নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিলিস্তিন! হায় ফিলিস্তিন!

১৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:০৩

গতকাল ১৬ মে রোববার গাজায় রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সপ্তাহখানেকের বেশি সময় ধরে চলা দখলদার ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ এদিন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এই দিনটিতেই প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ঘাতক ইসরায়েল। তারা গত কয়েক দিনে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিরপরাধ নিষ্পাপ শিশু। ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী নির্বিচার বিমান হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না ফিলিস্তিনি নারী, শিশু বৃদ্ধ কেউই। অব্যাহত হামলায় তারা ফিলিস্তিনিদের বাড়ি, ঘর, শিক্ষালয়, প্রার্থনালয়, হোটেল, মোটেল থেকে শুরু করে কোনোকিছুকেই বাদ দিচ্ছে না। সবকিছু গুড়িয়ে দিয়ে পুরো ফিলিস্তিনকে বিরান, শুন্য ও শ্বশানে পরিণত করতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। আমাদের পক্ষ থেকে এই হত্যাযজ্ঞের জন্য তীব্র প্রতিবাদ- অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক সকল পক্ষ অতি দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নিবে- এখনও প্রত্যাশা রাখছি। প্রথম আলো থেকে এএফপির তোলা ছবি।

ফিলিস্তিন! হায় ফিলিস্তিন!

রক্ত ঝড়া আর কত প্রভাত উপহার দেবে তুমি আমাদের!
আর কত নিস্পাপ শিশুর ক্ষত বিক্ষত লাশ তুলে দিবে আমাদের কোলে?
আর কত মায়ের বুক খালি হলে
রক্ত ঝড়ার তোমার এই বিভীষিকাময় সময়গুলো পাল্টে যাবে?
আর কত শিশু পিতৃ মাতৃহীন হলে তুমি শান্ত হবে?
আর কত? আর কত? আর কত? প্রিয় ফিলিস্তিন!

ফিলিস্তিন! একদা তোমার বুকে স্নিগ্ধ মুগ্ধ শান্তির পরশ ছিল!
নিঃশ্বাস নেয়ার তোমার গায়ে শান্ত, সুশীতল সমীরণ ছিল!
তোমার প্রশান্ত, প্রাণবন্ত পথ প্রান্তর ছিল।
সবুজের সমারোহপূর্ণ বাগ বাগিচা ছিল।
কিশোর কিশোরীদের মিষ্টি চপলতায়
তোমার আঙিনাগুলো আনন্দে মো মো করতো।
ঘুম পাড়ানি গানে আরব মাতা নিজ নিজ শিশুদের নিশ্চিন্তে শুইয়ে দিতেন।
তোমার বুকজুড়ে আরব দুহিতার নির্বিঘ্ন অবাধ চলাফেরায় তুমি গর্ববোধ করতে।
তোমার সেই দিনগুলো আজ কোথায় হারিয়ে গেল?

সাঁঝের বেলা তোমার কোলে ফিরে আসা পাখিদের
নিশ্চিন্তে দু'দন্ড ঘুমানোর জন্য পাখিদের কোনো ক্লেশ ছিল না।
কষ্ট ছিল না।
যন্ত্রনা ছিল না।
শব্দের ঝনঝনানি ছিল না।
বোমা বারুদের বিভৎসতা ছিল না।
ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে তোমার মাটিগুলোর পুড়ে যাওয়ার ভয় ছিল না,
তোমার মসজিদে গুলির তান্ডব ছিল না,
তোমার বাজারে, তোমার লোকালয়ে বিমানের হামলা ছিল না,
বোমার আঘাতে তোমার গাছগাছালির ছাই ভস্ম হওয়ার শঙ্কা ছিল না।
তোমার ইমারতগুলোর ধ্বসে যাওয়ার ইতিহাস ছিল না।
তোমার পানিগুলোর রক্ত বর্ণ হওয়ার নজির ছিল না।
তোমার আকাশ-বাতাস-ইথারজুড়ে কান্নার শব্দ ছিল না।

