![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
মানবিক করিডোর: আশীর্বাদ না অভিশাপ? ছবি, এআই দ্বারা তৈরিকৃত।
রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটি নিরাপদ ত্রাণপথ বা "মানবিক করিডোর" স্থাপন নিয়ে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক আলোচনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা রাখাইনে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে যেমন আলোচনা চলছে, তেমনি উঠছে নানা প্রশ্ন—এই করিডোর সত্যিই মানবতার আশীর্বাদ হবে, নাকি বাংলাদেশের জন্য একটি কৌশলগত অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে?
কী এই "মানবিক করিডোর"?
"মানবিক করিডোর" বলতে বোঝানো হয় একটি নিরাপদ ও নিরপেক্ষ পথ, যা সাধারণত যুদ্ধ বা সংকটপূর্ণ এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো বা বেসামরিক মানুষ সরিয়ে নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে, সব পক্ষের সম্মতিতে এমন করিডোর পরিচালিত হয়, যেখানে মানবিকতা, নিরপেক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করাই মূল শর্ত।
বাংলাদেশের অবস্থান
বাংলাদেশ সরকার নীতিগতভাবে মানবিক করিডোরে সম্মত হলেও তাতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
ত্রাণ বিতরণে কোনো জাতিগত বৈষম্য চলবে না।
সহায়তা হতে হবে শর্তহীন ও নিরপেক্ষ।
রাখাইনে যুদ্ধবিরতি ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
জাতিসংঘের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ত্রাণ পরিবহন ও বিতরণ পরিচালিত হতে হবে।
সম্ভাব্য সুফল
বিশ্লেষকদের মতে, এই করিডোর বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে আবারও স্বীকৃতি পাবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর সহযোগিতা বাড়তে পারে, যা কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে উপকারী হবে।
রাখাইনে সহায়তা পৌঁছালে অঞ্চলটির অস্থিতিশীলতা কমতে পারে। এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি, করিডোর পরিচালনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বা সাহায্য বাংলাদেশের স্থানীয় অর্থনীতিতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে।
বিপদের আশঙ্কা
তবে এই উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছে বড় ধরনের ঝুঁকি। বিশেষ করে, রাখাইনের বড় অংশ বর্তমানে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে থাকায় করিডোর ব্যবহার হয়ে উঠতে পারে জটিল ও বিপজ্জনক। ত্রাণ সরবরাহ যদি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে পড়ে, তবে বাংলাদেশ অনিচ্ছাকৃতভাবে মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। অতীতের উদাহরণ (যেমন গাজা, ইউক্রেন, সিরিয়া) থেকে দেখা গেছে, অনেক সময় মানবিক করিডোর সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে।
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক সংস্থার স্থায়ী উপস্থিতি জাতীয় সার্বভৌমত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলছে অনেক রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষক। বিরোধী দল বিএনপি এবং বিভিন্ন নাগরিক সমাজ করিডোরকে “সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
ভূ-রাজনৈতিক চাপ
রাখাইন অঞ্চলকে ঘিরে চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ও রাশিয়ার কৌশলগত আগ্রহ রয়েছে। এই করিডোর ব্যবস্থায় বাংলাদেশ কোন পক্ষের ঘনিষ্ঠ হয়, সেটি ভেবে ওজন করে পদক্ষেপ না নিলে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে জটিলতা তৈরি হতে পারে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র করিডোরে আগ্রহ দেখালেও চীনের অবস্থান নিয়ে স্পষ্টতা নেই, যা বাংলাদেশের জন্য কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করাকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
অতীত অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের জন্য সতর্কতা
বিশ্বে অনেক মানবিক করিডোর ব্যর্থতার ইতিহাস বহন করে। আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার লাচিন করিডোর, বসনিয়ার সারায়েভো করিডোর বা সিরিয়ার ঘৌতা করিডোর তেমনই কিছু দৃষ্টান্ত, যেখানে মানবিক করিডোর সামরিক করিডোরে পরিণত হয়েছে।
পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য—আফগানিস্তানে করিডোর দেওয়ার পর সেই অঞ্চল হয়ে উঠেছিল সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি, যা পরবর্তীতে পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই ঝুঁকি নাকচ করা যায় না।
বাংলাদেশের করণীয়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করিডোর বাস্তবায়নের আগে সরকারকে চাই স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ। রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি জাতীয় কৌশল প্রণয়ন প্রয়োজন।
