নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
বাইতুল্লাহিল হারাম, মক্কাতুল মুকাররমাহ, ছবি: অন্তর্জাল।
পবিত্র বাইতুল্লাহ এবং মসজিদে নববী আধুনিকিকরণের পেছনের অজানা কিছু কথা
প্রাককথন:
হারামাইন শরিফাইন অর্থাৎ, মক্কাতুল মুকাররমা এবং মদীনাতুল মুনাওওয়ারায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদ বাইতুল্লাহ এবং মসজিদে নববীর আধুনিকিকরণ ও সম্প্রসারণের কাজ বিগত প্রায় সাড়ে চৌদ্দশ বছর যাবত ধারাবাহিকভাবে হয়ে আসছে। অবশ্য পবিত্র বাইতুল্লাহ বহু পুরাতন এবং পৃথিবীর প্রথম ইবাদতের ঘর হওয়ায় এর সংস্কার কাজ প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের বহু পূর্ব হতেই চলে এসেছে। বর্তমানে এই দুই মহান স্থাপনার রক্ষনাবেক্ষন, সংস্কার এবং আধুনিকিকরণে সউদী আরবের সরকারের নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় কমিটি রয়েছে। মূলতঃ সউদি বাদশাহদের ইচ্ছায় মক্কাতুল মুকাররমা এবং মদীনাতুল মুনাওওয়ারায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদের প্রভূত সংস্কার কাজ করা হয়। আমরা জানি, এই দুই পবিত্র মসজিদে ব্যবহৃত পাথরের টাইলসগুলো বিশেষ তাপ শোষণ ক্ষমতাসম্পন্ন অতি দুর্লভ মার্বেল পাথর। এই বিষয়টি নিয়েই, মসজিদে নববীকে ঘিরে রয়েছে চমকপ্রদ এক অলৌকিক ঘটনা। চলুন, শুনে আসি সেই অলৌকিক ঘটনার বিবরণঃ
হারামাইন শরিফাইনের আধুনিকিকরণ ও সম্প্রসারণের সাম্প্রতিক এ কাজটি করেছেন মিসরের সৌভাগ্যবান শতায়ু এক স্থপতি, যার জন্ম ১৯০৮ ইং সালে এবং ঠিক গোণায় গোণায় যিনি ইন্তিকাল করেন ১০০ বছর পরে ২০০৮ ইং সালে। এই মহান মানুষটির বিলাসহীন ও অনাড়ম্বর জীবন যেমন বিস্ময়কর, ঠিক তেমনি দুই মসজিদের, বিশেষ করে মদীনার মসজিদে নববীর আধুনিকিকরণের কাজটিও ছিল আরও বিস্ময়কর এবং অলৌকিকতায় পূর্ণ।
ইসলামের পবিত্রতম স্থান সউদি আরবের মক্কা শহরে অবস্থিত মসজিদুল হারাম। নাবিয়্যিনা হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এবং ইসমাইল আলাইহিস সালাম কর্তৃক নির্মিত বাইতুল্লাহ অভিমুখে মুসলিমরা ছুটে যান প্রাণের টানে, হজ্জ ও উমরা করার জন্য। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার নৈকট্যলাভের আশায়। হজ্জের সময় এখানে উপস্থিত হওয়া মানুষের জমায়েত নি:সন্দেহে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মানব সমাবেশগুলোর অন্যতম। অপরদিকে মসজিদে নববী প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মসজিদ যা বর্তমান সউদি আরবের মদিনায় অবস্থিত। গুরুত্বের দিক থেকে মসজিদুল হারামের পরেই মসজিদে নববীর স্থান। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদিনায় আসার পরে নির্মিত হয় ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম তীর্থস্থান সুবিশাল এই মসজিদ। নির্মাণের পর হতে শুরু করে অনেকবার পুন-নির্মাণ কিংবা সংস্কার করা হয়েছে মুসলমানদের এই পবিত্র দু'টি মসজিদ। আর মক্কার মসজিদুল হারাম কিংবা মদিনার মসজিদে নববীর সংস্কারে একজন মিশরীয় প্রকৌশলী এবং স্থপতি অনেক ভূমিকা রেখেছেন যিনি নিজের প্রচার, প্রসার ও যশ খ্যাতি থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করতেন। এ কারণেই হয়তো অদ্যাবদি তিনি রয়েও গেছেন অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালেই।
