নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

হে আলী! পাঁচটি কাজ না করে ঘুমাবে না... এটি হাদিস নয়

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২২

ছবিঃ অন্তর্জাল।

হে আলী! পাঁচটি কাজ না করে ঘুমাবে না... এটি হাদিস নয়

ছোটবেলা থেকে আমরা দেখে এসেছি, আমাদের দেশের গ্রাম গঞ্জে অনেকের বাড়িতে এ কথাগুলো পোস্টার সাইজের কাগজে লাল রঙে ছাপিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হতো। অনেক বাড়ির দেয়ালেও দেখা যেত এই পোস্টার। ছোটবেলা ফজিলতপূর্ণ এই কথাগুলো খুব মনযোগ দিয়ে পাঠ করতাম।

লোকমুখে প্রসিদ্ধ এবং উপরোল্লিখিত পোস্টারে ছাপানো সেই কথাগুলো হচ্ছে, আলী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আলী! তুমি পাঁচটি কাজ না করে ঘুমাবে না। কাজ পাঁচটি হল :

১. চার হাজার দিনার ছদকা দিয়ে ঘুমাবে।

২. এক খতম কুরআন তিলাওয়াত করে ঘুমাবে।

৩. জান্নাতের মূল্য দিয়ে ঘুমাবে।

৪. দু’ব্যক্তির মাঝের বিবাদ মিটিয়ে ঘুমাবে।

৫. একটি হজ্ব আদায় করে ঘুমাবে।

এ কথা শুনে আলী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! এ তো আমার জন্য দুঃসাধ্য কাজ। আমি কীভাবে এগুলো করতে পারি?

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

(১) ঘুমের সময় চার বার সূরা ফাতেহা পাঠ করলে তোমার আমলনামায় চার হাজার দিনার ছদকা করার সাওয়াব লেখা হবে।

(২) তিন বার কুলহুওয়াল্লাহ অর্থাৎ, সূরা ইখলাস পড়লে তোমার আমলনামায় এক খতম কুরআন পড়ার সাওয়াব লেখা হবে।

(৩) তিন বার দরূদ শরীফ পাঠ করলে জান্নাতের মূল্য আদায় হয়ে যাবে।

(৪) দশবার ইসতেগফার পড়লে বিবাদ মিটানোর সাওয়াব লাভ হবে।

(৫) চার বার কালেমায়ে তামজীদ পাঠ করলে এক হজ্বের সাওয়াব পাওয়া যাবে।

একথা শুনে আলী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি প্রতিদিনই এই আমল করে ঘুমাবো- ইনশাআল্লাহ!

বস্তুতঃ এটি হাদিস নয়, বরং ভিত্তিহীন একটি কথাঃ

উপরোক্ত কথাটির কোনো সূত্র নেই। নিছকই একটি ভিত্তিহীন বর্ণনা এটি। হাদিসের নির্ভরযোগ্য কোনো কিতাবে এই ধরণের বর্ণনার অস্তিত্ব পাওয়া যায় না।

আশ্চর্য্যের বিষয় হচ্ছে, এই কথাটি আরব-অনারব বলতে প্রায় সকলের মাঝেই প্রসিদ্ধ। কিন্তু এর দলিল ভিত্তিক কোনো ভিত্তি কিংবা প্রমান নেই। এ ধরনের ভিত্তিহীন বর্ণনা প্রচার করা গুনাহের কাজ। এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

সহিহ হাদিসের আলোকে বর্ণিত ফজিলত প্রচার করা সাওয়াবের কাজঃ

বলার অপেক্ষা রাখে না যে,, সূরা ফাতিহা, সূরা ইখলাস, দরূদ শরীফ, ইসতিগফার ইত্যাদির ফজিলত সহীহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। সেসব ফজিলতসমূহই মানুষের মাঝে প্রচার করা উচিত। এটা নিঃসন্দেহে সাওয়াবের কাজ। -ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়েমা ৩৭৮৯১, শায়েখ ছালেহ আল উছাইমিন

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইসলামে ফাঁকিবাজীর ফাইন্যান্সিয়াল অংকও আছে? ৪ বার ফাতেহা পড়া মানে ৪০০০ দিনর ছদকা দেয়া? এই ছদকার টাকাটা যারা পেলো, তারা কি বাতাস কিনবে সেই টাকায়?

