নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্য ধর্মাবলম্বীদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় ইসলাম যেসব নির্দেশনা দিয়েছে

২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০৮

ছবিঃ অন্তর্জাল।

অন্য ধর্মাবলম্বীদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় ইসলাম যেসব নির্দেশনা দিয়েছে

সম্প্রতি দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গা পুজা। কিন্তু নিতান্ত দুঃখজনক বিষয়, কুমিল্লা এলাকার একটি পূজামণ্ডপে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র আল কুরআনের অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়, তাদের ঘরবাড়ি ইত্যাদির ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের খবরের সঙ্গে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলকে প্রমাণ ছাড়া যুক্তিহীনভাবে যাকে তাকে দোষারোপ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টাও চালাতে দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ এই সুযোগকে ইসলামপন্থীদের শায়েস্তা করার কাজে লাগাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। বস্তুতঃ ইসলাম কখনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উস্কে দেয়াকে আদৌ সমর্থন করে না। প্রকৃত কথা হচ্ছে, যেসব অপরাধীরা এ ধরনের নারকীয় তান্ডব ঘটিয়ে থাকে, তারা নিজেদের যদি ইসলাম ধর্মের অনুসারী দাবিও করে থাকেন, তবু সত্যিকারার্থে তারা ইসলাম ধর্মের আদর্শের কেউ নন। তারা ইসলাম ধর্মের আদর্শ, আবেগ, অনুভূতি জলাঞ্জলী দিয়ে অন্যায় অত্যাচারে লিপ্ত হওয়ার কারণে তারা শুধু ইসলাম ধর্মের শত্রুতেই পরিণত হননি, বরং মানবতারও এরা শত্রু। কারও ঘরে অগ্নিসংযোগ করে বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়া, বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করা - এগুলো সাধারণ কিংবা ক্ষমার যোগ্য কোন অপরাধ নয়। এসব কাজ জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। এসব অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অবশ্যই হওয়া উচিত। সেই সাথে কঠোর থেকে কঠোরতম পন্থায় তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন যারা পবিত্র আল কুরআন অবমাননার সাথে জড়িত।

এইক্ষেত্রে উপযুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণসহ অপরাধীকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার মত করে বিচারের নামে ভিন্নমত পোষনকারীদের দমনে এই ঘটনাকে ব্যবহার করা হলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবার আশা করা দূরুহ। আর তাছাড়, সুনিশ্চিত প্রমাণ ছাড়া কাউকে হয়রানি করা কিংবা অন্যায়ভাবে নিরপরাধ ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদান করা আরেকটি গর্হিত অপরাধ। এতে করে স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বৈরাচারিতা এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, ভক্তি এবং শ্রদ্ধাবোধ বিনষ্ট হবে। বিচার হাতে তুলে নেয়ার মত ঘটনার জন্ম হওয়ার এটিও একটি অন্যতম কারণ।

হামলা, ভাঙচুর ও ঘর-বাড়িতে আগুন দেয়া অমার্জনীয় অপরাধঃ

অন্যায়ভাবে কোনো অমুসলিমের উপাসনালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও ঘর-বাড়িতে আগুন দেওয়া অমার্জনীয় অপরাধ। যারা এসব কাজে জড়িত, তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এসব কাজ দেশে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির নামান্তর। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ এসব কর্মকাণ্ডকে কঠোর ভাষায় নিষিদ্ধ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে,

إِنَّمَا جَزَاءُ الَّذِينَ يُحَارِبُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَسْعَوْنَ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا أَن يُقَتَّلُوا أَوْ يُصَلَّبُوا أَوْ تُقَطَّعَ أَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُم مِّنْ خِلَافٍ أَوْ يُنفَوْا مِنَ الْأَرْضِ ۚ ذَٰلِكَ لَهُمْ خِزْيٌ فِي الدُّنْيَا ۖ وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ

‘যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং পৃথিবীতে ফিতনা-ফ্যাসাদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হলো, তাদের হয়তো হত্যা করা হবে, নয়তো শূলে চড়ানো হবে অথবা হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে দেওয়া হবে কিংবা তাদের দেশান্তর করা হবে। এটা হলো তাদের পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্য আছে আরো কঠোর শাস্তি।’ -সুরা আল মা-য়িদাহ, আয়াত : ৩৩

উপরোল্লিখিত আয়াতে মহান আল্লাহ সমাজে বিশৃঙ্খলা, ফিতনা-ফ্যাসাদ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন।

সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণই ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাঃ

নির্দোষ ও নিরাপরাধ অমুসলিমরা মুসলিম দেশে বসবাস করলে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ পাওয়া তাদের অধিকার।

কোনো অবস্থাতেই তাদের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি করা যাবে না। সর্বাবস্থায় তাদের প্রতি মহানুভবতা দেখাতে হবে। ন্যায়বিচার পাওয়া তাদের অধিকার। ইরশাদ হয়েছে,

لَّا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ لَمْ يُقَاتِلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَلَمْ يُخْرِجُوكُم مِّن دِيَارِكُمْ أَن تَبَرُّوهُمْ وَتُقْسِطُوا إِلَيْهِمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ

‘দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদের নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত করেনি, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। আল্লাহ তো ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন।’ -সুরা : মুমতাহিনা, আয়াত : ৮

জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে নাঃ

যেসব অমুসলিম মুসলিম দেশে জিম্মি হিসেবে (মুসলিম রাষ্ট্রের আইন মেনে) বসবাস করে, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ন্যায়ানুগ দৃষ্টিভঙ্গি পোষন করা মুসলমানদের দায়িত্ব। আলোচ্য আয়াতে সে কথাই স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। তেমনিভাবে যারা ভিসা নিয়ে মুসলিম দেশে আসেন, তাদের প্রতিও একই আচরণ করতে হবে। তাদের জানমালের নিরাপত্তা মুসলমানদের মতোই অপরিহার্য। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ قَتَلَ مُعَاهَدًا لَمْ يَرَحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ، وَإِنَّ رِيحَهَا تُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ أَرْبَعِينَ عَامًا ‏"‏‏

‘যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিম নাগরিককে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না, অথচ তার সুগন্ধি ৪০ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়।’ -বুখারি, হাদিস : ৩১৬৬ ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ২৯৪২, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৩১৬৬


এই হাদিসে অমুসলিমদের হত্যাকারীদের ভয়াবহ পরিণাম বর্ণিত হয়েছে। তবে, হাদিসের মর্মার্থ ব্যাপক। এই হাদিস দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, অমুসলিমদের প্রতি পরিচালিত যে কোন ধরণের অত্যাচার অনাচারই অপরাধ। এ কথা স্বাভাবিকভাবেই বুঝা যায় যে, তাদেরকে হত্যা করাকে অত্র হাদিসে যেহেতু এমনই গর্হিত অপরাধ সাব্যস্ত করা হয়েছে যা সংঘটনের ফলে অপরাধী ব্যক্তি জান্নাতের ঘ্রাণপ্রাপ্তিরও অযোগ্য হবে, সুতরাং, অমুসলিমদের জানমালের ক্ষতি করা, তাদেরকে জ্বালাও পোড়াওয়ের নারকীয়তায় নিক্ষেপ করাও যে একইরকম ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ তা সহজেই অনুমেয়।

ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে শ্রদ্ধার চোখে দেখা সকলের দায়িত্বঃ

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মতাদর্শের মানুষের উচিত ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে শ্রদ্ধার চোখে দেখা। যে কোনো ধর্মের উপাসনালয়ে হামলা করা আইনের চোখে গর্হিত ও মারাত্মক পর্যায়ের অপরাধ। শান্তির ধর্ম ইসলাম এ বিষয়ে সর্বাধিক সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। প্রয়োজনে অন্য ধর্মের উপাসনালয় রক্ষায় যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। সব ধর্মের উপাসনালয় রক্ষা করা মহাগ্রন্থ আল কুরআনের দাবি। এ বিষয়ে আল কুরআনের ভাষ্য-

الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِن دِيَارِهِم بِغَيْرِ حَقٍّ إِلَّا أَن يَقُولُوا رَبُّنَا اللَّهُ ۗ وَلَوْلَا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُم بِبَعْضٍ لَّهُدِّمَتْ صَوَامِعُ وَبِيَعٌ وَصَلَوَاتٌ وَمَسَاجِدُ يُذْكَرُ فِيهَا اسْمُ اللَّهِ كَثِيرًا ۗ وَلَيَنصُرَنَّ اللَّهُ مَن يَنصُرُهُ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ

‘যাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ী থেকে অন্যায়ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে শুধু এই অপরাধে যে, তারা বলে আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ। আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে (খ্রীষ্টানদের) নির্ঝন গির্জা, এবাদত খানা, (ইহুদীদের) উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেত, যেগুলাতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহর সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী শক্তিধর।’ -সুরা : হজ, আয়াত : ৪০

ওমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর ঐতিহাসিক রাজকীয় ফরমানঃ

অমুসলিমদের উপাসনালয় রক্ষায় ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু একটি রাজকীয় ফরমান জারি করেছিলেন। বায়তুল মুকাদ্দাসের খ্রিস্টানদের জন্য তিনি একটি সংবিধান রচনা করেছিলেন। তাতে লেখা ছিল, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। এটি একটি নিরাপত্তাসংক্রান্ত চুক্তিনামা, যা মুসলমানদের আমির, আল্লাহর বান্দা ওমরের পক্ষ থেকে স্বাক্ষরিত হলো। এই চুক্তিনামা ইলিয়াবাসী তথা জেরুজালেমে বসবাসরত খ্রিস্টানদের জীবন ও সম্পদ, গির্জা-ক্রুশ ও খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের জন্য প্রযোজ্য। সুতরাং চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তাদের উপাসনালয়ে অন্য কেউ অবস্থান করতে পারবে না। তাদের গির্জা ধ্বংস করা যাবে না এবং কোনো ধরনের ক্ষতি সাধন করা যাবে না। তাদের নিয়ন্ত্রিত কোনো বস্তু, তাদের ধর্মীয় প্রতীক ক্রুশ ও তাদের সম্পদের কোনো ধরনের ক্ষতি সাধন বা হামলা করা যাবে না।' -তারিখুর রাসুল ওয়াল মুলুক, তারিখে তাবারি, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৪৯

