসিক) শক্তি অর্জন করা উচিৎ।"
— সহীহ বুখারী, ১:২:৩৯ (ইংরেজি), (ফাতহ-উল-বারি, পৃষ্ঠা ১০২, ভলিউম ১)
উইকি বর্ণিত তথ্যসূত্রঃ
For instance, translations of the Qur'an by Marmaduke Pickthall, Shakir, and others (ইংরেজি ভাষায়)
e.g. 1:4, 2:256, 4:46, 8:72, 9:11, 9:122, 15:35, 22:78, etc. (ইংরেজি ভাষায়)
"Inside the Gender Jihad", p. 92, Amina Wadud, Oneworld Publications, 2006 (ইংরেজি ভাষায়)
দ্বীন বলতে আসলে কি বুঝায়?
বস্তুতঃ আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, ‘দ্বীন’ শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে। কুরআন মজীদে বিভিন্ন অর্থেই এ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন্ স্থানে শব্দটি কি অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে তা পূর্ণ বাক্য থেকে বুঝা যাবে। যে বাক্যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ঐ শব্দের অর্থ সঠিকভাবে বুঝার উপায় নেই। ‘দ্বীন’ শব্দের কয়েকটি অর্থ কুরআন পাকে সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়। যেমনঃ
১। প্রতিদান, প্রতিফল, বিনিময় ইত্যাদি।
২। আনুগত্য করা বা হুকুম মেনে চলা।
৩। আনুগত্য করার বিধান বা আনুগত্যের নিয়ম (যা ওহীর মাধ্যমে নির্ধারিত)।
৪। আইন অর্থাৎ রাষ্ট্র ব্যবস্থা যে নিয়মের অধিনে চলে, অনুরূপ সমাজ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয় (যা ওহীর মাধ্যমে নয় বরং মানুষের সৃষ্টি করা)।
৫। পুরস্কার অথবা শাস্তির হিসাব করা।
কুরআন পাকের বিভিন্ন আয়াত থেকে দ্বীন শব্দের উপরোক্ত অর্থ অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বুঝা যায়। যেমন-
১। দ্বীন অর্থ, প্রতিদান বা বদলাঃ
যেমন, পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে:
مَٰلِكِ يَوْمِ ٱلدِّينِ
বিচার দিবসের মালিক। -সুরা ফাতিহা: ০১: ০৪
ইয়াউমুদ দ্বীন হচ্ছে ‘ইয়াউমূল জাযা’ বা বিনিময় দিবস। এ অর্থেই একটি আরবী প্রবাদ রয়েছে, 'কামা তাদ্বীনু তুদ্বানু' অর্থাৎ, 'যেমন কর্ম তেমন ফল'। এ অর্থেই আরবী সাহিত্যের প্রসিদ্ধ কিতাব হামাসাহ’তে বলা হয়েছে: শত্রুতা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় ছিল না, তাই আমরা তাদেরকে কর্মানুযায়ী উচিৎ বিনিময় দান করেছি।' -তাফসীরে বাইযাভীর সুরা ফাতেহার ৩ নং আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য
অপর এক আয়াতে বলা হচ্ছে:
كَلَّا بَلْ تُكَذِّبُونَ بِٱلدِّينِ
'না, তা নয়, বরং তােমরা প্রতিদানকে মিথ্যা মনে করেছো।' -সুরা ইনফিতার: ৮২: ০৯
এ আয়াত দুটিতে দ্বীন শব্দের অর্থ প্রতিদান, প্রতিফল, বদলা ইত্যাদি। আখেরাতে মানুষের কাজের যে বদলা দেয়া হবে তাই এখানে বুঝানাে হয়েছে।
২। দ্বীন অর্থ, আনুগত্য বা হুকুম মেনে চলাঃ
আরবী ভাষার প্রসিদ্ধ অভিধান ‘লিসানুল আরব’ এ দ্বীন শব্দের আরেকটি অর্থ বলা হয়েছে, আনুগত্য করা, বিনয় প্রকাশ করা। নিজেকে কারাে গােলাম বানানাে। -লিসানুল আরব ১৩ খন্ড ১৬৪ পৃষ্ঠা, দ্বীন শব্দের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে:
أَفَغَيْرَ دِينِ ٱللَّهِ يَبْغُونَ وَلَهُۥٓ أَسْلَمَ مَن فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَإِلَيْهِ يُرْجَعُونَ
'তারা কি আল্লাহর দ্বীনের (আনুগত্যের) পরিবর্তে অন্য কিছু তালাশ করছে? অথচ আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে সেগুলাে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় তাঁরই আনুগত্য করে এবং তাদেরকে তারই নিকট প্রত্যাবর্তন করানাে হবে।' -আল ইমরান ০৩: ৮৩
এখানে 'দ্বীন' শব্দটি আত্মসমর্পণ বা আনুগত্য অর্থেই ব্যবহার করা হয়েছে। অপর আয়াতে বলা হয়েছে:
فَٱعْبُدِ ٱللَّهَ مُخْلِصًا لَّهُ ٱلدِّينَ
“অতএব আল্লাহর ইবাদাত কর তাঁরই আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে।” -আয যুমার ৩৯: ০২
অপর আয়াতে বলা হয়েছে:
وَقَٰتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ ٱلدِّينُ لِلَّهِۖ
'আর তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর যে পর্যন্ত না ফিতনা খতম হয়ে যায় এবং দ্বীন (সকল প্রকারের আনুগত্য) আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট হয়ে যায়।' -আল বাক্বারা ০২: ১৯৩
এখানে ফিতনা অর্থ আল্লাহর আনুগত্যের পথে বাধা সৃষ্টিকারী ইসলাম বিরােধী শক্তি। যুদ্ধের নির্দেশ দিয়ে এখানে বলা হয়েছে যে, বিরােধী শক্তিকে এমনভাবে দমন কর যাতে আল্লাহর আনুগত্য করতে কেউ বাঁধা দিতে না পারে। এ তিনটি আয়াত নমুনা স্বরূপ দেয়া হলাে। আল কুরআনে এ জাতীয় আয়াত বহু আছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আনুগত্যই হলাে 'দ্বীন’ শব্দের প্রধান অর্থ।
৩। দ্বীন অর্থ, আনুগত্যের বিধান বা জীবন ব্যবস্থা (ওহীর মাধ্যমে নির্ধারিত):
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে:
إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلْإِسْلَٰمُۗ
'নিশ্চই আল্লাহর নিকট ইসলামই হচ্ছে একমাত্র মনােনীত দ্বীন (আনুগত্যের বিধান বা জীবন ব্যবস্থা)।' -সুরা আলে ইমরান ০৩: ১৯
এই আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে তাফসীরে বাইযাভীতে বলা হয়েছে: 'আল্লাহর কাছে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন গ্রহণযােগ্য নয়। আর তা হলাে তাওহীদ ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক আনীত জীবন বিধানকে লৌহ বর্ম পরিধান করার ন্যায় গ্রহণ করা। -তাফসীরে বাইযাভী সুরা আল ইমরানের ১৯ নং আয়াতের তাফসীরে দ্রষ্টব্য
অপর আয়াতে একই অর্থে ব্যবহার হয়েছে:
وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ ٱلْإِسْلَٰمِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِى ٱلْءَاخِرَةِ مِنَ ٱلْخَٰسِرِينَ
'যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) চায়, তার কাছ থেকে তা কখনােই গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে।' -সুরা আলে ইমরান ০৩: ৮৫
অর্থাৎ আল্লাহর নিকট একমাত্র জীবন ব্যবস্থা বা আনুগত্যের বিধান হচ্ছে ইসলাম।
অপর আয়াতে ঘােষণা দেওয়া হয়েছে:
شَرَعَ لَكُم مِّنَ ٱلدِّينِ مَا وَصَّىٰ بِهِۦ نُوحًا وَٱلَّذِىٓ أَوْحَيْنَآ إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِۦٓ إِبْرَٰهِيمَ وَمُوسَىٰ وَعِيسَىٰٓۖ أَنْ أَقِيمُوا۟ ٱلدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا۟ فِيهِۚ
'তিনি তােমাদের জন্য দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন; (তা হচ্ছে ঐ জীবন ব্যবস্থা) যার ব্যাপারে তিনি নূহ আলাইহিস সালামকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর আমি (আল্লাহ) তােমার কাছে যে ওহী পাঠিয়েছি এবং ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে যে নির্দেশ দিয়েছিলাম তা হল, তােমরা দ্বীন কায়েম করাে এবং এই ব্যাপারে (দ্বীন কায়েম করতে গিয়ে) একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়াে না।' -সুরা শু'রা ৪২: ১৩
