নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
কবরে ফুল দেয়া বা পুষ্পস্তবক অর্পন সুন্নত কোনো কাজ নয়ঃ
আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় বিদ্যমান এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো সচরাচর পালন করতে দেখা গেলেও সেগুলো মূলতঃ সুন্নত কাজের অন্তর্ভুক্ত নয়। এমন অনেক কাজের একটি হচ্ছে, কবরে ফুল দেয়া। আরও বিশুদ্ধ বাংলায় 'কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন' বলেও প্রকাশ করা যায় বিষয়টিকে। বস্তুতঃ 'কবরে ফুল দেয়া' বা 'পুষ্পস্তবক অর্পন' যদিও অধিক প্রচলিত একটি কাজ তথাপিও এটি সুন্নত বহির্ভূত একটি সামাজিক প্রচলন মাত্র। আমরা অত্র নিবন্ধে 'কবরে ফুল দেয়া' বা 'পুষ্পস্তবক অর্পন' এর শরয়ী ভিত্তি নিয়ে আলোকপাতের চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। এর জন্য প্রথমেই 'সুন্নত কাকে বলে?' বিষয়টি আমাদের জেনে নেয়া প্রয়োজন।
সুন্নত কাকে বলে?
শরীয়তের পরিভাষায় ‘সুন্নত’ হচ্ছে ঐ পথ, যা ইসলাম ধর্মে শুরু থেকে আছে। সুতরাং, যা নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল ছিল তা সুন্নত। তেমনি উলামায়ে মুতাকাদ্দিমীন এবং মুতাআখখিরীনসহ আয়িম্মায়ি মুজতাহিদীন ও সালফে সালেহীন ইসলামী পন্ডিতগণের নিকট সর্বসম্মতভাবে গৃহীত সুন্নতের বিস্তারিত সংজ্ঞার আলোকে বুঝা যায়, খাইরুল কুরূন (নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশাকালীন সময়সহ নিকটবর্তী উত্তম জামানাসমূহ) অর্থাৎ, খোলাফায়ে রাশেদীন, সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুম এবং তাদের নৈকট্যপ্রাপ্ত তাবেয়ীন (রিদওয়ানুল্লাহি তাআলা আলাইহিম) যে আমল করেছেন তা-ও সুন্নতের মাঝে শামিল।
কোনো কাজ সুন্নত কি না তা নির্ধারণের উপায়ঃ
কোনো কাজ সুন্নত কি না তা নির্ধারণের উপায় হচ্ছে, এ কাজ খাইরুল কুরূনে (নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশাকালীন সময়সহ নিকটবর্তী উত্তম জামানাসমূহ) প্রচলিত ছিল কি না, তা দেখা। প্রথম যুগে (অর্থাৎ নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, খোলাফায়ে রাশেদীন ও সাহাবা-তাবেয়ীনের মোবারক যুগে) যা প্রচলিত ছিল তা নিঃসন্দেহে সুন্নত। আর এর অনুসরণকারীরা ‘আহলে সুন্নত’ বা সুন্নী নামে অভিহিত হওয়ার উপযুক্ত। সত্যিকারার্থে নিজেদের সুন্নী নামে পরিচিত করার অধিকারও এদেরই থাকা বাঞ্ছনীয়।
বিদআত এবং বিদআতীঃ
পক্ষান্তরে যা উপরোক্ত বরকতপূর্ণ খাইরুল কুরূন (নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশাকালীন সময়সহ নিকটবর্তী উত্তম জামানাসমূহ) এর পরে উদ্ভাবিত হয়েছে, যার পক্ষে কুরআন-সুন্নাহর কোনো দলীল নেই, একে ছওয়াবের কাজ মনে করে পালন করা বিদআত। আর এতে লিপ্ত লোকেরা ‘আহলে বিদআত’ বা ‘বিদআতী’ নামের উপযুক্ত।
কবরে ফুল দেয়া যদি মৃত ব্যক্তির জন্য ছওয়াবের কারণ হয়ে থাকতো, সাহাবাগণ নবীজীর কবরে ফুলের স্তুপ গড়ে তুলতেনঃ
নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের শত শত প্রিয় সাহাবীকে দাফন করেছেন। মা-শাআল্লাহ, মদীনা তাইয়েবায় ফুলেরও অভাব ছিল না। তিনি কি কারো কবরে ফুল দিয়েছেন? তাঁর ওফাতের পর খোলাফায়ে রাশেদীন কি তাঁর পবিত্র কবরে ফুল দিয়েছেন? এরপর অন্য সাহাবীগণ কি দিয়েছেন খোলাফায়ে রাশেদীনের কবরে বা তাবেয়ীগণ কোনো একজন সাহাবীর কবরে? এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে এককথায় ‘না’। আর গোটা হাদীসের কিতাবগুলোতে একটি হাদীসও এই মর্মে পাওয়া যায় না যে, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, কোনো খলীফায়ে রাশেদ, কোনো সাহাবী বা কোনো তাবেয়ী কারো কবরে ফুল দিয়েছেন। তাহলে যে কাজ নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুরু করে কোনো একজন সাহাবি কিংবা সাধারণ তাবেয়ী থেকেও প্রমাণিত নয় একে সুন্নত কে বলতে পারে? কীভাবে বলতে পারে? তবে হ্যাঁ, কেউ যদি এমন কোনো কাজকেও ‘সুন্নত’ মনে করে, যা নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রীতি ও সাহাবা-তাবেয়ীগণের রীতির পরিপন্থী তাহলে এই অধম স্বীকার করছে যে, সুন্নতের এই নতুন পরিভাষা তার জানা নেই।
কিয়াস ও ইজতিহাদের দ্বারা শরয়ী দলীল দ্বারা উদ্ভাবিত কোনো কিছুকে বড়জোর 'সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত' বলা যেতে পারেঃ
একটি ছুরত এই হতে পারে যে, কোনো একটি বিষয় নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবা-তাবেয়ীনের যুগে ছিল না, পরে এর অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়েছে। আর কোনো মুজতাহিদ শরীয়তের কোনো মূলনীতির আলোকে ইজতিহাদ করে একে ‘জায়েয’ বা ‘মুস্তাহসান’ বলেছেন, এমন কিছুকে (সরাসরি) ‘সুন্নাতুন নাবী’ বলা যায় না। আবার খেলাফে শরীয়তও বলা যায় না। কারণ, মুজতাহিদ ইমামগণের কিয়াস ও ইজতিহাদও শরয়ী দলীল; বরং একেও ‘ছাবিত বিস সুন্নাহ’ (সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত) মনে করা হবে।
আলোচ্য কবরে ফুল দেয়ার বিষয়টি সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত কোনো বিষয়ও নয়ঃ
বস্তুতঃ আমাদের আলোচ্য বিষয়টি এ শ্রেণিরও অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ, প্রথমত ফুল ও কবর এমন কিছু নয় যা খাইরুল কুরূনের পরে এসেছে। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে কবরও ছিল, ফুলও ছিল। আর সেই ফুল কবরে দেয়া সম্ভবও ছিল। এ যদি কোনো মুস্তাহসান (পছন্দনীয়) ব্যাপার হত তাহলে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কথা ও কাজের দ্বারা তা জারি করতে পারতেন।
এ কেমন সুন্নত, যার খোঁজ না খাইরুল কুরূনে পাওয়া যায়, না বিস্তৃত হাদীস-সমগ্রে, না হাজার বছরের ফিকহ রচনাবলীতে!
এরপর ফিকহে হানাফীর সংকলন আমাদের ইমামে আযমের যমানা থেকে শুরু হয়েছে এবং দ্বিতীয় শতাব্দী থেকে দশম শতাব্দী পর্যন্ত, কোনো রকমের অতিশয়তা ছাড়াই বলা যায়, হাজার হাজার ফিকহ-গ্রন্থ রচিত হয়েছে। আমাদের ফকীহগণ কাফন-দাফন ও কবর সংক্রান্ত ছোট ছোট সুন্নত-মুস্তাহাব ও আদবও বিশদভাবে লিখেছেন। এই প্রায় হাজার বছরের ফিকহ-রচনাবলীতে কোথাও নেই যে, কবরে ফুল দেয়া সুন্নত। এটা যদি সুন্নতই হত, তাহলে হাজার বর্ষব্যাপী হানাফী ইমাম ও ফকীহগণ এ ‘সুন্নত’ থেকে উদাসীন কীভাবে রইলেন? এ কেমন সুন্নত, যার খোঁজ না খাইরুল কুরূনে পাওয়া যায়, না বিস্তৃত হাদীস-সমগ্রে, না হাজার বছরের ফিকহ রচনাবলীতে! না আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর আমল করেছেন, না খোলাফায়ে রাশেদীন, না সাহাবা-তাবেয়ীন, না আইম্মায়ে মুজতাহিদীন আর না হাজার বছরের আলিমগণ!
