নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
শবে বারাআত পালনঃ একটি বাস্তবভিত্তিক পর্যালোচনা
প্রাককথনঃ
১৪৪৩ হিজরি সন চলছে। আরবি শা'বান মাসের ১৪ তারিখ আজ। মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল বারাআত অদ্য সূর্যাস্তের পরপরই শুরু হবে। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় আজ ১৮ মার্চ ২০২২ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার দিবাগত রাতে আমাদের সমগ্র বাংলাদেশে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটিকে মুসলমানরা সৌভাগ্য, ক্ষমা ও মুক্তির রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। শবে বরাত মুসলামানদের কাছে লাইলাতুল বরাত নামেও পরিচিত। শবে বরাত পবিত্র মাহে রমজানেরও আগমনী বার্তা দেয়।
শবে বারাআতের বিষয়টি ইদানিং বেশ আলোচিত। অজ্ঞতাবশতঃ কিছু কিছু লোকের কাছে এই রাতটি বিদআতমূলক কিছু কর্মকান্ডেরই কারণ হিসেবে বিবেচিত। মাত্র কয়েক বছর পূর্বেও এই শ্রেণির ভ্রান্ত বিশ্বাসের লোকদের আনাগোনা আমাদের দেশে সচরাচর চোখে পড়তো না। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে এখন তারা সংখ্যায় মা-শাআল্লাহ অনেক। তারা নিজেদের মত করে নিজস্ব একটি বলয় গড়ে তুলেছেন। আর তাদের এই বলয়টা বলা চলে অনলাইন কেন্দ্রিক। তারা ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়াকে কেন্দ্র করে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের যুক্তিহীন এবং অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যে মতামত প্রচার করে থাকেন। তারা নিজেরা যদি এগুলো পালন করেই ক্ষান্ত থাকতেন তাহলে সমস্যা খুব একটা বেশি হতো না। সমস্যাটা বৃদ্ধি পাচ্ছে এই কারণে যে, অন্যদের ঘাড়েও তারা এগুলোকে চাপিয়ে দেয়ার হেন কৌশল নেই যা অবলম্বন করা হচ্ছে না। এদের বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের জবাব দিতে গেলেই সমস্যাটা আরও জটিলতার দিকে চলে যায়। কারণ, অনেকেই এইসব বিতর্ক পছন্দ করেন না। সাধারণ মানুষের অনুভব-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিতর্ক এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেও থাকি।
আসলে নফল ইবাদত নিয়ে অযথা বিতর্ক করা উচিতও নয়। কিন্তু কিছু কিছু বিষয়ে এমনভাবেই মিথ্যাচার করে থাকেন যে, কথা না বলে শেষতক আর কোন পথই খোলা থাকে না। তেমনই একটি বিষয় শবে বারাআত বা লাইলাতু নিসফি মিন শা'বান। এই রাত সম্পর্কে লেখার কোন ইচ্ছেও ছিল না। যেখানে আমরা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফরয কিংবা ওয়াজিবই ছেড়ে দিচ্ছি অহরহ। শুধু কি ছেড়ে দেয়া পর্যন্তুই শেষ? কোন কোন মুসলিম তো নাস্তিক পর্যন্তু হয়ে যাচ্ছেন ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে চূড়ান্ত অজ্ঞতার কারণে। আফসোস! আজ হাজারো মুসলমান কুরআনের আক্ষরিক জ্ঞান থেকে বঞ্চিত! একজন মুসলমান অন্য ধর্মাবলম্বী কেন থেকে আলাদা- ইসলাম ধর্ম এবং মুসলিমদের স্বাতন্ত্র্য যে কোথায় - এগুলোও জানে না আজকের পৃথিবীর কোটি কোটি মুসলিম। জ্ঞানে প্রজ্ঞায় মুসলিম জাতির দুরবস্থা যখন এমনই এক অবর্ণনীয় পর্যায়ে, সেখানে নফল কোন আমল নিয়ে বিতর্ক করার অর্থ দাঁড়ায়- ফরয সতর ঢেকে রাখার লুঙ্গি খুলে সুন্নত পাগড়ী মাথায় দেবার মত নিছক বোকামী কোন কাজের অবতারণা। এতদসত্ত্বেও কথা বলতে হয়, কথা না বলে কোনক্রমেই পারা যায় না, যখন আহলে হাদিস নামের হাদিস অস্বীকারকারী ভাইদের দাম্ভিকতাপূর্ণ আচরণ দেদার চলছেই, রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সুপ্রমাণিত একটি নফল আমলকে অস্বীকার করে চলেছেন অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করে, অপরদিকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের নামের আড়ালে রাজারবাগী, দেওয়ানবাগী, কুতুববাগী, আটরশী, চন্দ্রপুরী ও মাইজভান্ডারীসহ বিদআতের ধ্বজাধারী মাজার, কবর এবং অসংখ্য পীর পূজারীরা পবিত্র শবে বারাআতের নামে হালুয়া রুটি আর সম্মিলিত ইবাদতের মত চূড়ান্ত পর্যায়ের হীন বিদআতি কর্মকান্ড বাধাহীনভাবে করে যাচ্ছে ধর্মের নাম ব্যবহার করেই তখন বিষয়টি সাধারণ মুসলমানদের সামনে পরিস্কার করার জন্য নিতান্ত বাধ্য হয়ে কিছু কথা না বলে পারছি না বলেই ক্ষুদ্র এই নিবন্ধ।
শবে বারাআতের সংজ্ঞাঃ
'শব' ফার্সি শব্দ। এর অর্থ- রাত। আর 'বারাআত' আরবি শব্দ। শব্দটি মূলতঃ- براءت (বারাআত), যার অর্থ- 'মুক্তি', তথা জাহান্নাম থেকে মুক্তির রাত হল 'শবে বারাআত'। এইক্ষেত্রে 'বরাত' বলাটা ভুল। কারণ, 'বরাত' (برات) মানে- 'বিয়ে', আর 'শবে বরাত' কথাটির অর্থ হয়- 'বিয়ের রাত'। সুতরাং, 'শবে বরাত' না বলে 'শবে বারাআত' বলাটাই সঠিক। - شب براءت
শবে বারাআতকে হাদিসের পরিভাষায় বলা হয়েছে 'লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান' (ليلة النصف من شعبان) তথা, শাবানের অর্ধ মাসের রাত বা মধ্যবর্তী রাত। কেউ কেউ 'শবে বরাআত' নামে হাদিসে শব্দ না থাকায় এ রাতকে অস্বীকার করার মত খোড়া যুক্তি দিয়ে থাকেন। তাদেরকে আমরা বিনয়ের সাথে বলতে চাই যে, আমরা তো আবশ্যিকভাবে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়কে 'নামাজ পড়া' বলি। এর ফলে অর্থাৎ, সালাতকে নামাজ বললে তাতে কি কুরআন হাদিসে বর্ণিত নির্দেশের কোন ব্যত্যয় ঘটে? কুরআনুল কারিম কিংবা হাদিসের গ্রন্থরাজির কোথাও কি নামাজ শব্দটি আছে? নেই। নেই বলে কি নামাজ বলা যাবে না?