জাতিসংঘের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধান ছাড়া করিডোর পরিচালনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ত্রাণ যাতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে না পড়ে, সেজন্য কঠোর নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
উপসংহার
মানবিক করিডোর, একদিকে যেমন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য একটি নতুন দরজা খুলে দিতে পারে, তেমনি অদূর ভবিষ্যতে নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, এবং কূটনৈতিক ভারসাম্যের মারাত্মক পরীক্ষায় ফেলতে পারে বাংলাদেশকে। ফলে করিডোর বাস্তবায়নে প্রয়োজন অত্যন্ত সতর্ক কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ, এবং সর্বোপরি—জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া।
০৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্য। আসলে এই ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে দেখা উচিত আমাদের দেশের স্বার্থ। দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব যাতে হুমকিতে না পড়ে সেই দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
২| ০৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৪
আমি নই বলেছেন: ত্রান সহায়তার জন্য মানবিক করিডোর দেয়া যেতেই পারে তবে প্রধান শর্ত হওয়া উচিৎ ছিল, কোনো প্রকার সামরিক সরন্জাম বহন নিষেধ, সম্ভব হলে বাংলাদেশে স্ক্যান করে করে ত্রান ছার করার ব্যাবস্থা করা।
০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য। আপনি যে ত্রাণ সহায়তার জন্য মানবিক করিডোর দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা ও নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন, তা অত্যন্ত বাস্তবসম্মত। সামরিক সরঞ্জাম বহন নিষিদ্ধ করা এবং স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে ত্রাণ ছাড়ের প্রস্তাব নিঃসন্দেহে একটি দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি। যদিও বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি যে, আমি ব্যক্তিগতভাবে মানবিক করিডোরের বিরুদ্ধে। তবে, আপনার মতামতের যুক্তিগুলো বিবেচনাযোগ্য এবং এই বিষয়ে আরও গভীর ভাবনার দ্বার উম্মুক্ত করে। আলোচনা চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন—ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও গঠনমূলক মতামতের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। আলোচনার মাধ্যমেই সঠিক এবং উপকারী সিদ্ধান্তের দরজা খুলে যেতে পারে।
৩| ০৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:০৭
যামিনী সুধা বলেছেন:
আপনি ইহার পক্ষে, নাকি বিপক্ষে? আমি ইহার বিপক্ষে।
০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আমি ব্যক্তিগতভাবে মানবিক করিডোরের বিরুদ্ধে। কারণ, এর সুবিধার চেয়ে অসুবিধা এবং ঝুঁকিই আমার কাছে বেশি মনে হয়।
৪| ০৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিএনপি এই করিডর নিয়ে যে ঘোল পাকাচ্ছে তা ঠিক বোধগম্য নয় । প্রেস সচিব বলেছেন জাতিসংঘের ত্রান রাখাইনে পৌছাতে বাংলাদেশের রুট ব্যবহ্রত হবার কথা বলা হয়েছে। পার্মানেন্টলি এই রুট করিডর/ ট্রানজিট হিসাবে দেয়ার কথা বলা হয়নি। গাজাতে জাতিসংঘের ত্রান এভাবেই মিশর বা সিরিয়া দিয়ে যায়। ত্রান পৌছালেই কেবল সীমান্ত খোলা হয় এবং জাতিসংঘের ট্রাক ভেতরে ঢুকলে আবার সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। এমন না যে এই রাস্তা দিয়ে গাজাবাসী বা মিষরীয়/সিরিয়ানরা যাতায়ত করতে পারে।
০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ঢাবিয়ান ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান অভিমত ব্যক্ত করায়। জাতিসংঘের ত্রাণ পৌঁছাতে সীমিত সময়ের জন্য সীমান্ত খোলার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন আপনি—তা টেকনিক্যালি ঠিক হলেও, আমি মানবিক করিডোরের বিপক্ষে। কারণ, এমন যেকোনো ব্যবস্থা ভবিষ্যতে স্থায়ী ট্রানজিটে রূপ নিতে পারে, যা আমাদের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিএনপি কি কারণে এর বিরোধিতা করছে, আমার কাছেও পরিষ্কার নয়।
৫| ০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৩
যামিনী সুধা বলেছেন:
@ঢাবিয়ান,
আপনি যে "গাঁজার" উদাহরণ দিলেন, রাখাইনের অবস্হা কি গাঁজার মতো? মিসর থেকে গাজাতে ট্রাক প্রবেশের সরাসরি পথ আছে, রাফা ক্রসিং, যা ইসরায়েলের উপর দিয়ে যায়নি; কিন্তু ইসরায়েল উহা বন্ধ রাখে দরকার মতো।
আপনি কোন ব্যাপারে না বুঝে ম্যাঁওপ্যাঁও করেন কেন?
০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ম্যাঁওপ্যাঁও!!!