এখানে একথাও আরয করে দেয়া জরুরি যে, পরের যুগের কারো ‘ইস্তিহসান’ (ভালো মনে করার) দ্বারা সুন্নত তো দূরের কথা, (অনেক ক্ষেত্রে) জাওয়ায বা বৈধতাও প্রমাণ হয় না।
ইমাম রাব্বানী মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রাহ. ‘ফাতওয়া গিয়াছিয়্যাহ’ থেকে নকল করেন-
অর্থ: শায়খ ইমাম শহীদ রাহ. বলেছেন, আমরা বলখের মাশায়িখের ‘ইস্তিহসান’কেও কবুল করি না। আমরা শুধু কবুল করি আমাদের মুতাকাদ্দিমীন আসহাব-এর কওল। কারণ, কোনো এলাকায় কোনো বিষয়ের প্রচলন হয়ে যাওয়া তার বৈধতার দলীল নয়। বৈধতার প্রমাণ তো ঐ ‘তাআমুল’ বা 'কর্ম-ধারা', যা প্রথম যুগ থেকে চলে আসছে। যার দ্বারা প্রমাণ হতে পারে যে, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে এই ধারার উপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাহলে বোঝা যাবে, এ নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ হতে ‘তাশরী’ শরীয়তের ধারা প্রবর্তন। অন্যথায় লোকের সাধারণ কর্ম-ধারা দলীল নয়। তবে হাঁ, সব দেশের সব লোক (উলামা-ফুকাহাগণ একমত হয়ে) যদি তা করে তাহলে সেটা হবে 'ইজমা'। আর 'ইজমা' শরীয়তের দলীল। দেখুন, লোকেরা যদি মাদক-দ্রব্যের বেচাকেনা ও সুদের লেনদেন করতে থাকে তাহলে (তাদের কর্মধারার কারণে) তা হালাল হওয়ার ফতোয়া দেয়া হবে না। (কারণ, তা হারাম ও দ্বীনের আলিমগণ একে হারামই জানেন।) -মাকতুবাতে ইমাম রাব্বানী, দফতরে দুঅম, মাকতূব ৫৪
খেজুর-গাছের শাখা পুঁতে দেয়ার হাদীসঃ
এ প্রসঙ্গে শাহ ছাহেব যে হাদীসটি পেশ করেছেন, অর্থাৎ নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর গাছের একটি ডাল দুই ভাগ করে দুই কবরে পুঁতে দিয়েছিলেন, যে কবর দুটিতে আযাব হচ্ছিল এবং বলেছিলেন, ‘আশা করা যায়, এই শাখা শুকানো পর্যন্ত কবর দু'টির আযাব লঘু হবে’। এখানে কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়।
এক. এ ঘটনা একাধিক সাহাবীর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। ইমাম নববী রাহ. ও কুরতুবী রাহ.-এর মতে, তা একই ঘটনার বিভিন্ন বর্ণনা। তবে হাফেয ইবনে হাজার রাহ. ও আল্লামা আইনী রাহ.-এর মতে তা আলাদা তিনটি ঘটনা। এ বিতর্কের অবসান কঠিন হলেও সকল বর্ণনার অভিন্ন বক্তব্য এই যে, কবরে খেজুর গাছের শাখা পোঁতা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাধারণ নিয়ম ছিল না। আযাবের শিকার কোনো কোনো কবরে শাখা পোঁতার দুটি একটি ঘটনা অবশ্য ঘটেছে।
দুই. এ নিয়েও কথা আছে যে, এ কবরগুলো কাদের ছিল- কাফিরের না মুসলমানের? আবু মুসা মাদীনী রাহ. বলেন, তা কাফেরদের কবর ছিল। পক্ষান্তরে কেউ কেউ বলেছেন, তা মুসলমানদের কবর ছিল। হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. বলেন, জাবির রা.-এর হাদীসে যে ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, তা মুসলমানদের কবরের ঘটনা। -ফাতহুল বারী খন্ড- ১, পৃষ্ঠা ২৫৬
