নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুরোধ, এইসব বিভেদের পথ থেকে দয়া করে ফিরে আসুন!

১৪ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮

ছবিঃ অন্তর্জাল হতে নেয়া।

আজ দেখলাম, আযান আর টেকনোলজিকে ব্লগে একজন মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন, তাকে বিনীতভাবে অনুরোধ, এইসব বিভেদের পথ থেকে দয়া করে ফিরে আসুন! উক্ত লেখক আমার খুবই কাছের একজন ব্লগার। তাকে আমি অনেক ভালোবাসি। কিছু কিছু বিষয়ে তার মতের সাথে আমার মতভিন্নতা থাকলেও তার প্রতি, তার ভাব ও ভাবনার প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। আমার ধারণা, তার পরিচয় এখানে তুলে ধরা নিষ্প্রয়োজন, বরং সহৃদয় ব্লগার এবং পাঠক বন্ধুগণ খুব সহজেই তাকে জেনে নিতে সক্ষম হবেন।

আযানের বিপরীতে আজ টেকনোলজিকে তিনি মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে একইরকমভাবে মসজিদের বিপরীতে তাকে লাইব্রেরির উপমা ব্যবহার করতেও দেখা গেছে। তাকে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে যে, আমাদের দেশে এত মসজিদের প্রয়োজন কি? এর চেয়ে বরং লাইব্রেরি বেশি হওয়া উচিত, তার মতে।

এটা ঠিক যে, অধিক সংখ্যক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার পক্ষে আমরাও সম্পূর্ণ একমত। কারণ, শিক্ষিত, আধুনিক এবং উন্নত জাতি গঠনে অধিক সংখ্যক লাইব্রেরির প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু লাইব্রেরির সাথে মসজিদের তুলনা কেন? লাইব্রেরির স্থানে লাইব্রেরি, মসজিদের স্থানে মসজিদ থাকবে। দু'টোরই প্রয়োজন যার যার স্থানে অবশ্যই সঠিক। একটাকে আরেকটার সাথে সাংঘর্ষিক করে উপস্থাপন করতে হবে কেন?

বস্তুতঃ ধর্মীয় বিশ্বাস বিশেষতঃ ইসলাম ধর্মের এইসব বিষয়াদিকে আধুনিকতা ও বিজ্ঞানের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে ধর্মে বিশ্বাসীদের খোঁচা দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়ে থাকে, বিশ্বাসীদেরকে এসব বলে ক্ষিপ্ত করে তুলতে একটি মহল বদ্ধপরিকর। এসব করার দ্বারা অপরিনামদর্শী বাজে কোনো পরিস্থিতি তাদের হয়তো প্রত্যাশা, যা মোটেই কাম্য হওয়া উচিত নয়। ধর্মে বিশ্বাসীগণকে বিজ্ঞান ও আধুনিকতার বিপরীতে অন্ধকারের বাসিন্দা হিসেবে উপস্থাপন করে সমাজে দ্বন্ধ-সংঘাত এবং বিভেদ সৃষ্টির পায়তারায়ই এই জাতীয় পোস্ট দেয়া হয়ে থাকে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

উক্ত পোস্টের তী্ব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং লেখককে তার অলিক ও বিভ্রান্ত চিন্তা চেতনা থেকে ফিরে আসার আহবান জানাচ্ছি। কারও ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করার মাধ্যমে দেশে এবং সমাজে ফিতনা ফাসাদ উস্কে দেয়া কোনমতেই আমাদের কাজ হওয়া উচিত নয়।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি চাই মানুষ আধুনিক হোক। পুরোনো ধ্যান ধারনা ভুলে যাক। পুরোনো ধ্যান ধারনা আঁকড়ে থাকলে মানুষকে পেছনে পড়ে থাকতে হবে। দেশ চলে সংবিধান অনুযায়ী। এটা মাথায় রাখা দরকার।
আজ যারা উন্নত তাঁরা তাদের মেধা দিয়ে উন্নত হয়েছে, কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে নয়। মাদারসায় কারা পরে? দরিদ্র বাবা মায়ের সন্তানেরা পড়ে। মাদারাসায় লেখাপড়া করে বেশির ভাগ ছেলে মেয়ে উন্নত জীবন পায় না। দেখন সমাজের ধনোদের ছেলেমেয়েরা মাদ্রাসায় পড়ে না। কেন পরে না?
কেন বাংলাদেশের ছেলে মেয়েরা বিশ্ব থেকে পিছিয়ে থাকবে?

