নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
যে আমলে জান্নাত মেলে
কুরআনুল হাকিমে ইরশাদ হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন,
وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ ۚ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ
‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব, যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে তারা অচিরেই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হয়ে।’ -সুরা মু’মিন : আয়াত ৬০
হাদিসেও সকল ইবাদতের মূল বলা হয়েছে দুআকে। দুআকে ইবাদতের মগজের সাথে তুলনা করা হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার কাছে যারা দুআ করে না, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাদের পছন্দ করেন না। দুআর মাধ্যমে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। সমাধান করা যায় পার্থিব এবং পারলৌকিক যে কোনো সমস্যা। সব কিছুর মালিক মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা। তাই সব বিষয়ে তাঁর কাছেই সাহায্য চাওয়া উচিত। তাঁর কাছে চাইলে তিনি খুশি হন। তিনি সকল দয়ালুর বড় দয়াবান। তাঁর চেয়ে বড় দয়াশীল আর কেউ নেই। তাঁর রহমতের ধারা নিত্য নিয়ত বহমান। পৃথিবী এবং এই মহাবিশ্বের বিকশিত সকল সৌন্দর্য্য তাঁরই করুনার অপরূপ অপার বহিঃপ্রকাশ। বান্দা যখন নিরুপায় হয়ে, বিপদে আপদে, ব্যথা কষ্টে কাতর হয়ে, অত্যাচারিত মাজলূম হয়ে, অসুস্থতা অপারগতায় ভগ্ন হৃদয়ে আকুল আকুতিতে তাঁর দরবারে হাত উঠায় তিনি ফেরাতে পারেন না। প্রার্থিত বস্তু দিয়ে দেন তাকে। জান্নাতপ্রাপ্তি বান্দার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। বান্দার জন্য এরচেয়ে বড় আর কোনো নেআমত হতে পারে না। জান্নাতী বান্দারাই লাভ করতে সক্ষম হবেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার দিদারের অনন্য অতুলনীয় নেআমত। এখানে এমন কিছু দুআ তুলে ধরা হলো, যেগুলোর মাধ্যমে জান্নাতলাভের সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে আমাদের।
জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায় যে দুআ পাঠেঃ
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- হযরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি পড়বে 'রদিতু বিল্লাহি রব্বাউঁ ওয়া বিল ইসলামী দ্বিনাউঁ ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাঁও ওয়া রাসুলা', তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। -আবু দাউদ, হাদিস নং: ১৫২৯
আরবি দুআ : رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا
বাংলা উচ্চারণ : ‘রদিতু বিল্লাহি রব্বাউঁ ওয়া বিল ইসলামী দ্বীনাউঁ ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাঁও ওয়া রাসুলা’।
অর্থ : আমি আল্লাহ তাআ'লাকে রব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রাসূল হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট।
অপর বর্ণনায় রয়েছে, যে ব্যক্তি সকাল-বিকেল তিনবার এই দুআ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআ'লা তার সাওয়াব বৃদ্ধির দ্বারা তাকে সন্তুষ্ট করবেন। -তিরমিজি : ২/১৭৬
সাওয়াব অর্জনে শ্রেষ্ঠত্বলাভের দুআঃ
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ১০০ বার 'সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি' পড়বে, কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশি সাওয়াব নিয়ে কেউ আল্লাহর দরবারে হাজির হতে পারবে না। তবে যারা এই দুআর আমল করে, তারা ছাড়া। -মুসলিম, হাদিস : ২৬৯২
আরবি উচ্চারণ : سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ
তাসবীহটির বাংলা উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি’।
অর্থ : আল্লাহ পবিত্র এবং সমস্ত প্রশংসা তাঁরই।
এই তাসবীহ/ দুআর অর্থ এভাবেও বর্ণনা করা যায়, আমি আল্লাহ তাআ'লার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি।
অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- যে ব্যক্তি সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠে ১০০ বার বলবে ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ এবং সন্ধ্যায় উপনীত হয়েও অনুরূপ বলবে, সৃষ্টিকুলের কেউ তার সমপরিমাণ মর্যাদা ও সাওয়াব অর্জন করতে পারবে না। -আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৯১
আরবি উচ্চারণ : سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ
তাসবীহটির বাংলা উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’।
অর্থ : আল্লাহ পবিত্র, মহান-শ্রেষ্ঠতর। সকল প্রশংসা তাঁরই।
যে দুআ পাঠকারীর জন্য জান্নাতে রোপণ করা হয় বৃক্ষঃ
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- হযরত জাবির রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হয়। -তিরমিজি, হাদিস নং ৩৪৬৪
আরবি উচ্চারণ : سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ
তাসবীহটির বাংলা উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’।
অর্থ : আল্লাহ পবিত্র, মহান-শ্রেষ্ঠতর। সকল প্রশংসা তাঁরই।
আমলের পাল্লা ভারী হয়ে উঠবে যে দুআর বরকতেঃ
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-
وعنه قال: قال رسول اللٰه ﷺ: «كلمتان خفيفتان على اللسان ثقيلتان فى الميزان حبيبتان إلى الرحمٰن: سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم». (متفق عليه)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা বলা সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী, আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ -বুখারি, ৬৬৮২, মুসলিম ২৬৯৪, তিরমিযী ৩৪৬৭, ইবনু মাজাহ ৩৮০৬, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৪১৩, আহমাদ ৭১৬৭, শু‘আবূল ঈমান ৫৮৫, ইবনু হিববান ৮৪১, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ৮, সহীহ আত্ তারগীব ১৫৩৭, সহীহ আল জামি‘ ৪৫৭২, মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ২২৯৮
আরবি দুআ : سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم
বাংলা উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।’
অর্থ : মহান আল্লাহ পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা তাঁরই, মহান আল্লাহর পবিত্রতা, যিনি শ্রেষ্ঠতর।’
অপর এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- হযরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত : রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার পড়বে—‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলক ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদির’, সে ১০ টি গোলাম মুক্ত করার সমান সাওয়াব পাবে। তার জন্য ১০০ সাওয়াব লেখা হবে এবং তার ১০০ গুনাহ মিটিয়ে ফেলা হবে। ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান থেকে নিরাপদ থাকবে। কেউ তার চেয়ে উত্তম সওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ওই ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে এর চেয়ে ওই দুআটির আমল বেশি পরিমাণ করবে। -বুখারি, হাদিস : ৩২৯৩
আরবি দুআ : لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكَ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْر
বাংলা উচ্চারণ : ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদির’।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তাঁরই জন্য, আর তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান।
প্রিয় নবীজীর প্রিয় দুআঃ
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- হযরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমি বলি, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ পড়া আমার কাছে সেসব বিষয়ের চেয়ে বেশি প্রিয়, যার ওপর সূর্য উদিত হয়েছে (অর্থাৎ, দুনিয়া ও দুনিয়ার সব কিছু থেকে বেশি প্রিয়)। -মুসলিম, হাদিস : ৬৭৪০
আরবি উচ্চারণ : سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ للهِ، وَلَا إلَهَ إلّا اللهُ، وَاللهُ أكْبَر
বাংলা উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’
অর্থ : ‘আল্লাহ পবিত্র, সব প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহ মহান।’
সাওয়াব অর্জনে ধনীদের দান-সদকার সঙ্গে পাল্লা দিতে সক্ষম যে দুআর পাঠকঃ
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, দরিদ্র লোকেরা রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে এসে বলল, সম্পদশালী ও ধনী ব্যক্তিরা তাদের সম্পদের দ্বারা উচ্চ মর্যাদা ও স্থায়ী আবাস লাভ করছেন, তাঁরা আমাদের মতো সালাত আদায় করছেন, আমাদের মতো সিয়াম পালন করছেন এবং অর্থের দ্বারা হজ, উমরাহ, জিহাদ ও সদকা করার মর্যাদাও লাভ করছেন। এ কথা শুনে তিনি বলেন, আমি কি তোমাদের এমন কিছু কাজের কথা বলব, যা তোমরা করলে যারা নেক কাজে তোমাদের চেয়ে অগ্রগামী হয়ে গেছে, তাদের পর্যায়ে পৌঁছুতে পারবে? তবে যারা পুনরায় এ ধরনের কাজ করবে তাদের কথা স্বতন্ত্র। তোমরা প্রত্যেক সালাতের পর ৩৩ বার করে سُبْحَانَ اللهِ ‘সুবহানাল্লাহ’, الْحَمْدُ للهِ، ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং اللهُ أكْبَر ‘আল্লাহু আকবার’ পাঠ করবে। -বুখারি, হাদিস : ৮৪৩
