নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবী চরিত্রের এক ঝলক

২২ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭

ছবিঃ অন্তর্জাল।

নবী চরিত্রের এক ঝলক

প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন সর্বোত্তম আদর্শের মূর্ত প্রতীক। মানব চরিত্রে উত্তম এবং প্রশংসনীয় যেসব গুণাবলীর সন্নিবেশ ঘটা সম্ভব, তার সবগুলোরই পরিপূর্ণ বিকাশলাভ করেছিল তাঁর মহান চরিত্রে। আল্লামা শাইখ সাদী রহমাতুল্লাহ সংক্ষিপ্ত বাক্যে যথার্থই বলেছেন-

بلغ العلى بكماله
كشف الدجى بجماله
حسنت جميع خصاله
صلوا عليه وآله.

বাংলা উচ্চারণ-

বালাগাল উলা বিকামালিহী,
কাশাফাদদুজা বিজামালিহী,
হাসুনাত জামীউ খিসালিহী,
সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহী।

কাব্যানুবাদ :

পূর্ণতায় পৌঁছেছেন তিনি চূড়ান্ত উচ্চতায়,
সৌন্দর্য্য আভা তাঁর বিদূরিত করেছে আঁধার।
সৌন্দর্যমণ্ডিত তাঁর যাবতীয় স্বভাব চরিত্,
পাঠাও সালাত তাকে এবং নিকটজনে তাঁর।

বস্তুতঃ সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকালেই দেখা যায়, রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন গোটা জগতবাসীর জন্য উন্নত চরিত্র ও আদর্শের অনুসরণীয় এবং অনুকরণীয় মডেল। মানবিক গুণাবলীতে কোন মানুষের পক্ষে তাঁর সমকক্ষ হওয়া তো দুরের কথা, তাঁর কোন একটি গুণের অধিকারী হওয়াও রীতিমত অসাধ্য। তিনি এমন হবেন না কেন? কারণ, তাকে যিনি শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছেন, চরিত্র মাধুর্য্য শিখিয়েছেন, উত্তম আদর্শ, উত্তম চরিত্র তথা, উসওয়াতুন হাসানাহ নামে বিভূষিত করেছেন, তিনি হলেন স্বয়ং বিশ্ব জাহানের স্রষ্টা মহান প্রতিপালক আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া‌ তায়ালা।

রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

أَدَّبَنِىْ رَبِّىْ فَأَحْسَنَ تَأْدِيْبِىْ

অর্থাৎ, আমার রব আমাকে সর্বোত্তম শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছেন। -আল ফাওয়ায়েদুল জালিয়্যাহঃ ১/১০১; হাদীসটির অর্থ সহীহ; দেখুন- আত তাজকেরাহ ফিল আহাদিসিল মুশতাহারাহঃ ১/১৬০, কাশফুল খিফাঃ ১/৮১, ১/৭০, আসনাল মাত্বালিবঃ১/৩৫; আবুল ফাজল বিন নাসির এটাকে সহীহ বলেছেন, আদ দুরারুল মুনতাসিরাহ ফিল আহাদিসিল মুশতাহারাহঃ১/৪৫

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া‌ তায়ালা এ সম্বন্ধে বলেন:

وَإِنَّكَ لَعَلَى خُلُقٍ عَظِيمٍ (4)

অর্থাৎ, আর নিশ্চয় আপনি সুমহান চরিত্রের অধিকারী। -সুরা আল ক্বালামঃ ৪

প্রশ্ন হচ্ছে, কেন তিনি এ রকম হবেন না? তিনি তো মহান আল্লাহ্‌ তায়ালার আশ্রয়ে এবং প্রত্যক্ষ ব্যবস্থাপনায় ছিলেন। আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেছেন:

فَإِنَّكَ بِأَعْيُنِنَا

অর্থাৎ, আর আপনি আমার চোখে চোখেই আছেন। -সুরা তুরঃ ৪৮

অপরদিকে তিনি মুসা (আঃ) সম্বন্ধে বলেছেন:

وَلِتُصْنَعَ عَلَى عَيْنِي

অর্থাৎ, আর [আমি চাই] তুমি যেন আমার তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত হও। -সুরা ত্বাহা: ৩৯

“চোখের সামনে রাখতে চাওয়া’ এবং 'চোখে চোখে রাখা' - এ দু'য়ের মাঝে পার্থক্য অনেক। তফাৎ প্রচুর। প্রভেদ বিস্তর।

বস্তুতঃ কুরআনুল হাকিমের অভিনব এবং অসাধারণ প্রজ্ঞাপূর্ণ এই বর্ণনা থেকেই তার সুমহান চরিত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য এবং শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পৃথিবীর বড় বড় একেকজন মনীষীর ভিতরে তার সমপরিমাণ একটি গুণ পাওয়া যদি খুবই দুর্লভ হয়, তাহলে তার সবগুলো গুণাবলী তাদের মাঝে কিভাবে পাওয়া সম্ভব হতে পারে?

রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যঃ

এক. ধৈর্য্যঃ

নিজেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সর্বদা আল্লাহ্‌ তায়ালার আনুগত্যের উপর অটল রাখা, অবাধ্যতার নিকটবর্তী না হওয়া, তার সিদ্ধান্তের কারণে হা হুতাশ না করা এবং তাতে রাগান্বিত না হওয়ার নামই ধৈর্য্য। রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলামের দাওয়াতকে ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করতে গিয়ে কুরাইশদের কাছ থেকে অমানুষিক অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে ধৈর্য্যধারণ করেছেন। তিনি ধৈর্য্যধারণ করেছেন শিআবে আবু তালিবে বন্দিদশায় কাটানো তিন তিনটি বছর; যে দিনগুলোতে কাফেরদের সার্বিক বয়কটের কারণে মুষ্টিমেয় সংখ্যক নও মুসলিমদের নিয়ে খাদ্যাভাবে ক্ষুধা পিপাসায় চরম কষ্টে দিনাতিপাত করতে বাধ্য হয়েছিলেন; যখন দুগ্ধদায়িনী মায়েরা অনাহারে অর্ধাহারে থেকে ক্ষীনকায় হয়ে যাওয়ার ফলে, নিজেদের কোলের শিশুদের দুধ খাওয়ানোর যোগ্যতাও হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি ধৈর্য্যধারণ করেছেন আশ্রয়দাতা পিতৃব্য আবু তালিব এবং প্রিয়তম জীবন সঙ্গীনী হযরত খাদিজাতুল কুবরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার ইন্তেকালের বছর; যে বছরটির নাম তিনি নিজেই দিয়েছিলেন 'আমুল হুযন' বা 'দুঃখের বছর'। তিনি ধৈর্য্যধারণ করেছেন যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে, ইহুদীদের একের পর এক জটিল ও কুটিল ষড়যন্ত্রে, ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও অন্যান্য প্রতিকুল পরিস্থিতিতে। কোন ষড়যন্ত্রই তাকে দুর্বল করতে পারেনি এবং কোন পক্ষই তাকে টলাতে পারেনি। কোনো পরিস্থিতিই তাকে ধৈর্য্যহারা করে তুলতে পারেনি।

হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা হতে বর্ণিত, তিনি রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন:

هَلْ أَتَى عَلَيْكَ يَوْمٌ كَانَ أَشَدَّ مِنْ يَوْمِ أُحُدٍ، قَالَ: ” لَقَدْ لَقِيتُ مِنْ قَوْمِكِ مَا لَقِيتُ، وَكَانَ أَشَدَّ مَا لَقِيتُ مِنْهُمْ يَوْمَ العَقَبَةِ، إِذْ عَرَضْتُ نَفْسِي عَلَى ابْنِ عَبْدِ يَالِيلَ بْنِ عَبْدِ كُلاَلٍ، فَلَمْ يُجِبْنِي إِلَى مَا أَرَدْتُ، فَانْطَلَقْتُ وَأَنَا مَهْمُومٌ عَلَى وَجْهِي، فَلَمْ أَسْتَفِقْ إِلَّا وَأَنَا بِقَرْنِ الثَّعَالِبِ فَرَفَعْتُ رَأْسِي، فَإِذَا أَنَا بِسَحَابَةٍ قَدْ أَظَلَّتْنِي، فَنَظَرْتُ فَإِذَا فِيهَا جِبْرِيلُ، فَنَادَانِي فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ، وَمَا رَدُّوا عَلَيْكَ، وَقَدْ بَعَثَ إِلَيْكَ مَلَكَ الجِبَالِ لِتَأْمُرَهُ بِمَا شِئْتَ فِيهِمْ، فَنَادَانِي مَلَكُ الجِبَالِ فَسَلَّمَ عَلَيَّ، ثُمَّ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، فَقَالَ، ذَلِكَ فِيمَا شِئْتَ، إِنْ شِئْتَ أَنْ أُطْبِقَ عَلَيْهِمُ الأَخْشَبَيْنِ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَلْ أَرْجُو أَنْ يُخْرِجَ اللَّهُ مِنْ أَصْلاَبِهِمْ مَنْ يَعْبُدُ اللَّهَ وَحْدَهُ، لاَ يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا “

অর্থাৎ, আপনার কাছে কি এমন কোন দিন এসেছে যা উহুদের চেয়েও কঠিন দিন ছিল? রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: আমি তোমার কওম থেকে এমন অবস্থার সম্মুখীন হয়েছি যা বর্ণনাতীত। আর আকাবার দিন (তায়েফের ঘটনা) ছিল তাদের পক্ষ থেকে সবচেয়ে কঠিন অবস্থা!! আমি নিজেকে সমর্পণ করলাম ইবনে আবদি ইয়ালিল ইবনে আব্দি কুলাল গোত্রের কাছে; কিন্তু, তারা আমার ইচ্ছায় সাড়া দিল না। অতঃপর আমি চেহারায় দুঃখের ছাপ নিয়ে ফিরে আসছিলাম। আমি যখন সম্বিত ফিরে পেলাম তখন আমি ছিলাম- ”ক্বারনে ছা’য়ালেব” নামক স্থানে। আমি মাথা উপরের দিকে তুললাম। দেখলাম একখন্ড মেঘ আমাকে ছায়া দিয়েছে। সেখানে জিবরাইল (আঃ) এর সাক্ষাত পেলাম। তিনি আমাকে ডেকে বললেন: আল্লাহ্ তায়ালা কওমের উদ্দেশ্যে আপনার বক্তব্য ও তাদের জবাব শুনেছেন।তিনি আপনার কাছে পাহাড়ের ফেরেশতাকে পাঠিয়েছেন। তাদের ব্যাপারে আপনার যা খুশি তাকে নির্দেশ দেবেন। পাহাড়ের ফেরেশতা আমাকে ডেকে সালাম দিয়ে বললেন, হে মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!! আপনি যা চান তাই হবে। যদি আপনি বলেন তাহলে,আমি তাদের উপর পাহাড় দুটি চাপিয়ে দেব। রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: [না!!!] বরং, আমি চাই তাদের ঔরসজাত সন্তানদের মধ্য থেকে এমন কেউ বের হোক যে একমাত্র আল্লাহ্ তায়ালার ইবাদাত করবে তার সাথে কাউকে অংশীদার স্থাপন করবে না। -বুখারী-৩২৩১, মুসলিম-১৭৯৫

দুই. ক্ষমাপরায়নতাঃ

ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিশোধ না নেয়ার নামই ক্ষমা। মক্কা বিজয়ের দিনে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কার লোকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করছিলেন। তারা নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের ব্যাপারে তার নির্দেশেরই অপেক্ষা করছিল। তিনি বললেন: হে কুরাইশগণ !!! তোমরা আমার কাছ থেকে আজ কেমন ব্যবহার আশা কর? তারা বলল: সম্মানিত ভাই ও ভ্রাতুষ্পুত্রের মত!!! তিনি বললেন: তোমরা চলে যাও!!! আজ তোমরা মুক্ত!!! তারা তাকে অনেক অত্যাচার-নির্যাতন, তিরস্কার, সামাজিকভাবে বয়কট করা এমনকি হত্যার চেষ্টা করা সত্ত্বেও তিনি তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিলেন।

তিন. সাহসিকতাঃ

কথাবার্তা, মতপ্রকাশ ও কোন কাজ করতে যাওয়ায় সাহসিকতা প্রদর্শন অত্যন্ত চমৎকার একটি গুণ। রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ অবস্থায় ছিলেন সকল মানুষের চেয়ে বেশী সাহসী। তার মত সাহসী মানুষ কোন চোখ দেখেনি। বীর সিপাহী হযরত আলী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন: যখন প্রচন্ড যুদ্ধ শুরু হত তখন আমরা রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আড়াল নিয়ে আত্মরক্ষা করতাম। তিনি থাকতেন আমাদের মধ্য থেকে শত্রুদের সবচেয়ে নিকটতম ব্যক্তি। এর অনেক প্রমাণ রয়েছে উহুদ ও হুনায়ন যুদ্ধে। শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি সম্বন্ধে হযরত আনাস বিন মালেক রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন:

كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ النَّاسِ، وَكَانَ أَجْوَدَ النَّاسِ، وَكَانَ أَشْجَعَ النَّاسِ» وَلَقَدْ فَزِعَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ ذَاتَ لَيْلَةٍ، فَانْطَلَقَ نَاسٌ قِبَلَ الصَّوْتِ، فَتَلَقَّاهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَاجِعًا، وَقَدْ سَبَقَهُمْ إِلَى الصَّوْتِ، وَهُوَ عَلَى فَرَسٍ لِأَبِي طَلْحَةَ عُرْيٍ، فِي عُنُقِهِ السَّيْفُ وَهُوَ يَقُولُ: «لَمْ تُرَاعُوا، لَمْ تُرَاعُوا» قَالَ: «وَجَدْنَاهُ بَحْرًا، أَوْ إِنَّهُ لَبَحْرٌ» قَالَ: وَكَانَ فَرَسًا يُبَطَّأُ

রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন সর্বোত্তম ব্যক্তি, সর্বোচ্চ দানশীল, সবচেয়ে সাহসী। এক রাত্রে একটা শব্দের কারণে মদীনাবাসীরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। লোকেরা শব্দের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফিরে আসার পথে তাদের দেখা পেলেন। তিনি তাদের আগেই শব্দের কাছে চলে গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আবু তালহার ঘোড়ায় এবং তার কাধে ঝুলছিল খোলা তরবারী। তিনি তাদেরকে বলছিলেন, অবস্থা শান্ত!! অবস্থা শান্ত!! [ক্ষতিকর কোন কিছুর সম্ভাবনা নেই]। তিনি বলেন: আমরা তাকে পেয়েছি সমুদ্রের মত অথবা তিনি ছিলেন সমুদ্র [সমুদ্রের বেগে এগিয়ে যেতেন]। তিনি বলেন: ঘোড়াটিও ছিল খুবই ধীরগতিসম্পন্ন। -মুসলিম-২৩০৭, ইবনে মাজাহ-২৭৭২, মুসনাদে আহমাদ-১৩৮৬৫, সহীহ ইবনে হিব্বান-৬৩৬৯, বায়হাকীঃ সুনানুল কুবরা-১৮৫৬০

চার. সহনশীলতাঃ

সহনশীলতা মানে সহিষ্ণুতা, সহ্য করা, পরমত সহিষ্ণু হওয়া, যদিও তা নিজের মতের বিপরীত হয়, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা; ব্যক্তির কথা কিংবা কাজ থেকে অপছন্দনীয় কোন কিছু যেন পাওয়া না যায়- এরই নাম সহনশীলতা।

হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন:

أَنَّ أَعْرَابِيًّا بَالَ فِي المَسْجِدِ، فَثَارَ إِلَيْهِ النَّاسُ ليَقَعُوا بِهِ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعُوهُ، وَأَهْرِيقُوا عَلَى بَوْلِهِ ذَنُوبًا مِنْ مَاءٍ، أَوْ سَجْلًا مِنْ مَاءٍ، فَإِنَّمَا بُعِثْتُمْ مُيَسِّرِينَ وَلَمْ تُبْعَثُوا مُعَسِّرِينَ»

অর্থাৎ, একজন বেদুঈন মসজিদে পেশাব করেছিল। লোকেরা তার উপরে হামলে পড়ার জন্য ফুসে উঠলে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে বললেন, তাকে ছেড়ে দাও!! আর তার পেশাবের উপর বালতি ভর্তি পানি অথবা বালতি দিয়ে পানি ঢেলে দাও। কেননা, তোমরা সহজ করার জন্য প্রেরিত হয়েছো, কঠিন করার জন্য প্রেরিত হওনি। -বুখারী-৬১২৮, সহীহ ইবনে হিব্বান-১৪০০

অন্য হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاعِدًا فِي الْمَسْجِدِ وَأَصْحَابُهُ مَعَهُ، إِذْ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ فَبَالَ فِي الْمَسْجِدِ، فَقَالَ أَصْحَابُهُ: مَهْ مَهْ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” لَا تُزْرِمُوهُ دَعُوهُ “، ثُمَّ دَعَاهُ فَقَالَ لَهُ: ” إِنَّ هَذِهِ الْمَسَاجِدَ لَا تَصْلُحُ لِشَيْءٍ مِنَ الْقَذَرِ وَالْبَوْلِ وَالْخَلَاءِ “، أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِنَّمَا هِيَ لِقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ وَذِكْرِ اللهِ وَالصَّلَاةِ “. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِرَجُلٍ مِنَ الْقَوْمِ: ” قُمْ فَأْتِنَا بِدَلْوٍ مِنْ مَاءٍ، فَشُنَّهُ عَلَيْهِ ” فَأَتَاهُ بِدَلْوٍ مِنْ مَاءٍ فَشَنَّهُ عَلَيْهِ-

অর্থাৎ, হযরত আনাস বিন মালেক রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সাহাবীদের সাথে মসজিদে বসা ছিলেন। এমন সময় একজন বেদুঈন এসে সেখানে পেশাব করা শুরু করলে সাহাবীরা তাকে ধমক দিয়ে থামতে বললেন। রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: তাকে ছেড়ে দাও; বাধা সৃষ্টি করো না [পেশাবে বাধা সৃষ্টি করলে বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে]। তারপর তিনি তাকে ডেকে বললেন: এগুলো মসজিদ; এস্থান অপবিত্রতা কিংবা পেশাব পায়খানার জন্য উপযুক্ত নয়। অথবা তিনি বলেছেন: সেটা কুরআন তেলাওয়াত, আল্লাহর যিকির ও নামাজের স্থান। অতঃপর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কওমের একজন লোককে বললেন, তুমি পানি ভর্তি একটা বালতি নিয়ে আসো। এরপর এর উপর ঢেলে দাও। তিনি বালতিতে পানি এনে তার উপর ঢেলে দিলেন। -মুসনাদে আহমাদ- ১২৯৮৪; হাদীসটি সহীহ

পাঁচ. দানশীলতাঃ

মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর দানশীলতা ছিল দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী। তিনি নিজের কাছে কিছু থাকলে কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিতেন না। তিনি একসময় ইয়েমেনী একটি সেট পোশাক পরেছিলেন। একজন এসে পোশাকটা চাইলে তিনি বাড়ীতে গিয়ে সেটা খুলে ফেললেন। এরপর সেটা লোকটির কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তার কাছে কেউ কিছু চাইলেই তিনি তা দিয়ে দিতেন। একবার একজন লোক তার কাছে এসে ছাগল চাইলে তিনি তাকে প্রচুর পরিমাণ ছাগল দিয়েছিলেন। যা দুই পাহাড়ের মধ্যকার স্থান পূর্ণ করে ফেলবে। এরপর লোকটা নিজ সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গিয়ে বলল: হে আমার সম্প্রদায়!!! তোমরা ইসলাম গ্রহণ কর। আল্লাহর কসম!!মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এত বেশী পরিমাণে দান করেন যে কখনও দারিদ্রতার ভয় করেন না।