সেই মহান ব্যক্তির নাম ড. মুহাম্মদ কামাল ইসমাঈল রহ.। তিনি মিশরের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে উচ্চ বিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত ব্যক্তি। শুধু এটাই নয়, তাঁর সম্মন্ধে জানা যায় যে, মিশরের প্রসিদ্ধ রয়েল স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হওয়া এবং সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা সবচেয়ে কম বয়সী ব্যক্তিও ছিলেন তিনি। সবচেয়ে কম বয়সে ইসলামী আর্কিটেকচারে তিনটি ডক্টরেট ডিগ্রিপ্রাপ্তির জন্য ইউরোপে ভ্রমন ও পড়াশোনা করেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি রাজার কাছ থেকে নীলে স্কার্ফ এবং আয়রন পদমর্যাদাপ্রাপ্ত সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। এছাড়াও তার সবচেয়ে বড় পরিচয়, তিনিই প্রথম প্রকৌশলী যিনি হারামাইন শরিফাইন অর্থাৎ, মক্কাতুল মুকাররমাহ ও মদীনাতুল মুনাওওয়ারাহ মসজিদ সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছিলেন।
বাদশাহ ফাহাদ এবং বিন লাদেন কোম্পানির প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তিনি তার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন এবং স্থাপত্যকর্ম তদারকির জন্য কোনো প্রকার অর্থ গ্রহণ করতে রাজি হননি। তাদের লাখ লাখ রিয়ালের চেক ফিরিয়ে দিয়ে বিন লাদেন কনস্ট্রাকশন্স লি: এর উর্ধ্বতন কমকর্তা বাকের বিন লাদেনকে তিনি বলেছিলেন যে, 'আমি কেন পবিত্র দু'টি মসজিদে আমার কাজের জন্য অর্থ গ্রহণ করব? তাহলে আমি কীভাবে বিচার দিবসে আমার মালিক মহান আল্লাহ তাআ'লাকে মুখ দেখাব?'
ড. মুহাম্মদ কামাল ইসমাঈল রহ. ৪৪ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। তার স্ত্রী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে ইন্তেকাল করেন। স্ত্রী বিয়োগের পরে বাকি জীবনে তিনি আর বিয়ে করেননি এবং ২০০৮ ইং সালে ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত তিনি নিজের জীবনের পূর্ণ সময় একমাত্র মহান আল্লাহ তাআ'লার ইবাদতে নিবেদিত করেছিলেন। গণমাধ্যমের যশ, খ্যাতি এবং অর্থের মোহ থেকে দূরে থেকে তিনি তার সময়কে দুই পবিত্র মসজিদের সেবায় ব্যয় করেছিলেন।
মার্বেল পাথরের সেই গল্পে ফিরে যাই চলুন। এই প্রতিভাবান ব্যক্তির ঐকান্তিক ইচ্ছে ছিল- তিনি তাওয়াফকারিদের জন্য মসজিদুল হারাম অর্থাৎ, কাবা শরিফের মেঝেটি এমন একটি মূল্যবান পাথর দিয়ে আচ্ছাদিত করবেন যেটি সহজে গরম হবে না এবং যার কারণে তাওয়াফকারী ও ইবাদতে রত ব্যক্তিবর্গের সুবিধা হয়। এ ব্যাপারে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খোঁজ-খবর নিয়ে অবশেষে তিনি জানতে পারলেন যে, এই বিশেষ তাপ শোষণক্ষমতাসম্পন্ন মার্বেল কেবল গ্রীসের একটি ছোট পর্বতেই পাওয়া যায়। এ খবর জানার পরে তিনি কালবিলম্ব না করে সাথে সাথে গ্রীস ভ্রমণের মনস্থ করেন। গ্রীসে পৌঁছে তিনি সেই পাথরের বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে প্রয়োজনীয় আলোচনা শেষে মসজিদুল হারামের জন্য প্রায় উক্ত পাহাড়ের অর্ধেকাংশ পরিমাণে মার্বেল কেনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। আশ্চর্য্য বিষয় হচ্ছে, তিনি উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পরে মক্কায় ফিরে আসতে না আসতেই চুক্তিকৃত সেই সাদা মার্বেল পবিত্র মক্কা মুকাররমায় চলে এসেছিল এবং আলহামদুলিল্লাহ, অতি অল্প সময়ে মক্কার পবিত্র বাইতুল্লাহর মেঝেতে সফলতার সাথে উক্ত মার্বেল স্থাপনের বিশাল কাজটি সম্পন্ন হয়েছিল।