১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধর্ম পুরনো ধ্যান ধারণার নাম নয়। আপনার ধ্যান ধারণায় সমস্যা রয়েছে। প্রকট সমস্যা। অনেকের কাছেই যা স্পষ্ট। বিজ্ঞানকে ধারণ করতে হলে মাদরাসার পড়াশোনাকে বাদ দিতে হবে, এই ফালতু যুক্তি আপনি কোথায় পেয়েছেন? ধর্মকে বিজ্ঞানের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর এইসব অভ্যাস রীতিমত আপত্তিকর।

আপনি তো একেকসময় একেকরকম বেশ ধারণ করেন। কখনও ধর্মের পক্ষে লিখেন, ধারাবাহিকভাবে মহাগ্রন্থ আল কুরআনুল কারিমের সূরার অর্থ লিখে লিখে পোস্ট্ দেন, আবার ধর্মকে অস্বীকার করতেও আপনার সময় লাগে না। অনেকেই আপনার এই দ্বিমুখী নীতিতে বিব্রত। আমিও। কিন্তু কথা হল, স্রোতে গা ভাসিয়ে সুবিধাবাদীদের মত করে এইভাবে পথচলা আর কত? এবার পথে আসুন। লাইনে আসুন। আমাদের মনে রাখতে হবে, ধর্মের পথেই প্রকৃত সুখ ও শান্তি। নিশ্চয়ই পরকাল আমাদের সামনে। সংক্ষিপ্ত এই জীবনের পরিসমাপ্তিও নিশ্চিতভাবেই ঘটবে। মৃত্যু অবধারিত। আপনি আমি আমরা কেউই আমাদের নিজেদের ইচ্ছায় এই পৃথিবীতে আসিনি। আসতে পারিনি। আসা সম্ভবও নয় কারও পক্ষে। তাহলে আমার এই আসা যাওয়ার নিয়ন্ত্রণ কে করেন? কার হাতে আমার প্রাণ? তিনি কে? কে তিনি? কী তাঁর পরিচয়?

হ্যাঁ, তাঁর পরিচয়টাই আমাদের জানা দরকার। তাঁর পরিচয় লাভ করতে পারলেই আমাদের জীবনের পথচলা সহজ হয়ে উঠবে। আমাদের চলাবলা, ওঠাবসাসহ জীবনের সামগ্রিক কাজকর্মের পেছনের উদ্দেশ্য আমরা অনুধাবন করতে সক্ষম হব। আর তখনই আমাদের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব হবে বিভ্রান্তির পথ থেকে, বিপদের পথ থেকে।

