নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
ইসলামে নবজাতকের চুল কর্তন এবং আকীকা করার বিধান
প্রাককথনঃ
আলহামদুলিল্লাহ। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার জন্য, যিনি আমাদের জন্য দ্বীন ইসলামকে সহজ করেছেন এবং জীবন চলার গাইডলাইন হিসেবে ইহাকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। অসংখ্য অগণিত দরূদ এবং সালাম প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপরে। তাঁর পবিত্র বংশধর, পরিবার-পরিজন, ও সম্মানিত সঙ্গী-সাথী সাহাবায়ে কেরাম এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর সকল অনুসারী-অনুগামীদের প্রতি। শান্তির অবিরাম ধারা নিরন্তর বর্ষিত হোক তাদের সকলের উপর।
ইসলাম একটি শান্তিময় জীবন বিধান। প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইনতিকালের পূর্বেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই দ্বীনকে বিশ্ববাসীর জন্য পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। একজন মানুষের জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলাম সুন্দর এবং শ্রেষ্ঠতম যত বিধি-বিধান প্রয়োজন, সেগুলোর সবই প্রদান করেছে। একজন নবজাতক, একটি সদ্য ভূমিষ্ট শিশু পৃথিবীর আলো বাতাসের সংস্পর্শে আসার পরে সন্তানের পিতা-মাতা বা তার অভিভাবকের উপর আকীকার বিধান ইসলামের সৌন্দর্যময় বিধানসমূহের মধ্য হতে অন্যতম একটি বিধান। আমরা অত্র নিবন্ধে ইসলামে নবজাতকের চুল কর্তন এবং আকীকা করার বিধান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করার প্রয়াস পাব, ইনশা-আল্লাহ।
ইসলামে নবজাতকের চুল কর্তনের বিধানঃ
সন্তান জন্মগ্রহণের সপ্তম দিনে মাথা মুণ্ডন করা ও চুলের ওজন পরিমাণ রুপা সদকা করা সুন্নাত। হযরত আনাস ইবনে মালিক রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইন রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুমা এর জন্মের সপ্তম দিনে তাদের চুল কাটার নির্দেশ দেন এবং চুলের ওজন পরিমাণ রৌপ্য সদকা করেন।
ছেলে কিংবা মেয়ে যা-ই হোক জন্মের সপ্তম দিনে চুল কাটা সুন্নাত। সাহাবি সামুরা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলেন, প্রত্যেক সন্তান তার আকিকার বিনিময়ে বন্ধক হিসেবে রক্ষিত। অতএব, সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে আকিকা কর, তার চুল কাটো ও তার নাম রাখ। -আহমদ, তিরমিজি-সহিহ সূত্রে
নবজাতকের চুলের ওজন পরিমাণ রৌপ্য সদকা করা সুন্নত
আলী রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ছাগল দিয়ে হাসানের আকীকা দিলেন এবং বললেন, ‘হে ফাতিমা, এর মাথার চুল ফেলে দাও এবং তার চুলের ওজনে রুপা সদকা করো। তিনি বলেন, অতঃপর ফাতিমা তা পরিমাপ করলেন, এর ওজন হলো এক দিরহাম বা এক দিরহামের কিছু পরিমাণ।’ -তিরমিযী : ১৬০২; হাকেম, মুস্তাদরাক : ৭৫৮৯
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাযা‘ থেকে বারণ করেছেন। তিনি বলেন, নাফে‘কে আমি জিজ্ঞেস করলাম, কাযা‘ কী? তিনি বললেন, বাচ্চার মাথার কিছু অংশ মুণ্ডানো আর কিছু অমুণ্ডিত রাখা’। -মুসলিম : ৩৯৫৯; বুখারী : ৫৪৬৫; ইবন মাজা : ৩৬২৭; আহমদ : ৪৯২৮
উদ্দেশ্য, মুন্ডন করতে হবে পুরো মাথাজুড়ে। কারণ, মাথার কিছু অংশ মুন্ডন করা আর কিছু না করা ইসলামী ব্যক্তিত্বের পরিপন্থী, যার মাধ্যমে একজন মুসলিম অন্য জাতি-গোষ্ঠী থেকে এবং বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে স্বাতন্ত্র্যের অধিকারী হয়। এই কাযা‘র মাধ্যমে মূলতঃ অন্যান্য জাতির কাজ ও আদর্শের সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বন করা হয়। আর তাদের সাদৃশ্য ধারণ জায়িয নয়।
হুমাইদ বিন আব্দুর রহমান বিন আউফ থেকে বর্ণিত, মুয়াবিয়া বিন সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু যে বছর হজ করেন, তিনি মিম্বরে বসলেন, আমার ভৃত্যের হাতে থাকা চুল থেকে একগুচ্ছ চুল নিলেন এবং বললেন, হে মদীনাবাসী, কোথায় তোমাদের আলিমগণ? (তিনি কি তোমাদের বারণ করেন নি?) আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমন করা থেকে নিষেধ করতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, ‘বনী ইসরাঈল ধ্বংস হয়েছিল যখন তাদের নারীরা এটাকে (কাযা) ধারণ করেছিল।’ -মুসলিম : ৫৭০০; বুখারী : ৩৪৬৮; আবূ দাউদ : ৪১৬৯
(এ থেকে বুঝা যায়, মাথার চুল কিছু মুণ্ডানো আর কিছু রেখে দেওয়া তাদের শরীয়তে হারাম ছিল।
ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি শিশুকে দেখলেন তার (মাথার) কিছু চুল নেড়ে করা হয়েছে আর কিছু অবশিষ্ট রাখা হয়েছে। তাকে দেখে তিনি এ থেকে বারণ করলেন এবং বললেন, তোমরা (মাথা) পুরোটাই মুণ্ডাও অথবা পুরোটাই অমুণ্ডিত রাখো।’ -মুসনাদ আহমদ : ৫৬১৫; আব্দুর রাযযাক, মুসান্নাফ : ১৯৫৬৪১
ইসলামের বিধান কত সুন্দর! জন্মের পর সন্তানের মাথার চুল ফেলে দেয়াটা বাচ্চার জন্য অনেক ধরনের রোগ থেকে হেফাজত করে থাকে।
আকীকার অর্থঃ
ইসলামের পরিভাষায় সন্তান জন্ম গ্রহণ করার পর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার শুকরিয়া আদায় ও আনন্দের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যে পশু জবাই করা হয়, তাকে আকীকা বলা হয়।
আকীকার হুকুমঃ
অধিকাংশ আলেমের মতে সন্তানের আকীকা করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
(من أحب منكم أن ينسك عن ولده فليفعل)
“যে ব্যক্তি তার সন্তানের আকীকা করতে চায়, সে যেন উহা পালন করে”। -আহমাদ ও আবু দাউদ
প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেনঃ
(كل غلام رهينة بعقيقته)
প্রতিটি সন্তানই আকীকার বিনিময়ে আটক থাকে”। -আহমাদ, তিরমিজী ও অন্যান্য সুনান গ্রন্থ
আকীকার বিনিময়ে সন্তান আটক থাকার ব্যাপারে আলেমগণের কয়েক ধরণের বক্তব্য রয়েছে। এ ব্যাপারে ইমাম আহমাদ বিন হান্বালের কথাটি সবচেয়ে সুন্দর ও বিশুদ্ধ। তিনি বলেন, কথাটি শাফাআতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অর্থাৎ, আকীকা দেওয়া হয়নি, এমন শিশু সন্তান যদি মৃত্যুবরণ করে, কিয়ামতের দিনে সে শিশুর শাফাআত থেকে পিতা-মাতা বঞ্চিত হবে। আর হাদীসে একথা প্রমাণিত আছে যে, মুসলমানদের যে সমস্ত শিশু বাচ্চা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করবে, তারা তাদের মুসলিম পিতা-মাতার জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবে। উপরের আলোচনা থেকে প্রমাণিত হলো যে, সন্তানের আকীকা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। ওয়াজিব বা ফরজ নয়।
আকীকা করার সময়ঃ
আকীকার জন্য উত্তম সময় হলো সন্তান ভুমিষ্ঠ হওয়ার সপ্তম দিবস। সপ্তম দিনে আকীকা দিতে না পারলে ১৪ তম দিনে, তা করতে না পারলে ২১ তম দিনে আকীকা প্রদান করবে। সপ্তম দিনে আকীকা করার সাথে সাথে সন্তানের সুন্দর নাম রাখা, মাথার চুল কামানো এবং চুল এর সমপরিমাণ ওজনের রৌপ্য ছাদকাহ করাও মুস্তাহাব। -তিরমিজী
বিনা কারণে আকীকা দেওয়াতে বিলম্ব করা সুন্নাতের বিরোধিতা করার অন্তর্ভুক্ত। দারিদ্র বা অন্য কোন কারণে যদি উল্লেখিত দিনগুলোতে আকীকা করতে অক্ষম হয়, তবে সন্তান ছোট থাকাবস্থায় যখনই অভাব দূর হবে, তখনই আকীকা করতে হবে। অভাবের কারণে যদি কোন লোক তার শিশু ছেলে-মেয়েদের আকীকা করতে না পারে, তাহলে সন্তান বড় হওয়ার পর যদি তার আর্থিক অবস্থা ভাল হয়, তখন আকীকা করলেও সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে এবং পিতা- মাতা সাওয়াব পাবে, ইনশাআল্লাহ। এমনকি কারও পিতা-মাতা যদি আকীকা না করে, সে ব্যক্তি বড় হয়ে নিজের আকীকা নিজে করলেও সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে। আনাছ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত,
(أن النبي صلى الله عليه وسلم عق نفسه بعد البعثة)
“প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবুওয়াত পাওয়ার পর নিজের আকীকা নিজে করেছেন”। -বায়হাকী
এ হাদীস থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর নিজের আকীকা নিজে দেওয়া বৈধ হওয়ার উপর সুস্পষ্ট দলীল পাওয়া যায়।
কোন ধরণের পশু দিয়ে আকীকা করতে হবে? সংখ্যা কয়টি?