মুসলিম শরীফে এসেছে:

عَنْ مُوسَى بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: ” مَا سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْإِسْلَامِ شَيْئًا إِلَّا أَعْطَاهُ، قَالَ: فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَأَعْطَاهُ غَنَمًا بَيْنَ جَبَلَيْنِ، فَرَجَعَ إِلَى قَوْمِهِ، فَقَالَ: يَا قَوْمِ أَسْلِمُوا، فَإِنَّ مُحَمَّدًا يُعْطِي عَطَاءً لَا يَخْشَى الْفَاقَةَ “

অর্থাৎ, হযরত মুসা বিন আনাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত,তিনি তার পিতার সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর ক্ষেত্রে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি যে, কেউ তার কাছে কিছু চেয়েছে অথচ, তিনি তা দেননি। তিনি বলেন: একবার তার কাছে একজন লোক আসলে তিনি তাকে দুই পাহাড়ের মাঝের ছাগল [এত বেশী পরিমাণ ছাগল দিয়ে দিলেন যা দুই পাহাড়ের মধ্যস্থান পরিপূর্ণ করে দেবে] দিয়ে দিলেন। অতঃপর লোকটি নিজের সম্প্রদায়কে বলল: হে আমার সম্প্রদায়!! তোমরা ইসলাম গ্রহণ কর। কেননা,মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এত বেশী পরিমাণে দান করছেন যে তিনি নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার কোন ভয় করেন না। -মুসলিম শরীফ-২৩১২

হযরত আনাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, লোকটি রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে শুধুমাত্র দুনিয়াবী স্বার্থের জন্যই এসেছিল।কিন্তু, সন্ধাবেলা এমন অবস্থার সৃষ্টি হল যে, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর আনীত দ্বীন উক্ত ব্যক্তির কাছে পৃথিবী ও তার মধ্যকার সমস্ত জিনিসের চেয়ে বেশী প্রিয় ও সম্মানিত বলে গণ্য হল। -মুসনাদে আহমাদ-১৪০২৯;হাদীসটি সহীহ

ছয়. ন্যায়বিচারঃ

রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর ন্যায় বিচারের অনেক প্রমাণ রয়েছে। তন্মধ্যে এখানে মাখজুমী গোত্রের একজন মহিলার ঘটনা উল্লেখ করব। চুরির কারণে তার উপর শাস্তিস্বরূপ হাত কাটার বিধান বাস্তবায়ন করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কেননা, মহিলা ছিল উচ্চ বংশীয় লোক। সাহাবীগণ তার ব্যাপারে সুপারিশ করার জন্য রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে তার অত্যন্ত প্রিয়পাত্র হযরত উসামা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুকে পাঠিয়ে দিলেন।

তিনি সুপারিশ করলে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেছিলেন:

أَتَشْفَعُ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ» ثُمَّ قَامَ فَخَطَبَ، قَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّمَا ضَلَّ مَنْ قَبْلَكُمْ، أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ، وَإِذَا سَرَقَ الضَّعِيفُ فِيهِمْ أَقَامُوا عَلَيْهِ الحَدَّ، وَايْمُ اللَّهِ، لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَرَقَتْ لَقَطَعَ مُحَمَّدٌ يَدَهَا»

অর্থাৎ, তুমি কি আল্লাহ্ তায়ালার পক্ষ থেকে নির্ধারিত করে দেয়া শাস্তি সম্বন্ধে সুপারিশ করছো???!!! তারপর তিনি বক্তৃতা করলেন।বক্তৃতায় বললেন: হে মানষেরা!! তোমাদের পুর্ববর্তীরা ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা সম্মানী বংশের কেউ চুরি করলে তাদেরকে ছেড়ে দিত এবং দুর্বলেরা চুরি করলে তাদের উপর শাস্তি প্রয়োগ করত। আল্লাহর কসম!!! যদি মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, তবুও মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার হাত কেটে দিতেন। -বুখারী-৬৭৮৮, একই অর্থে ৪৩০৪, ৩৪৭৫, মুসলিম-১৬৮৮, আবু দাউদ-৪৩৭৩, তিরমীজি-১৪৩০, নাসায়ী-৪৮৯৯, ৪৯০২, ইবনে মাজাহ-২৫৪৭, দারেমী-২৩৪৮, সহীহ ইবনে হিব্বান-৪৪০২, বায়হাকীঃ সুনানুস সাগীর-২৬৪৩, বায়হাকীঃ সুনানুল কাবির-১৭১৫৫

সাত. কুমারী মেয়ের চেয়েও অধিক লজ্জাশীলতাঃ

হযরত আবু সাইদ খুদরী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন:

كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشَدَّ حَيَاءً مِنَ العَذْرَاءِ فِي خِدْرِهَا، فَإِذَا رَأَى شَيْئًا يَكْرَهُهُ عَرَفْنَاهُ فِي وَجْهِهِ»

অর্থাৎ, ঘরের ভিতরে অবস্থানকারিনী কুমারী মেয়ের চেয়েও রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশী লজ্জাশীল ছিলেন। যখন তিনি কোন কিছু দেখে অপছন্দ করতেন তখন তার চেহারা দেখেই আমরা বুঝতে পারতাম। -বুখারী-৬১০২, ৩৫৬২, ৬১১৯, মুসলিম-২৩২০, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা-২৫৩৪৬, মুসনাদে আহমাদ-১১৬৮৩,১১৮৬২, সহীহ ইবনে হিব্বান-৬৩০৮, বায়হাকীঃ সুনানুল কুবরা-২০৭৮৬

আট. কারও দোষ প্রকাশ না করাঃ

হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা বলেন, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে কোন ব্যক্তির অপছন্দনীয় কোন কাজের সংবাদ আসলে তিনি বলতেন না, অমুকের কি হল যে এমন কথা বলছে? বরং, বলতেন: কওমের কি হয়েছে যে, তারা এমন এমন কাজ করে কিংবা এমন এমন কথা বলে? কাজটি যে তাঁর নিজের নিকট অপছন্দনীয় তা প্রকাশ করতেন ঠিকই, তবে কে দোষের কাজটি করেছে তার নাম নিতেন না। -উয়ুনুল আসারঃ ২/৩৯৯

নয়. দুনিয়া বিমুখিতাঃ

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন:

نَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حَصِيرٍ فَقَامَ وَقَدْ أَثَّرَ فِي جَنْبِهِ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوِ اتَّخَذْنَا لَكَ وِطَاءً، فَقَالَ: «مَا لِي وَلِلدُّنْيَا، مَا أَنَا فِي الدُّنْيَا إِلَّا كَرَاكِبٍ اسْتَظَلَّ تَحْتَ شَجَرَةٍ ثُمَّ رَاحَ وَتَرَكَهَا-

অর্থাৎ, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নলখাগড়া জাতীয় গাছের পাতা দিয়ে তৈরি করা বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন। এতে তার শরীরে দাগ হয়ে গেলে আমরা বললাম: হে আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!! আমরা আপনার জন্য ভাল কোন বিছানার ব্যবস্থা করলে ভাল হয়। অতঃপর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: আমার দুনিয়ার প্রতি কোন আকর্ষণ নেই। আমি দুনিয়াতে একজন পথচারী ছাড়া আর কিছুই নই। যে পথচারী একটা গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিয়ে একটু পরে সেটা ছেড়ে চলে যায়। -তিরমীজি-২৩৭৭; হাদীসটি সহীহ

দশ. সর্বোত্তম চরিত্র মাধুর্য্যঃ

হযরত আনাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন:

خَدَمْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشْرَ سِنِينَ، وَاللهِ مَا قَالَ لِي: أُفًّا قَطُّ، وَلَا قَالَ لِي لِشَيْءٍ: لِمَ فَعَلْتَ كَذَا؟ وَهَلَّا فَعَلْتَ كَذَا؟

অর্থাৎ, আমি রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দশ বছর সেবা করেছি। আল্লাহর কসম!! তিনি আমাকে কখনও উফ [ধমক বাচক শব্দ] পর্যন্ত বলেননি। আর তিনি আমাকে কোন কাজের জন্য বলেননি কেন এমন করলে এবং এমন কেন করলে না? -মুসলিম-২৩০৯, দারেমী-৬৩, একই অর্থেঃ সহীহ ইবনে হিব্বান-২৮৯৩, ২৮৯৪

এগারো. নম্রতা এবং উদারতাঃ

রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মক্কা বিজয় করে বিজয়ী বেশে মক্কায় প্রবেশ করছিলেন তখন আল্লাহ্‌ তায়ালার সামনে বিনম্রতায় এতটাই অবনত হয়েছিলেন যে তার দাড়ি তার বাহন উটটির চুটকে স্পর্শ করার উপক্রম হয়েছিল। অথচ, তখন তিনি ছিলেন এমনই এক পরিস্থিতিতে যখন অধিকাংশ রাজা বাদশাহ ও মণীষী স্বভাবতই অহংকারবশতঃ বিজয়োল্লাস করে থাকে। আনন্দ ফুর্তি করে। অনেককেই দেখা যায়, যারা কোনো শহর দখল করতে সক্ষম হলে সেখানে অত্যাচার অবিচারের বন্যা পর্যন্ত বইয়ে দেয়। কিন্তু প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাধারণ ক্ষমায় চিহ্ণিত বড় কয়েকজন অপরাধী ব্যতিত মক্কাবাসী বাকি সকলেই সেদিন মুস্তি পেয়ে যায়। ইতিহাসে এর দ্বিতীয় কোনো নজির নেই।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

পাঁচ-মিশালি বলেছেন: নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক মহিলাকে নিজহাতে হত্যা করে ছিলেন। মহিলাটির অপরাধ ছিল সে এক অবৈধ সম্পর্কের ফলে গর্ভবতী হয় এবং সন্তান প্রসব করে। সে স্বয়ং এসে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে এই সন্তানের ব্যাপারে জ্ঞাত করায়। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহিলাটিকে বলেন তুমি আবারো কিছুদিন পরে এস। মহিলাটি দ্বিতীয়বার যখন এলো তখন নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহিলাটিকে মাটিতে অর্ধেক পুঁতে দিয়ে নিজে স্বয়ং গাধার পিঠে চড়ে এসে এবং সঙ্গী সাথীদের নিয়ে পাথর মেরে হত্যা করেন। এটি সহি বুখারির হাদীসে আছে। এখন কেউ নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে কোন মহিলাকে হত্যা করলে সেটা কি সুন্নত বলে গন্য হবে?

২৩ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার অধিকাংশ মন্তব্যই ধারণা প্রসুত হয়ে থাকে, যার একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে ইসলাম ধর্ম, পবিত্র কুরআন, হাদিস এবং সর্বোপরি মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হেয়প্রতিপন্ন করে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের অন্তরে আঘাত প্রদান করা। এই কাজগুলো দয়া করে আমার কোনো পোস্টে পরবর্তীতে না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় ব্লগের সম্মানিত মডারেটরের স্মরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করতে বাধ্য হব। তবে, খোলা মনে পজিটিভ যে কোনো মন্তব্যকে সবসময়ই স্বাগত। কথাগুলো বলার জন্য দুঃখিত!

আপনার মন্তব্যের উত্তরের জন্য নিচের হাদিসগুলো প্রনিধানযোগ্য-

يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَا خُيِّرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَمْرَيْنِ إِلاَّ اخْتَارَ أَيْسَرَهُمَا مَا لَمْ يَأْثَمْ فَإِذَا كَانَ الإِثْمُ كَانَ أَبْعَدَهُمَا مِنْهُ وَاللهِ مَا انْتَقَمَ لِنَفْسِهِ فِي شَيْءٍ يُؤْتَى إِلَيْهِ قَطُّ حَتَّى تُنْتَهَكَ حُرُمَاتُ اللهِ فَيَنْتَقِمُ للهِ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে যখনই (আল্লাহ্‌র নিকট থেকে) দু’টো কাজের মধ্যে একটিকে বেছে নেয়ার সুযোগ দেয়া হত, তখন তিনি দু’টোর সহজটি বেছে নিতেন, যতক্ষণ না সেটা গুনাহ্‌র কাজ হত। যদি সেটা গুনাহ্‌র কাজ হত তাহলে তিনি তাত্থেকে বহু দূরে থাকতেন। আল্লাহ্‌র কসম! তিনি কখনও তাঁর ব্যক্তিগত কারণে কোন কিছুর প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি, যতক্ষণ না আল্লাহ্‌র হারামসমূহকে ছিন্ন করা হত। সেক্ষেত্রে আল্লাহ্‌র জন্য তিনি প্রতিশোধ নিতেন। [৯৯](আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৯)