অর্থাৎ আল্লাহ সব নবীকেই তাঁর নাজিলকৃত জীবন ব্যবস্থা কায়েম করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে:
هُوَ ٱلَّذِىٓ أَرْسَلَ رَسُولَهُۥ بِٱلْهُدَىٰ وَدِينِ ٱلْحَقِّ لِيُظْهِرَهُۥ عَلَى ٱلدِّينِ كُلِّهِۦ وَلَوْ كَرِهَ ٱلْمُشْرِكُونَ
'তিনিই তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি সকল দ্বীনের উপর এই দ্বীনকে বিজয়ী করে দেন। যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।' -সূরা সফ ৬১ :০৯
সাথে সাথে এই ঘােষণাও দিলেন যে,
أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِى
'আজ আমি তােমাদের জন্য তােমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করে দিলাম।' -সূরা মায়িদা ০৫ঃ ০৩
অর্থাৎ জীবনে একমাত্র আনুগত্যের বিধান যাতে পালন করা যায় এবং কোন ক্ষেত্রেই অন্য কোন বিধান থেকে কিছু নিতে না হয় সেজন্য তােমাদের জীবন বিধান পূর্ণ করে দিলাম। উপরের আয়াতগুলাের মাধ্যমে দ্বীন’ শব্দের অর্থ ‘জীবন ব্যবস্থা এটি প্রমাণিত হলাে।
৪। দ্বীন অর্থ, আইন অর্থাৎ রাষ্ট্র ব্যবস্থা যে নিয়মের অধিনে চলেঃ
দ্বীন শব্দটি যেভাবে আল্লাহ প্রদত্ত আইন, বিধান, রাষ্ট্র ও জীবন ব্যবস্থা অর্থে ব্যবহৃত হয় তেমনিভাবে মানব রচিত আইন, বিধান, রাষ্ট্র ও জীবন ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন: পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে:
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِىَ دِينِ
অর্থ: “তােমাদের জন্য তােমাদের দ্বীন আর আমার জন্য আমার দ্বীন। -সুরা কাফিরূন ১০৯: ০৬
এ আয়াতে আল্লাহ প্রদত্ত দ্বীনে হকৃকেও দ্বীন বলা হয়েছে। মানব রচিত দ্বীনে বাতিলকেও দ্বীন বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে:
وَقَالَ فِرْعَوْنُ ذَرُونِىٓ أَقْتُلْ مُوسَىٰ وَلْيَدْعُ رَبَّهُۥٓۖ إِنِّىٓ أَخَافُ أَن يُبَدِّلَ دِينَكُمْ أَوْ أَن يُظْهِرَ فِى ٱلْأَرْضِ ٱلْفَسَادَ
'আর ফিরআউন বলল, আমাকে ছেড়ে দাও, আমি মূসাকে হত্যা করবাে এবং সে তাঁর রবকে ডাকুক; নিশ্চয়ই আমি আশঙ্কা করছি, সে তােমাদের দ্বীন পাল্টে দেবে অথবা সে যমীনে বিপর্যয় ছড়িয়ে দেবে।' -সুরা মু'মিন ৪০: ২৬
এখানে ফিরআউন তৎকালীন সমাজের মানব রচিত আইন, বিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে দ্বীন বলে উল্লেখ করেছে। এমনিভাবে, ইউসূফ (আঃ) এর ঘটনা উল্লেখ করতে গিয়ে আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন:
مَا كَانَ لِيَأْخُذَ أَخَاهُ فِى دِينِ ٱلْمَلِكِ إِلَّآ أَن يَشَآءَ ٱللَّهُۚ
'আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া বাদশার আইনে সে তার ভাইকে ধরা যায় না।' -সুরা ইউসুফ ১২:৭৬
অর্থাৎ যে চুরি করেছে তাকেই ধরতে হবে। দেশের আইনে দোষীর বদলে অন্য কাউকে ধরা যায় না।' এ আয়াতে 'দ্বীন’ শব্দটি মানুষ কর্তৃক রচিত আইন-বিধান এর অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে । অপর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে:
قَٰتِلُوا۟ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَلَا بِٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ ٱلْحَقِّ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ
অর্থ: “তােমরা যুদ্ধ কর সে সকল লােকদের বিরূদ্ধে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে প্রতি ঈমান রাখে না এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম মনে করে না এবং সত্য দ্বীন গ্রহণ করে না। -সুরা তাওবা ০৯: ২৯
এই আয়াতের মধ্যেও দ্বীন শব্দটি রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
৫। পুরস্কার অথবা শাস্তির হিসাব করাঃ
কুরআনুল কারিমে আল্লাহ্ তাআ'লা বলেছেন,
يَوْمَئِذٍ يُوَفِّيهِمُ اللَّهُ دِينَهُمُ الْحَقَّ
সেই দিন আল্লাহ্ তাদেরকে যথাযথ প্রতিদান (দীনাহুম) দিবেন। -সূরাহ আন নূর, আয়াত ২৫
এবং অন্য আয়াতে এসেছে-
أَءِنَّا لَمَدِينُونَ
তখন কি সত্যিই (পুনরায় জাগিয়ে) আমাদের (কৃতকর্ম) অনুসারে পুরষ্কার ও শাস্তি দেয়া হবে? -সূরাহ আস- সফফাত, আয়াত ৫৩
এ প্রসঙ্গে একটি হাদীছে আছে,
الْكَيِّسُ مَنْ دَانَ نَفْسَهُ وَعَمِلَ لِمَا بَعْدَ الْمَوتِ
সেই ব্যক্তিই বুদ্ধিমান যে নিজেই নিজের কাজের হিসাব করে এবং পরবর্তী জীবনের জন্য কাজ করে।
উমার (র) বলেছেন, “হিসাব নেওয়ার আগেই তোমার তোমাদের হিসাব কর। তোমাদের কাজের বিচার হওয়ার আগে নিজেরাই নিজেদের কাজের বিচার কর। তাঁর সামনে সবচেয়ে বড় জনসমাবেশের জন্য নিজেকে প্রস্তুত কর, যিনি তোমার সব কাজের খবর রাখেন।”
يَوْمَئِذٍ تُعْرَضُونَ لاَ تَخْفَى مِنكُمْ خَافِيَة
সেদিন বিচারের জন্য যখন তোমাদেরকে নিয়ে আসা হবে, কোন গোপন কাজই আর গোপন থাকবে না। -৬৯ আল-হাক্কাহঃ ১৮
পরিশেষেঃ
দ্বীন ইসলামকে যাদের ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতে ইচ্ছে, ইসলাম ধর্মের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হওয়ার বিষয়টি তাদের পক্ষে মেনে নিতে কষ্ট হওয়া খুবই স্বাভাবিক, যদিও কুরআন হাদিসের আলোকে এই বক্তব্য যতই প্রমানিত হয়ে থাকুক। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা বক্ষমান নিবন্ধে কুরআন হাদিসের আলোকে আশা করি, বিষয়টি সহৃদয় সম্মানিত পাঠকদের সামনে দলিল প্রমান সহকারে ক্লিয়ার করতে পেরেছি। এরপরেও যদি উক্ত পক্ষের ভাইয়েরা গায়ের জোরে তাদের আপত্তি চালিয়ে যেতে চান তাহলে তাদের সাথে অর্থহীন তর্ক-বিতর্কের নামে কালক্ষেপন করার কোনো ইচ্ছে আমাদের আদৌ নেই। তবে, আমরা প্রত্যাশা রাখতে চাই, তারা ফিরে আসবেন, তারা বেরিয়ে আসবেন বিভ্রান্তির বেড়াজাল থেকে এবং ইসলামের পেছনে অহেতুক, অন্যায়ভাবে লেগে থাকার স্বভাব পরিহার করে দ্বীনে হক এর আলোয় আলোকিত হবেন।
নিরন্তর শুভকামনা তাদের জন্য। অন্যদের জন্য। সকলের জন্য। সকল মানুষের জন্য। বিশ্ব মানবতার জন্য। বিশ্বের সমগ্র প্রাণিকুলের জন্য।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আগমনে কৃতজ্ঞতা। যথার্থ বলেছেন। জাজাকুমুল্লাহ। সেই পোস্টে আপনার কমেন্টও যথার্থ ছিল।
কল্যানের দোআ নিরন্তর।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: গত কয়েকদিন আগে ইসলাম বিদ্বেষী পোস্ট দিয়েছিলেন। মন্তব্য লিখতে গিয়েও কেটে দিয়েছি। মনটাই খারাপ হয়ে যায় । কতভাবে এরা ইসলামকে হেয় করতে চায় তার ইয়ত্তা নেই। আর দুইজন আছে ইসলামিক পোস্ট দেখলেই আজাইরা মন্তব্য করতে চলে আসে। এই দুই ইসলাম বিদ্বেষী এই পোস্টে আসবে না । আল্লাহ এদের হেদায়েত দিন। পোস্ট পড়তেছি এখন।
জাজাকাল্লাহ খাইরান আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনাকে সবসময় সত্যের পক্ষে স্পষ্টবাদী হিসেবে পেয়েছি। সত্যের সাহসী সৈনিক হিসেবেই আল্লাহ পাক আপনাকে কবুল করুন।
