নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোযাদারের রক্তদান, নাকে, কানে ও চোখে ড্রপ ব্যবহার করা এবং ভ্যাক্সিন বা টিকা গ্রহণের বিধান

০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮

ছবিঃ অন্তর্জাল।

রোযাদার ব্যক্তির রক্তদানের হুকুম

সাধারণভাবে রোযাদার ব্যক্তির রক্তদানে কোন সমস্যা নেই, বরং রোযা অবস্থায় রক্ত দেয়া জায়েজ। তবে যদি রক্তদানের কারণে উক্ত রোযাদারের রোযা রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ে, তাহলে রক্ত দেয়া মাকরূহ হবে।

জটিল ও মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টায় রক্ত প্রয়োজন হলে এবং রোযাদার ব্যক্তি ছাড়া রক্ত দেয়ার মত কাউকে পাওয়া না গেলে এবং রক্ত দেয়ার কারণে সুন্নতে মুআক্কাদা তারাবিহ নামাজ আদায় উক্ত রোযাদারের জন্য কষ্টকর হলে বা পড়তে না পারলেও রক্ত দেয়াটাই উচিত হবে। কিন্তু অবস্থা যদি এমন হয় যে, রক্ত দিলে রোযাই রাখতে পারবে না, তাহলে রক্ত দেয়া যাবে না। মোট কথা, রক্তদানের কারণে কোন অবস্থায়ই রোযা ভঙ্গ হবে না।

প্রমান হিসেবে সাবেত আল বুনানী রাহ. বলেন, হযরত আনাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুকে জিজ্ঞাসা করা হল যে, রোযার হালতে শিঙ্গা লাগানোকে কি আপনারা মাকরূহ মনে করতেন? তিনি বলেন, ‘না; তবে এ কারণে দুর্বল হয়ে পড়লে তা মাকরূহ হবে।’ -সহীহ বুখারী হাদীস ১৯৪০

মোট কথা, রোযা রাখা অবস্থায় রক্ত দেবার দ্বারা রোযার কোন ক্ষতি হয় না। তাই বিশেষ প্রয়োজনে নিশ্চিন্তভাবে রক্তদানের মত মহত একটি কাজ করে খিদমতে খালক তথা, সৃষ্টির সেবায় ভূমিকা রাখা যেতে পারে।

عن ثابت البنانى قال: سئل أنس بن مالك أكنتم تكرهون الحجامة للصائم؟ قال: لا، إلا من أجل الضعف (صحيح البخارى، كتاب الصوم، باب الحجامة والقيئ للصائم-1260، رقم-1899، 1940)

عن ابن عباس أن ذكر عنده الوضوء من الطعام، قال الأعمش مرة: الحجامة للصائم فقال: إنما الوضوء مما يخرج وليس مما يدخل، وإنما الفطر مما دخل وليس مما خرج (السنن الكبرى للبيهقى-6312، رقم-8346)

রোযাদারের নাকে, কানে ও চোখে ড্রপ ব্যবহার করার বিধান

রমজানে রোযা অবস্থায় অনেক সময় ঔষধ সেবন বা ব্যবহার করার প্রয়োজন দেখা দেয়। কখনও কখনও নাক, কান বা চোখে ড্রপ ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে প্রথমেই আমাদের জেনে নেয়া প্রয়োজন যে, রোজাদার ব্যক্তির মুখ, কান, নাক, গুহ্যদ্বার, যোনিপথ ও পেটের ক্ষতস্থানে ঔষধ ব্যবহার করলে যদি তা পাকস্থলি পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। অবশ্য ইতোপূর্বেকার মাসআলা অনুযায়ী বলা হতো যে, পাকস্থলিতে তরল বা ঔষধ প্রবেশ যেমন রোযা ভঙ্গের একটি কারণ, একইরকমভাবে চোখ, কান বা নাকে কোন তরল বা ঔষধ ব্যবহার করার পরে তা মস্তিষ্কে প্রবেশ করলে তাতেও রোযা ভঙ্গ হবে। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষনায় জানা গেছে যে- মস্তিস্ক ও কানে ঔষধ ব্যবহার করলে রোযার কোন ক্ষতি হয় না। কারণ, গবষেণায় প্রমান হয়েছে, মস্তিষ্ক ও কান থেকে গলা হয়ে পাকস্থলি পর্যন্ত পানি বা তরল ঔষধ ইত্যাদি পৌঁছানোর সরাসরি কোন ছিদ্র পথ নেই। পূর্বযুগের ফেকাহর কিতাবাদিতে মস্তিষ্ক ও কান থেকে গলা পর্যন্ত ছিদ্রপথ থাকার আনুমানিক ধারণা থেকেই মূলতঃ এর ফলে রোজা ভঙ্গের হুকুম দেয়া হয়েছিল। -বাদায়েউস সানায়ে খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৯৩, মারাকিল ফালাহ পৃষ্ঠা ১৩৩, ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়াহ খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১৭, আহছানুল ফাতাওয়া খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৪২১