ফুটনোটঃ

[৯৯] কেউ শরীয়তের বিধান লঙ্ঘন করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা অপরাধ আল্লাহর নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)’র সুন্নতের অনুসরণে ক্ষমা করে দেয়ার শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৭৮৬
হাদিসের মান: সহিহ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو قِلاَبَةَ الْجَرْمِيُّ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَفَرٌ مِنْ عُكْلٍ، فَأَسْلَمُوا فَاجْتَوَوُا الْمَدِينَةَ، فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَأْتُوا إِبِلَ الصَّدَقَةِ، فَيَشْرَبُوا مِنْ أَبْوَالِهَا وَأَلْبَانِهَا، فَفَعَلُوا فَصَحُّوا، فَارْتَدُّوا وَقَتَلُوا رُعَاتَهَا وَاسْتَاقُوا، فَبَعَثَ فِي آثَارِهِمْ فَأُتِيَ بِهِمْ، فَقَطَعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ وَسَمَلَ أَعْيُنَهُمْ، ثُمَّ لَمْ يَحْسِمْهُمْ حَتَّى مَاتُوا‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, উক্‌ল গোত্রের একদল লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর নিকট হাজির হয়ে ইসলাম গ্রহণ করল। কিন্তু মাদীনাহ্‌র আবহাওয়া তাদের অনুকূল হল না। তাই তিনি তাদেরকে সদাকাহ্‌র উটপালের কাছে গিয়ে সেগুলোর প্রস্রাব ও দুধপান করার আদেশ করলেন। তারা তা-ই করল। ফলে তারা সুস্থ হয়ে গেল। শেষে তারা দ্বীন ত্যাগ করে উটপালের রাখালদেরকে হত্যা করে সেগুলো নিয়ে চলল। এদিকে তিনি তাদের পিছনে লোক পাঠালেন। তাদেরকে (ধরে) আনা হল। আর তাদের হাত-পা কাটলেন ও লোহার শলাকা দিয়ে তাদের চোখগুলো ফুঁড়ে দিলেন। কিন্তু তাদের ক্ষতস্থানে লোহা পুড়ে দাগ দিলেন না। শেষতক তারা মারা গেল। [১০২](আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৪৬)

ফুটনোটঃ

[১০২] উকল গোত্রের দলটিকে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী কঠিন শাস্তি দেয়া হয়েছিল, কারণ তারা ছিল (১) ধর্মত্যাগী, (২) হত্যাকারী, (৩) ডাকাত ও (৪) খিয়ানাতকারী।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৮০২
হাদিসের মান: সহিহ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ أَتَى رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ فِي الْمَسْجِدِ فَنَادَاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي زَنَيْتُ‏.‏ فَأَعْرَضَ عَنْهُ، حَتَّى رَدَّدَ عَلَيْهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ، فَلَمَّا شَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ، دَعَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ أَبِكَ جُنُونٌ ‏"‏‏.‏ قَالَ لاَ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَهَلْ أَحْصَنْتَ ‏"‏‏.‏ قَالَ نَعَمْ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ ‏"‏‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, এক লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কাছে এল। তিনি তখন মাসজিদে ছিলেন। সে তাঁকে ডেকে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি যিনা করেছি। তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এভাবে কথাটি সে চারবার বলল। যখন সে নিজের বিরুদ্ধে চারবার সাক্ষ্য দিল তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার মধ্যে কি পাগলামীর দোষ আছে? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি কি বিবাহিত? সে বলল, হ্যাঁ। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তাকে নিয়ে যাও আর পাথর মেরে হত্যা কর। [১০৬](আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৫৯)

ফুটনোটঃ

[১০৬] হাদীসটি হতে জানা যায়ঃ
(১) একজন মুসলিম ব্যক্তির জীবন শেষ করার ব্যপারে দৃঢ়ীকরণ।
(২) মাসজিদের অভ্যন্তরে ইমামের নিকট খারাপ কাজের স্বীকারোক্তির বৈধতা এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন অশ্লীল কথা যা মুখে উচ্চারণ করা লজ্জাকর তার বর্ণনা দেয়া।
(৩) ঊচ্চ আওয়াজে বয়োজ্যেষ্ঠের আহবান করা।
(৪) হাদ্দ কায়েমের জন্য কোন (আরবী) বা সম্ভাব্য বিষয়ের স্বীকারকারীকে পরিত্যাগ করা। কারণ সে যা বর্ণনা করবে তা সম্ভবত হাদ্দকে আবশ্যক করবে না অথবা সে ফিরে আসবে।
(৫) যে ব্যাক্তি কোন গুনাহের কাজ করে লজ্জিত হবে তার দ্রুতগতিতে তাওবা করা মুস্তাহাব। তা কাউকে না জানানো।
(৬) গুনাহের কাজ সম্পাদনকারী যদি তার গুনাহের কথা কাউকে জানায় তাহলে শ্রবণকারীর জন্য মুস্তাহাব পন্থা হল যে, সে তাকে তাওবা করতে বলবে এবং ব্যাপারটি গোপন রাখবে।
(৭) হাদীসে উল্লেখিত (আরবী) বাহ্যিক ভাষ্য থেকে চারবার যেনার স্বীকারোক্তির পুনরাবৃত্তি করা শর্ত – এর প্রমাণ গ্রহণ করা হয়েছে।
(৮) হাদ্দ কায়েমের জন্য নেতার অন্যকে দায়িত্ব প্রদান করা জায়েয।
(৯) উক্ত হাদীস দ্বারা প্রমান পেশ করা হয়েছে যে, রজম করার জন্য গর্ত খনন করা শর্ত নয়।
(১০) মাতালের স্বীকারোক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। (ফাতহুল বারী)

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৮১৫
হাদিসের মান: সহিহ

ধন্যবাদ।

২| ২২ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: ১ নং মন্তব্যকারী কি সঠিক বলেছেন?

২৩ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



সঠিক কি না, আপনারও নিশ্চয়ই জানা থাকার কথা। আপনিই তো কুরআনের তাফসীর লেখেন ব্লগে। তো, বুখারি শরিফের মত বিখ্যাত হাদিসের কিতাব পড়েননি কিংবা, জানেন না, সেটা বিশ্বাস করি কিভাবে?

ধর্মে ধর্মে, সমাজে সমাজে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের উস্কে দেয়ার প্রয়োজন নেই। অন্যায়ের প্রতিবাদ যারা করে না, অন্যায় সংঘটিত হতে দেখেও মিটিমিটি হাসে; অন্যায়কারীদের মত তারাও অপরাধী। আপনার কি ধারণা?