বাস্তবতার আলোকে আমাদের অনেক কিছুই দেখে যেতে হয়। ধৈর্য্যসহকারে আল্লাহ তাআলার সাহায্যের উপরে ভরসা করে, যারা বুঝে কিংবা না বুঝে বৈরিতার পথে রয়েছেন, তাদেরকে সত্যের দিকে ডেকে যাওয়া আমাদের কাজ।
দোআ এবং কৃতজ্ঞতা অশেষ।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৮
এ আর ১৫ বলেছেন:
আপনি দীন শব্দটা নিয়ে অনেক রিশার্চ করেছেন এবং যে সুরা গুলোর অনুবাদ দিয়েছেন , যেখানে দীন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু দু:ভাগ্যের বিষয় , আমি বিভিন্ন নামকরা বিখ্যাত ইংরেজি অনুবাদকের অনুবাদে রিলিজিয়ন বা ধর্ম শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে ।
৩-১৯
Sahih International: Indeed, the religion in the sight of Allah is Islam. And those who were given the Scripture did not differ except after knowledge had come to them - out of jealous animosity between themselves. And whoever disbelieves in the verses of Allah , then indeed, Allah is swift in [taking] account.
৩--৮৩
Sahih International: So is it other than the religion of Allah they desire, while to Him have submitted [all] those within the heavens and earth, willingly or by compulsion, and to Him they will be returned?
৩-৮৫
Sahih International: And whoever desires other than Islam as religion - never will it be accepted from him, and he, in the Hereafter, will be among the losers.
২--১৯৩
Sahih International: Fight them until there is no [more] fitnah and [until] worship is [acknowledged to be] for Allah. But if they cease, then there is to be no aggression except against the oppressors.
Pickthall: And fight them until persecution is no more, and religion is for Allah. But if they desist, then let there be no hostility except against wrong-doers.
Yusuf Ali: And fight them on until there is no more Tumult or oppression, and there prevail justice and faith in Allah; but if they cease, Let there be no hostility except to those who practise oppression.
Shakir: And fight with them until there is no persecution, and religion should be only for Allah, but if they desist, then there should be no hostility except against the oppressors.
Muhammad Sarwar: Fight them so that there will be no disbelief in God and God's religion will become dominant. If they change their behavior, there would be no hostility against anyone except the unjust.
Mohsin Khan: And fight them until there is no more Fitnah (disbelief and worshipping of others along with Allah) and (all and every kind of) worship is for Allah (Alone). But if they cease, let there be no transgression except against Az-Zalimun (the polytheists, and wrong-doers, etc.)
Arberry: Fight them, till there is no persecution and the religion is God's; then if they give over, there shall be no enmity save for evildoers.
৪২--১৩
Sahih International: He has ordained for you of religion what He enjoined upon Noah and that which We have revealed to you, [O Muhammad], and what We enjoined upon Abraham and Moses and Jesus - to establish the religion and not be divided therein. Difficult for those who associate others with Allah is that to which you invite them. Allah chooses for Himself whom He wills and guides to Himself whoever turns back [to Him].
৬১--৯
Sahih International: It is He who sent His Messenger with guidance and the religion of truth to manifest it over all religion, although those who associate others with Allah dislike it.
Pickthall: He it is Who hath sent His messenger with the guidance and the religion of truth, that He may make it conqueror of all religion however much idolaters may be averse.
Yusuf Ali: It is He Who has sent His Messenger with Guidance and the Religion of Truth, that he may proclaim it over all religion, even though the Pagans may detest (it).
Shakir: He it is Who sent His Messenger with the guidance and the true religion, that He may make it overcome the religions, all of them, though the polytheists may be averse.
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
আপনার সাথে কিংবা অন্য কারও সাথেই এই বিষয়টিতে কোনো বিতর্ক করার ইচ্ছে যে আদৌ নেই, সে কথা আমরা পোস্টে বলার চেষ্টা করেছি। সুতরাং, আপনার অনুবাদ নির্ভর যুক্তি আপনার কাছে গ্রহনযোগ্য হলেও সবার কাছে নিশ্চয়ই নয়। বিশেষ করে শুধু অনুবাদ পড়ার যোগ্যতা অর্জন করে কেউ যদি নিজেকে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের গবেষক মনে করেন, কিংবা তাফসীরকারদের ভুল ধরার যোগ্য বলে দাবি করেন, তার ব্যাপারে কিইবা বলার থাকতে পারে?
আর সম্ভবতঃ আপনি বাংলা ভাষায় জ্ঞান চর্চায় অতটা উৎসাহী ও আগ্রহী নন এবং ইংরেজিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বলেই ইংরেজি অনুবাদের দিকেই এইক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। খুবই ইন্টারেস্টিং। সেটাই করুন।
শুভ কামনা।
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১২
এ আর ১৫ বলেছেন: বেশিরভাগ সময়েই এরা মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে, মিথ্যেকে উপজীব্য করে, প্রতারণার অপকৌশলে, সত্যকে আড়াল করে ইসলাম ধর্মের ভুল প্রমান করতে আসতে দেখা যায়।
কথাটা তো আমাকে উদ্দেশ্য করে করেছেন তবে বহু বচনে এরা
এবার আপনাকে চ্যালেন্জ দিলাম প্রমাণ করার জন্য --- কোথায় এবং কোন আর্টিকেলে আমি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছি । এবার প্রমাণ করুন সত্যকে আড়াল কোরলাম কোথায় ।
ইসলাম ধর্মের ভুল বলতে কি বোজাচ্ছেন একটু ব্যাখা করুন !! কোন অপব্যাখাকে যুক্তি প্রমাণ দিয়ে ভুল প্রমাণ করা কি ইসলাম ধর্মকে ভুল বলা ? এই প্রশ্নের জবাব দিন ।
আপনি নিজেই তো একটা মিথ্যা কাহিণী পোস্ট করেছিলেন এবং সাথে সাথে আমি প্রতিবাদ করেছিলাম ,
আপনার লিখা নীচের লিংকের ৩ নং কমেন্টটা পড়ুন তো । মিথ্যা কাহিণী তো আপনি লিখেছেন
CLICK HERE PLEASE
আপনার আরেকটা পোস্ট যেটার অনেক মিথ্যা তথ্য ছিল --
CLICK HERE PLEASE
আপনার ঐ আর্টিকেলটার প্রতিবাদ করে আমি লিখেছিলাম নীচের আর্টিকেলটি --
আল কুরআনের যে একটিমাত্র আয়াত পাল্টে দেয় ড. মরিস বুকাইলির জীবন ? তিনি কি আসলে ফেরাউন রামসি ২ ?