সব চাওয়া পূর্ণ হয় যে দুআয়ঃ
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- হযরত আনাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সঙ্গে বসা ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি নামাজ আদায় করে এই বলে দুআ করল, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লা আংতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়্যুম।’ নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এই ব্যক্তি ইসমে আজম দ্বারা দুআ করেছে, যে নামে ডাকলে তিনি সাড়া দেন এবং যে নামে তাঁর কাছে চাওয়া হলে তিনি দান করেন। -আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৯৫
আরবি উচ্চারণ : للَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ، الْمَنَّانُ، يَا بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লা আংতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়্যুম।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি। আপনিই তো সকল প্রশংসার মালিক, আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। আপনি দয়াশীল। আপনিই আকাশসমূহ ও পৃথিবীর একমাত্র সৃষ্টকর্তা! হে মহান সম্রাট ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী, হে চিরঞ্জীব, হে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।’
শ্রেষ্ঠতম জিকির লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহঃ
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হযরত জাবির রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির হলো لَا إلَهَ إلّا اللهُ، ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’ -তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৮৩
শেষের কথাঃ
এখানে সামান্য কিছু দুআ, তাসবীহ এবং প্রার্থনা বাক্য তুলে ধরা হলো। এ ছাড়া হৃদয়াগ্রাহী অনেক দুআ ও তাসবীহ হাদিসের বিভিন্ন কিতাবে সহিহ সনদে বর্ণিত হয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা যায়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের প্রত্যেককে তাঁর নিকট প্রার্থনায় রত হওয়ার, নত এবং বিনীত হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমাদের দুনিয়া এবং আখেরাতের জীবন হেদায়েতের আলোয় আলোকোজ্জ্বল এবং প্রভাদীপ্ত করুন।
২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। বিশ্বাসীদের জন্য এই পোস্ট।
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: এই লোকটাকে চিনেন? একে নিয়ে লিখুন।
২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
না চেনার কিছু নেই। তাকে নিয়ে আপনি লিখেন।
ধন্যবাদ।
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: জান্নাতে আমি যাবো না। হুর এবং শুধু খাওয়া আর আরাম আয়েশ আমার পছন্দ না। এর চেয়ে দোজক ভালো।
২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
হুরের চিন্তায় আপনাকে অস্থির মনে হচ্ছে। এত টেনশন নেন কেন? জান্নাত তো এমনই স্থান যেখানে আপনি যা চাবেন তাই দেয়া হবে। হুর ভাল না লাগলে ফেরত দিবেন। অথবা, নিবেন না। সমস্যা কোথায়?
ধন্যবাদ।
৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৫
অগ্নিবেশ বলেছেন: দু চাইরজন বিশ্বাসীদের জাহান্নামের পথ দেখানোর আশায়
আপনার পোষ্টে হানা দিই, যাই হোক ঠাণ্ডা মাথায় উত্তর দেওয়ার
জন্য আপনাকে ভালো লাগে।
ব্যাপারটা এই রকম হলে বেশী মানবিক হইত।
সৎ কাজের জন্য বেহস্ত, অসৎ কাজের জন্য জাহান্নাম।
তাইলে আমারো হয়ত একটা চান্স ছিল কিন্ত বেহস্তের আশায় তেল মর্দন,
পদলেহন?? তাও আরবিতে , ব্যাপারটা ঠিক নেওয়া যায় না।
২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
সর্বোপরি লোক আপনি জ্ঞানী। এই কারণে মাঝেমাঝে মতের বিপরীতে গেলেও আপনারেও ভালা পাই।
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০০
অগ্নিবেশ বলেছেন: তেলে কাজ হয় অনুভব করলাম। কিন্ত সর্বশক্তিমানের উপর এই মানবিক দোষাবলী আরোপ করা কি ঠিক? ধন্যবাদ।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
এটা নতুন এমন কি?
