নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাড়ি, লুঙ্গি, টাকা আনতে গিয়ে প্রচলিত প্রথায় পদপিষ্ঠ হয়ে লাশ হয়ে ফিরে আসা নয়; যাকাত আদায়ে চাই সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি

০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ২:৪৪

ছবিঃ অন্তর্জাল।

শাড়ি, লুঙ্গি, টাকা আনতে গিয়ে প্রচলিত প্রথায় পদপিষ্ঠ হয়ে লাশ হয়ে ফিরে আসা নয়; যাকাত আদায়ে চাই সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি

যাকাত দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে আমাদের দেশে অনেক কিছু হয়। প্রায় হর বছরই এ নিয়ে নানারকম দুঃখজনক ঘটনাও সংঘটিত হতে দেখা যায়। এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনাপ্রবাহের পেছনে রয়েছে নানান কারণ। যাকাতদাতাদের কেউ কেউ মনে করেন তারা দরিদ্র, অসহায় এবং অভাবী লোকদেরকে যাকাতের নামে ১ টি শাড়ি কিংবা ১ টি লুঙ্গি অথবা সামান্য কিছু টাকা দিতে পেরে বিশাল কিছু করে ফেলেছেন। তাদের ভাবখানা এমনই, যাকাতের নামে শাড়ি, লুঙ্গি বা সামান্য ক'টা টাকা দেয়ার এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে তারা এতটাই উদারতা এবং বদান্যতার হাত সম্প্রসারিত করেছেন যে, হতদরিদ্র, অসহায় এবং অভাগা এসব লোকজন তখন আর তাদের কাছে মানুষ বলেই মনে হয় না। বড় জোড় নিচু শ্রেণির ক্রয়কৃত গোলাম বা ক্রীতদাস মনে হতে পারে। তো, নিচু জাতের এমন দু'চারটে ক্রীতদাস পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে মারা গেলে তা কি এমন আহামরি ঘটনা! কি এমন হা-হতোম্মি করার মত বড় কোনো শোক-দুঃখ প্রকাশক অঘটন!

যাকাতগ্রহীতারা ব্যবসার পণ্যতুল্যঃ

টাকাওয়ালাদের কেউ কেউ এই হাত পাতা লোকগুলোকে ব্যবসার পণ্যও বানিয়ে নেন। যাকাত প্রদানের নামে বিশাল ফটো সেশনের আয়োজন করেন। ক্যামেরাবাজি করেন। ঈদ-পার্বনে এদের হাতে শাড়ি, লুঙ্গি বা সামান্য ক'টা টাকা দেয়ার ছবি, ভিডিও ধারণ করেন। ক্যামেরাবন্ধি করেন এদের উস্কু খুস্কু শুকনো মুখগুলোকে। এরপরে সারা বছর ধরে চলে তার প্রদর্শন আর সাথে সাথে চলতে থাকে ব্যবসার ধান্ধা। লোকেরা আসলে তাদেরকে এসব যাকাত প্রদানের অনুষ্ঠানের ছবি ভিডিও দেখানো হয়। তারা এগুলো দেখেই কপালে হাত দেন। ওরে বাপরে বাপ! এত মানুষকে যাকাত দেয় যে লোক তার মত এতবড় ভালো মানুষ কি আর হতে পারে? এত এত লোককে যাকাত দেয়া চাট্টিখানি কথা না। তার সম্পদ যেন তেন নয়। নিশ্চয়ই অগাধ সম্পত্তির মালিক তিনি। তার এখানে বিনিয়োগ করতে সমস্যা নেই। বিদেশী দাতারা এসব ছবি, ভিডিও দেখেই যে অনুদানের মাত্রা বাড়িয়ে দিতেন- তাতে আর সন্দেহের কি আছে?

যাকাত গ্রহণ করে আপনাকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছেন বলে দরিদ্রদের প্রতিই বরং আপনার কৃতজ্ঞ হওয়া প্রয়োজনঃ

বলি, প্রিয় ভাই, আপনি যদি সত্যিকারার্থে একজন যাকাতদাতা হয়ে থাকেন। আপনার যদি যাকাতদানের মত সম্পদ থেকে থাকে তাহলে দায় ঠেকা তো আপনি। সম্পদ আপনার। সেই সম্পদের যাকাত দেয়ার দায়িত্বও তো আপনার। গরিব, অসহায় এবং হতদরিদ্রদের আপনি কৃপা করছেন- এটা মনে করার অর্থ নেই। তাদের প্রতি বরং আপনার কৃতজ্ঞ হওয়া প্রয়োজন এই জন্য যে, তারা আপনার আশপাশে আছেন বলেই আপনি আপনার ফরজ একটি ইবাদত সঠিকভাবে এবং সহজেই পালন করতে পারছেন। জাহান্নামের আগুন থেকে তারা আপনাকে বাঁচিয়ে দিচ্ছেন বলে।

