![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
হজ্ব—আলোকিত এক আত্মিক সফর ছবি এআই দিয়ে তৈরি।
কালো গিলাফে ঢাকা প্রিয় বাইতুল্লাহ আর সবুজ গম্বুজে ঘেরা মসজিদে নববী—দুটি চিরলালিত স্বপ্ন মুমিনের হৃদয়ে। হজ্বের মৌসুম এলেই এই স্বপ্ন হয়ে ওঠে জীবন্ত। চোখে জল, অন্তরে ব্যাকুলতা। সুদূর মরুর শহর যেন চলে আসে হৃদয়ের কাছাকাছি। মনে হয়, কল্পনার পাখায় চড়ে সে পৌঁছে গেছে মক্কা-মদীনায়।
মিনার সারি সারি তাঁবু, আরাফার বিস্তির্ণ জমিন, মুযদালিফার প্রশান্তিময় রাত—সব মিলিয়ে এক পরম আনুগত্যের মহা আয়োজন। লাখো কণ্ঠে উচ্চারিত হয় তালবিয়া: “লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক…”। এক পোশাক, এক উদ্দেশ্য, এক দোয়ার সুরে মিলে যায় হাজারো ভাষা, জাতি, শ্রেণি।
আরাফার ময়দানে নবীজীর বিদায় হজ্বের স্মৃতি ভেসে ওঠে। “আল্লাহুম্মাশহাদ”, "হে আল্লাহ, আপনি সাক্ষী থাকুন"—এই ঘোষণায় কেঁপে ওঠে বিশ্বাসীদের তপ্ত হৃদয়। সেখান থেকেই শুরু মুমিনের আত্মনিবেদনের নতুন অধ্যায়। নতুন যাত্রা। নতুন পথপরিক্রমা।
মুযদালিফার পবিত্র রাত শেষে শুরু হয় কংকর নিক্ষেপ—শয়তানকে প্রতিরোধের প্রতীকী প্রতিজ্ঞা। ইবরাহীম-ইসমাঈল আলাইহিমাস সালাম এর স্মৃতিতে ভাসে কুরবানির মিনা। সাদা ইহরামের কাপড় যেন মনে করিয়ে দেয় মৃত্যুর শাদা কাফনের কথা।
এরপর আসে পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফ। তাওয়াফে যিয়ারাত। সাফা-মারওয়ার সাঈ। ভেসে ওঠে পিপাসা কাতর সন্তানের প্রাণরক্ষার প্রচেষ্টায় উদ্বিগ্ন মা হাজেরার ছুটোছুটির চিত্র। অতঃপর বয়ে চলা জান্নাতি প্রস্রবন-যমযমের অমীয় সুধা। সবই যেন জীবনের গভীর উপলব্ধির এক অনন্য শিক্ষা।
আর বিদায়ী তাওয়াফে চোখে জল, হৃদয়ে ভালোবাসা নিয়ে ফিরে আসে কাফেলা—প্রতিশ্রুতি নিয়ে, আবার আসার প্রার্থনায়।
তারপর কাফেলা রওনা হয় মদীনার দিকে। রওজা মুবারকের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে কাফেলা। দরূদ আর কাঁপা কণ্ঠে সালাম। চোখে অশ্রু, মনে প্রশ্ন—আবার কবে হবে এই সৌভাগ্য? আবার কবে আমি ছুঁতে পারব স্বপ্নের সেই দরজা?
হজ্ব শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধি, ভালোবাসার প্রকাশ, আর পরম আনুগত্যের এক পূর্ণ প্রতীক।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:০৪
যামিনী সুধা বলেছেন:
দরিদ্র মুসলমানদের জন্য রূপকথাভিত্তিক বেশ্বের সবচেয়ে বড় মেলা ভ্রমণ।
আমাদের গ্রামের ১ খুবই দরিদ্র মানুষ, যিনি নিজের স্ত্রীকে ঈদেও ১ খানা শাড়ী কিনে দিতে পারেননি, তিনি হজ্ব করেছিলেন। আমার ১ ছোটভাই ( গ্রামের সম্পর্কের ) পাকিস্তান আমল থেকে ত্রিপুরার সীমান্তে চোরাকারবারী করতো, আজ অবধি ২০ বারের বেশী হজ্ব করেছে।