তেলে কাজ হয় বলেই তো আপনিও আবার ফিরে এসে এই মন্তব্য রেখে গেলেন!
দাদা, আসলে কাজটা কিন্তু সর্বশক্তিমানের উপর মানবিক দোষাবলী আরোপ করা নয়; বরং বলতে পারেন, মানুষ সর্বশক্তিমানের সাহায্য এবং অভিপ্রায়ে কিছু গুণাবলী ধারণ করার চেষ্টা করেছিল যেগুলোকে আমরা মানবিক চরিত্র, মানবিক গুণাবলী ইত্যাদি অভিধায় বিশ্লেষন করে থাকি।
আবারও ধন্যবাদ।
৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৫
শোভন শামস বলেছেন: মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হউন, আমিন
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আমিন।
শুভকামনা।
৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: রমজানে সবাই সহি শুদ্ধ হবে । আল্লাহ মাপ মোছন করুণ
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আমিন।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জান্নাত কি এই পৃথিবীতেই হবে?
নাকি অন্য কোন খানে?
একটু বিস্তারিত জানালে আমি খুবই উপকৃত হবো।
অনেকেই সঠিক তথ্য দিতে পারে না।
অথচ জানতে মন চায়।
আশা করি আমি নিরাশ হবো না।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।
আপাততঃ আপনার প্রশ্নের উত্তরটা দিতে পারছি না বলে দুঃখিত! পরবর্তীতে সম্ভব হলে দেয়ার ইচ্ছে থাকলো। তবে, জান্নাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনি নিচের লিঙ্কযুক্ত বইটি পড়ে দেখতে পারেন-
Jannater Bornona - Iqbal kilani
৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যাকে জাহান্নামে নিবেন আল্লাহ তাকে দিয়ে জাহান্নামের কাজই করিয়ে নেন, আর যাকে জান্নাতে নিবেন তাকে দিয়ে জান্নাতের কাজই করিয়ে নেন।কোরান হাদিসের কথা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
আমরা নেক আমল কেন করবো? কারণ, যাকে জাহান্নামে নিবেন আল্লাহ তাকে দিয়ে জাহান্নামের কাজই করিয়ে নেন, আর যাকে জান্নাতে নিবেন তাকে দিয়ে জান্নাতের কাজই করিয়ে নেন। বিষয়টি এমন নয় কি?
অথবা, জান্নাত কিংবা জাহান্নামের যে কোনো একটি কি প্রত্যেক মানুষের জন্য আগে থেকেই নির্ধারিত? যদি নির্ধারিত হয়ে থাকে তাহলে নেক আমলের প্রয়োজন কি?
আপনার প্রশ্নটার মূল কথা সম্ভবতঃ আমি বুঝতে পেরেছি। চলুন, দেখি বিষয়টি একটু বুঝার চেষ্টা করি। আল্লাহ তাআ'লাই একমাত্র তাওফিকদাতা।
আপনার প্রশ্নটা আসলে তাকদির বা ভাগ্য নিয়ে। আপনি বলতে চাচ্ছেন যে, আল্লাহ তাআ'লা মানুষের ভাগ্য যদি পূর্বেই লিপিবদ্ধ করে দিয়ে থাকেন, তাহলে বান্দার কি দোষ?
