নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন্ম থেকে মৃত্যু অবদি প্রতিটি দিনই ভালোবাসার

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩১

ছবিঃ অন্তর্জাল।

জন্ম থেকে মৃত্যু অবদি প্রতিটি দিনই ভালোবাসার

ভালোবাসার জন্য, ভালোবাসা বিলানোর জন্য, ভালোবাসায় কাছের দূরের সকলকে, প্রত্যেককে, সবাইকে আপন করে নেয়ার জন্য, বুকে জায়গা করে দেয়ার জন্য, আত্মার বন্ধনে জড়িয়ে নেয়ার জন্য, হৃদয়ের অতলান্তে ঠাঁই দেয়ার জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন নেই। কোনো ক্ষণের দরকার নেই। কোনো লগনের চিন্তা নেই। থাকা উচিত নয়। ভালোবাসা সার্বজনীন। ভালোবাসা সর্বকালীন। ভালোবাসা সর্বদা বহমান। বুকের ভেতর ভালোবাসার ফল্গুধারা নিত্য নিয়ত নিরন্তর বহমান। পাহাড়ি ঝর্ণার মত। সাগারের স্রোতের মত। হিমেল হাওয়ার মত।

যাদের হৃদয় আছে, তাদের ভালোবাসা রয়েছে। হৃদয়বানের হৃদয়ে ভালোবাসার অথৈ ঢেউ। উছলে উছলে পড়ে। তার ভালোবাসার কোনো কাল দিন মাস নেই। তার সকাল নেই। সাঁঝ নেই। দুপুর নেই। রাত নেই। বিকেল নেই। গোঁধুলিবেলা নেই। প্রভাত নেই। প্রাতঃ নেই। তাঁর বুকের গহীনে সৃষ্টিকর্তা প্রাণদাতার প্রতি নিঃশর্ত নিঃসীম ভালোবাসা। প্রিয়তম পয়গাম্বরের জন্য অনিঃশেষ ভালোবাসা। নিজের জন্য তার ভালোবাসা। মায়ের জন্য ভালোবাসা। বাবার জন্য ভালোবাসা। সন্তানের জন্য ভালোবাসা। স্ত্রী পুত্র পরিবার পরিজনের জন্য ভালোবাসা। আত্মীয় স্বজনের জন্য ভালোবাসা। পশু পাখি গাছপালা সাগর নদী ঝর্ণা গিরি পাহাড় সৈকতের জন্য ভালোবাসা। মাটি ও মানুষের জন্য ভালোবাসা। দেশের জন্য ধরিত্রীর জন্য ভালোবাসা। আকাশের জন্য ভালোবাসা। বাতাসের জন্য ভালোবাসা। চাঁদের জন্য ভালোবাসা। সূর্যের জন্য ভালোবাসা। গোটা সৃষ্টিকুলের জন্য ভালোবাসা। ভালোবাসা তাঁর কাছে ইবাদাততুল্য। সাওয়াবপ্রাপ্তির মাধ্যম। মহান প্রতিপালকের সন্তুষ্টির কারণ।

ভালোবাসার এক অদেখা বন্ধনে সে আবদ্ধ। পিপিলীকার প্রতি, গুবড়ে পোকার প্রতি, টিকটিকি, ইঁদুর, বিড়াল, পথকুকুর, দুর্বা ঘাসের প্রতি, সবুজ কঁচি কোমল পাতার প্রতি, লাউয়ের ডগার প্রতি তার অবিচ্ছিন্ন ভালোবাসার বন্ধন। অদেখা আত্মীয়তা। গোটা পৃথিবী এবং পৃথিবীর বাইরের দৃশ্যমান কিংবা অদৃশ্য সকলেই তার পরিবারের সদস্য। তার আবার ভালোবাসার দিবসের প্রশ্ন উঠবে কেন? ক্ষণের প্রশ্ন কেন? লগ্ন বা তিথীর কথা কেন? মওসুম বা পর্ব কেন? সিজন বা ঋতু কেন? তার তো জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি দিনই ভালোবাসার।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৫