আকাশ-পৃথিবী, গ্রহ-নক্ষত্র-উল্কাপিন্ড-ছায়াপথ-গ্যালাক্সি-মিল্কিওয়ে-অবারিত অনিঃশেষ মহাশুণ্যের অন্ধকূপ ব্লাক হোল, বিশাল বিপুল নাগাল ছুঁয়ে না পাওয়া অন্তহীন মহাশুন্য, অনন্ত নীহারিকাপুঞ্জ, চন্দ্র-সূর্য-মেঘ-বৃষ্টি-রোদ-জোসনা-আলো-অন্ধকারের বিচিত্র আবর্তন-বিবর্তন, নদ-নদী-পাহাড়-ঝর্ণার কুলু কুলু ধ্বনি, তরুলতা-পুষ্প-ফসলের অবারিত হাসি-আনন্দ আলোকিত হাতছানি, লোনা পানি-মিষ্টি পানির বৈচিত্রময় সাগর-মহাসাগর, পাখপাখালির কুহুকুহু কলতান - এসব এমনি এমনিই সৃষ্টি হয়নি। নিশ্চয়ই এদের সৃষ্টির পেছনে সূক্ষ্ম সুনিপূন একজন কারিগর রয়েছেন। তাঁর সুচিন্তিত পরিকল্পনার ভেতর দিয়েই এসবের সৃজন ও বহিঃপ্রকাশ। চিন্তা করুন। ভাবুন। একটু ভাবুন। একটু মাথা খাটান। সত্যিটা উপলব্ধি করতে পারবেন খুব সহজেই, আশা করি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যার যার বুঝ তার তার কাছে থাকে। বেশীর ভাগ লোক নিজের বুঝ থেকে সরে আসতে চায় না। কেউ কেউ আবার অন্যের বুঝ এ্যাডোব করে। আল্লাহ সকলকে সঠিক জিনিস বুঝার ক্ষমতা দিক।

১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আল্লাহ সকলকে সঠিক জিনিস বুঝার ক্ষমতা দিক।

-আমিন। ধন্যবাদ।

৩| ১৪ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:২৫

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: ব্লগে কে কি লিখবে সে নিজে ঠিক করুক। কাউকে গলা টিপে না ধরলে ভাল। আমরা যুক্তিতর্ক করতে পারি। কিন্তু কোন ব্লগার এর বাকস্বাধীনতা খর্ব করতে পারিনা। এটা অন্যায়।

১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। কিন্তু আমাদের ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে যে, কোনটা বাকস্বাধীনতা আর কোনটা খোচা মেরে মানুষকে উত্যক্ত করে তোলা। বাকস্বাধীনতার অর্থ নিশ্চয়ই এটা নয় যে, কারও ধর্মীয় বিশ্বাস এবং অনুভূতিকে আঘাত করতে হবে কিংবা আহত করতে হবে।

কেউ যখন বাকস্বাধীনতার নামে ধর্মের বিরুদ্ধে, ধর্মীয় বিশ্বাসের বিপরীতে নিজের মনগড়া উল্টাপাল্টা বক্তব্য প্রচার করতে থাকে, অন্যের অনুভূেতিতে আঘাত করার মাধ্যমে সমাজে বিভেদ সৃষ্টির পায়তারায় লিপ্ত হতে চেষ্টা করে- সেটাকে তো আর বাকস্বাধীনতা চর্চা বলার সুযোগ থাকে না। মানুষে মানুষে বিভেদ, বিসম্বাদ এবং হানাহানি বাধিয়ে দিতে যারা সচেষ্ট হয় - এমন ব্যক্তিকে আস্কারা দেয়ার সুযোগও থাকা উচিত নয় বলেই মনে করি।

ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:২৬

নতুন বলেছেন: রানু ভাই কয়েক দিন পরে আবার ধর্মীয় পোস্ট দেওয়া শুরু করবে.... চিন্তা করবেন না, ;)

১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, সেই অপেক্ষাতেই থাকলুম, ভাই।

অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১৪ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:২৬

আরইউ বলেছেন:




গতকাল সৌরভের পোস্টে করা মন্তব্যে যা বলেছিলাম তা আবার বলছি-

অনেক অকাট মূর্খ বিষয়বস্তু নিয়ে ভালো ধারণা না থাকলেও একদম এক্সপার্টরে মত ব্লগ পোস্ট লিখে থাকেন। তাদের সেই পোস্ট অনেক সময় কোন ফোরাম/ ফেসবুক পোস্ট/ অনলাইনে অন্য কারো লেখা ইত্যাদি থেকে টুকলিবাজি করে লেখা হয়ে থাকে। আবার কেউ কেউ নিজে না বুঝে অন্যে বলেছে তাই কয়েক পাতা যা মনে আসে লিখে ফেলে। এদের মূল উদ্দেশ্য আলোচনায় থাকা। এদের মাথায় দু‘ ছটাক ঘিলু নেই কিন্তু হালের ফ্যাশন যেহেতু নাস্তিকতা সেহেতু এদের ধর্ম নিয়ে লিখতে হবে; লিখে পোস্টে হিট পেতে হবে।