বস্তুতঃ যুগে যুগে অবিশ্বাসী এবং সংশয়বাদী অনেকেই এই যুক্তি দেখাতো। অবিশ্বাসী এবং সংশয়বাদীগণ কোনো খারাপ কাজ করে বলতো, 'আল্লাহ চেয়েছেন বলেই আমরা অমুক কাজটা করি। তাঁর ইচ্ছাতেই আমরা এই মূর্তিগুলোর পূজা করছি। আল্লাহ যদি আমাদের মূর্তিপূজাকে অপছন্দ করতেন, তাহলে নিশ্চয়ই তিনি আমাদেরকে বাঁধা দিতেন।' নাউযুবিল্লাহ
প্রকৃতপক্ষে, এর দ্বারা আসলে তারা নিজেদের পাপ কাজকে আল্লাহর উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের দুষ্কর্মের দায়িত্ব এড়াতো চাইতো। সৃষ্টির ইতিহাসে প্রথম এই কাজটি করেছিলো ‘ইবলিশ’ শয়তান। আল্লাহ তাআ’লা যখন সমস্ত ফেরেশতাসহ ইবলীসকে আদেশ করলেন, 'তোমরা আদমকে (সম্মান সূচক) সিজদাহ করো'। তখন ইবলীস শয়তান নিজের ইচ্ছায় অহংকার প্রদর্শন করে আল্লাহর আদেশ অস্বীকার করে পথভ্রষ্ট হয়ে যায়। এরপরেও সে তাওবা না করে এর জন্যে বরং আল্লাহ তাআ'লাকেই দায়ী করে। লক্ষ্য করে দেখুন, কি বলেছিল ইবলীস তখন! সে বলেছিলো, 'হে আমার পলনকর্তা! আপনি যেমন আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তাদের (আদম আলাইহিস সালাম ও তাঁর বংশধরদের) সবাইকে পৃথিবীতে নানা সৌন্দর্য্যে আকৃষ্ট করব এবং তাদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করে দেব।' -সুরা আল-হিজরঃ ৩৯
একইভাবে, মক্কার কাফের মুশরিকরাও শিরক এবং পাপাচারে লিপ্ত হয়ে নিজেরা অপকর্ম করে আল্লাহর উপরে দায় চাপিয়ে দিতো। আল্লাহ তাআ’লা বলেন, 'এখন এই মুশরিকরা বলবে যে, যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন, তবে না আমরা শিরক করতাম, না আমাদের বাপ দাদারাও শিরক করতো এবং না আমরা কোন (হালাল) বস্তুকে হারাম করতাম। এমনিভাবে তাদের পূর্ববর্তীরাও মিথ্যারোপ করেছে, এমন কি তারা আমার শাস্তি আস্বাদন করেছে। (হে নবী!) আপনি তাদেরকে বলুন, তোমাদের কাছে কি কোন প্রমাণ আছে যা আমাদেরকে দেখাতে পার? তোমরাতো শুধুমাত্র আন্দাজের অনুসরণ কর এবং তোমরা শুধু অনুমান ভিত্তিক কথা বল।' -সুরা আল-আনআ’মঃ ১৪৮
এখানে কাফেররা শিরক করা অবস্থায় দাবী করতো, আল্লাহ ইচ্ছায় আমরা শিরক করছি। আল্লাহ তাদেরকে মিথ্যাবাদী ঘোষনা করে বলেছেন যে, তাদের পূর্ববর্তীরাও আল্লাহর উপরে এমন মিথ্যা আরোপ করার কারণে শাস্তি পেয়েছিলো।
বাস্তব উদাহরণঃ কারো জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, সুখ, দুঃখ, রিযিক ইত্যাদি সবকিছুই তাক্বদীর হিসেবে আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। কিন্তু কেউ যদি আত্মহত্যা করে, এটাও কি তার তাক্বদীরের অংশ?
উত্তরঃ হ্যা, এটাও তাকদীরের অংশ। প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে বান্দার কি দোষ?