অতএব,

কুরআন-হাদিসের উপরোল্লিখিত উদ্ধৃতি দ্বারা এ কথা স্পষ্ট যে, সংখ্যালঘু অমুসলিমদের ওপর হামলা করা, তাদের ঘর-বাড়ি বা উপাসনালয়ে আক্রমণ করা, তাদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতিসাধন করা নিশ্চয়ই উত্তম কোন কাজ নয়। এসব জঘন্য কাজ করার দ্বারা জান্নাতপ্রাপ্তির আশা করা তো দূরের কথা, রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জান্নাতের ঘ্রাণও পাওয়া যাবে না। সুতরাং, কেউ যদি এসব অপকর্মকে জান্নাতপ্রাপ্তির মাধ্যম জ্ঞান করে থাকেন, তাদের উপলব্ধি করার উপযুক্ত সময় এখনই। এসব কাজ ইসলাম ধর্মের আদর্শের সাথে যায় না। ইসলাম কোনোভাবেই এগুলোকে সমর্থন করে না। ন্যাক্কারজনক এসব গর্হিত অপকর্ম যারা করবে, তারা বরং মানবতাবিরোধী অপরাধে অপরাধী বলে গণ্য হবে। তাদেরকে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব, যাতে করে পরবর্তীতে এই ধরণের জঘন্য অপরাধে লিপ্ত হওয়ার দুঃসাহস আর কেউ না দেখায়।

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:২৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: মুশরিকদের সাথে বসবাস করা নিষেধ
নবী মুহাম্মদ ইসলামিক রাষ্ট্রে মুশরিক বা মূর্তি পুজারীদের বসবাস নিষিদ্ধ করেই শেষ করে নি, একইসাথে অন্যান্য স্থানেও মুশরিকদের সাথে বসবাস নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গেছেন। কোন মুসলিম কোন মুশরিক প্রতিবেশির সাথে মিলে মিশে বসবাস করতে পারবে না, এই হাদিসে এটিই বলা আছে।

গ্রন্থের নামঃ সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
হাদিস নম্বরঃ (1605)
অধ্যায়ঃ ১৯/ যুদ্ধাভিযান
পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী
পরিচ্ছদঃ ৪২. মুশরিকদের সাথে বসবাস করা নিষেধ
১৬০৫। আবূ মুআবিয়ার হাদীসের মত হাদীস হান্নাদ-আবদাহ হতে, তিনি ইসমাঈল ইবনু আবৃ খালিদ হতে, তিনি কাইস ইবনু আবূ হাযিম (রাহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত আছে। তবে এই সূত্রে জারীর (রাঃ)-এর উল্লেখ নেই এবং এটিই অনেক বেশি সহীহ। সামুরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
আবূ ঈসা বলেন, ইসমাঈলের বেশিরভাগ সঙ্গী তার হতে, তিনি কাইস ইবনু আবূ হাযিমের সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ছোট বাহিনী পাঠান। এ সূত্রেও জারীরের উল্লেখ নেই। আবূ মুআবিয়ার হাদীসের মত হাদীস হাম্মাদ ইবনু সালামা-হাজ্জাজ ইবনু আরতাত হতে, তিনি ইসমাঈল ইবনু আবূ খালিদ হতে, তিনি কাইস হতে, তিনি জারীর (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
আমি ইমাম বুখারীকে বলতে শুনেছি, সঠিক কথা হল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কাইসের বর্ণনাটি মুরসাল। সামুরা ইবনু জুনদাব (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মুশরিকদের সাথে তোমরা একত্রে বসবাস কর না, তাদের সংসর্গেও যেও না। যে মানুষ তাদের সাথে বসবাস করবে অথবা তাদের সংসর্গে থাকবে সে তাদের অনুরূপ বলে বিবেচিত হবে।”
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ৯/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
হদিস নম্বরঃ ২৭৮৭
১৮২. মুশরিকদের এলাকায় অবস্থান সম্পর্কে
২৭৮৭। সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কেউ কোনো মুশরিকের সাহচর্যে থাকলে এবং তাদের সাথে বসবাস করলে সে তাদেরই মতো।(1)
(1). সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার উল্লেখিত হাদিসের ঘটনাটি যুদ্ধকালীন সময়ের বিশেষ একটি নির্দেশনা। একটি দলকে কোনো একটি অভিযানে প্রেরণের সময় মহানবী তাদের অবস্থান বিষয়ে যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন সেটা সেই যুদ্ধকালীন সময়ের জন্যই ছিল। সেটা স্বাভাবিক অবস্থায় ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে উপস্থাপন করে ইসলামের উদার দৃষ্টিভঙ্গিকে খাটো করার প্রচেষ্টা নিতান্ত দুঃখজনক এবং স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনা না করে হাদিসের এই নির্দেশনাকে ইসলামের সার্বক্ষনিক আইন সাব্যস্ত করা হাদিসের অপব্যাখ্যার শামিল, যা মূলতঃ অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

যুদ্ধকালীন সময়ের নির্দেশনা তো যুদ্ধকালীন অবস্থার জন্যই। তাই না? সেটাকে স্বাভাবিক অবস্থায় টেনে আনছেন কেন?

যুদ্ধাভিযানের বিশেষ অবস্থাকে ইসলামী আইন কিংবা স্বাভাবিক দৃষ্টিভঙ্গি মনে করে আপনি সম্ভবতঃ ভুল করেছেন।

শুভকামনা জানবেন।

২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



এটা যে যুদ্ধকালীন সময়ের একটি নির্দেশনা ছিল, তা আপনার কমেন্ট হতেও পাওয়া যায়। অধ্যায়ঃ ১৯/ যুদ্ধাভিযান
কথাটি আপনিও উল্লেখ করেছেন।

ধন্যবাদ।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। ++++++++++++

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা জানবেন।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: কোরান ৪৮:১৬ – তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ-না তারা মুসলমান হয়ে যায়।
কোরান ৮:৩৯ – তোমরা কাফেরদের সঙ্গে যুদ্ধ কর যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায় এবং আল্লাহ র সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।
কোরান ৮:১২ – …আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব, কাজেই তাদের গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাটো জোড়ায় জোড়ায়

যুদ্ধ কবে শেষ হবে একটু বলবেন দয়া করে।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



দাদা,
আপনার উল্লেখিত আয়াতগুলো যুদ্ধকালীন অবস্থার প্রেক্ষিতে অবতীর্ণ। বলা বাহুল্য, এই আয়াতগুলোতে সাধারণ শান্তিপূর্ণ অব্স্থাকে উদ্দেশ্য করা হয়নি। অর্থাৎ, শান্তিপূর্ণ অবস্থায় সদ্ভাবে সহাবস্থানে থাকা বিভিন্ন ধর্মের মানুষের ক্ষেত্রে এসব আয়াতের বিধান কার্যকর নয়।

সুতরাং, ডাল মে কুচ কালা হ্যায়, দাদা! আপনি হয়তো আয়াতগুলোর বিষয়ে ভুল সমঝেছেন এবং সম্ভবতঃ এসব আয়াত এখানে উপস্থাপন করে অন্যদেরও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন! ইহা কি ঠিক?

অযথা গায়ে পড়ে ঝগড়া যেমন কাম্য নয় তেমনি পবিত্র কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা করা কিংবা আয়াত নাযিলের স্থান-কাল-প্রেক্ষিত না জেনে যেখানে সেখানে নিজের সুবিধামত আয়াতের উদ্ধৃতি প্রদানও চরম পর্যায়ের অজ্ঞতার পরিচায়ক এবং গর্হিত অন্যায় বিধায় এটাও নিতান্ত অপছন্দের।

যুদ্ধ কবে শেষ হবে একটু বলবেন দয়া করে।

-দাদা, সত্যিকারার্থে আপনিও জানেন যে, যুদ্ধাবস্থা এখন নেই। কিন্তু আপনি তো টেনে আনলেন যুদ্ধের সময়ে নাযিলকৃত আয়াতগুলোকেই। তো, যুদ্ধ শেষ হবে কিভাবে? আপনারাই যে শেষ হতে দিচ্ছেন না!

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩০

পুকু বলেছেন: শিক্ষা আর আচরনের মধ্যে বিস্তর ফারাক পরিলক্ষিত হচ্ছে।শিক্ষা এবং আচরন দুটোতেই খামতি।যা বলে তা করে না আর যা করে সেটা কেউ জানে না।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। ধন্যবাদ।

লাইকসহ মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৪৫

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: পারিবারিক শিক্ষা, সামাজিক অবস্থার, ইউটিউব ফেইসবুকে উগ্র আলোচনার কারনে কিছু মানুষ উগ্র হয়ে যাচ্ছে। আপনি ভালো লিখেছেন

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক বলেছেন। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখন সমস্যা।

আপনার উপস্থিতি প্রেরণার।

শুভকামনা জানবেন।

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

এভো বলেছেন: আরব ভুখন্ড হতে ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের বিতাড়িত করবো
পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী
গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক
হাদিস নাম্বার: 3003
৩০০৩। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আমরা মাসজিদে উপস্থিত ছিলাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে বেরিয়ে এসে বললেনঃ ইয়াহুদীদের এলাকায় চলো। ‘আমরা তাঁর সাথে বের য়ে সেখানে গিয়ে পৌঁছলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে তাদেরকে ডেকে বললেনঃ হে ইয়াহুদী সম্প্রদায়! তোমরা ইসলাম কবূল করো শান্তিতে থাকবে। তারা বললো, হে আবুল কাসিম! আপনি পৌঁছে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে আবার বললেনঃ তোমরা ইসলাম কবূল করো, নিরাপত্তা পাবে। তারা বললো, হে আবুল কাসিম! আপনি পৌঁছে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেনঃ এ দাওয়াত পৌঁছে দেয়াই আমার উদ্দেশ্য ছিলো। তৃতীয় বারও তিনি একই কথার পুনরাবৃত্তি করে বললেনঃ জেনে রাখো! এ ভুখন্ডের মালিকানা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের। আমি তোমাদের এ ভূখন্ড থেকে বিতাড়িত করতে চাই। সুতরাং তোমরা কোনো জিনিস বিক্রি করতে সক্ষম হলে বিক্রি করো। অন্যথায় জেনে রাখো! এ ভূখন্ডের মালিক আল্লাহ ও তাঁর রাসূল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

