নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরায়েলের তথাকথিত আত্মরক্ষার অধিকার ও খুনীর দোসরদের উল্লাস

১৮ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৮

ইসরায়েলের তথাকথিত আত্মরক্ষার অধিকার ও খুনীর দোসরদের উল্লাস

ছবি এআই এর সহায়তায় তৈরি।

প্রতিটি হত্যার পরেই খুনীর দোসররা সোৎসাহে বলে ওঠে—
"ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে।"
কিন্তু ইসরায়েলের এই "আত্মরক্ষা"টা আসলে কী?
মধ্যপ্রাচ্যের বুকে ধারাবাহিকভাবে চলা
এই ধ্বংসযজ্ঞ কি সত্যিই আত্মরক্ষা, নাকি এক নির্মম গণহত্যা?

পাখির মতো নিরীহ মানুষদের গুলি করে হত্যা,
নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে বোমাবর্ষণ,
শিশুদের ঝাঁঝরা করা দেহ, লাশের স্তূপ,
ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যাওয়া ভবিষ্যৎ—
এসব কি আদৌ কোনো ন্যায্য আত্মরক্ষার অজুহাত হতে পারে?

সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন, ইরান—প্রতিটি প্রান্তে
রক্তের হোলিখেলা চালিয়ে যারা হত্যায় মত্ত,
তাদের পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষক শুকরখেকোরা
গদগদ ভঙ্গিতে ঢেকুর তোলে অতঃপর
ঠাণ্ডা মাথায় বলে, "ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে।
Israel has the right to self-defense"

কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়—
কত রক্ত ঝরালে এই 'আত্মরক্ষা' পরিপূর্ণ হবে?
কত মায়ের কোল খালি হলে তাদের তৃপ্তি আসবে?
কত শিশুকে, কত বাবা-মা, ভাই-বোন,
স্বামী-স্ত্রীকে মরতে হবে,
তবেই কি তারা বলবে— "এবার যথেষ্ট হয়েছে!"?

যদি এই 'অধিকার'-এর দাম হয় লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ প্রাণ,
যদি তা রক্ত দিয়ে লিখতে হয় মানবতার ইতিহাস,
তবে এটি আর আত্মরক্ষা নয়—এটি একটি সুপরিকল্পিত গণহত্যা,
ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।
এই হত্যাযজ্ঞের দায় শুধু ইসরায়েলের নয়—
এর দায় সেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির,
যে ইসরায়েলকে অস্ত্র ও সমর্থন দিয়ে
এই নৃশংসতাকে উস্কে দিচ্ছে।
এর দায় পশ্চিমা মিডিয়া ও নীতিনির্ধারকদের,
যারা এই বর্বরতাকে 'আত্মরক্ষা' নামে সাজাতে চায়।
এর দায় সেই সব নীরব দর্শকের,
যারা অন্যায় দেখেও চোখ ঘুরিয়ে নেয়।

রক্তপাতের এই নাটক শেষ হতে হবে।
মানবতা জয়ী হোক, নিষ্ঠুরতা নয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৫৬

অগ্নিবাবা বলেছেন: আমি শুকর ও গরু—দুটোই হুইস্কির সঙ্গে ভক্ষণ করতে ভালোবাসি।
আমি চাই টু-স্টেট সলিউশন (Two-State Solution):
একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং একটি স্বাধীন ইসরায়েল রাষ্ট্র—এই দুইটি রাষ্ট্র পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করুক।
ইরানসহ আরব বিশ্ব যেন তা গ্রহণ করে।
দুঃখের বিষয় হলো, ইরানের খোমেইনি সকাল-বিকাল ইসরায়েলের ধ্বংসের ডাক দেন; অথচ তারা আবার পারমাণবিক বোমা চায় শান্তির নামে।
শান্তির ধর্মের কিতাব থেকে ইহুদি-বিরোধী বাণী বাদ দিতে হবে।
ইহুদিদের মানুষ হিসেবে স্বীকার করলেই যুদ্ধ থেমে যেতে পারে।

১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মতামতের মধ্যে কিছু যৌক্তিকতা থাকলেও তা একমুখী ও পক্ষপাতদুষ্ট।

টু-স্টেট সলিউশন নিঃসন্দেহে একটি গ্রহণযোগ্য ধারণা, তবে বাস্তবতা হলো—ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই সেটি বাস্তবায়ন রোধ করেছে। তারা পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি গড়েছে, গাজা অবরুদ্ধ রেখেছে, শিশুদের হত্যা করছে, ধর্মীয় স্থান দখল করছে। এতে করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

ইরান বা অন্য কোনো রাষ্ট্রের বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে, কিন্তু তা কখনোই ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের চলমান নিপীড়নের দায় লাঘব করে না।

১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি শুকর ও গরু হুইস্কির সাথে খেতে ভালোবাসেন, জানলাম। উটের গোশতও সাথে টেস্ট করতে পারেন। অবশ্য তাতে মরুভূমির পশু বলে আপনার যদি আপত্তি না থাকে!

আর “শান্তির ধর্মের কিতাব” থেকে আয়াত বাদ দেওয়ার প্রস্তাব স্পষ্টতই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও অযৌক্তিক। ধর্মগ্রন্থ কোনো রাজনৈতিক দলিল নয়, বরং বিশ্বাসের প্রতীক—তা বিকৃতি নয়, বরং সঠিক ব্যাখ্যার দাবি রাখে।

সবশেষে, যুদ্ধ থামাতে হলে আগে নিপীড়ককে থামাতে হয়, না–বলে বিপরীতভাবে ভুক্তভোগীদের দোষারোপ করা ন্যায়বিচারের পথ নয়।

১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



একটা কথা জানতে চাই, এই টার্মে ইরানে হামলাটা কে শুরু করেছে? কার কারণে এই যুদ্ধটা শুরু হয়েছে?

২| ১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:২৬

রাসেল বলেছেন: ইরানে ইসরায়েলের হামলার ব্যবসায়ীক কারণ কি?

১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



সহজ কথায় বললে, ইসরায়েল ইরানের উপর হামলা চালিয়েছে ক্ষমতার লড়াই, সম্পদের নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র ব্যবসার স্বার্থে—এবং "আত্মরক্ষা" নামক ফাঁকা অজুহাতে এসব হামলাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

"ব্যবসায়ীক কারণ" আসলে অস্ত্রের বাজার, গ্যাস-তেলের দখলদারি এবং পশ্চিমা শক্তির সাথে মিলে মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদ লুটের গেম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.