ধন্যবাদ
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
দুঃখিত, প্রিয় ভাই! ইতিহাস খুঁজতে গেলে অনেক ভ্যাজাল বেরিয়ে আসতে পারে। সে দিকে যেতে চাই না। শাক দিয়ে মাছ কতক্ষন ঢেকে রাখা যায়? একটা সময়ে শাক মাছ সবই পরিষ্কার হয়ে যায়। আপনি যতই নিজেকে হাইড করার চেষ্টা করেন না কেন, সত্য কখনো লুকানো সম্ভব নয়। লুকানোর চেষ্টা বড়জোর করা যায়। কিন্তু করলেও খুব বেশি সময় তা লুকিয়ে রাখা যায় না। আসল চেহারা সময়মত মানুষ ঠিকই দেখে ফেলে। আর সকল লুকোচুরি ধরার আসল মালিক আল্লাহ তাআ'লা। তিনি সবই দেখেন, জানেন এবং শোনেন। তাঁর থেকে কিছুই লুকানোর ক্ষমতা কারও নেই।
আপনার বিগত বছরগুলোর মন্তব্য এবং পোস্টগুলো এখনও এই ব্লগে বিদ্যমান। সেগুলো পাঠ করলে পাঠকমাত্রই আপনাকে খুব সহজে চিনে নিতে পারবেন এবং আপনার উদ্দেশ্য যে কতটা মহৎ(!) সে সম্পর্কে সামান্য হলেও ধারণা নিতে পারবেন। তাই এটা নিয়ে বিতর্ক না করে, তথ্য প্রমান যেহেতু সামনেই রয়েছে, সম্মানিত পাঠক-ব্লগারবৃন্দকে সেদিকেই আহবান করছি। আপনার ব্লগ ঘুরে পোস্ট এবং কমেন্টসগুলো একনজর দেখে আসার অনুরোধ রাখছি।
আবারও ধন্যবাদ।
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৩
এ আর ১৫ বলেছেন: বিশেষ করে শুধু অনুবাদ পড়ার যোগ্যতা অর্জন করে কেউ যদি নিজেকে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের গবেষক মনে করেন, কিংবা তাফসীরকারদের ভুল ধরার যোগ্য বলে দাবি করেন, তার ব্যাপারে কিইবা বলার থাকতে পারে?
আপনার যে ধর্ম শব্দটা নিয়ে অনেক ক্যারিক্যাচার করে বাংলা অনুবাদে ধর্ম শব্দ ব্যবহার না করে দীন শব্দটা ব্যবহার করেছেন, সেটাই দেখিয়ে দিলাম । দীন শব্দটা ব্যবহার করলে দাবিটা আপনার পক্ষে যায় এবং ধর্ম শব্দ ব্যবহার করলে যায় না ।
তাই এটা কি প্রমাণ করা জরুরি নহে ঐ আয়াত গুলোতে ধর্ম শব্দটই সঠিক অনুবাদ দীন শব্দটা নহে ।
আপনারা ধর্ম না লিখে দীন শব্দটা লিখে কি অসততা করেন নি ?
আপনি নিজের লিখা ২টা মিথ্যা পোস্টের উদাহরন দিলাম ।
আপনি কি সুর্য পূজারি হয়েছেন ? আপনি তো জানেন মূর্তি হারাম মূর্তির ছবি হারাম এবং শিরক । আপনি এই পোস্টে সূর্যের ছবি দিয়ে কি শরিক করেন নি ? সূর্য পূজা করা যে হারাম সেটা নিশ্চয় আপনি জানেন , সেই হিসাবে সূর্যের ছবি যে হারাম ও শিরক সেটা কি জানেন না ? তাহোলে সূর্যের ছবি দিলেন কেন ?
সূর্য পূজারি কবে হলেন ?
আপনার বিগত বছরগুলোর মন্তব্য এবং পোস্টগুলো এখনও এই ব্লগে বিদ্যমান। সেগুলো পাঠ করলে পাঠকমাত্রই আপনাকে খুব সহজে চিনে নিতে পারবেন এবং আপনার উদ্দেশ্য যে কতটা মহৎ(!) সে সম্পর্কে সামান্য হলেও ধারণা নিতে পারবেন।
আমার উদ্দেশ্য মহৎ না অসৎ সেটা পরের ব্যপার --- আপনাদের মহত্ত্ব বোঝা যায় যখন মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ধর্ম বা রিলিজিয়ন শব্দটা পাল্টিয়ে দিয়ে দীন শব্দটা ব্যবহার করেন তখন । আপনাদের দাবি ভিত্তি হোল দীন শব্দটি , তাহোলে কোরানের আয়াতের সঠিক অনুবাদ দেখা দরকার নহে কি সেখানে দীন না ধর্ম শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে ।
সঠিক শব্দ ধর্ম বা রিলিজিয়ন না লিখে দীন শব্দ লিখে-- আপনাদের মহৎ উদ্দেশ্য তো দেখলাম ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
ফিরে আসায় অসংখ্য ধন্যবাদ। আবার আসবেন সেই অপেক্ষায়-
সবসময় শুভকামনা, প্রিয় ভাইয়ের জন্য।
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫
এমেরিকা বলেছেন: প্রাণীর ছবি হারাম। সূর্য কোন প্রাণী নয়, তাই সূর্যের ছবিও হারাম নয়। হিন্দুরা গো পূজা করে, কিন্তু আমরা গরুর মাংস খাই। এতেই প্রমাণ হয় সব পূজনীয় জিনিসই হারাম নয়।
ধর্ম বলতে মূলত কোন বস্তুর এমন বৈশিষ্ট্য বুঝায়, যা কখনও পরিবর্তন হয়না, যতক্ষণ ঐ বস্তুটির রূপান্তর না ঘটে। সে হিসেবে ইসলাম একটি ধর্মের নাম। আবার ইসলামে এমন কিছু আইন কানুন আছে, যা একে জীবন ব্যবস্থায় (কোড) পরিণত করেছে। তাই ইসলামের ক্ষেত্রে দুটি শব্দের ব্যবহারই সঠিক।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
তবে কিছু লোকের কথার ঠিক নেই। তারা কোথায় কি বলেন নিজেরাও জানেন না। সুতরাং, তাদের কথাকে সেভাবে নেয়ার কোনো কারণ নেই। তারা অহরহ পক্ষে বিপক্ষে উল্টাপাল্টা কথা বলতেই অভ্যস্ত। এতেই তাদের প্রশান্তি। সেই পথেই তাদের থাকতে দেয়া উচিত।
শুভকামনা।
৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯
রানার ব্লগ বলেছেন: বুঝলাম দ্বীব অর্থ জীবন বিঁধান সেটা বাংলা অর্থে কিন্তু তাহলে অন্যভাষায় অন্যরকম কেন? চায়ের কাপের অনুবাদ চায়ের কাপই হবে অন্য ভাষায় কেন লেবুর পানি ?
৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৪
এ আর ১৫ বলেছেন: এমেরিকা,, আপনা এর জবাব আগের এক কমেন্টে দেওয়া হয়েছে,,,,,
এমেরিকা কমেন্ট ৩৫
আপনি৷ লিখেছিলেন৷৷ পূজাবাদীরা সব কিছুরই পূজা করবে - তাই বলে সবকিছুই কি হারাম হবে?
উত্তর -----হবে কারন শরিয়ত অনুযায়ি যে কোন জিনিস পূজা করা হারাম এবং শিরিক ।
কোরানে মদ হারামের কথা বলা হয়েছে , গাজা-হেরইন, আফিম, ভাং , চরস , ইয়াবা ইত্যাদির কথা বলা হয় নি । তাহোলে গাজা হেরইন আফিমকে হারাম করা হোল কিসের ভিত্তিতে ? আলেমরাই কি বলে নি মদ হারাম অর্থাৎ মাদক বস্তু হারাম , তাই গাজা , হেরইন আফিম ভাং সহ যে কোন মাদক বস্তু হারাম ।
যে কোন জিনিস পূজা করা হারাম তারমানে মূর্তি, চাদ , সুর্য , আগুন, গাছ , শিব লিংগ এই সব কিছু পূজা করা হারাম এবং শিরিক । পূজাবিহীন মূর্তি যদি হারাম শিরক হয় তাহোলে বাকি সব পূজার বস্তু গুলো কি হারাম/শিরিক হয়ে যায় না ? শরিয়তে কি পূজার সব আইডল নিয়ে বলবে নাকি একটার কথা বলে বাকি গুলোকে ও একই রুলিং এ নিয়ে বিচার করবে ? শরিয়ত একটা জিনিস নিয়ে বলে কি, সম শ্রেণীর বাকি গুলোর ব্যপারে দিক নির্দেশনা দেয় নি ? যেমন শুধু মদ নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে, সেই সূত্র ধরে সকল মাদক বস্তুকে(গাজা-হেরইন ইত্যাদি) হারাম করা হয়েছে ।
একই ভাবে, যদি পূজাবিহীন মূর্তি হারামের কথা বলা হয় তাহোলে সেই সূত্র ধরে পূজা বিহীন সূর্য, চাদ, গাছ , গরু , আগুন , লিংগ হারাম এবং শিরিক করা হয়ে যাবে না ?
আপনার কথা -----আসল কথা হল, কোন প্রাণীর ভাস্কর্যের অনুমতি ইসলামী শরীয়তে নিষিদ্ধ (পূজার জন্য হোক বা না হোক) এবং দুনিয়ার কোন আলেমই এই ব্যাপারে ভিন্নমত পোষন করেন না
উত্তর -----তাহোলে, কোন প্রাণীর ছবির অনুমতি ইসলামী শরীয়তে নিষিদ্ধ (পূজার জন্য হোক বা না হোক) এবং দুনিয়ার কোন আলেমই এই ব্যাপারে ভিন্নমত পোষন করেন না------- তাহোলে কি দুনিয়ার বর্তমানে এমন কোন মুসলমান নেই যার ( প্রয়োজনে/অপ্রয়োজনে) ছবি নেই এবং এমন কোন আলেম হুজুর নেই যার ছবি ভিডিও নেই ।
পাসপোর্ট আর আইডি কার্ড ছাড়া ছবি বানান মুসলমানদের জন্য হারাম এবং শিরক কিন্তু হুজুর আলেম সহ দুনিয়ার এমন কোন মুসলমান নেই বর্তমানে যার কোন ছবি নেই ।
এখন জবাব দিন পাইকারি হারে ছবি বানানো সকল মুসলমান কি ভাবে করে থাকে ?
আপনি বলেছেন -------
প্রাণীর ছবি হারাম। সূর্য কোন প্রাণী নয়, তাই সূর্যের ছবিও হারাম নয়
উত্তর ---- গাছ প্রাণী, গাছের ছবি হালাল হয় কি করে? সূর্য ছবি হারাম নহে যেহেতু প্রাণ নেই কিন্তু যখন সূর্য পূজা হয় তখন পূজার আইডল সূর্য হারাম। কারন মূর্তি দেখতে দেখতে মানূষ মূর্তি পূজারি হয়েছিল, ঠিক তেমনি সূর্য দেখতে দেখতে মানুষ সূর্য পূজারি হয়েছে, তাই সূর্যে সামনে যাওয়া হারাম শিরক এবং সূর্যর ছবি হারাম শিরক।
গরু পুষতে পুষতে, মাংস দূধ খেতে খেতে যদি শয়তানের প্ররোচনায় গরু পূজারি হয়ে যান তাই গরু দেখা পোষা ইত্যাদি হারাম এবং শিরক।
ধন্যবাদ
৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। পরিপূর্ণ জীবনবিধান। এতে কোনো খুত নেই,
নেই কোনো অপূর্ণতা। পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, ‘আজ আমি
তোমাদের জন্য দীনকে পূর্ণ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ
করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য একমাত্র দীন রূপে মনোনীত করলাম।’
(সূরা : মায়িদা, আয়াত : ৩)
পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক আরো ইরশাদ করেছেন, ‘এবং আমি আপনার প্রতি
এমন কিতাব অবতীর্ণ করেছি যার মধ্যে প্রতিটি বস্তুর স্পষ্ট বর্ণনা বিদ্যমান।’ (
সূরা : নাহল, আয়াত : ৮৯) এই আয়াত থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট বোঝা যায়,
মানব জীবনের প্রয়োজনীয় সকল দিক-নির্দেশনা পবিত্র কুরআনে বিদ্যমান রয়েছে।
সুতারাং বাতিল ও অকৃতজ্ঞরা কি কললো তাতে কিচ্ছু আসে যায়না।
১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১২
এ আর ১৫ বলেছেন: রানার ব্লগ বলেছেন: বুঝলাম দ্বীব অর্থ জীবন বিঁধান সেটা বাংলা অর্থে কিন্তু তাহলে অন্যভাষায় অন্যরকম কেন? চায়ের কাপের অনুবাদ চায়ের কাপই হবে অন্য ভাষায় কেন লেবুর পানি ?
----- কোরানের সকল ইংরেজি অনুবাদে রিলিজিয়ন বা ধর্ম লিখা হয়েছে। সেটাই সঠিক দীন সঠিক অনুবাদ নহে।
১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
পুর্নাংগ আফগানী, পাকিস্তানী, ইয়েমেনী, বেদুইন জীবন বিধান।
১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে পুর্ণাংগ জামাত-শিবির, দেওয়ানবাগী জীবন?