আকীকার ক্ষেত্রে সুন্নাত হলো, ছেলে সন্তান হলে দু‘টি দুম্বা বা ছাগল আর মেয়ে সন্তান হলে একটি দুম্বা বা ছাগল দিয়ে আকীকা করা। কেননা প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
(عن الغلام شاتان مكافئتان وعن الجارية شاة)
“ছেলে সন্তানের পক্ষ থেকে দু‘টি সমবয়সের ছাগল এবং মেয়ে সন্তানের পক্ষ থেকে একটি ছাগল দিয়ে আকীকা দিতে হবে। -আহমাদ ও তিরমিজী
যে ধরণের ও বয়সের ছাগল বা দুম্বা কুরবানীর ক্ষেত্রে বৈধ, তা দিয়েই আকীকা করতে হবে। অর্থাৎ, কুরবানীর পশু যে সমস্ত দোষ-ত্রুটি হতে মুক্ত হওয়া শর্ত, আকীকার ছাগল-খাসী বা দুম্বাও সে সমস্ত দোষ-ত্রুটি হতে মুক্ত হতে হবে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে যদি ছেলে সন্তানের পক্ষ থেকে দু‘টি ছাগল দিয়ে আকীকা দিতে না পারে, তবে একটি দিয়ে আকীকা দিলেও চলবে। কেননা প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে ছেলে সন্তানের পক্ষ থেকে একটি করে দুম্বা দিয়ে আকীকা করার কথাও প্রমাণিত আছে। ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত,
(أن رسول الله صلى الله عليه وسلم عق عن الحسن والحسين كبشا كبشا)
প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাসান এবং হুসাইসের পক্ষ হতে একটি করে দুম্বা আকীকা করেছেন। -আবু দাউদ
তবে সামর্থবান ব্যক্তির পক্ষে একটি ছাগল দিয়ে ছেলে সন্তানের আকীকা করা উচিৎ নয়। মোট কথা, ছেলে সন্তানের আকীকার জন্য দু‘টি ছাগল বা দুম্বা হওয়া জরুরী নয়; বরং মুস্তাহাব।
আকীকার পশুর গোশতের বিধানঃ
আকীকার গোশত কুরবানীর গোশতের মতই। তা নিজে খাবে, আত্মীয় স্বজনকে খাওয়াবে এবং গরীব-মিসকীনকে ছাদকা করবে। তবে যেমনভাবে কুরবানীর গোশত তিন ভাগ করে একভাগ নিজে খাওয়া, একভাগ ছাদকা করা এবং এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনকে হাদীয়া হিসাবে দান করা জরুরী নয়, ঠিক তেমনিভাবে আকীকার গোশতও উক্ত নিয়মে তিন ভাগ করা জরুরী নয়। আকীকার গোশত যদি সম্পূর্ণটাই রান্না করে এবং আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব এবং অন্যান্য মুসলমানদেরকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ায় তাতেও যথেষ্ট হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যে, কোনক্রমেই যাতে হাদিয়া ও উপহারের আশায় শুধুমাত্র ধনী ও সম্মানী লোকদেরকে দাওয়াত দিয়ে দরিদ্র ও অভাবী ব্যক্তিদেরকে প্রত্যাখ্যান না করা হয়, যা আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে হয়ে থাকে। তবে সন্তানের জন্ম তারিখে কিছু মানুষ যে অনুষ্ঠান করে থাকে বা প্রতি বছর সন্তানের জন্ম দিবস পালন করে থাকে এবং এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান করে থাকে, তা সম্পূর্ণ বিদআত। এ সম্পর্কে ইসলামী শরীয়তে কোন দলীল নেই। প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
(من أحدث فى أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد)
যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের মাঝে এমন বিষয় তৈরী করল, যা আমাদের দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখাত”। -বুখারী
শুধু বিদআতই নয় বরং তা অমুসলিম ইহুদী-খৃষ্টানদের অনুসরণও বটে। প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
(من تشبه بقوم فهو منهم)
“যে ব্যক্তি কোন জাতির অনুস্মরন করবে, সে উক্ত জাতির অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে। -আবু দাউদ
[sbপ্রসঙ্গতঃ জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালনে ইসলামের বিধানঃ
ইসলামে কারো জন্মদিসবস, মৃত্যু দিবস ইত্যাদি পালন করা শরিয়ত সম্মত নয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ধর্মের নামে এগুলো চালু করা হলেও এসব আনুষ্ঠানিকতা পালনে ইসলামের কোন অনুমোদন কিংবা সমর্থন কোনটাই নেই। আমাদের সমাজে পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, সন্তান-সন্ততি, নেতা-নেত্রীর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী নানান প্রকারের আনুষ্ঠানিকতাসহ অত্যন্ত জমজমাটভাবে পালন করা হয়ে থাকে। সেসবে অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে বিশাল খাবার-দাবারের আয়োজনও করা হয়ে থাকে। কিন্তু নিতান্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আমরা ক'জনই বা জানি বা জানার চেষ্টা করি যে, জন্মবার্ষিকীর নামে আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা, কেক কেটে বার্থ ডে উদযাপন করা অথবা, মৃত্যুবার্ষিকীর নামে বিশেষ রীতিতে পুষ্পস্তবক ইত্যাদির ব্যবহারে শোক পালন করা, ইত্যাদি সবই ইসলামি চেতনা ও বিশ্বাস পরিপন্থী।
জন্ম দিবস বা মৃত্যু দিবস কেন্দ্রিক আচার অনুষ্ঠান খৃষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও অন্যান্য অমুসলিমদের ধর্মীয় রীতি। তাই এগুলো মুসলিমদের জন্য সন্দেহাতীতভাবে পরিত্যাজ্য। বিধর্মীদের ধর্মীয় রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান আপাতঃদৃষ্টিতে যত ভালোই মনে হোক না কেন, কখনো তা মুসলিমদের জন্য গ্রহণ করা জায়েয নয়। কারণ, পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- “যে ব্যক্তি কোন জাতির সাদৃশ্যতা গ্রহণ করবে সে তাদের অনর্ভূক্ত বলে গণ্য হবে।”
বস্তুতঃ প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবদ্দশায় ওয়াহী দিবস, কুরআন নাযিল দিবস, পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম (আঃ) এর জন্ম বা মৃত্যু দিবস, মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম (আঃ) এর জন্ম বা মৃত্যু দিবস বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এভাবে কোন নবীর স্মরণে বা কোন সাহাবার শাহাদাত দিবস অথবা কোন জিহাদের দিবস পালন করেননি এবং পালন করার জন্য কোনো নির্দেশও প্রদান করেননি। তিনি বরং বলে গেছেন, আমার পরে আমার শরীআ’তের মধ্যে যেসকল নতুন কাজকর্ম আবিষ্কার হবে, আমি তা হতে সম্পর্কহীন এবং ঐসকল কাজকর্ম মারদূদ তথা, পরিত্যাজ্য ও ভ্রষ্ট। -বুখারী, মুসলিম, মিশকাত
অতএব, কোন জীবিত ও মৃত ব্যক্তির জন্মবার্ষিকী বা মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে বিদ’আত তথা মনগড়া কাজ। আর ইতিহাসের আলোকে বিবেচনা করলে এগুলো ইয়াহুদী, খৃষ্টান ও অগ্নিপুজকদের অন্ধ অনুসরণ তথা ইসলামবিরোধীদের কাজ। সঙ্গত কারণে এসব জন্ম-মৃত্যু বার্ষিকী পালন করার যেহেতু কোন প্রকার বৈধতা ইসলামে নেই, সুতরাং এগুলো থেকে অবশ্যই প্রত্যেক মুসলিমকে অবশ্যই বিরত থাকা জরুরি।
আকীকার ক্ষেত্রে কিছু ভ্রান্ত বিশ্বাসঃ
কিছু লোক বিশ্বাস করে যে, সন্তানের পিতা-মাতা এবং যে সন্তানের আকীকা দেওয়া হলো, সে সন্তান আকীকার গোশত খেতে পারবে না। এটি একটি ভ্রান্ত বিশ্বাস। এ মর্মে কোন দলীল-প্রমান নেই। পূর্বেই বলা হয়েছে, আকীকার গোশত কুরবানীর গোশতের মতই। পরিবারেই সবাই খেতে পারবে।