আবার, তাওহীদকে আমরা ঈমানের শর্ত বলি। কিন্তু কুরআন হাদীসের কোথাও এই তাওহীদ শব্দটি কি আছে? এর উত্তর হচ্ছে, নেই। নেই বলে কি তাওহীদ কুরআন হাদীস দিয়ে প্রমাণিত নয়? আমরা যাকে নামাজ বলি সেই অর্থবোধক কুরআন হাদিসের উদ্ধৃত শব্দ 'সালাত'। এই সালাতই হল নামাজ। আমরা যাকে তাওহীদ বলি কুরআন হাদীসের একত্ববাদ প্রকাশক সকল শব্দই হল এই তাওহীদ। তেমনি আমরা যাকে 'শবে বারাআত' বলে শাবানের পনের তারিখের রাতকে বুঝিয়ে থাকি এই অর্থবোধক শব্দ হাদিসে যেহেতু 'লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান' কথার দ্বারা রয়েছে, সুতরাং, তা’ই হবে শবে বারাআত।
হাদিসে শবে বারাআতঃ
কুরআনুল কারিমে শবে বারাআতের কোন উল্লেখ নেই। কুরআনে কেবল 'লাইলাতুল কদর' তথা 'শবে কদর' এর আলোচনা রয়েছে। যদিও কোন কোন তাফসীরকারক পবিত্র কুরআনের পঁচিশ নাম্বার পাড়ার সূরায়ে দুখানের ২ ও ৩ নং আয়াতে বর্ণিত 'মুবারক রজনী' দ্বারা শবে বারাআতের রাতকে বুঝাতে চেয়েছেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর দ্বারা 'লাইলাতুল কদর' তথা শবে কদরই উদ্দেশ্য, শবে বারাআত নয়। আর উপরোক্ত আয়াতের এই তাফসীরকেই বিশুদ্ধ বলেছেন গ্রহণযোগ্য মুফাসসিরীনে কেরাম। এর পক্ষে যুক্তিও শক্তিশালী। বিস্তারিত জানতে দেখে নিতে পারেন-
১. আদ দুররুল মানসুর-৭/৪০১-৪০৭
২. তাফসীরে কাশশাফ-৪/২৭২
৩. তাফসীরে ইবনে কাসীর-৭/২৪৬
৪. তাফসীরে বাগাভী-৭/২২৭-২২৮
'লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান' বা 'শবে বারাআত' এর কিছু হাদিসঃ
বিভিন্ন হাদিসে শবে বারাআতের বর্ণনা এসেছে। যেমন-
এক.
عن علي بن أبي طالب قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( إذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا نهارها . فإن الله ينزل فيها لغروب الشمس إلى سماء الدنيا . فيقول ألا من مستغفر لي فأغفر له ألا من مسترزق فأرزقه ألا مبتلى فأعافيه ألا كذا ألا كذا حتى يطلع الفجر )
হযরত আলী বিন আবু তালীব রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যখন শাবান মাসের মধ্যবর্তী রজনী অর্থাৎ, শবে বারাআত আসে তখন তোমরা রাতে নামাজ পড়, আর দিনের বেলা রোযা রাখো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআ'লা এ রাতে সূর্যাস্তের সাথে সাথে পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে এসে বলেন- কোন গোনাহ ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি আমার কাছে? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। কোন রিজিকপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে রিজিক দিব। কোন বিপদগ্রস্থ মুক্তি পেতে চায় কি? আমি তাকে বিপদমুক্ত করে দিব। আছে কি এমন, আছে কি তেমন? এমন বলতে থাকেন ফযর পর্যন্ত। -সূনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩৮৮, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩৮২২
দুই.
