নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
পবিত্র কুরআনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নির্দেশনা যেভাবে এসেছেঃ
কুরআন হাদিসের জ্ঞানে পারদর্শী নন, অথচ নিজেদের অতি জ্ঞানী কিংবা মহাপন্ডিত ভাবেন এমন কিছু লোক বলে থকেন যে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তো কুরআন দ্বারা প্রমাণিত নয়। অথচ, প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে, আল্লাহ তাআলা মিরাজের রাতে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ৫০ ওয়াক্ত থেকে কমিয়ে ৫ ওয়াক্ত নামাজ নির্ধারিত করে উম্মতের জন্য উপহারস্বরূপ দান করেছেন। আর মানুষের জন্য প্রতি দিন এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ বা অত্যাবশ্যক।
নামাজের এই ৫ টি ওয়াক্তও পবিত্র কুরআনুল কারিমের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। দিন এবং রাতের যেই যেই সময়গুলোতে এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে তারও নির্দেশনা এসেছে কুরআনুল কারিমে। যদিও অজ্ঞতার কারণে কেউ কেউ বলে থাকেন যে, কুরআনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নির্দেশনা কোথায়? কুরআনে তো এ কথা উল্লেখ নেই।
উহাদের কথার ভিত্তি নেই, কুরআনের আয়াতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় নির্ধারিতঃ
বস্তুতঃ পন্ডিতম্মন্য উক্ত ব্যক্তিগনের ধারণাপ্রসূত এসব কথার আদৌ ভিত্তি নেই এবং এগুলো মোটেই সঠিক নয়। বরং, পবিত্র কুরআনুল কারিমের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়গুলো সুস্পষ্ট করে দিয়ে বলেন-
فَسُبْحَانَ اللَّهِ حِينَ تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ
সুতরাং, তোমরা আল্লাহর তাসবিহ তথা পবিত্রতা ঘোষনা কর, যখন সন্ধ্যায় (মাগরিব ও ইশার নামাজ দ্বারা) উপনীত হবে এবং সকালে (ফজর নামাজ দ্বারা) উঠবে। -সুরা রূম : আয়াত ১৭
وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ
আর অপরাহ্নে (আসর নামাজ দ্বারা) ও জোহরের সময়ে। আর আসমান ও জমিনে সব প্রশংসা একমাত্র তাঁরই।' -সুরা রূম : আয়াত ১৮
আল্লাহ তাআলা সুরা রূমের উল্লেখিত দু'টি আয়াতে তাসবিহ বলতে নামাজ পড়াকে বুঝিয়েছেন। এ আয়াতদ্বয়ে যে সময়ের কথা বলা হয়েছে তাহলো- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়ের কথা।
প্রথম আয়াতে 'তুমসুনা' (সন্ধ্যা) শব্দ দ্বারা মাগরিব ও ইশা, 'তুসবিহুন' (সকাল) শব্দ দ্বারা ফজর নামাজকে বুঝিয়েছেন। আর দ্বিতীয় আয়াতে 'আশিয়ান' (বিকাল/অপরাহ্ন) শব্দ দ্বারা আসর নামাজ এবং 'তুজাহিরুন' (দুপুর) শব্দ দ্বারা জোহর নামাজের সময়ের উল্লেখ করেছেন। -ফাতহুল কাদির, আহসানুল বয়ান
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ রাসূলে কারিম আজীবন আদায় করেছেনঃ
যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কুরআনে নির্ধারিত নেই বলে নামাজীদের অন্তরে ওয়াসওয়াসা দিতে চান তাদের জন্য আরেকটি বিষয় জেনে রাখা উচিত যে, রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সারা জীবনের প্রাকটিস ছিল দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। মুসলিম উম্মাহ তো তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শই ফলো করে থাকে। সুতরাং, বিভ্রান্তির বীজ যতই বুনতে চান না কেন, প্রকৃত মুসলিম কোনও অবস্থায়ই ষড়যন্ত্রের জালে আটকে যাবে না। তারা রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ অনুযায়ী প্রতি দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। করেই যাবেন ইনশাআল্লাহ।
তাওফিক প্রার্থনা করছি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নিকটেঃ
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যাবতীয় ওয়াসওয়াসা ও কুমন্ত্রণা সৃষ্টিকারীদের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ইবাদতে মগ্ন-নিমগ্ন হওয়ার তাওফিক দান করুন। তাদের পেতে রাখা ঈমান বিধ্বংসী আকর্ষনীয় ও লোভনীয় বহুমাত্রিক রঙিন ফাঁদে পা না দিয়ে এবং সকল বিভ্রান্তির হাত থেকে নিজেদের মুক্ত রেখে যথাসময়ে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া। প্রথম লাইকসহ মন্তব্য রেখে যাওয়ায় অনেক অনেক শুভকামনা।
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো লেখা।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া। জাজাকুমুল্লাহ, ভাইজান।
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নকিব ভাই, নামাজ তো ৫ ওয়াক্ত হিসাবেই জেনে আসছি। কখনো ৪ ওয়াক্তের ব্যাপারে সন্দেহ কেন, মনে কোনো প্রশ্নও জাগে নাই।
যাই হোক, আপনার পোস্ট থেকে ছোটো ২/১ তা প্রশ্ন আসলো আমার মনে।
বিকাল দ্বারা জোহর ও আসর বোঝানো হয়েছে। আজকের তারিখে ঢাকায় ১১:৫৬ থেকে জোহর শুরু। ৪:১৯ থেকে আসর শুরু। দেখা যাচ্ছে যে, দুপুর থেকেই জোহর শুরু হচ্ছে, আসরের টাইমটাকে বিকাল বলা যায়। সময়ের এ হিসাবটা কীভাবে এলো, একটু যদি ব্যাখ্যা করতেন। বিকাল দ্বারা যদি জোহর ও আসরই বোঝানো হয়ে থাকে, তাহলে এ দুই ওয়াক্ত একই সময়ে পড়া যায় না কেন?
সন্ধ্যার নামাজ বলতে যদি মাগরিব ও এশা বোঝানো হয়, তাহলে সকালে পূর্বাকাশে হালকা আলো দেখার আগ পর্যন্ত এশার টাইম থাকবে কেন? এ ওয়াক্ত তো সন্ধ্যার মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।
ভালো থাকবেন। সুন্দর পোস্টের জন্য শুভেচ্ছা।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া ভাই।
আপনার দু'টো প্রশ্নের মধ্যে প্রথমটির উত্তর হচ্ছে- পবিত্র কুরআনে হাকিমের আরও বেশ কিছু আয়াতের মাধ্যমে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্ধারণ করেছেন এবং তিনি এর উপরে নিজে আমল করে আমাদের তা অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিছু আয়াত উল্লেখ করলে আশা করি, আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ-
যেমন, যুহরের নামাজ সম্পর্কে যে আয়াতগুলোতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
أَقِمِ الصَّلَاةَ لِدُلُوكِ الشَّمْسِ إِلَىٰ غَسَقِ اللَّيْلِ وَقُرْآنَ الْفَجْرِ ۖ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا
সূর্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত নামায কায়েম করুন এবং ফজরের কোরআন পাঠও। নিশ্চয় ফজরের কোরআন পাঠ মুখোমুখি হয়। -সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত নং ৭৮
وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ
এবং অপরাহ্ণে ও মধ্যাহ্ণে। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে, তাঁরই প্রশংসা। -সূরাহ আর রূম, আয়াত ১৮
فَاصْبِرْ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ الْغُرُوبِ
অতএব, তারা যা কিছু বলে, তজ্জন্যে আপনি ছবর করুন এবং, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করুন। -সূরাহ ক্কাফ, আয়াত ৩৯
আছরের নামাজ সম্পর্কে যে আয়াতগুলোতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
وَأَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِّنَ اللَّيْلِ ۚ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ۚ ذَٰلِكَ ذِكْرَىٰ لِلذَّاكِرِينَ
আর দিনের দুই প্রান্তেই নামায ঠিক রাখবে, এবং রাতের প্রান্তভাগে পূর্ণ কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক। -সূরাহ হূদ, আয়াত ১১৪
حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَىٰ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ
সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও। -সূরাহ বাক্কারাহ, আয়াত ২৩৮
فَسُبْحَانَ اللَّهِ حِينَ تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ
অতএব, তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা স্মরণ কর সন্ধ্যায় ও সকালে, -সূরাহ আর রূম, আয়াত ১৭
إِنَّا سَخَّرْنَا الْجِبَالَ مَعَهُ يُسَبِّحْنَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِشْرَاقِ
আমি পর্বতমালাকে তার অনুগামী করে দিয়েছিলাম, তারা সকাল-সন্ধ্যায় তার সাথে পবিত্রতা ঘোষণা করত; -সূরাহ আছ ছোয়াদ, আয়াত ১৮
এবং ইশার নামাজ সম্পর্কে যে আয়াতগুলোতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
أَقِمِ الصَّلَاةَ لِدُلُوكِ الشَّمْسِ إِلَىٰ غَسَقِ اللَّيْلِ وَقُرْآنَ الْفَجْرِ ۖ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا
সূর্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত নামায কায়েম করুন এবং ফজরের কোরআন পাঠও। নিশ্চয় ফজরের কোরআন পাঠ মুখোমুখি হয়। -সূরাহ বনি ইসরাইল, আয়াত নং ৭৮
وَأَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِّنَ اللَّيْلِ ۚ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ۚ ذَٰلِكَ ذِكْرَىٰ لِلذَّاكِرِينَ
আর দিনের দুই প্রান্তেই নামায ঠিক রাখবে, এবং রাতের প্রান্তভাগে পূর্ণ কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক। -সূরাহ হুদ, আয়াত ১১৪
وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ
এবং অপরাহ্ণে ও মধ্যাহ্ণে। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে, তাঁরই প্রশংসা। -সূরাহ রূম, আয়াত ১৮
وَمِنَ اللَّيْلِ فَسَبِّحْهُ وَأَدْبَارَ السُّجُودِ
রাত্রির কিছু অংশে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন এবং নামাযের পশ্চাতেও। -সূরাহ ক্কাফ, আয়াত ৪০
সময়ের অভাবে আরও বিস্তারিতভাবে আপনার প্রশ্নের বিষয়টি উল্লেখ করতে না পারায় আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করছি, আপনি কষ্ট নিবেন না। আপনার উপস্থিতির জন্য কৃতজ্ঞতা এবং অনেক অনেক শুভকামনা।
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামী বিধানের জন্য কোরআন মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কিন্তু এই অজুহাত দেখিয়ে অনেকে রসূলের (সা) আদেশ, নিষেধ, উপদেশকে ছোট করে ফেলে। অনেকে কোরআন ছাড়া আর কিছুই মানে না। এগুলি ভয়ংকর ফেতনা।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
এসব করার সুযোগ নেই। কুরআন, হাদিস, ইজমা এবং কিয়াস- এই সবগুলোর সমন্বয়ে পরিপূর্ণ ইসলাম জানা এবং মানা্ সম্ভব। কোনো একটাকে বাদ দিয়ে অন্যটাকে ধরলে বিভ্রান্তির কবলে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
শুকরিয়া। জাজাকুমুল্লাহ।
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫১
এভো বলেছেন: ভাই কোরান অনুযায়ি ৪ ওয়াক্ত হয় ভাই , আপনি যে ভাবে ৪ কে ৫ করলেন , ঠিক সে ভাবে ৪ কে ১০ বা ------- করা যাবে ।
আপনি মহানবি সা: নিয়ে একটা খুব ভুল তথ্য দিলেন -- তিনি নাকি আজীবন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছেন । এই কথাটা সম্পুর্ণ ভুল কথা । তিনি তার বয়স ৪০ হওয়ার আগে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন নি এবং ওনার বয়স যখন ৫১ তখন থেকে মাত্র ১২ বৎসর ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছেন । ধন্যবাদ
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এবং প্রচলিত হয়ে আসছে বিধায় এর হ্রাস বৃদ্ধি করার কোনও অবকাশ নেই। বিষয়টি খুবই সহজ। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আর ব্যাখ্যা আমি করিনি। তাফসীরকাগণ সংশ্লিষ্ট আয়াতের যে ব্যাখ্যা করেছেন তা পোস্টে উল্লেখ করেছি মাত্র।
আজীবন বলতে নবুয়তের পরের জীবনের কথা বুঝানো হয়েছে। নবুয়ত পূর্ববর্তী জীবনেও মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবাদত করতেন। তবে সে ইবাদত হুবহু নবুয়তের পরবর্তী জীবনের ইবাদতের মত ছিল না। ভিন্ন ছিল।
মন্তব্যে আসায় ধন্যবাদ এভো ভাই।
৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মহান আল্লাহপাক আমদের যথাযথভাবে সালাত আদায়ের পাশাপাশি ধর্মের সকল বিধিবিধান পালন এবং সঠিক সকল বিধিবিধান সম্পর্কে জানার ও বুঝার তওফিক দান করুন।
পোস্টে +++।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আমিন।
জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।
৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯
নতুন বলেছেন: নকিব ভাই সন্ধা বলতে মাগরিব এশা এঐ অর্থটা কোথায় পেলেন?
অনুবাদে () এ যা থাকে সেটা কি অনুবাদকের জোগ করা নয় কি
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
সূর্য ঢলে যাবার পর থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত (জোহর, আসর, মাগরিব ও এশা) নামাজ কায়েম কর এবং আদায় কর ফজরের নামাজ। নিশ্চয়ই ফজরের নামাজ ফেরেশতাদের উপস্থিতির সময়। -সূরা বনি ইসরাঈল, আয়াত- ৭৮
এ আয়াতেও পাঞ্জেগানা নামাজের উল্লেখ রয়েছে, বিভিন্ন তাফসির গ্রন্থ হতে যা স্পষ্ট। উদাহরণ স্বরূপ তাফসিরে ‘মাআরেফুল কোরআনে’ এ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা উল্লেখযোগ্য। তাতে বলা হয় : ‘পাঞ্জেগানা নামাজের নির্দেশ। অধিকাংশে তফসিরবিদের মতে এ আয়াতটি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ নির্দেশ। কেননা আয়াতটিতে ‘দুলুক’ শব্দের অর্থ আসলে ঝুকে পড়া। সূর্যের ঝুকে পড়া তখন শুরু হয়, যখন সূর্য পশ্চিমদিকে ঢলে পড়ে, সূর্যাস্তকেও দুলুক বলা যায়। কিন্তু অধিকাংশ সাহাবী ও তাবেয়ীগণ এ স্থলে শব্দের অর্থ সূর্যের ঢলে পড়াই নিয়েছেন’। -কুরতুবী, মাযহারী, ইবনে কাসীর
অতঃপর বলা হয়েছে: ‘ইলা গাসাকিল লাইল’- গাসাক শব্দের অর্থ রাত্রির অন্ধকার সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়া। ইমাম মালেক হযরত ইবনে আব্বাস থেকে এ তফসীর বর্ণনা করেছেন। এর শাব্দিক অর্থের পর বলা হয়- এভাবে ‘লিদুলুকিশ শামছি ইলা গাসাকিল লাইল’ এর মধ্যে চারটি নামায এসে গেছে। যোহর, আসর, মাগরিব ও ইশা। এদের মধ্যে দুই নামাজের প্রথম ওয়াক্ত ও বলে দেয়া হয়েছে যে, যোহরের প্রথম ওয়াক্ত সূর্য ঢলার সময় থেকে শুরু হয় এবং এশার সময় ‘গাসাকে লাইল’ অর্থাৎ অন্ধকার পূর্ণ হয়ে গেলে হয়। এ কারণেই ইমাম আযম আবু হানিফা (রা.) সে সময়কে ইশার ওয়াক্ত সাব্যস্ত করেছেন। যখন সূর্যাস্তের লাল আভার পর সাদা আভাও অস্তমিত হয়।
এটা সবারই জানা যে, সূর্যাস্তের পর পর পশ্চিম দিগন্তে লাল আভা দেখা দেয়। এর পর এক প্রকার সাদা আভা দিগন্তে ছড়িয়ে থাকে। এর পর এই সাদা আভাও অস্তমিত হয়ে যায়। বলাবাহুল্য, দিগন্তের আভা শেষ হয়ে গেলেই রাত্রির অন্ধাকার পূর্ণতা লাভ করে। এই আয়াতের এই শব্দের মধ্যে ইমাম আবু হানিফার মাযহাবের দিকে ইঙ্গিত রয়েছে। অন্য ইমামগণ লাল আভা অস্তমিত হওয়াকে এশার ওয়াক্তের শুরু সাবস্ত করেছেন এবং একই ‘গাসাকুল লাইল’-এর তাফসির ঠিক করেছেন।
