নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
মিলাদে কিয়াম করা এবং জামাই বেচারার দুরবস্থা
শ্বশুর মহাশয় দাঁড়িয়ে মিলাদের পক্ষে। বাবা মিলাদ পড়েন বসে বসে। এই নিয়ে দুই বেয়াইর মধ্যে তুমুল মন কষাকষি। এই দাঁড়ানো আর বসা নিয়ে দুই বেয়াইর রসি টানাটানিতে জামাই বেচারার অবস্থা বেগতিক। বেচারা পড়ে গেছেন মহাবিপদে। ভদ্রতা এবং আদব কায়দা রক্ষার তাগিদে না বাবাকে কিছু বলতে পারছেন, আর না শ্বশুর মহাশয়কে কিছু বুঝাতে সক্ষম হচ্ছেন। তার ধারণা, বাবার পক্ষাবলম্বন করলে কি না আবার শ্বশুর বাবাজিকে অপমান করা হয়! আবার অন্যদিকে, শ্বশুরের পক্ষে গিয়ে দাঁড়িয়ে মিলাদ পড়লে বাবা যদি ধরে নেন যে, ছেলে তাকেই হেয় করার জন্য এই কাজ করেছে! কি যে কঠিন একটা অবস্থা!
কিছু দিন পরের ঘটনা। পারিবারিকভাবে আয়োজিত ধর্মীয় এক অনুষ্ঠানে শুরু হল মিলাদ। দুই বেয়াই উপস্থিত সেই মিলাদে। মিলাদ শুরু হতেই রীতিমত দাঁড়িয়ে গেলেন শ্বশুর আব্বা এবং বাবাকে দেখলেন তিনি তার নিয়ম মেনে পূর্বের মত বসে বসেই মিলাদ পড়ছেন। জামাই বেচারা চিন্তা করে কুল কিনারা পাচ্ছিলেন না যে, কার দলে যাবেন! কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা! তিনি পড়েছেন বিশাল এক ফাঁপড়ে। একবার শ্বশুর আব্বার দিকে তো আরেকবার বাবার দিকে তাকান। শেষমেষ কার পক্ষে যাবেন বুঝতে না পেরে না দাঁড়ানো, না বসা অর্থাৎ, মাঝামাঝি রুকূতে চলে গেলেন এবং সেই অবস্থায় থেকেই মিলাদ শেষ করলেন।
একবার ভাবুন, বেচারার অবস্থাটা।
আারেকবার দাঁড়িয়ে এবং বসে মিলাদের পক্ষের দুই দল ঝগড়া করে রাস্তায় নেমেছে। উভয় পক্ষই মারমুখী। অবস্থা গুরুতর। যে যাকে পায় তাকেই অপদস্ত করে চলেছে। রাস্তা দিয়ে এক পথচারী হেটে যাচ্ছিলেন। দাঁড়িয়ে মিলাদের পক্ষের লোকেরা তাকে ধরে বললেন, এই ব্যাটা তুই কোন দলের লোক? দাঁড়ানোদের পক্ষের না কি, বসাদের?
ভদ্রলোক তো থ'। কোনটা বলে আবার কোন বিপদে ফেঁসে যান বুঝতে পারছিলেন না। লোকজনের মারমুখী হাবভাব দেখে সমূহ বিপদ আঁচ করতে তার কষ্ট হল না। বুদ্ধি করে চট করে বলে ফেললেন, আরে ভাই, আমি তো মিলাদই পড়ি না। বেহুদা আমাকে কেন ধরেছেন আপনারা? যারা মিলাদ পড়ে তাদের ধরলেই তো পারেন!
নেতা গোছের একজন বললেন, এই বেআক্কলের দল, ও তো মিলাদই পড়ে না। ওকে কেন ধরেছো? ছেড়ে দাও ব্যাটাকে।
বুঝুন, অবস্থা! তার মানে কি দাঁড়ালো? মিলাদ না পড়লে কোন ক্ষতি নেই! আর যত সমস্যা পড়ুয়াদের নিয়ে?
