![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মীদের করুণ পরিণতি: কারণ এবং প্রতিরোধের উপায় প্রতীকি ছবিটি এআই দ্বারা তৈরিকৃত।
সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসী হয়ে যাওয়া নারীরা এখানে নানা ধরনের শোষণের শিকার হন। তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নারী গৃহকর্মীদের করুণ পরিণতির কারণসমূহ
১. কাফালা ব্যবস্থা:
সৌদি আরবে প্রচলিত কাফালা (স্পন্সরশিপ) ব্যবস্থা গৃহকর্মীদের নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেয়। এই ব্যবস্থায় নিয়োগকর্তা তাদের পাসপোর্ট জব্দ করে রাখতে পারেন, ফলে তারা পালিয়ে যাওয়ার বা অন্যত্র কাজ খোঁজার সুযোগ পান না। এটা একরকম বন্দিত্বের জীবন যাপন করতে বাধ্য করে বিদেশী কর্মীদের। মালিকের মর্জির উপরে নির্ভর করে তাদের বাঁচা-মরা। অনেক মালিক গৃহকর্মীদের প্রতি নির্মম আচরণ করেন, এমনকি যৌন হয়রানিও করেন। অনেক ক্ষেত্রে, এসব নির্যাতনের শিকার নারীদের হত্যা করা হয় বা আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়। মালিক এমনই ক্ষমতাধর বনে যান যে, বিদেশী নারী গৃহকর্মীকে ধর্ষন করা তাদের জন্য ডালভাতের মত। কারণ, তারা জানেন, এদেরকে মেরে ফেললে সৌদি আইনে বিচার তেমন কিছুই হবে না। কিছু অর্থ খরচ করলেই স্বাভাবিক মৃত্যু দেখিয়ে পার পাওয়া রীতিমত রেওয়াজে পরিণত হয়েছে সৌদি সমাজে।
২. আইনের দুর্বল প্রয়োগ:
যদিও সৌদি সরকার শ্রম আইন সংস্কার করেছে, তবে বাস্তবে অনেক গৃহকর্মী এখনও শ্রম অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকেন। সৌদি আইনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে অনেক গৃহকর্মী সুবিচার পান না। অভিযোগ করলে অনেক সময় উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই মামলা হয়। স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও প্রবাসী নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। একটি কথা প্রচলিত রয়েছে, সৌদির আইন সৌদিদের রক্ষার জন্যই। বিদেশী যারা গৃহকর্মী হিসেবে দেশটিতে যান, এদেরকে সৌদি আরবের সমাজে যেমন স্রেফ ফকির মিসকিন হিসেবে ট্রিট করা হয়, দুঃখজনকভাবে আইন প্রয়োগকারী অধিকাংশ লোকের কাছেও অনেকটা তেমনই। উপেক্ষা, অবহেলা, অবজ্ঞা, লাঞ্চনা, বঞ্চনা ছাড়া ফকির মিসকিনরা আর কীইবা পেতে পারে? নিয়োগকর্তাদের অধিকাংশের নিকটেই এসব ফকির মিসকিনদের জীবনের দাম দুই পয়সাও থাকে না। এগুলো বাস্তব অভিজ্ঞতারই বয়ান।
৩. শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন:
নারী গৃহকর্মীরা প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। কিছু ক্ষেত্রে, তাদের দিনের পর দিন নির্যাতন করা হয়, অমানবিক কাজ করানো হয়, খাবার কম দেওয়া হয় এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ দেওয়া হয় না। নির্যাতনের চরম পর্যায়ে অনেক গৃহকর্মী গুরুতর আহত হন বা মৃত্যুবরণ করেন।
৪. প্রতারণামূলক চাকরির প্রস্তাব:
অনেক নারী কাজের প্রলোভনে মধ্যপ্রাচ্যে যান, কিন্তু বাস্তবে তাদের প্রতারণার শিকার হতে হয়। চাকরির বিজ্ঞাপনে উচ্চ বেতনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে তারা নামমাত্র বেতন পান এবং প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য হন। দালাল চক্রের মাধ্যমে অনেক নারীকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়, যারা পরে ভয়াবহ শোষণের শিকার হন।
৫. ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য:
অনেক নারী গৃহকর্মী স্থানীয় ভাষা না জানার কারণে নিজেদের সমস্যাগুলো কাউকে বোঝাতে পারেন না। ফলে তারা একরকম নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করতে বাধ্য হন এবং তাদের কষ্টের কথা প্রকাশ করতে পারেন না। এ কারণে নির্যাতনের শিকার হলেও তারা আইনগত সাহায্য নিতে পারেন না।
কীভাবে এই পরিস্থিতির উন্নতি করা সম্ভব?