আয়াতের উদ্ধৃতাংশে চার ওয়াক্ত নামাজের বর্ণনা পাওয়া যায়। আয়াতের পরবর্তী অংশে বাকি এক ওয়াক্তের উল্লেখ রয়েছে। তার ব্যাখ্যাও একই তাফসিরে এইভাবে প্রদান করা হয়েছে : ‘ওয়া কোরআনাল ফাজরি’- এখানে কোরআন শব্দ বলে নামাজ বোঝানো হয়েছে। কেননা কোরআন নামাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইবনে কাসীর, কুবতুবী, মাযহারী প্রমুখ অধিকাংশ তাফসিরবিদ এ অর্থই লিখেছেন। কাজেই আয়াতের অর্থ এই দাঁড়ায় যে, ‘লিদুলুকিশ শামছি ইলা গাসাকিল লাইল’ বাক্যে চার নামাজের পর বর্ণনা ছিল এবং এতে পঞ্চম নামাজের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। একে আলাদা করে বর্ণনা করার মধ্যে এই নামাজের বিশেষ গুরুত্ব ও ফযিলতের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে (আয়াত-৭৮৬ বাংলা সংস্করণ)। বর্ণিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজরের নাম উল্লেখ্য। এ নামাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
তেমনি আয়াতে মধ্যবর্তী নামাজ ছালাতুল ওস্তা বলে আসরের নামাজকে বুঝানো হয়েছে। যা মানুষের কর্মব্যস্ততার সময় হওয়ায় এ নামাজ না পড়ার প্রবণতা সৃষ্টি হতে পারে। সুতরাং সংশ্লিষ্ট আয়াতে আসরের নামাজের প্রতি অন্যান্য নামাজের ন্যায় বিশেষ যত্মবান হবার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। আয়তটি হচ্ছে-
‘হা-ফিযু আলাছ ছালাওয়াতি ওয়াছ ছালাতিল উস্তা-। ওয়াকু-মু- লিল্লাহি কা-নিতি-ন’। -সূরা বাকারাহ, আয়াত ২৩৮
অর্থাৎ ‘তোমরা সালাতের প্রতি যত্মবান হবে বিশেষত মধ্যবর্তী সালাতের এবং বিনীতভাবে আল্লাহর উদ্দেশ্য দন্ডায়মান হও’।
কোনো কোনো তরজমা এরূপ : তোমরা নামাজসমূহ ও মধ্যবর্তী নামাজকে সংরক্ষণ কর এবং বিনীতভাবে আল্লাহর উদ্দেশ্য দন্ডায়মান হও। ছালাতুল উস্তা- বা মধ্যবর্তী নামাজ এটি কোনো সময়ের নামাজ, তা নিয়ে মতভেদ আছে, অধিকাংশের মতে আসরের নামাজকেই মধ্যবর্তী বলা হয়ে থাকে। -বোখারী ও মুসলিম
ইমামগণের মধ্যে হযরত ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এবং অধিকাংশ সাহাবী-এর মাযহাব এটা যে, এর দ্বারা আসরের নামাজ বুঝানো হয়েছে, হাদীসসমূহ এর প্রমাণ বহন করে। বিভিন্ন তাফসির গ্রন্থে ও একই মত বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং এ আয়াতে আসরের নামাজের বর্ণনা সরাসরি এবং স্পষ্টভাবে রয়েছে। পূর্বে সূরা হুদ ও সূরা বনি ইসরাইলে পাঞ্জেগানা নামাজের প্রত্যক্ষ বিবরণ ও রয়েছে। অতএব, বিনাদ্বিধায় বলা যায় যে, কোরআনে যেমন নামাজের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে, তেমনি পাঞ্জেগানা নামাজের ওয়াক্তের বিবরণও প্রদত্ত হয়েছে। কাজেই এই ব্যাপারে আর কোনো সংশয় সন্দেহের অবকাশ নেই।
৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইহুদীদের সকাল, সন্ধ্যায় প্রার্থনা, খৃষ্টানদের সপ্তাহে ১ দিনের প্রার্থনা ও ইসলামে দৈনিক ৫ বার প্রার্থনার কারণ হলো, মক্কাবাসী ও মদীনার রিফিউজিদের কাজকর্ম তেমন ছিলো না, তারা দরিদ্র ছিলো।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
যারা নিজেরা এই আধুনিক যুগে এসেও দেশ মাতৃকার মায়া মহব্বত ত্যাগ করে রিফিউজির জীবনকে বেছে নেন তাদের মন ও মগজে রিফিউজি জিনিষটা স্থায়ীভাবে আসন করে নেয়া যে খুবই স্বাভাবিক সেটা আর ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে বলতে হয় না। ঐ সেই কুমিরের রচনার মতই অনেকটা। সবকিছুতে কুমিরের সেই 'খাজকাটা' কথাগুলোই ঘুরেফিরে চলে আসে।
মন্তব্যে আসায় ধন্যবাদ।
৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মকে প্রতি নিয়ত আপডেট করতে হয়,নয়তো ধর্ম আউটডেটেট হয়ে যায়।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
ধর্মকে যারা বুঝতে ব্যর্থ হন, মূলতঃ তারা সবকিছুতেই নিঃস্বতা অনুভব করেন, যদিও বাইরে চাকচিক্যময়তার প্রলেপে একটা লেটেস্ট ভাব বজায় রাখতে চান কিন্তু ভিতরে তাদের অথৈ শুন্যতা।
ধন্যবাদ।
১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: সোনাবীজ ভাই, এভো ও ব্লগার নতুন এর প্রশ্নের সঠিক উত্তর আশা করছি?
আপনিও জানেন এইখানে কোরআনের অনুবাদের একটা ফাঁকি আছে - 'তুমসুনা' অর্থ বললেন, সন্ধ্যে-রাত্রি নয়। তাহলে এর অর্থকে কিভাবে মাগরেব ও এশার ওয়াক্তের কথা ধরবেন? এশা নামাজ পড়া হয় রাতের শুরুতে। অবশ্যই সন্ধ্যায় নয়- কেন আলাদা করে রাতের কথা উল্লেখ করা হোল না?
আপনার পুরো অর্থটাই বেশ চাতুর্যতার স্বার্থে কিছুটা মনগড়া হয়েছে;
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদে লেখা আছে; সুতারাং তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষনা কর, সন্ধ্যায় ও প্রভাতে, এবং অপরাণহ ও জোহরের সময়ে
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অনুবাদে আছে; অতএব তোমরা সকাল সন্ধ্যায় বিকেল ও দুপরে আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা কর।
فَسُبْحَانَ اللَّهِ حِينَ تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ
অতএব, তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা স্মরণ কর সন্ধ্যায় ও সকালে,
So (give) glory to Allah, when ye reach eventide and when ye rise in the morning;
(18
وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ
এবং অপরাহ্ণে ও মধ্যাহ্ণে। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে, তাঁরই প্রশংসা।
Yea, to Him be praise, in the heavens and on earth; and in the late afternoon and when the day begins to decline.
আপনি এখানে লিখেছেন 'উপনীত হবে' অর্থাৎ সুক্ষ শব্দার্থের মারপ্যাঁচে নামাজকে বুঝিয়েছেন।
সুরা রুম নাজিল হয় ৬১৫ খৃষ্টাব্দে- যখন মহানবীর বয়স সম্ভবত ৪৫। এইটা মাক্কী সুরা। আর উঁনি মেরাজে গমন করেন ৬২০ খৃষ্টাব্দে। এই মাঝের পাঁচ বছর কি উনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছেন? যদি তখনই পাঁচ ওয়াক্ত নির্ধারন করা হয়ে থাকে তাহলে- মিরাজে কেন প্রথমে ৫০ ওয়াক্তের কথা বলা হোল?
#আমি নিজে ধর্ম বিষয়ে তেমন কিছুই জানি না- ধারনা থেকে ও বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রশ্নগুলো করলাম। আমি অবিশ্বাস করছি না সঠিক বিষয়গুলো জানার জন্য প্রশ্নগুলো করলাম।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি এখানে লিখেছেন 'উপনীত হবে' অর্থাৎ সুক্ষ শব্দার্থের মারপ্যাঁচে নামাজকে বুঝিয়েছেন।
সুরা রুম নাজিল হয় ৬১৫ খৃষ্টাব্দে- যখন মহানবীর বয়স সম্ভবত ৪৫। এইটা মাক্কী সুরা। আর উঁনি মেরাজে গমন করেন ৬২০ খৃষ্টাব্দে। এই মাঝের পাঁচ বছর কি উনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছেন? যদি তখনই পাঁচ ওয়াক্ত নির্ধারন করা হয়ে থাকে তাহলে- মিরাজে কেন প্রথমে ৫০ ওয়াক্তের কথা বলা হোল?
#আমি নিজে ধর্ম বিষয়ে তেমন কিছুই জানি না- ধারনা থেকে ও বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রশ্নগুলো করলাম। আমি অবিশ্বাস করছি না সঠিক বিষয়গুলো জানার জন্য প্রশ্নগুলো করলাম।
-মন্তব্যে আসার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনার প্রশ্নের যথার্থ উত্তর দেয়ার জন্য একাধিক তাফসিরের কিতাবের সংশ্লিষ্ট আয়াতগুলো নিয়ে আমার আরও কিছুটা সময় দিতে হবে। সময় করে সেই সুযোগ পেলে ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে আবারও উত্তরে আসবো। অবশ্য এই পোস্টে ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের একাধিক মন্তব্যে আপনার কোনও কোনও প্রশ্নের উত্তর ইতোমধ্যেই পেয়ে গেছেন এমনও হতে পারে।
অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন।
১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: islamqa সাইটে কোরআনে ৫ ওয়াক্ত নামাজ সংক্রান্ত আয়াত নিয়ে নীচের ব্যাখ্যা দেয়া আছে। কোরআনে ৫ ওয়াক্ত নামাজের কথা দেয়া আছে। Are the five daily prayers mentioned in the Qur’aan?