১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একজন মুসলমানের জীবনের কোন কাজ/ বিষয় ইসলামের আওতার বাইরে আছে? এই ধরণের কোন কাজ/ বিষয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। ইসলাম বিভিন্ন ধরণের কাজের/ বিষয়ের ক্ষেত্রে কিছু সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ঐ সীমার মধ্যে থেকে একজন মুসলিম তার ইচ্ছা অনুযায়ী কর্ম সম্পাদন করতে পারে। আমাদের জীবনের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, জাতীয়, আন্তর্জাতিক যে কোন বিষয়ের ক্ষেত্রে ইসলাম গণ্ডি নির্ধারণ করে দিয়েছে ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছে। কাজেই ইসলামের আওতার বাইরে কোন কর্মকাণ্ড একজন মুসলিমের জীবনে নাই। ইসলাম শুধু মসজিদ কেন্দ্রিক বা ধর্মীয় আচারকেন্দ্রিক না। আচার, আচরণ, লেনদেন, মানুষের অধিকার, আনন্দ, বিনোদন, ন্যায়, অন্যায় ইত্যাদি কোনও কিছুই একজন মুসলিম ইসলামি গণ্ডির বাইরে গিয়ে করতে পারে না। ইসলামে নির্ধারিত গণ্ডি মানুষের ভালোর জন্য মহান আল্লাহ্তালা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যারা সীমালঙ্ঘন করবে তারা শাস্তি পাবে।
১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট দিয়েছেন।
এরকম আলোচনার দরকার আছে।
১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।
ইহা কিতাবে কোথাও লেখা নেই।
আপনি যদি কিতাবের একটি বাক্যকে কতিপয় রাজনৈতিক ইসলামিষ্টদের তথাকথিত তফসিরের মাধ্যমে বলেন 'ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান' সেটা ভুল হবে।
রাজনৈতিক ইসলামিষ্ট তথা তষ্কর ডাকাতদল, আধুনা মৌদুদিবাদিরা বিভিন্ন দেশে দখল, ক্ষমতা দখল, ডাকাতি,গণহত্যা নির্বিচার লুন্ঠন চালানোর জন্য পবিত্র আয়াতের এইসব অপব্যাখ্যা বানোয়াট ব্যাখ্যা করে আসছে।
আর এমনিতেই 'ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান' দাবিটি অবাস্তব। কারন ১৪০০ বছরেও পৃথিবীর কোন মুসলিম দেশ ইহাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। কখনো পারবেও না।
১৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৬
জাহিদ হাসান বলেছেন: ভালো আলোচনা করেছেন। মাঝে-মাঝে এখনো ব্লগে আসি এমন তথ্যবহুল আলোচনা দেখার জন্যই।
মন্তব্য পড়ে আরও অনেক মজা পাই বেশি। কারণ তাতে দ্বিমত থাকে।
আমি যত মত তত পথে বিশ্বাসী। কারণ তাতেই সত্যটা আন্দাজ করা সম্ভব হয়।
১৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৫
অশুভ বলেছেন: আমি সাধারণত ক্যাচাল পোষ্ট আর ক্যাচাল মন্তব্য এড়িয়ে চলি। আজকে আর বিরত থাকতে পারলাম না।
সম্মনিত ব্লগার এ আর ১৫-এর সাথে আমি একমত, আল-কোরআনের ইংরেজি অনুবাদে প্রায় সবজায়গাতে দ্বীন শব্দের স্থলে religion শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। ব্লগার এ আর ১৫ ইংরেজি ভাষায় বেশ
পারদর্শী মনে হচ্ছে।
আমি তাকে একটু উইকিপিডিয়া পড়ে দেখার জন্য অনুরোধ করছি-
প্রথমত এই লিংকে দ্বীন শব্দের অর্থটি বিস্তরিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
It has been said that the word Dīn appears in as many as 79 verses in the Qur'an,[7] but because there is no exact English translation of the term, its precise definition has been the subject of some misunderstanding and disagreement. For instance, the term is often translated in parts of the Qur'an as "religion".
আমার মনে হয় এজন্যই ব্লগার এ আর ১৫ চায়ের সাথে লেবুর পানি গুলিয়ে ফেলছেন।
দ্বিতীয়ত এই লিংকে Religion শব্দটি দারা শুধু ধর্ম বোঝানো হয়েছে বলে মনে হয় নি। পুরো আর্টিকেলটা পড়লে Religion শব্দটির অর্থ যে অনেক ব্যাপক সেটা আশা করি উনি বুঝতে পারবেন। (আমার কাছে জীবন বিধানের মতই মনে হয়েছে। এখানে অনেকের ভিন্নমত থাকতে পারে।)
জ্ঞানী লোক নাকি অল্প কথাতেই অনেক কিছু বুঝতে পারে। আমি Wikipedia-এর উপরোক্ত দুটি আর্টিকেল সম্পর্কে জনাব এ আর ১৫ এর সুচিন্তিত মতামত জানতে চাচ্ছি।
১৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩২
এ আর ১৫ বলেছেন: অশুভ সাহেব
আপনি যে প্যারাটা দিয়েছেন ওই লিংক থেকে তার পরের প্যারাটা পড়ুন
Some Qur'anic scholars have translated Dīn in places as "faith"[9] Others suggest that the term "has been used in various forms and meanings, e.g., system, power, supremacy, ascendancy, sovereignty or lordship, dominion, law, constitution, mastery, government, realm, decision, definite outcome, reward and punishment. On the other hand, this word is also used in the sense of obedience, submission and allegiance".[10]
দীন শব্দের কি বাংলা প্রতিশব্দ আছে? তাহোলে যে ভাবে বাংলা অনুবাদে দীন শব্দ ব্যবহার হয়েছে, সে ভাবে ইংরেজিতে Din লিখতে পারতো কিন্তু সেটা করা হয় নি। পরে প্যারাতে বলা হয়েছে অনেক কোরানিক স্কলার দীন শব্দটাকে ফেইথ বা বিশাষ বলে অনুবাদ করেছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
১৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪
নতুন নকিব বলেছেন:
সম্মানিত ব্লগার এ আর ১৫ এবং প্রিয় ব্লগার অশুভসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, এই দ্বীন শব্দের ব্যাখ্যার বিষয়টি নিয়ে একটি নতুন পোস্ট দিব ইনশা-আল্লাহ। চেষ্টা থাকবে, যাতে পোস্টটি শিঘ্রই নিয়ে আসতে পারি।
ভালো থাকবেন সকলে, প্রার্থনা।
২০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০
অশুভ বলেছেন: ব্লগার এ আর ১৫ ভাই, আপনি যে রেফারেন্স দিয়েছেন সেখানেই দ্বীন শব্দের ব্যাপকতা রয়েছে।
e.g., system, power, supremacy, ascendancy, sovereignty or lordship, dominion, law, constitution, mastery, government, realm, decision, definite outcome, reward and punishment
-এত কিছুর পরও আপনি জীবন বিধান বলতে ইচ্ছুক নন। সেটা আপনার ব্যক্তিগত মত।
দীন শব্দের কি বাংলা প্রতিশব্দ আছে? তাহোলে যে ভাবে বাংলা অনুবাদে দীন শব্দ ব্যবহার হয়েছে, সে ভাবে ইংরেজিতে Din লিখতে পারতো কিন্তু সেটা করা হয় নি। পরে প্যারাতে বলা হয়েছে অনেক কোরানিক স্কলার দীন শব্দটাকে ফেইথ বা বিশাষ বলে অনুবাদ করেছে।
-আমার মনে হয়, ইংরেজিতে Dīn লিখলেই ভালো হত। সেক্ষেত্রে আমরা প্রকৃত আরবী শব্দের অর্থ জানার চেষ্টা করতাম। তাতে আপনার বা আমার মত মানুষের কনফিউশন কম হতো।
দ্বিতীয়ত এই লিংকে Religion শব্দ দিয়ে কী বুঝানো হয়েছে বা আপনি কী বুঝতে পেরেছেন, সেটা কিন্তু উল্লেখ করলেন না।
২১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০২
এ আর ১৫ বলেছেন: অশুভ সাহেব
-এত কিছুর পরও আপনি জীবন বিধান বলতে ইচ্ছুক নন। সেটা আপনার ব্যক্তিগত মত।
----- এটাকি আমার ব্যক্তিগত অভিমত? কোরানের ছয় সাতটা আয়াত যে আছে, যেখানে বলা হয়েছে, কোরান একটা উপদেশ গ্রন্থ বা মানব জাতীর জন্য উপদেশ, সেই আয়াত গুলোকে কি ইগনোর করা যায়?