কবরগুলো কাফিরদের হোক বা মুসলমানদের, এটুকু তো স্পষ্ট এবং হাদীসেও উল্লেখিত যে, ঐ সব কবরেই শাখা পোঁতা হয়েছিল যেগুলো আযাবের শিকার হওয়া নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অকাট্য ওহী বা সহীহ কাশফের দ্বারা অবগত হয়েছিলেন। সাধারণ মুসলমানের কবরে না নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাখা পুঁতেছেন আর না নবী-যুগে ও সাহাবা-তাবেয়ীনের যামানায় এর সাধারণ প্রচলন ছিল। এ থেকে স্পষ্ট যে, কবরে শাখা পোঁতা নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাধারণ সুন্নত বা সুন্নতে মাকসূদাহ ছিল না।
তিন. নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই বাণী- ‘আশা করা যায়, এ ডাল শুকানো পর্যন্ত কবরগুলোর আযাব লঘু হবে’। হাদীসের ভাষ্যকারগণ এ কথার মর্ম ও তাৎপর্য নিয়ে লম্বা আলোচনা করেছেন।
হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী মিশকাতের আরবী শরাহ ‘লামাআতুত তানকীহ’তে মশহুর হানাফী ফকীহ, মুহাদ্দিস ও আরিফ ইমাম ফযলুল্লাহ তূরাপিশতী রাহ. থেকে বর্ণনা করেন: তূরাপিশতী বলেন, এ সময়সীমার কারণ, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই শাখাগুলো সজীব থাকা পর্যন্ত এই কবরগুলোর আযাব-লঘুতার সুপারিশ করেছিলেন।
যারা বলেন, সজীব শাখা সজীব থাকা পর্যন্ত আল্লাহ তাআলার তাসবীহ করে। আর একারণে তা কবরের আযাব থেকে রক্ষা করে- তাদের একথা সম্পূর্ণ অসার, অর্থহীন। আহলে ইলমের কাছে এর কোনো মূল্য নেই। -লামআত খ. ২ পৃ. ৪৪
চার. তাদের এ ‘ব্যাখ্যা’, যা আহলে ইলমের কাছে অসার ও ভিত্তিহীন যদি যথার্থও ধরে নেওয়া হয় তাহলেও এর দ্বারা কবরে শাখা পোঁতা সুন্নত সাব্যস্ত হয়, ফুল ছড়ানো বা পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ নয়। একারণে আল্লামা আইনী রাহ., যিনি এ ব্যাখ্যা কবুল করেন, তিনিও বলেছেন,
وكذلك ما يفعله أكثر الناس من وضع ما فيه رطوبة من الرياحين والبقول ونحوهما على القبور ليس بشيء، وإنما السنة الغرز
তেমনি আকসার লোক যা করে থাকে অর্থাৎ কবরে ফুল-পাতা দেওয়া, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সুন্নত হচ্ছে শুধু শাখা পোঁতা। -উমদাতুল কারী ৩/১২১
পাঁচ. এ ছাড়া তাদের ঐ কারণ-ব্যাখ্যা যদি মেনেও নেওয়া হয় তাহলেও এর দ্বারা কাফের ও ফাসিকের কবরে শাখা পোঁতার বৈধতা প্রমাণ হয়, আল্লাহর অলীগণের কবরে নয়। ইতিপূর্বে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে যে, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আযাবের শিকার এক-দুটি কবর ছাড়া অন্য কোনো কবরে শাখা পোঁতেননি এবং এর নির্দেশনাও দেননি। আর সাহাবা-তাবেয়ীনও এর উপর আমল করেননি। সুতরাং, ঐ ঘটনার অজুহাতে ছালেহীন ও আল্লাহর মকবুল বান্দাদের কবরে ফুল দেওয়ার বৈধতাও প্রমাণ হয় না। সুন্নত-মুস্তাহাবের তো প্রশ্নই আসে না।
কী আশ্চর্যের কথা, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা কাফের ও গোনাহগারের কবরে করেছেন তা ওরা বৈধ মনে করছেন আল্লাহর ওলীগণের কবরে!