আয়াতগুলি পড়লে আমাদের অনেক ক্ষেত্রে বুঝতে একটু কষ্ট হয়। যেমন অনেক আলেম বলছেন রাত বলতে মাগরিব ও ইশা দুইটাকে বুঝায়। আবার অনেকে ভিন্ন মত দিচ্ছেন। আয়াতগুলির ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে একাধিক মত দেখা যাচ্ছে। তাই নামাজের সঠিক সময়গুলি জানার জন্য আমাদের রসূলকে (সা) অনুসরণ করতে হবে। উনি কোরআনের আলোকে যেভাবে ও যে সময়ে নামাজ পড়েছেন সেটা অনুসরণ করতে হবে। ৫ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে কোন মতভেদ নাই। কোরআনে ৫ ওয়াক্তের কথা বলা আছে। হয়তো দুই ওয়াক্তকে এক সাথে বলা আছে। আবার নাও হতে পারে। তাই ব্যাখ্যার জন্য রসূলকে (সা) অনুসরণ করতে হবে। সূরা নাহলের ৪৪ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ রসূলকে (সা) দায়িত্ব দিয়েছেন মানুষের জন্য পরিষ্কারভাবে কোরআনের ব্যাখ্যা করার জন্য।
কোরআনে অনেক কিছু খুব সংক্ষেপে বলা আছে। ৫ ওয়াক্ত নামাজের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কোরআন ৫ ওয়াক্তের কথাই বলা আছে। কিন্তু ব্যাখ্যার জন্য ও বোঝার জন্য রসুলকে (সা) অনুসরণ করতে হবে। ঈদের নামাজের কথা কোরআনে উল্লেখ নাই। তার কারণে তো আমরা এই নামাজ ত্যাগ করি না। কারণ রসূল নিজে পড়েছেন এবং পড়তে বলেছেন।
এই সাইটের লেখার শেষের অংশে বলা আছে যে কোরআনে সব কিছুর বিস্তারিত বর্ণনা নাই। কোরআনে অনেক বিধান আছে কিন্তু বিস্তারিত জানার দালিলিক উৎস হোল সুন্নাহ যেখানে অনেক বিধানের বিস্তারিত বর্ণনা আছে যা কোরআনে উল্লেখ নাই। হাদিসের ( সুন্নাহ) গুরুত্ব সম্পর্কেও আরও কিছু আয়াতের কথা বলা হয়েছে এই লেখায়। শেষের অংশ হুবহু তুলে দিলাম। বিস্তারিত লিংক উপরে দেয়া আছে।
What you should also know is that the Qur’aan does not contain details of all the rules. The Qur’aan mentions many rules, but it also tells us that the Sunnah is a source of evidence in which many rules are mentioned in detail that are not mentioned in the Qur’aan. Allaah says (interpretation of the meanings):
“… and We have also sent down to you (O Muhammad) the reminder and the advice (the Qur’aan), that you may explain clearly to men what is sent down to them and that they may give thought.” [al-Nahl 16:44]
“… and whatsoever the Messenger gives you, take it…” [al-Hashr 59:7]
The Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “I have been given the Qur’aan and something like it with it…” (Reported by Imaam Ahmad, 16546; this is a saheeh hadeeth). Whether the rules were narrated in the Qur’aan or in the Sunnah, all of it is true and right, and all of it has one source, which is the wahy or revelation from the Lord of the Worlds.
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরান। জাজাকুমুল্লাহ।
১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩১
নতুন বলেছেন: @সাচু ভাই:--- ... আয়াতগুলি পড়লে আমাদের অনেক ক্ষেত্রে বুঝতে একটু কষ্ট হয়। যেমন অনেক আলেম বলছেন রাত বলতে মাগরিব ও ইশা দুইটাকে বুঝায়। আবার অনেকে ভিন্ন মত দিচ্ছেন। আয়াতগুলির ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে একাধিক মত দেখা যাচ্ছে। তাই নামাজের সঠিক সময়গুলি জানার জন্য আমাদের রসূলকে (সা) অনুসরণ করতে হবে। উনি কোরআনের আলোকে যেভাবে ও যে সময়ে নামাজ পড়েছেন সেটা অনুসরণ করতে হবে। ৫ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে কোন মতভেদ নাই। কোরআনে ৫ ওয়াক্তের কথা বলা আছে। হয়তো দুই ওয়াক্তকে এক সাথে বলা আছে। আবার নাও হতে পারে। তাই ব্যাখ্যার জন্য রসূলকে (সা) অনুসরণ করতে হবে। সূরা নাহলের ৪৪ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ রসূলকে (সা) দায়িত্ব দিয়েছেন মানুষের জন্য পরিষ্কারভাবে কোরআনের ব্যাখ্যা করার জন্য।
কোরআনে অনেক কিছু খুব সংক্ষেপে বলা আছে। ৫ ওয়াক্ত নামাজের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কোরআন ৫ ওয়াক্তের কথাই বলা আছে। কিন্তু ব্যাখ্যার জন্য ও বোঝার জন্য রসুলকে (সা) অনুসরণ করতে হবে। ঈদের নামাজের কথা কোরআনে উল্লেখ নাই। তার কারণে তো আমরা এই নামাজ ত্যাগ করি না। কারণ রসূল নিজে পড়েছেন এবং পড়তে বলেছেন।
এই সাইটের লেখার শেষের অংশে বলা আছে যে কোরআনে সব কিছুর বিস্তারিত বর্ণনা নাই। কোরআনে অনেক বিধান আছে কিন্তু বিস্তারিত জানার দালিলিক উৎস হোল সুন্নাহ যেখানে অনেক বিধানের বিস্তারিত বর্ণনা আছে যা কোরআনে উল্লেখ নাই।
ভাই তার মানে কোরানে ৫ ওয়াক্তের কথা বলা নাই। রাসুল সা: কে অনুসরন করে বা হাদিসের রেফারেন্সে ৫ ওয়াক্ত এসেছে। তাহলে এই ব্লগের যে দাবি করা হয়েছে সেটা ঠিক না তাই না?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
নতুন ভাই,
সাচু ভাই আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
ধন্যবাদ।
১৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নতুন ভাই - কোরআনে ৫ ওয়াক্ত বলা নাই এমন কথা আমি বলি নাই। বরং তার বিপরীত বলেছি। আমি স্পষ্ট বলেছি যে কোরআনে ৫ ওয়াক্তের কথাই আছে। যে সাইটের সূত্র দিয়েছি সেখানেও তাই বলা আছে। আমাদের বোঝার সমস্যার জন্য আমরা তর্ক করছি। কারণ কোরআনে যদি ৪ ওয়াক্তের কথা বলা থাকে তাহলে রসূল (সা) কেন নিজে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছেন? আপনি পারলে এটার উত্তর দিয়েন। আপনার কথা মানতে গেলে আমাকে বলতে হয় যে রসূল (সা) কোরআন বিরোধী কাজ করেছেন (নাউজুবিল্লাহ)। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে কোরআনে ৪ ওয়াক্ত বলা আছে কিন্তু রসূল (স) ও তার অনুসারিরা ৫ ওয়াক্ত পড়ছেন? এটার ব্যাখ্যা দেন দয়া করে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
যৌক্তিক আলোচনায় অভিনন্দন।
১৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোস্টদাতা পোস্ট দিয়ে হারিয়ে যান। সময় না থাকলে পোস্ট না দেয়াই ভালো। ১৩ টা মন্তব্য ০ জবাব।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার মত উত্তম বন্ধু থাকা সৌভাগ্যের। এই সৌভাগ্য যাদের হয়ে থাকে তারা একটু আধটু হারিয়ে গেলেও তেমন সমস্যা হয় না। মূলতঃ নতুন কিছু লোকের নিয়োগ সংক্রান্ত কাজে পরীক্ষাগ্রহণসহ আনুসঙ্গিক ব্যস্ততায় কেটেছে গত দুই দিন। পোস্ট দিয়ে তেমন আর খোঁজ নিতে পারিনি সেই কারণেই। এ জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং সহৃদয় হয়ে আপনি পোস্ট রিলেটেড অনেকের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে দায়িত্বভার কাধে নিয়েছেন বলে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
জাজাকুমুল্লাহ ভাই।
১৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৬
নতুন বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নতুন ভাই - কোরআনে ৫ ওয়াক্ত বলা নাই এমন কথা আমি বলি নাই। বরং তার বিপরীত বলেছি। আমি স্পষ্ট বলেছি যে কোরআনে ৫ ওয়াক্তের কথাই আছে। যে সাইটের সূত্র দিয়েছি সেখানেও তাই বলা আছে। আমাদের বোঝার সমস্যার জন্য আমরা তর্ক করছি। কারণ কোরআনে যদি ৪ ওয়াক্তের কথা বলা থাকে তাহলে রসূল (সা) কেন নিজে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছেন? আপনি পারলে এটার উত্তর দিয়েন। আপনার কথা মানতে গেলে আমাকে বলতে হয় যে রসূল (সা) কোরআন বিরোধী কাজ করেছেন (নাউজুবিল্লাহ)। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে কোরআনে ৪ ওয়াক্ত বলা আছে কিন্তু রসূল (স) ও তার অনুসারিরা ৫ ওয়াক্ত পড়ছেন? এটার ব্যাখ্যা দেন দয়া করে।
@সাচু ভাই। :- কিভাবে এসেছে সেটা আলোচনার বিষয় না।
আলোচনার বিষয় হইলো। কোরানে কি বলা আছে নামাজ ৫ ওয়াক্ত?