সকল ইহুদিকে হত্যা করা হবে
পরিচ্ছদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে
১৩/১৮২৯। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘‘কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যে পর্যন্ত মুসলিমরা ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করবে। এমনকি ইহুদী পাথর ও গাছের আড়ালে আত্মগোপন করলে পাথর ও গাছ বলবে ‘হে মুসলিম! আমার পিছনে ইহুদী রয়েছে। এসো, ওকে হত্যা কর।’ কিন্তু গারক্বাদ গাছ (এরূপ বলবে) না। কেননা এটা ইহুদীদের গাছ।’’ (বুখারী-মুসলিম)
(1) সহীহুল বুখারী ২৯২৬, মুসলিম ১৫৭, ২৯২২, আহমাদ ৮৯২১, ১০৪৭৬, ২০৫০২
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

অমুসলিমদের সংস্পর্শ
গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب)
হাদিস নম্বরঃ ৪৮৩২
১৯. যার সংস্পর্শে বসা উচিত
৪৮৩২। আবূ সাঈদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি মু‘মিন ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কারো সঙ্গী হবে না এবং তোমার খাদ্য যেন পরহেযগার লোকে খায়।(1)
হাসান।
(1). তিরমিযী, আহমাদ।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৭৭/ পোশাক
হাদিস নম্বরঃ (5827)
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৭৭/২৪. সাদা পোশাক প্রসঙ্গে
৫৮২৭. আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলাম। তাঁর পরনে তখন সাদা পোশাক ছিল। তখন তিনি ছিলেন নিদ্রিত। কিছুক্ষণ পর আবার এলাম, তখন তিনি জেগে গেছেন। তিনি বললেনঃ যে কোন বান্দা ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ বলবে এবং এ অবস্থার উপরে মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললামঃ সে যদি যিনা করে, সে যদি চুরি করে? তিনি বললেনঃ যদি সে যিনা করে, যদি সে চুরি করে তবুও। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ সে যদি যিনা করে, সে যদি চুরি করে তবুও? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, সে যদি যিনা করে, সে যদি চুরি করে তবুও। আমি বললামঃ যদি সে যিনা করে, যদি সে চুরি করে তবুও? তিনি বললেনঃ যদি সে যিনা করে, যদি সে চুরি করে তবুও। আবূ যারের নাক ধূলি ধুসরিত হলেও। আবূ যার যখনই এ হাদীস বর্ণনা করতেন তখন আবূ যারের নাসিকা ধূলাচ্ছন্ন হলেও বাক্যটি বলতেন। আবূ ‘আবদুল্লাহ ইমাম বুখারী) বলেনঃ এ কথা প্রযোজ্য হয় মৃত্যুর সময় বা তার পূর্বে যখন সে তাওবাহ করে ও লজ্জিত হয় এবং বলে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’, তখন তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (১২৩৭) (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



এভো,
আশা করি ভালো আছেন। আসলে অতি ধার্মিকতা মানুষকে যেমন ধর্মান্ধতা আর উগ্রতার পথে নিয়ে যায়, তেমনি অতি ধর্ম বিরোধিতার নামে কিছু কিছু লোকের কাজকর্ম তাদেরকে উগ্রতার পথে ঠেলে দিচ্ছে কি না, চিন্তার বিষয়, ভাববার বিষয়, বুঝার বিষয়।

ব্লগে কিছু লোকের কাজই হচ্ছে, তারা ইসলাম ধর্মের গায়ে কালিমালেপনের অপচেষ্টা করে বেড়ান। তারা পবিত্র কুরআনের একেকটি আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট না জেনে, আয়াতের শানে নুযূল জ্ঞাত না হয়ে এবং প্রতিটি হাদিসের সাথে রিলেটেড ঘটনা বা অবস্থা ইত্যাদি না বুঝে এবং এগুলোকে বিবেচনায় না নিয়ে যেখানে সেখানে যেমন খুশি তেমন আয়াত এবং হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে সেসবের অপব্যাখ্যা করেন।

ইসলাম ধর্মের কোন বিষয়ই ইহাদের সহ্য হয় না। ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধাচারিতায় লিপ্ত আমাদের অতি প্রিয় এইসব ভাইদের গাত্রদাহ দেখলে, ব্যাখ্যার নামে কুরআন হাদিসের অপব্যাখ্যা এবং যুক্তির নামে অবান্তর, অযৌক্তিক ও মনগড়া উদ্ভট কথাবার্তা দেখলে সত্যি না হেসে পারা যায় না। এই কাজে ইহাদের কসরত দর্শনে হতবাক হই।

এদের জন্য শুধুই শুভকামনা।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:১৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: নকিব ভাই একজন রসালো মুসলমান, এই ব্লগে এইসব রসালো মুসলমানের ছড়াছড়ি। ইসলামের যেটা পছন্দ হয় সেটা মানেন, আর যেটা অপছন্দ সেটা হ্যানা ত্যানা যুদ্ধ টুদ্ধ বলে এড়িয়ে যান। আমার মনে হয় ব্যক্তিগত জীবনে তিনি খুবই ভদ্র এবং পরোপকারী কিন্তু তিনি যদি পুর্ন ইসলাম ফলো করা শুরু করেন, তাহলে তো কাম সারা। এইসব উটকো নাস্তিক ফাস্তিক হিন্দু পান্দু কি হালে পানি পাবে?? লুকায়ে চুরায়ে নাম ভাড়ায়ে দুই চারটে কমেন্ট করছি। মহান আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া যে এখনো ঘাড়ে মাথা আছে।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



রসালো হওয়ার কৃতিত্ব সবটুকু অন্যদের প্রদান করা আপনার একান্ত উদারতারই বহিপ্রকাশ মাত্র! আপনিও কি ইহাতে বিন্দুমাত্রও কম যান!

মহান আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া যে এখনো ঘাড়ে মাথা আছে।

-এই শুকরিয়া তো আমরাও আদায় করতেই পারি। আসলে সত্যি কথা হচ্ছে, সবসময় আল্লাহ তাআ'লার কাছে শুকরিয়া আদায় করেও থাকি। কারণ, চান্স পেলে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধ পক্ষও আমাদের মত ধার্মিক মুসলমানদেরকে উগ্রবাদী কিংবা ধর্মান্ধ অপবাদ দিয়ে কচুকাটা করতেন কি না, কে জানে! তাদের হাত থেকে ধার্মিকদেরকে বাঁচানোর মালিক তো একমাত্র আল্লাহ তাআ'লাই। তিনিই আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখেন। সেই কারণে আল্লাহ তাআ'লার কাছে শুকরিয়া আদায় করতেই হয়।

ধন্যবাদ ভাই।

৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সংক্ষিপ্ত কিন্তু চমৎকার মন্তব্য। উৎসাহ প্রদান করায় কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা জানবেন।

৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অগ্নিবেশ আপনি জানেন তো যাদের খুত খুজে বেড়ানো অভ্যাস তারা সব সময় খুত খুজে বেড়ায়। তো আপনার অবস্থা হয়েছে অনুরুপ। আল কোরআন নাজিল হয়েছিলো হযরত মুহাম্মদ সাঃ এরউপর ১৪০০ বৎসর পূর্বে। আল কোরআনের সকল কথা সকল সময়ের উপর জন্য প্রযোজ্য নয়। আপনি গায়ের জোরে বলতে পারেন। হাসাহাসি করতে পারেন। কিন্তু আসলে এই বিষয়টি সত্য।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



কৃতজ্ঞতা অশেষ।

শুভকামনা।

১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

আমি নই বলেছেন: পোষ্টে লাইক।

এত ব্যাখ্যা দেয়ার পরেও তেনারা ত্যানা পেচাবেনই। এনাদের কথা শুনলে মনে হবে এনাদের আসে-পাসের সকল মুসলিমরা দিন-রাত তরবারি নিয়ে ঘুরতেছে অথচ বাস্তবতা যে ভিন্ন এটা দেখেও স্বীকার করেনা। নিজেরাই আবার নিজেদের গর্দান কেন নেয়া হচ্ছেনা বা হুমকিও দেয়া হচ্ছেনা সেজন্য আফসোছ করেই যাবে, উস্কানি দিয়েই যাবে। আজব প্রজাতীর মানুষ এরা।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টে লাইক প্রদান করায় এবং চমৎকার প্রতিবাদী মন্তব্য রেখে যাওয়ায় অশেষ কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা জানবেন।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টটি দিয়েছিলাম অন্য ধর্মের অনুসারীদের সাথে মুসলমানদের পারস্পারিক সহাবস্থানের ক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে। ইসলাম ধর্মে অন্য ধর্মাবলম্বীদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও পারস্পারিক আন্তরিকতাপূর্ণ সহাবস্থানের নির্দেশনাগুলো তুলে ধরেছিলাম মানুষ যাতে এগুলো জানার মাধ্যমে নিজেদের ভেতরকার হানাহানি ও ধর্মীয় বিভেদ দূর করতে পারে এবং আন্তঃধর্মীয় পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে সদ্ভাবে বসবাস করতে পারে। কিন্তু কয়েকজন ব্যক্তি অনাকাঙ্খিতভাবে এই পোস্টে এসে শান্তি শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তার পরিবর্তে অন্য কিছুর প্রতি, ঘৃণার প্রতি, হিংসার প্রতি, পারস্পারিক অশ্রদ্ধা এবং আন্তরিকতাহীনতার প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে চেষ্টা করছেন। তারা উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে পরিবেশ ঘোলাটে করার পথে অগ্রসর হচ্ছেন, যেটা নিতান্ত দুঃখজনক।

তাদের জন্য শুভকামনা। তবু শুভকামনা। শেষ পর্যন্ত শুভকামনা।

১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এভো’র এসব হাদীস পড়ে অবাক হয়। হাদীস গুলো রাসুলের মৃত্যুর ৩০০ বৎসর পূর্বে সংগ্রহ করা হয়। সুতরাং হাদীস গুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কি ছিলো আমি বুঝিনা। সুতরাং হাদীসগুলো নিয়ে হাসি ঠাট্টা করারই বা কি আছে? তাছাড়া হাদীস সংগ্রহ করতে রাসুল (সাঃ) নিজেই নিষেধ করেছিলেন। সুতরাং হাদীস নিয়ে এই সকল রং তামাশা বন্ধু করুন। অন্যের ধর্মের প্রতি সহানুভূতী রাখেন।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