শরীয়ত এমন কোনো কিছু পছন্দ করে না, যা কোনো মুসলমান সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দান করেঃ
নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সাধারণ মুসলমানের কবরে শাখা পোঁতার সুন্নত জারী করেননি, সম্ভবত এতে এ হিকমতও নিহিত আছে যে, শাখা পোঁতা ঐ কবরটির আযাবগ্রস্ততার লক্ষণ বহন করে। অথচ শরীয়ত এমন কোনো কিছু পছন্দ করে না, যা কোনো মুসলমান সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দান করে বা যাতে কুলক্ষণ থাকে। একারণে এই হাদীসের ভিত্তিতে অলী-আল্লাহর কবরে ফুল দেয়া নিতান্তই বে-আদবী।
এটি অন্য ধর্ম ও রীতি হতে অনুপ্রবেশকারী একটি বিদআতে সাইয়িআহ তথা নিকৃষ্ট বিদআতঃ
বস্তুত আজ মাযারগুলোতে যে ফুলের চাদর বিছানো হয় তা এ হাদীসের বিধান তামিলের জন্য নয়; বরং কবরের তাজিম ও কবরবাসীর নৈকট্য অর্জনের জন্য। অথচ রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরের তাজিম ও কবরবাসীর নৈকট্য-অন্বেষণার্থে ফুল দেওয়ার মোটেও ইজাযত দেননি। এ হাদীসেও এ ইজাযতের কোনো সূত্র পাওয়া যায় না। বস্তুত পুষ্প-অর্পণের যে রীতি আমাদের এ যমানায় চালু হয়েছে আগের পরের কেউ এর বৈধতার ফতোয়া দেননি। এ কারণে তা বিদআতে সাইয়িআহ হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এটা অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের রসম রেওয়াজ মাত্র, যা মুসলিম সমাজে অনুপ্রবেশ করেছে। আর অন্য ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের আচার-আচরণ, কৃষ্টি কালচার ইত্যাদি অনুসরণ এবং অনুকরণ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ প্রদানের পাশাপাশি নিজেদের ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে চলার ক্ষেত্রে হাদিসে বরাবর উৎসাহিত করা হয়েছে।
এক হাদিসে এসেছে, 'মান তাশাব্বাহা বিকওমিন ফাহুআ মিনহুম', অর্থাৎ, 'যে ব্যক্তি যেই সম্প্রদায়কে মুহব্বত করবে, হাশরের মাঠে তিনি তাদের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবেন।' এই মুহাব্বতের অর্থ আলোচনা সাপেক্ষ। কোনো সম্প্রদায়কে মুহাব্বত করার অর্থ এখানে কোনো সম্প্রদায়ের অনুসরণ ও অনুকরণ করা, তাদেরকে ফলো করা।
বিদআতের বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্যও এতে বিদ্যমানঃ
বিদআতের বৈশিষ্ট্যই এই যে, যখন এর বিস্তার ঘটে তখন ধীরে ধীরে (তাকওয়া এবং ইলমের পরিপক্কতা থেকে বঞ্চিত) আলিমদের মন-মস্তিষ্কও এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়ে এবং বিদআতের মন্দত্ব ও ভয়াবহতা তাদের চিন্তা থেকে অন্তর্হিত হয়ে যায়। এ কারণে কোনো কোনো আলিম কোনো না কোনোভাবে এর বৈধতা ও ইস্তিহসানের কোনো না কোনো উপায় বের করার চেষ্টা করেন। এভাবে তারা সুন্নত যিন্দা করার পরিবর্তে বিদআতের বিস্তারে সহযোগী হয়ে যান।
যাদের জন্য এই লেখাঃ
এই লেখা শুধু তাদের জন্য যারা ইসলাম ধর্মের প্রতি পরিপূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস রেখে কুরআন সুন্নাহ নির্দেশিত শরিয়ত অনুযায়ী জীবনের ছোট বড় সকল কাজ করতে আগ্রহী এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। শত বাধা বিপত্তি, প্রলোভন, ভয়-ভীতি কিংবা ধিক্কার ও কটাক্ষ যাদের সুন্নতের জীবনকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে না, তাদের জন্য। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এসকল বিপদ থেকে উম্মতকে হেফাযত করুন। সুন্নতের নামে জাল বিস্তার করা বিদআত ও কুসংস্কারের থাবা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন।
তথ্য ও লেখার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন: মাওলানা মুহাম্মাদ ইউসুফ লুধিয়ানবী রাহ. প্রণিত ‘ইখতিলাফে উম্মত আওর সিরাতে মুস্তাকীম’ থেকে সংক্ষেপিত, সংযোজিত এবং সম্পাদিত, অনুবাদ: আব্দুল্লাহ আবু মুহাম্মাদ, মাসিক আল কাওসার এর সৌজন্যে প্রাপ্ত।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
মোবারকবাদ প্রিয় ভাই।
নিশ্চয়ই ভালো আছেন, আশা করি। প্রথম মন্তব্য এবং লাইকসহ আপনার আগমনে একরাশ মুগ্ধতা। ভালো লাগছে।
কৃতজ্ঞতা এবং দোআ সবসময়।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: এই কথাটা আমরা জানি না...