উপরে নকিব ভাই
فَسُبْحَانَ اللَّهِ حِينَ تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ
সুতরাং, তোমরা আল্লাহর তাসবিহ তথা পবিত্রতা ঘোষনা কর, যখন সন্ধ্যায় (মাগরিব ও ইশার নামাজ দ্বারা) উপনীত হবে এবং সকালে (ফজর নামাজ দ্বারা) উঠবে। -সুরা রূম : আয়াত ১৭
وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ
আর অপরাহ্নে (আসর নামাজ দ্বারা) ও জোহরের সময়ে। আর আসমান ও জমিনে সব প্রশংসা একমাত্র তাঁরই।' -সুরা রূম : আয়াত ১৮
ব্রাকেটের মাঝে () শব্দ বসাইয়া যদি ৫ সন্ধাকে মাগরিব এশা অর্থ করে সেটা কি কোরানের অনুবাদে আছে?
উপরে শেরজা তপন ভাইয়ের দেওয়া অনুবাদে আছে:---
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদে লেখা আছে; সুতারাং তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষনা কর, সন্ধ্যায় ও প্রভাতে, এবং অপরাণহ ও জোহরের সময়ে
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অনুবাদে আছে; অতএব তোমরা সকাল সন্ধ্যায় বিকেল ও দুপরে আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা কর।
فَسُبْحَانَ اللَّهِ حِينَ تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ
অতএব, তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা স্মরণ কর সন্ধ্যায় ও সকালে,
So (give) glory to Allah, when ye reach eventide and when ye rise in the morning;
(18
وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ
এবং অপরাহ্ণে ও মধ্যাহ্ণে। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে, তাঁরই প্রশংসা।
Yea, to Him be praise, in the heavens and on earth; and in the late afternoon and when the day begins to decline.
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
সাচু ভাই আপনার মন্তব্যের জবাব ইতোমধ্যে দিয়েছেন। তাকেসহ আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।
১৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নতুন ভাই- কোরআনে ৫ ওয়াক্তের কথা বলা আছে কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি না। হয়তো দুই ওয়াক্ত একসাথে বলা আছে, আবার না ও হতে পারে, আমাদের বোঝার ভুলও হতে পারে। তাই রসূল (সা) কি করেছেন সেটা থেকেই বুঝতে হবে কোরআনে আসলে কি বলা আছে। কোরআনে ৪ ওয়াক্তের কথা থাকলে উনি ৫ ওয়াক্ত পড়তেন না। এশার নামাজের কথা সূরা হুদের ১১৪ নাম্বার আয়াতে বলা আছে। আমার লিংকটাতেও আছে। Some of the mufassireen said that these aayat mention only four of the prayers; ‘isha’ is not mentioned here, but it is mentioned in Soorat Hood, where Allaah says (interpretation of the meaning): “… and in some hours of the night…” [Hood 11:114] । সূরা তোয়া হা ১৩০ নাম্বার আয়াতেও নামাজের সময় সম্পর্কে বলা আছে। ৫ ওয়াক্তের কথা বুঝতে হলে এই সবগুলি আয়াত একত্রে বিবেচনা করতে হবে এবং রসূল (স) কিভাবে নামাজ পড়েছেন সেটা দেখতে হবে। রসূল ( সা) ছিলেন কোরআনের জীবন্ত ব্যাখ্যা।
অনেকের কাছে এই ব্যাখ্যাও পছন্দ না হতে পারে। কোরআনে অনেক কিছু সংক্ষেপে বলা থাকে। রসূল (সা) তার কাজের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে কোরআন অনুযায়ী সালাত ৫ ওয়াক্ত। কোরআনে ৪ ওয়াক্ত বলা থাকলে উনি কেন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। সমস্যা হোল আমরা কোরআন নিজেদের মত ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার উত্তরের শেষের এই কথাগুলো গুরুত্বপূর্ণ- ৫ ওয়াক্তের কথা বুঝতে হলে এই সবগুলি আয়াত একত্রে বিবেচনা করতে হবে এবং রসূল (স) কিভাবে নামাজ পড়েছেন সেটা দেখতে হবে। রসূল ( সা) ছিলেন কোরআনের জীবন্ত ব্যাখ্যা।
অনেকের কাছে এই ব্যাখ্যাও পছন্দ না হতে পারে। কোরআনে অনেক কিছু সংক্ষেপে বলা থাকে। রসূল (সা) তার কাজের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে কোরআন অনুযায়ী সালাত ৫ ওয়াক্ত। কোরআনে ৪ ওয়াক্ত বলা থাকলে উনি কেন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। সমস্যা হোল আমরা কোরআন নিজেদের মত ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি।
সুন্দর উত্তর প্রদানে কৃতজ্ঞতা।
১৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৬
নতুন বলেছেন: অনেকের কাছে এই ব্যাখ্যাও পছন্দ না হতে পারে। কোরআনে অনেক কিছু সংক্ষেপে বলা থাকে। রসূল (সা) তার কাজের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে কোরআন অনুযায়ী সালাত ৫ ওয়াক্ত। কোরআনে ৪ ওয়াক্ত বলা থাকলে উনি কেন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। সমস্যা হোল আমরা কোরআন নিজেদের মত ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি।
তাহলে বলুন ৫ ওয়াক্তের কথা কোরানে নেই। রাসুল সা: যেহেতু ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেছেন তাই আমরা ৫ ওয়াক্তই ফরজ হিসেবে অনুসরন করা উচিত।
এটা সবাই মেনে নেবে।
কিন্তু যদি বলেন যে ৫ ওয়াক্ত কোরানে আছে সেটা কি প্রমান হয়? যেটা এই ব্লগে দাবী করা হয়েছে?