নিজে নীতিবান না হলেও অনেকে পোস্টের পর পোস্ট লোক দেখানো নীতিকথা লিখে যায়। এই দেখুন মাদ্রাসার একটা ছাত্র সে তার মত করে কুরআন পরছে না আযান দিচ্ছে তা তার ব্যাপার। সে মাদ্রাসায় আযান দিয়ে যদি খুশি থাকে তাতে আমার আপনার বা ঐ ধারীবাজদের কিছু আসা বা যাওয়া উচিত না। আরে, সেতো আযানই দিচ্ছে; স্মার্ট আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে কারো কারো মত টুকলিবাজিতো করছেনা। সেতো অনেক বেকার ”বাদইম্মা”র মত পায়ের উপর পা তুলে বাপ-দাদার বানানো-কামানো টাকায় খাচ্ছেনা। তাই না!! আর যারা বলে সায়েন্টিস্ট, শিক্ষক, উদ্দোক্তা হবার কথা তারা কিন্তু নিজেরা কী “হয়ে” দেখিয়েছে? বড় বড় বুলি আওড়ানো সহজ কিন্তু, সমাজের, পরিবারের, দেশের ও দশের জন্য প্রোডাক্টিভ হওয়া, সমাজে কন্ট্রিবিউট করা অতটা সহজ নয়।

১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



সুচিন্তিত মন্তব্য।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৪ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৫৮

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: রাজীব নুরের কথায় যুক্তি আছে। একজন মাদ্রাসা ছাত্র শুধু মক্তবে কুরআন শিখাবে কেন? শুধু আজান দিবে কেন? কোরানে জ্ঞান অর্জনের জন্য চীন দেশে যেতে বলা হয়েছে। মাদ্রাষা শিক্ষায় টেকনোলজি যুক্ত করা হোক। বিজ্ঞাণ পড়ানোর জন্য বিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগ করা হোক, আধুনিক লাইব্রেরী স্থাপন করা হোক। মাদ্রাসার ছাত্ররা বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তারাও পারে। তাদের সুযোগ দেয়া হোক।

১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ভালো বলেছেন।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ১৪ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



কপিপেষ্ট লিষ্টে আপনার নাম ছিলো, উহার কি হলো?

১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



তা... সেই খবর এখানে নিতে হবে কেন? সেই প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য যথাসময়ে আমি পেশ করেছি। তা আপনার দিনকাল কেমন কাটছে? চোখের ডাক্তার দেখাচ্ছেন তো নিয়মিত? আপনার 'চাঁদগাজী' নিকের খবর কি? উহা কি খুলে দেয়া হয়েছে?

ধন্যবাদ।

৮| ১৪ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:২৩

মোল্লা সাদরা বলেছেন: ওহে রাজীব, তুমি তো বিজ্ঞান পড়িয়াছো। ইশকুল - কলেজ - য়ুনুভার্সিটি দাবড়াইয়াছো। নুবেল পাইয়া সামুর মুখ উজ্জ্বল করিবা কবে?