ফিলিস্তিন!
তোমাকে ক্ষত বিক্ষত করার হিংস্রতা প্রত্যক্ষ করেও আমরা যারা নিশ্চুপ,
তোমার কান্নাভেজা রক্তাক্ত অবয়ব দেখেও আমরা যারা নিশ্চিন্ত, নির্ভার এবং পুলকিত,
তোমার খুবলে খাওয়া পোড়া মাটি ও মানুষ দেখে,
তোমার শিশুদের সার সার মৃত লাশ দেখে,
তোমার মায়েদের ইজ্জতহানি দেখে,
তোমার স্তন্যদায়িনী মাতৃ জননীদের কোলের সন্তানদের
হত্যা করার বিভৎস উল্লাস দেখে,
আমরা যারা দাঁত কেলিয়ে হাসি-
তোমার পাহাড়ে,
তোমার খামারে,
তোমার নগরে,
তোমার বাজারে,
তোমার অস্তিত্বের প্রতিটি কনায় কনায়,
প্রতি ইঞ্চি মাটির কোনায় কোনায় সেই আমাদের জন্য
ঘৃণার উদগীড়ন ঘটাও,
আমাদের প্রতি ছিটিয়ে দাও তোমার ছুঁড়ে ফেলা প্রতিবারের সবগুলো থুথু,

তোমার ভেতরে তুমি জেগে ওঠো আরেকবার!
তুমি মরতে মরতে জাগো!
মরার মত মরো!
তুমি শেষ শয়ানে যাওয়ার আগে-
জানোয়ারের হিংস্র থাবা থেকে তোমার শেষ শিশুটিকে রক্ষা করার জন্য
শেষবারের মত তুমি আরেকটিবার কোমর বেঁধে নামো
ফিলিস্তিন, তুমি ধরে নাও, তুমি তো মরেই গেছ,
মৃত্যু যখন তোমার অবধারিত,
কাপুরুষের মউত তোমার মানায় না!
হে বীর প্রসূতি ফিলিস্তিন!
মরার আগে আগে তুমি আরেকটিবার ভাবো,
আবারও স্মরণ করো,
আরেকবার চিন্তা করো-
বীরেরা, মৃত্যুঞ্জয়ীরা, দেশপ্রেমিকরা কেমন করে মরে থাকে!
কিভাবে তারা মরেও চির অমর হয়ে থেকে যায় ইতিহাসের পাতায় পাতায়!

প্রিয় ফিলিস্তিন! আরেকবার তুমি জাগো!
তোমার শরীরকে খুবলে খাওয়া হায়েনাদের রুখে দিয়ে
দ্রোহের বারুদে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করো,
মোড়ল রাষ্ট্র,
উন্নত বিশ্ব আর তথাকথিত মুসলিম বিশ্বসহ আমাদের মত
অন্যায়ের প্রতিবাদহীন
নিরব দর্শকদের,
বিশ্বাসঘাতকদের,
মানবতাবিসর্জনকারী অনুভূতিহীন
পাষন্ড হৃদয়ের আধুনিক সভ্য দাবিদার
রোবট মানবদের জন্য শোকের আয়োজন করো,

ফিলিস্তিন!
তুমি তো মরার পথেরই যাত্রী!
মরতে মরতে তুমি আমাদের জন্য
এই আয়েঅজনটুকু অন্ততঃ করে যাও!
দোহাই তোমার! ফিলিস্তিন!
এটুকু কৃতজ্ঞতা আমাদের প্রতি প্রকাশ করা থেকে
তুমি তোমার মৃত্যুর প্রাক্কালে বিরত থেকো না!
আর কিছু না হলেও 'আমাদেরকে প্রতিবাদহীন তথাকথিত ভদ্র' মনে করে
তোমার জীবনের শেষ দায়িত্ব হিসেবে
এই কাজটুকু অন্ততঃ করে যাও!
করে যাও!

আর তা যদি না পারো-
তাহলে অন্ততঃ শেষবারের মত আরেকটিবার তুমি-
তুমি দ্রোহের আগুন জ্বালো,
বিসুভিয়াসের লাভার মত অগ্নুৎপাত করো,
অগ্নুদগীড়ন করো,
লেলিহান শিখায় ছেয়ে ফেলো আকাশ বাতাস,
তোমার পুড়ে যাওয়া প্রতিটি শিশুর ছাই অঙ্গার
উড়িয়ে দাও আকাশে বাতাসে পাহাড়ে কন্দরে নদীতে বন্দরে,
পৃথিবীর প্রতিটি জনপদে ছড়িয়ে পড়ুক সেই শিশুরা,
প্রতিটি ঘরে জন্ম নেয়া শিশুদের নাকে এসে পৌঁছে
তোমার শিশুদের পুড়ে যাওয়ার অসহনীয় উৎকট গন্ধ,
যেন বিশ্বের প্রতিটি শিশু বেড়ে ওঠে তোমার শিশুদের
নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার দুর্বিসহ চিত্র দেখে দেখে!
যেন প্রতিবাদের বারুদে আগুন জ্বেলে তারাও
এক দিন স্মরণ করতে পারে তোমার লাশ হয়ে যাওয়া এসব শিশুদের!