১. কাফালা ব্যবস্থার সংস্কার বা বিলোপ:
শ্রমিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে নিকৃষ্ট কাফালা ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করা প্রয়োজন। শ্রমিকদের চাকরি পরিবর্তনের স্বাধীনতা দিতে হবে এবং তাদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সৌদি সরকারকে এমন আইন প্রণয়ন করতে হবে, যা গৃহকর্মীদের ওপর নিয়োগকর্তার অতিরিক্ত ক্ষমতা কমিয়ে আনবে। নিয়োগকর্তার নিকট থেকে গৃহকর্মীদের জীবন মৃত্যুর মালিকানার তথাকথিত ক্ষমতা কেড়ে নিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। বিদেশী গৃহকর্মী, যারা অর্থোপার্জনের জন্য সৌদি আরবে গমন করে থাকেন, নিয়োগকর্তাদেরকে এটা বুঝতে দিতে হবে যে, তারাও মানুষ। এই ভাব ও ভাবনা তাদেরকে শেখানোর দায়িত্ব সৌদি সরকারকে অবশ্যই নিতে হবে।
২. সৌদি সরকারের আরও কঠোর আইন প্রণয়ন:
গৃহকর্মীদের সুরক্ষা দিতে আরও কঠোর শ্রম আইন এবং তার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার সুযোগ অবারিত রাখতে হবে। যাতে গৃহকর্মীগণ নির্যাতিত হওয়ার সাথেসাথেই অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেন।
৩. উৎস দেশগুলোর ভূমিকা:
বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, কেনিয়া, ইথিওপিয়ার মতো দেশগুলোর উচিত শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত নীতিমালা গ্রহণ করা এবং বিদেশে কাজ নেওয়ার আগে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিদেশে কর্মী পাঠানোর আগে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রদান করা প্রয়োজন, যাতে তারা প্রতারণার ফাঁদে পা না দেন।
৪. আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ভূমিকা:
জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো সৌদি আরবের প্রতি চাপ প্রয়োগ করতে পারে, যাতে তারা গৃহকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। আন্তর্জাতিক মহলকে এই ইস্যুতে আরও সক্রিয় হতে হবে এবং সৌদি আরবের ওপর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
৫. ভুক্তভোগীদের জন্য সহায়তা কেন্দ্র:
সৌদি আরবে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের দূতাবাসগুলোকে আরও কার্যকরভাবে গৃহকর্মীদের জন্য সহায়তা প্রদান করতে হবে। নির্যাতিত নারীদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে, যেখানে তারা নিরাপদ আশ্রয় ও আইনি সহায়তা পাবেন।
৬. গণসচেতনতা বৃদ্ধি:
সৌদি আরবে কর্মরত নারী গৃহকর্মীদের অধিকার সম্পর্কে স্থানীয় জনগণ ও বিশ্ববাসীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া, সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে এই বিষয়টি তুলে ধরতে হবে, যাতে বিশ্ব সম্প্রদায় এ বিষয়ে সোচ্চার হয়।
উপসংহার
নারী গৃহকর্মীদের প্রতি সৌদি আরবে যে নির্যাতন চলছে, তা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এটি বন্ধ করতে হলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, শ্রম আইন সংস্কার এবং সচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে।
২০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আর ইসলামে দাসীকে লাগানো জায়েজ আছে।
-বর্বরতা আর মিথ্যাচারে আপনিও সৌদি আরবের তথাকথিত নির্যাতনকারী কাফালাদের চেয়ে একটুও কম নন। সুযোগ পেলেই ইসলাম নিয়ে বিষোদগার শুরু করে দেন। ইসলামে দাস দাসী প্রথার অস্তিত্বই তো এখন আর নেই। তো, আপনি এগুলো স্বপ্নে দেখেন কোত্থেকে? স্বপ্নে দেখা বয়ান আমাদেরকে শোনানোর প্রয়োজন নেই।
নামের আগে "মোহাম্মদ" তো লাগিয়েছেন পুরোপুরিই। ভেকধারী শয়তানের চেয়ে সত্যিকারের শয়তান হাজার গুণে ভালো।
২| ২০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।
২০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, ধন্যবাদ। মিছামিছি কথা বলাটা দয়া করে বন্ধ করেন। ঘুরেফিরে কুমিরের রচনার মত ইসলাম ধর্মের নামে বিষোদগারই যদি হয়ে থাকে একমাত্র কাজ সেখানটাতে আর বলার কিছু থাকে না।