عن عائشة : قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه و سلم ليلة فخرجت فإذا هو بالبقيع فقال أكنت تخافين أن يحيف الله عليك ورسوله ؟ قلت يا رسول الله إني ظننت أنك أتيت بعض نساءك فقال إن الله عز و جل ينزل ليلة النصف من شعبان إلى السماء الدنيا فيفغر لأكثر من عدد شعر غنم كلب
হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা বলেন-এক রাতে রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে না পেয়ে খুঁজতে বের হলাম। খুঁজতে খুঁজতে জান্নাতুল বাকীতে [মদীনার কবরস্থান] গিয়ে আমি তাঁকে দেখতে পেলাম। তিনি বললেন- কি ব্যাপার আয়েশা? [তুমি যে তালাশে বের হলে?] তোমার কি মনে হয় আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল তোমার উপর কোন অবিচার করবেন? [তোমার পাওনা রাতে অন্য কোন বিবির ঘরে গিয়ে রাত্রিযাপন করবেন?] হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা বললেন- আমার ধারণা হয়েছিল আপনি অন্য কোন বিবির ঘরে গিয়েছেন। রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন- যখন শাবান মাসের ১৫ ই রাত আসে অর্থাৎ যখন শবে বরাত হয়, তখন আল্লাহ পাক এ রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসেন। তারপর বনু কালব গোত্রের বকরীর পশমের চেয়ে বেশী সংখ্যক বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন। -সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-৭৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৬০২৮, মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-১৫০৯
যেহেতু গায়রে মুকাল্লিদ বা আহলে হাদীস ভাইয়েরা এ রাতের ফযীলতকে অস্বীকার করে থাকেন তাই তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং অন্ধভাবে মান্যবর ব্যক্তিত্ব আহলে হাদিসদের ইমাম শায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানী রহঃ তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ “আস সিলসিলাতুস সাহিহাহ আল মুজাল্লাদাতুল কামিলাহ” গ্রন্থে ৩ নং খন্ডে ১১৪৪ নং অধ্যায়ে ২১৮ নাম্বার পৃষ্ঠায় শবে বারাআত সম্পর্কে হাদিস এনে যে দীর্ঘ আলোচনা করে যে মত ব্যক্ত করেছেন তা তুলে ধরা হল-
তিন.
عن معاذ بن جبل عن النبي صلى الله عليه و سلم قال : ( يطلع الله إلى خلقه في ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن )
হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন- অর্ধ শাবানের রাতে [শবে বরাতে] আল্লাহ তাআলা তাঁর সমস্ত মাখলুকের প্রতি মনযোগ আরোপ করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন। -সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৬৬৫, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২৭৫৪, মুসনাদে ইসহাক বিন রাহওয়াই, হাদীস নং-১৭০২, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৭৭৬, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-২১৫, সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং-১৩৯০, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-২০৩, মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩০৪৭৯, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২০৪
আলবানী তার সিলসিলাতুস সাহিহাহর ৩ নং খন্ডের ১৩৫ নং পৃষ্ঠায় বলেন। “এই হাদিসটি সহীহ” এটি সাহাবাদের এক জামাআত বর্ণনা করেছেন বিভিন্ন সূত্রে যার একটি অন্যটিকে শক্তিশালী করেছে। তাদের মাঝে রয়েছেন মুয়াজ বিন জাবাল রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, আবু সা’লাবা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, আবু মুসা আশয়ারী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, আবু বকর সিদ্দীক রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, আউফ বিন মালিক রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা প্রমুখ সাহাবায়ে কেরাম। -ইবনু মাজাহ, আস- সুনান ১/৪৪৫; বাযযার, আল-মুসনাদ ১/১৫৭, ২০৭, ৭/১৮৬; আহমাদ ইবনু হাম্বল, আল-মুসনাদ ২/১৭৬; ইবনু আবি আসিম, আস-সুন্নাহ,পৃ ২২৩-২২৪; ইবনু হিববান, আস-সহীহ ১২/৪৮১; তাবারানী, আল-মুজাম আল-কাবীর, ২০/১০৮, ২২/২২৩; আল-মুজাম আল-আওসাত, ৭/৬৮; বায়হাক্বী, শু’আবুল ঈমান, ৩/৩৮১; ইবনু খুযায়মা, কিতাবুত তাওহীদ ১/৩২৫-৩২৬
উপরে বর্ণিত সকল বর্ণনাকারীর হাদিস তিনি তার কিতাবে সন্নিবেশিত করার পরে সুদীর্ঘ আলোচনা শেষে বলেন-
و جملة القول أن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلا ريب و الصحة تثبت بأقل منها
عددا ما دامت سالمة من الضعف الشديد كما هو الشأن في هذا الحديث ، فما نقله
الشيخ القاسمي رحمه الله تعالى في ” إصلاح المساجد ” ( ص ১০৭ ) عن أهل التعديل
و التجريح أنه ليس في فضل ليلة النصف من شعبان حديث صحيح ، فليس مما ينبغي
الاعتماد عليه ، و لئن كان أحد منهم أطلق مثل هذا القول فإنما أوتي من قبل
التسرع و عدم وسع الجهد لتتبع الطرق على هذا النحو الذي بين يديك . و الله تعالى هو الموفق
অর্থাৎ 'সারকথা এই যে, নিশ্চয় এই হাদিসটি এই সকল সূত্র পরম্পরা দ্বারা সহীহ, এতে কোন সন্দেহ নেই। আর সহীহ হওয়া এর থেকে কম সংখ্যক বর্ণনার দ্বারাও প্রমাণিত হয়ে যায়, যতক্ষণ না মারাত্মক কোন দুর্বলতা তাতে পাওয়া না যায়, যেমন এই হাদিসটি হয়েছে। আর যা বর্ণিত শায়েখ কাসেমী থেকে তার প্রণিত 'ইসলাহুল মাসাজিদ' গ্রন্থের ১০৭ নং পৃষ্ঠায় জারাহ তা’দীল ইমামদের থেকে যে, 'শাবানের অর্ধ মাসের রাতের কোন ফযীলত সম্পর্কে কোন হাদিস নেই মর্মে' সেই বক্তব্যের উপর নির্ভর করা যাবে না। আর যদি কেউ তা মেনে নেয় সে হবে ঝাঁপিয়ে পড়া (ঘার ত্যাড়া) স্বভাবের, আর তার ব্যখ্যা-বিশ্লেষণ ও গবেষণা-উদ্ভাবনের কোন যোগ্যতাই নেই এরকমভাবে যেমন আমি করলাম'। -আলবানী, সাহীহাহ (সিলসিলাতুল আহাদীসিস সাহীহাহ) ৩/১৩৫
শায়েখ আলবানী রহঃ এর বিশ্লেষণ থেকে এ কথা নির্দ্বিধায় আমরা বলতে পারি যে, হাদিস দ্বারা শবে বারাআত প্রমাণিত।
একটি প্রশ্ন ও জবাব
অনেক গায়রে মুকাল্লিদ ভাই প্রশ্ন করে থাকেন যে, এ রাত ফযীলতপূর্ণ একথা ঠিক আছে, কিন্তু এ রাতে আমল করতে হবে এ কথা তো কোথাও নেই। তাই আমল করা জায়েজ হবে না। করলে তা বিদআত হবে।
তাদের অজ্ঞতাপ্রসূত এই প্রশ্নের জবাবঃ
হ্যাঁ, মাঝে মাঝে এমনতরো বড়ই আশ্চর্য্যবোধক প্রশ্ন তারা করে থাকেন। কথা হলো, যে সময়টি, যে রাতটি এতই ফযীলতপূর্ণ যে সে রাতে স্বয়ং আল্লাহ তাআ'লা পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং আপন বান্দাদেরকে ক্ষমা করার জন্য, তাদের অভাব পূরণ করার জন্য, কষ্ট লাঘব করে দেয়ার জন্য রাতভর তাদেরকে আহবান করতে থাকেন, সে রাতটিতে ইবাদত করা ক্ষতিকর কিংবা নিষিদ্ধ হবে কেন? তাহলে সে রাতটি ফযীলতপূর্ণ হওয়ার অর্থ কি? কুরআন হাদিসে বিভিন্ন সময় ও দিবসের ফযীলতের কথা কেন বলা হয়েছে? সেই ফযীলতপূর্ণ সময় ও দিবস রজনীগুলোতে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকার জন্য? না কি, ইবাদত বন্দেগীতে লিপ্ত থেকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার সন্তুষ্টি হাসিল করার জন্য?