আকীকা দিতে অক্ষম হলেঃ
পূর্বেই বলা হয়েছে, দারিদ্রতার কারণে আকীকা দিতে অক্ষম হলে, আর্থিক অবস্থার উন্নতি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। যখনই সামর্থবান হবে, তখনই আকীকা করবে। আর যদি আর্থিক অবস্থার উন্নতি না হয় এবং আকীকা দিতে না পারে, তাহলে কোন গুনাহ হবে না। আল্লাহ তা‘য়ালা বলেনঃ
لايكلف الله نفسا إلاوسعها
“আল্লাহ তা‘য়ালা কারও উপর সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেননা। -সূরা বাকারা-২৮৬
আল্লাহ তা‘য়ালা আরও বলেনঃ
(وما جعل عليكم فى الدين من حرج)
“আল্লাহ তা‘য়ালা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন কঠিন বিষয় চাপিয়ে দেননি। -সূরা হজ্জঃ৭৮
আল্লাহ তাআলা আরও বলেনঃ
(فاتقوا الله ما استطعتم)
”তোমরা আল্লাহকে ভয় কর তোমাদের সাধ্য অনুযায়ী”। -সূরা তাগাবুন-১৬
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
إذاأمرتكم بأمر فأتوا منه ما استطعتم وإذا نهيتكم عن شيئ فاجتنبوه
“যখন আমি তোমাদেরকে কোন কাজের আদেশ দেই, তখন সাধ্যানুযায়ী তোমরা তা পালন কর। আর যখন কোন কাজ হতে নিষেধ করি, তখন তা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাক”।
উপরোক্ত দলীলগুলোর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, আকীকাসহ যে কোন আমলই হোক না কেন, অক্ষমতার কারণে পালন করতে না পারলে কোন গুনাহ হবে না। কিন্তু নিষিদ্ধ বিষয়ের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্নরূপ। সব ধরণের নিষেধ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে। কারণ, নিষেধ থেকে বিরত থাকতে কোন কষ্ট হয় না বা আর্থিক সচ্ছলতারও প্রয়োজন পড়ে না।
আকিকার কিছু উপকারিতাঃ
(ক) এতে আছে সন্তানের মুক্তি এবং তার বিনিময় প্রদান। যেমন আল্লাহ তা‘আলা ইসমাঈল আ.কে যবেহের বিনিময়ে ভেড়া কুরবানী দিয়ে দেন। নবী সা আমাদের জানিয়ে দেন যে, নবজাতকের জন্য যা-ই যবেহ করা হবে তা হতে হবে কুরবানী ও হজের হাদীর মতো ইবাদত হিসেবে। তিনি বলেন,
‘যে তার সন্তানের জন্য কোনো কুরবানী দিতে চায়, তবে যেন পুত্র হলে দুটি সমবয়সী ছাগল এবং কন্যা হলে একটি ছাগল গিয়ে ইবাদত (তথা আকীকা) করে।’ -নাসায়ী : ৪২২৯; শরহু মা‘আনিল আছার : ১০১৫
অর্থাৎ তিনি এটাকে কুরবানী হিসেবে করতে বললেন, আল্লাহ তা‘আলা যেটাকে ইসমাঈল আলাইহিস সালামের জন্য কুরবানী ও বিনিময় হিসেবে দিয়েছিলেন। আর আল্লাহ তা‘আলার পক্ষে অসম্ভব নয় যে তিনি সন্তানের জন্য, তার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও দীর্ঘায়ু জন্য এ বিধান দিয়েছেন। যাতে ওই যবেহকৃত পশুর প্রতিটি অঙ্গ এ শিশুর বিনিময় হয়।
খ) সন্তান দেয়ার জন্য আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া জ্ঞাপন করা। কেননা, সন্তানই অন্যতম সেরা নেয়ামত। আর এ সন্তান হলো পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
‘সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দুনিয়ার জীবনের শোভা…।’ -সূরা আল-কাহফ: ৪৬
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে এ প্রকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন যে সে সন্তান ভূমিষ্ট হলে আনন্দিত হয়। তাই মানুষের কাছে তার স্রষ্টা ও দাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশই কাম্য।
গ) এ কথার সংবাদ ও ঘোষণা দেয়া যে এ ব্যক্তি সন্তানের পিতা হয়েছে এবং সন্তানের নাম অমুক রেখেছে। ফলে তার পরিজন, প্রতিবেশি ও বন্ধ-বান্ধব এ সংবাদ জানবে এবং তাকে মোকারকবাদ দিতে আকীকায় উপস্থিত হবে। এতে করে মুসলিম ভাইদের মাঝে সৌহার্দ্য ও ভালোবাসার বন্ধন সুদৃঢ় হবে।
ঘ) এতে ইসলামের সামাজিক দায়িত্বগুলোর একটি প্রকারের চর্চা হয়। কেননা, যিনি তার সন্তানের জন্য আকীকা হিসেবে পশু জবাই করেন এবং তা বন্ধ-বান্ধব, প্রতিবেশি ও গরীব-মিসকীনদের জন্য পাঠিয়ে দেন বা তাদের দাওয়াত করেন। আর এটি গরীবদের অভাব মোচন ও দারিদ্র হ্রাসে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখে।
শেষের কথাঃ
আলোচনান্তে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সন্তানের জন্য আকীকা করা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত আমল, নিজের আনন্দ ও খুশির বহিঃপ্রকাশের পাশাপাশি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার শুকরিয়া জ্ঞাপন এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে উত্তম একটি ইবাদতও এটি। তাই সামর্থ্যবান ব্যক্তিমাত্রেরই এটি নিয়ে অবহেলা করার সুযোগ নেই। প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে গুরুত্বের সাথে নিজে এই আমলটি করেছেন এবং করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, আমাদেরও উচিত আকীকার আমলটি সেভাবেই গুরুত্বের সাথে পরিপালন করা। পরিশেষে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার দরবারে কায়োমনোবাক্যে সিজদাবনত প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদেরকে এই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাতটি যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক প্রদান করেন।
১৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ে আপনার নলেজ সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার এসব দেখে অনেক সময়ই এই চিন্তাটা এসে যায় যে, আপনি ইসলাম ধর্মের কতকিছু নিয়েই না স্টাডি করেছেন! আপনার স্টাডির উদ্দেশ্যটা হয়তো ছিল নেতিবাচকতার অনুসন্ধান। তারপরেও আপনাকে পড়তে তো হয়েছে।
শিরোনামেই তো পোস্ট এর ভেতরকার বিষয়ে ধারণা নেয়া যায়। তাই না? এই পোস্টে আলোচনার বিষয়ই তো নবজাতকের আকীকা এবং চুলকর্তন। এখানে তাহনিকের উল্লেখ করার প্রয়োজন কেন দেখা দিল আপনার কাছে, তা বোধগম্য নই।
আকীকা এবং চুলকর্তনের মধ্যে কোন ইস্যু খুঁজে না পাওয়ার কারণে তাহনিকের খোঁজ পড়েছে সম্ভবতঃ!
যাক, তবু ধন্যবাদ।
২| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:২৮
নতুন বলেছেন: ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ে আপনার নলেজ সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার এসব দেখে অনেক সময়ই এই চিন্তাটা এসে যায় যে, আপনি ইসলাম ধর্মের কতকিছু নিয়েই না স্টাডি করেছেন! আপনার স্টাডির উদ্দেশ্যটা হয়তো ছিল নেতিবাচকতার অনুসন্ধান। তারপরেও আপনাকে পড়তে তো হয়েছে। শিরোনামেই তো পোস্ট এর ভেতরকার বিষয়ে ধারণা নেয়া যায়। তাই না? এই পোস্টে আলোচনার বিষয়ই তো নবজাতকের আকীকা এবং চুলকর্তন। এখানে তাহনিকের উল্লেখ করার প্রয়োজন কেন দেখা দিল আপনার কাছে, তা বোধগম্য নই। আকীকা এবং চুলকর্তনের মধ্যে কোন ইস্যু খুঁজে না পাওয়ার কারণে তাহনিকের খোঁজ পড়েছে সম্ভবতঃ!
