![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
গণমাধ্যমে হেফাজতের বিবৃতি—‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার কুশপুত্তলিকার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই’ ছবিঃ এআই দ্বারা তৈরিকৃত।
২০২৫ সালের ৩ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হেফাজতে ইসলামের একটি মহাসমাবেশের সময় রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা’ লেখা একটি কুশপুত্তলিকা ঝুলানোর ঘটনা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কিছু গণমাধ্যম এবং গোষ্ঠী এই ঘটনার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুললেও, সংগঠনটি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। ৪ মে, ২০২৫ তারিখে জারি করা একটি বিবৃতিতে হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান এই ঘটনার জন্য ‘জাগ্রত জুলাই’ নামক একটি পক্ষকে দায়ী করেছেন এবং সেক্যুলার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়া, হেফাজত নারীর অধিকার রক্ষায় তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং আগামী তিন মাসে এ বিষয়ে বিভাগীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে ১ মে, ২০২৫ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘জাগ্রত জুলাই’ নামক একটি পক্ষ ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা’ লেখা কুশপুত্তলিকাটি ঝুলিয়েছিল। এই ঘটনাটি হেফাজতের ৩ মে’র মহাসমাবেশের আগেই ঘটেছিল এবং সমাবেশস্থলের বাইরে অবস্থিত ছিল। তিনি বলেন, “এটি জনতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মাত্র, এবং এর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই।”
আল্লামা সাজিদুর রহমান আরও অভিযোগ করেন যে কিছু সেক্যুলার গোষ্ঠী এবং গণমাধ্যম ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনার সঙ্গে হেফাজতকে জড়িয়ে তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “যারা আমাদের বিরুদ্ধে নারীবিদ্বেষের অপপ্রচার চালাচ্ছে, তারা জুলাই বিপ্লবের শত্রু এবং ফ্যাসিস্ট শাসনের সমর্থক।” তিনি আরও জানান, হেফাজতের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে, এবং অতীতে সরকারি বাহিনী তাদের সমাবেশে হামলা করে সহিংসতার দায় চাপিয়েছিল।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ‘The Dacca’ নামক একটি ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত একটি সংবাদে জানা গেছে, ‘জাগ্রত জুলাই’ নামে স্টিকার-লাগানো একটি স্ট্যান্ডে কুশপুত্তলিকাটি ঝুলানো হয়েছিল। এটি ইঙ্গিত দেয় যে জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে এই কাজটি করেছিল। হেফাজতের দাবি, তাদের সমাবেশের সঙ্গে এই ঘটনার কোনো সংযোগ নেই, এবং এটি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভের ফল। এই ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিভাজনের একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে ধর্মীয় এবং সেক্যুলার গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উত্তেজনা প্রায়ই সামনে আসে।
হেফাজতের বিবৃতির একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো নারীর অধিকার ও সম্মান রক্ষায় তাদের প্রতিশ্রুতি। আল্লামা সাজিদুর রহমান ঘোষণা করেছেন যে আগামী তিন মাসের মধ্যে হেফাজত বিভাগীয় সম্মেলন এবং প্রচারণার মাধ্যমে নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে। তিনি বলেন, “আমরা ইসলামী মূল্যবোধ এবং আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আলোকে নারীর সম্মান ও অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা নারীর প্রতি ঘৃণা বা অসম্মান সমর্থন করি না।”
তিনি বর্তমান নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, "এটি ধর্মপ্রাণ নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং বিজ্ঞ আলেম-ওলামাদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ নেয়নি।" হেফাজতের এই পদক্ষেপ তাদের ইমেজ পুনর্গঠনের একটি কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে অতীতে নারীবিরোধী অভিযোগের প্রেক্ষাপটে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১১ সালে নারী উন্নয়ন নীতিমালার বিরোধিতা করে হেফাজত সমালোচিত হয়েছিল, এবং এই নতুন ঘোষণা তাদের অবস্থান পরিবর্তনের একটি প্রচেষ্টা হতে পারে।
মূলকথা, হেফাজতে ইসলাম স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ঝুলানো ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা’র কুশপুত্তলিকার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা এই ঘটনার জন্য ‘জাগ্রত জুলাই’ নামক একটি পক্ষকে দায়ী করেছে এবং সেক্যুলার গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলেছে। এছাড়া, হেফাজত নারীর অধিকার রক্ষায় তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং আগামী তিন মাসে এ বিষয়ে বিভাগীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক দৃশ্যপটের জটিলতাকে উদঘাটন করে, যেখানে ধর্ম এবং রাজনীতির মধ্যে সংঘাত প্রায়ই সামনে আসে।
তথ্যসূত্রঃ ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার কুশপুত্তলিকার সঙ্গে হেফাজতের কোনো সম্পর্ক নেই’
ইচ্ছে করলে দেখে আসতে পারেন নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন- নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন
০৫ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
পেতেও পারে, তবে আপনি যেহেতু দেশে নেই, যামিনী সুধাও রাতের অন্ধকারে অদৃশ্য - এই অবস্থায় ভয় আর কাকে দেখে পেতে পারে, সেটাই প্রশ্ন!