পবিত্র বাইতুল্লাহ শরিফে বিশেষ তাপ শোষণক্ষমতাসম্পন্ন মার্বেল স্থাপনের সুদীর্ঘ ১৫ বছর পরের ঘটনা। সউদি সরকারের পক্ষ থেকে ড. মুহাম্মদ কামাল ইসমাঈল রহ.কে মদীনার পবিত্র মসজিদে নববীতেও অনুরূপ মার্বেল স্থাপন করতে বলা হয়। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, যখন বাদশাহ তাকে নবীজির মসজিদটিকেও একই মার্বেল দিয়ে আচ্ছাদিত করতে বললেন, তখন আমি খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। কারণ, এই ধরণের মার্বেল পাওয়ার জন্য পৃথিবীতে কেবলমাত্র একটিই জায়গা ছিল এবং এটি ছিল গ্রীস। আর আমি এটাও জানি যে, এরই মধ্যে তার অর্ধেকটা মার্বেল আমিই কিনে নিয়েছি এবং তা-ও বিগত প্রায় ১৫ বছর পূর্বে। সুতরাং, দীর্ঘ এই ১৫ বছর পরে সেখানে গিয়ে বাকি সেই মার্বেল পাওয়া যাবে- এমনটা কিভাবে আশা করতে পারি! যদি উক্ত মার্বেল না পাওয়া যায়, প্রিয় নবীজীর স্মৃতি বিজড়িত মসজিদে নববীর কাজটি কিভাবে সম্পন্ন করবো- ইত্যাকার চিন্তায় আমি অস্থিরতায় ডুবে গেলাম। কেবলই আল্লাহ তাআ'লার উপর ভরসা করে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগুতে থাকলাম.....
বিস্ময়কর এবং অলৌকিকতায় পূর্ণ মসজিদে নববীর আধুনিকিকরণের পেছনের ঘটনা:
এক পর্যায়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার অন্তহীন রহমতের প্রতি ভরসা করে গ্রিসের সেই সংস্থার অফিসে ১৫ বছর পরে আবার গেলাম। সেখানকার সিইওর সাথে দেখা করলাম এবং পূর্বের মত পুনরায় আমার সেই বিশেষ তাপ শোষনক্ষমতাসম্পন্ন মার্বেলের প্রয়োজনের বিষয়টি আলোচনা করে এর পরিমাণ ইত্যাদি সম্পর্কে তাকে অবহিত করলাম।
কিন্তু দু:খজনকভাবে সিইও আমাকে জানালেন যে, ১৫ বছর আগে আপনি চলে যাবার পরে উক্ত পাথর সম্বলিত পাহাড়টির বাকি অংশ বিক্রি করা হয়ে গিয়েছিল। একজন ক্রেতা সেটির পুরোটাই কিনে নিয়ে গেছেন।
একথা শ্রবনে আমি যারপরনাই হতাশ হলাম। যদিও তাকে সেটা বুঝতে দিচ্ছিলাম না, কিন্তু আমার মন তখন অত্যন্ত বিষন্ন হয়ে গিয়েছিল। কিছুতেই মনকে প্রবোধ দিতে পারছিলাম না। কি করবো, ভেবে পাচ্ছিলাম না। তখনকার সেই সময়টাতে মনে হচ্ছিল, একটা ঘোর অনিশ্চয়তার দেয়াল যেন আমার সামনে উঁচু হয়ে উঠছিল ক্রমশঃ। কিন্তু ভয়, শঙ্কা, বিষন্নতাপূর্ণ পরিস্থিতি যতই সামনে এসে পথ আগলে দাঁড়িয়েছে আমার; আমি আল্লাহ তাআ'লার রহমত থেকে নিরাশ হইনি কখনোই। সবসময়ই আমি ছিলাম আশাবাদী। আল্লাহ তাআ'লার প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল পূর্ণ-পরিপূর্ণ। তাঁর সীমাহীন রহমতের প্রত্যাশায় বরাবরই আমি ছিলাম উৎসুক, তৃষ্ণার্ত চাতক পাখিরা আমার ভেতরে বিশ্বাসের ডানা মেলে উড়ে বেড়াতো কঠিন অনিশ্চয়তার সেই দোদুল্যমান মুহূর্তগুলোতেও।
যাই হোক, সৌজন্যতাবশতঃ সিইও মহোদয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তার নিকট থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসছিলাম। হঠাৎ কি মনে হলো, ভাবলাম, এসেছিই যখন আরেকটু খোঁজ নিয়েই যাই। এই অফিসে আর কোনো দিন হয়তো আসাও হবে না, কিংবা, আসার প্রয়োজনও পড়বে না।
অফিস থেকে বেরোনোর সময় অফিস সেক্রেটারির সাথে দেখা করলাম এবং তাকে অনুরোধ করলাম যে, বিগত ১৫ বছর পূর্বে আপনাদের অমুক প্রোজেক্টের অর্ধেক মার্বেল আমি কিনে নেয়ার পরে বাকি মার্বেলগুলো যিনি কিনেছেন তার অবস্থান সম্পর্কে দয়া করে আমাকে যেন অবহিত করেন।
জবাবে অফিস সেক্রেটারি বললেন যে, এর জন্য বিগত ১৫ বছরের পুরনো সব ফাইল ঘাটাঘাটি করতে হবে। এত পুরানো রেকর্ড থেকে এই তথ্য বের করে আনাটা সত্যিই কঠিন একটি কাজ।
কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা। তাকে বিনীতভাবে বারবার অনুরোধ করতে থাকলাম।
