নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড. ইউনূসকে আরও কিছুটা সময় দেওয়া উচিত ছিল

১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২৬

ড. ইউনূসকে আরও কিছুটা সময় দেওয়া উচিত ছিল

ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর ছবিটি এআই এর সহায়তায় তৈরিকৃত।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং সমাজ সংস্কারক, ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মাত্র এক বছরেরও কম সময়ে তিনি দুর্নীতি হ্রাস, অর্থপাচার রোধ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তবে, তাকে কমপক্ষে পাঁচটি বছর সময় দেওয়া হলে বাংলাদেশে আরও গভীর পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব হতো। বাংলাদেশ সুইডেন বা নরওয়ে হতো না, কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত এই দেশে তার নেতৃত্বে আশাব্যঞ্জক পরিবর্তন ঘটতে পারত।

ইতোমধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনুস দুর্নীতি কমিয়েছেন। তার স্বচ্ছতার নীতি পূর্ববর্তী লুটপাটের সংস্কৃতিকে ধাক্কা দিয়েছে। ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের মাধ্যমে তিনি সরকারি সেবা, বিচার বিভাগ এবং নির্বাচনী ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে শুরু করেছেন, যা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সহায়ক হয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, অর্থপাচার বন্ধ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ স্থিতিশীল করা হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে ঋণ প্রদান এবং নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন তরুণদের মধ্যে সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। তার আন্তর্জাতিক খ্যাতি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক হয়েছে।

পাঁচ বছর সময় পেলে এই অগ্রগতি আরও টেকসই হতো। দুর্নীতি দমনে সংস্কার কমিশনগুলো প্রশাসনকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ করত। অর্থনৈতিক সংস্কার ক্ষুদ্র উদ্যোগকে অর্থনীতির মেরুদণ্ডে পরিণত করত এবং কর্মসংস্থান বাড়ত। শিক্ষায় সংস্কার, বিশেষ করে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলত, বাংলাদেশকে উদ্ভাবন-চালিত অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করত। সামাজিক ন্যায়বিচারে ড. ইউনুস সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সমতা নিশ্চিত করেছেন। পাঁচ বছরে তার নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি জাতিগত ও ধর্মীয় সম্প্রীতি জোরদার করত। রাজনৈতিক সংস্কারে তিনি নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতেন, যা জনকল্যাণমুখী রাজনীতির পথ প্রশস্ত করত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার নেতৃত্ব বাংলাদেশকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যেত, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নে বিশ্ব সমর্থন আদায় করত।

তবে, রাজনৈতিক দলগুলোর স্বার্থপরতা, যেমন বিএনপি ও জামায়াতের দ্রুত নির্বাচনের চাপ, সংস্কারে বাধা সৃষ্টি করছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জও তার পথে বাধা। তবুও, তার সততা ও জনগণের প্রতি অঙ্গীকার তাকে এগিয়ে নিয়েছে। ড. ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি “নতুন বাংলাদেশ” হিসেবে এগিয়ে চলেছে। আরও সময় পেলে তিনি স্বচ্ছতা, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতেন। তিনি বলেছিলেন, “বাংলাদেশ একটি পরিবার,” এবং এই পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ করে সমৃদ্ধ জাতিতে রূপান্তরের স্বপ্ন পূরণ করতে পারতেন। তার অবদান চিরস্মরণীয় থাকবে, এবং তার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব এখন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪

নতুন বলেছেন: উনার মতন নেতা দেশের প্রধান হলে আমাদের উপহার হতো।

কিন্তু উনার উপদেশ্টা মন্ডলীর মাঝে বেশিরভাগই কাজের না।

একজনকে ১-২ মাস দেখে পরিবর্তন করা উচিত ছিলো।

আমি আশা করি দেশে এর চেয়ে আরো ডাইনামিক মানুষ আছেন যারা উপদেস্টা হিসেবে দায়ীত্ব পালন করতে পারতো।

সরকারী দূনিতির উপরে হাত দিতে না পারলে দেশের পরিবর্তন হবেনা।

১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার পর্যবেক্ষণ যথার্থ। ড. ইউনুসের নেতৃত্ব প্রশংসনীয় হলেও উপদেষ্টা দলের কিছু সদস্য প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়—এটা একমত।

২| ১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কমপক্ষে ৩ বছর সময় দিতে পারলে দেশটা একটা ভালো পর্যায়ে যেত।

১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



একদম ঠিক বলেছেন। অন্তত ৩ বছর সময় পেলে কাঠামোগত পরিবর্তন ও দুর্নীতি দমনে দৃশ্যমান অগ্রগতি হতো।

৩| ১৬ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শুরুর দিকে তাই মনে হয়েছিল যে, উনি থাকলে ভাল হবে। কিন্তু ১০ মাস চলে যাওয়ার পর আর সময় দেয়া যাচ্ছে না। এখনও জুলাই আহত/নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি। অথচ এগুলো ৬ মাসেই শেষ করা উচিত ছিল। পরবর্তী সরকার বিশেষ করে বিএনপি কি জুলাই বিপ্লবীদের সাহায্য করবে? মনে হয় না।
১০ মাসেও তিনি এখনও ঠিক করতে পারলেন না, পরবর্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সিইসি কীভাবে ঠিক করা হবে। কত বছর মেয়াদ থাকবে পরবর্তী সরকারগুলোর।
উনি নাকি নিরপেক্ষ। অথচ বিএনপির দখলবাজি, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারছেন না। হয়ত কিছু পাতি নেতাকে ধরা হচ্ছে, তবে আরো ব্যপাকভাবে সাইজ করার মত বিএনপি'র অনেক বড় বড় নেতা আছে।
ইশরাককে উনি থামাতে পারছেন না। তাহলে কীভাবে উনি ৫ বছর পার করবেন?

৪| ১৬ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

কামাল১৮ বলেছেন: ভুল তথ্য দিয়ে শুরু করেছেন।তিনি সুদের ব্যবসার কারিগর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.