নাকের ড্রপ ব্যবহার করলে যদি তা পেটে পৌঁছে যায় তবে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কেননা, লাক্বীত বিন সাবুরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে বলেন,

وَبَالِغْ فِي الِاسْتِنْشَاقِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ صَائِمًا

ছিয়াম বা রোযা অবস্থায় না থাকলে ওযুর ক্ষেত্রে নাকে অতিরিক্ত পানি নিবে। -আবু দাঊদ, অধ্যায়: নাক ঝাড়া, ১৪২, তিরমিযী, অধ্যায়ঃ পবিও্বতা, অনুচ্ছেদঃ আঙ্গুল খিলাল করার বর্ণনা, নাসাঈ, অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুচ্ছেদঃ নাকে পানি নেয়ায় বাড়াবাড়ি করা, ইবনু মাজাহ্‌, অধ্যায়: পবিত্রতা, অনুচ্ছেদ: আঙ্গুল খিলাল করার বর্ণনা

অতএব, পেটে পৌঁছে এরকম করে রোযাদারের নাকে ড্রপ ব্যবহার করা জায়েয নয়।

রোযাদার কুলি করা বা নাকে পানি নেয়ার কারণে যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে পানি পেটে পৌঁছে যায়, তবে তার রোযা ভঙ্গ হবে না। কেননা এতে তার কোন ইচ্ছা ছিল না। আল্লাহ্‌ তাআ'লা ইরশাদ করেন,

لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُم بِهِ وَلَـٰكِن مَّا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ ۚ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا

ভুলক্রমে তোমরা যা করে ফেল সে সম্পর্কে তোমাদের কোন গুনাহ্‌ নেই। কিন্তু তোমাদের অন্তর যার ইচ্ছা করে তার কথা ভিন্ন। -সূরা আহযাব, আয়াত ৫

আরেকটি বিষয়, নাকে ভাপের ধোঁয়া টানলে ধোঁয়ার কিছু অংশ পেটে প্রবেশ করে আর তা নিজ ইচ্ছায় হলে, এতে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।

চোখে ড্রপ ব্যবহার করা সুরমা ব্যবহার করার মতই। সাধারণতঃ কানে বা চোখে ড্রপ ব্যবহার করে উহা পেটে পৌঁছানোর ইচ্ছা করা হয় না; বরং এতে উদ্দেশ্য থাকে শুধু ড্রপ ব্যবহার করা। এই কারণে কানে বা চোখে ড্রপ ব্যবহার করা হলে তাতে রোযা নষ্ট হবে না। চোখে মলম বা ড্রপ ব্যবহারের ফলে যদি কন্ঠনালিতে ও থুথুতে স্বাদ অনুভূত হয়,তবুও রোজার কোন সমস্যা হবে না।

এমনিভাবে রোযা অবস্থায় শ্বাসকষ্টের কারণে স্প্রে (Nebulizer) ব্যবহার করলে এবং যদি উক্ত স্প্রে শুধুমাত্র নাকে প্রবেশ করে কিন্তু পেট পর্যন্ত না পৌঁছায় তাহলে রোযা রেখে ইহা ব্যবহার করতে কোন অসুবিধা নেই। এতে রোযা ভঙ্গ হবে না। কেননা এটা এমন বস্তু যা সাধারণতঃ উড়ে বেড়ায়। নাকে প্রবেশ করে এবং বিলীন হয়ে যায়, এর অংশ বিশেষ পেটের মধ্যে প্রবেশ করে না। তাই এর দ্বারা রোযা ভঙ্গ হবে না।

