নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
আমার দীর্ঘ একটা বিশ্রাম প্রয়োজন...
আমার দীর্ঘ একটা বিশ্রাম প্রয়োজন...
সময়ের স্রোতধারায় ভেসে-
পৃথিবীর পথে পথে হেটে হেটে সময় তো কম বয়ে গেল না!
কত কিছু দেখা হলো,
মায়াবী চাঁদ, স্নিগ্ধ জোছনা, হিজলের ফুল, পাখিদের অবাক করা মিতালী,
ঝর্ণার অবিরাম নির্ঝরণী, গোলাপের স্মিত হাসি, স্নিগ্ধ মুগ্ধতায় বৃষ্টিদের ঝড়ে পড়া,
এসবের মাঝে থেকেই আমিও
অবাক বিস্ময়ে সময়ের স্বাদ চেখেছি অতলান্ত মৌনতায়
নিঃশব্দ নিত্যতায়
নির্ঝর নির্ভার সাঁঝ বিহানে
নিশিথের কুহেলিকায়
গোঁধুলিবেলার স্বপ্নছায়ায়
কালের ফ্রেমে বন্দী করতে
লিখে রেখেছি দেখা অদেখা হৃদয়ের হাসি কান্নার খানিক দৃশ্যাবলী
কিন্তু আরও ক'টি লাইন যদি লিখে যেতে পারতুম!
শেষ বিদায়ের সর্বশেষ যাত্রার পূর্বে!
আমাকে কিছুটা সময় দাও, প্রিয় মালাকুল মউত!
আর মাত্র কয়েক ছত্র, খুবই অল্প কিছু কথা বাকি রয়ে গেছে,
যা বলা হয়নি এখনও
যে কথাগুলো কেউ জানে না,
আমার কাছের মানুষেরা কিংবা প্রিয়তমা- কেউ না, পৃথিবীর কেউ না,
সে কথাগুলো লিখতে বড় জোড় কয়েক মুহূর্ত সময় লাগবে,
দিবে আমাকে? দিতে পারবে? তোমার ক্ষমতা থাকলে দিয়ে দেখাও,
আমি লিখে যাই জীবনের শেষ কথামালা
দিগন্তের রক্তিম আভা মিশ্রিত কালিতে
শ্বেত বলাকার পালকে লেখা
অন্তিম পদাবলী ফুটে উঠুক ইথার ফুঁড়ে ফুঁড়ে-
তারপর আমি ঘুমুতে যাব,
অনন্তকালীন সে নিদ্রায় এখানকার কেউ আমার সাথী হবে না
রোজ কিয়ামত তক আমার সে ঘুম আর ভাঙ্গাতে আসবে না কেউ....
কারণ, আমার একটা বিশ্রাম প্রয়োজন...
১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৫:৫৭
কামাল১৮ বলেছেন: কিন্তু হুজুররা যে বলে,কবর দিয়ে চল্লিশ কদম আসার পরেই ফেরেস্তা এসে গুর্জু মেরে হাড্ডি গুড্ডি একাকার করে ফেলবে।তারা কি মিথ্যা বলে।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
কিন্তু হুজুররা যে বলে,কবর দিয়ে চল্লিশ কদম আসার পরেই ফেরেস্তা এসে গুর্জু মেরে হাড্ডি গুড্ডি একাকার করে ফেলবে। তারা কি মিথ্যা বলে।
-হুজুররা খারাপ কিছু বলেন বলে মনে হয় না। কারণ, পৃথিবীতে অরাজকতা সৃষ্টি করে, দুর্বলের উপরে অত্যাচার চালিয়ে, অন্যের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে, অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে, অবৈধ অপকর্মে লিপ্ত হয়ে যারা জীবনকে ভোগ উপভোগের একমাত্র উপকরণে পরিনত করে নেন, এ সকল লুটপাট পার্টির জন্য এমন ব্যবস্থা তো থাকাই উচিত! এই শ্রেণির লোকদের জন্য এমন উৎকৃষ্টতর কিছু মেহমানদারি ও আপ্যায়নের ব্যবস্থা না থাকাটা তো বরং তাদের জন্য রীতিমত অপমানজনকও বটে! তাই না? আপনার কি ধারণা?
ধন্যবাদ।
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর কাব্য পাঠ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: শুয়েছে ভোরের রোদ ধানের উপরে মাথা পেতে
অলস গেঁয়োর মতো এইখানে কার্তিকের খেতে;
মাঠের ঘাসের গন্ধ বুকে তার—চোখে তার শিশিরের ঘ্রাণ,
তাহার আস্বাদ পেয়ে অবসাদে পেকে ওঠে ধান,
-অবসরের গান, জীবনানন্দ দাশ।