সুরা ছোয়াদ ৬৭ এবং ৮৭ − “বলুন, এটি এক মহা সুসংবাদ।
মুজাম্মিল ১৯ − “এটা উপদেশ। অতএব যার ইচ্ছা সে তার পালনকর্তার দিকে পথ অবলম্বন করুক।”
মুদাস্সির ৫৪ − “এটা তো উপদেশ মাত্র।”
আশ শুরা ৫২ − “আপনি জানতেন না কোরাণ কি ও ইমান কি। কিন্তু আমি একে করেছি নূর।”
সুরা ইমরাণ ১৮৪ − কোরাণ হলো “মুনীর” অর্থাৎ “আলোকিত কিতাব।”
সুরা আনাম ৯০ − “এটি বিশ্বের জন্য উপদেশ মাত্র।”
সুরা আল্ ফুরকান ১ − “পরম করুণাময় তিনি যিনি তাঁর বান্দার প্রতি ফয়সালার গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছেন।”
সুরা হিজর ৯ − “আমি এই উপদেশগ্রন্থ নাজিল করেছি।”
সুরা হজ্ব ৮ − কোরাণ হল “আলোকিত কিতাব।”
আল্ যুমার ২৩ − “আল্লাহ উত্তম বাণী তথা কিতাব নাজিল করেছেন যা সামঞ্জস্যপূর্ণ।”
সুরা আবাসা ১১ − “এটা উপদেশবাণী”।
ধন্যবাদ
২২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৭
অশুভ বলেছেন: এ আর ১৫ ভাই, উপরোক্ত আয়াতগুলো নিয়ে আপনার পোস্ট ইতোমধ্যে আমি পড়েছি।
এই পোস্টে কথা হচ্ছে দ্বীন নিয়ে। বিশেষ করে নিচের আয়াতটি সম্পর্কে-
"আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের ওপর আমার নি‘আমত সম্পূর্ণ করলাম; আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম"। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৩]
দ্বীন -এর অর্থ সম্পর্কে আপনার মতামত স্পষ্ট না করে আপনি আলোচনা ভিন্নদিকে নিয়ে যাচ্ছেন। ইংরেজিতে দ্বীন শব্দটার অনুবাদ Religion করা হয়েছে। সেটার রেফারেন্স নিয়েও কিছু বললেন না।
যাই হোক আপনার রেফারেন্সগুলো নিয়েই কথা বলি-
মুজাম্মিল ১৯ − “এটা উপদেশ। অতএব যার ইচ্ছা সে তার পালনকর্তার দিকে পথ অবলম্বন করুক।”
মুদাস্সির ৫৪ − “এটা তো উপদেশ মাত্র।”
সুরা আনাম ৯০ − “এটি বিশ্বের জন্য উপদেশ মাত্র।”
সুরা হিজর ৯ − “আমি এই উপদেশগ্রন্থ নাজিল করেছি।”
সুরা আবাসা ১১ − “এটা উপদেশবাণী”।
----এখানে উপদেশ বলতে কী বুঝেছেন আপনি? পবিত্র আল-কোরআনে আপনার পুরো জীবনে কী কী করতে পারবেন বা জায়েয আর কী কী করা হারাম তা সুস্পষ্ট করা হয়েছে। আপনি মুমিন হতে চাইলে, সারাজীবন এই বিধিনিষেধগুলো মেনে চলতে হবে। এই বিধিনিষেধগুলো কি আপনার জীবন বিধানের বাইরে?
সুরা ছোয়াদ ৬৭ − “বলুন, এটি এক মহা সুসংবাদ।”
৮৭ − “এ তো সৃষ্টিকুলের জন্য উপদেশ মাত্র।”
---- নিঃসন্দেহে এটা মহা সুসংবাদ। তবে তাদের জন্য সুসংবাদ যারা এই উপদেশসমূহ পরিপালন করে। এই উপদেশসমূহ আপনার জীবনের প্রতিটি স্তরে মেনে চলতে হবে।
আপনার উল্লিখিত অন্য আয়াতগুলো সম্পর্কে আমার নিজের খুব বেশি পড়াশোনা নাই তাই বিস্তারিত আলোচনা করতে পারছিনা। তবে এটুকু বলতে পারি, মুমিন হতে হলে আপনাকে সবগুলো আয়াত-এ পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।
পরিশেষে বলি, সবাই ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান বলে (আপনার ভাষায় "Religion"-এটা নিয়েও স্টাডি করতে পারেন), কারণ পবিত্র আল-কোরআনে এটার রেফারেন্স আছে। (উপরে আয়াতসহ উল্লেখ করা আছে) আমার জানা মতে পবিত্র আল-কোরআনে কোথাও ইসলাম-কে(যা দ্বীন হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে) উপদেশ হিসেবে বলা হয়নি।
ইদানিং আমাদের সবচেয়ে বাজে দিক হলো পবিত্র আল-কোরআনের কিছু আয়াতের তর্জমা পড়ে ভুলভাবে সবকিছু ব্যাখ্যা করতে যাই। পবিত্র আল-কোরআন পরিপূর্ণভাবে বুঝতে হলে প্রতিটি সূরাহ-এর শানে নুযূলসহ পড়া উচিৎ (আমার জানামতে)। আর আরবী ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়। মহান আল্লাহ আমাকে-আপনাকে সেই তৌফিক দান করুন।
২৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৩৩
এ আর ১৫ বলেছেন: জনাব অশুভ ---- আপনি এবং আপনারা একটু ক্লিয়ার করে বলবেন কি? COMPLETE CODE OF LIFE বোলতে কি বুঝেন, ইসলামে ডিটেলভাবে স্পিরিচুয়াল সাইড কিছু নির্দেশ আছে, যেমন ঘুমাতে যাওয়ার দোয়া, ঘুম থেকে উঠার দোয়া, গোসলের দোয়া, টয়লেটে যাওয়ার দোয়া, ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া, ঘরে প্রবেশ করার দোয়া৷ সহবত করার দোয়া ইত্যাদি। এই সব জিনিস কি COMPLETE CODE OF LIFE? শরিয়া আইণের মাত্র ১০ % এসেছে কোরান হাদিস থেকে বাকি ৯০ % বাহির থেকে।
এমন হাদিস আছে যেখানে বলা হয়েছে ছোয়াচে বা সংক্রমক ব্যধি বলে কিছু নেই।
কোরানে হাদিসে অনেক কিছুর ব্যপারে উপদেশ ও দিক নির্দেশনা আছে। সেগুলকে কি COMPLETE CODE OF LIFE বলা যায়?