আখেনাটেন বলেছেন: খাঁটি কথা। তবে লাউয়ের ডগার প্রতি ভালোবাসাটা দারুন উপমা হয়েছে নতুন নকিব ভাই। :D

প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মুহূর্ত ভালোবাসায় সিক্ত হোক আপনজনেরা এই কামনা।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



লাউয়ের ডগার প্রতি ভালোবাসাটা আসলে সার্বজনীন ভালোবাসা বুঝাতে উপমার জন্য বলা। জগতের প্রতিটি প্রাণিই ভালোবাসা পাবার যোগ্য। অন্ততঃ মানুষ হিসেবে আমাদের কাছে।

উপমাটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে বলে আপ্লুত!

প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মুহূর্ত ভালোবাসায় সিক্ত হোক আপনজনেরা এই কামনা।

-সেটাই। এই 'আপনজন' কিন্তু আমার কাছে প্রাণি জগতের প্রত্যেক সদস্য।

কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালোবাসাও সেই সাথে। ;)

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রতিটা দিনই ভালোবাসার.....কথা ঠিক।

তবে একটা দিন নির্দিষ্ট থাকলে তো কোন ক্ষতি নাই। কাজেই অসুবিধা কি? এই দিনের কল্যানে অনেকেই তাদের ভালোবাসাকে ঝালিয়ে নিবে। একটু আনন্দ হলো, ভালো-মন্দ খাওয়া হলো। বাড়াবাড়ি না করলে যে কোনও উদযাপনে লাভ ছাড়া ক্ষতি নাই।

খেয়াল করলে দেখবেন, আল্লাহও কিন্তু কিছু কিছু বিশেষ দিনকে বিশেষ কাজে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। কাজেই ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসেন। অতিরিক্ত ভালোবাসবেন না কিংবা ভালোবাসতে বাসতে জগৎ-সংসার, দৈনন্দিন অবশ্য-করনীয় কাজ বা দায়িত্বগুলো ভুলে যাবেন না। তাহলেই হবে। ;)

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



বাড়াবাড়ি না করলে যে কোনও উদযাপনে লাভ ছাড়া ক্ষতি নাই।

-জ্বি, 'বাড়াবাড়ি না করলে যে কোনও উদযাপনে লাভ ছাড়া ক্ষতি নাই' - কথাটা সত্য। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধার একটা কথা আছে না? সেটা করবে কে? ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলামেশায়, আনন্দ ভাগাভাগির নামে, ভালোবাসাবাসির আড়ালে উদ্দাম উশৃঙ্খলতায় ভেসে যাওয়ার ঘটনা যে ঘটবে না, সেই নিশ্চয়তা কে দিবে? সাম্প্রতিক বছরগুলোর ইতিহাস কি বলে?

খেয়াল করলে দেখবেন, আল্লাহও কিন্তু কিছু কিছু বিশেষ দিনকে বিশেষ কাজে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।

-হাসালেন, প্রিয় ভাই। ভালোবাসার জন্য দিবস কেন? আল্লাহ তাআ'লাও কিন্তু কিছু কিছু বিশেষ দিনকে বিশেষ কাজে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন - কথাটা ঠিক। কিছু দিবস আমাদের জন্য পালনীয় হিসেবে ইসলাম সাব্যস্ত করে দিয়েছে। যেমন, ঈদাইন অর্থাৎ, দুই ঈদ। কিন্তু আল্লাহ তাআ'লা কি ভালোবাসাবাসির জন্য এমন কোনো দিবসও আমাদের দিয়েছেন? যদি না দিয়ে থাকেন, যদি আল্লাহ তাআ'লা কোনো একটি বিশেষ দিবসের প্রয়োজন মনে না করে থাকেন, মুসলিম হিসেবে রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসারিত আদর্শের বাইরের এমন কোনো দিবস পালন করা আমাদের জন্য কতটুকু প্রযোজ্য, সবিনয়ে আপনার মত বিজ্ঞ এবং প্রাজ্ঞের কাছ থেকে জানতে চাই।