আর নামাজের মতন ফরজ জিনিস কোরানে পরিস্কর কলে বলা নাই? কোরান সহজ করে , সবার বোঝার মতন করে নাজিল করা হয়েছে এমন কথা সবাই বলে?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ভাই,
পবিত্র কুরআন যার উপরে অবতীর্ণ হয়েছে তাঁর চেয়ে বেশি কুরআনের অর্থ বুঝার দাবি যদি কেউ করে বসেন তাহলে সমস্যা কিছুটা হতেই পারে। মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআনের নির্দেশনা বুঝে সেই অনুসারেই দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ নিজে আদায় করেছেন এবং অন্যদেরও তার নির্দেশ প্রদান করেছেন। এখন কারও যদি কুরআনে বর্ণিত নামাজ বা সালাত সংশ্লিষ্ট আয়াতগুলোর নিজস্ব ভিন্ন কোনও ব্যাখ্যা থেকে থাকে সেটা তার বা তাদের একান্তই নিজস্ব ব্যাপার। এই ব্যাপারে তর্ক করা একেবারেই বৃথা মনে করি।
ধন্যবাদ।
১৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০১
জাদিদ বলেছেন: আমার একটা ছোট প্রশ্ন আছে। নামাজকে বলা হয় ইসলামের অন্যতম পিলার। তাহলে এমন একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় সম্পর্কে সরাসরি বলাটা কি যৌক্তিক ছিলো না। যেমন ধরেন রোজা সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে কিভাবে কি করতে হবে। মূল বিষয়টি সম্পর্কে সেখানে ধারনা দেয়া হয়েছে। বাকিটা নবীজি নিজের জীবনে নিজের মত করে এপ্লাই করেছেন। ফলে বিভিন্ন রোজা সম্পর্কিত বিভিন্ন সুন্নত এসেছে।
সবচেয়ে বড় কথা - কোরান যেখানে সাবলম্বী বলা হচ্ছে, সেখানে হাদীস ছাড়া কোরান বুঝা যাবে না - এটাকে বাধ্যতামূলক করা এক ধরনের কোরান অবমাননাই।
যারা হাদিসের সাহায্য নিয়ে পাঁচ রাকাত নামাজের ব্যাপারে তর্ক করছেন, তাঁরা পাবলিককে নানা রকম ভুং চুং ও কোরানের অদ্ভুত, হাস্যকর এবং বিপরীতমুখী অর্থ বলা বাদ দিয়ে তারাবীর নামাজ সংশ্লিষ্ট হাদীস দিয়ে ব্যাখ্যা করলেই ভালো হতো। যেখানে এমনটা বলা (হুবহু হাদিসটা বলতে পারছি না বলে দুঃখিত) রাসুল সাঃ বলেছেন তিনি প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে বা একই রাকাত নামাজ পড়তেন না। কারন তিনি যদি প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে এই নামাজ পড়তেন তাহলে আল্লাহ তা ফরজ করে দিতেন বান্দাদের জন্য।
যাইহোক, আমরা অনেকেই অনেক সাইটের রেফারেন্স টেনে আনি। সমস্যা একই রেফারেন্স যদি বিপক্ষে যাওয়ার মত কিছু থাকে, তখন সেই রেফারেন্স আমাদের ভাইয়েরা গ্রহন করেন না। বলে যে, এটা তো সহি হাদিস না। বা ইহা তো ইসলাম সমর্থিত কোন রেফারেন্স না।
জানতে চাওয়ার ব্যাপারে কোন দোষ আছে বলে মনে হয় না। একমাত্র বিভিন্ন হাদীসেই দেখবেন এই সংক্রান্ত বিধি নিষেধ আছে। অন্য কোথাও নাই।
যাইহোক, আমি নামাজ পড়ি। চেষ্টা করি পাঁচ ওয়াক্তই পড়তে। মন খারাপ থাকলে, বিপদে পড়লে নামাজকে মনে হয় আল্লাহর সাথে কথা বলার একটি সুন্দর মাধ্যম। আসলে মেডিটেশনের অন্য একমাধ্যম হচ্ছে নামাজ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আমার একটা ছোট প্রশ্ন আছে। নামাজকে বলা হয় ইসলামের অন্যতম পিলার। তাহলে এমন একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় সম্পর্কে সরাসরি বলাটা কি যৌক্তিক ছিলো না। যেমন ধরেন রোজা সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে কিভাবে কি করতে হবে। মূল বিষয়টি সম্পর্কে সেখানে ধারনা দেয়া হয়েছে। বাকিটা নবীজি নিজের জীবনে নিজের মত করে এপ্লাই করেছেন। ফলে বিভিন্ন রোজা সম্পর্কিত বিভিন্ন সুন্নত এসেছে।
-আপনার প্রশ্নটা খুবই যৌক্তিক। আসলে কুরআনে দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ সম্পর্কে যতগুলো আয়াত এসেছে তাতে এ কথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, প্রতি দিন ৫ বারে ৫ ওয়াক্ত নামাজই আদায় করতে হবে এবং এটাই মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের জীবনে তা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বাস্তবায়িত করে তার প্রমান প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। রোজা যেমন তিনি রেখে আমাদের শিখিয়েছেন, নামাজও আমরা তাঁর বাস্তব আমল থেকেই শিখেছি। সুতরাং, গ্যাপ কোথায়? গ্যাপ তো কোথাও দেখি না।
সবচেয়ে বড় কথা - কোরান যেখানে সাবলম্বী বলা হচ্ছে, সেখানে হাদীস ছাড়া কোরান বুঝা যাবে না - এটাকে বাধ্যতামূলক করা এক ধরনের কোরান অবমাননাই।
-আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা থেকে বর্ণিত একটি সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, 'কা-না খুলুকুহুল কুরআন' অর্থাৎ, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর গোটা জীবন চরিতই পবিত্র কুরআনের প্রতিচ্ছবি। কুরআনের ব্যাখ্যা বলা যায় হাদিস এবং সুন্নাতের আমলগুলোকে। সুতরাং, হাদিস দ্বারা কুরআন বুঝার চেষ্টা করা হলে তাতে কুরআনের অবমাননা হবে- কথাটাকে হাদিসের আলোকে সঠিক বলার সুযোগ থাকে না।
জানতে চাওয়ার ব্যাপারে কোন দোষ আছে বলে মনে হয় না।
-জ্বি না, নিশ্চয়ই কোন দোষ নেই। বরং, জানার ব্যাপারে যে কোনও ধরণের সঙ্কোচ, লুকোচুরি বা গোপনীয়তার আশ্রয় নেয়াকেই ইসলাম দূষণীয় সাব্যস্ত করা হয়েছে। কিন্তু এইক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, সবাই জানার জন্যই প্রশ্ন করেন, বিষয়টা এমন না। আপনিও আশা করি, ব্যাপারটি উপলব্ধি করে থাকেন। বরং, ধারণা করি, বাংলা ভাষার বৃহত্তর একটি অনলাইন প্লাটফর্মের মডারেটরের অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আপনি আমাদের মত সাধারণ লোকদের চেয়ে অনেক বেশিই এইসব বিষয় ফেইস করে থাকেন। অনেকেরই প্রশ্ন থাকে ভিন্ন উদ্দেশ্যে। তাই কোন প্রশ্নটা পানি ঘোলা করার জন্য করা হয়ে থাকে, আর কোনটা জানার আগ্রহ নিয়ে করা, এই দু'টোর পার্থক্য আপনাকে বুঝানোর ক্ষমতা আমার অন্ততঃ নেই। আপনি নিশ্চয়ই এসব বিষয় আমার চেয়ে অনেক বেশি অবহিত। বরং, আপনি অনিঃশেষ ধৈর্য্য নিয়ে যেভাবে বিরুদ্ধ পক্ষকেও ম্যানেজ করতে পারেন, রেগে না গিয়ে প্রশান্ত মেজাজে সকল পক্ষের মাঝে ন্যায়ানুগ বিচারের প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকেন, প্রায়শই আশ্চর্য্য হই এবং আল্লাহ তাআ'লার কাছে প্রার্থনা করে থাকি, তিনি যেন আপনার প্রতি সদয় হয়ে তাঁর দয়াবর্ষনের ধারাকে আরও বৃদ্ধি করেন।
যাইহোক, আমি নামাজ পড়ি। চেষ্টা করি পাঁচ ওয়াক্তই পড়তে। মন খারাপ থাকলে, বিপদে পড়লে নামাজকে মনে হয় আল্লাহর সাথে কথা বলার একটি সুন্দর মাধ্যম। আসলে মেডিটেশনের অন্য একমাধ্যম হচ্ছে নামাজ।
-চমৎকার এই কথাটি অনেক প্রেরণাদায়ক। আমার কাছে যেমন এ কথাগুলো প্রেরণা, আশা করি, অন্য অনেকের কাছেও তাই হবে। ঠিক যেন আমার মনের কথাগুলোই আপনি বলে দিয়েছেন।
শুকরিয়া। জাজাকুমুল্লাহ।
১৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এশার নামাজের জন্য পৃথক আয়াতে বলা হয়েছে সেটা আমি উপরে উল্লেখ করেছি। তাই আল্লাহ কোরআনে ৪ রাকাত নামাজের কথা বলেছেন এটা কেউ মানবে না। রসূল (সা) নিজের আমল দ্বারা বুঝিয়ে দিয়েছেন কোরআনে আসলে কি বলা হয়েছে। বাড়তি এক রাকাত উনি কোরআন বহির্ভূতভাবে বাড়তি করেছেন এই ধরণের কথা পারলে কেউ দলিল সহ প্রমাণ করুক। প্রমাণ না করতে পারলে মেনে নেয়া উচিত যে কোরআনে ৫ ওয়াক্ত নামাজের কথাই বলা আছে।
কোরআন বোঝা এতো সহজ হলে হাজার হাজার পাতার তফসির কেন লেখা হচ্ছে। তাই কোরআন আমি পড়লাম আর সহজে সব বুঝে ফেললাম। তাহলে কেন কোরআনে রসূলকে (সা) বলা হয়েছে যে আপনি এগুলি ব্যাখ্যা করে দেন। সব যদি পড়া মাত্রই বোঝা যায় তাহলে রসূলের (সা) ব্যাখ্যার প্রশ্ন আসতো না। কোরআনেই বলা আছে যে কিছু আয়াত আছে যেটার অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
'তিনিই সেই মহান সত্তা যিনি আপনার কাছে কিতাব নাজিল করেছেন। যার কোনো কোনো আয়াত প্রকাশ্য ও সুস্পষ্ট অর্থ প্রকাশ করে, এ আয়াতসমূহ হলো এ কিতাবের মূল (আলোচ্য বিষয়)। আর কিছু আয়াত আছে যার অর্থ অজানা বা অস্পষ্ট, অতঃপর যাদের অন্তরে বক্রতা আছে তারা অশান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অস্পষ্ট আয়াতের ব্যাখ্যার পেছনে ছুটতে থাকে। অথচ আল্লাহ ব্যতিত এর মর্ম আর কেউ জানে না এবং (এ আয়াতের ব্যাপারে) যারা জ্ঞানবান তারা বলে আমরা এতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি, সব কিছুই আমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ এবং বুদ্ধমানগণ ব্যতিত অন্য কেউ নসিহত কবুল করতে পারে না।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৭)
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া। জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।
২০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১১
নতুন বলেছেন: কোরআন বোঝা এতো সহজ হলে হাজার হাজার পাতার তফসির কেন লেখা হচ্ছে। তাই কোরআন আমি পড়লাম আর সহজে সব বুঝে ফেললাম। তাহলে কেন কোরআনে রসূলকে (সা) বলা হয়েছে যে আপনি এগুলি ব্যাখ্যা করে দেন। সব যদি পড়া মাত্রই বোঝা যায় তাহলে রসূলের (সা) ব্যাখ্যার প্রশ্ন আসতো না। কোরআনেই বলা আছে যে কিছু আয়াত আছে যেটার অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
“Wa la-Qad yas-sar-nal-Qur-‘aa-na liz-Zik-ri fa-hal mim-mud-da-kir?”