ফিলিস্তিন!
তুমি হুংকার ছাড়ো,
গর্জনে গর্জনে তব্দ-স্তব্ধ করে দাও রক্তপিপাসু হায়েনাদের,
কেড়ে নাও দুর্বৃত্তের শ্রবনেন্দ্রিয়ের সবটুকু শক্তি,
নাস্তানাবুদ করে দাও উম্মাদদের অবৈধ ঝুপড়িগুলো,
ভোঁতা হয়ে যাক ওদের অবৈধ অস্ত্রগুলো,
এটা করো অবৈধভাবে জন্ম নেয়া নব্য খুনি দখলদারদের
তল্পিতল্পা গুটিয়ে ফিলিস্তিনের পবিত্র মাটি ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে আগেই!

ছবিটিতে দেখানো হয়েছে পর্যায়ক্রমে যেভাবে প্রায় পুরো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে ধাপে ধাপে দখলে নিয়েছে ইসরায়েল। অন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত

এই বিষয়ক কিছু সংবাদ দেখতে পারেন নিচের লিঙ্কগুলো থেকে-

ইসরায়েলের বোমায় ফিলিস্তিনের ৩১ স্কুল ধ্বংসস্তূপ

গাজায় রাতভর হামলা

গাজায় রাতভর হামলা-বিস্ফোরণ, নিহত ৪২

ইসরায়েলের হামলার ছবি, বাংলা ট্রিবিউন থেকে সংগৃহীত।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কে ত্রান কর্তা হবে বলে মনে করেন? ফিলিস্থিনিদের উদ্ধারের পথ কি??

১৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আসল কথায় এসেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে। ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান হয় না কেন? এককথায় এ প্রশ্নের উত্তর যদি দিতে হয় তাহলে বলতে হয়: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের বিরুদ্ধে সবাই-ই, কিন্তু শান্তির পক্ষে নন কেউই।

একটু পেছনে ফিরে যাই, ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের যে প্রস্তাব অনুসারে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা, সেই একই প্রস্তাব অনুসারে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রেরও প্রতিষ্ঠা পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে কি তা আজ অবদি হয়েছে?

বরং প্রায় সাড়ে ছয় দশক পরে আজকের ইসরায়েল বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ। অস্ত্র, কৌশল, আন্তর্জাতিক সমর্থনসহ সবকিছুতেই তারা এগিয়ে। অথচ, অভাগা ফিলিস্তিনবাসীর জন্য স্বাধীনতা আজও রয়ে গেছে সেই অধরাই।

১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করে দুটি রাষ্ট্র (একটি ইহুদি, অন্যটি আরব) গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। অসম ও অন্যায্য
এই যুক্তিতে আরবেরা সে সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। উল্টো ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষিত হলে প্রতিবেশী চারটি আরব দেশ মিসর, সিরিয়া, জর্ডান ও ইরাক একযোগে ইসরায়েলকে আক্রমণ করে। সেই যুদ্ধে আরবেরা পরাজিত হয় এবং ইসরায়েল জাতিসংঘ পরিকল্পনায় তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের ৫৬ শতাংশের জায়গায় মোট ৭৭ শতাংশ দখল করে নেয়। এরপর যে এক চিলতে জমি পড়ে রইল, সেখানে স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা করা যেত। কিন্তু সেই পথে না গিয়ে মিসর ও জর্ডান তা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম গেল জর্ডানের বাদশাহর কবলে, গাজার দখল নিল মিসর।