যাক, তবু ধন্যবাদ।
আমি ইসলাম, খৃস্টান, বৌধ র্ধম নিয়ে স্টাডি করেছি, জানার জন্য এবং কিছু ব্লগের পোস্ট পড়ে, জবাব দেবার জন্য।
তাহনিকের খোজ পড়েছে এই জন্য যে অনেকে ধর্মকে ১০০% সহি এবং মানুষের জীবনের সমাধান মনে করে। আপনিও এই পোস্টের শুরুতে তেমনটাই বলেছেন কিন্তু এই বির্তকিত সুন্নতটি বাদ দিয়েছেন তাই মনে করিয়ে দিলাম আরকি।
১৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
আমি ইসলাম, খৃস্টান, বৌধ র্ধম নিয়ে স্টাডি করেছি, জানার জন্য
আপনি যেহেতু অন্যান্য ধর্ম সম্মন্ধে জ্ঞান রাখেন, সেহেতু নিরপেক্ষভাবে যদি মূল্যায়ন করে থাকেন তাহলে এ ব্যাপারেও আপনি নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে, তুলনামূলক বিচারে পৃথিবীতে বিদ্যমান ধর্মগুলোর মধ্যে কোন ধর্মটি পরিপালনে অধিক সহজ এবং কোন ধর্মে মানুষের জীবনের সকল প্রয়োজন ও অবস্থার সঠিক দিকনির্দেশনা রয়েছে। বলাবাহুল্য, এসব দিক বিচারে ইসলাম ধর্ম যে পরিপূর্ণ একটি জীবন বিধান তা আমি আপনি বলার পূর্বে পবিত্র কুরআনে প্রায় ১৪০০ বছর আগেই ঘোষিত হয়েছে।
এই বিষয়ে আপনার মূল্যবান পর্যবেক্ষন জানতে পারলে ভালো লাগতো।
শুভকামনা।
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:১০
নাহিদ ২০১৯ বলেছেন: ভাল লিখা।অনেক কিছু জানতে পারলাম
১৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
মোবারকবাদ।
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: শিক্ষণীয় ,প্রিয়তে রাখার মতো পোস্ট
১৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:০৭
কালো যাদুকর বলেছেন: আসসালামুআলাইকুম,
সন্তান জন্মের পরে , ওর কানে আজান শুনাতে হয় ৷ আবার খেজুর খাওয়াতে হয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে খেজুর খাওয়ানো কি সুন্নত?
আপনার তথ্য সমৃদ্ধ লিখাটির জন্য ধন্যবাদ৷
১৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, ওয়া আলাইকুমুস সালাম।
নবজাতককে খেজুর খাওয়ানোর এই বিষয়টিকে বলা হয় 'তাহনিক'। তাহনিক করা মুস্তাহাব। নবজাতকের রোগ ব্যধি ছড়ানোর আশঙ্কায় কারও কারও আপত্তির প্রেক্ষিতে বলে রাখা প্রয়োজন যে, জরুরি বা আবশ্যক কোন আমল এটি নয়। সুতরাং, এই তাহনিকের আমল নিয়ে এত বেশি বিচলিত হবার কারণ নেই। এ বিষয়ে সামান্য আলোকপাত করছি-
ইমাম নববি রহ. বলেন, সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে খেজুর দিয়ে তাহনিক করা সুন্নত (মুস্তাহাব পর্যায়ের)। অর্থাৎ, খেজুর চিবিয়ে নবজাতকের মুখের তালুতে আলতোভাবে মালিশ করা এবং তার মুখ খুলে দেওয়া, যাতে তার পেটে এর কিছু অংশ প্রবেশ করে। তিনি বলেন, কতক আলেম বলেছেন, খেজুর সম্ভব না হলে অন্য কোনো মিষ্টি দ্রব্য দিয়ে তাহনিক করা যেতে পারে। তিনি আরো বলেন, সবার নিকটই তাহনিক করা মুস্তাহাব, আমার জানা মতে এ ব্যাপারে কেউ ভিন্ন মত পোষণ করেন নি। -শরহে মুহাজ্জাব: ৮/৪২৪
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আবূ তালহা ভূমিষ্ঠ হলে আমি তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের নিকট নিয়ে গেলাম। তিনি বলেন, তোমার সঙ্গে কি খেজুর আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর চিবালেন। অতঃপর তা বের করে বাচ্চার মুখে দিলেন। বাচ্চাটি জিব্বা দিয়ে চুসে ও ঠোটে লেগে থাকা অংশ চেটে খেতে লাগল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম এ দৃশ্য দেখে বলেন, দেখ, আনসারদের খেজুর কত প্রিয়! -সহীহ মুসলিম
আবু মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমার এক সন্তানের জন্ম হলে, আমি তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের নিকট নিয়ে গেলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নাম রাখেন ইবরাহিম। অতঃপর খেজুর দিয়ে তাহনিক করেন, তার জন্য বরকতের দো‘আ করেন এবং আমার কাছে ফিরিয়ে দেন। এটা আবু মুসার বড় সন্তানের ঘটনা। -সহীহ বুখারী ও মুসলিম
শুকরান।
৬| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: যেহেতু আমি একটা সমাজে থাকি। তাই মোটামোটি সব ধর্মীয় নিয়ম আমাকে মানতে হয়।
আমার আব্বা মারা গেলো। ধর্মীয় নিয়মে যা যা করতে হয় সবই করেছি।
আমার কন্যা ফারাজার জন্ম হলো। আকিকা দিলাম। একটা মাদ্রাসার ৫০ জন ছাত্রকে খাওয়ালাম। সাত দিন পর তার মাথার চুল ফেললাম। বাসার সবাইকে সেদিন লাড্ডু, ছানা সন্দেশ খাওয়ালাম। সব ছবি তুলে রেখেছি। ভিডিও করে রেখেছি। কন্যা বড় হয়ে দেখবে।
আমার কন্যাকে নিয়ে আমি নিয়মিত একটা লেখা লিখছি সামুতে। গতকাল ৩৩ নম্বর পর্ব টা লিখেছি।
১৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
তাই মোটামোটি সব ধর্মীয় নিয়ম আমাকে মানতে হয়।
-ঐ যে তাহলে পোস্টে পোস্টে ঘুরে আপনাকে কিছু কথা বলে বেড়াতে দেখা যায়, সেটার রহস্য কী? ঐ যে আপনি বলে থাকেন যে, ধর্ম এই যুগে কেউ মানে না, ধর্ম না মেনেই আমি দিব্যি ভালো আছি- এসব কেন বলেন?
৭| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩২
নতুন বলেছেন: আমি ইসলাম, খৃস্টান, বৌধ র্ধম নিয়ে স্টাডি করেছি, জানার জন্য
আপনি যেহেতু অন্যান্য ধর্ম সম্মন্ধে জ্ঞান রাখেন, সেহেতু নিরপেক্ষভাবে যদি মূল্যায়ন করে থাকেন তাহলে এ ব্যাপারেও আপনি নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে, তুলনামূলক বিচারে পৃথিবীতে বিদ্যমান ধর্মগুলোর মধ্যে কোন ধর্মটি পরিপালনে অধিক সহজ এবং কোন ধর্মে মানুষের জীবনের সকল প্রয়োজন ও অবস্থার সঠিক দিকনির্দেশনা রয়েছে। বলাবাহুল্য, এসব দিক বিচারে ইসলাম ধর্ম যে পরিপূর্ণ একটি জীবন বিধান তা আমি আপনি বলার পূর্বে পবিত্র কুরআনে প্রায় ১৪০০ বছর আগেই ঘোষিত হয়েছে।
এই বিষয়ে আপনার মূল্যবান পর্যবেক্ষন জানতে পারলে ভালো লাগতো।
ধর্ম পৃথিবিতে এসেছে অনেক আগে। হিন্দু ধর্ম সম্ভবত সবচেয়ে পুরানো তারপরে ধর্মের অনেক ভার্সান এসেছে। সবচেয়ে শেষে ১৪০০ বছর আগে ইসলাম এবং এতে অনেক কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। নিয়মের দিক থেকে অনেক ভালো নিয়ম ইসলামে আছে।
সকল ধর্মেই সমাজে চলার জন্য ভালো কাজের কথা আছে।
কিন্তু গত ১৪০০ বছরে মানুষের জ্ঞানের পরিধী বেড়েছে যেটা গত ১৪০০০ হাজার বছরের তুলনায়ও বেশি। তাই বর্তমানের সময়ে ধর্মের প্রয়োজনিয়তা আগের মতন নাই।
মানুষ এখন নামে ধর্ম পালন করে কিন্তু সত্যিকারের ধর্মের উপরে বিশ্বাস অনেক কম। ( প্রমান বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতন দেশের র্দনিতি)
মানুষ এখন ধর্ম ছাড়াও ভালো জীবন জাপন করতে পারে। ( প্রমান কম দূনিতির দেশের লিস্টে ২৪ নম্বরে আরব আমিরাত, বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ, বসবাসের জন্য সেরা দেশ এই রকমের অনেক লিস্টিেই ধর্মের প্রভাব বেশি এমন দেশের সংখ্যা খুবই কম)
১৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
নিয়মের দিক থেকে অনেক ভালো নিয়ম ইসলামে আছে।
-আপনার স্টাডি সুন্দর ছিল কারণ, পর্যবেক্ষন সঠিক।
কিন্তু গত ১৪০০ বছরে মানুষের জ্ঞানের পরিধী বেড়েছে যেটা গত ১৪০০০ হাজার বছরের তুলনায়ও বেশি। তাই বর্তমানের সময়ে ধর্মের প্রয়োজনিয়তা আগের মতন নাই।
-ধর্মের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাওয়ার সময় এখনও আসেনি। তবে আসবে একটা সময়ে। আর এটা যখন এসে যাবে বুঝে নিতে হবে কিয়ামত সংঘটিত হতে তখন আর বাকি থাকবে না।
মানুষ এখন নামে ধর্ম পালন করে কিন্তু সত্যিকারের ধর্মের উপরে বিশ্বাস অনেক কম। ( প্রমান বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতন দেশের র্দনিতি)
-কথাটা একেবারে খারাপ বলেননি। এখন অধিকাংশ দেশে ইসলাম পালন করা হয় ব্যক্তি পর্যায়ে। বড় জোর সামাজিক কিছু প্রথা ও রেওয়াজে ইসলাম ধর্মের যৎসামান্য ভূমিকা থাকে হয়তো। এর প্রভাবে মানুষের মাঝে ইসলামের যে গভীর অনুভূতি তা বাস্তবিকপক্ষে জেগে ওঠে না। আসলে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম ধর্মের অনুশাসন প্রতিপালিত না হওয়া পর্যন্ত এর পরিপূর্ণ সুফল আশা করা যায় না, যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ, নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের জীবদ্দশায় বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছিলেন।
মানুষ এখন ধর্ম ছাড়াও ভালো জীবন জাপন করতে পারে। ( প্রমান কম দূনিতির দেশের লিস্টে ২৪ নম্বরে আরব আমিরাত, বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ, বসবাসের জন্য সেরা দেশ এই রকমের অনেক লিস্টিেই ধর্মের প্রভাব বেশি এমন দেশের সংখ্যা খুবই কম)
-এসব লিস্ট আর রিপোর্ট যারা করেন তারা যে দুধের ধোয়া তুলসী পাতা তার প্রমান কী? তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন যে থেকে যায়, এটা সম্ভবতঃ আপনারও অজানা নয়। বিশেষ করে, তাদের এসব রিপোর্ট এর পেছনে অনেক উদ্দেশ্য লুকায়িত থাকে।
ধন্যবাদ।
৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:২৪
কালাচাঁদ আজিজ বলেছেন:
একজন মুসলিম হিসাবে এক বিধানগুলো জানা ছিল তবুও আবার পড়ে বেশ ভাল লাগল।
১৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া।
৯| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৪৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিজ্ঞান কি বলে ? কয়দিন পর নবজাতকের মাথায় ধাতব ব্লেড লাগানো উচিত?