মৃত ব্যক্তির ছবিতে পুষ্প স্তবক অর্পণ করি আমরা। এটা কি ইসলাম সম্মত?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার প্রশ্নের উত্তর পেতে দয়া করে আপনি দৈনিক আমাদের সময়ে প্রকাশিত মুফতি মোস্তফা কামাল কাসেমি লিখিত এই নিবন্ধটি দেখে নিতে পারেন। কবরে ফুল অর্পণ ও ইসলামের বিধান
জাজাকুমুল্লাহ।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: যদি আমরা ধর্ম মানি তবে তা(পরিপূর্ণ)'র সবকিছু মানা আমদের দায়িত্ব-কর্তব্য।
আমরা না জেনে অনেক বিদাআত কাজ করে থাকি।মহান আল্লাহপাক আমাদেরকে ধর্মের সকল হুকুম-আহকাম যথাযথ ভাবে পালন করার এবং সকল প্রকার বিদাআত তথা ফেতনা-ফ্যাসাদ থেকে দুূরে থাকার তওফিক দান করুন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
জাজাকুমুল্লাহ।
আপনার প্রার্থনার সাথে সহমত পোষন করছি এবং আমরাও 'আমিন' বলছি।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই সব ইসলামের বাহিরের প্রথা সবাই জানে তবুও আবেগে এবং লোক দেখানোর জন্য মানুষ করে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
এটাই বাস্তবতা। আবার এর বিপরীতে, না জানার কারণে এসবের ব্যাপারে ভুল ধারণাও পোষন করে থাকেন অনেকে।
ধন্যবাদ।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৩
এভো বলেছেন:
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
এই কথাটা কারও কারও জন্য ঠিক প্রযোজ্য বলেই জাতীয় কবি আক্ষেপের সুরে এমন উক্তি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। মূলতঃ কবির এ উক্তি তাদের জন্য - যারা ধর্মের নামে কুসংস্কার আর অজ্ঞতাকে আকড়ে থাকতে চায়, যারা সভ্যতা, স্বকীয়তা, আধুনিকতাকে পাশ কাটিয়ে অন্ধকারে পথ চলতে চায়, যারা বিজ্ঞানকে দূরে ছুঁড়ে ফেলে রেখে অজ্ঞতার মাঝে হাবুডুবু খেতে চায় আবার গলা ছেড়ে বলতেও চায়, এরই নাম ধর্ম। এমন কূপমন্ডুক এই সময়েও আছে। ধর্মের নামে অতি বাড়াবাড়ি করার লোকও রয়েছে। ধর্মের আলোচনায় গাত্রদাহ হয়- এমন কূট কুলীলবও একেবারেই যে নেই, অবস্থা মোটেই সেরকম নয়।
ধর্মের সঠিক এবং সুষ্ঠু জ্ঞান যাদের নেই, ক্যাচাল করা এবং বিতর্ক উস্কে দেয়াই যাদের কাজ, তাদের কাছে ধর্মের যে কোনো আলোচনাই 'ফতোয়া' আর 'ফিকহ খোঁজা' মনে হওয়া খুবই স্বাভাবিক।
ধন্যবাদ।
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৫
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: স্কুল কলেজে পড়ার সময় দল বেঁধে শহীদ মিনারে যেতাম ফুল দিতে-----তাছাড়া কোন লোক মারা গেলেও দেখা যায় ফুল দিতে----- কবরেও ফুল দেয়ার প্রচলন আছে------- আপনার লেখা হতে অনেক বিষয় পরিষ্কার হলো---- আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা সবসময়।
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩০
রানার ব্লগ বলেছেন: যদি বেদাতের কথা বলেন বরতমানে যা আমরা ব্যাবহার করছি তার সবই বেদাত এমন কি এই ব্লগিং টাও বেদাত ।
কবরে শ্রধ্যা জ্ঞ্যাপন বা ফুল প্রদান এটা কোন ধর্মীয় রীতি নয়। এটা একটা সামাজিক প্রথা।
সাউদি আরবে ঘরে মেহেমান আসলে তারা উলুধ্বনী দেয় এটা আমাদের দেশের মুসলমানরা কিন্তু পাপের কাজ মনে করে। আর এই উলুধ্বনী সাউদি আরবে যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ব্লগ ব্যবহার বিদআত হবে কেন? ব্লগ সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম একটি প্রয়োজনীয় মাধ্যম। কিন্তু কবরে পুষ্প স্তবক অর্পনও কি তেমন কিছু?