উত্তরঃ তাক্বদীরের অংশ, কথাটার অর্থ হচ্ছেঃ সে কোন কাজের জন্যে ইচ্ছা করেছে, আল্লাহ তার সেই ইচ্ছায় বাঁধা দেননি। সে যা করতে চেয়েছে, সেটাতে আল্লাহর ইচ্ছা ছিলো এবং লাওহে মাহফুজ, যেখানে সমস্ত কিছু লিপিবদ্ধ আছে, সেখানে তা পূর্ব থেকেই লিখে রেখেছেন। কিন্তু আল্লাহ তার উপর এই কাজটা চাপিয়ে দেননি। বরং, তাকে আল্লাহ আদেশ করেছেন, 'আত্মহত্যা করো না, এটা মহাপাপ এবং এর জন্যে কঠোর শাস্তি রয়েছে। মহান আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “তোমরা নিজেদের জীবন ধ্বংস করে দিওনা।' -সুরা আল-বাক্বারাহঃ ১৯৫
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরো বলেছেন, 'আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। এবং যে কেউ জুলুম করে, অন্যায়ভাবে উহা (আত্মহত্যা) করবে, আমি অবশ্যই তাকে অগ্নিতে পুড়াবো, আল্লাহর পক্ষে তা খুব সহজসাধ্য।' -সুরা আন-নিসাঃ ২৯-৩০
যারা আল্লাহর এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আত্মহত্যা করবে, তাদের শাস্তি কি হবে সে সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
(ক) আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'যে ব্যক্তি নিজেকে পাহাড়ের উপর থেকে নিক্ষেপ করে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের মধ্যে সর্বদা ঐভাবে নিজেকে নিক্ষেপ করতে থাকবে।'
(খ) যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে সেও জাহান্নামের মধ্যে সর্বদা ঐভাবে নিজ হাতে বিষপান করতে থাকবে।
(গ) যে কোন ধারালো অস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করেছে তার কাছে জাহান্নামে সে ধারালো অস্ত্র থাকবে, যার দ্বারা সে সর্বদা নিজের পেটকে ফুঁড়তে থাকবে।
ঘ) আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে, সে ব্যক্তি জাহান্নামে অনুরূপভাবে নিজ হাতে ফাঁসির শাস্তি ভোগ করতে থাকবে। আর যে বর্শা ইত্যাদির আঘাত দ্বারা আত্মহত্যা করে, জাহান্নামেও সে সেইভাবে নিজেকে শাস্তি দেবে।
(ঙ) হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'তোমাদের পূর্বেকার এক লোক আহত হয়, সে ব্যথা সহ্য করতে পারছিলো না। তাই সে একখানা ছুড়ি দিয়ে নিজের হাত নিজেই কেটে ফেলে। এরপর রক্তক্ষরণে সে মারা যায়। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা নিজেকে হত্যা করার ব্যাপারে বড় তাড়াহুড়া করে ফেলেছে। তাই আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।'
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে আল্লাহ তাআ’লা আত্মহত্যা করতে নিষেধ করেছেন, করলে কি শাস্তি হবে সেটা কুরআন হাদিসে বিস্তারিত বর্ণনা করে বান্দাদেরকে সতর্ক করেছেন। কঠিন কঠিন শাস্তির ভয়ও প্রদর্শন করেছেন এই কাজের জন্য। কিন্তু এরপরেও কেউ যদি এটা করতে ইচ্ছা করে, আল্লাহ তাকে সেই সুযোগ দিয়েছেন, তাকে বাঁধা দেননি। এর দ্বারা আল্লাহ আসলে বান্দাকে পরীক্ষা করছেন, যেমনটা তিনি কুরআনে উল্লেখ করেছেন,
'পূণ্যময় তিনি, যাঁর হাতে রাজত্ব, তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান। যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবনকে, যাতে করে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন, তোমাদের মধ্যে কে কর্মের দিকে থেকে উত্তম? আর তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়।' -সুরা আল-মুলকঃ ১-২
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমার দুটা মন্তব্যের উত্তর মনে হচ্ছে- বিরক্ত হয়ে দিয়েছেন?
১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
স্কুলে পড়ার সময় " দোযখের আযাব ও বেহেস্তের শান্তি" নামে একটি বই পড়েছিলাম।
আপনার দেয়া বইটিও অনেকটা সেই বইটার মতো মনে হচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ একটি বই দেয়ার জন্য।
প্রবাসে বাংলা বই পড়তে পারা ভাগ্যের ব্যাপার।
আপনি ভালো থাকুন সব সময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩২
অগ্নিবেশ বলেছেন: একজন জাহান্নামীর দৃষ্টিতে পোষ্টের সার সংক্ষেপ,
সৃষ্টিকর্তার প্রচুর তেলের প্রয়োজন, তাকে তেল দিতে হবে না দিলে প্রথমে লোভ দেখাবেন, কাজ না হলে ভয় দেখাবেন।
এক্ষত্রে ধার্মিকদের কিছু করার নেই, তারা জাহান্নামীদের হেদায়েদ দিতে অক্ষম, কারন জাহান্নামে কারা যাবেন, মহান আল্লাহ আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছেন।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।