৬| ০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ যামিনী সুধা , The Rafah crossing is under Israeli control until 2005 । ইজরাইলের ইচ্ছা হলে এই ক্রসিং খুলে , না হলে নয়। ইজরাইল দয়া করে খুললেই কেবল মিশর থেকে গাজায় রেড ক্রসের ট্রাক ঢুকতে পারে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টা উলটা। বাংলাদেশ ইচ্ছে হলে খুলবে নাহয় না। অর্থাৎ কেবল জাতিসংঘের ট্রাক আসলেই সীমান্ত খোলা হবে। এই প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশও বন্ধ হবে এবং ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়াও সহজ হবে।
০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
যামিনী সুধা ভাইকে বিস্তারিত উত্তর দেওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩
যামিনী সুধা বলেছেন:
@ঢাবিয়ান,
মিশর থেকে ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে, আমােদের বেলায় জাতিসংঘের মালপত্র রাখাইনে যেতে দিবে বার্মার সেনাবাহিনী; এই ধরণের মালপত্র বার্মায় পাঠানোর জন্য কক্সবাজার ও রামুতে এলে বার্মা তা পছন্দ করবে? এগুলো চা-সিংগারা খাওয়া নয়।
০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
এগুলো চা-সিংগারা খাওয়া নয়।
-তো কী খাওয়া, তা বলে দেন! পাথর চিবানো?
৮| ০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমার মনে হচ্ছে, একটু রিস্ক আছে।
বাংলাদেশকে যুদ্ধের জন্যে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে হবে, যদি মানবিক করিডোর দেওয়া হয়।
মনে রাখবেন, মায়ানমার চীন আর রাশিয়ান বেল্টে আছে। আমেরিকা আর তার মিত্ররা যদি এই মানবিক করিডোরের মাধ্যমে ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়, আর কনভয়ে যদি আক্রমন হয়, তাহলে, আমেরিকা বসে থাকবে না।
খুব সম্ভবত, আমেরিকা আগে ত্রাণ না পাঠিয়ে মিত্রদের মাধ্যমে পাঠাবে। তারপরে, এটাক হলে তারা এগিয়ে আসবে।
এমন হলে বাংলাদেশ চিপায় পড়ে যাবে।
০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ। অসম্ভব কিছু নয়। এমনসব অনাকাঙ্খিত ঘটনা আরও ঘটতে পারে। তাই আগেই এই কাজের ঝুঁকি নিরূপনে যথাযথ মনযোগ নিবিষ্ট করা উচিত বলে মনে করি।
৯| ০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৩
আরোগ্য বলেছেন: সুরা রাহমানে আছে জাহান্নামিরা ফুটন্ত পানি আর আগুনের মাঝে ঘুরাঘুরি করবে। অর্থাৎ একবার আগুনে যাবে, আবার দৌড়ে ফুটন্ত পানিতে যাবে। এভাবে একটু লাগব যন্ত্রণার আশায় বারবার ছোটাছুটি করবে। বর্তমান বিশ্ব মানুষের অবস্থাও একই। সকল দেশের রাষ্ট্র প্রধান নাগরিকদের মরীচিকা দেখাচ্ছে। প্রায় সবাই গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিয়োজিত। সংখ্যার জালে সাধারণ পাবলিককে ভেলকি দেখানো হচ্ছে। প্লান তাদের, প্লটও তাদের, প্রোজেক্ট, প্লেয়ার, প্রোপাগাণ্ডা সবই একসূত্রে গাঁথা। এর মাঝে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ ঈমানকে হেফাজত করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সার্বিক যে পরিস্থিতি সব দিকে আল্লাহ ঈমানের সাথে কবুল করলেই মুক্তি।
০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
অসাধারণ বিশ্লেষণ করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সত্যিই, দুনিয়ার এই আগুন-ফুটন্ত পানি ঘোরে ঈমান ধরে রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আল্লাহ যেন আমাদের ঈমানের সাথে কবুল করেন—এই দোয়া রইল।
১০| ০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের রোহিঙ্গা আসা কোনো রাজনৈতিক দল ঠেকাতে পারতো না। জিয়া ও বেগম জিয়ার আমলেও এসেছিলো রোহিঙ্গারা ! অনেকে বিয়ে করে থেকে গেছে। আবার শেখ হাসিনার পিরিয়ডে রোহিঙ্গা আসে আগের তুলনায় অনেক বেশি। শেখ হাসিনা যা করে নিজেদের বড়ো করে দেখাতে বিএনপি-জামায়াত ও তাই করতো। আজকে ড.ইউনূসের জায়গায় অন্য রাজনৈতিক দল থাকলে তারাও নীতিগত ভাবে একমত হতো করিডোর দেয়ার ব্যাপারে। কারণ বাংলাদেশ বৈদিশিক লোনের উপর নির্ভরশীল একটা দেশ। পশ্চিমাদের সাথে ডিল করার সুযোগ সীমিত। পশ্চিমাদের পছন্দ অনুযায়ী সরকার চলার চেষ্টা করে। রাখাইনে ত্রাণ পাঠানোর জন্য তাই বাংলাদেশ কে সফট টারগেট করেছে পশ্চিমারা। অন্য কোনো সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমারা করিডোর চাচ্ছে না কেবল বাংলাদেশ দিয়ে চাচ্ছে। এত কিছু করছে কেবল চীনকে ঠেকানোর জন্য !