১২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৩৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মাথায় ঘিলু থাকলে তো বুজবে? বলি আবোল তাবোল না বলে লাইনে আাইসো। আমেরিকার পারমানবিক বোমার কথা শুলে আনন্দে আত্মহারা হও। জান জাপানে কতজন মারা গেছিলো? রাশিয়া সুখই পারমানবিকবাহী বিমানের কথা শুনে আনন্দ পাও। কিন্তু জান না এই বিমানের একটা বোমা কতজন মানুষকে নির্মম ভাবে হত্যা করতে পারে? পৃথিবীর সকলে অস্ত্র প্রতিযোগীতা বাদ দিলে পৃথিবী এমনিই অস্ত্র প্রতিযোগীতা মুক্ত হবে। কিন্তু তোমাদের হিসাব তো অস্ত্র দিয়ে। যদি তাই হয় তাহলে মুসলমানেদের হাতে অস্ত্র দেখে ভয় পাও কেনো? বিড়ালের গলায় ঘন্টা। রাসুলের সময়কালীন সময়ে নিমর্ম নির্যাতনের কারনে অস্ত্র হাতে আদেশ করা হয়েছিলো। কিন্তু সেটা সেই সময়ের জন্যে। এখনকার জন্য নয়।

আর তোমরা বেশি বাড়াবাড়ি করো না; নিশ্চয়ই
আল্লাহ তাআলা সীমালঙ্গনকারীদের পছন্দ করেন না!
সূরা আল বাকারা-১৯০

যার যার ধর্ম তার তার হাতে- কথাটা মাথায় রেখো র ভাই------ ধর্ম উপহাসের বিষয়বস্তু নয়।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

১৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মানুষের সাধারণ মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে ব্যাপক হারে।।কথিত আছে মাটি যদি নষ্ট হয়ে যায় তার প্রভাব অন্য সবকিছুর ওপর পরে। আমাদের ভাবনা চিন্তা ধারা সাধারণ বোধ শক্তি সেই মাটি নষ্ট হয়ে গেছে।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



অভিনন্দন।

শুভকামনা জানবেন।

১৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: এগুলো কথার কথা। বাস্তব অন্য রকম।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,
ব্লগের এই সামান্য ক'দিনের পরিচয়, লেখালেখির সূত্রে সামান্য কিছু স্মৃতি এসবই এক সময় হারিয়ে যাবে। আমরাই তো থাকবো না। প্রত্যেককেই বিদায় নিয়ে যেতে হবে। অতএব, আপনাকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্যে নয়, সত্যিকারার্থে হৃদয়ের কিছু উপলব্ধি আপনার সাথে শেয়ার করছি এই জন্যই যাতে আপনার অতি সামান্য হলেও তা উপকারে আসে। ইসলাম ধর্মের বিষয়ে আপনি যে হীনমন্যতায় আক্রান্ত এবং এ বিষয়ে আপনার অধিকাংশ ধারণাই যে ভুল তা আপনার অনেক মন্তব্যেই প্রতিফলিত হয়ে উঠছে।

আপনি বলেছেন বাস্তব অন্য রকম। কেমন সেই অন্য রকমটা?

আপনার প্রতি অনুরোধ, ইসলাম ধর্মকে আপনি সঠিকভাবে অধ্যয়ন করুন। কুরআন পড়ুন। কুরআনের অর্থ পড়ুন। হাদিস গ্রন্থগুলো পড়ুন। আর রাহিকুল মাখতূম পড়ুন।

ধন্যবাদ।

১৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:৩৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: আল কোরআনের সকল কথা সকল সময়ের উপর জন্য প্রযোজ্য নয়। - এরা বলে কি?? এরা কারা?? ইমান আকিদা কিছুই নাই, এরাই আবার নিজেদের মুসলমান দাবী করে?? আমি বিস্মিত, আমি অবাক, আমি হতবাক।
সমস্ত রসালো মুসলমান ভাইদের কাছে একটা অনুরোধ আমার কথা বিশ্বাস করতে হবে না, যারা ইসলাম বোঝেন এই ধরনের স্কলারদের কাছে গিয়ে জিগান। কুরআনের নাসিখ মানসুখ (রহিত বা বাতিল) আয়াত কি?? কেন আয়াত বাতিল হয় কিভাবে হয়?? বাতিল আয়াতের তালিকা কোথায়?? নীনের আয়াতটি দ্বারা কোন কোন আয়াত বাতিল হয়েছে ??

কোরান ৯:৫ – অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাটিতে তাদের সন্ধনে ওৎপেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামাজ কায়েম করে, যাকাত আদায় করে তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চই আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু।


২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ধর্মের নামে নাশকতা, উগ্রবাদ যেমন কোনভাবেই কাম্য নয়, তেমনি উগ্র ধর্মবিরোধিতাও অগ্রহনযোগ্য।

ধন্যবাদ।

১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কিন্তু দিন দিন আমরা ধর্মের ভাল, সুন্দর দিক থেকে সরে আসছি। ফলাফল পৃথিবীময় অশান্তি।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ভুল ধারণা, অপধারণা, অসত্য ধারণার উপরে ভিত্তি করে ইসলাম ধর্মের বিবিধ বিষয়াদিকে অপব্যাখ্যা করাসহ ইত্যাদি নানাবিধ কারণে আমাদের আজকের এই দুরবস্থা। এসব হতে বেরিয়ে আসতে হবে। ইসলাম ধর্মের সত্যিকারের মানবিকতাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। সত্যিকারের আদর্শকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই বন্ধ হতে পারে এইসব অনাচার। তাহলেই পারস্পারিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানের আশা করা যায়। করা যায়, সামাজিক অবক্ষয়ের দুষ্টক্ষত থেকে বাঁচার আশা।

ধন্যবাদ ভাই।

১৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০৬

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: বোমা কারা মারে, কারা মন্দির ভাঙচুর করে, কারা শান্তির বাতাসে আগুন ঢালে, দেশ কাদের কারণে হেলে দুলে?
জানা একদম সহজ;
তারা ঐসব লোক যারা অধর্মের ধ্বজা উড়ায়।
যতদিন কারো ভিতর ধর্ম থাকবে ততদিন শান্তি, সংহতি, সম্প্রীতি বহাল থাকবে। ধর্মকে ভালোবাসি বলেই আজো সকল ধর্মের লোকেদের সাথে সহজভাবে মিশতে পারি, সবাইকে ভালোবাসতে পারি।
বিশ্বাসে মুক্তি, তর্কে বহুদূর।
হ্যাপি ব্লগিং।
ভালো লিখেছেন। অনেক শুভকামনা।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহ।

১৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

এভো বলেছেন: কোরান ৪৮:১৬ – তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ-না তারা মুসলমান হয়ে যায়।

একটু ব্যাখা করবেন কি ? মুসলমান না হওয়া পর্যন্ত কেন যুদ্ধ করে যেতে হবে ? তারা যদি কাফের থেকে সারেন্ডার করে , সেটা চলবে না -- মুসলমান হতেই হবে ?
সুরা তওবার ৫ নং আয়াত -- অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।


এই আয়াতটা কোন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছিল বলবেন কি ?
তাদের হত্যা করার কথা বলা হয়েছে -- যদি তারা তওবা করে , নামাজ কায়েম করে , যাকাত আদায় করে ---- অর্থাৎ তারা যদি মুসলমান হয়ে যায় তাহোলে ছেড়ে দিতে হবে এবং যদি মুসলমান না হয় তাহোলে হত্যা করতে হবে । ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলে বেচে যাবে , না করলে মেরে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ আছে এই আয়াতে ।
বাচতে চাও তো ইসলাম ধর্ম গ্রহন কর , না করলে মৃর্তু
একটু ব্যাখা করবেন কি ?

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



কোরান ৪৮:১৬ – তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ-না তারা মুসলমান হয়ে যায়।

একটু ব্যাখা করবেন কি ? মুসলমান না হওয়া পর্যন্ত কেন যুদ্ধ করে যেতে হবে ? তারা যদি কাফের থেকে সারেন্ডার করে , সেটা চলবে না -- মুসলমান হতেই হবে ?


-সূরা আল ফাতাহ এর ১৬ নং আয়াত এটি। এই আয়াতের মর্ম ও প্রেক্ষাপটটা যদি বুঝতেন, আমি হলফ করে বলতে পারি, তাহলে অনর্থক বাদানুবাদে কখনোই জড়াতেন না।

সূরা আল ফাতাহ এর অত্র ১৬ নং আয়াতের মর্মঃ

বুঝার সুবিধার্থে প্রথমেই অত্র আয়াত এবং এর সরল অর্থ উল্লেখ করছি-

قُل لِّلْمُخَلَّفِينَ مِنَ الْأَعْرَابِ سَتُدْعَوْنَ إِلَىٰ قَوْمٍ أُولِي بَأْسٍ شَدِيدٍ تُقَاتِلُونَهُمْ أَوْ يُسْلِمُونَ ۖ فَإِن تُطِيعُوا يُؤْتِكُمُ اللَّهُ أَجْرًا حَسَنًا ۖ وَإِن تَتَوَلَّوْا كَمَا تَوَلَّيْتُم مِّن قَبْلُ يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا

গৃহে অবস্থানকারী মরুবাসীদেরকে বলে দিনঃ আগামীতে তোমরা এক প্রবল পরাক্রান্ত জাতির সাথে যুদ্ধ করতে আহুত হবে। তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে, যতক্ষণ না তারা মুসলমান হয়ে যায়। তখন যদি তোমরা নির্দেশ পালন কর, তবে আল্লাহ তোমাদেরকে উত্তম পুরস্কার দিবেন। আর যদি পৃষ্ঠপ্রদর্শন কর যেমন ইতিপূর্বে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছ, তবে তিনি তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি দিবেন।

আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপটঃ

হে নবী! যেই বেদুইন মুনাফিক গোত্রসমূহ হুদাইবিয়ায় অংশগ্রহণ করেনি, তারা যখন খায়বরের যুদ্ধে অংশগ্রহণের আবেদন জানাবে তখন তা প্রত্যাখ্যান করতঃ আপনি এর বিকল্প প্রস্তাব পেশ করবেন এবং বলবেন, শীঘ্রই এক পরাক্রমশালী জাতির সাথে লড়াই করার জন্য তোমাদেরকে আহবান করা হবে। তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ না তারা মুসলমান হয়। যদি তোমরা এ ব্যাপারে আনুগত্য কর এবং লড়াই কর, তা হলে আল্লাহ তা"আলা তোমাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেবেন- আর যদি পূর্বের ন্যায় পশ্চাদপসরণ কর তা হলে আল্লাহ তা'আলা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দান করবেন। -ইসলামিয়া কুতুবখানা প্রকাশিত বঙ্গানুবাদ তাফসীরে জালালাইন, খন্ড ০৬, পৃষ্ঠা ১০৯

স্পষ্টতঃই বুঝা যাচ্ছে যে, অত্র আয়াত সেইসব মুনাফিক গোত্রসমূহের উদ্দেশ্যে অবতীর্ণ হয়েছে যারা হুদাইবিয়ায় অংশগ্রহণ করেনি। সুতরাং, বিনীতভাবে আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি যে, এই আয়াতটিকে আপনি অন্য সকল ক্ষেত্রে দলিল বানাতে চাচ্ছেন কোন যুক্তিতে? এসব কি আয়াতের প্রেক্ষাপট ও মর্ম না বুঝার কারণে করেন? না কি, বুঝেশুনেই করে থাকেন?