যারা সারা বছরে বাবার, মায়ের, ভাইয়ের, বোনের কিংবা আপনজনের খোঁজ নেয়ার ফুরসত পান না, জীবন যৌবনের উম্মত্ততা যাদেরকে মোহাবিষ্ট করে স্বজন, প্রিয়জন এবং আপনজন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে, তাদের জন্য বলতে পারেন, এরকম একটা দিবসের প্রয়োজন রয়েছে বৈকি! কিন্তু সকলের জন্য, আমাদের জন্য, আমাদের মত যাদের একান্নবর্তী পরিবারে বেড়ে ওঠা, আত্মীয় পরিজনের ভালোবাসার চাদর যাদের ঢেকে রাখে বছরের প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি দিন - আমাদের জন্য এমন দিবসের প্রশ্ন লজ্জাজনক নয় কি?

মন্তব্যে আপনাকে পেয়ে আনন্দিত। শুভকামনা সবসময়। ভালোবাসাও। :)

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালোবাসা হোক প্রাণে প্রাণে। ভালোবাসা হোক ক্ষণে ক্ষণে । ভালোবাসা হোক সবার জন্য

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



চমৎকার মন্তব্য।

শুভকামনা সবসময়।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: একটা বিশেষ দিনে যদি চ্যাংরা পুলাপান ভালোবাসাবাসি নিয়ে মেতে থাকে তাহলে খারাপ কি?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সরল প্রশ্ন। কথা সেটাই। খারাপ কি? একটু আধটু আনন্দ ফুর্তি করবে, তাতে কি এমন ক্ষতি? কেন যে লোকজন এই নিয়ে মতবিরোধ করে?

আসলে, সবাই সব জিনিষ বুঝতে পারে না বলেই হয়তো এমন করে থাকে! তাছাড়া, মাঝে মাঝে ভালোবাসা দিবসের নামে যুবক যুবতীদের অবাধ মেলামেশা যখন সীমা অতিক্রম করে যায়, তখন তো নিন্দুকগণকেও এককভাবে দোষারোপ করা যায় না! তাই না?

সুতরাং, যে দিবসের কারণে যুবক যুবতীদের চারিত্রিক অধঃপতনের আশঙ্কা থাকে, সেই দিবস পালন করাকে কতটুকু সাপোর্ট করা যায়, সেটাও একটা প্রশ্ন বটে!

শুভকামনা জানবেন। ছোট বাবুটা কেমন আছে?

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি দিবসের দোষ দিচ্ছেন কেন ? উধাহারন দেই কলম দিয়ে বিখ্যাত সব সাহিত্য থিসিস কবিতা গবেষণা লেখা হয়েছে আবার সেই কলম দিয়েই চটি সাহিত্য লেখা হয় দোষ কার কলমের না ব্যাবহারকারীর।

একটা দিন বা দিবস মানুষের চারিত্রিক অধঃপতনের কারন হতে পারে না। মানুষ নিজেই নিজেকে অধঃপতনে সামিল করে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার কথা সত্যি। তবে, ইসলাম ধর্ম যারা প্রাকটিক্যালি ফলো করে থাকেন, তাদের বিষয়টা একটু ভিন্ন। কুরআন হাদিসের আলোকে শরিয়ত বর্ণিত নিয়ম নীতি ও আদেশ নিষেধ মেনে চলার ক্ষেত্রে তাদের বাধ্য বাধকতার একটি বিষয় রয়েছে। যাদের এসব বাধ্যবাধকতার ব্যাপার নেই, তারা এইসব দিবস অবলীলায় পালন করতে পারেন এবং করেও থাকেন।

আশা করি, আপনাকে বুঝাতে পেরেছি।

কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.