১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



মন্তব্যে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৯| ১৪ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আর ইউএর কমেন্ট দেখলাম খুব ভালো লাগলো। রাজীব বাস্তবতার ভিতর আছে।
আসলে ধর্ম যখন ব্যবসার হাতিয়ার হয়ে যায় তখন তো আর কিছু বলার থাকে না। মাদ্রাসার পড়া বেশি স্টুডেন্ট দেখবেন মসজিদের খতিব মুয়াজ্জিন হিসেবে পেশা হিসেবে নিতে চাই। তাই মাদ্রাসা শিক্ষা। ধর্মে বিজ্ঞান শিক্ষার এত অভাব বোধ বলেই বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের এত ব্যবধান। তবে সময় এসব সকল সমস্যার সমাধান করে দেবে।

১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ধর্ম ও বিজ্ঞান, এই দুইটিরই প্রয়োজন রয়েছে। পরষ্পরকে মুখোমুখি দাঁড় করানো বোকামি।

ধন্যবাদ।

১০| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: ১নং মন্তব্য দেখে কিছু সময়ের জন্যে ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। উনি নিজেই বললেন পুরনো ধ্যান ধারনা আঁকড়ে ধরে থাকলে মানুষ পিছিয়ে থাকবে অথচ নিজেই পুরনো ধারনাকে আঁকড়ে বসে আছেন ! উনি কয়জন মাদ্রাসা পড়ুয়াকে কাছ থেকে দেখেছেন যে ঢালাও এক বক্তব্য দিয়ে বসলেন!

মানুষের দ্বিমুখী আচরন দেখলে খুব দুঃখ হয়।

১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। ধন্যবাদ।

১১| ২৩ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ লেখক, আপনার মন্তব্যর সাথে আমি সহমত হতে পারলাম না। কারন আমি বিশ্বাস করি ধর্মের মধ্যে দিয়ে মানুষ হাজার হাজার বৎসরের । এবারে আপনার প্রশ্নে ফেরা যাক। মানুষ সভ্যতা বিকশিত করাটা সর্ম্পূন ভাবে আল্রার কৃতিত্ব। এ কথাটি পুর্বেও বলেছি এখনও বলছি। প্রকৃতিই (আল্লার নিদের্শে) যুগে যুগে অতিন্দ্রিয় শক্তির মাধ্যমে মানব দেহে ঘটিয়েছে মিউটেশন। মানুষের উন্নয়নের সকল ক্ষেত্র একটি আকস্মিক পরিবর্তন ঘটে যায়। যেমন ধরুন কথা বলা শেখা। পোষাক আবিস্কারের পর থেকে শুরু হয় মানুষের কথা বলা বা কথা বলার পরিপূর্নতা অর্জন। এই সময় থেকেই মানুষের আরেকটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন ভাষার আবিস্কারের প্রচেস্টা শুরু হয়। এবং মানুষ ইশারা ইংগিত থেকে বা বিভিন্ন শিষ দেওয়া থেকে শব্দ আবিস্কার করতে থাকে এবং কথা বলা শুরু করে। আল কোরআন ঠিক অনুরুপ ভাবেই বলে “আমি তোমাদের কথা বলিতে শিখিয়েছি”। যার অর্থ দাড়ায় আল্লাই মানুষকে কথা বলিতে শিখিয়েছে। আল্লাহ তার প্রতিনিধি মানুষকে শিক্ষা দিতে যুগে যুগে হায়ার ডাইমেনশনের ফেরেস্তারা আসমান হতে এসেছে এবং আল্লার নির্দেশে একেকসময় একেক নবী রাসুলের মাধ্যমে মানবজাতিকে শিখিয়েছে। কিন্তু কথা বলা শেখা। এছাড়াও তিনি মানুষকে বয়ান বা কথা বলা শিখিয়েছেন। সূরা আর-রহমানে এসেছে: ‘‘দয়াময় আল্লাহ তিনিই শিক্ষা দিয়েছে কুরআন, তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনিই তাকে শিখিয়েছেন ভাব প্রকাশ করতে।’’ এবার আসি আমরা মানব জাতির কথা বলা প্রসঙ্গে।