This is from the book I am writing now - "শারিয়া আইনের অতীত বর্তমান - পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন" ----
- এবারে বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন ১ম খণ্ড ধারা ১৯-এর খ ও পৃষ্ঠা ৪২ থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি:-
"যেসব অপরাধকর্মের শাস্তি সরাসরি কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা নির্ধারিত কেবল সেগুলিই হদ্দের আওতাভুক্ত হইবে"।
"অপরাধের শ্রেণীবিভাগ - শাস্তির দিক হইতে অপরাধ নিম্নোক্ত তিন শ্রেণীতে বিভক্ত।
(ক) হদ্দ-এর আওতাভুক্ত অপরাধ: যেসব অপরাধের জন্য হদ্দ নির্ধারণ করা হইয়াছে। যেনা, যেনার অপবাদ, মদ্যপান, চুরি, ডাকাতি, বিদ্রোহ ও ধর্মত্যাগের অপরাধ এই শ্রেণীভুক্ত।
(খ) কিসাস ও দিয়াতের আওতাভুক্ত অপরাধ: যেসব অপরাধের জন্য কিসাস (মৃত্যুদণ্ড বা অঙ্গহানী) অথবা দিয়াত (রক্তপণ) নির্ধারণ করা হইয়াছে। কবলে আমদ, কবলে শিবহি আমদ, কতলে খাতা এবং ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে মনোন দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতিসাধনের অপরাধসমূহ এই শ্রেণীভুক্ত।
(গ) তাযীরের আওতাভুক্ত অপরাধ: যেসব অপরাধের জন্য তাযীরের ব্যবস্থা করা হইয়াছে। উপধারা ক ও খ-এ উল্লিখিত অপরাধসমূহ ব্যতীত অন্য সব অপরাধ এই শ্রেণীভুক্ত। এই শ্রেণীভুক্ত অপরাধের শাস্তি কুরআন ও সুন্নায় নির্ধারণ করা হয় নাই, বরং শাস্তি নির্ধারণের বিষয়টি সরকারের উপর ন্যস্ত করা হইয়াছে"- উদ্ধৃতি শেষ।
এই যে তাযীর অপরাধের শাস্তির বিধান কোরান হাদিসের বাহিরে, তাহোলে COMPLETE CODE OF LIFE হয় কি করে।
কোরন তো এমন দাবি করেনি, করেছে কিছু আলেম এবং তফসির কারক।
ধন্যবাদ
২৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮
অশুভ বলেছেন: এ আর ১৫ ভাই, কোন বিষয়ে আলোচনা বা বিতর্ক করলে সেই বিষয়টা শেষ করে তারপর অন্য টপিকস নিয়ে কথা বলা উচিৎ বলে আমার মনে হয়। আপনাকে যে প্রশ্ন করি, সেই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ঘুরিয়ে পেচিয়ে নতুন নতুন টপিকস নিয়ে আলোচনা শুরু করে দেন। আপনার সাথে আমার আলোচনার টপিকস বা বিষয়বস্তু পয়েন্ট আকারে Step by step তুলে ধরছি-
১. ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান এটার রেফারেন্স পবিত্র আল কোরআন-এ আছে কি না সেটা আলোচনার মূল বিষয়বস্তু।
"আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের ওপর আমার নি‘আমত সম্পূর্ণ করলাম; আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম"। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৩] এখানে দ্বীন দারা এর জীবন বিধানের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে(অধিকাংশ আলেমের মতে)। আপনি ইংরেজি রেফারেন্স দিয়ে বলেছেন দ্বীন মানে Religion।
২. তারপর আমি আলোচনায় এসেছি। শুরু করলাম দ্বীন শব্দ নিয়ে, আর আপনার উল্লিখিত Religion শব্দের ব্যাখ্যা নিয়ে। সেই আলোচনায় দ্বীন সম্পর্কে নিজের দেওয়া রেফারেন্সে নিজেই কুপোকাত হলেন। আর Religion শব্দের ব্যাখ্যা নিয়ে এখন পর্যন্ত আপনার অবস্থান স্পষ্ট করলেন না। আই রিপিট এখন পর্যন্ত এ সম্পর্কে কোন কথা বলেন নাই।
৩. এরপর আগের আলোচনা বাদ দিয়ে পবিত্র আল কোরআন এর অন্য আয়াতগুলো নিয়ে মন্তব্য করলেন। আমি সেগুলোর জবাবও দিলাম। তারপর আবারও পবিত্র আল কোরআন এর রেফারেন্সসহ উল্লেখ করলাম ইসলামকে কেন পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান বলা হয়ে থাকে।
৪. আবার এখন পবিত্র আল কোরআন-এর রেফারেন্স এর আলোচনা বাদ দিয়ে "শারিয়া আইনের অতীত বর্তমান - পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন" বই নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিলেন। (খেয়াল কইরা, আলোচনা শুরু হইছে পবিত্র আল কোরআন-এ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান এমন কিছু উল্লেখ আছে কিনা সেটা নিয়ে)।
--আপনার উদ্ধ্বৃত উক্ত বইটি সম্পর্কে আমার জানাশোনা নাই। আমার জ্ঞানের এই সীমাবদ্ধতা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। (আপনার কোন পয়েন্ট আমার আলোচনা থেকে বাদ দেই নাই। কোন কিছু জানা না থাকলে অকপটে স্বীকার করেছি। পেচাই নাই।)
আলোচনার এইরুপ হ-য-ব-র-ল অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আপনি খালি পেচাইতেই পারবেন, কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাইতে পারবেন না। কারণ সিদ্ধান্তে পৌঁছানো বা জানা আপনার উদ্দেশ্য না।
কথায় আছে, মূর্খের সাথে তর্কে যেও না। কারণ তর্ক করে সে তোমাকে তার (মূর্খের) লেভেলে নিবে, তারপর তর্কে হারিয়ে দিবে। আপনি অনেক জ্ঞানী মানুষ। আমি মূর্খ-সুখ্য মানুষ, তাই আমার সাথে বিতর্কে জড়ালে আপনাকে আমার লেভেলে নিয়ে এসে তর্কে হারিয়ে দিতে পারি। এইজন্য আপনার ইজ্জত রক্ষায় আমি নিজ থেকে আলোচনায় ইস্তফা দিলাম।
২৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৫
এ আর ১৫ বলেছেন: অশুভ সাহেব --- COMPLETE CODE OF LIFE এই দাবিটা কি আপনাদের নয়? তাহোলে কি আমাদের দেখতে হবে জীবণের বিভিন্ন দিকে ডিটেইল ভাবে কি আছে কোরান হাদিসে।
একমাত্র আধ্যাত্মিক দিকটা ছাড়া, অন্য সব দিক যেমন বিজ্ঞান, অঅর্থনীতি, সমাজনীতি, চিকিৎসা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে ইসলাম ধর্মে ডিটেইলস কি আছে?
আধ্যাত্মিক দিকটার ডিটেইলস আছে, তাই ইংরেজি অনুবাদে ধর্ম শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে দীন শব্দটি নহে।
আমি কেন কোরানের উপদেশ সংক্রামিত আয়াত দিলাম? কারন আলোচনার সূত্রপাত, এই আয়াত গুলো থেকে। এই পোস্টটা আমার পোস্টের জবাব হিসেবে লিখা হয়েছে।
শরিয়া আইনের কথা এসেছে, সেখানে দেখতে পাই খুব সামান্য অংশ এসেছে ডিভাইন থেকে, যদি আপনাদের দাবি সত্য হয় তাহোলে শরিয়া বিষয়ে ১০০% কি ডিভাইন থেকে আসা উচিত ছিল না?
কোরানের হাদিসে রাষ্ট্রনীতি, বিজ্ঞান, সমাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে যে গুলো আমরা পাই সেগুলো কিছু দিক নির্দেশনা এবং উপদেশ, তবে আধ্যাত্মিক বিষয়ে মোটামুটি ডিটেইলস আছে। যার জন্য ইংরেজি অনুবাদে ধর্ম শব্দ ব্যবহার হয়েছে, যেটা সব কিছু বিশ্লেষণ করলে সঠিক শব্দ বলে প্রমাণিত হয়।
আপনারা দাবি করছেন COMPLETE CODE OF LIFE, তাহোলে কি আমরা যাচাই করে দেখবনা ইসলাম ধর্ম আধ্যাত্মিকতা সহ অন্য সকল বিষয়ে ডিটেইলস কি আছে?
এখানে শরিয়া আইনে ডিটেইলস কি আছে, বিজ্ঞানে ডিটেইলস কি আছে, অঅর্থনীতিতে, পররাষ্ট্র নীতিতে ডিটেইলস কি আছে সেগুলো কি খুজে দেখার দরকার নাই?
আমি কিছুই হ য ব র ল করি নি, মূল টপিক্সেই আছি।
Complete code দাবি করলে প্রত্যেকটা ইসু আসবে খুজে দেখার, সেখানে ডিটেইলস কি আছে?
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান ,এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।আর হেদায়াত আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত।তারাই হেদায়াত পায় যাদের প্রতি মহান আল্লাহ দয়া করেন । সবার ভাগ্যে হেদায়াত থাকবেও না ।কিছু মানুষ আছে যারা প্রতিনিয়ত ইসলামের দোষ খুজে বেড়ায় আর তাদের সামনে যত নিদর্শন বা প্রমাণই পেশ করা হোক না কেন তারা তার বিরোধীতা করবেই।
এজন্যই আল্লাহ বেহেশত-দোযখ বানিয়ে রেখেছেন ।যার কৃতকর্মের ফল হিসাবে দেবার জন্য। পোস্টের জন্য +++।