অতএব, তারা আপনার দ্বারে দ্বারে ঘুরে যাকাত গ্রহণ করবে- বিষয়টি মোটেই এমন হওয়ার কথা ছিল না। আপনি নিজের মাথায় বোঝা বহন করে তাদের ঘরের দরজায় যাকাতের শাড়ি, লুঙ্গি বা টাকা কিংবা মালামাল পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমরা কি সেটা করি? করছি আদৌ?

যাকাত আপনি কাকে দিবেন?

যাকাত আপনি কাকে দিবেন? যাকে তাকে কিছু টাকা পয়সা ধরিয়ে দিলেই কি যাকাত আদায় হয়ে যাবে? যাকাত তো দিতে হবে প্রথমে নিজের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে যারা অভাবগ্রস্ত তাদেরকে। অগ্রাধিকার তো তাদেরকেই দিতে হবে। এরপরে অন্যান্য গরীব মিসকিনদের দেয়া যাবে, যাদের সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানা আছে।

নামধারী গরীবদের যাকাত নয়ঃ

এখানে একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, আমাদের দেশে অক্ষম গরীব নামধারী এক শ্রেণীর সক্ষম বিত্তবান ব্যক্তিও গরীব মিসকিনদের বেশে ভিক্ষুক সেজে প্রকৃত গরীবদের অধিকারে ভাগ বসাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিনা পরিশ্রমে এই পেশা এখন বেশ ভালই জমে উঠেছে। কাজেই এ ধরণের ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করার প্রয়োজনে যাকাত প্রদানকারীকে অধিক সতর্ক থাকতে হবে।

বর্তমান বাজারে টাকার অংকে যাকাতের নেসাব কত?

বর্তমান বাজার হিসেবে ৫৮,১৭০/= (আটান্ন হাজার একশত সত্তর টাকা) হল যাকাতের নেসাব। জেনে রাখা প্রয়োজন যে, এই পরিমাণ যাকাত একজনকে দেয়া জায়েজ হবে না। কিন্তু ১ টি করে শাড়ি লুঙ্গি ইত্যাদি দেয়ার মাঝে যাকাতের তেমন কোনো সামাজিক ফায়দা পরিলক্ষিত হয় না। একজন সত্যিকারের অভাবী এবং অসহায় মানুষের একটি কর্মসংস্থান হয়ে যায় এই পরিমান অর্থ তাকে যাকাতের মাধ্যমে দেয়া হলে সেটা হবে সত্যিকারের যাকাতের ফলপ্রসূ বাস্তবায়ন। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, একজনকে যেন যাকাতের নেসাবের পরিমাণের বেশি দেয়া না হয়। বিষয়টির সমাধানে একটি কাজ করা যেতে পারে, সেটা হল, একই পরিবারের একাধিক সদস্য যেমন- বাবার নামে কিছু যাকাত, মায়ের নামে কিছু যাকাত, বোনের নামে কিছু যাকাত এবং ভাইয়ের নামে কিছু যাকাতের টাকা তাদের হস্তগত করা। এটা করা হলে একটি পরিবারের প্রতি সত্যিকারার্থে ইহসান করা হল।

যাকাত যাদেরকে দেয়া যাবে নাঃ

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, যাকাত কি আপনি যাকে খুশি তাকে দিলেই হবে? হবে না। এমন কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যাদেরকে যাকাত দেয়া যায় না। যেমন-

১। মা, বাবা, দাদা, দাদী, নানা, নানী, পুত্র, কন্যা, পৌত্র, দৌহিত্র, দৌহিত্রী, স্বামীর যাকাত স্ত্রীকে এবং স্ত্রীর যাকাত স্বামীকে।
২। সৈয়দ বংশের লোক, অর্থাৎ, হযরত আলী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, হযরত আকীল, হযরত হারিস বিন আব্দুল মোত্তালিব রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু প্রমুখের বংশধরগণকে।
৩। যাকাতের অর্থ দিয়ে মসজিদ, মাদ্রাসা নির্মাণ করা যাবে না। মুরদার দাফন ও মুরদারের পক্ষে তার ঋণ আদায় করা যাবে না। উপরোল্লিখিত তিন শ্রেণী ছাড়া সকল গরীব লোকদেরকেই যাকাত দেয়া যাবে।