দেখুন, আপনিসহ ব্লগের অনেকেই আমাকে ইসলাম ধর্মের বিবিধ বিষয়ের প্রতি অনুরক্ত একজন শিক্ষার্থী/ লেখক হিসেবেই জানেন। আমি আসলেও তাই। আমার সেই অবস্থান থেকেও আমি সৌদি আরবের কঠোর সমালোচনা করে এই পোস্ট লিখতে একটুও ছাড় দিইনি। পক্ষপাতিত্ব করিনি বা ইসলামের আঁতুর ঘর বলে সৌদির সমালোচনা থেকে একটু সরেও আসিনি। আগেও এটা করেছি। এই পোস্ট পাঠের পরে অন্ততঃ এই বিষয়টি হলেও আপনার চোখে পড়তে পারতো।
আপনি রেগে যাননি বলে আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করি, প্রথম মন্তব্যটিতে ব্যথিত হবেন না।
৩| ২০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:০৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে নারীদের সাথে যা করা হয় তা মধ্যযুগের বর্বরতাকেও হার মানায়, ওখানে একজন পুরুষ কর্মীর যেতে যেখানে ৫/৬ লাখ টাকা খরচ হয় আর নারীদের সেখানে যাবতীয় খরচ সহ উল্টো ৫০ হাজার টাকা হাত খরচ দিয়ে নিয়ে যায়, এ যেন টাকা দিয়ে দাসী কিনে নেওয়া।
পুরুষ কর্মীদের সাথেও তারা পশুতুল্য আচারণ করে, বিশেষ করে বাংলাদেশীদের সাথে।
২০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
একদম সঠিক বলেছেন। এই অমানবিকতার দেয়াল ভেঙ্গে চুড়ে গুড়িয়ে দিতে হবে। এটি সত্যিই দুঃখজনক যে অনেক দেশে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে, নারী এবং পুরুষ কর্মীদের সাথে এই ধরনের বৈষম্যমূলক এবং অমানবিক আচরণ করা হয়। এমন আচরণ মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং সভ্যতার প্রতি চরম অবমাননা। মধ্যপ্রাচ্যে গৃহকর্মী এবং শ্রমিকদের জন্য এসব পরিস্থিতি অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে, বিশেষ করে নারীদের জন্য, যারা তাদের কর্মক্ষেত্রে অত্যাচার এবং শোষণের শিকার হন। নারীদের কাজে যাওয়ার খরচ নিয়ে যে তুলনা করা হয়েছে, তা এমন এক পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয় যেখানে নারীরা অর্থের বিনিময়ে দাসী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে—এটি একটি অমানবিক প্রথা, যা সারা বিশ্বে সমালোচিত।
পুরুষ কর্মীদের সাথে যে আচরণ করা হয়, তা অত্যন্ত অবমাননাকর এবং নারীদের সাথে যে বৈষম্য করা হয়, তাও সমানভাবে বিপজ্জনক। বাংলাদেশের শ্রমিকদের সাথে এই ধরনের আচরণ এবং শোষণ আরও উদ্বেগজনক, কারণ এটি সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের প্রতি অসম্মান এবং দুর্ব্যবহার।
এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে, কঠোর আইন এবং কার্যকরী নীতি প্রণয়ন জরুরি। মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং সকল মানুষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
৪| ২০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১১
রানার ব্লগ বলেছেন: সাউদিতে নারী কর্মী পাঠাতে হলে সৌদির কফিলদের চাহিদা মোটাবেক পাঠাতে হবে । এটাই তাদের নিয়ম । এখানে আমরা অসহায় ।
২০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
এটি সত্যিই একটি দুর্ভাগ্যজনক এবং অবমাননাকর পরিস্থিতি, যেখানে নারী কর্মী পাঠানোর জন্য সৌদির কফিলদের চাহিদার ওপর নির্ভর করতে হয়। এই ধরনের ব্যবস্থাপনা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও শোষণের একটি নির্দিষ্ট রূপ। সৌদির কফিল সিস্টেমে যে সকল সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা শুধু নারীদের জন্য নয়, পুরুষ কর্মীদের জন্যও অত্যন্ত কষ্টকর এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের জীবনের মান কমিয়ে দেয়।
যদিও কিছু দেশ শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত রাখার জন্য আইন প্রণয়ন করেছে, তবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। আমরা যে অসহায়, সেটা বুঝতে পারি, কিন্তু এই অবস্থা পরিবর্তন করতে একসাথে কাজ করা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং একে অপরকে সমর্থন দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের সমাজে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এমন অবস্থা পরিবর্তনের জন্য সামাজিক আন্দোলন এবং সরকারের তরফ থেকে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন, যেন কর্মী ও তাদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