এক পর্যায়ে আমার অনুরোধ তিনি ফেলতে পারলেন না। পুরানো রেকর্ড অনুসন্ধান করার প্রতিশ্রুতি দিলেন।
গ্রীসের যে হোটেলে আমি উঠেছিলাম আমি তাকে আমার সেই হোটেলের ঠিকানা ও ফোন নম্বর দিলাম এবং পরের দিন তার সাথে আবার দেখা করার কথা বলে সে দিনকার মত সেই অফিস হতে বিদায় নিয়ে চলে এলাম।
তবে এতকিছু করার পরেও এর দ্বারা কোনো ফায়দা হবে- এমন কোনো আশ্বস্ততা আমার ভেতরে তখন আদৌ ছিল না। সত্যি কথা বলতে কি, আমার তখনকার ভাবনাগুলো ছিল এলোমেলো। অফিস ছেড়ে আসার সময় নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করছিলাম- আমি কেন জানতে চাচ্ছি যে, বাকি মার্বেলগুলোর ক্রেতা কে? আচ্ছা, এই তথ্য বের করা কি সম্ভব হবে? আর হলেও তা কি আমার সেই মার্বেলপ্রাপ্তির কোনো সম্ভাবনা আদৌ তৈরি করবে? এসব চেষ্টা সত্যিই কি কোনো ফল দিবে? মনে মনে বিড়বিড় করছিলাম, যিনি কিনে নিয়েছেন তিনি তো নিশ্চয়ই কোনো না কোনো কাজের জন্যই সেগুলো কিনেছেন এবং এত বছর যাবত সে মূল্যবান মার্বেলগুলো ফেলেও রাখেননি, অবশ্যই তা কাজে লাগিয়েছেন। তাহলে এসব তথ্যের পেছনে এই ছোটাছুটির ফল কি?
ইত্যাকার নানান চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল মাথায়। তবে, হতাশা আমাকে আটকে রাখতে পারেনি কখনো। ভাবতে ভাবতে আনমনে নিজেকে নিজেই বলছিলাম, আল্লাহ তাআ'লার করুনা অপার। তিনি আমাকে ব্যর্থ মনোরথ করবেন না। তাঁর সীমাহীন দয়ারই শুধু আমি ভিখারী। তাঁর দয়া ব্যতিত আমার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়। আমি তাঁরই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছি। ইনশাআল্লাহ তিনি দারুণ কিছু করবেন।
পরের দিন, গ্রীস থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসবো, বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে, আমি আরেকটি ফোন কল পেলাম। সেই অফিস থেকে। অফিস সেক্রেটারি জানালেন যে, তিনি ক্রেতার ঠিকানাটা পেয়েছেন।
এই সংবাদটা আমার জন্য কিছুটা হলেও আনন্দের ছিল। কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম না যে, আমার তখন আনন্দ প্রকাশ করা উচিত কি না; কারণ বহু বছর পূর্বেকার সেই ক্রেতার ঠিকানা পাওয়ার ভেতরে আসলেই কি আনন্দের কিছু থাকতে পারে? তখন আমি কিছুটা দ্বিধার মধ্যে ছিলাম যে, এই ঠিকানা নেয়ার জন্য আমি কি আবার তাদের অফিসে যাব? এটি নিয়েই বা আমি আসলে কী করবো! অথবা, এই ঠিকানা আমার কি কাজে আসতে পারে - এসব ভেবে চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন চেহারায় ধীর পদক্ষেপে শেষ পর্যন্ত চলেই গেলাম তাদের অফিসে। অফিসে পৌঁছাতেই সেক্রেটারি ভদ্রলোক আমাকে সেই সংস্থার ঠিকানাটা দিলেন যারা বাকি মার্বেলগুলো ক্রয় করেছিল।
আমি ঠিকানাটায় একবার নজর দিতেই দেখি সেটি একটি সউদি সংস্থা। মুহূর্তেই আমার হৃদয়টা অন্যরকম এক আনন্দে ভরে উঠলো এই ভেবে যে, যাক, শেষ পর্যন্তু আল্লাহ তাআ'লার রহমত যে, মার্বেলগুলোর ক্রেতা অন্ততঃ সৌদি একটি সংস্থা। অন্য কোনো দেশ হলেও তো হতে পারতো। মার্বেল পাওয়া যাক আর না-ই যাক, ক্রেতা সউদি সংস্থা হওয়ার ফলে তাদের সাথে যোগাযোগ করাটা তো অন্ততঃ সহজ হবে। শুকরিয়া, আলহামদুলিল্লাহ।
আমি সেই দিনই গ্রীস ছেড়ে সউদিতে চলে গেলাম। সউদি পৌঁছে বাসায় না গিয়ে সরাসরি গিয়ে উপস্থিত হলাম মার্বেল ক্রেতা সেই সংস্থার অফিসে। সেখানকার ডিরেক্টর অ্যাডমিনের সাথে দেখা করলাম। প্রাথমিক কুশল বিনিময়ের পরে তার কাছে জানতে চাইলাম, বহু বছর আগে গ্রীস থেকে যে মার্বেল তারা কিনেছিলেন তা দিয়ে তারা কি করেছিলেন!