প্রসঙ্গতঃ শবে কদরের ফযীলত কুরআনুল কারিমে কেন বর্ণিত হয়েছে? যারা শবে বরাআতের ইবাদত বন্দেগীকে বিদআত সাব্যস্ত করতে ইচ্ছুক তাদের কথা ও দাবি অনুসারে তো একথাও ধরে নিতে হয় যে, শবে কদরের ফযীলত বর্ণিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু সে রাতে ইবাদত করাও বিদআত (নাউযুবিল্লাহ)। কারণ, কোন নির্ধারিত ইবাদতের কথা এ রাতের ব্যাপারেও তো বর্ণিত হয়নি। এমন উদ্ভট ও মনগড়া কথা বলা নিতান্তই বোকামী ও নিছক মূর্খতা নয় কি?
বস্তুতঃ ফযীলত বলা মানেই হল এ সময় ঘুমিয়ে না থেকে ইবাদতে নিমগ্ন হওয়ার তাকীদ দিচ্ছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। ঘুমিয়ে থাকলে কিংবা আ'মল ও ইবাদতে মগ্ন না থাকলে ফযীলত অর্জন করা সম্ভব হবে কিভাবে?
শবে বারাআতে করণীয়ঃ
মহামান্বিত এ রাতে করার মত নির্দিষ্ট কোন আমল নেই। হাদিসে এমন কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। সবাই কোথাও একত্র হয়ে সম্মিলিত কোন আমলও সাব্যস্ত নেই। সুতরাং, উল্লেখিত হাদীসের আলোকে এ রাতের আমল হল-
১. তাওবা ইস্তিগফারঃ অধিক পরিমানে তাওবা ইস্তিগফারের দ্বারা আল্লাহ তাআ'লার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা।
২. কবর যিয়ারত করাঃ আড়ম্বরপূর্ণভাবে নয় বরং স্বাভাবিকভাবে সম্ভব হলে মৃত বাবা, মা ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের কবর যিয়ারত করা।
৩. নফল ইবাদতঃ যিকির আযকার, কুরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ আদায় করার মাধ্যমে অনির্ধারিতভাবে নফল ইবাদত করা।
৪. দান সদকাহঃ গরিব, মিসকীন, অভাবী ও ইয়াতিমদের দান সদকাহ করা যেতে পারে।
৫. রোযা পালনঃ পরের দিনটিতে রোযা রাখা।
৬. মধ্য-শাবানের রাত্রিতে দোয়া-মুনাজাতঃ মধ্য শাবানের রজনীর ফযীলত বিষয়ে বর্ণিত তৃতীয় প্রকারের হাদীসগুলোতে এ রাত্রিতে সাধারণভাবে দোয়া করার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এ রাতে দোয়া করা, আল্লাহর কাছে নিজের প্রয়োজন মেটানোর জন্য আকুতি জানানো এবং জীবিত ও মৃতদের পাপরাশি ক্ষমালাভের জন্য প্রার্থনার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।
৭. অনির্ধারিত সালাত ও দোয়াঃ মধ্য শাবানের রাত্রি সম্পর্কে বর্ণিত কিছু হাদীসে এ রাত্রিতে সালাত আদায় ও দোয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ সকল হাদীস এ রাত্রির সালাতের জন্য কোনো নির্ধারিত রাক‘আত, নির্ধারিত সূরা বা নির্ধারিত পদ্ধতি উল্লেখ করা হয় নি। শুধু সাধারণভাবে এ রাত্রিতে তাহাজ্জুদ আদায় ও দোয়া করার বিষয়টি এ সকল হাদীস থেকে জানা যায়।
শবে বারাআতে বর্জনীয়ঃ
১. আনন্দ উল্লাসের জন্য এই রাত নয়ঃ
হালুয়া রুটির মত আনন্দ উল্লাসের আয়োজন এড়িয়ে চলা। মনে রাখতে হবে, আল্লাহ তাআ'লার কাছ থেকে মাফ পেতে হলে, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হলে, এগুলো একমাত্র তাঁর ইবাদত বন্দেগী করার মাধ্যমেই সম্ভব, খাওয়া দাওয়া, আমোদ প্রমোদ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে ফুর্তি করার মাধ্যমে নয়।
২. অপচয়ের সুযোগ নেইঃ
আতশবাজি করা, রং ছিটানো, আলোকসজ্জিত করা ইত্যাদি অপচয়মূলক সকল কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, এগুলোর দ্বারা সময় এবং সম্পদ উভয়েরই অপচয় ঘটে বিধায় এসব কাজ নিঃসন্দেহে ক্ষতিকর। ইসলাম সকল ধরণের অপচয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