২০ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
পৃথিবীতে এমন কোন কাজ নেই, যার ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া দু'টোই থাকে না। এই ক্ষেত্রে অর্থাৎ, নবজাতকের মাথার চুল মুন্ডানোর বিষয়টিতেও তা থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তবে এ ব্যাপারে বিজ্ঞান কি বলে সেটা দয়া করে আপনি ব্যাখ্যাসহ উপস্থাপন করলে অনেকেরই জানার সুযোগ হতো। এটা নিয়ে কখনো ভেবে দেখিনি। যদি এটা আপনি জানাতে পারেন, তাহলে একইসাথে নবজাতকের মাথায় ধাতব ব্লেড লাগানোর বিকল্প কোন পদ্ধতিও আশা করি সম্ভব হলে বাতলে দিবেন। কিন্তু যেটা দিবেন সেটা যেন আবার ধাতব ব্লেডের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর কিছু না হয়।
ধন্যবাদ।
১০| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১
নতুন বলেছেন: -ধর্মের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাওয়ার সময় এখনও আসেনি। তবে আসবে একটা সময়ে। আর এটা যখন এসে যাবে বুঝে নিতে হবে কিয়ামত সংঘটিত হতে তখন আর বাকি থাকবে না।
এই পৃথিবির বয়স 4.543 billion years, এটা কিভাবে ধংষ হবে সেটা নিয়ে কম বেশি বেশ কিছু আলোচনা আছে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করলে বুঝতে পারবেন যে কোন গ্রহানু বা ধুমকেতুর আঘাত ছাড়া সাভাবিক প্রকৃয়াতে পৃথিবি ধংষ হতে অনেক সময় বাকি আছে।
কিন্তু ১৪০০ বছরেই বিশ্বের বেশ বড় একটা সংখ্যা ধর্মের উপরে তাদের বিশ্বাস হারিয়াছে। সব কিছুরই কট্টর বিশ্বাসী আছে সেটা থাকবেই। জ্ঞানের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে মানুষ ধর্মের ঘাপলাগুলি বুঝতে পারে তখন ধর্মের উপরে বিশ্বাস হারায়। কিন্তু প্রকাশ্য অনেকেই সামাজিকতার ধর্ম ত্যাগ করতে চায় না।
মানুষ এখন নামে ধর্ম পালন করে কিন্তু সত্যিকারের ধর্মের উপরে বিশ্বাস অনেক কম। ( প্রমান বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতন দেশের র্দনিতি)
-কথাটা একেবারে খারাপ বলেননি। এখন অধিকাংশ দেশে ইসলাম পালন করা হয় ব্যক্তি পর্যায়ে। বড় জোর সামাজিক কিছু প্রথা ও রেওয়াজে ইসলাম ধর্মের যৎসামান্য ভূমিকা থাকে হয়তো। এর প্রভাবে মানুষের মাঝে ইসলামের যে গভীর অনুভূতি তা বাস্তবিকপক্ষে জেগে ওঠে না। আসলে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম ধর্মের অনুশাসন প্রতিপালিত না হওয়া পর্যন্ত এর পরিপূর্ণ সুফল আশা করা যায় না, যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ, নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের জীবদ্দশায় বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছিলেন।
চায়না তে গনতন্ত্র নেই, নর্থ করিয়াতে নিদৃস্ট কয়েকটার বেশি চুলের কাট দেওয়া যায়না, মানুষকে জোর করে অনেক কিছুই করানো যায়। বানু কুরায়জার চুক্তি ভঙ্গের সাজা হিসেবে বালেগ ৭০০-৮০০ মানুষ হত্যা করে দৃস্টান্ত সৃস্টি করলে অবশ্যই সামনে ১০ বছর মানুষ তেমনটা করার সাহস পাবেনা
মানুষ এখন ধর্ম ছাড়াও ভালো জীবন জাপন করতে পারে। ( প্রমান কম দূনিতির দেশের লিস্টে ২৪ নম্বরে আরব আমিরাত, বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ, বসবাসের জন্য সেরা দেশ এই রকমের অনেক লিস্টিেই ধর্মের প্রভাব বেশি এমন দেশের সংখ্যা খুবই কম)
-এসব লিস্ট আর রিপোর্ট যারা করেন তারা যে দুধের ধোয়া তুলসী পাতা তার প্রমান কী? তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন যে থেকে যায়, এটা সম্ভবতঃ আপনারও অজানা নয়। বিশেষ করে, তাদের এসব রিপোর্ট এর পেছনে অনেক উদ্দেশ্য লুকায়িত থাকে।
বাংলাদেশ দুনিতিতে ১ নং ছিলো আর আপনার বন্ধু বা পরিচিত কেউ ফিনল্যান্ড বা সুইডেন, সুইরাজল্যান্ডে থাকে তাকে জিঙ্গাসা করলেই বুঝতে পারবেন আপনার এই সন্দেহ কতটু সত্য।
এই সব দেশেও অন্যায় আছে কিন্তু তারা ভন্ড না। তাদের দেশে জজ সাহেব মদ খাবেন ( সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার) কিন্তু আদালতে বসে ঘুষ খেয়ে রায় পাল্টে দেবেনা ( এটা দূনিতি এবং এটা তারা করবেনা) ।
২১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
এই পৃথিবির বয়স 4.543 billion years, এটা কিভাবে ধংষ হবে সেটা নিয়ে কম বেশি বেশ কিছু আলোচনা আছে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করলে বুঝতে পারবেন যে কোন গ্রহানু বা ধুমকেতুর আঘাত ছাড়া সাভাবিক প্রকৃয়াতে পৃথিবি ধংষ হতে অনেক সময় বাকি আছে।
-'কোন গ্রহানু বা ধুমকেতুর আঘাত ছাড়া সাভাবিক প্রকৃয়াতে পৃথিবি ধংষ হতে অনেক সময় বাকি আছে' - এটা আপনার অসংখ্য ভুল ধারণা্র একটি মাত্র। পৃথিবীর স্রষ্টারই একমাত্র সঠিকভাবে জানার কথা, কখন এটা ধ্বংস হবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় হবে। অন্য কারও এই বিষয়ে উপযুক্ত জ্ঞান থাকার কথা নয়। বড় জোর ধারণা করা যেতে পারে। ধারণা সবসময় সঠিক হয়, এমনটা বলা ভুল।
কিন্তু ১৪০০ বছরেই বিশ্বের বেশ বড় একটা সংখ্যা ধর্মের উপরে তাদের বিশ্বাস হারিয়াছে। সব কিছুরই কট্টর বিশ্বাসী আছে সেটা থাকবেই। জ্ঞানের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে মানুষ ধর্মের ঘাপলাগুলি বুঝতে পারে তখন ধর্মের উপরে বিশ্বাস হারায়। কিন্তু প্রকাশ্য অনেকেই সামাজিকতার ধর্ম ত্যাগ করতে চায় না।
-'কিন্তু ১৪০০ বছরেই বিশ্বের বেশ বড় একটা সংখ্যা ধর্মের উপরে তাদের বিশ্বাস হারিয়াছে' - ইহা আপনি আপনার মুখস্ত কথা শুনালেন বোধ করি। বিশ্বাসী লোকের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, আপনার দেখার মধ্যে হয়তো কোন সমস্যা রয়েছে, ভাইজান। চশমাটা খুলে গ্লাস পরিষ্কার করে ভালোভাবে তাকান, তাহলেই এই সত্য আপনার চোখে স্পষ্ট ধরা পড়বে। বর্তমান পৃথিবীতে বিশ্বাসী মুসলিমদের সংখ্যা কমবেশি প্রায় ২০০ কোটি। ইসলাম ধর্মের অনুসারী মুসলিম জনসংখ্যায় তুলনামূলক বিচারে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম ইসলাম। তবে পৃথিবীর দ্রুত প্রসারমাণ ধর্ম ইসলাম। সাম্প্রতিক অনেক গবেষণায় বলা হচ্ছে, খ্রিস্ট অধ্যুষিত ইউরোপ অর্ধশতাব্দীকাল পরে মুসলিমপ্রধান অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। বিভিন্ন দেশের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক এসব গবেষনা আপনার ভালো জানা থাকার কথা। কারণ, আপনাকে একজন ভাবুক এবং গবেষক ব্যক্তি হিসেবেই জানি।
চায়না তে গনতন্ত্র নেই, নর্থ করিয়াতে নিদৃস্ট কয়েকটার বেশি চুলের কাট দেওয়া যায়না, মানুষকে জোর করে অনেক কিছুই করানো যায়। বানু কুরায়জার চুক্তি ভঙ্গের সাজা হিসেবে বালেগ ৭০০-৮০০ মানুষ হত্যা করে দৃস্টান্ত সৃস্টি করলে অবশ্যই সামনে ১০ বছর মানুষ তেমনটা করার সাহস পাবেনা )