প্রশ্ন হচ্ছে, বুঝে করেন আর না বুঝেই করেন, পবিত্র কুরআনের আয়াতকে অপব্যাখ্যামূলকভাবে উপস্থাপনের মত এইসব ঘৃণ্য কাজ আপনারা কেন করেন দাদা? কেন হে দাদা? বিভ্রান্তি ছড়িয়ে লাভটা কি আপনাদের? জানতে পারি কি? আপনাদের এইসব কাজের পেছনে রসদ জোগায় কে? দয়া করে বলবেন একটু?

আবার, উল্টাপাল্টাভাবে অন্য প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হওয়া আয়াতের রেফারেন্স দিয়ে কত কত রকম যে কাতুকুতু দেন! কত কত রকম যে অনুনয় বিনয়ের ভান করেন, একটু ব্যাখ্যা করবেন কি? একটু ব্যাখ্যা করবেন কি?

এইসব ঘৃণ্য অপকর্ম থেকে দয়া করে নিবৃত্ত হোন, দাদা। এগুলো বিভেদ বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কিছুই আনয়ন করবে না।

অপরের প্রতি, অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন। আপনার সম্মান কমবে না। নিশ্চিত বৃদ্ধিই পাবে।

অনেক অনেক ভালো থাকুন। শুভকামনা।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সুরা তওবার ৫ নং আয়াত -- অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।


এই আয়াতটা কোন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছিল বলবেন কি ?
তাদের হত্যা করার কথা বলা হয়েছে -- যদি তারা তওবা করে , নামাজ কায়েম করে , যাকাত আদায় করে ---- অর্থাৎ তারা যদি মুসলমান হয়ে যায় তাহোলে ছেড়ে দিতে হবে এবং যদি মুসলমান না হয় তাহোলে হত্যা করতে হবে । ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলে বেচে যাবে , না করলে মেরে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ আছে এই আয়াতে ।
বাচতে চাও তো ইসলাম ধর্ম গ্রহন কর , না করলে মৃর্তু
একটু ব্যাখা করবেন কি ?


-সুরা তওবার ৫ নং আয়াতও একইভাবে সেইসকল মুনাফিকদের উদ্দেশ্যে নাযিলকৃত যারা রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তাবুক যুদ্ধে গমনের প্রাক্কালে বিভিন্ন প্রকার ভিত্তিহীন খবর এবং গুজব রটিয়েছিল যাতে করে মুসলমানদের মধ্যে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। এই মুনাফিকদের অপপ্রচার, মিথ্যাচার এবং নানাবিদ ভিত্তিহীন অসত্য তথ্য প্রচারের কারণেই মুশরিকরাও ইতোপূর্বে মুসলমানদের সাথে যেসব চুক্তি করেছিল এই সুযোগে তারা ঐ চুক্তিসমূহ ভঙ্গ করা শুরু করে।

শোনা কথায় বিশ্বাস না করে নিজের চোখে আয়াতগুলো পড়ে দেখুন। এর পূর্ববর্তী ৪ টি আয়াতসহ অত্র আয়াতের অর্থসহ এখানে উল্লেখ করছি। দয়া করে দেখুন-

بَرَاءَةٌ مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى الَّذِينَ عَاهَدتُّم مِّنَ الْمُشْرِكِينَ

সম্পর্কচ্ছেদ করা হল আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে সেই মুশরিকদের সাথে, যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে। -সূরাহ আত তাওবাহ, আয়াত ০১

فَسِيحُوا فِي الْأَرْضِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ غَيْرُ مُعْجِزِي اللَّهِ ۙ وَأَنَّ اللَّهَ مُخْزِي الْكَافِرِينَ

অতঃপর তোমরা পরিভ্রমণ কর এ দেশে চার মাসকাল। আর জেনে রেখো, তোমরা আল্লাহকে পরাভূত করতে পারবে না, আর নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফেরদিগকে লাঞ্ছিত করে থাকেন। -সূরাহ আত তাওবাহ, আয়াত ০২

وَأَذَانٌ مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ أَنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ ۙ وَرَسُولُهُ ۚ فَإِن تُبْتُمْ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ غَيْرُ مُعْجِزِي اللَّهِ ۗ وَبَشِّرِ الَّذِينَ كَفَرُوا بِعَذَابٍ أَلِيمٍ

আর মহান হজ্বের দিনে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে লোকদের প্রতি ঘোষণা করে দেয়া হচ্ছে যে, আল্লাহ মুশরেকদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত এবং তাঁর রসূলও। অবশ্য যদি তোমরা তওবা কর, তবে তা, তোমাদের জন্যেও কল্যাণকর, আর যদি মুখ ফেরাও, তবে জেনে রেখো, আল্লাহকে তোমরা পরাভূত করতে পারবে না। আর কাফেরদেরকে মর্মান্তিক শাস্তির সুসংবাদ দাও। -সূরাহ আত তাওবাহ, আয়াত ০৩

إِلَّا الَّذِينَ عَاهَدتُّم مِّنَ الْمُشْرِكِينَ ثُمَّ لَمْ يَنقُصُوكُمْ شَيْئًا وَلَمْ يُظَاهِرُوا عَلَيْكُمْ أَحَدًا فَأَتِمُّوا إِلَيْهِمْ عَهْدَهُمْ إِلَىٰ مُدَّتِهِمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِينَ

তবে যে মুশরিকদের সাথে তোমরা চুক্তি বদ্ধ, অতপরঃ যারা তোমাদের ব্যাপারে কোন ত্রুটি করেনি এবং তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তাদের সাথে কৃত চুক্তিকে তাদের দেয়া মেয়াদ পর্যন্ত পূরণ কর। অবশ্যই আল্লাহ সাবধানীদের পছন্দ করেন। -সূরাহ আত তাওবাহ, আয়াত ০৪

فَإِذَا انسَلَخَ الْأَشْهُرُ الْحُرُمُ فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ ۚ فَإِن تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوا سَبِيلَهُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। -সূরাহ আত তাওবাহ, আয়াত ০৫

বস্তুতঃ অত্র আয়াত তাবুকের যুদ্ধের পরে নাযিলকৃত। মুনাফিকদের মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের কারণে মুশরিকদের ধারণা হয়েছিল যে, মুসলমানগণ তাবুকের যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারবে না। প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনাতুল মুনাওয়ারাহ হতে প্রায় ৪০০ মাইল দূরে অত্যন্ত গরমের মৌসুমে পবিত্র রমজান মাসে ত্রিশ হাজার সাহাবায়ে কেরাম নিয়ে তাবুকের দিকে রওয়ানা হন। তখন এই সূরা তাওবাহ নাযিল হয়। আল্লাহ পাক এই সূরায় তাঁর প্রিয় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি যেন মুশরিকদের সাথে সর্বপ্রকার সম্পর্কচ্ছেদের এবং তাঁর অসন্তুষ্টির কথা ঘোষনা করেন এবং তাদের সাথে কৃত অঙ্গীকারনামা তাদেরকে ফেরত দিয়ে দেন। যেমন আল্লাহ তাআ'লা ইরশাদ করেন-

অর্থাৎ, যদি কোনো সম্প্রদায়ের তরফ হতে অঙ্গীকার ভঙ্গের ভয় করা হয় তবে তাদেরকে অঙ্গীকারনামাটি ফেরত দাও। -ইসলামিয়া কুতুবখানা প্রকাশিত বঙ্গানুবাদ তাফসীরে জালালাইন, খন্ড ০২, পৃষ্ঠা ৬২১

তারপরেও সূরা তাওবা এর আপনার উল্লেখিত আয়াতের সামান্য ব্যাখ্যা আপনার বুঝার সুবিধা বিবেচনায় এখানে যুক্ত করে দিচ্ছি। ইচ্ছে করলে দেখে নিতে পারেন-









ধন্যবাদ। শুভকামনা।

১৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

এভো বলেছেন: যতক্ষণ মুসলমান না হয়, ততক্ষণ যুদ্ধ চালিয়ে যাও,,, আপনি তফসির থেকে একই কথাই বল্লেন। এখানে যুদ্ধের মাধ্যমে কাফেরদের মুসলমান বানাবার কথা যে ব্যক্ত করা হয়েছে সেটা তফসিরে ও বলা হয়েছে।
একটু বলবেন কি সুরা তোওবার ৫ নং আয়াত কোন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছিল?
ওই আয়াতে তো বলা হচ্ছে ,,, হয় মুসলমান হও নাহলে মৃর্তু।
ব্যাপারটা বুঝতে পারছি না, দয়া করে ক্লিয়ার করুন

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



দাদা,
আপনি ব্যাপারটা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন এবং বুঝেশুনেই ছলচাতুরির আশ্রয়ে ঘুটি চালার চেষ্টা করছেন। যুদ্ধকালীন সময়ে যুদ্ধ প্রসঙ্গে নাযিলকৃত আয়াতকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে সাধারণ শান্তিপূর্ণ অবস্থায় টেনে এনে অহেতুক প্যাচঘোচ লাগাতে চাচ্ছেন। আপনার উদ্দেশ্য সন্দেহযুক্ত।