সউদি আরবের লোকেরা যা কিছু করে থাকেন, তার সবটাই ইসলাম সমর্থিত বিষয়টা এমন নয়। তাদের কিছু কাজ ইসলামী শরিয়া মোতাবেক হয়, বাদবাকি সকল কাজকে ইসলামের দলিল হিসেবে পেশ করার যুক্তি নেই।
কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।
৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩
সাসুম বলেছেন: কবরে বা কোন স্তম্ভে ফুল দেয়া বা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন তখনি বেদাত হিসেবে গন্য হবে যখন এটাকে মানুষ ধর্মীয় কালচার হিসেবে দেখবে।
সৌদি আরবে ঘরে মেহমান আসলে বা বিয়ের সময় উলুধ্বনি দেয়। আপনার বাসায় এটা কইরেন, দেখবেন আপনার বাসার পাশের মর্দে মোসল্মান রা আপ্নারে খুন করবে। কারন এটা হিন্দুরা দেয়,
সো আগে আমাদের বুঝতে হবে কোনটা কালচার আর কোনটা শিরক।
এখন কথা হচ্ছে, দুনিয়ার এত কিছু থাকতে আমাদের হুজুর, বা ধর্ম প্রচারক বা প্রফেশনাল ওয়াজ কারীরা এই শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার পিছনে লাগল কেন? দেশে ঘর থেকে বের হলেই হাতের কাছে ব্যাঙ্ক। সেখানে চলে সুদি কারবার যেটা দুনিয়ার সবচেয়ে খারাপ কাজ। যেখানে বছরে ৩৬৫ দিনের সুদি কারবার যেটা ক্লিয়ার হারাম ঘোষণা করা হয়েছে আল কোরানে সেটা নিয়ে কোন টু শব্দ নেই, বছরে এক বার পাকি প্রেতাত্মা কর্তৃক নিহত কারো সম্মানে ফুল দিয়ে সম্মান জানালে সেটা হয়ে যায় বেদাত।
আহা ধর্ম বিজনেস।
কারন সেই ১৯৫২ এর ২১ শে ফেব্রুয়ারি তেই নিহীত।
মোদ্দা কথা, ফাকিস্তানী প্রেতাত্মা গুলো এখনো ঘুরে বেড়ায় চারদিকে।
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৪০০ বছর আগে, মক্কা মদীনায় সহজলভ্য কি ছিলো, ফুল নাকি খেজুরের পাতা? প্রাচীন আরবদের প্রতীক কি, ফুল, তলোয়ার, নাকি খেজুরের পাতা?
১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কবরস্থানে ফুল দেওয়া বা শবেবরাতের ধুপ দেওয়া নিয়ে আমার গায়ে একপ্রকার নিষেধাজ্ঞা আছে। আমরা ছোট থেকেই এটা অনুসরণ করে আসছি। যদিও পাশ্ববর্তী এলাকায় বন্ধু স্থানীয় অনেকেরই বাবা-মায়ের কবরে এরকম স্মরণ করে ফুল দেওয়া দেখে নিজের বাবা-মায়ের কবরে না দিতে পারার জন্য বেদনাক্রান্ত হয়ে গেছি কখনওবা। আমাদের গায়ে দোয়াদানি কোরান তেলাওয়াতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। আজকে আপনার পোস্ট পড়ে একটা স্পষ্ট ধারণা পেলাম। ধন্যবাদ প্রিয় নকিব ভাই আপনাকে। সঙ্গে উল্লেখ্য, পাঁচ নম্বর প্রতিমন্তব্যটি ভীষণ ভালো লেগেছে। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে ষষ্ঠ লাইক।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মক্কার আশেপাশে ফুল তো দুরের কথা আল্লার আশির্বাদে কোন ফসলই উৎপন্ন হতো না।ফুল কবরে দিবে কোথা থেকে।আল্লারই আরেক ধর্মের লোকেরা ফুল দেয়।
১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০১
রাজীব নুর বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর মাজারে ফুল দেওয়া কি হারাম? জানতে চাই?
১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৪৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: বিভিন্ন দিবসে একটা ইভেন্ট থাকে পুষ্পস্তবক অর্পন। চেষ্টা করি এড়িয়ে যেতে, না পারলেও মনে মনে অনুতপ্ত থাকি (আল্লাহু আ'লাম) । সুন্দর একটি লেখা। আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন আপনাকে।
১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:২৮
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার কি খেয়ে দেয়ে কাজ নাই, এসব উল্টা পাল্টা পোস্ট করেন । লোকাল সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় সংস্কৃতিকে একই পাল্লায় নিয়ে এসেছেন কেন । ফুল নিয়ে কালাচার সৃষ্ঠি হওয়া কি মক্কার মদিনার মত মরু ভূমিতে সম্ভব ? ফুল নিয়ে লোকাল কালচার উদ্ভব হওয়া কি উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরুতে সম্ভব ?