তিনি একটু ভেবে নির্দ্বিধায় জানালেন যে, বিষয়টি তার মনে পড়ছে না।
আমি বিশেষ প্রয়োজনের কথা বলায় আমাকে অনুমতি দেয়া হলে আমি ভালোভাবে খুঁজে সংস্থাটির স্টক রুমে গ্রিসের সেই সাদা মার্বেল নমুনা হিসেবে পেলাম। এবার তাকে সেই মার্বেল দেখিয়ে সে সম্পর্কে জানতে চাইলাম।
উত্তরে তিনি আমাকে বললেন যে, সেই চালানের সমস্ত মার্বেল অবিকল অবস্থায় তাদের স্টকেই রয়ে গেছে। তা থেকে কোনো মার্বেলই এখন পর্যন্ত ব্যবহার হয়নি। অর্থাৎ, গ্রীস থেকে যেভাবে আনা হয়েছিল এখনও মার্বেলগুলো সেভাবেই সংরক্ষিত রয়েছে।
আমি বারবার আল্লাহ তাআ'লার শুকরিয়া আদায় করতে থাকলাম এবং সেই মুহূর্তে আমার কাছে নিজেকে ধরে রাখা ছিল খুবই কঠিন একটি কাজ। আল্লাহ তাআ'লার সীমাহীন কুদরতের কারিশমা বুঝার সাধ্য কার! আমি আনন্দে শিশুর মতো কাঁদতে শুরু করলাম।
সউদি উক্ত সংস্থার মালিক পক্ষ আমার অবস্থা দেখে হতচকিত হয়ে গেলেন। তিনিসহ তার অফিসের কর্মকর্তারা বিস্ময় নিয়ে আমার হাসি-কান্না ইত্যাদি অবস্থা অবলোকন করছিলেন। এসবের রহস্য জানাতে বারবার অনুরোধ করছিলেন।
তখন পুরো ঘটনাগুলো একে একে তাদেরকে শোনালে তারাও বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান। তারাও আল্লাহ তাআ'লার শুকরিয়া আদায় করেন।
মালিকপক্ষকে উক্ত মার্বেলগুলো আমাদের নিকট বিক্রি করার ব্যাপারে রাজি হওয়ার কথা বললে তিনি এককথায় মার্বেলগুলো দিতে সম্মত হন। তখন সংস্থার মালিককে একটি ফাঁকা চেক দিয়ে তিনি যত দাম চান তা লিখতে অনুরোধ করলাম।
কিন্তু মার্বেলগুলো প্রিয়নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মসজিদে নববীর জন্য ব্যবহার করা হবে বিধায় সংস্থার মালিক বললেন যে, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করবেন, এই মার্বেলের বিনিময়ে আমি একটি রিয়ালও গ্রহণ করতে পারবো না। আল্লাহ তাআ'লার দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া যে, তিনি আমাকে এই মার্বেল পাথর আমদানি করার পরে তা ভুলে যেতে তাওফিক দিয়েছেন এবং আমি বুঝতে পারছি- এ পাথর তাঁর প্রিয় নবীর মসজিদে লাগাতেই তিনি সৃষ্টি করেছেন। এখানে সবই অলৌকিক ইশারায় হচ্ছে। অতএব, এর কোনো বিনিময় নেয়া আমার জন্য চরম অন্যায় বলে আমি মনে করি। এটি আমি কেবল আমার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লাকে খুশি করার জন্যই করবো। প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মসজিদে এ পাথর ব্যবহৃত হবে, এটাই আমার জীবনের বড় পাওয়া। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে? আমার ব্যবসায়িক জীবনে এর চেয়ে সফলতার আর কোনো ঘটনা ইতোপূর্বে ঘটেনি। সত্যিই আল্লাহ তাআ'লা আমাকে আমার ব্যবসায়ে লাভবান করবেন বলেই এই মার্বেল আমাকে দিয়ে গ্রীস থেকে ক্রয় করিয়েছেন। আবার মার্বেলগুলো নিয়ে আসার পরে দীর্ঘ এই প্রায় ১৫ টি বছর আমার স্মৃতি থেকে এই মার্বেলের কথা একেবারেই বিস্মৃত করে রেখেছেন। আমি তাঁর শুকরিয়া আদায় করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আল্লাহু আকবার। আল্লাহ মহান। তিনি পরম দয়ালু। তাঁর দয়ারই ইশারা এই সবকিছু।