৩. সম্মিলিত আমলঃ
সম্মিলিত কোন আমলকে এই রাতে আবশ্যকীয় মনে করা সুষ্পষ্ট বিদআত। আমাদের সকল ইবাদতই হতে হবে সুন্নাহ অনুসারে। যেহেতু হাদিসে এই রাতে সম্মিলিত আমলের কোন বিধান বর্ণিত হয়নি তাই আমাদেরও তা পরিহার করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাসম্ভব ইবাদত বন্দেগীতে লিপ্ত থেকে মূল্যবান এ রাতটি অতিবাহিত করতে হবে।
৪. নির্ধারিত রাক‘আত, সূরা ও পদ্ধতিতে সালাত আদায়ঃ
শবে বরাত বিষয়ক কিছু হাদিসে এ রাত্রিতে বিশেষ পদ্ধতিতে, বিশেষ সুরা পাঠের মাধ্যমে, নির্দ্দিষ্ট সংখ্যক রাকআত সালাত আদায়ের বিশেষ ফযীলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মুহাদ্দিসগণের সর্বসম্মত মতানুযায়ী এই অর্থে বর্ণিত সকল হাদিস বানোয়াট। হিজরি চতুর্থ শতকের পরে রাসুলুলাহ (ﷺ) -এর নামে বানিয়ে এগুলো প্রচার করা হয়েছে। এগুলোর উপরে আমল করা থেকে সযত্নে বেঁচে থাকতে হবে।
শেষের প্রার্থনাঃ
পরিশেষে মহান রব্বুল আলামীনের কাছে হৃদয় নিংড়ানো ফরিয়াদ, তিনি যেন আমাদের সামনে প্রতিটি সত্যকে সত্য হিসেবে উপস্থাপন করে দেন, যাতে করে তা পালন করে আমরা লাভবান হতে পারি, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হই এবং তাঁর নৈকট্যলাভে ধন্য হতে পারি পক্ষান্তরে প্রতিটি মিথ্যাকেও তিনি যেন মিথ্যা হিসেবেই আমাদের সামনে উপস্থাপন করে দেন, যার ফলে তা থেকে বিরত থাকা আমাদের পক্ষে সহজ হয়ে যায়।
বিশ্বজাহানের এক ও একক মালিক মহান রব্বে কারিমের শুকরিয়া প্রকাশের অনুপম বাণী 'আলহামদুলিল্লাহ' এবং প্রিয়তম হাবিব শাফিয়ে মাহশার সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপরে 'দরূদ ও সালাম' প্রারম্ভে ও পরিশেষে।
১৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
আফসোস! আপনি এই পোস্টটি না পড়ে, এই পোস্টে উপস্থাপিত হাদিসগুলো না দেখেই মন্তব্যটা রেখে গেলেন!
দয়া করে যদি পোস্টটি আদ্যপান্ত পড়ে পুনরায় মন্তব্যে আপনার অভিব্যক্তি জানাতেন!
শুভকামনা জানবেন।
২| ১৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৪৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আফসোস, আপনি আমার সম্পর্কে না জেনেই মন্তব্য করে ফেললেন। একটা প্রশ্ন রেখে গিয়েছিলাম, সেটাও উত্তর দিলেন না! আফসোস!
১৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রি বেলায় নফল সালাত আদায় করতেন, প্রতি মাসে বিশেষ কয়েক দিনে রোজা রাখতেন। কিন্তু এটা বড়ই আফসোসের বিষয় যে এই মহা গুরুত্বপূর্ণ দিনে নিয়ে তিনি কিছুই করে দেখিয়ে যান নাই। এমনকি তাঁর সাহাবীদের ভাগ্যেও এই মহান দিবস জুটে নাই।
-এমন গায়ের জোরে চাপিয়ে দেয়ার মত করে বানিয়ে কোনো কথা বললে তখন আর কিইবা করার থাকে, বলুন? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 'লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান' নিয়ে কিছুই বলেন নি? সাহাবায়ে কেরামও বলেন নি? এই বিষয়ে আপনার নিরপেক্ষ পর্যব্ক্ষেন জানতে চাই। অনুগ্রহ পূর্বক জানিয়ে বাধিত করবেন, আশা করি।
আর পোস্ট পাঠ করে থাকলে এরকম কথা আপনার মত বিজ্ঞ ব্যক্তির কাছ থেকে কখনোই আশা করা যেত না। এই কারণেই আফসোস করা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না বলে দুঃখিত!
আচ্ছা, আল্লাহ যে প্রতি রাত্রে প্রথম হাদিসে বর্ণনা করা ঘোষণা গুলি করেন, এটা কি জানেন?