এরপর গত ৬০ বছরে আরব সাগর দিয়ে অনেক পানি বয়ে গেছে, তার চেয়েও বেশি গেছে ফিলিস্তিনিদের কান্না ও লহু। আমরা সেই কাহিনিতে যাব না। চলে আসা যাক চলতি সময়ে। ১৯৯৩ সালে সম্পাদিত অসলো প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার মধ্যে যে শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়, তার ভিত্তিতে ১৯৯৬ সালে পশ্চিম তীর ও গাজায় নামকাওয়াস্তে ফিলিস্তিনি স্বায়ত্তশাসন কায়েম হয়। তত দিনে অবশ্য সেই অঞ্চলের একটা বড় অংশ ইসরায়েলের অবৈধ বসতির কবলে, অথবা সরাসরি সামরিক নিয়ন্ত্রণে। নামেই স্বায়ত্তশাসন, কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে চৌপ্রহর ইসরায়েলি প্রহরা, উঁচু দেয়াল, এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যেতে হলে ইসরায়েলি অনুমতি, ফলে এমন দেশকে স্বাধীন না বলে বান্টুস্থান বলাই অধিক সংগত।

তাই অবস্থাদৃষ্টে ফিলিস্তিনবাসীর মুক্তির পথ যে কি, তা এখনও আপাততঃ অজানা, অচেনা এবং অধরা বলেই মনে হয়। আরেকজন সালাহ উদ্দিন আইয়ুবির আগমনের আজ তীব্র প্রয়োজন। আরেকজন তারিক বিন যিয়াদের বড় বেশি দরকার এই দিনে। আরেকজন নূরুদ্দিন জঙ্গীর আবির্ভাবের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের মুক্তির কাঙ্খিত সেই সোনালি প্রভাত দেখতে পাবে হয়তো বিশ্ববাসী। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব কি অবশিষ্ট রাখবে দখলদার বর্বর ইসরায়েলের রক্তপিপাসু খুনিচক্র?

২| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৪১

রানার ব্লগ বলেছেন: নারী শিশুদের এই ভাবে ব্যাবহার করে তাদের রক্তাত্ব শরীর দেখিয়ে সিম্প্যাথি পাওয়া যায় স্বাধীনতা না। ১৯৭১ সালে আমরা লড়েছিলাম স্বাধীনতার জন্য সিম্প্যাথির জন্য না, তাই আজ আমরা স্বাধীন।

১৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

নতুন বলেছেন: মুসলিম সংখ্যাগরিস্ঠ দেশ একত্রিত হয়ে আলোচনায় বসে এর সমাধান করতে হবে। সবাই মিলে চাপ দিলে সমাধন হতে বাধ্য।

১৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনিও তাহলে ফিলিস্তিনিদের নিধনযজ্ঞ সত্যি সত্যি চান না! কিন্তু নতুন ভাই, ফিলিস্তিনিরা যে মুসলিম! অনেকের তো ধারণা, মুসলিমদের এভাবেই মরার কথা!

যাক, মাশাআল্লাহ। কদাচিত আপনার কোনো কোনো বিষয় অন্যরকম লাগে। ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: ফিলিস্তিনের পাশে দাড়ানোটা ধর্মের ভিত্তিতে নয়, মানবিকতার ভিত্তিতে হওয়া প্রয়োজন। মানবিকতা জগতের সবচেয়ে বড় গুন। এখন, ফিলিস্তিনের বড় দরকার সেটা। কে দেখাচ্ছে সেটা বিবেচ্য নয়। মানবিকতা জগতের সবচেয়ে বড় গুন।

১৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



এটা আপনার নিজের বক্তব্য? না কি, কারও থেকে নেয়া?

ধন্যবাদ।

৫| ১৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

নতুন বলেছেন: ভাই আমি অযৌক্তিক জিনিসের বিরোধিতা করি তাই ধর্মের অনেক কিছুরই সমালোচান করি।

কিন্তু সব সময়ই মানবতার পক্ষে এবং কখনোই কোন মানুষের মৃত্যু বা কস্ট কামনা করিনা।

এই সমস্যা নিয়ে মাথামোটা আরবদেশ গুলি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনাই বলেই ৭৩ বছর ধরে শিশুদের লাশ দেখতে হচ্ছে।

ইসরাইল সৃস্টি রাজনিতিক প্রয়োজনে, সমস্যা রাজনিতিক কিন্তু ধর্মীয় রং দিয়ে ঘোলাটে করা হচ্ছে।

এখন এই সমস্যার অতীতের কাহিনি না ভেবে ভবিষ্যতে যেন আর কোন প্রানহানী না হয় সেই চিন্তা করে সমাধান করতে হবে।

জিহাদী জজবা নিয়ে ইসরাইয়ের সাথে যুদ্ধে কিছুই করতে পারবেনা। কিন্তু সবাইকে নিয়ে আলোচনায় তারা সমাধান করবে যদি আবর বিশ্ব সঠিক ভাবে চিন্তা করে।

১৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আপনার চিন্তা সঠিক। ধন্যবাদ। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। কিন্তু আলোচনাটা যে কে করবে, সেটাই চিন্তার বিষয়। আামেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেনজি কত সুন্দর ভূমিকা রাখলেন- দেখেছেন না?