সংস্থার মালিকপক্ষের এমন অনুরোধে কোনো প্রকার বিনিময় ব্যতিতই সেই বিশাল মার্বেল পবিত্র মসজিদে নববীর উন্নয়ন কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার গোপন ইশারা বুঝার সাধ্য কার। তিনি হয়তো চেয়েছিলেন যে, বাইতুল্লাহ অর্থাৎ, কাবা শরিফে যে মার্বেল ব্যবহার করা হয়েছে একই মার্বেল তাঁর প্রিয়তম হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র মসজিদে নববীতেও ব্যবহৃত হোক। আর এ কারণেই হয়তো তিনি প্রতি মুহূর্তের এমন ঘোর অনিশ্চয়তার মাঝেও সবকিছুর সঠিক ব্যবস্থাপনা করে দিয়েছেন মিশরীয় ইঞ্জিনিয়ার ড. মুহাম্মদ কামাল ইসমাঈল রহিমাহুল্লাহর মাধ্যমে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করুন।
শান্তি বারতা প্রারম্ভে এবং পরিশেষে।
সমাপ্ত।
মসজিদে নববী, মদিনাতুল মুনাওওয়ারাহ, ছবি: অন্তর্জাল।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১২
সাসুম বলেছেন: এটা একটা গল্প মাত্র এবং এই গল্পের ডালপালার কোন সীমা নেই।
ডাঃ মুহাম্মাদ কামাল ইস্মাইলের কোন বই, কিংবা সরাসরি সাক্ষাতকারেও এই কথা উল্লেখ নেই। এটা সঠিক এই মিশরীয় আর্কিটেক্ট কাজ করেছিলেন মক্কার ১৯০৮ এর মর্ডানাইজেশানের জন্য।
সবচেয়ে বড় কথা, মার্বেল পাথরের স্পেশাল ইফেক্ট তাপ শোষণ করতে পারে। এবং এই মার্বেল পাথর দুনিয়ার অনেক যায়গায় পাওয়া যায়। চাইলে এখন ল্যাব এ কৃত্তিম ভাবেও বানানো যায়।
আরো মজার বিষয় হল- এই গল্প ইন্টারনেট এ সার্চ করলে সবার আগে আসে একটা বাংলা অনলাইন পত্রিকার লিংক, এরপর কয়েকটা উর্দু লিংক, এরপর নাইজেরিয়ার কিছু অনলাইন পত্রিকার লিঙ্ক।
এরকম অবাক করা একমাত্র পাথর দুনিয়ার কোন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে, কোন আর্কিটেকচার ইউনিতে, কোন ম্যাটেরিয়াল সায়েন্সে পড়ানো হয় না। ইভেন এ নিয়ে কোন জার্নাল নেই, কোন আর্টিকেল নেই, ইভেন কোন একটা প্রথম সারির পত্রিকায় ও এ নিয়ে কিছু পাওয়া যায় না শুধুমাত্র কয়েকটা অনলাইন ভিত্তিক গালগল্প ছড়ানোর সাইট ছাড়া।
মক্কা কোন সন্দেহ ছাড়াই মোসলমান দের সবচেয়ে বড় এবং পবিত্র তীর্থ এবং সেটা যুগ যুগ ধরে ডেভেলপ হয়ে আসছে। ইভেন আল সৌদ ক্ষমতায় যাওয়ার পর মক্কা এলাকার আয়তন ১৯৭৩ সালে ২৯০,০০০ স্কয়ার ফিট থেকে ১৬,৩০,০০০ স্কয়ার ফিটে পরিণত করেন। কারন একেতো বেশি হজ যাত্রী দের কে যায়গা দেয়া এক সাথে অন্য যায়গায় হজ বিজনেস এর এক্সপানশান। হজ সৌদি আরবের অন্যতম অর্থকরী ফসল। সো, এটাকে যত আরাম ও বড় করা যাবে তাদের নিজেদের জন্যই লাভজনক।
তবে, মোসলমান দের এমন একটা পবিত্র ভূমি নিয়ে গালগল্প ছড়ানো টা আমার কাছে একটা অপবিত্র কাজ বলে মনে হয় যেটা এই মার্বেল পাথরের কাহিনী তে হয়ে চলেছে।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৫
জটিল ভাই বলেছেন:
মাশাল্লাহ্।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩
সাসুম বলেছেন: মক্কার সাদা টাইলস ঠান্ডা থাকা কোন আজগুবি বা অলৌকিক বা নীচে ঠান্ডা পানির পাইপ নয় বরং স্পেশাল মার্বেল এর গুণ
উপরের এই লিংকে ক্লিয়ার লি বলা আছে কেন মক্কার টাইলস গুলো ঠান্ডা থাকে এবং এই রেয়ার থাসোস মার্বেল গ্রিস থেকে আনা হয় , তাও ঠিক।
উপরে, নতুন ভাই লিঙ্ক দিয়েছেন সেখানে দেয়া আছে তাদের কাছে এখনো আম্রিকাতে ৩৫ হাজার স্কয়ার ফিট মজ্জুদ আছে। আপনি চাইলেও আপনাকে ডেলিভারি দিবে সেইম মক্কার মার্বেল পাথর।
এবার আমি ধারনা দেয়ার চেষ্টা করি কেন এই গল্পের ঢাল্পালা গজালো-
একেতো মার্বেল গুলো বেশ রেয়ার এবং গ্রিস থেকে আনতে হয় ফলে এটা করতে অনেক কস্ট করতে হয়েছিল আর হয়ত সোর্স ও খুব রেয়ার ছিল। আর আমাদের মোসলমান রা সঠিক তথ্যের চেয়ে গালগল্পের প্রতি এক ধরনের টান আছে। ফলে তিল কে তাল করতে গিয়ে তিল কে হিমালয় পর্বত করে একটা সিম্পল মার্বেল পাথর কে অলৌকিকতা দান করেছে।
আর সে সাথে নিজ ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র একটা স্থান কে একটু অলৌকিক এবং সেটার সিম্পল মার্বেল কেও স্পেশাল ভাবতে সবার কাছেই ভাল লাগে, সো গল্পের গরু আকাশে উড়ে গেছে।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিশ্বাষিদের জন্য দেয়া পোস্টে অবিশ্বাষীদের কমেন্ট দেখাটা চুরান্ত বিরক্তিকর। এদের ব্লক করার বিষয়টা ভেবে দেখতে পারেন । অনর্থক, ধর্মীয় অবমাননামুলক কমেন্ট পোস্টের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে।
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫
নতুন বলেছেন: পবিত্র বাইতুল্লাহ এবং মসজিদে নববী আধুনিকিকরণের পেছনের অজানা কিছু কথা -সংশোধিত পুন:প্রকাশ
@ঢাবিয়ান << শিরোনামে কোথাও বলা নাই যে এটা বিশ্বাসীদের জন্য। অথবা সামুতে ধর্মীয় পোস্টে অবিশ্বাসীদের কমেন্ট করা নিষেধ।
এখানে অন্ধবিশ্বাসের ফলে সৃস্ট কিছু আজগুবি যুক্তি ছড়ানো হচ্ছে সেটার সম্পর্কে অন্যদের সচেতন করা উচিত।
এই সব জিনিস প্রচার করে ইসলামকেও যে হাস্যকর বানাচ্ছে মানুষ সেটা অনেকেই বোঝে না।
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢাবিয়ান ভালো কথা বলেছে। ধর্মীয় পোস্টে অবিশ্বাসীদের আনাগোনা বেশী দেখা যায়, যেটা কাম্য না। কারণ ধর্মীয় পোস্ট বিশ্বাসীদের জন্য। অবিশ্বাসীদের হেদায়েত করার জন্য না। এই রকম ১০০০ পোস্ট দিলেও অবিশ্বাসীদের বিশ্বাসে পরিবর্তন আসার সম্ভবনা খুব কম। তাদের কাছে এই পোস্টগুলি ফান পোস্ট।
৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৯
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সারে চুয়াত্তর, ঢাবিয়ান এবং মাসুম ভাইগণ, আপনাদের সাথে নিকট অনুরোধ। আপাত এই পোস্টের কমেন্ট বক্সকে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী প্রসঙ্গের দিকে নিয়ে যাবেন না। যারা "সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী নয়" তারাও বিশ্বাসী। তাদের এই অবিশ্বাস করাটাও এক প্রকারের বিশ্বাসের সজ্ঞায় পড়ে। তা যাই হোক। দয়া করে এ বিষয়টিকে নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা না করি। প্রয়োজনে না হয় এ বিষয়ে পরবর্তীতে আপনারা নতুন করে ব্লগ লেখলেন। আমরা সাথে থাকলাম।