৫| ২০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৪০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সৌদি আরবে সকল বাংলাদেশী মিলে একটা সংগঠন করা যেতে পারে যেখানে বাংলাদেশীদের স্বার্থ রক্ষা হবে। এ রকম কোন সংগঠন আছে কি না আমার জানা নেই তবে এটা করতে পারলে অনেক ভালো হবে।
আদম ব্যাপারীদের ক্ষপ্পরে পরে বহু বাংলাদেশী সৌদী আরবে মানবেতর জীবন যাপন করছে, আমার পরিচিতও আছে কয়েকজন। আদম ব্যবসায়ীদের অনেক শক্ত রেগুলেশনের আওতায় আনতে হবে, তাহলে এ সমস্যা থেকে কিছুটা নিস্তার পাওয়া যাবে।
২০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার প্রস্তাবটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী। সৌদি আরবে বাংলাদেশীদের জন্য একটি সংগঠন গঠন করা হলে, তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত হতে পারে এবং আদম ব্যবসায়ীদের শোষণ থেকেও মুক্তি মিলতে পারে। এমন একটি কার্যকর সংগঠন করতে পারলে বাংলাদেশীদের নিরাপত্তা ও অধিকার অনেকাংশে উন্নত হতে পারে। একইসাথে আদম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এই সমস্যা কিছুটা সমাধান হতে পারে।
মূল্যবান মতামতের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন।
৬| ২০ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:০৮
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: বাংলাদেশের নারী গৃহকর্মীদের প্রতি সৌদি আরবের এমন অমানবিক আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর থেকে গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করা নারীদের জন্য বেশি সম্মানজনক, কারণ সেখানে তারা আত্মসম্মান বজায় রেখে পরিশ্রমের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারেন এবং আইনের সুরক্ষা পান। কিন্তু সৌদিতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে অনেক নারী শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হন, যেখানে কার্যকর আইনি সুরক্ষার সুযোগ প্রায় নেই। এ ব্যবস্থার দ্রুত সংস্কার করা জরুরি।
২০ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, আপনি ঠিক বলেছেন। সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মীদের প্রতি অমানবিক আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করা নারীদের জন্য বেশি সম্মানজনক, কারণ সেখানে তারা আইনি সুরক্ষার আওতায় থাকেন। সৌদিতে গৃহকর্মীদের ওপর নির্যাতন রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ ও আইনি সংস্কার প্রয়োজন।
শুভকামনা জানবেন।
৭| ২০ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: নৈতিক এবং মানবিক প্রবৃত্তির পরিবর্তন না হলে এই জাহেলিয়াত থেকে রক্ষা নাই।
২০ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
সম্পূর্ণভাবে একমত। নৈতিক ও মানবিক প্রবৃত্তির পরিবর্তন ছাড়া এই জাহেলিয়াত থেকে মুক্তি সম্ভব নয়। সামাজিক সচেতনতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই একমাত্র পথ।
শুভকামনা জানবেন।
৮| ২০ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২৫
নকল কাক বলেছেন: সরকারকে এই ব্যপারে ব্যবস্থা নিতে হবে।
২০ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
অবশ্যই নেওয়া উচিত। আপনার সাথে সম্পূর্ণ সহমত।
শুভকামনা জানবেন।
৯| ২০ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৮
নতুন বলেছেন: এসব নির্যাতনের শিকার নারীদের হত্যা করা হয় বা আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়। মালিক এমনই ক্ষমতাধর বনে যান যে, বিদেশী নারী গৃহকর্মীকে ধর্ষন করা তাদের জন্য ডালভাতের মত। কারণ, তারা জানেন, এদেরকে মেরে ফেললে সৌদি আইনে বিচার তেমন কিছুই হবে না। কিছু অর্থ খরচ করলেই স্বাভাবিক মৃত্যু দেখিয়ে পার পাওয়া রীতিমত রেওয়াজে পরিণত হয়েছে সৌদি সমাজে।
সৌদি আবরেই ১০০% শরিয়া আইন বাস্তবায়ন আছে।
আমাদের দেশে শরিয়া আইন বাস্তাবায়নের জন্য অনেক মানুষ উতালা হয়ে আছে।
গৃহকর্মীদের ধর্ষন এবং তাদের সাজা না হওয়া কি শরিয়া আইনের বাস্তব অবস্থার প্রমান দেয় না?