যে ছবিটা দিলেন বালুময় মরুভূমির ম. সেখানে গোলাপ,গাদা, জিনিয়া , রজনিগন্ধা সহ আর কি কি ফুল জন্মায় সেটা জানাবেন কি ? যে দেশের মানুষ ফুলের চেহারা জীবনে দেখেনি , তাদের জীবন যাত্রা ভিত্তি করে ফুল নিয়ে ফতুয়া দাড় করেছেন ? ফুল দিয়ে যে মালা বানানো যায় গয়না বানানো যায় মুকুট বানানো যায় তোড়া বানান যায় -- ঐ দেশের মানুষ জীবনে দেখছিল কি তখন ? কোন বেদুঈনের কি ফুলের বাগান ছিল বা ফুল চাষ করতো ?
মানুষের খেয়ে দেয়ে কাজ না থাকলে এই ধরনের পোস্ট করে ।
আপনি কি আসলে ইসলামের লোক নাকি , ওহাবী দেওবন্দ ফেতনার প্রচারক ? আপনারা যে মুসলমানদের কত ক্ষতি করেছেন এবং দিন দিন পিছনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন , সেটা আপনারা না বুঝলে ও সবাই বুঝতে পারছে ।
১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪৫
রানার ব্লগ বলেছেন: আমি যদি আমার বাবার কবরের উপরে দুইটা ফুল রেখে যদি বলি বাবা আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাশি এতে কি আমার পাপ হবে?
ব্লগিং এই জন্য বেদাতি কারন নবীর সময় স্বয়ং নবী ও তার সাহাবারা ব্লগিং করতেন না। ব্লগিং কি তাই জানতেন না, যেহেতু নবীর সকল কাজেকে সুন্নাত বলে এই সুন্নতের বাহিরের সকল কাজ বেদাতি। এই যে আমরা টেবিলে বসে খাবার খাই এটা সম্পুর্ন বেদাত। যা নবী ও তার সাহাবারা ক্ক্রে নাই তাই বেদাত এটাই সহজ সড়ল ব্যখ্যা। আর এই ব্যাখ্যা আমি আমার নিকট আত্মিয় যিনি হাদিস ও ফিকাহ এর উপর মাদ্রাসা থেকে ডাবল মাস্টার্স করেছেন তিনিই আমাকে জানিয়েছেন।
১৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫১
কালো যাদুকর বলেছেন: সবই ঠিক আছে, তবে সামাজিকতাটা ভিন্ন , শিড়ক নয়। শহীদ মিনারে ভুল দেয়া যাবে।
ভাল থাকবেন।
১৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যথার্থ বলেছেন। সঙস্কৃুত যাই হোক ইসলাম যেটা সমর্থন করেটা সেটা পালন থেকে বিড়ত থাকাই কাম্য। +++++
১৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: নকীব ভাই, সবই ঠিক আছে, কিন্তু কবরে যারা ফুল দেয়, তারা কি এটাকে সুন্নতের অংশ হিসেবে দেয়? আমার তো তা মনে হয় না।
সৌদী আরবে গেস্ট আসলে উলুধ্বনী দেয়, জানতাম না তো...
১৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমার সাধারণ জ্ঞান বলে ভালোবেসে কবরে ফুল দেওয়া অন্যায় হবে না।
২০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমি কী লিখছিলাম মনে নাই। মন্তব্য ডিলিট তাও আমার মন্তব্য। আর যারা ইসলামকে হেয় করে তাদের মন্তব্য ঠিক রয়ে যায়। আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন।
২১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১০
জুন বলেছেন: আমি আমার বাবা মায়ের কবরে ঘাস আর ছোট সাদা ফুল যেমন টগর বেলী এসব গাছ বুনি।
২২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৫
নীল আকাশ বলেছেন: বেশিরভাগ মানুষ ধর্মের নিয়মের সাথে আরবের মানুষের জীবন যাত্রা মিলিয়ে ফেলেন। অথচ এরা জানে না, মহানবী আমাদের কাকে অনুসরণ করতে বলেছে?
এটা একটা বিরাট চালাকী। সুবিধা মতো কথা বলা। যখন বাংলাদেশি মেয়েদের যৌন নির্যাতন করে এরাবিয়ানরা, তখন এদের চেয়ে অসভ্য বর্বর আর কেউ হতে পারে না।
কিন্তু আবার যখন ভাস্কর্য, মূর্তি, ফুল দেয়া, প্রসঙ্গ চলে আসে, তখন এরাই আবার এরাবিয়ানদের অনুসরণ করতে চায়।
এরা মনে করে এরাই শুধু চালাক। আদতে এরা নির্বোধ। কারণ উপরে আল্লাহ বসে সবই দেখছেন। কাকে এরা ফাঁকি দিতে চায়? কাঁধের দুই ফেরেস্তাকে? হায়রে মানুষ!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট।
পাঠে ভালোলাগা।
পোস্টে প্রথম লাইক।