পুনশ্চঃ প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপরে সালাত ও সালাম এবং দরূদ পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম। তাতে রয়েছে অশেষ সাওয়াব এবং ফায়দালাভের সুযোগ। তবে তা হতে হবে সুন্নাহসম্মত পদ্ধতিতে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
এইটা উপমহাদেশের পণ্ডিত ব্যক্তিদের বানানো সমস্যা।
-কথাটা অনেকাংশে সঠিক। তবে উপমহাদেশের বাইরেও পৃথিবীর অনেক এলাকায় কিন্তু মিলাদ কিয়াম আছে।
শুকরিয়া। ভালো আছেন নিশ্চয়ই।
আল্লাহ তাআ'লা আপনাকে কল্যান দান করুন।
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগের পোস্টের মন্তব্যগুলি দিয়ে ফেলেন। আমি ভালো আছি। আলহামদুলিল্লাহ্।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, কষ্ট করে দিয়েছি। আপনার নির্দেশ শিরোধার্য্য মনে করার ফলেই হয়তো আলহামদুলিল্লাহ, আগের পোস্টের মন্তব্যগুলোর উত্তর দিতে সক্ষম হলাম। অন্যথায় আরও সময় প্রয়োজন হতে পারতো।
আপনি ভালো আছেন জেনে আনন্দিত। শুকরিয়া।
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৩
রাসেল বলেছেন: আমরা অনেকেই বিরোধিতার খাতিরে এমন আচরণ করে থাকি। ধন্যবাদ, সামাজিক সমস্যা তুলে ধরার জন্য।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া।
৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫০
কালো যাদুকর বলেছেন: বেচারা জামাই।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
বেচারা সত্যিই বেচারা!
ধন্যবাদ।
৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৮
জটিল ভাই বলেছেন:
আরে বসেন বসেন, বইসা যান......
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
বিখ্যাত উক্তি!
শুকরিয়া।
৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩১
রানার ব্লগ বলেছেন: শ্রধ্যাবোধ দাঁড়িয়ে বা বসে হয় না ওটা মন থেকে আসে, শ্রধ্যা দেখাতে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে মনে মনে দুইটা গালি দিলে শ্রধ্যা হয় কি ?
ধর্ম উপমহাদেশে এসে অদ্ভুত আকৃতি ধারন করেছে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩
নতুন বলেছেন: সমস্যা হইলো আমাদের উপমহা দেশের মানুষ আরবের মানুষের বেশি কোরান হাদিস বোঝে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আমাদের উপমহাদেশের মানুষ আরবের মানুষের বেশি কোরান হাদিস বোঝে।
-সেটা আর বলতে!
৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮
কামাল১৮ বলেছেন: ইসলামে মতভেদের কোন শেষ নাই।এক যায়গায় তারা এক মত,ধর্মত্যাগীকে হত্যা করো।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার ধারণা সঠিক নয়। মনে হচ্ছে, কোন কারণে আপনি ইসলামোফোবিয়ায় ভুগছেন। প্রকৃতপক্ষে ইসলাম হত্যা করাকে সমাধান মনে করে না। এগুলো ইসলামকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারার ফলে ভুল বুঝাবুঝির ফল।
ধন্যবাদ।
৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: মিলাদ হচ্ছে বিশাল ব্যবসা। টাকার সাথে খাওয়া দাওয়া ফ্রী।
ইসলামের প্রথমদিকে ৩০০ বছর পর্যন্ত একজন মিলাদ পরেছে আমাকে কেউ প্রমান দেখাক। আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করলাম।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি যাদের সাথে চ্যালেঞ্জ করবেন তাদের কাউকে তো এখানে দেখছি না।
শুভকামনা।
১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:৩০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এইসব আরব দেশে নাই কিন্তু কেনো
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আরব দেশে তো অনেক কিছুই নেই। এর কারণও অনেক।
শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এইটা উপমহাদেশের পণ্ডিত ব্যক্তিদের বানানো সমস্যা। সবাই দলাদলিতে ব্যস্ত। পুরোটাই ঐ জামাইয়ের দোষ। কারণ বিয়ার সম্বন্ধ পাকা করার সময় মেয়ের দোষ, গুণ, ধার্মিকতা, সৌন্দর্য ইত্যাদি দেখার আগে তার জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল যে মেয়ের পরিবারের লোকেরা মিলাদে কিয়াম করে কি না। এখন তাকে মিলাদে সারা জীবন রুকুই করে যেতে হবে।