২০ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
সৌদি আবরেই ১০০% শরিয়া আইন বাস্তবায়ন আছে।
-নামকাওয়াস্তে শরিয়া আইন থাকার চেয়ে না থাকা ভালো। শরিয়া আইন থাকলেই হবে না, সেই আইন প্রয়োগের মত সৎ, যোগ্য এবং ন্যায়নিষ্ঠ মানুষেরও প্রয়োজন রয়েছে।
আমাদের দেশে শরিয়া আইন বাস্তাবায়নের জন্য অনেক মানুষ উতালা হয়ে আছে।
-অসুবিধা কী? যার যেটা পছন্দ, সে সেটা চাইতেই পারে। এটাই তো গণতন্ত্র! এখানেই তো গণতান্ত্রিক অধিকারের স্বার্থকতা!
গৃহকর্মীদের ধর্ষন এবং তাদের সাজা না হওয়া কি শরিয়া আইনের বাস্তব অবস্থার প্রমান দেয় না?
-সৌদি আরব বা অন্য কোনো দেশকে মডেল ধরে শরিয়া আইন ভালো কি মন্দ সেটা বিচার করার সুযোগ বর্তমান পৃথিবীতে আছে বলে মনে করি না।
ধন্যবাদ।
১০| ২০ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫
নতুন বলেছেন: একটা আইডিয়া ভালো কিন্তু তার বাস্তব প্রয়োগ বর্তমান বিশ্বে নাই। সৌদি, ব্রুনাই, আফগানস্থান, সোমালিয়া, ইরানে নামে শরিয়া আইন যারা বাস্তবায়ন করে চাচ্ছে তারাই সুলতান, সম্রাট হয়ে সকল ক্ষমতা নিয়ে বসে আছে।
সৌদি আবর বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শরিয়া আইন থেকে শিথিল হতে বাধ্য হচ্ছে।
সেখানে শরিয়া আইন আমাদের দেশে যারা চাইছে তারা কতটুকু বুঝে চাইছে সেটা বুঝতে চাইছি।
২১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গভীর বিশ্লেষণের দাবি রাখে। বাস্তবে শরিয়া আইন নিয়ে যারা কথা বলেন, তাদের অনেকে এর প্রকৃত প্রয়োগ ও বাস্তবতা সম্পর্কে সচেতন নন। ইতিহাস ও বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যেসব দেশ শরিয়া আইন বাস্তবায়নের দাবি করে, সেগুলোর বেশিরভাগেই ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ঘটে এবং শাসকগোষ্ঠী একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। এর ফলে প্রকৃত ন্যায়বিচারের পরিবর্তে শাসকদের ইচ্ছানুযায়ী আইন প্রয়োগের প্রবণতা দেখা যায়।
সৌদি আরবের মতো দেশও বর্তমানে আধুনিক বিশ্বের চাপে এবং অর্থনৈতিক বাস্তবতার কারণে শরিয়া আইনের অনেক কঠোর দিক শিথিল করছে। নারীদের অধিকার, বিনোদন, ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন—এসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ, কেবলমাত্র কঠোর আইন বা ধর্মীয় বিধিনিষেধ দিয়ে একটি রাষ্ট্র টেকসই হতে পারে না; বাস্তবতা, অর্থনীতি ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়।
আমাদের দেশে শরিয়া আইন বাস্তবায়নের দাবি যারা করছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো শরিয়া আইনের প্রকৃত রূপরেখা, এর ইতিহাস, বিশ্বে এর কার্যকারিতা ও অপব্যবহার সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখেন না। শরিয়া আইন কেবল দণ্ডবিধির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক ভারসাম্য এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই শরিয়া আইনকে শুধুমাত্র কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করা হয়, যা প্রকৃত শরিয়ার মূল উদ্দেশ্য নয়।
তাই প্রশ্ন উঠছে—আমাদের সমাজে শরিয়া আইনের দাবিদাররা আসলে কতটা বাস্তবসম্মত চিন্তা করছেন? কেবল আবেগ দিয়ে নয়, বরং বাস্তবতা, ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধের আলোকে বিষয়টি বিশ্লেষণ করা উচিত। অন্যথায়, এটি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে থাকবে, যা প্রকৃত ন্যায়বিচারের পরিবর্তে ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