-এটা জানি। কিন্তু 'লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান' এর বিষয়ে বর্ণিত আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার প্রথম আসমানে অবতরণ বিষয়ক হাদিসকে সেই হাদিসের সাথে গুলিয়ে ফেলার কোন অবকাশ নেই। সারা বছরের জন্য যেটা বর্ণিত হয়েছে সেটা সতন্ত্র হাদিস।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৪৭
সোবুজ বলেছেন: নবীই বলে গেছেন,আমার উম্মত হবে ৭৩ দলে বিভক্ত।
সুনানে তিরমিযী,হাদিস নং ২৬৪১
১৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
কিছু লোক এই হাদিস পড়ে সম্ভবতঃ নিজেদেরকে নিরাপদ দূরত্বে রাখার চেষ্টা করছেন।
ধন্যবাদ।
৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এ বিষয়ে আমি কিছু লিখলেই
সূত্রের অনুসন্ধান হয়।
১৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
ভালো তো। বরং সূত্রের অনুসন্ধান হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমিও লেখার সাথে সূত্র উল্লেখ করে দেয়ারই চেষ্টা করি।
পরিবার-পরিজন সকলকে নিয়ে আপনি কুশলে থাকবেন, এটাই আমাদের প্রার্থনা।
৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ভালো লিখেছেন -
আমার মত -
এই রাত নিয়ে যে যাই বলুক বা যে নামেই বলুক (বিদাত /আদত/ শবেবরাত /নিফাস মিন। .. ইত্যাদি )
রাতটি অত্যন্ত মর্যাদাবান কারণ-
আল্লাহ নিচ আকাশে চলে আসেন,
আমাদের প্রত্যেককে তার চাওয়ার পদ্ধতির উপর নির্ভরকরে,(ইবাদতের মাধ্যমে )
ক্ষমা করার বা স্পেশাল কিছু দেয়ার জন্য।
অতএব চলুন ইবাদত শুরু করি।
১৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া। শুভকামনা।
৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬
নতুন বলেছেন: এইসব রাত্রে যদি দোয়া কবুল করে, মানুষের ভাগ্য নিদ্ধারন করা হয় তবে আমাদের দেশের গরিবদের ভাগ্যে বেশি টাকা পয়সা না লিখে বিল,মার্ক,বেজাসের ভাগ্যে কেন লিখে?
ওরা তো নামাজ কালাম কিছুই পড়েনা
১৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
ধনসম্পদের হ্রাস-বৃদ্ধি আল্লাহ তাআ'লার ইচ্ছাধীন। তিনি যাকে যতটুকু দেয়ার ততটুকুই দিয়ে থাকেন। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘বলুন, ‘আমার রব যার জন্য ইচ্ছা রিয্ক প্রশস্ত করেন অথবা সঙ্কুচিত করেন। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।’ -সূরা সাবা, আয়াত ৩৬
আল্লাহ তাআলা নিজ বান্দাদের পরীক্ষা ও পরখ করার জন্য রিযক বৃদ্ধি বা হ্রাস করেন। রিযক বৃদ্ধি যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রমাণ নয়, অনুরূপ রিযকের সংকীর্ণতা তার অসন্তুষ্টিরও কারণ নয়। অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়টি জানে না। দুনিয়ার সচ্ছলতা কারো শুভলক্ষণের দলিল নয়। কারণ, আখেরাতের সাফল্য নির্ভর করে নেক আমলের উপর, যা চিরস্থায়ী ও চিরকালীন অর্জন।
দুনিয়াতে কখনো আল্লাহ অবাধ্যকে দেন সচ্ছলতা, বিপরীতে অনুগতকে দেন সংকীর্ণতা। আবার কখনো এর বিপরীতও করেন। কখনো উভয়কে সচ্ছলতা দেন, কখনো দেন সংকীর্ণতা। কখনো অবাধ্য বা অনুগত একই ব্যক্তিকে এক সময় দেন সচ্ছলতা, অপর সময় দেন অস্বচ্ছলতা। এসব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন আল্লাহ তাআলা নিজ প্রজ্ঞা ও হিকমতের ভিত্তিতে।
সচ্ছলতা যদি সম্মান এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রমাণ হতো, তাহলে এর অধিকারী একমাত্র অনুগতরাই হতো, অবাধ্যরা কখনো এর স্বাদ পেত না। বুঝাই যাচ্ছে যে, এর সুযোগই তখন থাকতো না। আর যদি সংকীর্ণতা অপমান ও আল্লাহর গোস্বার কারণ হতো, তাহলে অবাধ্যরা সদা সংকীর্ণতা ভোগ করতে থাকতো, অথচ বাস্তবতা এমন নয়। সারকথা, সচ্ছলতা বা সংকীর্ণতা অবাধ্য বা অনুগত উভয়ের জন্যই সমান।
কতক অবিশ্বাসী লোক সচ্ছলতাকে সামনে রেখে তাদের পক্ষে আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রমাণ পেশ করে থাকেন এভাবে যে, 'যদি আমাদের উপর আল্লাহর অনুকম্পা না হত, তাহলে তিনি আমাদেরকে সচ্ছলতা দিয়ে সম্মানিত করতেন না।' তারা বলে থাকেন, 'হে রাসূলের অনুসারীগণ, আল্লাহর নিকট তোমরা তুচ্ছ বলেই বঞ্চিত।'
বস্তুত সচ্ছলতা বা অস্বচ্ছলতা শুভ লক্ষণ বা অশুভ কোন লক্ষণ নয়, হতভাগা বা সৌভাগ্যবান হওয়ারও কোন আলামত নয়। এ পার্থিব জগতে অনেক সচ্ছল ব্যক্তি বিদ্যমান যারা প্রকৃতপক্ষে নিতান্তই হতভাগা, আবার অনেক অসচ্ছল ব্যক্তি রয়েছেন যারা সত্যিকারার্থেই সৌভাগ্যবান। অধিকাংশ লোকই তা জানে না।
অভাব, অস্বচ্ছলতা, প্রবৃদ্ধি, সচ্ছলতা ইত্যাদি আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল, নেককার বা বদকার বলে কোন বিষয় নেই। সম্মান ও মর্যাদার কারণে যেমন কাউকে সচ্ছলতা প্রদান করা হয় না, আবার হীন ও তুচ্ছতার কারণে কাউকে অভাব দেয়া হয় না। সচ্ছলতা কখনো অবকাশ ও সুযোগ হিসেবে প্রদান করা হয়, অস্বচ্ছলতা কখনো মর্যাদা বৃদ্ধি ও পরীক্ষামূলক দেয়া হয়।
