নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্যিকারের হকদারের পরিচয়

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৩

ছবিঃ অন্তর্জাল।

সত্যিকারের হকদারের পরিচয়

কোনো এক এলাকার নামীদামী এবং প্রভাবশালী এক ব্যক্তি মৃত্যুবরন করলেন। জানাযার নামাজ শুরুর আগ মূহুর্তে মৃত ব্যক্তির এক বাল্য বন্ধু এলেন, যিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ী। তিনি এসেই ইমাম সাহেবকে বললেন- দয়া করে জানাযা পড়ানোর আগে একটু অপেক্ষা করুন। আমার কিছু কথা আছে। মৃত ব্যক্তি আমার ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। বিভিন্ন সময় আমরা পরস্পরে একে অপরের কাছ থেকে অর্থকড়ি ধার নিতাম। প্রয়োজন পুরণ হয়ে গেলে উক্ত অর্থ আবার একে অপরকে ফিরিয়েও দিতাম। মৃত্যুর পূর্বে তিনি আমার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। টাকাটা তিনি আমাকে ফেরত দিয়ে যেতে পারেননি। তিনি নিঃসন্দেহে ভালো লোক ছিলেন। হয়তো সেই সুযোগ তিনি পাননি বলেই টাকাটা পরিশোধ করে যেতে পারেননি। এখন আমি আমার উক্ত ১০ লক্ষ টাকা ফেরত পেতে চাই। আমি মনে করি, টাকাটা আমাকে কে, কখন এবং কিভাবে ফেরত প্রদান করবেন, সেই ফয়সালা হওয়ার পরেই জানাযা পড়ানো উত্তম হবে।

মৃত ব্যক্তির তিন ছেলে এক মেয়ে। ছেলেরা সকলেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। প্রত্যেকেই বিত্তশালী। বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। মেঝ ছেলে ডাক্তার এবং ছোট ছেলে পিইচডি হোল্ডার। একমাত্র মেয়েকে তিনি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেননি। তবে, মাদ্রাসায় পড়িয়েছিলেন। প্রয়োজনীয় পরিমান জাগতিক এবং ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের সুযোগ প্রদানের পরে তাকে উপযু্ক্ত পাত্রে পাত্রস্থ করেছিলেন।

ঘটনার আকস্মিকতায় ইমাম সাহেবসহ জানাযায় আগত সকল মুসল্লিগণই কিংকর্তব্যবিমুঢ়! মৃত ব্যক্তির পুত্রগণও জানাযায় উপস্থিত। ইমাম সাহেব এ বিষয়ে তিন পুত্রের কাছে তাদের বক্তব্য এবং করণীয় জানতে চাইলেন। কিন্তু তিন পুত্রের কেউই ঋনের দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করলেন। তারা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন যে- এরকম ঋণের ব্যাপারে কোনো অসিয়ত তাদের পিতা তাদেরকে করে যাননি। অতএব, তারা এই ঋন পরিশোধ করতে বাধ্য নন। তারা এটা করতে রাজী নন।

অগত্যা ইমাম সাহেব মৃত ব্যক্তির অন্যান্য আত্নীয়-স্বজনদের ডাকলেন এবং এই বিষয়ে কি ফয়সালা হতে পারে, তাদের কাছে তা জানতে চাইলেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কেউই ঋনের দায়িত্ব নিতে রাজী হলেন না এবং এ ব্যাপারে কোনো সমাধানও দিতে পারলেন না।

ইমাম সাহেবও নিরুপায়। হঠাৎ করে ঋণের প্রসঙ্গটি সামনে আসায় তিনি মৃতের জানাযা শুরু করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে শেষমেষ তিনিও উপস্থিত মুসল্লিদেরকে জানিয়ে দিলেন যে, ঋনের ফয়সালা হওয়া ব্যতীত, তিনি জানাযা পড়াবেন না।

অন্যরকম এক পরিস্থিতি। জানাযা সামনে নিয়ে মৃত ব্যক্তির ঋণ পরিশোধে রীতিমত দরকষাকষি। কেউ ঋণের দায় নিতে চান না। জীবনপন সংগ্রাম করে, সারা জীবন শত কষ্ট সয়ে সয়ে যে পুত্রদের তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন, বিত্তবান সেই পুত্রগণ নন। পৃথিবীতে যাদেরকে নিতান্ত আপন ভেবে কাছে টানতেন, আগলে রাখতেন, ভালোবাসা পোষন করতেন- সেই আত্মীয়-স্বজনদেরও কেউ নন।