বিশিষ্ট বিজ্ঞানী অধ্যাপক ফোলির মতে " মানুষের কথা বলার জন্য দায়ী এফওএক্সপিটু নামের একটি জিন। স্তন্যপায়ী প্রায় সকল প্রাণীর শরীরেই আছে এই জিন। কিন্তু মানবদেহে যেটি আছে সেটি এর রূপান্তরিত জিন," এই রূপান্তর গবেষণা করেও বোঝা যায় কেন মানুষ কথা বলতে পারে, কিন্তু শিম্পাঞ্জি পারে না। এমনকি নিয়ানডার্থালদের মধ্যে এই জিনটি পুং্খানুপুংখী ভাবে বিকশিত হয় নাই। মানুষের কথা বলার জন্য এই রুপান্তরিত জীনটি কৃতিত্ব বহন করছে। কথা বলা ও ভাষার বিকাশে এই জিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কারণ যেসব মানুষের শরীরে এই জিনটি রূপান্তরিত অবস্থায় থাকে না, তাদের কথা বলতে অসুবিধা হয়।" আর যাদের মধ্যে রুপান্তরিত অবস্থায় থাকে তারাই কথা বলতে পারে। কোন না কোন ভাবে কোন মিউটিশন মানব দেহে এই জীনটিকে রুপান্তরিত অবস্থায় পরিবর্তন করেছিলো। অতএব আল্লার কথাই সত্য আল্লাই মানুষকে কথা বলিতে শিখিয়েছে।

এবার আসি আল কোরআনের ভাষ্যগত মতে মানব জাতির লিখন পদ্ধতি শেখা। যে শিক্ষা মানব জাতি চুড়ান্ত উন্নয়নের শিখরে পৌছে দেয়। সেই লিখন পদ্ধতিও নাকি আল্লাহই মানুষকে শিখেয়েছে। আল কোরআনের এত বড় মাপের চ্যালেঞ্জ। নিশ্চয় যুক্তসংগত। নইলে এতবড় অহং বোধ নিয়ে মানবজাতিকে দেওয়া ঘোষনা অমূলক হয়ে পড়তো। আল কোরআনে সরাসরি বলছে “আল্রাহ মানুষ জাতিকে লিখিতে শিখিয়েছে যা মানুষেরা জানতো না। প্রকৃতপক্ষে মানুষের শ্রেষ্ঠ জীব হওয়ার মূলে যে বৈশিষ্ট্যটি খুবই গুরুত্বের দাবীদার তা হলো জ্ঞান। তিনি মানুষকে জ্ঞানের ভান্ডার দান করেছেন, শুধু তাই নয়, এ জ্ঞানের দ্বারাই মানুষ ফিরিশতাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। এ মর্মে তিনি ইশরাদ করেন: ‘‘পাঠ কর, আর তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।’’