শ্বাস কষ্ট দূর করার জন্য যদি মুখে পাইপ লাগিয়ে অক্সিজেনের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে চলমান করা হয়, এবং তা পেটে পৌঁছে, তাতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না। কেননা উহা পানাহারের অন্তর্ভূক্ত নয়। -ফতোয়া আরকানুল ইসলাম থেকে, মূল: আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালিহ আল উছাইমীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি

রোযা অবস্থায় ভ্যাক্সিন বা টিকা গ্রহণের হুকুম

করোনা, নোবেল করোনাসহ নানাবিদ ভাইরাসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আজকের পৃথিবী। রোযা রেখে ভ্যাকসিন নেয়া যাবে কি না, এ নিয়েও অনেকের চিন্তা। মূলতঃ যে কোন ধরণের ভ্যাক্সিন বা টিকা নেবার দ্বারা রোযাদারের রোযার কোন সমস্যা হবে না। তাই রোযাদারের জন্য ভ্যাকসিন বা টিকা নিতে কোন সমস্যা নেই।

وأما ما وصل إلى الجوف أو الى الدماغ عن غير المخارق الأصلية بأن داوى الجائفة ولآمة، فإن داواها بداء يابس لا يفسد (بدائع الصنائع، كتاب الصوم، فصل فى فساد الصوم-2243)

وأكثر المشائخ اعتبروا الوصول إلى الجوف فى الجائفة والآمة إن عرف أن اليابس وصل إلى جوف يفسد صومه بالاتفاق، وإن لم يعرف أن الرطب لا يصل إلى الجوف لا يفسد (الفتاوى التاتارخانية-3379، رقم-4629)

الموجود فى حلقه أثر داخل من المسام الذى هو خلل البدن والمفطر إنما هو الداخل من المنافذ (رد المحتار، كتاب الصوم، باب ما يفسد الصوم وما لا يفسد-3367)

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২২

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট

০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



কৃতজ্ঞতা প্রামানিক ভাই। মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১২

রাজীব নুর বলেছেন: বিরক্তকর পোষ্ট।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



কারণ কি?

ঐ দিন তো বললেন যে, রোযায় না কি অধিক পরিমানে খাবার দাবারের আয়োজন হয় এবং খেতে পান বলে আপনার অনেক আনন্দ হয়! তো, খেতে থাকলেই তো পারেন, এখন আবার রোযার নাম শুনলেই ঘৃণা বা বিরক্তি প্রকাশ করছেন কেন? সমস্যাটা আসলে কোথায়? আমেরিকার সেই প্রবাসী ভদ্রলোককে খুশি করার চেষ্টায় ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে লেগে থাকার জন্য?

কিন্তু আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে! তিনি আপনাকে পিঠ চাপড়ে যাওয়া ছাড়া ভিসা দিয়ে কিংবা সহযোগিতা করে সেই দেশে নেয়ার ঝুঁকি কখনোই নিবেন না!

যা হোক, তারপরেও আপনি হয়তো 'চেষ্টা করতে সমস্যা নেই' থিউরি ধরেই ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে আপনার ঘৃণা প্রকাশ করে যাচ্ছেন। যান, সেটাই করতে থাকুন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানবেন।

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
উপকারী পোস্ট। যারা জানেনা তাদের কাজে আসবে।+++

০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়াহ, জাজাকুমুল্লাহ।

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার একটি পোস্ট। আল্লাহ আপনার কস্টের প্রতিদান দিবেন অবশ্যই।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা আহসানাল জাজা।

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১৬

শার্দূল ২২ বলেছেন: আল্লাহ প্রতিটা অন্তরের খবর রাখেন, রোজা অবস্থায় কে কি কেন করলো আল্লাহ জানেন এবং ঐ ব্যক্তি নিজেও জানেন, সুতরাং এসব পোস্টের আর নিয়মের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার কথা অনুসারে ইসলাম ধর্মের কোন বিধি বিধানেরই আর দরকার হওয়ার কথা থাকে না। আপনার কথা মোতাবেক যদি জানার সকল চেষ্টা বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে তো অবস্থা হয়ে যাবে - 'গোলেমালে শাইয়্যিন কাদির' বা বলতে পারেন, অনেকটা 'ওলটপালট করে দে মা, লুটেপুটে খাই' অবস্থায় উপনীত হতে হবে সবাইকে!