এমন একটি উদ্বেগাকুল মুহূর্তেই হঠাৎ উপস্থিত হলেন বোরকা পরিহিতা এক মহিলা। হাতে একটি ব্যাগ। কান্নাজড়িত কন্ঠে মহিলা বললেন- ইমাম সাহেব, আমি মৃত ব্যক্তির কন্যা। তিনি আমার বাবা। বাবার ঋণের দায় আমি গ্রহণ করলাম। এই নিন, এই ব্যাগে বেশ কিছু টাকা ও গয়না রয়েছে। দয়া করে পাওনাদারকে বলুন যে, ব্যাগে থাকা টাকা এবং গয়না বিক্রি করা অর্থ থেকে তিনি যেন তার পাওনা টাকাটা নিয়ে নেন। আর হ্যাঁ, এর পরেও যদি ঋন পরিশোধ না হয়, তিনি তার পাওনা সব টাকা বুঝে না পেয়ে থাকেন, তাহলে কথা দিলাম, বাকি ঋনের টাকা পরিশোধের দায়িত্বও আমারই। আমি জিম্মাদার হলাম। সময় মতো বাকি টাকা তাকে পরিশোধ করে দিবো ইনশাআল্লাহ।

জানাযায় উপস্থিত সকল মানুষ অবাক, বিস্মিত এবং ঘটনার আকস্মিকতায় নির্বাক! অনেকের চোখের কোনে আন্দাশ্রুর ফোঁটা। বাবার প্রতি মেয়ের অনিঃশেষ ভালোবাসা, অপরিমেয় দরদ, অসাধারণ দায় এবং দায়িত্ববোধের এমন নিদর্শন কে, কবে কোথায় দেখেছে!

কিন্তু আশ্চর্য্যের এখানেই শেষ নয়। বরং আশ্চর্য্য হবার পালা শুরু সবেমাত্র।

সকলকে হতচকিত করে দিয়ে এবার পাওনাদার বলে উঠলেন, ইমাম সাহেব, মেহেরবানি করে জানাযা শুরু করুন। কিছুটা সময় আপনাদেরকে কষ্টকর অপেক্ষায় রাখার জন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চাচ্ছি। জানাযা নামাজ শুরু করতে দেরি করিয়ে দেয়ার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত! সত্যি ঘটনা হচ্ছে, আসলে আমি আমার বন্ধুর কাছে কোনো টাকা পেতাম না বরং তিনিই সম্প্রতি আমাকে ১০ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি তো মারা গেলেন। না ফেরার জগতে চলেন। কিন্তু তার অবর্তমানে সেই টাকাটা কাকে ফেরত দিবো- এরকম কোনো অসিয়ত আমাকে তিনি করে যাননি। তার উক্ত টাকার প্রকৃত হকদার কে হবেন- সেই লোকটিকে চেনার খুবই প্রয়োজন ছিল আমার। আর, সেই প্রয়োজনটি পূরণে এ ছাড়া আমার অন্য কোনো পথও ছিল না।

আলহামদুলিল্লাহ, সেই প্রয়োজন পূরণ হয়েছে। এখন বুঝতে পেরেছি, আমার বন্ধুর কন্যাই হলেন তার আমানতের প্রকৃত হকদার। ইনশাআল্লাহ, সময়মত আমি আমার বন্ধুর কন্যার হাতে তার আমানত যথাযথভাবে বুঝিয়ে দিবো।

নেক সন্তানঃ

সন্তান-সন্ততি আল্লাহ তাআলার এক মহা মূল্যবান নিআমত। এ শুধু পার্থিব অবলম্বনই নয়; আখেরাতের সম্বলও বটে। নিজের দুনিয়া ও আখেরাতকে সুন্দর করার পক্ষে বড় সহায়ক। সততা-যোগ্যতা ও তাকওয়া-তহারাতের উপর তাকে প্রতিষ্ঠিত করলে মা-বাবা দুনিয়া-আখেরাত সবখানে উপকৃত হবেন এবং মৃত্যুর পরও এই বৃক্ষের সুফল ভোগ করতে থাকবেন।

উপরোক্ত তিনটি বিষয় হাদীসে এভাবে ব্যক্ত হয়েছে-

إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثَةٍ: إِلَّا مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ، أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ، أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ.

মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তার তিনটি আমল ছাড়া সমস্ত আমল তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমল তিনটি হচ্ছে- সদকায়ে জারিয়া, এমন ইলম, যা থেকে উপকৃত হওয়া যায় এবং নেক সন্তান, যে তার জন্য দুআ করে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৩১০

আরেকটি হাদীসে এসেছে, ‘মানুষ যা কিছু রেখে যায় তার মধ্যে তিনটি জিনিস উত্তম- নেক সন্তান, যে তার জন্য দুআ করে। এমন সদকা যা অব্যাহত থাকে। এর সওয়াব সে লাভ করে। এবং এমন ইলম, যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়।’ -সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৯৩; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ২৪১; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস ২৪৯৫

এ তিনটি কাজ পৃথক পৃথকভাবেও বর্ণিত হয়েছে। উপকারী ইলম সম্পর্কে ‘সুনানে ইবনে মাজাহ’র (২৪০) একটি বর্ণনা এ রকম-

مَنْ عَلَّمَ عِلْمًا فَلَهُ أَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِه، لَا يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الْعَامِلِ.

যে কাউকে ইলম শিক্ষা দেয়, সে এ অনুযায়ী আমলকারীর অনুরূপ সওয়াব লাভ করবে। আমলকারীর সওয়াব থেকে কমানো হবে না।

অন্য এক হাদীসে এসেছে-

أَفْضَلُ الصَّدَقَةِ أَنْ يَتَعَلَّمَ الْمَرْءُ الْمُسْلِمُ عِلْمًا ثُمَّ يُعَلِّمَهُ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ.

উত্তম সদকা হল নিজে ইলম শিক্ষা করা এবং অপর মুসলিম ভাইকে তা শিক্ষা দেওয়া। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ২৪৩

নেক সন্তান সম্বন্ধে এক হাদীসের ইরশাদ-

إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَيَرْفَعُ الدَّرَجَةَ لِلْعَبْدِ الصَّالِحِ فِي الْجَنَّةِ، فَيَقُولُ: يَا رَبِّ، أَنَّى لِي هَذِهِ؟ فَيَقُولُ: بِاسْتِغْفَارِ وَلَدِكَ لَكَ.

আল্লাহ তাআলা জান্নাতে নেককারের মর্যাদা উঁচু করলে সে জিজ্ঞেস করবে, হে আমার প্রতিপালক! এটা আমার জন্য কোথা থেকে এল? তিনি বলবেন, তোমার জন্য তোমার সন্তানের ইস্তিগফারের কারণে। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১০৬১০

গল্পটি থেকে গ্রহণীয় শিক্ষা:

গল্পে বর্ণিত ঘটনাটি বাস্তবিকই কোথাও ঘটেছিল কি না জানি না। তবে, দিনরাত পরিশ্রম করে সন্তানদের সুখের জন্য সম্পদ গড়ে যাচ্ছি আমরা। কিন্তু কখনো চিন্তা করে দেখেছি কি, আমাদের ইহ-পারলৌকিক সুখের জন্যও সন্তানদের গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে কি না? জাগতিক শিক্ষা দীক্ষার পাশাপাশি, ছোটবেলা থেকে সন্তানদেরকে সঠিকভাবে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারলেই কেবল এমনটা আশা করা যায়।

সৎ, নেককার এবং উত্তম সন্তান মৃত্যুর পরে আমাদের প্রত্যেকেরই সত্যিকারের সম্পদ। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আমাদেরকে সৎপথে চলার তাওফিক দান করুন। সুসন্তানের বাবা মা হিসেবে কবুল করুন।