ইমাম তাবারি বলেছেন : ‘দাম্ভিক কাফেররা আল্লাহর নবী ও রাসূলদের বলেছে : তোমাদের তুলনায় আমাদের সম্পদ ও সন্তান অধিক, আমাদেরকে আখেরাতে আযাব দেয়া হবে না, কারণ আল্লাহ যদি আমাদের বর্তমান ধর্ম ও আমলের উপর সন্তুষ্ট না হতেন, তাহলে আমাদেরকে তিনি অধিক সম্পদ ও সন্তান দান করতেন না, রিযকের ব্যাপারে স্বচ্ছলতা দিতেন না, তাই আল্লাহ আমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা এ জন্যই দিয়েছেন যে, তিনি আমাদের আমলের উপর সন্তুষ্ট, আমরা তার প্রিয় পাত্র। আল্লাহ তাআলা তার নবীকে বলেন : হে মুহাম্মদ তাদেরকে বল : নিশ্চয় আমার রব তার বান্দাদের থেকে যার জন্য ইচ্ছা রিযক বৃদ্ধি করেন, আর যার উপর ইচ্ছা তিনি সংকীর্ণ করেন। মহব্বত, কল্যাণ কিংবা নৈকট্যের কারণে কাউকে তিনি ধন দৌলত প্রদান করেন না, আবার অসন্তুষ্টি ও গোস্বার কারণে তিনি কারো উপর সংকীর্ণতা করেন না। শুধু পরীক্ষার জন্য কাউকে প্রদান করেন, করো থেকে ছিনিয়ে নেন। অধিকাংশ লোক তা জানে না। এটা আল্লাহর একটা পরীক্ষা মাত্র, কিন্তু তাদের ধারণা, প্রিয়পাত্র হলে তিনি সচ্ছলতা দেন, আবার গোস্বার পাত্র হলে তিনি অভাবে পতিত করেন।’
আল্লামা শাওকানি বলেছেন : ‘আল্লাহ যাকে অভাব দিতে চান, তার উপর তিনি অভাব সৃষ্টি করেন। কখনো আল্লাহ কাফের ও অবাধ্যকে রিযক প্রদান করে অবকাশ দেন, আবার কখনো তিনি মুমিন ও আনুগত্যকারীকে অভাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করেন, যেন তার সাওয়াব বৃদ্ধি পায়। কাউকে স্বচ্ছলতা দেয়ার অর্থ এই নয় যে, আল্লাহ তার উপর ও তার আমলের প্রতি সন্তুষ্ট। আবার কাউকে অভাবে রাখার অর্থ এই নয় যে, আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট, কিংবা তার আমল পরিত্যাজ্য। পার্থিব এসব বিষয় দ্বারা আখেরাতকে বুঝা ভুল ও স্পষ্ট বিভ্রান্তি’।
সহিহ মুসলিমে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
” إنَّ اللّهَ لاَ يَنْظُرُ إلى صُوَرِكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ ، ولكن يَنْظُرُ إلى قُلُوبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ ” انتهى .
‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের চেহারা ও সম্পদের দিকে তাকান না, কিন্তু তিনি তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে তাকান।’
অভিজ্ঞতার আলোকে প্রমাণিত যে, প্রয়োজনের চেয়ে অধিক সম্পদ দ্বারা খুব কম লোকই সুখী হয়েছে, তবে আল্লাহ যাকে হিফাজত সুরক্ষা দিয়েছেন তার কথা ভিন্ন।
আল্লাহ তাআলা বলেন : ‘আর আল্লাহ যদি তার বান্দাদের জন্য রিয্ক প্রশস্ত করে দিতেন, তাহলে তারা জমিনে অবশ্যই বিদ্রোহ করত।’ সূরা শুরা : (২৭)
সহিহ বুখারী ও অন্যান্য কিতাবে আবুযর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ‘অধিক সম্পদের মালিকরা কিয়ামতের দিন অল্প সম্বলের মালিক হবে, তবে যে তার সম্পদ দ্বারা … করে ।’
হাদিস বর্ণনাকারী ইবনে শিহাব সামনে, বামে ও ডানে হাত নেড়ে এর অর্থ বর্ণনা করেন। অর্থাৎ অধিক সদকাকারী। কিন্তু এদের সংখ্যা খুব কম। ইবনে মুবারক তার ‘রাকায়েক’ কিতাবে বর্ণনা করেন : ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ‘শয়তান বলেছে : ধনীরা আমার তিনটি প্রতারণার একটিতে অবশ্যই পড়বে : আমি তার সামনে সম্পদ সুসজ্জিত করে রাখব, ফলে সে তার হক আদায় করবে না। অথবা আমি তার জন্য অপচয় ও অযথা খরচ করার রাস্তা উন্মুক্ত করে দেব। অথবা আমি তার কাছে সম্পদ প্রিয় করে দেব, ফলে সে তা অবৈধ পথেও উপার্জন করবে।’
ধন্যবাদ।
৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত যে নফল এবাদত নিয়ে দলাদলি করার কোন মানে হয় না। এতে লাভবান হয় ভিন্নধর্মী লোক ও মুনাফেকেরা।
আজকে জুম্মার খুৎবার সময় ইমাম সাহেব মুলত আপনার মত করেই বলছিলেন। ইমাম শায়েখ নাসিরুদ্দিন আলবানি কর্তৃক সহি বলে চিহ্নিত করা হাদিসের কথাও বলেছিলেন আহলে হাদিস ভাইদের উদ্দেশ্যে।
এই মূল্যবান রাত থেকে আমাদের লাভবান হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
১৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া। শুভকামনা।
৮| ১৮ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নতুন সাহেব আল্লাহ তাদেরকেই
বেশী কষ্টে রাখে যারা তার ইবাদত
করে। কারন তাদের জন্য পুরস্কার
আছে পরকালে। বিল,মার্ক,বেজাসের
ভাগ্যে দুনিয়াতে বেশী লেখেন কারন
পরকালে তাদের জন্য কিছুই নাই।
১৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা।
৯| ১৮ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:২০
নতুন বলেছেন: কথা হলো, যে সময়টি, যে রাতটি এতই ফযীলতপূর্ণ যে সে রাতে স্বয়ং আল্লাহ তাআ'লা পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং আপন বান্দাদেরকে ক্ষমা করার জন্য, তাদের অভাব পূরণ করার জন্য, কষ্ট লাঘব করে দেয়ার জন্য রাতভর তাদেরকে আহবান করতে থাকেন,
গত ২০-৩০ বছরের বাংলাদেশের মুসলমানেরা যারা সারারাত নামাজ পড়েছে তাদের ভাগ্য তেমন পরিবর্তন হয় নাই। আফগান, ইরাক, ফিলিস্তিন, ইয়ামেনের মানুষের ভাগ্যে আরো কস্ট লিখেছেন। কিন্তু রাতে ঘুমিয়ে থেকেও বিল,মার্ক,বেজাস বিলিওন ডলারে সৃস্টিকতা দিয়ে দিয়েছেন!!!