“And We have indeed made the Qur’an easy to understand and remember; then is there anyone who will remember”
Surah Al-Qamar (54:17)
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
কুরআন বুঝা সহজ তো তাদের জন্য যারা আল্লাহ তাআ'লাকে ভয় করে চলে। কুরআনকে হুদাল্লিল মুত্তাকীন বলা হয়েছে। মুত্তাকীদের জন্য হেদায়েতকারী বা পথ প্রদর্শনকারী। মুত্তাকী মানে আল্লাহ ভীরু। আল্লাহ তাআলার আদেশ নিষেধ যারা মেনে চলেন তারাই মুত্তাকী।
২১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আর যখনই কোন সূরা নাযিল হয় তখন তাদের কেউ কেউ বলে, এটা তোমাদের মধ্যে কার ঈমান বৃদ্ধি করল? অতঃপর যারা মুমিন এটা তাদেরই ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারাই আনন্দিত হয়। (১২৪) কিন্তু যাদের অন্তরসমূহে ব্যাধি রয়েছে, এই সূরা তাদের মধ্যে তাদের কলুষতার সাথে আরও কলুষতা বর্ধিত করেছে, আর তাদের কুফরী অবস্থায়ই মৃত্যু হয়েছে। (সূরা আত তওবা ১২৪, ১২৫ নাম্বার আয়াত)
সূরা আল কামারের ১৭ নাম্বার আয়াত বুঝতে হলে উপরের আয়াত দুটির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। যাদের অন্তর ব্যাধিগ্রস্ত তারা কোরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা করে, ফলে তাদের অন্তর কলুষিত হয়। মুমিন বান্দা কোরআনের সঠিক ব্যাখ্যা হয় নিজে বোঝে অথবা বিজ্ঞ ব্যক্তিরা যে ব্যাখ্যা দেয় তা তারা সহজেই অনুধাবন করতে পারে। কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব তাদের মধ্যে দেখা যায় না। পক্ষান্তরে যাদের অন্তর ব্যাধিগ্রস্ত তারা সব সময় কোরআনের আয়াতের খারাপ অর্থ করে। কাজেই দেখা যাচ্ছে যে একই আয়াত শুনে কারও ইমান বৃদ্ধি হয় আবার কারও কলুষতা বৃদ্ধি পায়।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া।
২২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৯
জাদিদ বলেছেন: @নতুনঃ বুঝলেন তো ভাই, আপনার সহ যারা এই সকল বিষয়ে প্রশ্ন করে ও জানতে চায় তাদের অন্তর কুরফীগ্রস্থ। অতএব, খুব সাবধান ভাই। কি একটা অবস্থা আপনার?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
কথাটা বলার আগেই আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই জন্য যাতে আপনি ব্যথিত না হন, সাচু ভাইয়ের উল্লেখিত ১৭ নং মন্তব্যের প্রথমাংশে মূলতঃ পবিত্র কুরআনের আয়াতের মর্মার্থই তুলে ধরা হয়েছে। সূরা তাওবাহ এর নিচের আয়াতের বিষয়ে তিনি বলেছেন-
وَإِذَا مَا أُنزِلَتْ سُورَةٌ فَمِنْهُم مَّن يَقُولُ أَيُّكُمْ زَادَتْهُ هَـٰذِهِ إِيمَانًا ۚ فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا فَزَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَهُمْ يَسْتَبْشِرُونَ
আর যখন কোন সূরা অবতীর্ণ হয়, তখন তাদের কেউ কেউ বলে, এ সূরা তোমাদের মধ্যেকার ঈমান কতটা বৃদ্ধি করলো? অতএব যারা ঈমানদার, এ সূরা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করেছে এবং তারা আনন্দিত হয়েছে। -সূরা আত তাওবাহ, আয়াত ১২৪
এবং
وَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ فَزَادَتْهُمْ رِجْسًا إِلَىٰ رِجْسِهِمْ وَمَاتُوا وَهُمْ كَافِرُونَ
বস্তুতঃ যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে এটি তাদের কলুষের সাথে আরো কলুষ বৃদ্ধি করেছে এবং তারা কাফের অবস্থায়ই মৃত্যু বরণ করলো। -সূরা আত তাওবাহ, আয়াত ১২৫
অবশ্য তার মন্তব্যটির শেষাংশেও অন্য সূরার অন্য আয়াতের আলোচনা এসেছে।
কুরআনের আয়াতের বিষয়ে তো আমাদের মতামত প্রদান করার সুযোগ নেই।
পুনরায় মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা জানবেন।
২৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৪
এভো বলেছেন: আয়াত নাজিলের ক্রনলজি অনুসারে সুরা হুদ হোল ৫২ তম সুরা এবং সুরা রুম হোল ৮৪ তম সুরা । এই দুই সুরাই মক্কি সুরা ।
সুরা হুদ আয়াত ১১৪ ---- Sahih International: And establish prayer at the two ends of the day and at the approach of the night. Indeed, good deeds do away with misdeeds. That is a reminder for those who remember.
উপরে আয়াত অনুযায়ি ৩ ওয়াক্ত নামাজ
সুরা রুমের ১৭ এবং ১৮ নাম্বার আয়াত অনুযায়ি ৪ রাকাত নামাজ ।
এখানে প্রশ্ন আসতে এই দুই সুরা কি এক সাথে পালন করা যায় অথবা --- সুরা রুমের ১৭ এবং ১৮ আয়াত কি সুরা হুদের ১১৪ নাম্বার আয়াতকে মানসুখ করে কিনা ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
মন্তব্য রেখে যাওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ। আসলে আপনি অনেক স্টাডি করেন, এটা বুঝা যায়। খুবই ভালো লাগে।
আচ্ছা, আপনি প্রতি দিন কত ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, সেটা যদি দয়া করে বলেন, তাহলে আপনার সাথে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম।
শুভকামনা।
২৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১১
নতুন বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আর যখনই কোন সূরা নাযিল হয় তখন তাদের কেউ কেউ বলে, এটা তোমাদের মধ্যে কার ঈমান বৃদ্ধি করল? অতঃপর যারা মুমিন এটা তাদেরই ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারাই আনন্দিত হয়। (১২৪) কিন্তু যাদের অন্তরসমূহে ব্যাধি রয়েছে, এই সূরা তাদের মধ্যে তাদের কলুষতার সাথে আরও কলুষতা বর্ধিত করেছে, আর তাদের কুফরী অবস্থায়ই মৃত্যু হয়েছে। (সূরা আত তওবা ১২৪, ১২৫ নাম্বার আয়াত)
সূরা আল কামারের ১৭ নাম্বার আয়াত বুঝতে হলে উপরের আয়াত দুটির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। যাদের অন্তর ব্যাধিগ্রস্ত তারা কোরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা করে, ফলে তাদের অন্তর কলুষিত হয়। মুমিন বান্দা কোরআনের সঠিক ব্যাখ্যা হয় নিজে বোঝে অথবা বিজ্ঞ ব্যক্তিরা যে ব্যাখ্যা দেয় তা তারা সহজেই অনুধাবন করতে পারে। কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব তাদের মধ্যে দেখা যায় না। পক্ষান্তরে যাদের অন্তর ব্যাধিগ্রস্ত তারা সব সময় কোরআনের আয়াতের খারাপ অর্থ করে। কাজেই দেখা যাচ্ছে যে একই আয়াত শুনে কারও ইমান বৃদ্ধি হয় আবার কারও কলুষতা বৃদ্ধি পায়।
ভাই প্রশ্ন যাতে মানুষ না করে সেই জন্য এমন কথা সবাই বলে। প্রশ্ন করলেই ঝামেলা শুরু হয়।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
ভাই প্রশ্ন যাতে মানুষ না করে সেই জন্য এমন কথা সবাই বলে। প্রশ্ন করলেই ঝামেলা শুরু হয়।
-প্রশ্ন করলেই ঝামেলা হয়, কথাটা কি পুরোপুরি সত্যি? প্রশ্নের ধরণেই বুঝা যায় যে, সেটা কি কারণে করা হয়েছে? অনেকের প্রশ্ন থাকে জানার জন্য। আবার অনেক লোক প্রশ্ন করেন বিদ্রুপাত্মক ভঙ্গিতে। এই দুইয়ের পার্থক্য নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয়।
২৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪
নতুন বলেছেন: জাদিদ বলেছেন: @নতুনঃ বুঝলেন তো ভাই, আপনার সহ যারা এই সকল বিষয়ে প্রশ্ন করে ও জানতে চায় তাদের অন্তর কুরফীগ্রস্থ। অতএব, খুব সাবধান ভাই। কি একটা অবস্থা আপনার?