গল্প সূত্রঃ মূল গল্পটি জনৈক ব্যক্তির ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। এখানে গল্পটি ইষৎ সংশোধিত ও পরিমার্জিত করে প্রকাশ করা হলো।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম কেচ্ছা কাহিনী আর ভালো লাগে না। দুনিয়া কোথায় চলে গেছে!
আধুনিক হন। আধুনিক চিন্তা করুন। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলুন। এটা আলিফ লায়লার যুগ না। আলিফ লায়লার কাহিনী দিয়ে জীবন চলে না।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক সেটাই। দেখি, চেষ্টা করা যায় কি না আধুনিক হতে।

দারুন মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬

রক্ত দান বলেছেন: রাজীব নুরের কথা অনুযায়ী ভাল কাজ যদি আধুনিকতা না হয়, তবে কি তারমতে শয়তানীর নাম আধুনিকতা? একটা সন্তান তার বাবার ঋণের দায় গ্রহণ করেছে এটাই তো লোকদের জানার বিষয়। নতুবা অনেক পাওনাদার তো তার পাওনা থেকে বঞ্চিত হবে!

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



রাজীব নুর তার বক্তব্য পেশ করেছেন। তার জানার ভেতরে হয়তো সামান্য ঘাটতি থেকে থাকতে পারে। সমস্যা নেই। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

আপনাকে আন্তরিক মোবারকবাদ তার ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য। এখন আবার কারও ভুল ধরিয়ে দিলেও বিপদ। ভুল ধরিয়ে দিলেই মানুষ প্রতিপক্ষ মনে করে বসে। কোথায় যাবেন? নিরব থাকাই সম্ভবতঃ একমাত্র সমাধান। কিন্তু নিরব থাকার অনুমতি ইসলাম দেয় কি? কখনোই দেয় না। সত্য যত তিক্তই হোক, প্রকাশ করে যেতেই হবে।

কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৮

রক্ত দান বলেছেন: আপনার লেখা অবশ্যই মানব সভ্যতার জন্য অত্যন্ত দরকারী বিষয়। জাজাকাল্লাহু খাইরান।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। জাজাকুমুল্লাহ।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫০

রক্ত দান বলেছেন: ব্লগে এমন অনেক লেখাই আসে যার থেকে মানুষ কিছুই শিখে না। সেসব বিষয়ে তেন কুকথা নেই। অথচ কোরআন ও হাদিসের কথা হলেই কিছু লোক হই হই করে উঠে। বিষয়টা বিরুক্তিকর।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিকই বলেছেন। এই প্লাটফর্মে ধৈর্য্যচূতির মত অনেক পরিস্থিতিই বিভিন্ন সময়ে এসে থাকে। কিন্তু তারপরেও আমরা চেষ্টা করি বিরক্ত না হয়ে বরাবরই সবরের পথে অবিচল থাকতে। বস্তুতঃ এটাই তো আমাদের কাজ। কারণ, ধৈর্য্যধারণকারীদের সাথেই থাকেন মহান আল্লাহ তাআ'লা। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اسْتَعِينُواْ بِالصَّبْرِ وَالصَّلاَةِ إِنَّ اللّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ

হে মুমিনগন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ তাআ'লা ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন। -সূরা আল বাক্কারাহ, আয়াত-১৫৩

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার লেখার নিচে আচমকা এই বিজ্ঞাপনটা চলে আসলো। একেই বলে আয়রনি! =p~

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছেলেরা আবার বাবার ঋণ পরিশোধ করবে ? অনেকে বাপ হতে সব সহায় সম্পদ লিখে বৃদ্ধকে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়, বোনকে আর বাড়িতেও ঢুকতে দেয় না। নতুন নকীব ভাই গল্পটা আগেও পড়েছি তাই মনে হয় আপনার সংগ্রহ করা।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, সংগ্রহ করা গল্প এটি। পোস্টের শেষে সূত্র উল্লেখ করেছি। উত্তরাধিকার সূত্রে বাবার কাছ থেকে, ভাইয়ের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্পদ মেয়েদেরকে, বোনদেরকে যথাযথভাবে অবশ্যই বুঝিয়ে দিতে হবে। ইসলামের নির্দেশ এটাই।

শুকরিয়া।

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই গল্পটা থেকে যে ম্যাসেজটা পেলাম তা হচ্ছে - মাদ্রাসায় শিক্ষিত হলেই মুলত ভালো সন্তান হবে, হকদার হবে, তাই তো ভাইয়া?