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ইসলাম ধর্মের কাছেই তো অংক শিখলেন! এখন ভুলে গেলে চলবে দাদা!

গণিত শাস্ত্রে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানের উপর বিস্তর আলোচনা হতে পারে। এ বিষয়ে পৃথক বই রয়েছে। তবুও যদি কিছু মনে না করেন, অতি সংক্ষেপে বিষয়টা দেখে নিতে পারেন আরেকবার-

গণিত শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদানঃ

বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার মত গণিত শাস্ত্রেও মুসলমানদের অবদান অসাধারণ। যে সকল মনীষী এ শাস্ত্রে কালজয়ী অবদান রেখে গেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন আল-বিরুনী, নাসীরুদ্দীন তুসী, উমর খাইয়াম, আব্দুল্লাহ আল বাত্তানী ও মূসা আল খারিযমী প্রমুখ।

নাসিরুদ্দীন তুসী (১২০১-১২৭৪ খ্রি.)ঃ

মুসলিমদের গণিত চর্চায় মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন তুসি একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি ত্রিকোণমিতি, জ্যামিতি, জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রভৃতি শাস্ত্র সম্পর্কে ১৬টি গ্রন্থ রচনা করেন। ত্রিকোণমিতিকে জ্যোতির্বিজ্ঞান থেকে পৃথক করে এবং সমতল ও গােলাকার ত্রিকোণমিতি সম্পর্কে আলােচনা করে তিনি বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন।

আল-মাহানি ও আল-সারাকশিঃ

আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ বিন ঈসা আল-মাহানি ছিলেন পারস্যের বিখ্যাত গণিতবিদ। তিনি জ্যামিতি, ঘনসমিকরণ ও ত্রিকোণমিতি সম্পর্কে গ্রন্থ রচনা করেন এবং আল খাওয়ারিযমির উদ্ভাবিত ও প্রতিষ্ঠিত বীজগণিতের আধুনিকায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মুহাম্মদ বিন তৈয়ব আল-সারাকশি ত্রিকোণমিতির ওপর প্রথম পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ রচনা করে বিশেষ খ্যাতিলাভ করেন।

আল বিরুনী (৯৭৩-১০৪৮ খ্রি.)ঃ

আল-বিরুনী অংকশাস্ত্রে বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। তাঁর গ্রন্থ ‘আল-কানুন আল মাসউদী’ কে অংকশাস্ত্রের বিশ্বকোষ বিবেচনা করা হয়। এতে জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি, ক্যালকুলাস প্রভৃতি বিষয়ের সূক্ষ্ম, জটিল ও গাণিতিক সমস্যার বিজ্ঞানসম্মত চমৎকার আলোচনা করা হয়েছে। এ গ্রন্থেই তিনি পৃথিবীর পরিমাপ সম্পর্কে যে বর্ণনা দিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক সত্য হিসেবে তা প্রমাণিত এবং আজও সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

উমার খাইয়াম (১০১৯-১১৩৫ খ্রি.)

গণিতশাস্ত্রে মুসলিম মনীষীদের মধ্যে ওমর খৈয়াম সর্বাধিক প্রসিদ্ধ। ঘন সমীকরণ ও অন্যান্য উন্নততর সমীকরণের পদ্ধতিগত বিশ্লেষণ এবং সংজ্ঞানুসারে এগুলোর শ্রেণিবিন্যাস করে ওমর খৈয়াম বীজগণিতের উন্নতি সাধনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। পাটিগণিত ও জ্যামিতির ওপরও তিনি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। ওমর খৈয়াম গণিত বিষয়ে ২২টি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন। 'কিতাবুল জিবার' তার সর্বশ্রেষ্ঠ গণিত গ্রন্থ। এতে তিনি গণিতের সর্বজনীন সংজ্ঞা নিরূপণ করেন এবং দ্বিপদী, ক্রিপদী ও চতুর্পদী সমীকরণের শ্রেণিভেদ ও বিশ্লেষণের অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করেন। গণিতে তার সবচেয়ে মৌলিক অবদান হলাে জ্যামিতিক পদ্ধতিতে ত্রিঘাত সমীকরণের (Cubic equation) সমাধান করা। তিনিই প্রথম বীজগণিতের ভগ্নাংশীয় সমীকরণ সম্বন্ধে আলােচনা করেন। মুশকিলাত-ই-হিসাব তার অপর একটি বিখ্যাত গ্রন্থ।