আপনার উল্লেখিত দু'টো আয়াতই যে যুদ্ধকালীন প্রসঙ্গে অবতীর্ণ তা আগের প্রতিমন্তব্যে মোটামুটি বিশদভাবেই বলেছি। সেখানে তাফসীরে জালালাইনের রেফারেন্সও দিয়েছি। এরপরেও মাথায় যদি মগজ জাতীয় কিছু থেকে থাকে তাহলে এই বিষয় নিয়ে অহেতুক বাড়াবাড়ি করে একই প্রশ্ন পুনরায় করার কথা ছিল না। কিন্তু আপনি অভ্যাসবশতঃ সেটাই করলেন, যা নিতান্ত দুঃখজনক।

কথা হচ্ছে, জেগে জেগে ঘুমানোর ভান করাদের জাগানো যায় কি? অভ্যাসই যাদের প্যাচানো, তারা চির দিন প্যাচাপেচি খেলেই যাবে, এটাই হয়তো বাস্তবতা। যাক, আল্লাহ ভরসা। আপনি প্যাচাতে থাকুন।

ধন্যবাদ।

২০| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:২৫

এভো বলেছেন: ভাই সুরা তোওবা নবি মারা যাওয়ার কয়েক মাস আগে নাজিল হয়েছিল এবং ক্রম অনুসারে এটা ১১৩ তম সুরা, এই সুরা নাজিল হওয়ার কয়েক মাস পরে তিনি মারা যান।
মুশরিকদের মক্কা হতে বিতারন করার জন্য, এই সুরা নাজিল হয়, তখন কোন যুদ্ধ ছিল না।

চুক্তি বাতিল করা হয়েছে আল্লাহর ও তার নবির পক্ষ হতে,,, কাফেররা চুক্তি বাতিল করে নি ।
মুসলমান না হলে হত্যা কর এবং হোলে ছেড়ে দাও,, এর মানি কি?

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



এ কথা বলার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে শেষমেষ নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও আপনাকে কমেন্ট মডারেশনের আওতায় নিয়ে আসতে হচ্ছে!

আপনাকে অনেক সুযোগ দেয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অব্যাহত মিথ্যাচারে আপনি সীমালঙ্ঘন করেই চলেছেন বলে একান্ত নিরুপায় হয়ে আপনাকে আপাততঃ কমেন্ট মডারেশনের আওতায় আনতে বাধ্য হলাম। পরবর্তীতে আপনি যদি পরিবর্তন আনতে পারেন, নিশ্চয়ই আবার আপনাকে ফ্রি করে দিব।

ইসলাম বিদ্বেষ যদি এতই আপনার থেকে থাকে, ইসলাম ধর্মের প্রতিটি বিষয় যদি আপনার এতটাই গা জ্বালাপোড়ার কারণ হয়ে থাকে, দয়া করে আপনি নিজের ব্লগে লিখুন। মন খুলে লিখুন। কিন্তু আমার পোস্টে এসে লাগাতার মিথ্যাচার কেন?

অনেক ধন্যবাদ।

২১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘কোন মুসলমান যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করে কিংবা তাদের ওপর জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি মুহাম্মাদ ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব’ (আবু দাউদ : ৩০৫২)’

তিনি (সা.) আরো বলেছেন, ‘অন্যায়ভাবে কোন অমুসলিমকে হত্যাকারী জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেই ওই ঘ্রাণ পাওয়া যাবে’ (সহি বুখারি : ৩১৬৬)।

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহ।

২২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:১১

এভো বলেছেন: সুরা তওবা আয়াত নং ৫ (৯:৫)
“অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”

এই আয়াতের যদি আক্ষরিক অর্থ করা হয় তাহলে এর দ্বারা আল্লাহ কর্তৃক নিম্নক্ত নির্দেশাবলী প্রতীয়মান হয়ঃ

আল্লাহ মুসলিমদের মুশরিকদের হত্যা করতে আদেশ দিয়েছেন, পৃথিবীর যেখানেই তাদের পাওয়া যাক না কেন।
মুশরিকদের হত্যা করার জন্য বসে না থেকে সক্রিয় ভাবে তাদের খুঁজে বের করে হত্যা করতে হবে।
তাদের বন্দী বা হত্যা করার জন্য ওঁৎ পেতে বসে থাকতে হবে।
তাদের আবাসস্থল অবরোধ করতে হবে।
যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহন না করে ততদিন তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে যাতে ইসলাম গ্রহন ছাড়া আর কোন উপায় না থাকে।
এই আয়াতের, “মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও” এই অংশটি কোরান শরীফের সবচেয়ে অমানবিক ও বর্বর আয়াত কিনা তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, তবে এই আয়াতকে মানবিক প্রমান করতে বা নিদেন পক্ষে এই আয়াতে যে নির্বিচারে সকল কাফির- মুশরিকদের হত্যা করতে বলা হয় নাই এটা প্রমান করতে মোডারেট ইস্লামিস্ট ভাইদের (Muslim apologists) শত শত লেখা আর ইউটিউব ভিডিও আপনারা হয়ত দেখে থাকবেন। অপরপক্ষে, এই তরবারির আয়াত জঙ্গি-জিহাদি ও ইসলামি রাজনৈতিক দলদের বহুল ব্যাবহারিত মূলমন্ত্র। সুরা তাওবা নবি মোহাম্মদ (দঃ) এর মাদানি জীবনের শেষ দিকে নাজিলকৃত প্রধান সুরা বিধায় এর নির্দেশনা নবির তথা আল্লাহর চূড়ান্ত নির্দেশ বলে মেনে নিতে হবে। এই সুরায় নবি মোহাম্মদ (দঃ) মুমিন মুসলমানদের সাথে কাফির- মুশরিক বা অমুসলমানদের কি সম্পর্ক হবে, তাদের খুন করবার বিধান , জিহাদের গুরুত্ব ও একটি ইসলামি রাষ্ট্র বাবস্থার ধারনা দিয়েছেন। ইসলামে পুরুষদের উপর জিহাদের গুরুত্ব আর নারীদের উপর পর্দার গুরুত্ব হযরত ওমরের নিচের এই ফরমানেই সহজে বোধগম্য।

তরবারির
(সুত্রঃ তাফসীরে জালালাইন দ্বিতীয় খণ্ড পৃষ্ঠা ৬১৯, প্রকাশনায় ইসলামিয়া কুতুবখানা, প্রকাশকাল ২০১০)

সুরা তওবার এই অপরিসীম গুরুত্ব ও বর্তমান জামানায় এর প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করে এই সুরার ৫ নং আয়াতের বিস্তারিত তাফসীর ও কার্যকারিতা একটি পূর্নাঙ্গ আলোচনার দাবি রাখে। এই বিবেচনায়, এই তরবারির আয়াতের প্রেক্ষাপট, আগের আয়াত, পরের আয়াত পাঠকদের কথা স্মরণ রেখে সহজ ভাবে উপস্থাপনা করাই আমার এই লেখার উদ্দেশ্য। সন্মানিত পাঠককুলকে অনুরোধ করব দয়া করে তথ্যসুত্রে দেওয়া রেফারেন্স সমুহ অধ্যয়ন করে আরও বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করবেন ও আমার লেখাটির বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ করবেন।

নবী মহাম্মাদ (দঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী ও টাইম লাইন
৫৭০ – মক্কায় জন্ম
৫৭৬ – মাতার মৃত্যুর পর এতিম
৫৯৫ – ধনী ব্যাবসায়ী খাদিজার সাথে বিবাহ
৬১০- ৪০ বছর বয়সে প্রথম ওহী নাজিলের খবর
৬১৯ – নবির নিরাপত্তা প্রদানকারী চাচা আবু তালিবের মৃত্যু
৬২০ – বোরাকে চড়ে মিরাজ গমন ও আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ
৬২২ – মক্কা হতে মদিনায় হিজরত ও আশ্রয় লাভ
৬২৩ – মক্কার বাণিজ্য কাফেলার উপর হামলা ও লুট করার আদেশ প্রদান
৬২৪ – বদরের যুদ্ধ (জয়লাভ)
৬২৪ – মদিনার ইহুদি গোত্র বানু কাইনুকাকে ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ
৬২৪ – নবী মহাম্মাদ (দঃ) এর বিরুদ্ধে কবিতা লেখায় ইহুদি কবি আবু আফাক এর হত্যার আদেশ
৬২৪ – কবি আবু আফাক এর হত্যার বিরুদ্ধে কবিতা লেখায় মহাম্মাদ (দঃ) কর্তৃক কবি আসমা বিনতে মারওয়ানকে হত্যার আদেশ
৬২৪ – নবি মহাম্মাদ (দঃ) কর্তৃক ইহুদি কবি কাব বিন আশরাফকে হত্যার আদেশ
৬২৫ – উহুদের যুদ্ধ (পরাজিত)
৬২৫ – মদিনার ইহুদি গোত্র বানু নাদিরকে ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ
৬২৭ – খন্দকের যুদ্ধ (জয়লাভ, প্রকৃত অর্থে কোন যুদ্ধ হয় নাই)
৬২৭ – মদিনার ইহুদি গোত্র বানু কুরাইযার ৯০০ পুরুষ হত্যা। নারি ও শিশুদের মালে গনিমত হিসাবে ভাগ বাটোয়ারা ও ইয়ামেনে দাস-দাসীর বাজারে বিক্রয় বিনিময়ে মুসলিমদের জন্য অস্ত্র ক্রয়
৬২৮ (৬ হিজরি) – মক্কায় হজ্জ পালনের নিরাপত্তার জন্য মক্কার মুশরিকদের সাথে হুদাইবিয়ার সন্ধি চুক্তি স্বাক্ষর
৬২৮ – খাইবার আক্রমন, ইহুদি নিধন ও জীবিতদের উপর জিজিয়া কর আরোপ
৬২৯ – খ্রিস্টান ভুমিতে মুতা যুদ্ধের আদেশ (পরাজিত)
৬৩০ (৮ হিজরি) – আকস্মিক হামলায় মক্কা বিজয়
৬৩১ (৯ হিজরি) – খ্রিস্টান ভুমিতে দ্বিতীয় অভিযান তাবুকের যুদ্ধে নেতৃত্ব দান (কোন যুদ্ধ হয় নাই, কোন শত্রু সেনা ছিল না )
৬৩২ (১০ হিজরি) – নবীর ইন্তেকাল
উপরে বর্ণিত ঘটনার আলোকে তরবারির আয়াত সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক ঃ

মাদানি সুরা তওবার প্রথম অংশ নাজিল হয় যখন নবি তাবুক যুদ্ধের অভিযান থেকে ফিরে আসছিলেন।
ইমাম বুখারির মতে এটি নবির উপর নাজিলকৃত সর্বশেষ সুরা (অন্য বর্ণনায় সুরা নাস সর্বশেষ সুরা)
(সুত্রঃ তাফসীর ইবনে কাসীর,চতুর্থ সংস্করণ জানুয়ারী ২০০৪, অনুবাদক ঃ ডাঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান, প্রকাশক ঃ তাফসীর পাবলিকেশন কমিটি, ৮,৯,১০,১১ তম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৩৩)

কোরানের একমাত্র সুরা যার শুরুতে বিসমিল্লাহ নেই। কিছু সাহাবী এটিকে সুরা আনফালের সাথে এক সুরা মনে করেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস হযরত আলির বরাত দিয়ে বলেন ঃ বিসমিল্লাতে রয়েছে শান্তি ও নিরাপত্তা, আর এই সুরাতে কাফিরদের বিরুদ্ধে তরবারি ব্যাবহারের আদেশ রয়েছে এজন্য বিসমিল্লাহ লিপিবদ্ধ হয়নি যেন আল্লাহপাকের গজবের নিদর্শন প্রতিভাত হয়।
সুরা তাওবার প্রায় ১২ টি নামের বর্ণনা তাফসীরে জালালাইনে আছে। এই সুরার অন্য প্রচলিত নাম বারাআত বা সম্পর্কছেদ, মোকাশকাশা বা ঘৃণা সৃষ্টিকারী ইত্যাদি।
সুরা তওবার নং ৫ আয়াত কি যুদ্ধকালীন আয়াত?