দেখুন, বিশ্বের প্রত্যেকটি ধার্মিক মাত্রই নিজ নিজ ধর্মকে সব ধর্মের চেয়ে উর্ধ্বগামী ভাবেন। আর ধর্মীয় জ্ঞানীরা তো ভাববেনই। এটা স্বাভাবিক। অস্বাভাবিকতা আসতো যদি সব ধর্ম কৃত্রিমতা তৈরিতে অভ্যস্ত না থাকতো।
দিনশেষে আপনি আমি যাই বলি না কেন, এই ধার্মিকেরা কিন্তু একেবারেই অশান্তিতে ডুবে আছে যে এমন না। যদি এমন হত তবে না হয় আমরা তাদেরকে টেনে আমাদের কাতারে নিয়ে আসতাম। দেখুন, এখনো বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ধর্মকে শান্তির আশ্রয় হিসেবে শ্রদ্ধা দেখানো হয়। সুতরাং তারা যদি ধর্ম পালনের মাধ্যমে ভালো থাকতে পারে তবে থাকুক না তারা নিজেদের মত।
আর নকিব ভাই, আপনিও মিয়া! আপনের রিসার্চ একটু বৃদ্ধি করুন। সেই আগের মতই পোস্ট করেন। একটু পরিবর্তন তো আনবেন নাকি! মানুষের সমালোচনা গায়ে নিবেন না আবার এরকম সমালোচনা সৃষ্টিকারী ব্লগ লিখবেন!
আর হ্যা, আপনাকে নিয়ে একজন আলো চাষ শুরু করেছেন। এগুলো নিয়ে আবার পোস্ট দিয়েন না।
সারে চুয়াত্তর, ঢাবিয়ান এবং মাসুম এবং আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা থাকলো।
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২৯
সোবুজ বলেছেন: কাবা ঘরটি কবে থেকে পৌত্তলিক মন্দিরে পরিনত হয়।মক্কা বিজয় করে নবী যেটা পৌত্তলিকদের হাত থেকে উদ্ধার করেন।
১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:০৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অবিশ্বাসীগণ গ্রামের ঝগড়াটে মহিলার মত। তাই তারা দুরে থাকাই ভালো এইসব পোষ্ট হতে।
কয়েক বছর আগে হারাম শরীফে আধুনিকীকরণ করার সময় দুইমাস ছিলাম মক্কায়। আমার একলোক বীন লাদেন কোম্পানিতে কাজ করে আর এই কাজ বীন লাদেন গ্রুপ করাতে উনার সাথে গিয়ে দেখেছি কাজ করার সময়।
১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:১২
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৫
নতুন বলেছেন: মার্বেল পাথরের সেই গল্পে ফিরে যাই চলুন। এই প্রতিভাবান ব্যক্তির ঐকান্তিক ইচ্ছে ছিল- তিনি তাওয়াফকারিদের জন্য মসজিদুল হারাম অর্থাৎ, কাবা শরিফের মেঝেটি এমন একটি মূল্যবান পাথর দিয়ে আচ্ছাদিত করবেন যেটি সহজে গরম হবে না এবং যার কারণে তাওয়াফকারী ও ইবাদতে রত ব্যক্তিবর্গের সুবিধা হয়।
মার্বেল পাথর তাপ শোষন করার বৈশিস্ট আছে। কাবাতে ঐ পাথর ব্যবহার করা হয়েছিলো সম্ববত Thassos Marbel সাদা রং এবং দেখতে খুবই সুন্দর বলেই। সাদা রং এর জিনিস তাপ শোষন করে কম।
Thassos Marbel
https://www.megamarbleatl.com/portfolio/thassos-marble/
জানিনা তারা কেন এই মার্বল খুজে পাচ্ছে না। আপনিও উপরের মেগা মার্বলে সাপ্লাইয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন তাদের কাঝে ৩৫০০০ বর্গফুট AE এবং A1 কোয়ালিটির মার্বল এখনো স্টকে আছে।