ভাই আমি তো সবচেয়ে বেশী ক্যাচাইলা প্রশ্ন করি
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
ভাই আমি তো সবচেয়ে বেশী ক্যাচাইলা প্রশ্ন করি
-আপনি এমনিতে লোক ভালো। আর কেউ না বুঝলেও আমি ঠিকই সেটা বুঝি। অন্ততঃ আমার এবং আপনার ব্লগ নিক দেখলেও সেটা কারও কারও বুঝে নেয়ার কথা।
অনেক অনেক শুভকামনা।
২৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমি সব সময় ধর্ম থেকে দূরে থাকতে চেয়েছি।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ইচ্ছেটা নিশ্চয় আপনার। তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্বে বিবেক এবং চিন্তাশক্তির প্রয়োগ থাকা উচিত।
ধন্যবাদ।
২৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৮
ফাহমিদা বারী বলেছেন: পবিত্র কুরআনে ৮২ বার সালাতের কথা উল্লেখিত হয়েছে। এরপরও সালাতের ব্যাপারে অজ্ঞতা দেখানোর সুযোগ নাই।
সুন্দর তথ্যবহুল লেখা। আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৬
নতুন নকিব বলেছেন:
অশেষ শুকরিয়া, জাজাকুমুল্লাহ।
২৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬
নতুন বলেছেন: “Wa la-Qad yas-sar-nal-Qur-‘aa-na liz-Zik-ri fa-hal mim-mud-da-kir?”
“And We have indeed made the Qur’an easy to understand and remember; then is there anyone who will remember”
Surah Al-Qamar (54:17)
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৩০
লেখক বলেছেন:
কুরআন বুঝা সহজ তো তাদের জন্য যারা আল্লাহ তাআ'লাকে ভয় করে চলে। কুরআনকে হুদাল্লিল মুত্তাকীন বলা হয়েছে। মুত্তাকীদের জন্য হেদায়েতকারী বা পথ প্রদর্শনকারী। মুত্তাকী মানে আল্লাহ ভীরু। আল্লাহ তাআলার আদেশ নিষেধ যারা মেনে চলেন তারাই মুত্তাকী।
ভাই উপরের আয়াতে কি বলা আছে বা অন্য কোথাও যারা আল্লাহ ভীরু তাদের জন্য সহজ বাকীদের জন্য কঠিন।
১+১=২ এটা বোঝার জন্য কোন শর্ত লাগেনা। সহজ জিনিস বুঝতে শর্ত দরকার নাই।
এমন মনগড়া অযৌক্তিক কথা বলেন বলেই বেশি প্রশ্ন জাগে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আয়াতে উল্লেখিত 'জিকর' শব্দটি দ্বারা অর্থ করা হয়েছে দু'টি। যথা- ১। মুখস্ত করা এবং ২। উপদেশ গ্রহণ করা। অত্র আয়াতের তাফসীরে একইসাথে একথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইজতিহাদ তথা বিধানাবলী চয়ন করার জন্য কুরআনকে সহজ করা হয়নি। কিন্তু এই আয়াতের উক্ত শব্দটির ভুল ব্যাখ্যা করে যে কাজটির অপচেষ্টা অনেককেই করতে দেখা যায় তা হচ্ছে বিধানাবলী চয়ন করার জন্য তারা কুরআনকে সহজ করা হয়েছে, এটা বুঝাতে চান। কুরআন মুখস্ত করা কিংবা এর দ্বারা উপদেশ গ্রহণ করা, এই দু'টির কোনটারই ধারেকাছেও তাদের যেতে দেখা যায় না। সত্যের এবং প্রকৃত বিষয়ের ধারেকাছেও না গিয়ে অপরের ভুল ধরতেও এরা ব্যাপক পারদর্শী। সেইরকম মজার বিষয় বটে!
তাফসীরের কিতাবের দু'টি পেইজের স্ক্রিন শট দিচ্ছি। দয়া করে যদি একটু দেখে নেন-
ধন্যবাদ ভাই।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
আর কুরআন থেকে কোন ব্যক্তিগণ উপদেশ গ্রহণ করে থাকেন সেটাই সূরা বাক্কারাহ এর প্রথমোক্ত আয়াতে বলা হয়েছে, যেটা গতকাল আমার প্রতিমন্তব্যে আমি উল্লেখ করেছিলাম। তাদেরকেই সেখানে 'মুত্তাকি' বলা হয়েছে। এতক্ষনে হয়তো আপনিও সেটা বুঝতে পেরেছেন।
আবারও ধন্যবাদ।
২৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
নতুন বলেছেন: আয়াতে উল্লেখিত 'জিকর' শব্দটি দ্বারা অর্থ করা হয়েছে দু'টি। যথা- ১। মুখস্ত করা এবং ২। উপদেশ গ্রহণ করা। অত্র আয়াতের তাফসীরে একইসাথে একথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইজতিহাদ তথা বিধানাবলী চয়ন করার জন্য কুরআনকে সহজ করা হয়নি। কিন্তু এই আয়াতের উক্ত শব্দটির ভুল ব্যাখ্যা করে যে কাজটির অপচেষ্টা অনেককেই করতে দেখা যায় তা হচ্ছে বিধানাবলী চয়ন করার জন্য তারা কুরআনকে সহজ করা হয়েছে, এটা বুঝাতে চান। কুরআন মুখস্ত করা কিংবা এর দ্বারা উপদেশ গ্রহণ করা, এই দু'টির কোনটারই ধারেকাছেও তাদের যেতে দেখা যায় না। সত্যের এবং প্রকৃত বিষয়ের ধারেকাছেও না গিয়ে অপরের ভুল ধরতেও এরা ব্যাপক পারদর্শী। সেইরকম মজার বিষয় বটে!
তাহলে অর্থ বুঝতে হলে অর্থের ব্যাক্ষা যেই পন্ডিতেরা করবে তাদের উপরে নির্ভর করবে?
কোরানে বলা আছে যে এটা সহজ কিন্তু অর্থ ব্যক্ষা যেই পন্ডিত করেছে তিনি বলছেন এটা কঠিন?
ঠিক আছে মানলাম।
তাহলে বুঝতে পারছেন কোরানের অনুবাদ/তাফসির কারীরা ভুল ব্যক্ষা করে কিভাবে ধর্মকে বির্তকিত করেছে?
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
তর্ক করে লাভ নেই। বুঝতে চেষ্টা করলে অল্প কথাই যথেষ্ট।
কুরআনের অর্থ বা ব্যাখ্যা রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চেয়ে বেশি ভালো কেউ বুঝার প্রশ্নই ওঠে না। সাহাবায়ে কেরাম তাঁর সাথে থেকে সরাসরি কুরআন বুঝেছেন। তারা হাদিস লিপিবদ্ধ করে সেগুলো সংরক্ষন করে গেছেন। সেই হাদিসের বিশাল ভান্ডারকে সামনে রেখেই কুরআনের তাফসীর করেছেন একেকজন তাফসীরকার। এবং প্রসঙ্গত আমাদের এ কথাও মনে রাখা প্রয়োজন যে, কুরআনের অর্থ বা ব্যাখ্যা যারা করেছেন, অন্ততঃ বিশ্বব্যাপী সর্বকালের গ্রহণযোগ্য আলেম উলামাদের দ্বারা স্বীকৃত যেসব তাফসীরের কিতাব বর্তমানে বিদ্যমান এসব কিতাবের তাফসীরকারগণ রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসৃত নীতি ও আদর্শের পরিপূর্ণ অনুসারী ছিলেন। তারা প্রতিটি আয়াতের অনুবাদ এবং তাফসীর করার পূর্বে সেই আয়াত রিলেটেড হাদিস এবং রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আমল, বক্তব্য কিংবা কোনও সূত্রের খোঁজখবর না নিয়েই তা করেছেন- এটা পৃথিবীর কোন বোকাও বিশ্বাস করবে?
মানলেন তো মানলেনই। মেনে আবার পরে ছেড়ে দিলে, লাভ কি তাতে?
ধন্যবাদ।
৩০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৭
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
তর্ক করে লাভ নেই। বুঝতে চেষ্টা করলে অল্প কথাই যথেষ্ট।
ঠিক আছে তালগাছ আপনার। তর্ক শেষ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
আমাকে তালগাছ দিয়ে দিলেন বলে আপনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে খাটো করতে চাই না।
চায়ের দাওয়াত দিয়ে রাখছি। কোনো দিন যদি সুযোগ আসে, আপনার সাথে একত্রে চা খাবো ইনশাআল্লাহ।
৩১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০৬
নতুন বলেছেন:
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সুন্দর++