-সত্যি কথা হচ্ছে, ইসলাম এমন কোন ধর্ম নয় যে, ইচ্ছে হলে একজন মুসলিম তার ব্যক্তি জীবনে এই ধর্মের কোন বিধান পালন করবেন, আর ইচ্ছে না হলে করবেন না। এই ধরণের সুযোগ বিদ্যমান অনেক ধর্মে থাকলেও ইসলাম এ তার অনুসারীদের জন্য এমনটা রাখেনি। কুরআন স্পষ্ট ঘোষনা করেছে-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
অর্থাৎ, হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
আয়াতের হুকুম হলো- কোনো ধরনের ব্যতিক্রম ও সংরক্ষণ ছাড়াই, কিছু অংশকে বাদ না দিয়ে এবং কিছু অংশকে সংরক্ষিত না রেখে জীবনের সমগ্র পরিসরটাকে ইসলামের আওতাধীন করা।
মানুষের চিন্তা-ভাবনা, আদর্শ, মতবাদ, জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা, আচরণ, ব্যবহারিক জীবন, লেনদেনসহ মানুষের জীবনের সব প্রচেষ্টা ও কর্মের পরিসরকে পুরোপুরি ইসলামের কর্তৃত্বাধীন করা।
জীবনের কিছু অংশে ইসলামি অনুশাসন মেনে চলা আর কিছু অংশে ইসলামি অনুশাসনের বাইরে থাকা। এমনটি যেন না হয় সে ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা সুস্পষ্ট ভাষায় কুরআনের এ আয়াতের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছেন।
এ আয়াতে সবচেয়ে বড় শিক্ষা- ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান। আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করার কথা বলেছেন।
শুধু কতগুলো আক্বিদা-মতাদর্শ অথবা গুটি কয়েক বিধি-বিধান পালনের নাম ইসলাম নয়; বরং ইসলাম হচ্ছে একটি সার্বজনীন স্বীকৃত জীবন ব্যবস্থা। যা মানব জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তার শাখা-প্রশাকা বিস্তৃত।
ভাইজান, বিশ্বাসঘাতক যুদ্ধাপরাধী বনু কুরাইজার জন্য আপনার এত মায়াকান্না দেখে আশ্চর্য্য না হয়ে পারা যায় না। এই ঘটনায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের প্রকৃত সংখ্যা কত ছিল আপনার কি জানা আছে? আপনি যে ৭০০-৮০০ বলেছেন, ওটা সম্ভবতঃ সঠিক তথ্য নয়, সঠিক তথ্য যা পাওয়া যায় তাতে তাদের সংখ্যা ৪০০ জনের মত বলে প্রতীয়মান হয়। বিস্তারিত দেখে আসতে পারেন আমার পূর্ববর্তী একটি লেখায়-
যুদ্ধাপরাধী বনূ কুরাইজার বিচার নিয়ে অনৈতিক আপত্তি এবং আমাদের কিছু কথা
বাংলাদেশ দুনিতিতে ১ নং ছিলো আর আপনার বন্ধু বা পরিচিত কেউ ফিনল্যান্ড বা সুইডেন, সুইরাজল্যান্ডে থাকে তাকে জিঙ্গাসা করলেই বুঝতে পারবেন আপনার এই সন্দেহ কতটু সত্য।
-ওদের রিপোর্ট একেবারে ভূয়া- সে কথা বলতে চাইনি। তবে তাদের এই জাতীয় অধিকাংশ রিপোর্টের পেছনে ভালোভাবে তাকালে প্রায়শই ভিন্ন উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া অসম্ভব নয়, এটাই বলতে চেয়েছি। আর সত্য মিথ্যার মিশ্রণ তো থাকেই। আপনিও পাবেন।
এই সব দেশেও অন্যায় আছে কিন্তু তারা ভন্ড না। তাদের দেশে জজ সাহেব মদ খাবেন ( সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার) কিন্তু আদালতে বসে ঘুষ খেয়ে রায় পাল্টে দেবেনা ( এটা দূনিতি এবং এটা তারা করবেনা) ।
-আচ্ছা, আপাততঃ আপনাকে খুশি রাখার জন্যই না হয় একমত পোষন করলাম। তারা ভালো।
তবে ভাইজান, ভালো মন্দ সবখানেই আছে, ছিল এবং থাকবে। কম আর বেশি। এই তো। আমাদের দেশের সব মানুষ খারাপ- এটা আপনি বলতে পারবেন? আমরাও দাবি করি না যে, আমরা সবাই অর্থাৎ, ১০০% লোক সৎ। আপনি যেসব দেশের কথা বলেছেন ঐসব দেশের লোক দুর্ণীতি করেই না, একজনও দুর্ণীতিবাজ ওদের দেশে নেই, এই গ্যারান্টি আপনি দিতে পারবেন? পারবেন না। তুলনামূলক কম আর বেশি। এই দিক হতে আমরা না হয় সংখ্যায় একটু বেশিই আছি। অসুবিধা কি? আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ! সংখ্যাগরিষ্ঠতা অনেক সময় গর্ব ও গৌরবেরই কারণ হয়! তো!
ভালো থাকার প্রার্থনা।
১১| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:২১
সোবুজ বলেছেন: আকীকা ইসলামধর্ম প্রচারের আগেও ঐ এলাকায় প্রচলিত ছিল।ইসলাম এটাকে বিধানে পরিনত করে ,আরো অনেক বিধানের মতো।
২১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
১২| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৪৮
জিকোব্লগ বলেছেন:
@সোবুজ, আপনার ধর্ম কি ? আপনার মৃত্যু হলে কোন ধর্মনুসারে আপনার দাফন
কাফন করতে আপনি আপনার ছেলে-মেয়েদের ও আত্নীয় -স্বজনকে বলে যাবেন?
প্রশ্ন গুলো এই জন্য করলাম , যে আপনি সব জায়গায় ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্য করেন।
২১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আশা করছি, তিনি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিবেন।
ধন্যবাদ।
১৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৫০
জিকোব্লগ বলেছেন:
@নতুন , আপনার কাছেও একই প্রশ্ন , আপনার ধর্ম কি ? আপনার মৃত্যু হলে কোন ধর্মনুসারে
আপনার দাফন কাফন করতে আপনি আপনার ছেলে-মেয়েদের ও আত্নীয় -স্বজনকে বলে যাবেন?
২১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
১৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৫১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কাটা চুলে ওজন করাটা কষ্টের হবে।
আমার দুই মেয়ের আকিকা করা হয়েছে, তবে চুলের পরিমান রুপা সদগা করা হয়নি।
২১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
এটা অবশ্যপালনীয় বিধান নয়, সুন্নত আমল।
ধন্যবাদ।
১৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাহনিক প্রথা নবজাতককে Hypoglycemia ( গ্লুকোজ লেভেল কম থাকা) থেকে রক্ষা করে। নবজাতকের হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে শিশুকে গ্লুকোজ দেয়া হয়ে থাকে। খেজুরের ভিতর কিছু পরিমান গ্লুকোজ থাকে।
A dose of sugar given as a gel rubbed into the inside of the cheek is a cheap and effective way to protect premature babies against brain damage, say experts. এই লেখাটা পড়তে পারেন 'Sugar gel' helps premature babies। এই লেখার সারাংশ হোল প্রতি বছর ১৫ মিলিয়ন শিশু পরিপক্ক হওয়ার আগেই জন্ম গ্রহণ করে। এই ধরণের শিশুদের প্রতি ১০ জনে একজনের ব্রেন ড্যামেজ হওয়ার ঝুকি থাকে গ্লুকোজের অভাবের কারণে। এই ধরণের শিশুদের জন্য সহজ এবং কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি হোল শিশুর মুখে ডেক্সট্রোজ (সুগার) দেয়া। এই ধরণের শিশু ছাড়াও অনেক শিশু জন্মের পরেই হাইপোগ্লাইসিমিয়াতে ভোগে। নরম খেজুর বা গ্লুকোজ সমৃদ্ধ তরল খাবার শিশুকে এই রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
তাই বোঝা যাচ্ছে যে, সামান্য পরিমান খেজুর নরম করে নবজাতকের মুখে দিলে ক্ষতির কোন সম্ভবনা নেই।
২১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরান।
১৬| ২০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ এখন ইসলামের চেয়ে বেশি বিজ্ঞান মানে।
২১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনাকে এই একই কথা প্রায়ই বলে বেড়াতে দেখা যায়, আপনার বিরক্তি আসে না? অবশ্য বিপরীতও বলেন মাঝেসাঝে!