ধন্যবাদ।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১২

সোহানাজোহা বলেছেন: পায়ে হাত দিয়ে সালাম সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মন্তব্য আশা করছি। যদি সময় ও সুযোগ হয় তাহলে অনুগ্রহ করে পোস্টে জানাবেন।

২৩ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



আন্তরিক অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন এখানে বিষয়টি বলে যাওয়ায়। ব্লগার জুল ভার্ন এর পোস্টেও দেখে এলাম, মন্তব্যে নীল আকাশের সাথে আমাকেও স্মরণ করেছেন।

মন্তব্য নয়, দেখি একটা পোস্টই দেয়া যায় কি না। একটু সময় নেয়ার জন্য দুঃখিত!

অনেক ভালো থাকবেন, প্রার্থনা।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: আপনার পোস্টে ভালো কিছু হবার বদলে খারাপ হচ্ছে বেশী। কারণ এমন সব মন্তব্য হয় যা পড়লেও ঈমান থাকবে না। এই ধরনের জাহিল লোকদের সাথে পেরে উঠবেন না, বরং আঘাতপ্রাপ্ত হবেন এবং পোস্টে বাজে মন্তব্য পাবেন। রাজীব নুর অসুস্থ মানুষ। আর পাঁচ মিশালি দুই দিন হয়েছে ফেইক নিক ওপেন করেছে খারাপ মন্তব্য করার জন্য।

এরা অসুস্থ লোক। নানা সমস্যায় থাকে তাই ব্লগে এসে আজে বাজে কথা বলে নিজেকে হালকা করে। পাবলিক রিলেশান নিয়ে কাজ করি মানুষের লেখা দেখেও বুঝতে পারি কে কেমন মানুষ।

২৩ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



আন্তরিক ধন্যবাদ। একদম পারফেক্ট বলেছেন। পাঁচ মিশালি যে কে, তা বুঝার বাকি নেই। ইনি পুরনো ভাঙ্গা ড্রাম। আগের পজিশনে চান্স হারিয়েছেন। তাই নতুন করে বাজাতে চাচ্ছেন। লাভ হবে না। কয়েক দিন একটু সুযোগ দিয়েছিলাম। আজ তাকে অনুরোধ করেছি। পরবর্তীতে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করলে অন্য পথে হাটবো।

আর রাজীব নুর লোক হিসেবে চমৎকার। তবে, ঘরেরটা এবং বাইরেরটা কোনোটাই ছাড়তে রাজি নন। সবটাই ধরতে চান। কুরআনের তাফসীরও লিখেও পোস্ট দেন, আবার পাঁচ মিশালির নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটাক্ষমূলক মন্তব্যেও সামান্য ব্যথিত হন বলে মনে হয় না।

কল্যানের দোআ।

৫| ২২ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪৩

মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: ধর্ম নিয়ে কটুক্তি কারো কারো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ঠান্ডা আর গরমে কারো কারো মাথায় প্যাঁচ লেগে যায়। ধর্ম বিরোধীদের হয়েছে সেই অবস্থা। বেশ কয়েকদিন যাবত গরম পরেছে তাতে করে কারো কারো মাথায় প্যাঁচ লেগে থাকতে পারে। আপনাদের মাথা ডান দিকে প্যাঁচ লেগেছে নাকি বাম দিকে? যে দিকে প্যাঁচ লেগেছে তার উল্টো দিকে লাটিমের মতো ঘুরতে থাকুন তাতে কাজে হলেও হতে পারে।

ধর্ম নিয়ে মজা করার বিষয় না। যাদের মজার অভাব তারা নিজ দায়িত্বে খাবলা খাবলা চিনি খেতে পারেন বেশী বেশী চিনি খেয়ে ডায়বেটিস আলসার হলে আমরা কেউ দায়ী নই।


২৩ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



গত কয়েক দিনের আচরণে কিছুটা বিরক্তি নিয়েই এই পোস্টে পাঁচ মিশালীর মন্তব্যগুলোর উত্তর দিয়েছিলাম। পরে, নিজের কাছে ভালো না লাগায় একটি প্রতিমন্তব্য সংশোধন করে পুনরায় দিয়েছি। তিনি কষ্ট পেয়ে থাকতে পারেন ভেবে তার কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি। আপনিসহ বাকি সকলের কাছেও ক্ষমা চাচ্ছি অনাকাঙ্খিত এসব ভুল-ভ্রান্তির জন্য।

আল্লাহ তাআ'লা আমাদের ছোট বড় সকল অপরাধ তাঁর অবারিত দয়ায় ক্ষমা করুন।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। সাথে থাকার জন্য এবং সত্যের পক্ষে থাকার জন্য।

৬| ২২ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
যদি সব সাগরের জল কালি হয়
যদি পৃথিবীর সব গাছ কলম হয়
আর যদি কিয়ামত তক হায়াতো হয়
তবু তাঁর গুনের এক ঝলক বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।

আমলে জিন্দেগীতে ফোটাও সে রং
যার দরকার সে খুঁজে নেবে দিয়ে জীবন।।

২৮ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ফিরে আসায় শুকরিয়া, প্রিয় ভাই। অনেক দিন আপনাকে মিস করেছি।

আপনার চমৎকার কাব্যিক এই মন্তব্যটি একটু ভিন্ন কথায় এভাবেও প্রকাশ করা যায়-

সপ্ত সাগর হইতো কালি,
বৃক্ষজগত আর কলম।
লিখতো যদি অনন্তকাল,
হইতো না তাঁর গুণ খতম।

এটা অবশ্য কুরআনের একটি আয়াতাংশের ভাবানুবাদ। আয়াতটি উদ্ধৃত করছি-

قُل لَّوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِّكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ أَن تَنفَدَ كَلِمَاتُ رَبِّي وَلَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهِ مَدَدًا

বলুনঃ আমার পালনকর্তার কথা, লেখার জন্যে যদি সমুদ্রের পানি কালি হয়, তবে আমার পালনকর্তার কথা, শেষ হওয়ার আগেই সে সমুদ্র নিঃশেষিত হয়ে যাবে। সাহায্যার্থে অনুরূপ আরেকটি সমুদ্র এনে দিলেও। -সূরা, আল কাহফ, আয়াত-১০৯

বলা বাহুল্য, অত্র আয়াতে মহান আল্লাহ তাআ'লার গুণগান বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না- সে কথাই বুঝানো হয়েছে। প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর মর্যাদা আল্লাহ তাআ'লার কাছে গোটা সৃষ্টির মধ্যে সবার চেয়ে বেশি- এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আমার ধারণা, আপনার কবিতার মূল ভাব অত্র আয়াতেরই প্রতিচ্ছবি।