ফিলিস্তিনিদের রক্ত তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে হামলাকারী নিধনযজ্ঞে মেতে ওঠা ইসরায়েলের আত্মরক্ষা! বিনোদন বটে! হাস্যকরও বৈকি! হায় হায়! কি সব দেখতে হচ্ছে আমাদের!

বাদবাকি মুসলিম বিশ্বও তো তামাশা দেখার তালে বিভোর! ইসরায়েল-সউদি গোপন আঁতাত তো কারও অজানা নয়! মিশরের সিসিও তো একই খুড়ে মাথা মুড়ানো! এরদোগান একটু আধটু কথা বলে উঠলেও তারস্বরে আমেরিকার চিৎকার চেচামেচি আর কড়া প্রতিবাদে তার সেই ক্ষীনকায় কন্ঠস্বর শোনা যায় না বললেই চলে!

দুনিয়াজুড়ে সবাই তো দেখছি স্বার্থপর! রক্তলোলুপদের পক্ষ নেয়া ভীরু কাপুরুষ! ক্ষমতালিপ্সু দ্বি-চারিতায় নিমজ্জিত মুনাফিক চরিত্রের! সত্যের পক্ষে দাঁড়াবে কে? নির্যাতিতাকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিবে কে? দলিত, নিষ্পেষিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে তাহলে ন্যায়ানুগ কথাটা বলবে কে?

৬| ১৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৮

নতুন বলেছেন: ফিলিস্তিনি এবং অন্য সবার রাজনিতি এবং ধর্মব্যবসায়ীদের থেকে দুরে থেকে সত্যটা বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে।

আরব বিশ্বের মাথামোটা নেতা সমর্থকরা এটাকে ধর্ম যদ্ধ মনে করছে তাই সাধারন মানুষের থেকে দুরে চলে যাচ্ছে।

ইসরাইলীরা যেই অন্যায় করছে তাতে মানুষের সমর্থন পাবেনা যখন ধর্মযুদ্ধ বাদ দিয়ে মানবতার বিষয়টা প্রধান্য নদেয়।

২০ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



মাথা মোটা আরব নেতারা ধর্ম যুদ্ধ আখ্যা দিলেই ফিলিস্তিনিদের হত্যা জায়েজ হয়ে যায়, এ কথার যুক্তি নেই। আর ফিলিস্তিন সংকটকে ধর্ম যুদ্ধ বলেছেই বা কে? কালে ভদ্রে দু'এক জন বললেও বলতে পারে। আসলে এগুলো হচ্ছে ছুতো। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা।

ওআইসি খোয়াইছি, জাতিসংঘ পাতিসংঘ ইত্যাকার মাথা এবং ল্যাজ মোটা নামকাওয়াস্তে সংস্থাগুলোর আসলে কাজটা কি? শুধুই তামাশা দেখা? নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা গণনা করা? আহত ফিলিস্তিনি শিশুদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করে দেয়া? দর্শকের সারিতে বসে কেবলই কান চুলকানো?

ভাই, এসব ধর্মযুদ্ধ ধর্মযুদ্ধ করে করে আর বেহুদা প্যাচাল বাড়িয়ে লাভ নেই। স্বয়ং ফিলিস্তিনিরাও এখন ধর্মযুদ্ধ টুদ্ধ করে বলে মনে হয় না। তারা বাঁচার জন্য লড়ে। শুন্য হাতে লড়তে লড়তে মরে। সুতরাং, ধর্মযুদ্ধের তকমা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যার বৈধতা দেয়া অন্যায়। অত্যাচারিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি আরেকটি অত্যাচার, আরেকটি মিথ্যাচার চাপিয়ে দেয়া ছাড়া আর কিছু নয়।

ধন্যবাদ।

৭| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ২:১৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: জোর যার মুলুক তার, এটাই চলছে!

২২ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক বলেছেন ভাই।

৮| ২২ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫

নতুন বলেছেন: আামেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেনজি কত সুন্দর ভূমিকা রাখলেন- দেখেছেন না?