ধন্যবাদ।
১১| ২০ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৬
নতুন বলেছেন: দুবাইতে একটা ভালো ব্যবস্থা শুরু হয়েছে।
গৃহকর্মী দের সরবরাহ করে কিছু কম্পানি। তারা ভিসা করে দেয়। বাড়ী ওয়ালা শুধুই বেতন ঐ কম্পানিকে।
এমন করলে বাড়ীর কর্তারা নির্যাতন করতে পারবেনা।
২১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো ব্যবস্থা, যা গৃহকর্মীদের সুরক্ষা দেবে এবং শোষণ কমাবে। নিয়োগকারী কোম্পানি দায়িত্ব নেওয়ায় বাড়ির মালিকদের হাতে নির্যাতনের সুযোগ কমে যাবে, আর কর্মীরাও ন্যায্য অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন। এমন উদ্যোগ অন্যান্য দেশেও বাস্তবায়ন করা উচিত। বিশেষ করে সৌদি আরবে এই নিয়ম অচিরেই কার্যকর করা হলে অসংখ্য প্রবাসী গৃহকর্মীদের জীবন বেঁচে যাবে।
১২| ২০ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: সৌদিরা হারামি।
২১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
সব মানুষকে এককভাবে খারাপ বলা ঠিক নয়। সৌদি আরবে যেমন কিছু মানুষের আচরণ অন্যায়ের হতে পারে, তেমনি সেখানে অনেক ভালো মানুষও আছেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে, তবে ন্যায়ের স্বীকৃতিও দেওয়া উচিত।
১৩| ২০ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১২
কামাল১৮ বলেছেন: তারা কোরান মেনে করে।কোরানে দাসির সাথে সহবত নিষিদ্ধ না।নবীর দাসি ছিলো এবং তার ঘরে বাচ্চা ছিলো।
২১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
এই মন্তব্যটি ইসলাম সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ইসলামে দাসপ্রথা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, এবং দাসদের প্রতি সদয় আচরণ ও তাদের মুক্তির জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে।
রাসূল (সা.) দাসদের সাথে সর্বোচ্চ মানবিক ও ন্যায়সংগত আচরণ করতেন এবং দাসপ্রথা বিলুপ্তির পথ প্রশস্ত করেছিলেন। ইসলামের ইতিহাস বিকৃত করে, বিদ্বেষ ছড়িয়ে, অর্ধসত্য প্রচার করে কেউ সত্যকে বদলাতে পারবে না।
১৪| ২১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:২৯
মুনতাসির রাসেল বলেছেন: ওদের দরকার যৌনদাসী আর আমরা পাঠাই কাজের বুয়া।
২১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
অতিরঞ্জন এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই। বাস্তবতা হলো, অনেক নারী কর্মী জীবিকার তাগিদে বিদেশে গৃহকর্মী হিসেবে যান। তবে, কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে তারা কোনো ধরনের শোষণ বা নির্যাতনের শিকার না হন।
সরকারি পর্যায়ে আরও কঠোর নজরদারি, শ্রম অধিকার সুরক্ষা, এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করাই এ সমস্যার সমাধান হতে পারে। বাস্তব সমস্যা সমাধানে গঠনমূলক আলোচনা দরকার, অযথা বিদ্বেষ ছড়ানো নয়।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:১৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
শ্রমদাসত্ব করার জন্য নারীদেরকে কেন পাঠানো হয়?
সেখানে কফিলরা নারীদেরকে দাসী মনে করে।
আর ইসলামে দাসীকে লাগানো জায়েজ আছে।