প্রশ্নঃ তরবারির আয়াত (The sword verse) বা সুরা তওবার নং ৫ আয়াত কি যুদ্ধকালীন বা যুদ্ধের নিয়ম সংক্রান্ত আয়াত ?

উত্তরঃ না, এটি মোটেও যুদ্ধকালীন বা যুদ্ধের নিয়ম সংক্রান্ত আয়াত নয়। তরবারির আয়াতটি নাজিল হয় নবম হিজরিতে ও নবি যখন তাবুকের যুদ্ধ হতে মদিনায় ফিরছিলেন। এই আয়াতটিতে “মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও” বলতে নবি মক্কা ও এর আশেপাশের কাফিরদের বুঝিয়েছেন। এর আগের বছর অর্থাৎ অষ্টম হিজরিতেই প্রায় বিনা যুদ্ধে নবি মক্কা বিজয় করেছেন আর সেখানকার কাফির- মুশরিকরা বিনা শর্তে মুসলিম বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল এবং মক্কায় নবির হুকুমতই জারি ছিল, নবির পক্ষ থেকে আত্তাব ইবনে আসিদ ছিলেন মক্কার দায়িত্বপ্রাপ্ত ১। কাজেই এই তরবারির আয়াতটি নবির সাথে সম্পূর্ণ শান্তি অবস্থায় থাকা কাফিরদের বিরুদ্ধে একতরফা হত্যার হুমকি। এই আয়াতটি মোটেও তাবুক যুদ্ধের নিয়ম সংক্রান্ত আয়াত নয়, উপরুন্তু তাবুক যুদ্ধে বাস্তবিক কোন যুদ্ধ হয়নি, যা পরে আলোচনায় আসবে।

তাবুকের যুদ্ধ
(তাবুকের যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য আহ্বান, সাহাবীদের জিহাদে যেতে গড়িমসি ইত্যাদি বিষয় সুরা তওবায় উঠে আসলেও তরবাবির আয়াতের সাথে এর সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই, পাঠক যারা শুধু তরবাবির আয়াতের তাফসীরের ব্যাপারে জানতে ইচ্ছুক তারা তাবুকের যুদ্ধের এই অধ্যায় বাদ দিয়ে যেতে পারেন)

অষ্টম হিজরিতে নবি মোহাম্মাদ (দঃ) মক্কা বিজয়ের পর অত্র ও আশেপাশের এলাকায় মুসলিম বাহিনীর আধিপত্য নিশ্চিত হয় ও হুনায়ুনের যুদ্ধ ও অন্যান্য ছোট ছোট যুদ্ধের মাধ্যমে পুরা অঞ্চল মুসলিম বাহিনীর করায়াত্ত হয়ে যায়। এর বেশ আগে থেকেই নবি মোহাম্মাদ (দঃ) বিভিন্ন দেশে দুত পাঠিয়ে উনার নবুয়ত ও আল্লাহর আনুগত্য মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান, এই সব দেশের মধ্যে বাইজেনটাইন বা রোমান সম্রাট হেরাক্লিস, পারশ্য সম্রাট, মিসরের মুকাওকিস, হাবাসা সম্রাট, বাহারাইনের গভর্নর অন্যতম। বলা বাহুল্য ইনারা কেও নবি মোহাম্মাদ (দঃ) এর এই দাবি মেনে নেন নি। তবে নবি ও তার সাহাবীরা রোমান সম্রাজ্য থেকে হামলার ভয়ে ভীত থাকত। এর পূর্বে জর্ডানের নিকট মুতার যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী রোমানদের কাছে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়েছিল যেই যুদ্ধে মোহাম্মাদ (দঃ) এর পালক পুত্র ও নবিপত্নি জয়নাব বিনতে জাহাশের প্রাক্তন স্বামী জায়েদ ইবনে হারিথা, নবির চাচাত ভাই জাফর ইবনে আবু তালিব সহ বহু সাহাবী নিহত হয়, পরিশেষে খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃেত্ব মুসলিম বাহিনী প্রান রক্ষা করে মদিনায় ফিরে যায় এবং ফিরে আসা সেনারা বিদ্রুপের মুখে পড়ে। এক সময় মদিনায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে রোমানরা মদিনা আক্রমন করতে পারে। এইসব মাথায় রেখে নবি মোহাম্মাদ (দঃ) সকল মুসলিমকে জান-মাল কোরবানি করে তাবুক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেন এবং নবি জীবনে সর্ববৃহৎ ৩০,০০০ সেনা নিয়ে তাবুক যাত্রা করেছিলেন। তবে বিবিধ অজুহাতে মুসলিমরা এই যুদ্ধে না যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। রোমানদের ব্যাপারে ভীতি ছাড়াও যে সব কারন ছিল তার মধ্যে উত্তপ্ত আবহাওয়া, যাত্রা দূরত্ব, সেই সময় খাদ্য সল্পতা, খরা ও খেজুর পাকার মৌসুম ইত্যাদি। নবি রোমানদের কাছে পরাজিত হবেন এই মর্মে মুনাফিকদের রটনাও নবিকে বিচলিত করে তুলেছিল। সুরা তওবার বিভিন্ন আয়াতে তাই এই জিহাদে সামিল হওয়ার জন্য কাকুতি-মিনতি, লোভ,ভয়, হুমকি সবই ফুটে উঠেছে।

“আর তাদের কেউ বলে, আমাকে অব্যাহতি দিন এবং পথভ্রষ্ট করবেন না। শোনে রাখ, তারা তো পূর্ব থেকেই পথভ্রষ্ট এবং নিঃসন্দেহে জাহান্নাম এই কাফেরদের পরিবেষ্টন করে রয়েছে।”
( সুরা তাওবা ৯:৪৯ )

আয়াতটি নাজিল হয়েছে জাদ ইবনে কাইস এর ক্ষেত্রে, যিনি মুসলমান হলেও তাকে মুনাফিকদের অন্তর্ভুক্ত ধরা হয় কিন্তু তিনি তার নিজ গোত্রের গুরুত্বপূর্ণ লোক । নবি যখন তাবুকের যুদ্ধের জন্য সকলকে জান মাল কোরবান করার আহ্বান জানাচ্ছিলেন, এরই অংশ হিসাবে নবি জাদ ইবনে কাইসকে বলেন “ওহে আবু ওয়াহাব (জাদ ইবনে কাইস এর নাম) তুমি কি কিছু রোমান নারিকে যৌন দাসী ও পুরুষদের দাস হিসাবে লাভ করতে চাও?” উত্তরে জাদ ইবনে কাইস বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমার লোকজন নারিদের প্রতি আমার বিশেষ আসক্তির কথা জানে। আমি আশঙ্কা করছি যে শ্বেতাঙ্গ রোমান রমণীদের দেখে আমি আর নিজেকে সামলাতে পারব না। কাজেই আমাকে আর লোভ দেখাবেন না, বরং আমাকে যুদ্ধে যাওয়া থেকে অবহতি দিন, আমি আমার সম্পদ দিয়ে আপনার জিহাদে সাহায্য করব।২

“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।“ ( সুরা তাওবা ৯:৩৮ )

“যদি বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান।“ ( সুরা তাওবা ৯:৩৯ )

“তোমরা বের হয়ে পড় স্বল্প বা প্রচুর সরঞ্জামের সাথে এবং জেহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে, এটি তোমাদের জন্যে অতি উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পার।“ ( সুরা তাওবা ৯:৪১ )

“পেছনে থেকে যাওয়া লোকেরা আল্লাহর রসূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বসে থাকতে পেরে আনন্দ লাভ করেছে; আর জান ও মালের দ্বারা আল্লাহর রাহে জেহাদ করতে অপছন্দ করেছে এবং বলেছে, এই গরমের মধ্যে অভিযানে বের হয়ো না। বলে দাও, উত্তাপে জাহান্নামের আগুন প্রচন্ডতম। যদি তাদের বিবেচনা শক্তি থাকত।“ ( সুরা তাওবা ৯:৮১ )

নবি মোহাম্মাদ (দঃ) তাবুকে পৌছিয়ে সেখানে কোন রোমান সৈন্য সমাবেশ দেখতে পাননি এবং বুঝতে পারেন যে রোমান আক্রমনের গুজবটি অতিরঞ্জিত। (Ref: The Life of Muhammad: Al-Waqidi’s Kitab Al-Maghazi (Routledge Studies in Classical Islam ) Edited by Rizwi Faizer, Published by Routledge 2011. Page 16451.Kindle version; Baladhuri, Ansab I, 368. ). নবি তাবুকে ১০ দিনের কম অবস্থান করেন এবং উমরের সাথে পরামর্শ করে কোন যুদ্ধ না করেই মদিনা প্রত্যাবর্তন করেন, তবে পথে বেশ কিছু গোত্রকে জিজিয়া করের আওতায় নিয়ে আসেন। (হালের বানানো নবির জীবনী যেমন মুবারকপুরি রচিত আর- রাহীকুল মাখতুম কিতাব ও বিভিন্ন ইসলামি বক্তা দাবী করেন যে রোমান বাহিনী নবির বাহিনী দেখে পালিয়ে গিয়েছিল, এটা পুরোটাই গাঁজাখুরি ধাপ্পাবাজি, এর কোনই ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। প্রদত্ত রেফারেন্স ছাড়াও ইবনে ইসহাক বা আল তাবারির লেখায় তাবুকে বাইজেনটাইনদের সাথে যুদ্ধের অথবা রোমান সেনাদল পালিয়ে যাওয়ার কোন বর্ণনা নাই , আধুনাকালের সিরাত লেখক আর প্রায় সব ইসলামিক ওয়েব সাইট সমুহ সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তাবুক অভিযানকে ইসলামের গৌরবগাঁথা হিসাবে বর্ণনা করেন)