মুহাম্মাদ ইবনে মূসা আল- খাওয়ারিযমীঃ

গণিত শাস্ত্রে সর্বাধিক বিখ্যাত মনীষী হচ্ছেন মুহাম্মাদ ইবনে মূসা আল- খাওয়ারিযমী। তাঁকে বীজগণিত তথা গণিত শাস্ত্রের জনক বলা হয়। তিনি বিজ্ঞান বিষয়ক বহু ভারতীয় ও গ্রিক গ্রন্থ আরবীতে অনুবাদ করে মুসলমানদের বিজ্ঞান চর্চার পথ সুগম করে দিয়েছিলেন।

জ্যোতিষশাস্ত্র বিষয়ে সংস্কৃত ভাষায় রচিত “সিদ্ধান্ত” গ্রন্থটি তিনি আরবীতে অনুবাদ করেন। তিনি এবং তাঁর কয়েকজন ভূতত্ত্ববিদ সাথী মিলে “সূরত আল আরদ” বা বিশ্বের একটি বাস্তবরূপ প্রস্তুত করেছিলেন। এটাই পরবর্তীকালে বিশ্বের মানচিত্র অঙ্কনের মডেল হিসেবে গৃহীত হয়েছিল। ভূগোলবিদগণ পৃথিবীকে যে সাতটি মহাদেশে বিভক্ত করেছেন তা খাওয়ারিযমীর বর্ণিত সপ্ত ইকলীমের ভিত্তিতেই বিশ্বের মানচিত্র অঙ্কন, বিশ্বের পরিধি নির্ণয়, অক্ষরেখা, দ্রাঘিমা এবং জ্যোতিবির্দ্যা ইত্যাদি ব্যাপারে তাঁর গবেষণালব্ধ জ্ঞানই পরবর্তীতে এ বিষয়ে পথিকৃতের কাজ করে।

বীজ গণিতের সর্ব প্রথম আবিষ্কারক আল-খাওয়ারিযমীঃ

বীজ গণিতের সর্ব প্রথম আবিষ্কারক আল-খাওয়ারিযমী। এ বিষয়ে তাঁর রচিত “হিসাব আল্ –জাবর ওয়াল মুকাবিলাহ” গ্রন্থের নামানুসারে এ শাস্ত্রকে ইউরোপীয়রা “আলজেবরা” নামকরণ করে। খাওয়ারিযমীর এ গ্রন্থে আট শতাধিক বিভিন্ন ধরনের উদাহরণ সন্নিবেশিত হয়। সমীকরণকে সমাধান করার প্রায় ছয়টি নিয়ম তিনি আবিষ্কার করেন। খাওয়ারিযমীর গ্রন্থটি দ্বাদশ শতাব্দীতে ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয়। মজার বিষয় হচ্ছে, তখন থেকে ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ ও প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে পঠিত হয়।

পাটিগণিত বিষয়েও তিনি একটি বিখ্যাত গ্রন্থ রচনা করেছিলেন, যা পরবর্তীতে ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয়েছিল। বর্তমান যুগ পর্যন্ত গণিতবিদ্যার যে উন্নয়ন এবং এর সহায়তায় বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অভাবনীয় যে উন্নতি ও আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে তাঁর মূলে আল্ –খারিযমীর উদ্ভাবিত গণিত বিষয়ক নীতিমালারই সবচেয়ে বেশী অবদান রয়েছে।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আস্তে আস্তে দেখা যাবে সব হাদীস ই নকল। বানোয়াট।
পৃথিবী যত এগিয়ে যাবে, লোকজনের হাদীস থেকে বিশ্বাস উঠে যাবে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি দোআ করতে থাকেন, দেখেন, সব হাদিস কোনো দিন নকল ঘোষিত হয়ে যায় কি না।

হাদিস থেকে লোকজনের বিশ্বাস উঠে গেলে অনেকের আনন্দের কারণটা বুঝে আসে না। বিয়ে শাদি, জানাজা, কবর দেয়া, মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়া ইত্যাদি জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজই তো এই হাদিস অনুসারেই তারা করে থাকেন। আজব পৃথিবীর ততোধিক আজব মানুষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.