যেমন, এই পোস্টেই পূর্বের এক মন্তব্যে বলেছেন, মোটামোটি সব ধর্মীয় নিয়ম আমাকে মানতে হয়।
আমার আব্বা মারা গেলো। ধর্মীয় নিয়মে যা যা করতে হয় সবই করেছি।
আমার কন্যা ফারাজার জন্ম হলো। আকিকা দিলাম। একটা মাদ্রাসার ৫০ জন ছাত্রকে খাওয়ালাম। সাত দিন পর তার মাথার চুল ফেললাম। বাসার সবাইকে সেদিন লাড্ডু, ছানা সন্দেশ খাওয়ালাম। সব ছবি তুলে রেখেছি। ভিডিও করে রেখেছি। কন্যা বড় হয়ে দেখবে।
এক মুখে কত ধরণের কথা যে বলেন! আমরা শুনে শুনে আপ্লুত! সুবহানাল্লাহ বলা ছাড়া উপায় থাকে না!
ধন্যবাদ।
১৭| ২০ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৫৩
নতুন বলেছেন: জিকোব্লগ বলেছেন:
@নতুন , আপনার কাছেও একই প্রশ্ন , আপনার ধর্ম কি ? আপনার মৃত্যু হলে কোন ধর্মনুসারে
আপনার দাফন কাফন করতে আপনি আপনার ছেলে-মেয়েদের ও আত্নীয় -স্বজনকে বলে যাবেন?
মৃত্যুর পরে দাফন কাফনের আইডিয়াটা হলো যাতে মৃতদেহ পরিবেশ নস্ট না করে। সেটা কবর দেওয়াতে কোন সমস্যা নাই।
আরো জানাজার নামাজ একটা দোয়া মাত্র, এটার উদ্দেশ্য মৃতদেহকে মাটির নিচে রাখা এবং সেই সময়ে তার জন্য সৃস্টিকতার কাছে মুসলিমরা দোয়া করে। দোয়া গুলি আরবিতে করে বলে মন্ত্রের মতন মনে হতে পারে অনেকের কাছে।
আর মরনোত্তর দেহ দান অথবা অরগান ডোনেসনের কথাও চিন্তা করছি।
২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রতিটি প্রাণির মৃত্যু কেন হয়? মৃত্যু কে দেয়? পৃথিবীতে অটোমেটিক কিছুই হয় না। প্রতিটি কাজের পেছনেই বরং কর্তা বলে কেউ না কেউ অবশ্যই থাকেন। কথা হলো, তাহলে মৃত্যুর পেছনে কেউ কি থাকেন না? কারোর হাত ছাড়া এটা এমনিতেই ঘটে থাকে? বিশেষ কোনো শক্তির ইশারা ব্যতিত এটা ঘটতে পারে? না কি কেউ আছেন এর পেছনে? প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে এটা ঘটান কে?
দয়া করে যদি বলতেন! আপনার সুচিন্তিত মতামত পেলে ভালো লাগতো।
ধন্যবাদ।
১৮| ২০ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৫৭
নতুন বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাহনিক প্রথা নবজাতককে Hypoglycemia ( গ্লুকোজ লেভেল কম থাকা) থেকে রক্ষা করে। নবজাতকের হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে শিশুকে গ্লুকোজ দেয়া হয়ে থাকে। খেজুরের ভিতর কিছু পরিমান গ্লুকোজ থাকে।
গ্লুকোজ খায়ানো নিয়ে কোন সমস্যা নাই। খাওয়ানোর তরিকা নিয়ে সমস্যা....
আপনি অবশ্যই আপনার প্রিয় নবজাতকে এলাকার মুরুব্বি আলেমের কাছে নিয়ে যাবেন না এবং তার মুখে চাবানো খেজুর নবজাতকে দিবেন না! ( তাহনিকের আইডিয়া জ্ঞানী মুরুব্বিদের থেকে করেনো)
২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
এটা নিছক মুস্তাহাব পর্যায়ের আমল। অতি জরুরিই যদি হতো তাহলে এটাকে ফরজ বা ওয়াজিব করে দেয়া হতো। সুতরাং, এই নিয়ে এত চিন্তিত হবার কারণ নেই। আর আপনার এই প্রশ্নের উত্তরে সাড়ে চুয়াত্তুর ভাই কিছু কথা বলেছেন। আশা করি, দেখেছেন।
ধন্যবাদ।
১৯| ২০ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
জিকোব্লগ বলেছেন:
@নতুন,
আপনি আমার প্রথম প্রশ্ন 'আপনার ধর্ম কি ?' - এর উত্তর এখনো দেন নি।
ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক হুমায়ুন আজাদের লাশ দাফন নিয়ে প্রথমে পরিবার
সূত্রে জানানো হয় তিনি মৃত্যুর পূর্বে তার মরদেহ মেডিকেলে কাঁটাছেড়ার জন্য
বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দান করে গেছেন। তার কথানুযায়ী
লাশ বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে দেয়া হবে। কিন্তু এর পরই তার লাশ দাফন
নিয়ে নতুন নাটক রচনা করেন। পরিবার থেকে দাবি তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে অবস্থিত কাজী নজরুল ইসলামের মাজারের সাথে তার
লাশ দাফনের।সর্বস্তরের মুসলমানেই প্রতিবাদের মুখে জাতীয় কবির মাজারের
পাশে হুমায়ুন আজাদকে সমাহিত করা হয়নি। অনেক নাটক করে অবশেষে
কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ জেলার রাঢ়িখাল গ্রামে দু’দফা জানাযা
শেষে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক হুমায়ুন আজাদের দাফন করা হয়।
আপনার মরনোত্তর দেহ দান অথবা অরগান ডোনেসনের চিন্তা ও কি
আরেকরকম নাটক হবে না?