ফিলিস্তিনিদের রক্ত তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে হামলাকারী নিধনযজ্ঞে মেতে ওঠা ইসরায়েলের আত্মরক্ষা! বিনোদন বটে! হাস্যকরও বৈকি! হায় হায়! কি সব দেখতে হচ্ছে আমাদের!


ইসরাইরিরা আমেরিকার বন্ধু তাই দের কস্ট বেশি চোখে পড়বে তাদের।

সৌদি আরব ইয়ামিনে প্রায় লক্ষাধীক মানুষ মারা গেছে। এইটা আপনার কাছে তেমন গুরুত্বপূন হয়নি কারন এই বিষয়ে আমাদের দেশে আলোচনা হয় না। আমাদের দেশের মানুষ কিছুই বলেনা কারন এইটা আমাদের দেশের মানুষ বিব্রত বোধ করে।

কিন্তু ফিলিস্তুিনিদের জন্য কত হ্যাসট্যাগ, যুদ্ধে যাবার জন্য বাংলাদেশীদের আকুলতা, টাকা দান করছে।

Casualties and losses
Saudi Arabia 1,000[46]–3,000[47] soldiers killed by 2016
10 captured;[48]
United Arab Emirates 108–130 soldiers killed[49][50]
Sudan 1,000 - 4,000 soldiers killed[51][52]
Bahrain 9 soldiers killed[53][54]
1 F-16 crashed[55]
Qatar 4 soldiers killed[56][57]
Morocco 10 soldiers killed[58][59]
1 F-16 shot down[60][59]
Jordan 1 F-16 lost[61]
Academi: 71 mercenaries killed[11]
Yemen Unknown
Thousands killed (Aljazeera; as of May 2018)[62]

11,000+ killed (Arab Coalition claim; as of Dec. 2017)[63]
12,907 Yemeni civilians killed (1,980 women and 2,768 children; per the LCRD)
500+ Saudi civilians killed on the Saudi-Yemen border[64][65]
91,600+ killed overall in the Yemeni Civil War[66]

২৩ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ইসরাইরিরা আমেরিকার বন্ধু তাই দের কস্ট বেশি চোখে পড়বে তাদের।

-ইহারা পরস্পর কোন প্রকারের বন্ধু? অবশ্য অপর দেশ ও জনপদের উপরে অন্যায়ভাবে হামলা, অন্য দেশের জায়গা জমি ও জনপদ জবরদখলকরণ, অযথা রক্তারক্তিতে লিপ্ত হওয়া, খুনোখুনি করে পরিবেশ উত্তপ্ত করে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ও মাতব্বরি জাহির করে ত্রাস, ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা, সমাজ সংসারে অশান্তির পরিবিস্তার ঘটিয়ে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাসহ বেশ কিছু দিক থেকেই দেখা যায়, উভয় দেশের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ভেতরে ব্যাপক সামঞ্জস্য রয়েছে। এসব কারণে এদের বন্ধুত্ব থাকা খুবই স্বাভাবিক বলে মনে হয়।

সৌদি আরব ইয়ামিনে প্রায় লক্ষাধীক মানুষ মারা গেছে। এইটা আপনার কাছে তেমন গুরুত্বপূন হয়নি কারন এই বিষয়ে আমাদের দেশে আলোচনা হয় না। আমাদের দেশের মানুষ কিছুই বলেনা কারন এইটা আমাদের দেশের মানুষ বিব্রত বোধ করে।

-আপনার কথাটা সঠিক কি না, নিজেই তার প্রমান দেখুন নিচের পোস্টে। ইয়েমেনের নিধনযজ্ঞ নিয়ে আমরা তো কথা বলি। তবে, এটা ঠিক, তুলনামূলক হয়তো যতটা সোচ্চার হওয়ার কথা, ততটা প্রতিবাদ হতে দেখা যায় না।

ইয়েমেনে আর একটিও লাশ নয়

কিন্তু ফিলিস্তুিনিদের জন্য কত হ্যাসট্যাগ, যুদ্ধে যাবার জন্য বাংলাদেশীদের আকুলতা, টাকা দান করছে।

-এতে কি কোনো কারণে আপনি মনঃক্ষুন্ন? অথবা, এসব উদ্যোগ কি আপনাকে কষ্টপ্রদানের কোনো কারণ বলে আপনি মনে করেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.