আপনি যদি আরো ১০০ বছর পেছনে তাকান তবে এটাই দেখবেন.... তবে কি সৃস্টিকতার দেবার পথ আলাদা? না কি আপনারা যেই দাবি করছেন সেটা ঠিক না। কারন আপনাদের দাবির সাথে গত ১০০ বা ৫০০ বছরের ইতিহাস মেলে না।
১৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
এটির জন্যও আপনার পূর্বোক্ত মন্তব্যের উত্তর দ্রষ্টব্য।
১০| ১৮ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৪৪
নিমো বলেছেন: @ নুরূ কাকু, তাহলে আর সয়াবিন নিয়ে ব্লগকে তৈলাক্ত করার দরকার কি? টিসিবির লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে হাহাকার!দেশকে উগান্ডা বলার নষ্টামি!পরকালের পুরস্কারতো আছেই। অযথা কেন ব্লগের পাতা ভরা।
১৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
১১| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৫১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নিমো ভাইস্তা
পরকালে আপনিও যাতে ভাল থাকেন
সেই জন্য এই নসিহত। আসুন সঠিক পথে।
১৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরান।
১২| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: শবে বরাত আমার কাছে ভালো লাগে। আমাদের বাসায় অনেক কিছু রান্না হয়।
১৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি বলেছেন যে, শবে বারাআত আপনার কাছে ভালো লাগে, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে বিষয়টি আপনি আলতোভাবে প্রকাশ করেছেন। আমার ধারণা, শবে বারাআত আপনার কাছে মারাত্মকরকম ভালো লাগে।
আচ্ছা, যা হোক, এ বছর কি কি আইটেম তৈরি হয়েছিল আপনার বাসায়? দাওয়াত দিলে তো আমরাও ঢু মেরে আসতে পারতাম।
১৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: নানান রকম হালুয়া করা হয়েছে। পাউরুটি বাসায় বানানো হয়েছে। আমি অনুরোধ করেছিলাম বাসায় ঝামেলা করার দরকার নেই। দোকান থেকে কিনে আনলেই হবে। বাসার লোকজন আমার কথা শুনে না।
গরুর মাংস করা হয়েছে। চালের আটা দিয়ে রুটি। হাঁসের মাংস ছিলো।
শবে বরাতের খাবার নিয়ে একটা পশোহট দিব। ছবি ব্লগ।
যদি আমি দেড় মাস ধরে জেনারেল হয়ে আছি। কিন্তু আমি নিয়মিত পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছি। আমার লেখা প্রথম পাতায় আসছে না। না আসুক। লিখে আমি নিজে শান্তি পাচ্ছি।
১৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: এযুগের শবে বরাতে আনন্দ নাই। ছোটবেলায় দারুন আনন্দ করতাম।
গত কালের একটা ঘটন আপনাকে বলি-
সন্ধ্যা ৭ টা। খিলগার দিকে এক চায়ের দোকানে চা খাচ্ছি। সাথে আমার এক বন্ধুও ছিলো। হঠাত অল্প বয়সী কিছু ছেলে দৌড়ে এলো। ছেলে গুলোর বয়স ১৩/১৫ হবে। কিশোর বলা যেতে পারে। ছেলে গুলো দুইজন ছেলেকে মারছে। খুব মারছে। একজনের হাতে আবার চায়নিজ কুড়াল। যে দুজ ছেলে মার খাচ্ছে ওদের বিষয়ও ১৩/১৫ বেশী হবে না।
ছোট ছোট বাচ্চাপুলাপান অথচ কি হিংস্র। বিষয়টা দেখে খুব খারাপ লেগেছে। এই ঘটনা নিজের চোখে দেখে শবে বরাতের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে। বারবার চোখে ঐ ছেলেদের হিংস্রতা আমাকে যন্ত্রনা দিয়েছে।
১৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৪১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বারায়াত আছে কি নাই এটা তো বড় কথা না। আছে মনে করে মানুষ খুব ভালো ভাবে ইবাদাত করলে সমালোচক দের সমস্যা কোথায়?
১৬| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গোফরানভাই, আল্লাহ ওদের দিল পাথর
কিরে দিয়েছেন। তাই অরা আল্লাহর পথে
আসবেনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রি বেলায় নফল সালাত আদায় করতেন, প্রতি মাসে বিশেষ কয়েক দিনে রোজা রাখতেন। কিন্তু এটা বড়ই আফসোসের বিষয় যে এই মহা গুরুত্বপূর্ণ দিনে নিয়ে তিনি কিছুই করে দেখিয়ে যান নাই। এমনকি তাঁর সাহাবীদের ভাগ্যেও এই মহান দিবস জুটে নাই।
আচ্ছা, আল্লাহ যে প্রতি রাত্রে প্রথম হাদিসে বর্ণনা করা ঘোষণা গুলি করেন, এটা কি জানেন?