নবির মদিনায় ফিরে আসার খবরে তাবুক যুদ্ধে না যাওয়া সাহাবীগণ নবি মোহাম্মাদ (দঃ) এর রোষানলে পড়ার ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন এবং নবির কাছে নানা অজুহাত পেশ করতে থাকেন। ইসলামে ও নবির কাছে জিহাদ যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, এই অজুহাতকারিদের প্রতি নাজিলকৃত আয়াতগুলো লক্ষ্য করলে বুঝা যায়।

“তুমি যখন তাদের কাছে ফিরে আসবে, তখন তারা তোমাদের নিকট ছল-ছুতা নিয়ে উপস্থিত হবে; তুমি বলো, ছল কারো না, আমি কখনো তোমাদের কথা শুনব না; আমাকে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করে দিয়েছেন। আর এখন তোমাদের কর্ম আল্লাহই দেখবেন এবং তাঁর রসূল। তারপর তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে সেই গোপন ও আগোপন বিষয়ে অবগত সত্তার নিকট। তিনিই তোমাদের বাতলে দেবেন যা তোমরা করছিলে। “( সুরা তাওবা ৯:৯৪ )

“এখন তারা তোমার সামনে আল্লাহর কসম খাবে, যখন তুমি তাদের কাছে ফিরে যাবে, যেন তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও। সুতরাং তুমি তাদের ক্ষমা কর-নিঃসন্দে হে এরা অপবিত্র এবং তাদের কৃতকর্মের বদলা হিসাবে তাদের ঠিকানা হলো দোযখ।“ ( সুরা তাওবা ৯:৯৫ )

নবি অবশ্য তিন জন মুমিন সাহাবী কাব বিন মালিক, মোরারা বিন রাবি ও হেলাল বিন উমাইয়ার তাবুক যুদ্ধে না যাওয়ার তওবা গ্রহন করেন, তবে এর আগে তাদেরকে ৫০ দিনের জন্য নিজ বিবি, পরিবার-পরিজন ও সমাজ থেকে বয়কট মানসিক শাস্তি দেওয়া হয়। সুরা তওবা নামকরনের এটাই শানে নাজুল। কাজেই নবি জেহাদকে কতোটা গুরুত্ব দিয়েছিলেন এ থেকেই পাঠকরা অনুধাবন করতে পারবেন।

প্রেক্ষাপট ও তাফসীর বিশ্লেষণ
তরবারির আয়াত (The sword verse) বা সুরা তওবা আয়াত নং ৫ এর প্রেক্ষাপট ও তাফসীর বিশ্লেষণ

সুরা তওবার আয়াত ১ থেকে ৪ঃ

১। সম্পর্কচ্ছেদ করা হল আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে সেই মুশরিকদের সাথে, যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে।

২। অতঃপর তোমরা পরিভ্রমণ কর এ দেশে চার মাসকাল। আর জেনে রেখো, তোমরা আল্লাহকে পরাভূত করতে পারবে না, আর নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফেরদিগকে লাঞ্ছিত করে থাকেন।

৩। আর মহান হজ্বের দিনে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে লোকদের প্রতি ঘোষণা করে দেয়া হচ্ছে যে, আল্লাহ মুশরেকদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত এবং তাঁর রসূলও। অবশ্য যদি তোমরা তওবা কর, তবে তা, তোমাদের জন্যেও কল্যাণকর, আর যদি মুখ ফেরাও, তবে জেনে রেখো, আল্লাহকে তোমরা পরাভূত করতে পারবে না। আর কাফেরদেরকে মর্মান্তিক শাস্তির সুসংবাদ দাও।

৪। তবে যে মুশরিকদের সাথে তোমরা চুক্তি বদ্ধ, অতপরঃ যারা তোমাদের ব্যাপারে কোন ত্রুটি করেনি এবং তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তাদের সাথে কৃত চুক্তিকে তাদের দেয়া মেয়াদ পর্যন্ত পূরণ কর। অবশ্যই আল্লাহ সাবধানীদের পছন্দ করেন।

সুরা তাওবার প্রথম ৫ টি আয়াতে বর্ণিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ও বাক্যের বিশ্লেষণঃ

“সম্পর্কচ্ছেদ”

সুরা তওবা শুরু হয়েছে নবি তথা আল্লাহর তরফ থেকে মুশরিকদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণার মাধ্যমে এবং ৫ নং তরবারির আয়াতে কতল করার হুমকির পূর্বে ৪ মাসের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আলোচনায় দেখা যাবে যে আল্লাহ ও নবির সাথে এই সম্পর্কচ্ছেদের আওতায় চুক্তি ভুক্ত বা অচুক্তিভুক্ত সকল বিধর্মীই অন্তরভুক্ত, যেমনটি বলা হয়েছে নিম্নে বর্ণিত তাফসীরে মাযহারিতে। তবে এই তাফসিরে ভুলে তাবুক যুদ্ধের চুক্তি ভঙ্গকারী বলা হয়েছে, যা প্রকৃতপক্ষে হবে হুদাইবিয়ার চুক্তি । চুক্তির বিষয়টি পরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনায় আসবে।

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার এইসব মিথ্যাচারের জবাব দেয়ার ইচ্ছে নেই। দুঃখিত!

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



৪ বছর ৬ দিন ধরে লিখতে লিখতে এখনও আপনার ব্লগ পোস্টের সংখ্যা দশকের ঘর স্পর্শ করতে পারেনি। এই সংখ্যাটি এখনও মাত্র ০৮।

অন্যদের খোঁচানোর অভ্যাস থাকে এলার্জিযু্ক্ত কিছু মানুষের।

যাক, আপনাকে এসব বলে লাভ নেই। আপনার জন্য সবসময় শুভকামনা রাখি। যেখানেই থাকেন, কল্যানে থাকুন সেটাই চাই।

তবে আপনার ইসলাম ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ কিন্তু সেই লেভেলের! দুঃখ হচ্ছে এই ভেবে যে, ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে আপনার অযৌক্তিক ও অসত্য বক্তব্যগুলো সবই অন্যদের পোস্টে ভাগ ভাগ করে কমেন্ট আকারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। নিজেই যদি পোস্ট দিয়ে সেসব ছাইপাশ একত্রিত করতে পারতেন, দুর্গন্ধময় বিশাল ময়লার ভাগার হয়ে যেত, ধারণা করা মোটেই অমূলক নয়।

শুভকামনা জানবেন।

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার এই কমেন্টটিসহ উপরের একাধিক কমেন্ট মুছে দেয়ার ইচ্ছে হলেও মুছে দিইনি একটি কারণে, সম্মানিত ব্লগার ও পাঠকদের আপনার লাগাতার মিথ্যাচার এবং ধারাবাহিক ইসলাম বিদ্বেষ দেখানোর প্রয়োজন রয়েছে বিধায়।

ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

২৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৪৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: রসালো মুসলমানেরা কোন প্রকাশনীর কোরান অধ্যয়ন করে থাকেন??

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



৯ বছর ৮ মাসের ব্লগিং জীবনে যার ১ টিও পোস্ট নেই, আপনি হচ্ছেন সেই ব্যক্তি। পোস্ট যেহেতু করেন না, সেহেতু এত কষ্ট করে ইসলাম ধর্ম এবং মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য আপনার এইসব বিদ্বেষপূর্ণ ও উস্কানিমূলক কমেন্ট করার আর প্রয়োজন কি? তাই এ কথা বলার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে, শেষমেষ নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও আপনাকে কমেন্ট মডারেশনের আওতায় নিয়ে আসতে হচ্ছে! অবশ্য পরবর্তীতে আপনার পরিবর্তন সাপেক্ষে পুনরায় আপনাকে ফ্রি করে দেয়ার ইচ্ছে রয়েছে।

একটি কথা আপনাকে না বলে পারছি না, অনেকের অনেক ধরণের অভ্যাস বা হবি থাকতেই পারে। সে ক্ষেত্রে আপনারও ব্যক্তিগত রুচিবোদের ব্যাপার থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কথা হচ্ছে, ইসলাম বিদ্বেষ যদি আপনার অভ্যাসের বিষয় হয়ে থাকে, অথবা, ইসলাম ধর্মের প্রতিটি বিষয় যদি আপনার এলার্জির কারণ হয়ে থাকে, দয়া করে আপনি নিজের ব্লগে লিখুন। মন খুলে লিখুন।

আপনার সাথে আমার দীর্ঘ দিনের ব্লগীয় সম্পর্ক। এটাকে আমি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই মনে করি। আপনি কিছুটা সহনশীল হিসেবে আপনাকে ভালো লাগে। যা হোক, এখন আর ব্লগে অতটা সময় দিতে পারি না। উল্টাপাল্টা মন্তব্যের উত্তর দেয়াও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিতেও ইচ্ছে হয় না। এর পেছনে প্রচুর সময় দিতে হয় এবং স্টাডি করতে হয়, সেই সুযোগও যথেষ্ট পরিমানে হয়ে ওঠে না। তা ছাড়া, সর্বোপরি বর্তমান সময় ও অবস্থা বিবেচনায় ধর্ম ও ধর্মীয় বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়াঝাটি ও বাদানুবাদ না করাই সঠিক ও শ্রেয় মনে করে আপাততঃ অনিচ্ছাকৃত এই সিদ্ধান্তটি নিতে বাধ্য হয়েছি। আপনাকে কমেন্ট মডারেশনের আওতায় নিয়ে এসেছি। আশা করি, আমার সীমাবদ্ধতাকে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

আপনার জন্য শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.