অবশ্য আমার এই কমেন্ট পড়েই আমাদের দুইজন প্রিয় ব্লগার বলে বসতে পারেন - উফ ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষীদের যন্ত্রনায় আর টেকা যাচ্ছে না।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



দুঃখিত! এটা আসলে স্রেফ গল্প। আমার মনে হচ্ছে, আমাদের সমাজে প্রচলিত ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে গল্পটিতে। মাদরাসায় মূলতঃ কুরআন হাদিস পড়ানো হয়। সাধারণ মানুষের ধারণা, কুরআন হাদিস শিখে একজন মানুষ সত্যিকারের আদর্শ মানুষ হতে পারেন। কিন্তু মাদরাসায় শিক্ষিত হলেই ভালো সন্তান হবে, হকদার হবে- এটাই চূড়ান্ত কথা নয়। মাদরাসার বারান্দায় জীবনে যাননি, এমন অনেক ভালো মানুষও আমাদের আশেপাশে রয়েছেন, যারা সমাজকে, পৃথিবীকে উদার হস্তে দিয়েছেন, দিচ্ছেন। পক্ষান্তরে মাদরাসায় পড়েও ভালো মানুষ হতে পারেননি, এমন উদাহরণ নিতান্ত কম। তবে, সর্বোপরি কথা হচ্ছে, মাদরাসায় পড়া হোক, আর না হোক, শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে জানা, নামাজসহ অন্যান্য ইবাদাতের দুআ কালাম সহিহ করে শিখে নেয়া একজন মুসলিমের জন্য একান্ত জরুরি। হাদিসের পরিভাষায় এটাকে ফরজ বলা হয়েছে।

দুয়েকটি কমেন্ট বা বক্তব্য দেখেই আপনাকে ইসলাম বিদ্বেষীদের কাতারে ফেলা নিতান্ত অন্যায়। ব্লগ মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আপনাকে অনেক যাচাই বাছাই করে চলতে হয়। পক্ষে বিপক্ষে সকলের মতামত আপনাকে অবশ্যই শুনতে হয়। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে কথা বলতে হয়। এসব কারণে, কারও মতের সামান্য বিপরীত কোনো কথা দেখলেই তাকে 'ইসলাম বিদ্বেষী' বলা সাংঘাতিক ব্যাপার।

এটা নিশ্চিতভাবে মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষার পরিপন্থি। হাদিসের দলিল দ্বারা এই বিষয়টি প্রমাণিত। এখানে নতুন করে আর সেসব দলিল উল্লেখ করে আপনার সময় ক্ষেপন করতে চাই না। সহজভাবে ইসলামের মূল এবং অন্যতম একটা শিক্ষার কথা বলি, কাউকে দূরে সরিয়ে দিয়ে নয়, কাছে টেনে নেয়ার শিক্ষা ইসলাম বরাবর দেয়। আমাদেরকে সেই শিক্ষাই নিতে হবে।

মন্তব্যে আসার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১১

রক্ত দান বলেছেন: জাগতিক শিক্ষার সাথে ইসলামী শিক্ষাও যে দরকার, লেখক মনে হয় সেটা বুঝাতে চেয়েছেন। ভাল-মন্দ সব জায়গাতেই আছে, তবে মাদ্রাসা পড়ুয়াদের মাঝে মন্দের হার তুলুনামূলকভাবে কম বলেই মনে হয়। আর মাদ্রাসা শিক্ষায় ভাল কিছু থাকলে তা’ হাইলাইটই বা কেন হবে না? সকল ভালোর প্রচার হোক।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ পুনরায় মন্তব্যে গুরুত্বপূর্ণ মতামত রেখে যাওয়ায়।

জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা খইরান।

৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যে রাগ প্রকাশ করেন নি বলে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি আমার নিতান্ত কাছের লোক।

১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: নৈতিকতা শিক্ষা অর্জন সবার হয় না, অনেক মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের, (ঝরে পড়া) নৈতিক শিক্ষার অভাব থেকে যায়।

জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও আদর্শবান হওয়া যায়। পরিবার শিক্ষাটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।

গল্পটা মনে ধরেছে।

৪ নাম্বার ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।

১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো হতে বিশেষায়ীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তেমন কোনো ভূমিকা নাই। লেখা ভাল হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.