প্রিয় ভ্রাতা, ইসলাম ধর্মের মূল বিষয়ই হচ্ছে জানা, জেনে নেয়া। জ্ঞান ছাড়া ইসলাম মেনে চলা সম্ভব নয়। অতএব, এসব আজগুবি কথার কোন ভিত্তি নেই।

শুভকামনা।

৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সময়োপযোগী পোস্ট।++
অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় নকিব ভাইকে।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া, মোবারকবাদ প্রিয় ভাই। অনেক দিন পরে, পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানবেন।

৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২৮

নতুন বলেছেন: বর্তমানে দেশের মুসলমানেরা সালাত, রোজা, যাকাতের অর্থ ভুলে লোক দেখানোর জন্য করে থাকে।

তাই তারাবীতে, শুক্রবারের জামাতে মসজিদে জায়গা হয় না।
মাইকে ঘোষনা করে জাকাতের কাপড় বিতরন করে,
রোজায় কি নাকে, চোখে ড্রপার দিয়ে ঔষুধে রোজা ভাঙ্গে কিনা সেটা নিয়ে মাথা ঘামায়।

রোজা থাকা অবস্থায় কি পুকুরে গোসল করা নিষেধ? সম্ভবত না কারন মানুষ কিন্তু ডুব দিয়েই পানি পান করতে পারে। কিন্তু করেনা কারন তিনি রোজা।

তেমনি কমন সেন্স হলো যদি রোগের জন্য কোন কিছু দরকার হয় এবং সেটা খাবারের মতন না হয় তবে সেটা না জায়েজ হবার কোন কারন নাই। ইচ্ছা করে ১ ফোটা পানি পান করা আর অনিচ্ছাকৃত ভাবে পেটে যাওয়ার মাঝে অনেক পার্থক আছে।

রোজার বিষয়টাতে ইচ্ছাটাই সবচেয়ে বড়।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: কি মন্তব্য করালাম আর কি উত্তর দিলেন?
কেন অন্যের কাছে নিজেকে ছোট করছেন। হৃদয়বান মানুষ হোন। ধর্ম বুকে ধারন করেও কেন আপনি এত ছোট মানসিকতার অধিকারী?

০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টে আলোচিত পবিত্র মাহে রমজানের এই ধরণের মাসআলাগুলো এমনই জরুরি যে, প্রায় প্রত্যেক মুসলিমেরই এইসব বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হয়। তো এগুলোর আলোচনা দেখে আপনার বিরক্তি প্রকাশের কারণটা কি ছিল? দয়া করে বলবেন?

নিরবে অত্যাচার সয়ে যাওয়া ধর্ম ধারণ করার নাম নয়। সাহস নিয়ে সত্য কথা বলতে পারাটা ছোট মানসিকতার পরিচায়কও নিশ্চয়ই নয়।

শুভকামনা।

৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

জটিল ভাই বলেছেন:
মাশাল্লাহ্। অনেক জরুরী মাসালাহ্।
জাজাকাল্লাহু খাইরান :)

০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। জাজাকুমুল্লাহ।

১০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৬

কালো যাদুকর বলেছেন: আসসলামুআলাইকুম, অনেক ধন্যবাদ।
তাহলে কি আগে যে রুলিং ছিল পরবর্তীতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি হওয়ায় তা ভিন্ন প্রমানিত হওয়ায় রুলিংও পরিবর্তন হয়েছে।