প্রিয় পাঠক, হাইরোগ্রাফিক্স শব্দের অর্থ নিশ্চয় বোঝেন। যার বাংলা অর্থ পবিত্র বর্ণমালা। মিশরীয়রা জানে দেবতারা আকাশ থেকে এসে মানুষকে লিখতে শিখিয়ে দিয়ে গেছে। প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় হায়ারোগ্লিফকে 'মেদু নেতজার' নামে ডাকা হতো, যার অর্থ 'দেবতাদের শব্দ'। কারণ বিশ্বাস করা হতো যে লেখা সরাসরি দেবতাদের কাছ থেকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে। মিশরীয় পুরাণ অনুযায়ী, দেবতা 'থট' মিশরের বাসিন্দাদের মাঝে জ্ঞানের জ্যোতি ছড়িয়ে দেয়া এবং স্মৃতিশক্তিকে শান দিয়ে ধারালো করে তোলার জন্য তাদেরকে লিখন পদ্ধতি শিখিয়েছিল। কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন দেবরাজ 'রা'। তার মতে, মানবজাতিকে লিখন পদ্ধতি শিখিয়ে দেয়ার ফলে তাদের স্মৃতিশক্তি ক্রমশ লোপ পাবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে লোকমুখে কাহিনী ছড়িয়ে দেওয়ার অভ্যাসটাও সভ্যতা থেকে হারিয়ে যাবে মহাকালের গর্ভে। রা'র মতের বিরুদ্ধে গিয়েই থট মিশরীয়দের সবক দিয়েছিল লেখালিখির। বিভিন্ন চিত্র ব্যবহারের কারণে হেরোডোটাস সহ প্রাচীন গ্রিসের বহু বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ মনে করতেন, এগুলো ছিল ঈশ্বরের পবিত্র লিপি। কারণ, হায়ারোগ্লিফ শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ হায়ারো (পবিত্র) ও গ্লাইফো (লিখা) থেকে। কারন সময়কালে ঈশ্বরকে দেবতা থট নামে ডাকা হতো। আপনি যদি ইহুদী পুথি এনখের পুথি পড়েন তবে বুঝতেন ইহুদীদের প্রাচীন নবী যিনি আদমের পরে পৃথিবীতে এসেছিলেন। নাম তার এনখ। তিনি ঈশ্বরের তরফ থেকে লিখন পদ্ধতি পেয়েছিলেন। আকাশ থেকে ঈশ্বর প্রতিণিধি পাঠিয়ে তাকে লিখন পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছিলেন। আর এটি নাকি ঈশ্বরের তরফ থেকে মানুষের জন্য অসামান্য দান। এই এনখ কে খ্রিষ্টিয় ধর্মে এনখ নামেই অভিহিত করা হয়েছে। বাই বেলের ওল্ডটেষ্টামেন্টে এনখ নামেই তাকে ডাকা হয়। কিন্তু এই এনখ মুসলিম ধর্মে এসে ঈদ্রীস নাম পেলো। আল কোরআনে ঈদ্রীস আঃ কে নিয়ে ২ টি আয়াত রয়েছে। তবে হাদীসে ইদ্রিস আঃ সম্পর্কে অনেক কিছুই উল্লেখ আছে। বলা আছে- তিনিই প্রথম মানব যিনি কলমের দ্বারা লিখা ও কাপড় সেলাই আবিষ্কার করেছিলেন। তাঁর পূর্বে সাধারণতঃ মানুষ পোশাকের পরিবর্তে পশুর চামড়া বা গাছের পাতা বা ছাল ব্যবহার করতো। ওজন ও পরিমাপ পদ্ধতি সর্বপ্রথম তিনিই আবিষ্কার করেন এবং অস্ত্র-শস্ত্রের আবিষ্কারও তাঁর আমল থেকেই শুরু হয়। তিনিই অস্ত্র তৈরি করে তা দিয়ে কাবীল সন্ত্রাসী গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। সর্ব বিবেচনায় এখন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছা যায় যে, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও গণিত হলো আল্লাহর তরফ থেকে আসা ঐশী বাণী যা হযরত ইদ্রিস (আ:)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রথম বিকাশ ঘটে।

আমি আপনাকে মানুষের জ্ঞাত ২টি জ্ঞান অথাৎ কথা বলা শেখা ও লিখন পদ্ধতি শেখা সম্পরর্কে জানালাম। এই ২টি জ্ঞান সয়ং আল্লাহর তরফ থেকেই এসেছে। আজো অবধি যত জ্ঞান আসছে এই পৃথিবীকে সাজানোর জন্য। না বোধক চিন্তা একদিন হ্যা বোধক চিন্তায় পরিগনিত হবে। অথাৎ শেষ টা দেখবেন স্রষ্টার পক্ষের জ্ঞান অনেক বেশি।

আল কোরআন হলো ছাকনি। বিজ্ঞানের সঠিকত্বের ধারক।

১২ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



দুঃখিত! আপনার এই মন্তব্যটি পোস্ট প্রাসঙ্গিক কি না, আমার ঠিক বুঝে আসছে না। যা হোক, মন্তব্যে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.