০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে। চমৎকার বিশ্লেষন করেছেন। আপনি বাস্তব রাজনীতি ও ভূরাজনৈতিক চাপের দিকটি তুলে ধরেছেন ঠিকই, তবে আমি মানবিক করিডোরের বিপক্ষে। কারণ, এটি কৌশলে বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদি গেমে জড়িয়ে ফেলতে পারে, যার পরিণতি আমাদের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।
১১| ০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
Sulaiman hossain বলেছেন: করিডর দেওয়া উচিত, তবে মায়ানমারের সাথে আলোচনা করে নেওয়া উচিত।এত ভয় পাওয়া ঠিক নয়
০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:১৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি সংলাপের পক্ষে যে যুক্তি দিয়েছেন তা অবশ্যই সঠিক, তবে আমি করিডোরের বিপক্ষে। কারণ ভয় নয়, বরং সতর্কতা ও দেশের স্বার্থ রক্ষাই এখানে জরুরি। আন্তর্জাতিক খেলোয়ারগণ দুর্বল দেখেই বাংলাদেশকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মিয়ানমার কখনোই এই করিডোরের পক্ষে একমত হবে বলে মনে হয় না। তারা এই করিডোরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশকে যুদ্ধাবস্থায় ঠেলে দিতে পারে, যা আমাদের দেশের নিরাপত্তাঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। ইতোপূর্বে আমরা দেখেছি, গত কয়েক বছরে মিয়ানমারের বিবদমান গোষ্ঠীগুলো বারংবার আমাদের ভূখন্ডে কামানের গোলা নিক্ষেপ করে সীমান্তবর্তী এলাকাকে অশান্ত এবং অস্থিতিশীল করে রেখেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তেমন জোরালো কোনো প্রতিবাদ/ পাল্টা জবাব প্রদান করতে দেখা যায়নি। এদেরকে প্রতিহত করার ঝামেলায় হয়তো আমরা যেতে চাইনি। সুতরাং, ভবিষ্যতে তারা যদি এই করিডোর দেওয়ার কারণে আমাদের সাথে গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে আসে তখন আমাদের পক্ষে যদি আন্তর্জাতিক বড় বড় নেতারা "গাছে তুলে মই সরিয়ে নেওয়া"র ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন কী হতে পারে, তা আগেই ভেবে দেখা উচিত।
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:১৬
কামাল১৮ বলেছেন: মানবিক করিডোর।নামটা সুন্দর,উদ্দেশ্য খারাপ।
০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
দারুন বলেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে। আমারও তাই মনে হয়। বড় বড় রাঘব বোয়ালদের এমন অধিকাংশ কাজেই ভেজাল থাকে। স্বার্থের বাইরে বেরিয়ে তারা এসব কাজ খুব কমই করেন, যদিও নাম দেন "মানবিক"।
১৩| ০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:২৩
Sulaiman hossain বলেছেন: বাস্তবিকই বিষয়টি জটিল।আমিও করিডরের বিপক্ষে। আগের কমেন্ট টি ভুল হয়ে গিয়েছে
০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
পুনরায় ফিরে এসে আপনার পরিবর্তিত অভিমত জানিয়ে যাওয়ায় ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি মত পরিবর্তন করে করিডোরের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় আন্তরিক কৃতজ্ঞতা—সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গিই এখন সবচেয়ে প্রয়োজন। এই জন্যই আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আলোচনার মাধ্যমেই সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পথ খুলে যেতে পারে।
১৪| ০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৩০
যামিনী সুধা বলেছেন:
Sulaiman hossain বলেছেন: বাস্তবিকই বিষয়টি জটিল।আমিও করিডরের বিপক্ষে। আগের কমেন্ট টি ভুল হয়ে গিয়েছে ।
-আগের কমেন্ট ভুল হয়নি, আপনার ভাবনাচিন্তা মক্তবের বাচ্ছার সমান।
১৫| ০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৪১
Sulaiman hossain বলেছেন: @যামিনী সুধা বলেছেন :আপনার ভাবনাচিন্তা মক্তবের বাচ্ছার সমান।
দাদাভাই!!! আমি কিন্তু নিজেকে মক্তবের বাচ্চা ই মনে করি।বরং আমি মক্তবের বাচ্চা হওয়ার ও যোগ্যতা রাখিনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:১৭
শেরেবাংলা মিডিয়া বলেছেন: অভিশাপ