আমাদের এলাকার শেখ রা (ইমাম্) বলেন , রোজা র সময় সকালে টুঠ ব্লাশ করলে রোজা ভাঙ্গবে না ৷ বিদেশে এটি অত্যন্ত দরকারী হাইজেনিক কাজ ৷ এর কারন হচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই আমাদের নন মুসলীম ক্লায়েন্টের সাথে ফেস টু ফেস মিটিং করতে হয়। যার ফলে একজন মুসলীম যেমন রোজাদারের মুখের গন্ধে বিরক্ত হবেন না ৷ কিন্তু একজন ননমুসলীম ব্যাপারটাতে বিরক্ত হবেন এবং ফলে ব্যবসার ক্ষতিও হতে পারে। কাজেই রোজার দিনেও দাত পরিস্কার করাটা বিদেশে আবশ্যক । এই ব্যাপারে আপনার মন্তব্য আশা করছি।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



ইনশাআল্লাহ উত্তরটা একটু পরে দিব।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ওয়া আলাইকুমুস সালাম।

রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট, গুল, মাজন বা কয়লা ইত্যাদি ব্যবহার করার হুকুম সম্পর্কে দু'টি অভিমত পাওয়া যায়। যথা-

এক. দীর্ঘকাল যাবত চলে আসা সর্বজনগ্রহণযোগ্য নিম্নোক্ত মাসআলা, অর্থাৎ, রোজাবস্থায় এসব ব্যবহার করা যাবে না। যেমন-

রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট, গুল, মাজন বা কয়লা ইত্যাদি ব্যবহার করার হুকুমঃ

সাধারণভাবে রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট, পাউডার, গুল, মাজন বা কয়লা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা মাকরূহ হলেও এটিকে নিষেধ করা হয় এই যুক্তিতে যাতে রোজাভঙ্গের মত নেতিবাচক ঘটনার কারণ হয়ে না যায় এগুলো। কারণ, এটা আমরা সকলেই জানি যে, টুথপেস্ট, গুল, মাজন বা কয়লা যাই হোক না কেন, কোন না কোনভাবে গলার ভেতরে চলে গেলেই সেই রোজাটি ভঙ্গ হয়ে যাবে। আর যদি গলার ভেতরে না-ও যায়, তবুও রোজা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেমনটি মেসওয়াক ব্যবহার করার ফলে হয় না বা হওয়ার ভয় থাকে না।

যে কারণে মাকরূহঃ

রোজা অবস্থায় বিশেষত পেস্ট এবং পাউডার ইত্যাদি ব্যবহার করা মাকরূহ হবার কারণ হল, পেষ্ট এবং কোনো কোনো পাউডারের মাঝে এক প্রকার তীব্র ঝাঁজ থাকে, যা মুখের ভিতর স্বাভাবিকভাবে ব্রাশ করার সময় প্রবেশ করে থাকে। তাই এটি অপছন্দনীয়। তবে ফেনা গলার ভিতরে না গেলে রোযা ভাঙ্গবে না। কিন্তু ফেনা ভিতরে চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। -ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৪১; জাওয়াহিরুল ফিকহ ৩/৫১৮রদ্দুল মুহতার ২/৪১৫-৪১৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২০৪; হিদায়া ১/২২০

তাই রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট, গুল, মাজন বা কয়লা ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। বরং এগুলো দিয়ে ব্রাশ করতে হলে সাহরির সময় শেষ হওয়ার আগেই তা সেরে নিতে হবে।

শুধুমাত্র ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা যাবে, তবে মেসওয়াক ব্যবহার করা উত্তমঃ

যদি কেউ পেস্ট, পাউডার বা মাজন ইত্যাদি ছাড়া শুধুমাত্র ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে চায়; তবে রোজা অবস্থায় তা করতে পারবে। তবে এইক্ষেত্রে উত্তম হলো মেসওয়াক করা। কেননা মেসওয়াক করায় যেমন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত আদায় হয়। আবার মেসওয়াক করায় রোজার কোনো ক্ষতিও হয় না।