বিশেষ নিবেদনঃ

(ক) পরিশেষে সমাজের বিত্তবান ভাইদের নিকট আবেদন, তারা যেন প্রদর্শণীমূলক যাকাত প্রদান থেকে বিরত থাকে। কারণ এতে করে প্রতি বৎসরই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাকাতের শাড়ি, লুঙ্গি, টাকা আনতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরে আসে বহুলোক। যা অত্যন্ত দু:খজনক।

(খ) দেশের অনেক অভাবী পরিবার তাদের মেয়েকে পাত্রস্থ করতে পারে না অথবা যৌতুকের কারণে আত্মহত্যা ও নিহত হয়ে চেলেছে। এরূপ নিষ্ঠুর অমানবিক ঘটনা থেকে জাতিকে নিষ্কৃতি দেয়ার ব্যাপারে যাকাত একটি মূখ্য ভ‚মিকা পালন করতে পারে।
এর অর্থ এই নয় যে, যৌতুককে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ইসলামের দৃষ্টিতে যৌতুক একটি নিন্দাযোগ্য জঘন্য অপরাধ ও পাপ।

(গ) আল্লাহর রাস্তায় যারা জেহাদে নিজেদের সম্পৃক্ত করে নিয়েছেন তাদের অনেকেরই অস্ত্র ক্রয় করার সামর্থ্য নেই। যেমন: ফিলিস্তিন, বসনিয়া, চেচনিয়া ও হারজেগোভিনা, এদের অস্ত্র ক্রয়ের জন্য যাকাতের অর্থ প্রদান করা যেতে পারে।

(ঘ) দাস প্রথা এখন কোথাও নেই, তাই দাস মুক্তির প্রশ্নও অবান্তর। তবে যদি কোন লোক অন্যায়ভাবে কোন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং আদালত তাকে জরিমানা করে তাহলে যাকাতের টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনা যাবে, তবে যদি সে ব্যক্তি জরিমানার টাকা দিতে অসমর্থ হয়।

(ঙ) কোন ব্যবসায়ী যদি দেউলিয়া হয়ে পড়ে, যেমন- জাহাজ ডুবি, অগ্নিকাণ্ড, চুরি-ডাকাতি অথবা পার্টনার কর্তৃক জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে কপর্দকশূণ্য করে দেয়, সে ব্যক্তি যদি অন্যের নিকট দেনাদার হয় তাহলে তাকে যাকাতের টাকা দিয়ে বিপদ মুক্ত করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, যে ব্যবসায় সে মার খেয়েছে সে ব্যবসাটি বৈধ ছিল কি না, যদি ব্যবসাটি অবৈধ হয়, যেমন- মদ, জুয়া, মাদকদ্রব্য, চোরাচালানী, সিনেমা হল, অর্থাৎ অবৈধ মালের উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ইত্যাদি কাজের ব্যবসায়ীকে যাকাত দেয়া যাবে না।

(চ) কোন লোকের উপর হজ্জ্ব ফরজ হয়েছিল, পরবর্তীতে কোন দুর্ঘটনার কারণে সে গরীব হয়ে যায়, এমতাবস্থায় তার হজ্জ্ব আদায়ের জন্যে যাকাতের অর্থ দেয়া যাবে। যাকাত হল বিত্তবান আর বিত্তহীনদের মধ্যে একটি সেতু বন্ধন। যাকাতের সুষ্ঠু ব্যবহার হলে এদের মধ্যে দূরত্ব কমে যাবে, নি:স্ব-নি:স্বতর হবে না, বিত্তবানও বিত্তের পাহাড় গড়ে তুলতে পারবে না। অভাব অভিযোগ বা দারিদ্রের কষাঘাতে মানুষ যখন সুদখোরদের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয় অথবা ভিক্ষাবৃত্তিতে নিজেকে সমর্পণ করতে বাধ্য হয়, এমন অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে ইসলাম এক বৈপ্লবিক নির্দেশ দিয়েছে। আর এটিই হল যাকাত। যাকাত ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি অন্যতম স্তম্ভ। কোরআন পাকের যেখানেই নামাজের কথা বলা হয়েছে, সেখানেই যাকাতের কথাও বলা হয়েছে।