অনেক অনেক শুভকামনা।

৭| ২২ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৩৮

মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যদি সব সাগরের জল কালি হয় যদি পৃথিবীর সব গাছ কলম হয় আর যদি কিয়ামত তক হায়াতো হয়
তবু তাঁর গুনের এক ঝলক বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। আমলে জিন্দেগীতে ফোটাও সে রং যার দরকার সে খুঁজে নেবে দিয়ে জীবন।।

সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ


২৮ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, শুকরিয়া। সফলতা ও কামিয়াবি একমাত্র প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর অনুকরণ এবং অনুসরণের মাঝেই।

৮| ২২ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৩৩

মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। আমাদের স্কুলের ধর্ম বইগুলোর কোথাও সুন্দর করে মহানবী (সঃ) এর গুণাবলীর উল্লেখ করা নাই। কোথাও গুরুত্ব দিয়ে বলা নাই, এইসব গুণাবলী কেন উত্তম ও অর্জন করা কেন দরকার। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় কোন সুলেখক দিয়ে ধর্ম বইগুলো যদি অনুলিখন করা যেত তাহলে সুখপাঠ্য হত। এমনিতে লেখাগুলো এতো বোরিং হয় যে, কেউ পড়ে বুঝার চেষ্টাই করে না এতে কি লেখা আছে।

২৮ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



চমৎকার মন্তব্য।

কৃতজ্ঞতাসহ অনেক অনেক শুভকামনা।

৯| ২২ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৪৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: পাঁচ-মিশালি কে, সেটা আমরা সবাই বুঝতে পেরেছি।
একটা জঘণ্য নরকের কীট নতুন নাম খুলে এই্সব অসভ্যতা শুরু করেছে, যে আগেও এধরণের অনেক লেখা লিখেছিলো।

২৮ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপনি ঠিক ধরেছেন। তিনি নতুন চেহারায় এসেছেন।

১০| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:১৯

এমেরিকা বলেছেন: পাঁচ-মিশালি, নুরুল ইসলা৬৪৪, সুসম এরকম আরো কিছু নিক আছে (বা একজনেরই মাল্টি) এদের কাজ হল মুসলিম ব্লগারদের কলিজাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া। ব্লগার রাজীব নুর যদিও নিজেকে নাস্তিক দাবি করে থাকেন, কিন্তু নাস্তিকের প্রায় সব বৈশিষ্ট্যই তার মধ্যে অনুপস্থিত। তিনি এখনও মন্তব্য করে কারো মেজাজ খারাপ করেন নি।

তবে এদের প্রশ্ন এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই। তাহলে তারা ভাববে, হেরে গিয়ে রণে ভঙ্গ দিয়েছেন।

১ নং মন্তব্যের জবাবঃ
রাসূল (স) কোন মহিলাকে হত্যা করার জন্য পাথর ছোঁড়েননি, বরং একজন ব্যভিচারীকে শাস্তি দেবার জন্য পাথর ছুড়েছিলেন। সেখানে মহিলার জায়গায় যদি একজন পুরুষ হত, তবে কি তিনি প্রশ্ন করতেন, পুরুষ হত্যা করা সুন্নত কিনা!

৩নং মন্তব্যের জবাবঃ
দাসী সম্ভোগ অবশ্যই সুন্নত হোত, যদি দাসপ্রথা থাকত, রাসূল (স) বিদায় হজ্বের ভাষণে দাসপ্রথা রহিত করে যান, যেটা পরবর্তী খলিফা আবু বকর (রা) কার্যকর করেন। খলিফা আবু বকর (রা) পরবর্তী সময়ে আর দাসী সম্ভোগের কোন দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে নেই। পরবর্তী কোন সময়ে যদি দাস প্রথা আবার চালু হয়, তখন হয়তো পাঁচ-মিশালীদের সামনে এই সুন্নত পালন করার একটা সুযোগ আসবে। আপাতত নেই।

২৮ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া, দীর্ঘ মন্তব্যে বিষয়গুলো আলোচনা করার জন্য।

অনেক অনেক ভালো থাকার প্রার্থনা।

১১| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।

২৮ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

১২| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।

২৮ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও ধন্যবাদ পুনরাগমনের চিহ্ণ রেখে যাওয়ায়।

১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





প্রিয় নবী চরিত্র নিয়ে লেখা পোষ্টটি সরাসরি প্রিয়তে গেল ।
৩ নং মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতি মন্তব্য অসাধারণ হয়েছে ।

একটি কথা অতি বিনয়ের সাথে বলতে চাই তা হল -
আমি বুঝতে পারি নতুন পোষ্ট লেখায় অতি ব্যস্ততার
কারণে আপনার পুরাতন এমনকি অতি সাম্প্রতিক পোষ্টে
থাকা পাঠকের কমেন্টের উত্তর দেয়ার জন্য সময় পান না।
পাঠকের মন্তব্যের উত্তর দেয়া না দেয়া সেটা একান্তই
আপনার অভিরুচী । কিন্ত একজন মন্তব্যকারী বেশ কয়েকবার
আপনার পোষ্টে গিয়ে দেখতে চান কষ্ট করে লেখা তার মন্তব্যটি আপনার
কাছে কেমন লাগল । মন্তব্যের উত্তর দেয়ার মত সময় পাওয়া না গেলে
অন্তত যে সমস্ত মন্তব্যগুলি আপনার কাছে ভাল লাগে সেগুলি মন্তব্যটির
উপরে থাকা লাইকের ঘরে একটি চিহ্ন রেখে গেলে মন্তব্যকারী সেটা
দেখে বুঝে নিবেন সেটা পোষ্ট দাতারই লাইক, অর্থাত মন্তব্যটি
পোষ্ট দাতার কাছে ভাল লেগেছে ( অবশ্য সেটা অন্য পাঠকেরো
হতে পারে, তবে সেরকম সম্ভাবনা খুবই কম ) তিনি সময়ের অভাবে
মন্তব্যটির উত্তর দিতে পারেননি । যাহোক অনভিপ্রেত কিছু
বলে ফেলেছি বলে অনুভুত হলে নীজ গুণে ক্ষমা করে দিলে
বাধিত হব ।

শুভেচ্ছা রইল

২৮ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,

পেছনের পোস্টগুলোর কিছু মন্তব্যের জবাব না দিতে পেরে আন্তরিকভাবে আমিও দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার আগমন এবং সুপরামর্শ আনন্দিত করেছে। চেষ্টা করবো, সময় করে ক্রমান্বয়ে পেছনের পোস্টগুলোতে গিয়ে প্রত্যুত্তর করে আসার জন্য।

দেশে বেড়াতে এলে জানাবেন ইনশাআল্লাহ। দেখা সাক্ষাৎ হলে অনেক ভালো লাগবে।

শুভকামনা জানবেন। আল্লাহ পাক আপনাকে সুস্থতার সাথে দীর্ঘায়ু করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.