দুই. সাম্প্রতিককালের কোন কোন ইসলামিক স্কলারের উদ্ভাবিত নতুন মাসআলা, যাতে বলা হয়েছে, রোজাবস্থায় এসব ব্যবহার করা যাবে। রোজা রেখে সকাল বেলা কেউ যদি দাঁত ব্রাশ করতে চান, তাহলে তার জন্য তা জায়েজ রয়েছে। সেখানে ব্রাশ এবং পেস্ট দুটোই ব্যবহার করা জায়েজ রয়েছে। এতে সিয়াম নষ্ট হবে না বা সিয়ামের কোনো ক্ষতি হবে না।

তবে, আমি শেষেরটা অর্থাৎ ২ নং মতের পক্ষে যথার্থ যুক্তি এবং প্রমান এখনও খুঁজে পাইনি।

শেষের প্রার্থনাঃ

আল্লাহ তাআলা রোজাদার প্রত্যেককে রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট, মাজন, পাউডার ইত্যাদি দিয়ে ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। মেসওয়াকের মত অতি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাতটির আমল জিন্দা রাখতে নিয়মিত মেসওয়াক করে সর্বোত্তম সুন্নাতের সাওয়াব লাভ করার সৌভাগ্য নসিব করুন। আমিন।

১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:০০

শার্দূল ২২ বলেছেন: আমার ছোট ভাইর টিথ এর ট্রিটমেনট চলছে, এমন কিছু মেডিসিন তাকে দেয়া হয়েছে যা খেলে এবং মুখের ভিতর ইউজ করলে তার জিহবা তালু গলা শুকিয়ে যাচ্ছে । দুই একটা কথা বললে তার জিহবা শুকনো তালুতে লেগে তার শব্দ উচ্চারণে সমস্যা হচ্ছে। এখন সে রোজা ছাড়বেনা যদিও আমার সবাই তাকে বলছি নিষেধ করছি। যে তুই রমজানের পরে রাখিস বাট সে রাজি না। এখন সে পানি দিয়ে মুখ ভেজালে বা কুলি করলে আবার ঠিক হয়ে যায়, এখন এই ফতোয়ার জন্য কি আমাকে বা আমার ভাইকে আজহারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করতে হবে, ? এখন ভাইয়ের জন্য মুখে পানি নিয়ে বসে শুয়ে থাকাও যায়েয।

বোঝাতে চেয়েছি আপনার ইন্টেনশান কি সেটা আল্লাহ ভালো জানেনা, আপনি যদি লোক দেখানো কাজ করেন সেটা দেখেছেন, ১২ ঘন্টার রোজা ৪৮ ঘন্টা লম্বা করলেও লাভ নেই যদি তা লোক দেখানো হয়, অথবা রোজা করার পুরো ইচ্ছে নিয়ে যদি আপনি কষ্ট পান আর যা করলে সেই কষ্ট থাকবেনা, সেটা আপনি করতে পারবেন, কষ্ট বলতে আমার ভাইয়ের মত কথা বলায় সমস্যা হওয়ার মত এমন কিছু,

আল্লাহ বলেছেন আমি আমার বান্ধার সামর্থের বাইরে আমি কিছুই চাপিয়ে দেইনা,।

আপনার মন মেজাজ অনেক রুক্ষ সুক্ষ। ধর্ম নিয়ে আপনি আবেগে ভিজে আছেন।

ধন্যবাদ

( আমামর বানান নিয়ে ভাববেননা, কথা বুঝতে পারছেন কিনা সেটাই মুল ব্যপার, )

০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



দুঃখিত! ধর্ম নিয়ে আমার আবেগে ভিজে থাকার ধারণাটা দুঃখজনক। আপনার প্রথম মন্তব্যের উত্তরে হয়তো একটু বেশি বলে ফেলেছি বলেই আপনার এমন মনে হয়েছে। কিন্তু আপনার সেই মন্তব্যটা আবার পড়ে আসুন, দয়া করে দেখে আসুন সেখানে কী লিখেছিলেন। আল্লাহ তাআ'লা সকল কিছুর খবর রাখেন এবং জানেন বলে জ্ঞানার্জন করার প্রয়োজন নেই?

আপনার উপরোক্ত বক্তব্যটা আপত্তিকর মনে হয়েছিল।

যা হোক, আপনার জন্য অনেক অনেক কল্যানের দোআ। শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.