২| ০৫ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: একটা পুরনো ছবিকে হেফাজতের নামে মিথ্যাচারীরা চালিয়ে দিচ্ছে!
০৫ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
মিথ্যাবাদীরা এভাবেই মিথ্যা ন্যারেটিভ তৈরি করে স্বৈরতান্ত্রিক আচরণে অভ্যস্ত ছিল বিগত দীর্ঘ বছর যাবত। মিথ্যাই ছিল ওদের শোষনের অন্যতম অস্ত্র। পলাতকদের এই ঘোর দুর্দিনে তারা তাদের পুরনো অভ্যাস আরও বেশি প্রয়োগ করবে- এটাই স্বাভাবিক।
৩| ০৫ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: হেফাজতিরা স্বহস্তেই শত্রুদের হাতে বিতর্কের সুযোগ করে দিয়েছে। লাখ লাখ লোকের সমাবেশ ঘটিয়েছে নারী কমিশন বাতিল করতে !! নারী কমিশনে যে বিষয়গুলোতে তাদের যেসব আপত্তি রয়েছে তা মিডিয়ায় জানালেই চলত। তাদের সমাবেশ করা দরকার ছিল শাপলা চত্বরে গনহত্যার বিচারের দাবীতে। আসলে এইসব ভন্ড বকধার্মিকদের কাছ থেকে আর কি বা আশা করা যায় ! শাপলা চত্বরে নিহত এতিমদের রক্তের উপড় দাড়িয়ে এরা শেখ হাসিনাকে কওমি জননী উপাধি দিয়েছিল।
০৫ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি যথার্থই বলেছেন—যে শক্তি একসময় শাপলা চত্বরে ঘটে যাওয়া গণহত্যার প্রতিবাদে সোচ্চার ছিল, তারা যদি আজ ঠিক সেই ঘটনার বিচার দাবিতে একই রকম একটি জনসমাবেশ করত, তবে তা হতো যথার্থ ও ফলপ্রসু।
নারী কমিশন বাতিলের দাবিতে বিশাল জনসমাবেশ না করে, তারা যদি কঠোর ভাষায় স্পষ্ট ও প্রভাবশালী মিডিয়া বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতো, তাহলেও লক্ষ্য পূরণ সম্ভব ছিল। এত বড় একটি সুসংগঠিত জনসমাবেশ যদি শাপলা চত্বরে নিহত নিরপরাধ আলেম-ছাত্রদের হত্যার বিচারের জন্য অনুষ্ঠিত হতো, তবে তা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও নৈতিকতার উচ্চস্তরে অবস্থান করত।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা দেখেছি—সেই রক্তাক্ত ইতিহাসের পৃষ্ঠায় দাঁড়িয়েই ‘কওমি জননী’ উপাধি দিয়ে শেখ হাসিনার হাতে স্বীকৃতি তুলে দেওয়া হয়েছিল। তখনই সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছিল—হেফাজতের প্রকৃত অবস্থান কী? তারা আদৌ শহীদদের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী, নাকি সুবিধাবাদীদের দোসর হয়ে উঠেছে?
স্বীকার করতেই হবে, এই নিকৃষ্ট নাটকের পেছনে ছিল মুষ্টিমেয় কিছু সুযোগসন্ধানী সুবিধাবাদী গোষ্ঠী। অধিকাংশ হেফাজত নেতাকর্মী ও তৃণমূল সমর্থকদের মতামতকে তোয়াক্কা করা হয়নি।
তাই, যদি হেফাজতের রাষ্ট্রের কাছে পেশ করার মতো কোনো বৈধ দাবি থাকে, তাহলে তা হওয়া উচিত শাপলা চত্বরের গণহত্যার নিরপেক্ষ বিচার। এটাই তাদের প্রকৃত নৈতিক দায় এবং শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৪| ০৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা।
০৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি পলাতক মিথ্যাবাদীদের জয়গান করতে থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:৩০
কামাল১৮ বলেছেন: ভয় পেয়েছে মনে হয়।