ইসলাম ব্যক্তিগত মালিকানায় সম্পদ উপার্জনের অনুমতি দিয়েছে। আবার কিছু সংখ্যক লোকের কাছে অঢেল ধন-সম্পদ যাতে একচেটিয়া হয়ে না যায় তার প্রতিও সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে। এর অর্থ হল- ইসলাম ব্যক্তি মালিকানা সমর্থন করেছে বটে, কিন্তু ব্যক্তিস্বার্থের প্রধান্যকে সমর্থন করেনি। ইসলাম জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের কল্যাণ সাধক করেছে। আল্লাহ পাক বলেন;

“আল্লাহ জনপদবাসীদের কাছ থেকে তাঁর রাসূলকে যা দিয়েছেন তা আল্লাহর রাসূলের, তাঁর আত্মীয়-স্বজনের, ইয়াতিমদের, অভাবগ্রস্তদের এবং মুসাফিরদের জন্য। যাতে ধনৈশ^র্য কেবল তোমাদের বিত্তশালীদের মধ্যেই পুঞ্জীভ‚ত না হয়।” -সূরা হাশর, আয়াত: ৭

‘দুলাতুন’ বলা হয় এ সম্পদকে, যা পরস্পরের মধ্যে আদান-প্রদান হয়। আল্লাহ পাক এই আয়াত দ্বারা জাহেলী যুগের একটি কুপ্রথাকে মূলোৎপাটন করে দিয়েছেন। তাদের ধারণা ছিল, ধন-সম্পদ শুধু বিত্তশালীদেরই একচেটিয়া অধিকারে থাকবে, নি:স্ব দরিদ্রদের কোন অংশ এতে থাকবে না। তাদের এই ধারণা খণ্ডন করে দিয়ে ইসলাম সম্পদকে সর্বত্র সম্প্রসারিত করে দিয়েছে। রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সমাজের বিত্তশালী লোকেদের কাছ থেকে হিসাব মোতাবেক যাকাত আদায় কর এবং সমাজের গরীব-দু:খীদের মধ্যে বিতরণ করে দাও।”

শেষের কথাঃ

আল্লাহ পাক নামাজের সাথে সাথেই যাকাতের তাগিদ দিয়েছেন, নামাজ ও যাকাত প্রতিটি মানুষের জন্য অবশ্য পালনীয়। অর্থাৎ আল্লাহ পাকের আনুগত্য কর নামাজের মাধ্যমে এবং সমাজের বিপদগ্রস্ত লোকদের সাহায্য কর। সমাজকল্যাণে এগিয়ে এস। তাই আসুন, আল্লাহর হুকুম, যাকাত আদায় করে, সম্পদের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করি, গরীবদের হক আদায় করে তাদেরকে সমাজে সম্মান নিয়ে বসবাস করার সুযোগ করে দিই।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: জাকাত নিতে গিয়ে মৃত্যু এটা খুব যন্ত্রনাময়। আমাদের দেশের মানুষ গুলো খুব বেশী গরীব। জাকাতের শাড়ি লুঙ্গি গুলো খুব নিম্মমানের। ১০০ জনকে না দিয়ে ৫০ জনকে দিক। তবুও ভালো মানের শাড়ী লুঙ্গি দিক।

০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



যাকাত মাকাত হচ্ছে ভিক্ষুকের বুদ্ধি; মানুষের বুদ্ধি চাকুরী সৃষ্টি

০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



যাকাতের সাথে মাকাত আবার কি?

প্রিয় চাঁদগাজী,

বাক স্বাধীনতার নামে আপনি যা করছেন তা রীতিমত অন্যায়। আপনার স্পর্ধা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বোধ করি। যাকাত ইসলামের মূল ভিত্তিগুলোর একটি এবং মুসলমানদের অন্যতম ফরজ একটি বিধান। নামাজের পরপরই এর অবস্থান। মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল কুরআনে নামাজের নির্দেশনা যেমন অনেকবার (৮৩ বার) এসেছে; পাশাপাশি বহুবার এসেছে যাকাতের নির্দেশনাও।

আপনি বুঝেশুনেই মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় বিধান যাকাতকে ঠাট্টা ও উপহাস করার জন্য মাকাত শব্দটি যুক্ত করেছেন এবং অর্বাচীনের মত আল্লাহ তাআ'লা প্রদত্ত যাকাতকে 'ভিক্ষুকের বুদ্ধি' বলে চরমভাবে সীমাতিক্রম করেছেন।

আপনাকে এই পোস্টে এসে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় মাননীয় মডারেটর বরাবরে এই ধরণের অনাকাঙ্খিত শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে ধর্মীয় ব্যাপারে অপমানজনক বক্তব্যের বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হবে।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.