২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
হুমায়ুন আজাদ সাহেবের দাফন কাফনের ব্যাপারে এত কিছু স্মৃতিতে ছিল না।
ধন্যবাদ।
২০| ২০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:২৩
নতুন বলেছেন:
@নতুন,
আপনি আমার প্রথম প্রশ্ন 'আপনার ধর্ম কি ?' - এর উত্তর এখনো দেন নি।
যদি ধর্ম বিশ্বাস সম্পর্কে জিঙ্গাসা করেন তবে আমি মনে করি ধর্ম মানুষের সৃস্টি। আর যদিও সৃস্টিকতর্া থেকে থাকে সেটা প্রচলিত ধর্মের কাহিনির সাথে যায় না।
তাই আমার বিশ্বাস অনেকটা agnosticism এর দিকে যায়।
২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
agnosticism এর দিকে থাকেন অথবা যে মতবাদেরই সমর্থক হোন না কেন, আমার পর্যবেক্ষনে লোক হিসেবে আপনাকে কিন্তু চমৎকার মনে হয়। ধর্মের বিশেষতঃ ইসলাম ধর্মের প্রায় অধিকাংশ বিষয়েই আপনার জিজ্ঞাসাগুলো যেমন চমকপ্রদ, তারচেয়েও বেশি আকর্ষনীয় আপনার প্রশ্নের ধরণ। পয়েন্ট পয়েন্ট করে আপনার প্রশ্নের ধরণটা ভালোই লাগে। আমার কাছে উপভোগ্য মনে হয়। আর আপনিই সম্ভবতঃ এখানে একমাত্র ব্যক্তি যাকে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে অধিক প্রশ্ন করতে দেখা গেলেও আপনার স্বভাবগত মার্জিত রুচিবোধের কারণে হোক অথবা, অন্য যে কারণেই হোক, আপনি বিষয়গুলো উপস্থাপনে সতর্কতার আশ্রয় নিয়ে থাকেন এবং এর ফলে আপনাকে সীমাতিরিক্ত বাড়াবাড়িতে লিপ্ত হতে সাধারণতঃ দেখা যায় না। বুঝতেই পারছেন, এই জন্যই আপনার সাথে চা খাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলাম ইতিপূর্বে। কিন্তু সেই আবেদন গ্রান্ট হয়েছিল কি না, বুঝতে পারছি না।
২১| ২০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৬
জিকোব্লগ বলেছেন:
@নতুন,
অ্যাগনস্টিক বা অজ্ঞেয়বাদও শেষমেষ বিশ্বাসেই গড়ায়। এই জন্যই কট্টর
অজ্ঞেয়বাদ, দুর্বল অজ্ঞেয়বাদ ও উদাসীন অজ্ঞেয়বাদ প্রকারভেদ দেখা যায়।
গ্রিক ও হিন্দু দর্শনে অজ্ঞেয়বাদ দেখা যায়। কাজেই এটাও নতুন কোনো
দর্শন না। যাই হোক আপনি আপনি আপনার অজ্ঞেয়বাদ চর্চায় এগিয়ে
যান। শুভ কামনা থাকলো।
কিন্তু প্লিজ ইসলাম বিদ্বেষী হয়ে ইসলামের পিছনে হয়ে লাগতে আইসেন না।
এই বিদ্বেষ আপনাকে কখনো ভালো অনুভবতো দিবেই না বরং আপনাকে
এক্সট্রিমিস্ট হিসেবে সবার সামনে স্পষ্ট করবে । আর পরক্ষভাবে ইসলাম
বিদ্বেষী এক্সট্রিমিস্টরাই জঙ্গী তৈরিতে সাহায্য করে।
@লেখক,
এইসব অজ্ঞেয়বাদদের নানান কুযুক্তির উত্তর আপনি করলেও , এরা শেষ মেষ
এদের বিশ্বাসেই থাকবে। আর সেটা হচ্ছে, ইসলামের সব কিছুই ভুয়া , আর
অজ্ঞেয়বাদের বিস্বাসই ভালো। কাজেই এদের কুযুক্তির উত্তর করা মানে সময় নষ্ট।
ব্লগে এইগুলো গন্ডগোল তৈরী করে। স্পষ্ট যুক্তি দিয়ে বুঝাইলেও পরে এই যুক্তি
অজ্ঞেয়বাদরা মনে রাখে না। কারণ এরা অজ্ঞেয়বাদ হয়েই বেঁচে থাকতে চায়।
২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার কথা ঠিক আছে, যে যা নিয়ে থাকতে চায় তাকে তা নিয়ে থাকতে দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কথা হচ্ছে, কেউ প্রশ্ন করলে তো ইগনোর করা যায় না। দায়িত্ব মনে করেই উ্ত্তর দেয়ার চেষ্টা করি।
শুকরান।
২২| ২০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮
নতুন বলেছেন: জিকোব্লগ বলেছেন<<<<<<<< কিন্তু প্লিজ ইসলাম বিদ্বেষী হয়ে ইসলামের পিছনে হয়ে লাগতে আইসেন না।
এই বিদ্বেষ আপনাকে কখনো ভালো অনুভবতো দিবেই না বরং আপনাকে
এক্সট্রিমিস্ট হিসেবে সবার সামনে স্পষ্ট করবে । আর পরক্ষভাবে ইসলাম
বিদ্বেষী এক্সট্রিমিস্টরাই জঙ্গী তৈরিতে সাহায্য করে।<<<<<<<<<<আর সেটা হচ্ছে, ইসলামের সব কিছুই ভুয়া , আর
অজ্ঞেয়বাদের বিস্বাসই ভালো। কাজেই এদের কুযুক্তির উত্তর করা মানে সময় নষ্ট।
ব্লগে এইগুলো গন্ডগোল তৈরী করে। স্পষ্ট যুক্তি দিয়ে বুঝাইলেও পরে এই যুক্তি
অজ্ঞেয়বাদরা মনে রাখে না। কারণ এরা অজ্ঞেয়বাদ হয়েই বেঁচে থাকতে চায়।
আমাকে কেউ কোন ধর্ম বা মতের বিদ্বেষী তো বলার কথা না।
আর আপনার ধর্মের উপরে সমাজের বিশ্বাস কমতেছে আগের মতন অন্ধবিশ্বাসী এখন নাই। আপনি আপনার বিশ্বাস নিয়ে থাকুন সমস্যা নাই। কিন্তু যখন সেটা সবার সেরা বলে প্রচার করতে আসবেন তখন মানুষ প্রশ্ন করবেই কেন কিভাবে সেরা হইলো?
২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
আমাকে কেউ কোন ধর্ম বা মতের বিদ্বেষী তো বলার কথা না। )
-আলবৎ, অতি সত্য কথা! ইহা কস্মিনকালেও হতে পারে না!
আরে, সবার সব কথা কি ধরতে হয়? ক্ষমা করবেন, আমার কাছে তো মাঝে মাঝে এমনও মনে হয় যে, আপনি ধর্মের রক্ষকদেরই একজন এই ব্লগে! কারণ, আপনার সুন্দর সুন্দর প্রশ্নের কারণে ইসলাম ধর্মের অনেক বিষয় অনেকের কাছে খোলাসা হয়, যা তাদের বিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করতে সাহায্য করে।
ধন্যবাদ।
২৩| ২০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নতুন ভাই - তাহনিকের জন্য আলেমের কাছে যেতে হবে এমন কোন কথা নাই। ইসলাম ধর্ম পুরোহিত নির্ভর ধর্ম না। ইসলামের বিধানে আল্লাহর সাথে মানুষের যোগাযোগ সরাসরি। আর মূল বিষয় নরম খেজুর খাওয়ানো। সেটা যে দাঁত দিয়েই নরম করতে হবে এমন না। আমাদের রসুলের (সা) কথা আলাদা। ওনার ঘাম, থুথু সাহাবীরা শ্রদ্ধার সাথে গায়ে মাখতেন। এভাবে তাহনিকের কারণে কোন বাচ্চা অসুস্থ হয়েছে বলে শুনি নাই। তাহনিক কোন ফরজ কাজও না। কারও ইচ্ছা হলে করবে। সুন্নত পালন করতে বাচ্চার মা দাঁত দিয়ে খেজুর নরম ক'রে দিতে পারে। আলেমের কাছে কেন যেতে হবে।
২১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:৪৬
নতুন নকিব বলেছেন:
সংক্ষিপ্ত কথায় যথার্থ বলেছেন। তাহনিক নিয়ে এটাই আসল কথা।
আশা করছি, আপনার এই মন্তব্য পড়ে নতুন ভাই তাহনিকের পুরো বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হবেন। ফরজ ওয়াজিব তো পরের কথা, তাহনিক সুন্নতে মুয়াক্কাদার মত গুরুত্বপূর্ণ কোন সুন্নতও নয়। এটি নিছক একটি মুস্তাহাব আমল মাত্র। কেউ ইচ্ছে করলে পালন করতে পারেন, আবার ইচ্ছে না হলে না-ও করতে পারেন। অযথাই এসব অতি ক্ষুদ্র বিষয়কে আলোচনার ইস্যু বানিয়ে অহেতুক প্যাচাপেচি করা ঠিক নয়। এসব কাজকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইসলাম ধর্মের নেতিবাচকতা তুলে ধরে বিতর্ক সৃষ্টিরই পায়তারা বলেই প্রতীয়মান হয়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৪| ২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩৬
নতুন বলেছেন: আশা করছি, আপনার এই মন্তব্য পড়ে নতুন ভাই তাহনিকের পুরো বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হবেন। ফরজ ওয়াজিব তো পরের কথা, তাহনিক সুন্নতে মুয়াক্কাদার মত গুরুত্বপূর্ণ কোন সুন্নতও নয়। এটি নিছক একটি মুস্তাহাব আমল মাত্র। কেউ ইচ্ছে করলে পালন করতে পারেন, আবার ইচ্ছে না হলে না-ও করতে পারেন। অযথাই এসব অতি ক্ষুদ্র বিষয়কে আলোচনার ইস্যু বানিয়ে অহেতুক প্যাচাপেচি করা ঠিক নয়। এসব কাজকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইসলাম ধর্মের নেতিবাচকতা তুলে ধরে বিতর্ক সৃষ্টিরই পায়তারা বলেই প্রতীয়মান হয়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বাচ্চাকে জন্মের পরে মুখে একটু মিস্টি দেওয়া কোন সমস্যা না।
সমস্যা হইলো তাহনিকের তরিকাতে। উপরে সাচু ভাই যেটা বলেছেন সেটা কি আসল তরিকা? ( কিন্তু এটাই হওয়া উচিত) কিন্তু প্রচলিত তরিকা এটা না।
অন্ধধামিকেরা মনে করে বর্জুগ আলেম দিয়ে এটা করাতে, মেখে খেজুর চিবিয়ে একটু রস বাচ্চাকে দিতে। যেটা অবশ্যই অস্বাস্থ কর। এবং অন্ধধামিকেরা এটাকে সুন্নত হিসেবে পালন করতে প্রচার করে। যেটা ঠিক না।
এই প্রসংঙ্গ নিয়ে আসার কারন এই জিনিসটা সামনে আনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৪৯
নতুন বলেছেন: আরেকটা সুন্নতের কথা আপনি উল্লেখ করেন নাই। সেটা হইলো তাহনিক (Tahneek)
সেটা বর্তমানের কোন বাবা মা অনুসরন করবেনা। এবং করা উচিতও নয়। কারন ঐ সুন্নত পালন করতে গেলে নবজাতকের ক্ষতি হবার সম্ভবনা আছে।
https://www.pedseast.com/blog/posts/the-dangers-of-kissing-babies